নাম | সেলিনা হোসেন। |
জন্ম | ১৯৪৭ সালের ১৪ই জুন। |
জন্মস্থান | রাজশাহী। |
পারিবারিক পরিচয় | পিতার নাম মোশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম মরিয়মন্নেসা বকুল। তিনি পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান। |
শিক্ষা ও পেশা | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে বাংলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে লেখালেখি, নারী উন্নয়ন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন। |
সাহিত্য | বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় লেখালেখির সূচনা। তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংকটের সামগ্রিকতা। ভাষা-আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তাঁর লেখায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বড়দের জন্য প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা তেত্রিশ, ছোটদের পঁচিশ। ইংরেজি, রুশ, ফরাসি, হিন্দি, জাপানি, কোরিয়ান, ফিনিশ, উর্দু, আরবি, মারে, মালায়াম ইত্যাদি বেশ কয়েকটি ভাষায় তাঁর বেশ কিছু গল্প ও উপন্যাস অনূদিত হয়েছে। |
উলেস্নখযোগ্য উপন্যাস | ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’, ‘নীল ময়ূরের যৌবন’, ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’, ‘পূর্ণছবির মগ্নতা’, ‘যমুনা নদীর মুশায়েরা’, ‘ভূমি ও কুসুম’। |
পুরস্কার ও সম্মাননা | একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ‘সুরমা চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্মৃতি পুরস্কার’ (ভারত)। ২০১০ সালে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে। |
পাকসেনারা থানায় ঘাঁটি স্থাপন করলে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। সবাই পালাতে শুরু করলে কলিমদ্দি দফাদার ভিন্ন পরিকল্পনা করেন। তিনি পাকসেনাদের ঘায়েল করার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। আর গোপনে সব খবর পৌঁছে দেন, প্রস্তুত থাকতে বলেন। একদিন সুযোগমতো পাকসেনাদের গ্রামে এনে ভাঙা পুলের গোড়ায় দাঁড় করিয়ে কলিমদ্দি দফাদার তা পার হতে গিয়ে পরিকল্পনামাফিক জলে পড়ে যান। সাথে সাথে গর্জে ওঠে ওৎ পেতে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র। আর খতম হয় সব কজন পাকসেনা।
ক. বুধা প্রায়ই কী সাজত? ১
খ. ‘আধা-পোড়া বাজারটার দিকে তাকিয়ে ওর চোখ লাল হতে থাকে’। কেন? ২
গ. উদ্দীপকের কলিমদ্দি দফাদারের সাথে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে কি? যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
বুধা প্রায়ই কাকতাড়ুয়া সাজত।
১ এর খ নং প্র. উ.
হানাদাররা আগুন দিয়ে বাজারটা পুড়িয়ে দিয়েছিল বলে প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞায় ‘আধ-পোড়া বাজারটার দিকে তাকিয়ে বুধার চোখ লাল হতে থাকে’।
নো অন্যায় বা নির্মমতা দেখলে বুধার খুব রাগ হয়। রেগে গেলে তার চোখ লাল হতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধকালে পাকহানাদার বাহিনী একদিন বুধাদের গ্রামে ঢুকে বহু মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। তারা আদিম নৃশংসতায় আগুন দিয়ে বাজারটা পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় বুধা দারুণ ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠে।
নাদারদের প্রতি তার প্রবল ঘৃণা সৃষ্টি হয়। এর প্রতিশোধ গ্রহণ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় সে। বুধার লাল চোখ সেই অনুভূতিই প্রকাশ করে।
১ এর গ নং প্র. উ.
সুকৌশলে শত্রু নিধনের দিক থেকে উদ্দীপকের কলিমদ্দি দফাদারের সাথে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা পিতৃমাতৃহীন অনাথ কিশোর হলেও সে ছিল মেধাবী ও কৌশলী। শক্তি দিয়ে যে কাজটি করা যায় না বুদ্ধি দিয়ে সে কাজটি অনায়াসে করা যায়। বুধার বুদ্ধিমত্তা আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। সে সুকৌশলে একাধিক রাজাকারের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মিলিটারিদের বাংকারে মাইন পুঁতে রেখেছিল।
উদ্দীপকের কলিমদ্দি দফাদার পাকসেনাদের ঘায়েল করার জন্য কৌশলী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি পাকসেনাদের সাথে মিশে গিয়ে তাদেরকেই নাস্তানাবুদ করেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন একজন মুক্তিসংগ্রামী। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হাত মিলিয়ে তিনি হানাদার নিধনে ভূমিকা রাখেন। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধাও তেমনি নানা কৌশলে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছিল।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের খণ্ডিত অংশের ধারক।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাস। লেখক সেলিনা হোসেন অপরিসীম মমতায় রচনা করেছেন দেশপ্রেমের এই অনবদ্য কাহিনি। উপন্যাসটি রচিত হয়েছে বুধা চরিত্রকে ঘিরে। উপন্যাসে মূলত বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের কাহিনি বর্ণিত হলেও পাশাপাশি প্রতিফলিত হয়েছে গ্রামীণ জীবন, সুখ-দুঃখ, ব্যথা-বেদনায় ভরা নিম্নবিত্ত ও দারিদ্র্যক্লিষ্ট মানুষের ইতিবৃত্ত।
উদ্দীপকে কলিমদ্দি দফাদার কীভাবে পাকসেনাদের নিজ বুদ্ধিবলে পরাস্ত করেছেন সেই দিকটি আলোচিত হয়েছে। তিনি পাকসেনাদের সাথে বন্ধুত্বের অভিনয় করে তাদের সাথে মিশেছেন। এরপর সুযোগ বুঝে মুক্তিসেনাদের মাধ্যমে হানাদারদের শায়েস্তা করেন। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রের মাঝেও এই একই চেতনা রয়েছে। কিন্তু উপন্যাসটির পরিধি আরও বিস্তৃত।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলোর বর্ণনার পাশাপাশি গ্রামীণ জীবনের খুঁটিনাটি, প্রেম-ভালোবাসা, মায়া-মমতার গভীর বন্ধন, আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতার অনুভূতি ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে। শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বুধার দিন দিন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠার কথা বলা হয়েছে। শত্রুর বাংকারে মাইন পুঁতে তাদের ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে হানাদারদের বিরুদ্ধে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ চেতনার স্বরূপ। কিন্তু উদ্দীপকে কেবল মুক্তিযুদ্ধে কলিমদ্দি দফাদারের ভূমিকার একটি বিশেষ মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আংশিক ভাব ধারণ করে।
২ নং. ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে গর্জে ওঠে কলেজপড়ুয়া আবু সাঈদ। ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। তাঁর নেতৃত্বে একের পর এক গেরিলা আক্রমণে অতিষ্ঠ পাকসেনারা। অপারেশন জ্যাকপটের সফল অভিযানের পর পাকসেনারা আবু সাঈদের গ্রামে আক্রমণ করে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। আর যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানেই নির্মমভাবে হত্যা করে। একসময় আবু সাঈদ জানতে পায় স্বজন হারানোর খবর। কিন্তু সে আপসহীন। তার একটাই প্রতিজ্ঞা, এ দেশের মাটি থেকে ওদের তাড়াতেই হবে।
ক. কে বুধাকে ‘মানিকরতন’ বলে ডাকত? ১
খ. ‘এবার মৃত্যুর উৎপাত শুরু করেছে ভিন্ন রকমের মানুষ’। এ কথা বলার কারণ কী? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কাহিনি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের যে বিশেষ দিকটির ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের আবু সাঈদের মনোভাবই যেন ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মূল বক্তব্য।’ যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪
২ নংপ্র. উ.
ক. হরিকাকু বুধাকে মানিকরতন বলে ডাকত।
খ. ‘এবার মৃত্যুর উৎপাত শুরু করেছে ভিন্ন রকমের মানুষ’ কথাটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার। পাকহানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা প্রসঙ্গে সে এ কথা বলে।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে কিশোর বুধার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গভীরভাবে প্রকাশিত হয়েছে। মাতৃভূমির প্রতি বুধার গভীর ও অকৃত্রিম ভালোবাসা এই উপন্যাসে ফুটে উঠেছে। গ্রামে কলেরা রোগের বিস্তার ঘটলে বুধার মা-বাবা, বোন, আত্মীয়, পরিজন অনেকেই মারা যায়। চোখের সামনে বুধা আপনজনের মৃত্যু দেখেছে। কিন্তু নতুন করে যে মৃত্যুর বিভীষিকা তৈরি হয়েছে তা কোনো রোগে শোকে নয়। বুধার কিশোর মনে আগুন জ্বলে ওঠে যখন দেখে গ্রামের ভেতর জিপ নিয়ে ঢুকে হানাদাররা নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করে। সে বুঝতে পারে এরা এদেশের কেউ নয়। তাই তার মনে আলোচ্য কথাটি ধ্বনিত হয়।
গ. উদ্দীপকের কলেজছাত্র আবু সাঈদ মুক্তিযুদ্ধে যে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার ভূমিকাকেই ইঙ্গিত করে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাস। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র পিতৃমাতৃহীন অনাথ বালক বুধার জীবন কেটেছে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে। হানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও বাজার জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তার মনে ক্ষােভের আগুন জ্বলে ওঠে। সে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে। দিন দিন সে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠে। শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের বাড়ি সে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। পাকসেনাদের বাংকারে সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাইন পুঁতে আসে।
কলেজপড়ুয়া আবু সাঈদ ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। একের পর এক গেরিলা আক্রমণ করে হানাদারদের পর্যুদস্ত করে। হানাদাররা তার গ্রামে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড চালায়। আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যুর খবরেও সে দমে যায়নি। দেশ শত্রুমুক্ত করতে সে বজ্রকঠিন শপথ নেয়। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা দেশের মাটি মানুষকে ভালোবেসে জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিয়েছিল। আবু সাঈদও যুদ্ধে স্বজন হারিয়েও একচুল পিছপা হয়নি।
ঘ. উদ্দীপকের আবু সাঈদ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুক্তিকামী মনের এই দৃঢ় তাই ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মূল বক্তব্য।
‘কাকতাড়ুয়া’ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এক অসাধারণ উপন্যাস। লেখক সেলিনা হোসেন যুদ্ধের পটভূমি অত্যন্ত জীবনঘনিষ্ঠ করে আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বুধার মতো এক বিস্ময়কর চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। বুধা সহায়সম্বলহীন। তাই তার হারানোর কিছু ছিল না নিজের প্রাণটা ছাড়া। দেশের জন্য সে প্রাণটাকেই বাজি রেখেছিল। বুধা ও তার সহসঙ্গীদের মরণপণ চেষ্টায় শত্রুর ধ্বংস অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।
উদ্দীপকে উলিস্নখিত ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের মাঝে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল।
ক্তিপাগল মানুষ দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য বজ্রকঠিন সিদ্ধান্ত নেয়। কলেজপড়ুয়া আবু সাঈদও সেদিন প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের নেশায় গর্জে উঠেছিল। একের পর এক গেরিলা আক্রমণের মধ্য দিয়ে হানাদার বাহিনীকে সমুচিত জবাব দেয় সে। হানাদাররা তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। প্রিয়জন হারানোর খবরেও সে দমে যায়নি বরং প্রাণপণে যুদ্ধ করেছে।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে পাকসেনাদের বর্বরতা ও বাঙালির প্রতিরোধ সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। উদ্দীপকের বক্তব্য সংক্ষপ্তি হলেও কলেজপড়ুয়া আবু সাঈদের ভূমিকার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে জীবন-মরণ সংগ্রামের চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। উপন্যাসে বুধা ও তার সহযোগীরা যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল উদ্দীপকের আবু সাঈদও একই ভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। উপন্যাসের কাহিনি আমাদের মনে মুক্তিসংগ্রামের সেই অবিনাশী চেতনার জাগরণ ঘটায়। উদ্দীপকের আবু সাঈদের বীরত্বে গর্বে আমাদের বুক ফুলে ওঠে। উপন্যাস ও উদ্দীপক উভয়টিই স্বাধীনতা সংগ্রামে মানুষের মহান আত্মত্যাগের স্বরূপ তুলে ধরে।
৩ নং. গ মিদার মফিজ খাঁর নাম শুনলে প্রজারা ভয়ে কাঁপতে থাকে। তার হুকুমের অবাধ্য হলে সে প্রজার আর রক্ষা নেই। ইদানীং তার চেলা হিসেবে কাজ করছে হাসেম ব্যাপারী। সারাক্ষণ তাকে কুপরামর্শ দেয় আর নানা অজুহাতে প্রজাদের হালের বলদ, ঘরের টিন, পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে আসে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে গ্রাম ছাড়া করে। গ্রামের সালিস-বিচার সবই হাসেম ব্যাপারীর ইঙ্গিতে চলে। তাই সাধারণ মানুষ কানাঘুষা করে হাসেম ব্যাপারী যেন জমিদারের জমিদার।
ক. শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিল? ১
খ. যে মানুষের দৃষ্টিতে ভাষা নেই, বুধার মতে সে মানুষ কেন মানুষ নয়? ২
গ. উদ্দীপকের হাসেম ব্যাপারীর সাথে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত আহাদ মুন্সি চরিত্রের সাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের একমাত্র দিক নয়- যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখো। ৪
৩ নংপ্র. উ.
ক. শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিল আহাদ মুন্সি।
খ. যে মানুষের দৃষ্টিতে ভাষা নেই, বুধার মতে সে মানুষ নয়। কারণ সে প্রাণহীন, তার মাঝে ভালোবাসা নেই।
যে মিলিটারিরা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে তাদের চোখে চোখ রাখতে বুধা ভয় পায় না। বরং তাদের দিকে তাকিয়ে ভালো করে পরখ করে। তাদের দৃষ্টি ছিল নির্জীব, প্রাণহীন। আর নির্জীব প্রাণহীনরাই হিংস্র হয়ে থাকে। বুধা এই হিংস্রতা প্রত্যক্ষ করেছে। এমন নির্মমতা প্রদর্শন কোনো স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সে মনে করে যে মানুষের দৃষ্টিতে ভাষা নেই, সে মানুষ মানুষ নয়।
গ. সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, অবিচার ও জুলুম চালানোর ক্ষেেত্র সহায়তাকারী হিসেবে
দ্দীপকের হাসেম ব্যাপারীর সাথে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আহাদ মুন্সির সাদৃশ্য বিদ্যমান।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। হানাদারদের দোসর হয়ে অপকর্মে লিপ্ত হয় এদেশীয় কিছু নরপশু। তারা নিরপরাধ মানুষকে হানাদারদের কাছে ধরিয়ে দেয়। সম্পদ লুণ্ঠনসহ বিভিন্ন কাজে তারা প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের খবর পাকিস্তানি ক্যাম্পে পৌঁছে দিয়ে তারা হানাদারদের পক্ষে কাজ করে। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আহাদ মুন্সীর মাঝে আমরা এ বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ করি।
উদ্দীপকের হাসেম ব্যাপারী অত্যাচারী জমিদারের প্রতিনিধি। জমিদারের সব অপকর্মের সাথি সে। জমিদারের কথার অবাধ্য হলেই তার নেতৃত্বে প্রজাদের ওপর নেমে আসত অত্যাচারের স্টিমরোলার। সে নানা অজুহাতে প্রজাদের সহায়-সম্বল লুট করে নেয়। সবকিছুর নাটের গুরু এই হাসেম ব্যাপারী। উপন্যাসের আহাদ মুন্সি যেমন হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে অপকর্ম করে তেমনি হাসেম ব্যাপারীও জমিদারের চামচা হয়ে অন্যায়-অত্যাচার চালায়। উভয়ের ভূমিকাই মানবতাবিরোধী এবং নিপীড়নমূলক।
ঘ. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আহাদ মুন্সি চরিত্রের একটি খণ্ডিত দিক উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু উপন্যাসে আরো বহু বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে।
সেলিনা হোসেন রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের পটভূমি রচিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে। পাকবাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে একটি কিশোর কীভাবে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে তারই চমকপ্রদ বর্ণনা রয়েছে উপন্যাসে। তার সংগ্রামমুখরতা প্রেরণা জোগায় মুক্তিকামীদের। সকলে শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়। পাকিস্তানিদের এদেশীয় দোসরদের কর্মকাণ্ডের বিবরণ রয়েছে উপন্যাসে। গ্রামীণ জীবনে নানা খুঁটিনাটি বিরণের আড়ালে উপন্যাসে ভাস্বর হয়ে উঠেছে মুক্তির চেতনা।
উদ্দীপকে অত্যাচারী জমিদার মফিজ খাঁয়ের চেলা হলো হাসেম ব্যাপারী। সে জমিদারের হয়ে প্রজাসাধারণের ওপর নির্যাতন চালায়। জমিদারের ছত্রচ্ছায়ায় সে সাধারণ মানুষের হালের বলদ, ঘরের টিন, পুকুরের মাছ আত্মসাৎ করে। তাদের মুখের কথাই যেন আইন। বিচার-সালিসও হয় হাসেম ব্যাপারীর ইঙ্গিতে। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আহাদ মুন্সিও অনুরূপ একটি চরিত্র। কিন্তু উপন্যাসে অন্য চরিত্রগুলোর মাধ্যমে একটি বিস্তৃত কাহিনির রূপায়ণ ঘটেছে।
আহাদ মুন্সির চরিত্র ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের একটি অনুষঙ্গ হলেও এই উপন্যাসে বহু বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। সাহস ও দেশপ্রেমের প্রতিরূপ হিসেবে বুধা চরিত্র সৃষ্টি করা হয়েছে। মুক্তিসংগ্রামে তার প্রত্যয়দীপ্ত ভূমিকার উলেস্নখ রয়েছে। এছাড়া উপন্যাসে বিধৃত হয়েছে সাধারণ গ্রামীণ জীবনের বর্ণনা, মহামারির ভয়াবহতা, হানাদার বাহিনীর অবর্ণনীয় পৈশাচিকতা, আর্থিক টানাপোড়েন, ইত্যাদি। উপন্যাসের মূলভিত্তি মুক্তিযুদ্ধ হলেও উদ্দীপকে তা নয়। উদ্দীপকে শুধু গ্রামীণ সামন্তবাদের একটি করূণ রূপ ফুটে উঠেছে।
৪ নং. ১৯৭১ সাল। আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। নির্যাতন, হত্যা, বাড়িঘর পুড়ে যাওয়া স্বচক্ষে দেখে দেশবাসী। তাঁদের মনে প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের বাসনা জাগে। তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, শত্রুর মোকাবিলা করে দেশকে মুক্ত ও স্বাধীন করবে।
ক. বুধার মা-বাবার কবর কে পরিষ্কার করে? ১
খ. ‘ভয় কী- সে তো ও কবে ভুলে গেছে।’ কেন ভুলে গেছে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. “‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসটি আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবময় দলিল”- উদ্দীপকের আলোকে বর্ণনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব যেন ‘বুধা’ চরিত্রের প্রতিচ্ছবি? বিশেস্নষণ করো। ৪
৪ নংপ্র. উ.
ক. বুধার মা-বাবার কবর পরিষ্কার করে কুন্তি।
খ. চোখের সামনে পরিবারের সবাইকে চিরবিদায় নেওয়ার দৃশ্য দেখার পর থেকে বুধা ভয় পেতে ভুলে গেছে।
বুধাদের গ্রামে একবার কলেরা এসেছিল মহামারির রূপ ধারণ করে। তাতে উজাড় হয়ে যায় গ্রামের অর্ধেক মানুষ। বুধার বাবা-মা ও চার ভাইবোনেরও এক রাতে অকাল মৃত্যু ঘটে। অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় বুধা। চোখের সামনে জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ ও নির্মম বাস্তবতা বুধার মন থেকে সব ধরনের ভয় কেড়ে নেয়। এ কারণেরই বুধা সম্পর্কে আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।
গ. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসকেই তুলে ধরা হয়েছে। তাই আলোচ্য উক্তিটি যথার্থ।
সেলিনা হোসেন রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন সময়কালের বাস্তবতা উপন্যাসে ধরা পড়েছে। হানাদার পাকিস্তানি ও দেশীয় শত্রুদের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াইয়ের বিবরণ রয়েছে উপন্যাসে। মানুষের গভীর দেশপ্রেম ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞার কাছে শত্রুদের পরাজয়ের চিত্রও আমরা উপন্যাসটিতে দেখতে পাই।
উদ্দীপকে আমরা পাই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের অনুভূতি। এ দেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি সেনারা নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল। কিন্তু মানুষ আশা হারায়নি। বরং ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্বিগুণ শক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল শত্রুদের ওপর। অধিকার আদায়ের এই সংগ্রামী চেতনা আমাদের চিরকালের অহংকার। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসও একই চেতনায় সমৃদ্ধ।
[প্রশ্নটি সৃজনশীল আঙ্গিকে রচিত না হওয়ায় সঠিকভাবে উত্তর দেওয়া গেল না।]
ঘ. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রটি স্বাধীনতার চেতনায় সমুজ্জ্বল। উদ্দীপকের মূলভাবও তা-ই।
সেলিনা হোসেন রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র বুধা। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তার মনে রয়েছে গভীর মমত্ববোধ। সেই চেতনাই তাকে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশমাতৃকার শত্রুদের চিনিয়ে দেয়। তাই শত্রুদের বিনাশের জন্য বুধা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চিত্রপট প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য উদ্দীপকে। পাকিস্তানিদের শত অত্যাচার ও নির্যাতনেও হার মানেনি বাঙালি জাতি। বরং অধিকার আদায়ের জন্য সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছে। শত্রুকে মোকাবেলার জন্য অনেক আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। মুক্তিযুদ্ধ এ কারণেই আমাদের কাছে এত গৌরবের। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধাও বাঙালির সেই অবিনাশী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে।
বুধা বয়সে ছোট হলেও তার বোধশক্তি প্রখর। পাকিস্তানি হানাদাররা যে এদেশের মানুষের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে চায় তা সে বুঝতে পারে। সেই সাথে সে এটিও বুঝতে পারে যে সবাই এক হয়ে শত্রুদের মোকাবেলা না করলে শত্রুদের জয় সুনিশ্চিত। উদ্দীপকেও আমরা একই ভাব দেখতে পাই। প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের যে বাসনা বাঙালির মনে ছিল সেটিই একসময় ধ্বংস করে দিয়েছিল পাকসেনাদের সমস্ত অহংকার। উপন্যাসে লেখিকা কিশোর বুধা চরিত্রের আড়ালে এই চেতনাকেই রূপায়িত করতে চেয়েছেন।
৫ নং. এক দারুণ সাহসী ছিল ১৯৭১। সাহসে ও সংগ্রামে, লড়্গ্য অর্জনে দৃঢ় সংকল্প আর বিশাল আত্মত্যাগে পুরো বাঙালি জাতিই ছিল বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনাম। এ পথ পেরিয়েই আমাদের আজকের গৌরবদীপ্ত বাংলাদেশ। এ আমাদের বড় অহংকার।
ক. নোলক বুয়া বুধাকে কী নামে ডাকত? ১
খ. ‘গণকবর’ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রটি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “এ পথ পেরিয়েই আমাদের আজকের গৌরবদীপ্ত বাংলাদেশ”- ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আলোকে ঐ পথের স্বরূপ বিশেস্নষণ করো। ৪
৫ নংপ্র. উ.
ক. নোলক বুয়া বুধাকে ছন্নছাড়া নামে ডাকত।
খ. গণকবর বলতে বোঝায় এমন একটি স্থানকে যেখানে অনেক মানুষকে একত্রে সমাধিস্থ করা হয়।
সাধারণত একজন মানুষকে একটি কবরে সমাধিস্থ করা হয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে একটি বড় কবর খুঁড়ে অনেক মানুষকে একসাথে চিরবিদায় জানানো হয়। এটিকেই গণকবর বলা হয়। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদাররা গণহত্যা চালায়। তখন সারা দেশের অনেক স্থানে অসংখ্য গণকবর তৈরি হয়।
গ. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠা কিশোর বুধা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা পালন করে তাই আলোচিত হয়েছে।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র বুধা। পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ বালক বুধা তার গ্রামে পাকহানাদার বাহিনীর বর্বরতা দেখেছে, বাজারের দোকানপাট আগুনে ভস্মীভূত হতে দেখেছে। এসব তাণ্ডব দেখে তার মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে। সে দিনের পর দিন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলেছে।
উদ্দীপকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ, স্বাধীন পতাকা, স্বাধীন পরিচয়। মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকামী মানুষেরা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কিশোর বুধার সাহস পাহাড়সম। তার কারণেই এলাকা শত্রুমুক্ত হয়। উদ্দীপকে বর্ণিত মুক্তির চেতনারই ধারক ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা।
ঘ. “এ পথ পেরিয়েই আমাদের আজকের গৌরবদীপ্ত বাংলাদেশ” বলতে মুক্তিসংগ্রামে বাঙালির
ক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কথা বলা হয়েছে, যা ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসেরও মূলকথা।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে আমরা দেখতে পাই মুক্তিযুদ্ধকালে পাকহানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। পৈশাচিকভাবে এদেশের মানুষের ওপর নির্যাতননিপীড়ন চালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানুষ একসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছে।
উদ্দীপকে ১৯৭১ সালে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল পৃথিবীর ইতিহাসে তা এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেছে বাঙালি কীভাবে লড়াই করে দেশকে স্বাধীন করেছে। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে আমরা লক্ষ করি একজন কিশোর কীভাবে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে উঠেছে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে লড়্গ্য অর্জনে বাঙালি ছিল দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। গুলির সামনে বাঙালি বুক পেতে দিয়েছে কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। রক্তের সিঁড়ি বেয়েই বিজয় অর্জিত হয়েছে। আর হানাদাররা আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছে। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসেও আমরা দেখি নির্যাতিত মানুষেরা শত্রুকে রুখে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের জীবনের বিনিময়ে হলেও স্বদেশকে রক্ষা করতে চেয়েছে, মানুষের আত্মত্যাগের কল্যাণেই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।
৬ নং. বাপ-মা মরা সবুজের খোঁজখবর কেউ রাখে না। তাই সারাদিন সে এখানে-সেখানে কাটিয়ে রাতের বেলা কারও বৈঠকখানায়, স্কুলের বারান্দায় ঘুমায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষকে প্রাণভয়ে পালাতে দেখে সে জেনে যায় পাকসেনারা আমাদের শত্রু। এদের খতম করতেই হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় পাকসেনা ক্যাম্পে কৌশলে ঢুকে সে গ্রেনেড ছুড়ে মারলে বহু সৈন্য হতাহত হয়। সবুজ বিজয়ীর হাসি হাসে।
ক. নোলক বুয়া বুধাকে কী খেতে দেয়? ১
খ. আলো-আঁধার বুধার কাছে সমান কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের সবুজ কি বুধার প্রতিরূপ? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
৬ নংপ্র. উ.
ক. নোলক বুয়া বুধাকে মুড়ি ভাজা খেতে দেয়।
খ. বুধার জীবন ছন্নছাড়া, উদ্দেশ্যহীন বলে দিনের আলো বা রাতের আঁধার বুধার কাছে বিশেষ কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করে না।
ছেলেবেলায় বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে চরম মানসিক আঘাত পায় বুধা। সেই থেকে তার ভবঘুরে জীবনের শুরু। মাঠে-ঘাটে গন্তব্যহীন ঘুরে বেড়ায়। রাত কাটে স্কুলের বারান্দা, ঢেঁকিঘর, খড়ের গাদা, নতুবা নৌকায় শুয়ে। সময়ের কোনো হিসাবে সে নিজেকে বন্দি করে না। দিন কি রাত সবই তার কাছে তাই একই রকম।
গ. উদ্দীপকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উলিস্নখিত হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে আনার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
‘কাকতাড়ুয়া’ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি উপন্যাস। সেলিনা হোসেন গভীর দেশপ্রেম ও বাঙালির প্রতি মমত্ববোধ থেকে উপন্যাসটি লিখেছেন। উপন্যাসে আমরা দেখতে পাই পাক হানাদারদের বর্বরতার বিরুদ্ধে কিশোর বুধার লড়াইয়ের চিত্র। মুক্তিবাহিনীর পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকবাহিনীর ক্যাম্প ধ্বংস করতে দুঃসাহসী ভূমিকা পালন করে সে।
উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে নির্ভীক এক বালকের কথা। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বদেশের মানুষের অসহায়ত্ব দেখে সে বুঝে নেয় যে এদেশের শত্রু কারা। শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিজ্ঞা নেয় সে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য নিয়ে পাকসেনাদের ক্ষতিসাধন করে। শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপক ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. জীবনযাপনের প্রণালি এবং মুক্তির চেতনা ধারণের দিক থেকে উদ্দীপকের সবুজকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার প্রতিরূপ বলা যায়।
সেলিনা হোসেন রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মূল চরিত্র বুধা। সংসারে তার আপন বলতে কেউ নেই। সবাইকে সে হারিয়েছে এক রাতের ব্যবধানে। সেই দুর্ঘটনার মানসিক কষ্ট তার জীবনকে ওলটপালট করে দেয়। জীবনটা তার ছন্নছাড়া। তবে অসামান্য মানবিক বোধসম্পন্ন বুধা। পাক হানাদাররা যে এদেশের শত্রু এবং যেকোনো মূল্যে তাদেরকে যে প্রতিরোধ করতে হবে সেই চেতনা দৃঢ়ভাবে রয়েছে তার মাঝে।
উদ্দীপকের সবুজ অনাথ এক বালক। গৃহহীন সবুজের খবর রাখে না কেউ। নিজের মতোই সারা দি
এখানে ওখানে কাটায় সে। মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর অত্যাচারের নমুনা তাকে মুক্তিচেতনা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার মতোই সেও ঝাঁপিয়ে পড়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
উদ্দীপকের সবুজ ও ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা দুজনেই দুর্ভাগা। অল্প বয়সেই এতিম হয়েছে তারা।
দের খোঁজ-খবর রাখার কেউ নেই। দুজনেই ভবঘুরে হয়ে ঘুরে বেড়ায় মাঠে-ঘাটে। দুজনের মনেই রয়েছে স্বাধীনতার অগ্নিমশাল। পাকিস্তানি শত্রুসেনাদের বিরুদ্ধে তারা সমান প্রতিবাদমুখর। দৃপ্তপদে শত্রুদের ধ্বংস করার অভিযানে অংশ নেয় বুধা ও সবুজ। শত্রুদের পরাজয় নিশ্চিত করে অসীম সাহস বুকে নিয়ে। এই দিকগুলোই উদ্দীপকের সবুজকে উপন্যাসের বুধার সাথে এক বিন্দুতে স্থাপন করেছে।
৭ নং. ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ নামক চলচ্চিত্রের এক সাহসী, নির্ভীক ও দেশপ্রেমিক কিশোর চরিত্র রাশেদ। পাকিস্তানিদের অত্যাচার আর রাজাকারদের এ দেশের মানুষের প্রতি বৈরী মনোভাবে সে ক্ষপ্তি হয়ে ওঠে। তার মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা জাগ্রত হয়। সে নানা কৌশলে রাজাকারদের হেনস্তা করে। এমনকি যুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যে সে এগিয়ে আসে। স্কুলঘরে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প ধ্বংসে সে ভূমিকা রাখে। একসময় রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ে এবং শহিদ হয়।
ক. নোলক বুয়া বুধাকে কী নামে ডাকে? ১
খ. ‘সেই শীতল মৃত্যু রাতের কথা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের হানাদার ও রাজাকারদের সাথে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সাদৃশ্যগত দিক নির্ণয় করো। ৩
ঘ. ‘রাশেদ ও বুধা উভয়েই দেশপ্রেমিক’-উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪
৭ নংপ্র. উ.
ক. নোলক বুয়া বুধাকে ছন্নছাড়া নামে ডাকে?
খ. ‘সেই শীতল মৃত্যু রাতের কথা’- বলতে বোঝানো হয়েছে বুধার পরিবারের সকল সদস্যকে একসাথে চিরতরে হারানোর বেদনার মুহূর্তটি সম্পর্কে।
বুধাদের গ্রামে এক বছর কলেরা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণঘাতী সেই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে বুধার পরিবারের সবাই। একটি রাতের মাঝেই সামান্য সময়ের ব্যবধানে সবাই চলে যায়। বুধার চোখের সামনে একে একে বিদায় নেয় বাবা-মা ও চার ভাইবোন। সেই রাতটি বুধার জীবনে এক অন্ধকার অধ্যায়। খুব কাছ থেকে দেখা মৃত্যুর শীতলতার সেই অনুভূতি বুধাকে প্রায়ই অস্থির করে তোলে।
গ. অন্যায়ভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার চালানোর দিক থেকে উদ্দীপকে বর্ণিত হানাদার ও রাজাকাররা ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত হানাদার পাকিস্তানি ও দেশদ্রোহী রাজাকারদেরই প্রতিনিধি।
সেলিনা হোসেন রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে ১৯৭১ সালে এ দেশের মানুষের ওপর পাকবাহিনীর নৃশংসতার চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। উপন্যাসে আরও দেখা যায়, পাকিস্তানিদের সেই কর্মকাণ্ডে সমর্থন ও সহযোগিতা করে এদেশেরই এক শ্রেণির মানুষ। দেশ ও দেশের মানুষের সাথে তারা চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে। তাদের প্রতি দেশপ্রেমিক মানুষের প্রবল ঘৃণার পরিচয় পাওয়া যায় উপন্যাসে।
উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ নামক একটি চলচ্চিত্রের কথা। পাকিস্তানিদের বর্বরতার চিত্র রয়েছে চলচ্চিত্রটিতে। এ ছাড়াও রয়েছে ঘৃণ্য রাজাকারদের প্রতি মুক্তিকামী কিশোর রাশেদের বিক্ষুব্ধ মনের অনুভূতির কথা। উদ্দীপকের এ অনুভবগুলো ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসেও ধরা পড়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের রাশেদ ও ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা উভয়েই দেশমাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তারা দুজনেই মহান দেশপ্রেমিক।
সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত বুধার হৃদয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য গভীর টান। আপাতদৃষ্টিতে তাকে দেখে মনে হয় মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে গভীরভাবে জীবন ও মানবিকবোধসম্পন্ন। স্বদেশের প্রতি অকৃত্রিম অনুভূতি তাকে চিনিয়ে দেয় দেশের শত্রু কারা আর বন্ধু কারা। তাই সে ঘৃণ্য রাজাকারদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় গোপনে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানিদের বাঙ্কার উড়িয়ে দিয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
উদ্দীপকের রাশেদ এক সাহসী কিশোর। পাকিস্তানি হানাদারদের ধ্বংসযজ্ঞ আর তাতে বিশ্বাসঘাতক রাজাকারদের সহযোগিতা দেখে সে বিক্ষুব্ধ হয়। তার প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাবের আগুনে পুড়তে হয় রাজাকারদের। পাকিস্তানিদের ক্যাম্প ধ্বংসে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করে।
দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে উপন্যাসের বুধা ও উদ্দীপকের রাশেদের দৃঢ় অবস্থান তাদের দেশপ্রেমের গভীর অনুরাগেরই প্রকাশক। উপন্যাসের বুধা যেমন পাকিস্তানিদের অত্যাচার মেনে নিতে পারেনি তেমনি উদ্দীপকের রাশেদও পারেনি। ফলে তারা উভয়ই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। বুধা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছে। উদ্দীপকের রাশেদও তেমনি সহায়তা করছে। ফলে তারা উভয়ই দেশপ্রেমিক।
৮ নং. গ্রেনেড উঠেছে হাতে, কবিতার হাতে রাইফেল
এবার বাঘের থাবা, ভোজ হবে আজ প্রতিশোধে
যার সঙ্গে যেরকম সেরকম খেলব বাঙালি
খেলেছি মেরেছি সুখে কান কেটে দিয়েছি তোদের।
ক. গাঁয়ের মানুষ কয় ভাগে ভাগ হয়ে গেছে? ১
খ. আহাদ মুন্সির চোখ কপালে উঠেছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বুধার জীবনের কোন অংশটি ফুটে উঠেছে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটিতে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সম্পূর্ণ ভাবের প্রতিফলন ঘটেনি।”- উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো। ৪
৮ নংপ্র. উ.
ক. গাঁয়ের মানুষ দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
খ. বুধার অপ্রত্যাশিত আচরণের কারণে আহাদ মুন্সির চোখ কপালে উঠেছিল।
বুধার স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না আহাদ মুন্সির। বুধার সারল্যমাখা মুখ দেখে তাঁর মায়া হয়। সস্নেহে তিনি বুধাকে তার নাম জিজ্ঞেস করেন। ভয়-ডরহীন বুধা আহাদ মুন্সিকে চমকে দেওয়ার জন্য বলে ‘যুদ্ধ’। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত জবাব শুনে আহাদ মুন্সি অত্যন্ত বিস্মিত হন।
গ. সেলিনা হোসেন রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত বুধা দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে। তার জীবনের সেই বাস্তবতার সাথে উদ্দীপক কবিতাংশটির ভাব সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে আমরা হানাদার পাকিস্তানি ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা জানতে পারি। উপন্যাসে বুধা তেমনই এক মুক্তিকামী সত্তা।
কিস্তানিদের নির্মমতা, রাজাকারদের হৃদয়হীনতার ব্যাপারগুলো তার মনে প্রতিশোধের স্ফুলিঙ্গ জ্বালে। নিজের সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তাকে সম্বল করে সে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
উদ্দীপকের কবিতাংশে দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিশোধের কথা বলা হয়েছে। অধিকার ফিরে পাওয়ার প্রত্যয়ে বাঙালি আজ মরিয়া। তাদের প্রবল ঘৃণার আগুনে জ্বলে-পুড়ে যায় শত্রুরা। কবিতাংশে বর্ণিত প্রতিশোধপরায়ণতার এ দিকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত বুধার জীবনের ঘটনার সাথে মিলে যায়।
ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার প্রতিশোধপরায়ণতার দিকটি ছাড়া অন্য দিকগুলোর প্রতিফলন না ঘটায় উদ্দীপকটির উপন্যাসের খণ্ডিত ভাব প্রকাশ পেয়েছে।
সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে চিত্রিত হয়েছে বুধা নামক এক গ্রাম্য কিশোরের জীবনের অভিজ্ঞতা। আপাতদৃষ্টিতে ভাবলেশহীন মনে হলেও তার মাঝে জীবনবোধ প্রবল। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের মানুষের ওপর হানাদারদের বর্বরতা লক্ষ করে সে ক্ষুব্ধ হয়। একাই শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিজ্ঞা করে। পরবর্তীকালে মুক্তিবাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে পাকিস্তানি সেনাদের আস্তানা পুড়িয়ে দেয়।
উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের মিত্রদের ওপর বাঙালির প্রতিশোধ গ্রহণের কথা। বাংলার মানুষের ওপর নির্যাতনের পরিণতি হয়েছিল ভয়াবহ। মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে শত্রুদের সকল অন্যায়ের অবসান ঘটেছিল। শত্রুদের বিরুদ্ধে এমন প্রবল প্রতিরোধের কথা বলা হয়েছে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসেও।
উদ্দীপক কবিতাংশ ও ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাস উভয়ই মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত। উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভ, পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরতা এবং তাদের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রতিরোধের বর্ণনা। গ্রামীণ জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে উপন্যাসে। সেই সাথে রয়েছে বুধা নামক এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধার নানা অনুভূতির কথা। কিন্তু উদ্দীপক কবিতাংশে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের কেবল একটি দিক। তা হলো শত্রুদের বিরুদ্ধে দেশবাসীর বীর বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের পরাজিত করার বিষয়টি। এই বিবেচনায় উদ্দীপকটিকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আংশিক ভাবের প্রকাশক বলা যায়।
৯ নং. উনিশশো একাত্তর সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তিযোদ্ধা আজাদের নেতৃত্বে বোমা মেরে একটি ব্রিজ ধ্বংস করে দেওয়া হয়। থানা সদর থেকে প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরে চাচড়া গ্রামসংলগ্ন এ ব্রিজটি উড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে প্রায় পঁচিশজন পাকিস্তানি হানাদার মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
ক. উপন্যাসের প্রধান উপাদান কী? ১
খ. “বানরের আবার চাঁদে যাবার সাধ।”- এ কথা বলার কারণ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের আজাদ ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি?- ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সমগ্র ভাব ধারণ করে না”- যথার্থতা নির্ণয় করো। ৪
৯ নংপ্র. উ.
ক. উপন্যাসের প্রধান উপাদান এর কাহিনি বা গল্প।
খ. বুধা নিজের নাম ‘বঙ্গবন্ধু’ রাখায় বন্ধু মধু তাকে ব্যঙ্গ করে আলোচ্য উক্তিটি করেছে।
কেউ নতুন নামে ডাকলে খুব ভালো লাগে বুধার। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার পর তাঁর প্রতি বুধার এক ধরনের আকর্ষণ তৈরি হয়। তাই তার ইচ্ছা হয় তাকে সবাই বঙ্গবন্ধু নামে ডাকুক। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বিশাল ব্যক্তিত্বের পাশে বুধাকে নিতান্তই বেমানান মনে হয় বন্ধু মধুর কাছে। তাই বুধার কথা শুনে সে হেসে ফেলে এবং আলোচ্য উক্তিটি করে তাকে কটাক্ষ করে।
গ. পাকিস্তানি হানাদারদের ওপর আক্রমণ করার দিক থেকে উদ্দীপকের আজাদ ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সেলিনা হোসেন রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মূল চরিত্র বুধা। কিশোর হলেও ভীষণ সাহসী সে। নিজের ভেতরে থাকা গভীর স্বদেশপ্রেম তার অজাšেত্মই তাকে যুক্ত করে দেয় মুক্তিযুদ্ধের সাথে। তাই সে রাজাকারদের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। পাকিস্তানিদের বাঙ্কারে মাইন পুঁতে রেখে আসে।
উদ্দীপকে আমরা পাই, আজাদ নামক এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিচয়। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে সে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত ছিল। তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বোমা মেরে একটি ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়। ফলে অনেক শত্রুসেনা নিহত হয়। মুক্তির চেতনা ধারণ করে হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করার দিক থেকে উদ্দীপকের আজাদকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার সাথে মেলানো যায়।
ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের দেশাত্মবোধ এবং সাহসিকতার দিকটিই কেবল প্রকাশিত হওয়ায় এটি উপন্যাসের খণ্ডিত ভাবের ধারক।
সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত। উপন্যাসে প্রকাশিত হয়েছে দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, বিদেশি যুদ্ধবাজদের প্রতি ঘৃণা, দেশের মানুষের মুক্তিযুদ্ধকালীন অসহায়ত্ব, বাঙালির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ মানবিকতা, মর্যাদাবোধ, সহমর্মিতা ইত্যাদির অনুভূতি। একজন সাধারণ কিশোর কিভাবে অসাধারণ এক মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠে তার বর্ণনা পাওয়া যায় উপন্যাসে।
উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে আজাদ নামক এক মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বের কথা। সাথি মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা নিয়ে সে পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণ করে। এতে অনেক হানাদারের মৃত্যু ঘটে। শত্রুদের বিরুদ্ধে এমন আক্রমণের বর্ণনা ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে মিললেও উপন্যাসটির ভাব তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্বের কথা। সেখান থেকে উপন্যাসের কাহিনি ধারাবাহিকভাবে এগিয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে কেবল মুক্তিযুদ্ধের একটি ঘটনার উলেস্নখ রয়েছে।
পন্যাসের মূল চরিত্র বুধার মাঝে আমরা মুক্তির চেতনা ছাড়াও আত্মনির্ভরশীলতা, পরোপকারিতা, তীক্ষ্ণ জীবনবোধ ইত্যাদি অনুভূতির ছাপ লক্ষ করি। কিন্তু উদ্দীপকে এর মূল চরিত্র আজাদের দেশাত্মবোধ ও সাহসিকতাই কেবল প্রকাশিত হয়েছে। এসব যুক্তি বিবেচনায় উদ্দীপকটিকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সমগ্র ভাবের ধারক বলা যায় না।
১০ নং.দীনু ঔপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলনের “উনিশ শ একাত্তর” গল্পের এক অসহায় কিশোর চরিত্র। বয়স দশ বছর। গায়ের রং কালো। সংসারে তার আপন বলতে কেউ নেই। একাত্তরে সবাই যখন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়, তখন দীনু গ্রামের ভিক্ষুক জমির চাচার সাথে ‘সুবলদের বাংলা’ ঘরে অবস্থান করে। সারাদিন ঘুরে বেড়ায় জমির চাচার সাথে। দেশ স্বাধীন হলে সবাই আবার গ্রামে ফিরে আসবে, এই স্বপ্ন নিয়ে দীনু যখন খালের ওপারে হানাদারদের ক্যাম্পের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখন হানাদাররা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
ক. শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান কে? ১
খ. বুধা কাকতাড়ুয়া সেজেছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের কাহিনি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের যে দিকটির ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের দীনুকে কি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার সাথে তুলনা করা যায়? যুক্তিসহ বিচার করো। ৪
১০ নংপ্র. উ.
ক. শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আহাদ মুন্সি।
খ. অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্যই বুধা কাকতাড়ুয়া সেজেছিল।
কাকতাড়ুয়া মাঠের ফসলকে পাখপাখালির হাত থেকে রক্ষা করে। কাকতাড়ুয়ার ভয়ে পাখিরা ফসলের খেতে নামতে সাহাস পায় না। পাকিস্তানি হানাদাররাও বাঙালির স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। বাঙালির সমস্ত সম্পদ নিজেদের অধিকারে নিতে চেয়েছিল। তাদের অত্যাচারের দৃশ্য বুধাকে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ করে। গ্রাম থেকে হানাদারদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সেও কাকতাড়ুয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায়।
গ. উদ্দীপকের কাহিনি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত পাকিস্তানি হানাদারদের নিষ্ঠুরতার দিকটিকে ইঙ্গিত করে।
সেলিনা হোসেন ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরেছেন। পাকিস্তানি হানাদাররা এদেশে নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। গ্রাম-গঞ্জ, বাজার-ঘাট আগুনে পুড়িয়ে দেয়। অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে। প্রাণে বাঁচতে অনেক মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে পালায়। দেশান্তরি হতে বাধ্য হয় অনেকে।
উদ্দীপকে উলেস্নখ করা হয়েছে ইমদাদুল হক মিলন রচিত ‘উনিশ শ একাত্তর’ গল্পের কথা। হানাদারবাহিনীর অত্যাচারে মানুষের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানের কথা বলা হয়েছে তাতে। নিষ্পাপ কিশোর দীনুকে বিনা কারণে হত্যা করে হৃদয়হীন পাকসেনা। এ দেশের মানুষদের ওপর বর্বর অত্যাচারের নমুনা রয়েছে উদ্দীপক ও ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে।
ঘ. উদ্দীপকের দীনু ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের ‘বুধা’ চরিত্রকে আংশিকভাবে ধারণ করেছে।
সেলিনা হোসেন রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বুধা। অনাথ বুধার জীবন ছন্নছাড়া। আচার আচরণ অসংলগ্ন। তবে আশপাশের সবকিছুতেই তার সজাগ দৃষ্টি। একসময় দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার কারণে বুধা হয়ে ওঠে মুক্তিসংগ্রামের অসামান্য এক যোদ্ধা।
উদ্দীপকে বর্ণিত গল্পের দীনু দুঃখী এক কিশোর। আপন বলতে কেউ নেই তার। পাকবাহিনীর ভয়ে গ্রাম মানুষশূন্য হয়ে গেলেও রয়ে যায় দীনু। তার বুকের ভেতর রয়েছে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন। কিন্তু সে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগেই হানাদারের গুলি কেড়ে নেয় দীনুর জীবন। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার সাথে বিভিন্ন দিক থেকে মিল থাকলেও মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ না থাকা এবং শহিদ হওয়ার বাস্তবতার দিক থেকে উদ্দীপকের দীনু চরিত্রটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
উদ্দীপকের দীনু ও ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা দুজনেই এতিম কিশোর। দুজনের জীবনই গন্তব্যহীন। তারা দুজনেই পাকবাহিনীর নির্মম অত্যাচার স্বচক্ষে দেখেছে। গ্রামের মানুষেরা প্রাণভয়ে গ্রাম ছাড়লেও তারা ছাড়েনি। উপন্যাসের বুধা শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। দেশপ্রেমের প্রেরণায় সে জ্বালিয়ে দেয় রাজাকারের ঘর। পাকিস্তানিদের ক্যাম্প ধ্বংসে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। মুক্তির চেতনা ছিল দীনুর মনেও। কিন্তু বুধার ক্ষেেত্র তার কর্মকাণ্ডে যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে দীনুর ক্ষেেত্র তেমনটির উলেস্নখ নেই। আবার দীনু পাকিস্তানি সৈনিকের নির্মমতার বলি হয়ে শহিদ হলেও বুধাকে এমন করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়নি। উদ্দীপকের দীনুকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার সাথে তাই কিছু দিক থেকে তুলনা করা গেলেও দীনু বুধার শতভাগ প্রতিনিধি নয়।
১১ নং. প্রখ্যাত শিল্পী কামরুল হাসান জানোয়ারের ভয়ংকর মুখ এঁকেছিলেন। যেটা ছিল তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার মুখ। দেশ-বিদেশে যে মুখটা নিন্দিত হয়েছিল ঘৃণায়। এর পাশাপাশি তিনি অকুতোভয় দুর্দান্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ছবিও এঁকেছিলেন- হাস্যোজ্জ্বল মুক্তিযোদ্ধার ছবি। যা দেশে দেশে প্রশংসার আলোড়ন তুলেছিল। এ ছবি সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সকৃতজ্ঞ ভালোবাসার।
ক. বুধার চাচাতো ভাই-বোন কতজন? ১
খ. চাচি বলল, “তাহলে তুই আমাকে মুক্তি দিবি”? এখানে কোন মুক্তির কথা বলা হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটি “কাকতাড়ুয়া” উপন্যাসের কোন বিশেষ দিকটি ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “এ ছবি সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সকৃতজ্ঞ ভালোবাসার”। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪
১১ নংপ্র. উ.
ক. বুধার চাচাতো ভাইবোন আটজন।
খ. আলোচ্য উক্তিতে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলা হয়েছে।
একই রাতে বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বুধার আশ্রয় হয় চাচার সংসারে। সেই ঘরে রয়েছে আরো আটটি ছেলেমেয়ে। বুধার রোজগারহীন দরিদ্র চাচা বিশাল পরিবারের অন্ন সংস্থান করতে গিয়ে হিমশিম খান। তাই চাচির কাছে বুধা সংসারে একটি বোঝা হিসেবে পরিগণিত হয়। তাই বুধা যখন বলে সে চাচির পরিবারের ভার আর বাড়াবে না, আত্মনির্ভরশীল হবে তখন তার চাচি যেন মুক্তি পান। হতদরিদ্র সংসারে একজন সদস্য কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে উক্তিটিতে।
গ. উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত শিল্পী শাহাবুদ্দিনের যুদ্ধে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত বহন করে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের নিরীহ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাংলার সংগ্রামী জনতা পাকিস্তানিদের এই বর্বরতার প্রতিবাদ জানায়। তারা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। বাংলার কৃষক, শ্রমিক, শিল্পী-বুদ্ধিজীবী সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত শাহাবুদ্দিন বাংলার এই সংগ্রামী মানুষদের প্রতিনিধি। তিনি একজন চিত্রশিল্পী হয়েও সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
উদ্দীপকে শাহাবুদ্দিনের মতো, চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি তাঁর শিল্পকর্মের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদারদের মুখোশ উন্মোচন করেন। ফলে তা পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা জাগায়। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে শাহাবুদ্দিন উদ্দীপকের কামরুল হাসানের মতোই একজন চিত্রশিল্পী ছিলেন। তিনি যেমন পাকিস্তানি বর্বরতার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অস্ত্র ধরে তেমনি উদ্দীপকের শিল্পী প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তুলির আঁচড়ে। ফলে উদ্দেশ্যগত দিক থেকে তাদের মিল ফুটে ওঠে।
ঘ. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আলোকে বলা যায়, উদ্দীপকের সাহসী মুক্তিযোদ্ধার ছবিটি দেশে দেশে আলোড়ন তুলেছিল মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবেসেছিল বলে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবনের তোয়াক্কা না করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অনেকে জীবন দিয়ে শহিদ হয়েছিলেন আবার কেউ কেউ পঙ্গু হয়েছিলেন। এদেশের আপামর জনতা তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। কেননা তারা পাকিস্তানি হানাদারদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার সূর্য। এজন্য এদেশের শিল্পী-সাহিত্যিকরা তাদের শিল্পকর্মে পরম মমতায় ফুটিয়ে তুলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে এই মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথাই বিবৃত হয়েছে।
উদ্দীপকে শিল্পী কামরুল হাসানের সৃষ্ট হাস্যোজ্জ্বল মুক্তিযোদ্ধার চিত্রটি বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের স্বাক্ষর বহন করে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। তাদের অপরিসীম সাহসিকতায় বাংলার মানুষ দেখেছিল স্বাধীনতার স্বপ্ন। মুক্তিযোদ্ধাদের এরূপ বীরত্বের কারণে বাংলার জনগণ তাদের হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছিল। উদ্দীপকের হাস্যোজ্জ্বল মুক্তিযোদ্ধার ছবিটি তাই আলোড়ন তুলেছিল।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে মুক্তিযোদ্ধাদের এই বীরত্বগাথা সুনিপুণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুধার বীরত্বে মুগ্ধ হন। তিনি তাকে ভালোবেসে বিভিন্ন নামে ডাকেন। মনে মনে ভাবেন এই ভালোবাসার মানুষটির নানা রকম ছবি আঁকবেন যুদ্ধের পর। উদ্দীপকেও হাস্যোজ্জ্বল মুক্তিযোদ্ধার ছবিও একই রকম ভালোবাসার প্রকাশক। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধাকে যেমন দেশের সাধারণ মানুষ ভালোবেসেছিল তেমনি তার বীরত্বে সকলে মুগ্ধও হয়েছিল। শাহাবুদ্দিন যে কারণে ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতায় বুধার ছবি আঁকার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন উদ্দীপকের শিল্পী সেই একই কারণে ছবি এঁকেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের হাস্যোজ্জ্বল মুক্তিযোদ্ধার ছবি সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সকৃতজ্ঞ ভালোবাসার।
১২ নং.রোজানা ও তার পরিবার সাভারে বাস করে। রোজানা মায়ের সাথে বেড়াতে গিয়ে সাভারের স্মৃতিসৌধ দেখে অবাক হয়। সে মায়ের কাছে এই স্মৃতির মিনার সম্পর্কে জানতে চায়। মা তাকে বলে, মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরণে এই স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়েছে। স্মৃতিসৌধ তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ক. বুধা কার কাছে গণকবর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল? ১
খ. বুধাকে ‘সাহসী বালক’ বলা হয়েছে কেন? ২
গ. উদ্দীপকের স্মৃতিসৌধ ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ‘স্মৃতিসৌধ’ ও উপন্যাসের ‘কাকতাড়ুয়া’ উভয়ই মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল। মূল্যায়ন করো। ৪
১২ নংপ্র. উ.
ক. বুধা হাবিব ভাইয়ের কাছে গণকবর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল।
খ. কোনো কিছুর ভয়েই বুধা কাবু হয় না বলে বুধাকে ‘সাহসী বালক’ বলা হয়েছে।
খুব ছোটবেলায় পরিবারের সবাইকে হারিয়ে অন্য রকম হয়ে যায় বুধা। চোখের সামনে এতগুলো মানুষ একে একে চলে যাওয়ার দৃশ্য তার মন থেকে সমস্ত ভয় কেড়ে নেয়। তাই সে কাউকে অকারণে ভয় পায় না। দৃঢ়ভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে। এ কারণেই তাকে সাহসী বলা হয়েছে।
গ. উদ্দীপকের স্মৃতিসৌধ ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত পাকিস্তানি হানাদারদের গণহত্যার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর বর্বর নৃশংসতা চালায়। তারা এদেশের মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। গুলি করে হত্যা করে অসংখ্য মানুষকে। তাদের বর্বরতার হাত থেকে ছাত্র-শিক্ষক, বৃদ্ধ-যুবা কেউই রেহাই পায় না। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে পাকিস্তানি বাহিনীর এই বর্বরতার চিত্র ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপকে রোজানা তার পরিবারের সাথে পাকহানাদারদের নৃশংসতার স্বাক্ষর বহনকারী স্মৃতিসৌধে বেড়াতে গিয়েছে। এই স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদারদের নৃশংস গণহত্যার শিকার শহিদদের স্মরণে নির্মিত। এই গণহত্যার নিদর্শন ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মধ্যেও পরিলক্ষতি হয়। সেখানে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বুধার এলাকায় গুলি করে অনেককে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই শহিদদের স্মরণেই নির্মিত হয় উদ্দীপকের স্মৃতিসৌধ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের স্মৃতিসৌধ ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের গণহত্যার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।
ঘ. উদ্দীপকের স্মৃতিসৌধের মতো উপন্যাসের কাকতাড়ুয়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে নির্মিত হওয়ায় উভয়ই মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি গৌরবময় ঘটনা। এই যুদ্ধে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ পাকিস্তানি হানাদারদের কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার সূর্য। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার স্মরণে এদেশে নির্মিত হয়েছে অনেক স্মৃতিস্তম্ভ। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কাকতাড়ুয়া তেমনই একটি স্মৃতির মিনার।
উদ্দীপকে উলিস্নখিত স্মৃতিসৌধ বাঙালির গৌরবময় স্মৃতির স্বাক্ষর বহন করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে বর্বর গণহত্যা চালিয়েছিল তাতে নিহত শহিদদের স্মরণে নির্মিত হয়। রোজানার দেখা স্মৃতিসৌধ। ফলে এই স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কাকতাড়ুয়া হলো বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিতাড়নের প্রতীক। অর্থাৎ ফসলের ক্ষতে থেকে যেমন ক্ষতিকর জীবজন্তু তাড়াতে কাকতাড়ুয়া লাগানো হয় তেমনি বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি হায়েনাদের বিতাড়নে এই কাকতাড়ুয়া প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অনেক বীর বাঙালি জীবন দিয়ে অমর হয়ে আছেন। তাদের স্মৃতি রক্ষায় নির্মিত হয় স্মৃতিসৌধ। অর্থাৎ উদ্দীপকে স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের দলিল। এমনিভাবে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসেও পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতাড়নের জন্য প্রতীকী হিসেবে কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করা হয়। ফলে এটিও মুক্তিযুদ্ধের দলিল। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
১৩ নং.ফুলবাড়ি গ্রামের জনগণ জমির উদ্দীনের অত্যাচারে সবসময় আতঙ্কে দিন যাপন করত। এমনকি গ্রামের সালিস বিচারও তার হুকুমে চলত। কেউ প্রতিবাদ করলে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন নেমে আসত। কিশোর রাসেল এই বর্বরতার দৃশ্য দেখে একসময় প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীদের সহযোগিতার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে জনমত গড়ে তোলে। তার একটাই প্রতিজ্ঞা, গ্রামবাসীকে এ অত্যাচার থেকে রক্ষা করবে।
ক. শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান কে? ১
খ. ‘আধা-পোড়া বাজারটার দিকে তাকিয়ে ওর চোখ লাল হতে থাকে’- কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কাহিনি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের যে বিশেষ দিকটি ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের কিশোর রাসেলের মনোভাবই যেন ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মূল বক্তব্য – যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪
১৩ নংপ্র. উ.
ক. শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের নাম আহাদ মুন্সি।
খ. ১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের (খ) এর উত্তর দেখো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কাহিনি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উলিস্নখিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মনোভাবের দিকটিকে ইঙ্গিত করে।
বাঙালিরা মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করে দেশ স্বাধীন করেছে। সেসময় পাকিস্তানি হানাদাররা এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল। সেই অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙালিরা প্রতিবাদী হয়েছিল। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের উক্ত দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
উদ্দীপকে ফুলবাড়ি গ্রামে জমির উদ্দিনের অত্যাচার এবং তার বিরুদ্ধে কিশোর রাসেলের প্রতিবাদী মনোভাব বর্ণিত হয়েছে। এটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার এবং বুধা ও অন্যদের প্রতিবাদের কাহিনির সাথে সাযুজ্যপূর্ণ। উপন্যাসে পাকিস্তানিদের অত্যাচারে বুধার এলাকার মানুষ জর্জরিত হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চরিত্র বুধা। উদ্দীপকের জমির উদ্দিন পাকিস্তানিদের প্রতীক এবং রাসেল বুধার প্রতীক। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে বর্ণিত কাহিনির মধ্যে পাকিস্তানিদের অত্যাচার এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ইঙ্গিত রয়েছে।
ঘ. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের যে চিত্র অঙ্কিত হয়েছে তা উদ্দীপকের রাসেলের মনোভাবে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং প্রতিশোধ গ্রহণের ভাবনার প্রকাশ ঘটেছে। অন্যায়কারী যেই হোক তার প্রতিবাদ করা উচিত। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রয়োজন। আর উপন্যাসের মধ্যে সুনিপুণভাবে সেই ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন ঔপন্যাসিক ।
উদ্দীপকে রাসেলের মাঝে প্রতিবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গ্রামবাসীকে রক্ষা করার জন্য রাসেল অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সে নিজের জীবনের মৃত্যুঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও গ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে। অন্যায়কে কোনোভাবেই মেনে না নেওয়ার এই মানসিকতা উদ্দীপকের রাসেলকে অনবদ্য করে তুলেছে।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মূল উপজীব্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার এবং তার বিপরীতে বুধা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদী চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা অন্যায়ের প্রতিবাদের ধারণাকে কেন্দ্র করেই ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসটি আবর্তিত হয়েছে। আর উদ্দীপকে রাসেলের মনোভাব এই প্রতিবাদী মানসিকতাকেই ধারণ করেছে। রাসেল যেমন এলাকায় জমির উদ্দীনের অত্যাচার মেনে নিতে পারেনি, উপন্যাসের বুধাও তেমনি পাকিস্তানিদের অত্যাচার মেনে নিতে পারেনি। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের কিশোর রাসেলের মনোভাবই যেন ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মূল বক্তব্য।
১৪ নং.সাকিব পিতামাতাকে হারিয়ে চাচির সংসারে বেড়ে ওঠেন। অভাবের সংসারে চাচি তাকে বোঝা মনে করলে, সাকিব তখন আত্মকর্মসংস্থানের লড়্গ্েয উপজেলা যুব অধিদপ্তরের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং একজন সফল নার্সারি মালিক হিসেবে সাফল্য অর্জন করেন।
ক. কুন্তি কে? ১
খ. বুধার চোখ লাল হয়ে ওঠে কেন? ২
গ. বুধা ও সাকিবের কর্মকাণ্ডে যে অমিল লক্ষ করা যায় তা তুলে ধরো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের আংশিক প্রতিফলন মাত্র”- মন্তব্যটি বিচার করো। ৪
১৪ নংপ্র. উ.
ক. কুন্তি বুধার চাচাতো বোন।
খ. কোনো ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলে বুধার চোখ লাল হয়ে ওঠে।
আপাতদৃষ্টিতে বুধাকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হলেও বুধা মোটেও তা নয়। বরং তার মাঝে রয়েছে প্রবল মানসিক শক্তি। আত্মসম্মানবোধে সে সমুজ্জ্বল। তাই কেউ তাকে অপমান করলে তার আত্মমর্যাদায় আঘাত লাগে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সে ক্ষুব্ধ হয়। এ মুহূর্তগুলোতে সে অপমানের প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য, অন্যায়ের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য দৃঢ় শপথ গ্রহণ করে। আর তখনই তার চোখ লাল হয়ে যায়।
গ. উদ্দীপকে সাকিব একটি নির্দিষ্ট কাজে আত্মনিয়োগ করলেও ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত বুধার ক্ষেেত্র এর ব্যতিক্রম দেখা যায়।
বুধা ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। বয়স অল্প হলেও আত্মনির্ভরশীল সে। তবে তার কাজকর্মের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। একেক সময় একেক রকম কাজ করে বুধা। কখনো দোকানের কাজ করে, কখনো করে ফসলের মাঠে, কখনোবা মাছ ধরায় সাহায্য করে।
উদ্দীপকের সাকিব নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শপথ গ্রহণ করেন। যুব কর্মস্থান সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এপর নার্সারী পেশায় নিয়োজিত হন। তাঁর মতো কোনো নির্দিষ্ট কাজে উপন্যাসের বুধা আটকে থাকে না। সাকিবের মতো সে কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণও গ্রহণ করে নি। এসব ক্ষেেত্রই উভয়ের মাঝে অমিল বিদ্যমান।
ঘ. উদ্দীপকের সাকিব ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রের একটি খণ্ডরূপকে ধারণ করে।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বুধা অসীম সাহস আর মানবিক গুণাবলির অধিকারী। দেশের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, বিদেশি মিলিটারির প্রতি ঘৃণা এবং দেশাত্মবোধ তার চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন বুধা গ্রামের সবার কাছে ভালোবাসার পাত্র হয়ে ওঠে।
উদ্দীপকের সাকিব আত্মমর্যাদাবোধে উজ্জ্বল একটি চরিত্র। সে চাচির সংসারে থেকে মানুষ হলেও চাচির বিরক্তিতে নিজের আত্মসম্মানে আঘাত পান। এ কারণেই তিনি উপজেলা যুব অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণ নেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য। এতে তিনি নিজের আত্মসম্মান ঠিক রাখতে পেরেছেন। উদ্দীপকে সাকিবের এই আত্মমর্যাদাবোধের দিকটিকেই তুলে ধরা হয়েছে।
উদ্দীপকের সাকিবের মাঝে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রের সামগ্রিক দিক ফুটে ওঠেনি। বুধার মাঝে যে দেশাত্মবোধ আর গ্রামের মানুষের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে উদ্দীপকের সাকিবের মাঝে তা লক্ষ করা যায় না। বুধা অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিলেও সাকিবের ক্ষেেত্র তা অনুপস্থিত। শুধু চাচির বিরক্তিতে নিজের আত্মমর্যাদাবোধের দিকটি ঠিক রাখার ক্ষেেত্রই বুধা এবং সাকিব চরিত্রটি এক মনে হয়। বুধার মাঝে সাহসিকতা, মমত্ববোধ, ভালোবাসা, আত্মমর্যাদাবোধ, দেশাত্ববোধ প্রভৃতি গুণের সমন্বয় ঘটলেও উদ্দীপকের সবুজের মাঝে শুধু আত্মমর্যাদাবোধের দিকটিই প্রস্ফুটিত হয়েছে। ফলে সাকিব বুধা চরিত্রটির সামগ্রিক দিককে ধারণ করতে পারেনি।
১৫ নং. আমেরিকায় পড়াশোনার জন্য যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন রুমীর। কিন্তু বেঁকে বসল সে। দেশকে শত্রুর কবল থেকে রক্ষা করার জন্য সাধারণ মেধাবী আর সাহসী রুমী মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পিতামাতার শত আপত্তি উপেক্ষা করে অবশেষে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে দুই নম্বর সেক্টরে যোগ দেয়। একের পর এক আক্রমণে পাকসেনাদের অতিষ্ঠ করে তোলে। একপর্যায়ে তাদের হাতে বন্দি হয় সে। প্রাণভিক্ষা চেয়ে শত্রুর কাছে মার্সি পিটিশন করা পছন্দ করল না সে। শেষ পর্যন্ত রুমী শহিদ হয়।
ক. শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিল? ১
খ. “লোহার টুপি ওদের মগজ খেয়েছে”- ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের রুমীর সাথে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রের মিল ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “মিল থাকলেও কিছু ক্ষেেত্র অমিলও রয়েছে”- মন্তব্যটি বিশেস্নষণ করো। ৩
১৫ নংপ্র. উ.
ক. শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিল আহাদ মুন্সি।
খ. পাকিস্তানি সেনাদের বিবেকহীনতার কথা বলা হয়েছে আলোচ্য উক্তিটিতে।
আপাতদৃষ্টিতে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হলেও বুধা আসলে গভীর অনুভূতিপ্রবণ এক কিশোর। পাকিস্তানি সৈন্যরা যে দায়িত্বের খাতিরে নিজেদের বিচার-বুদ্ধি, বিবেচনাবোধ বিসর্জন দিয়েছে সেটি যে বুঝতে পারে। লোহার টুপি মাথায় দেওয়া অর্থাৎ হুকুম তামিলের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পর থেকে তাদের মাঝে আর মনুষ্যত্ববোধ অবশিষ্ট থাকে না। এ কারণেই বুধা বলেছে যে লোহার টুপি ওদের মগজ খেয়েছে।
গ. দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের দিক থেকে উদ্দীপকের রুমীর সাথে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার মিল পরিলক্ষতি হয়।
বুধা ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। সে অসীম সাহস আর মানবিক গুণাবলির সমন্বয়ে গঠিত একটি দেশপ্রেমী চরিত্র। দেশের মানুষের মক্তির জন্য সে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রতি তীব্র ঘৃণায় সে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের সংকল্প করে।
উদ্দীপকের রুমী ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার মতোই দেশপ্রেমী। সে দেশের জন্য অসীম সাহসিকতা নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। রুমীর এই দিকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার মাঝে সমানভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। বুধার সাহসিকতা, দেশপ্রেম এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণের দিকটি উদ্দীপকের রুমীর ক্ষেেত্র স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের রুমী এবং উপন্যাসের বুধা দেশপ্রেমের দিক থেকে একই সুতোয় গাঁথা।
ঘ. দেশপ্রেমের ক্ষেেত্র উদ্দীপকের রুমীর সাথে বুধার মিল থাকলেও পরিণতি বিচারে তাদের অমিল রয়েছে।
বুধা একজন সাহসী ও দেশপ্রেমিক চরিত্র। সে নিজের জীবন বাজি রেখে শত্রুসেনার কবল থেকে দেশকে রক্ষার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। গাঁয়ের লোক পাগল বললেও বুধা একজন সাহসী বালক। সে বাবা-মা হারা এতিম হওয়ায় তার কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা ছিল না। যেখানে সেখানে রাত কাটিয়েও সে অসীম সাহসিকতায় পাকিস্তানি মিলিটারি ক্যাম্প উড়িয়ে দেয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত রুমী এক মহান দেশপ্রেমিক। নিজের সুন্দর ভবিষ্যতের চেয়ে দেশের মুক্তির ভাবনা তার কছে বেশি প্রধান্য পেয়েছে। তাই আমেরিকায় যাওয়ার বাসনা ত্যাগ করে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। তার বীরত্বপূর্ণ ভূমিকায় দিশেহারা হয়ে যায় শত্রুসেনারা। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধাও একইবাবে মুক্তিযুদ্ধ অংশ নিয়ে সাহসিকতা প্রদর্শন করে। কিন্তু উভয়ের পরিণতি ও জীবনপদ্ধতিতে অনেক অমিল লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকের রুমী অসীম সাহসিকতা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে শহিদ হয়। রুমীর সাথে চেতনাগত দিক থেকে মিল থাকলেও জীবনাচরণ এবং পরিণতির দিক থেকে বুধার অমিল ফুটে ওঠে। বুধা তার অপারেশনে সফল হলেও উদ্দীপকের রুমী পাক হানাদারদের হাতে ধরা পড়ে এবং শহিদ হয়। তাছাড়া রুমী শিক্ষতি এবং মেধাবী যুবক হলেও ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা ছিল এতিম এবং উদ্বাস্তু। বুধা পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে সফলভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারলেও রুমী তা পারেনি। আবার বুধা যে ধরনের জীবনযাপন করে রুমী তার উল্টো। ফলে দেশপ্রেমের ক্ষেেত্র মিল থাকলেও জীবনাচরণে ও পরিণতিতে তাদের তফাৎ রয়েছে। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
১৬ নং.মা মরা ছেলে রতন ও মেয়ে ময়নাকে নিয়ে ছমির মাস্টারের সংসার। গাঁয়ের মোড়লের নজর পড়ে ময়নার ওপর। বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মাস্টার তাতে রাজি হয় না। এত রাতে ছেলে রতনকে নিয়ে গঞ্জ থেকে ফেরার পথে মোড়লের লোকজন মাস্টারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাধা দিতে গেলে রতনকেও বেদম প্রহার করে। পরদিন সকালে উঠানে শায়িত বাবা ও ভাইয়ের লাশ দেখে ময়না বাকশক্তিহারা হয়ে পড়ে।
ক. গাঁয়ের লোকে বুধার কী নাম দিয়েছে? ১
খ. বুধার চোখ লাল হয়ে যায় কেন? ২
গ. “উদ্দীপকের ময়না এবং বুধার পরিণতি একই”-ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “পরিণতি এক হলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন”- মন্তব্যটি বিশেস্নষণ করো। ৪
১৬ নংপ্র. উ.
ক. গাঁয়ের লোকে বুধার নাম দিয়েছে কাকতাড়ুয়া।
খ. ১৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের খ. নং দেখো।
গ. আপনজন হারিয়ে বিপর্যস্ত হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপকের ময়না এবং ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা একই পরিণতি বরণ করেছে।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা একটি এতিম কিশোর। সে বাবা-মা, ভাই-বোন হারিয়ে নিঃস্ব। তার থাকার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। খাবার পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই। গ্রামের রাস্তাঘাটই তার ঠিকানা। সে বাবা-মা, ভাই-বোনকে হারিয়েছে কলেরা রোগের আক্রমণে। তার আপনজন বলতে কেউ আর থাকে না। থাকলে সমবেদনা জানালেও সে হয়ে পড়ে এতিম।
উদ্দীপকের ময়নাকেও বুধার মতো একই পরিণতি বরণ করতে হয়। ময়না তার পরিবার পরিজন হারিয়ে নিঃস্ব হয়। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধা যেমন পরিবারের সবাইকে হারিয়ে এতিম হয়েছে উদ্দীপকের ময়নাও তেমনি এতিম হয়েছে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা তাদের দুজনেরই। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ময়না এবং বুধার পরিণতি একই।
ঘ. উদ্দীপকের ময়নার এতিম হওয়া এবং ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার এতিম হওয়ার কারণ আলাদা।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র বুধা পরিবার-পরিজন হারিয়ে এতিম হয়েছে কলেরার প্রকোপে। সে চোখের সামনে বাবা-মা, ভাইবোনদের মরতে দেখেছে। একরাতের কলেরায় বাবা-মা, দুই-বোন শিলু আর বিনু এবং ভাই তালেব মারা যায়। শুধু বুধা ভাগ্যের জোরে বেঁচে যায়। সে বেঁচে গিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
উদ্দীপকে ময়না বুধার মতো এতিম হলেও তার প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। ময়না গ্রামের মোড়লের রোষানলে পড়ে তার বাবা ও ভাইকে হারায়। মোড়ল নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে না পেরে তার লোকজন গিয়ে ময়নার বাবা ও ভাইকে হত্যা করে। ফলে ময়নার জীবন বিপর্যস্ত হয়।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা প্রাকৃতিকভাবে মহামারির প্রকোপে পরিবার-পরিজন হারিয়েছে। অন্যদিকে মানুষের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড উদ্দীপকের ময়নার জীবনে দুঃসহ যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। ফলে দেখা যায় বুধা এবং ময়না উভয়ই এতিম হলেও তার কারণ ছিল ভিন্ন। বুধা কলেরার প্রকোপে পরিবারের লোকদের হারালেও ময়না হারিয়েছে সন্ত্রাসের শিকার হয়ে। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
১. দিনের আলো আর রাতের আঁধার কার কাছে দুটোই সমান?
উত্তর : দিনের আলো আর রাতের আঁধার বুধার কাছে দুটোই সমান।
২. কার কাছে পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষণি সব সমান?
উত্তর : বুধার কাছে পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষণি সব সমান।
৩. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে পথ কাকে ডাকে?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে পথ বুধাকে ডাকে।
৪. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে কাকে কেউ বুঝতে পারে না?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধাকে কেউ বুঝতে পারে না।
৫. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে দিন যাপনে কার কোনো কষ্ট নেই?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে দিন যাপনে বুধার কোনো কষ্ট নেই।
৬. অনেক রাতে ঘুম ভাঙলে বুধা মাথার ওপরে কী দেখতে পায়?
উত্তর : অনেক রাতে ঘুম ভাঙলে বুধা মাথার ওপরে তারা ভরা আকাশটা দেখতে পায়।
৭. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে নেড়ি কুকুরটা কার গা চেটে দেয়?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে নেড়ি কুকুরটা বুধার গা চেটে দেয়।
৮. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে চায়ের দোকানে কাজ করে দিলে বুধার কী জোটে?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে চায়ের দোকানে কাজ করে দিলে বুধার চা-বিস্কুট জোটে।
৯. বিয়ে বাড়ি হলে বুধা পেট পুরে কী পায়?
উত্তর : বিয়ে বাড়ি হলে বুধা পেট পুরে ভাত-মাংস পায়।
১০. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে ছোটবেলায় কে ভুতের গল্প শোনেনি?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে ছোটবেলায় বুধা ভূতের গল্প শোনেনি।
১১. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত কে নিজের নিয়মে বড় হয়েছে?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত নিজের নিয়মে বড় হয়েছে বুধা।
১২. বুধার মতে যার ঘর নেই চারদিকে তার কী থাকে?
উত্তর : বুধার মতে যার ঘর নেই চারদিকে তার সোনার ঘর থাকে।
১৩. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে গান ভীষণ প্রিয় কার?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে গান ভীষণ প্রিয় বুধার।
১৪. বুধার কয়টি ভাইবোন ছিল?
উত্তর : বুধার চারটি ভাইবোন ছিল।
১৫. দুঃখকে বুধা কী ভাবে?
উত্তর : দুঃখকে বুধা শকুন ভাবে।
১৬. মোচড়াতে মোচড়াতে কার চোখের মনি স্থির হয়ে যায়?
উত্তর : মোচড়াতে মোচড়াতে বুধার বাবার চোখের মনি স্থির হয়ে যায়।
১৭. মৃত্যুর সময় তিনুর বয়স কত ছিল?
উত্তর : মৃত্যুর সময় তিনুর বয়স দেড় বছর ছিল।
১৮. বুধা কার গায়ে হাত দিয়ে শিউরে ওঠে?
উত্তর : বুধার তিনুর গায়ে হাত দিয়ে শিউরে ওঠে।
১৯. তিনু কার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যেত?
উত্তর : তিনু বুধার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যেত।
২০. কার হাসিতে মনে হতো বিলের জলে ঢেউ বয়ে যাচ্ছে?
উত্তর : বিনুর হাসিতে মনে হতো বিলের জলে ঢেউ বয়ে যাচ্ছে।
২১. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে পাথরের চোখ মেলে বুধা কী দেখে?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে পাথরের চোখ মেলে বুধা মৃত্যু দেখে।
২২. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত গ্রামের অর্ধেক লোক উজাড় হয়ে যায় কিসে?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত গ্রামের অর্ধেক লোক উজাড় হয়ে যায় কলেরার মহামারিতে।
২৩. কাকতাড়ুয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে কে?
উত্তর : কাকতাড়ুয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে বুধা।
২৪. বুধার কানের পাশ দিয়ে কী উড়ে যায়?
উত্তর : বুধার কানের পাশ দিয়ে বোলতা উড়ে যায়।
২৫. বুধাকে কামাই করতে বলে কে?
উত্তর : বুধাকে কামাই করতে বলে তার চাচি।
২৬. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে কার রোজগার নেই?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধার চাচার রোজগার নেই।
২৭. বুধার চাচাতো ভাই-বোন কয়জন?
উত্তর : বুধার চাচাতো ভাই-বোন ৮ জন।
২৮. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে কার চোখ লাল হয়ে যায়?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধার চোখ লাল হয়ে যায়।
২৯. চাচির কাছে বুধাকে কখন মুরব্বির মতো মনে হয়?
উত্তর : বুধার চোখ যখন লাল হয়ে যায় তখন চাচির কাছে মতো মনে হয়।
৩০. বুধার চাচাতো বোনের নাম কী?
উত্তর : বুধার চাচাতো বোনের নাম কুন্তি।
৩১. বুধা কুন্তিকে কোন সময় ভীষণ ভালোভাবে আসার কথা বলেছিল?
উত্তর : বুধা কুন্তিকে তার বিয়ের সময় ভীষণ ভালোভাবে আসার কথা বলেছিল।
৩২. নোলক বুয়া বুধাকে কী নামে ডাকত?
উত্তর : নোলক বুয়া বুধাকে ছন্নছাড়া নামে ডাকত।
৩৩. গাঁয়ের লোক বুধার কী নাম দিয়েছে?
উত্তর : গাঁয়ের লোক বুধার নাম দিয়েছে কাকতাড়ুয়া।
৩৪. কুন্তি কে?
উত্তর : কুন্তি বুধার চাচাতো বোন।
৩৫. বুধা কার কাছে গণকবর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল?
উত্তর : বুধা হাবিবের কাছে গণকবর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল।
৩৬. হরিকাকু বুধাকে কী নামে ডাকত।
উত্তর : হরিকাকু বুধাকে মানিকরতন নামে ডাকত?
৩৭. বুধাকে কে কাকতাড়ুয়া খেলতে নিষেধ করেছিল?
উত্তর : বুধাকে রানি কাকতাড়ুয়া খেলতে নিষেধ করেছিল।
৩৮. কাদের ভাষা বুধা বুঝতে পারে না?
উত্তর : মিলিটারিদের ভাষা বুধা বুঝতে পারে না।
৩৯. গাঁয়ে কারা কিয়ামত ঘটিয়ে চলে যায়?
উত্তর : গাঁয়ে মিলিটারিরা কিয়ামত ঘটিয়ে চলে যায়।
৪০. বুধা কোথায় বসে রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছিল?
উত্তর : বুধা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কানু দয়ালের বাড়িতে বসে রেডিওতে শুনেছিল।
৪১. মিলিটারি ক্যাম্পে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, মাছ, ডিম, দুধ কারা পাঠায়?
উত্তর : মিলিটারি ক্যাম্পে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, মাছ, ডিম, দুধ পাঠায় গাঁয়ের কয়েকজন টাকাওয়ালা
নুষ।
৪২. ক্ষুধা পেলে বুধাকে আলি কী দেয়?
উত্তর : ক্ষুধা পেলে বুধাকে আলি চা-বিস্কুট দেয়।
৪৩. আলি বুধার নতুন নাম কী দেয়?
উত্তর : আলি বুধার নতুন নাম দেয় ‘জয়বাংলা’।
৪৪. ভোরবেলা বুধাকে কে কান ধরে টেনে তোলে?
উত্তর : ভোরবেলা বুধাকে আহাদ মুন্সির বড় ছেলে মতিউর কান ধরে টেনে তোলে।
৪৫. আহাদ মুন্সির বাড়ির পর কার বাড়িতে আগুন লাগে?
উত্তর : আহাদ মুন্সির বাড়ির পর রাজাকার কমান্ডারের বাড়িতে আগুন লাগে।
৪৬. বুধা কাকে স্যালুট করে?
উত্তর : বুধা মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিনকে স্যালুট করে।
৪৭. মিলিটারি ক্যাম্পে রেকি করতে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়?
উত্তর : মিলিটারি ক্যাম্পে রেকি করতে বুধাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
৪৮. একগাদা পেয়ারা নিয়ে বুধা কোথায় যায়?
উত্তর : একগাদা পেয়ারা নিয়ে বুধা মিলিটারি ক্যাম্পে যায়।
৪৯. মিলিটারিরা কী দখল করে ক্যাম্প বানিয়েছে?
উত্তর : গাঁয়ের স্কুলঘরটি দখল করে মিলিটারিরা ক্যাম্প বানিয়েছে।
৫০. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে প্রাণহীন দৃষ্টি কাদের?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে প্রাণহীন দৃষ্টি পাকিস্তানি মিলিটারিদের।
৫১. মিলিটারি ক্যাম্পে আহাদ মুন্সির সাথে কয়জন রাজাকার ছিল?
উত্তর : মিলিটারি ক্যাম্পে আহাদ মুন্সির সাথে ৩ জন রাজাকার ছিল।
৫২. বুধাকে কে সানকি ভরা ভাত দেয়?
উত্তর : বুধাকে মিঠুর মা সানকি ভরা ভাত দেয়।
৫৩. বুধা কাকে নিয়ে বাবা-মার কবর দেখতে যায়?
উত্তর : বুধা কুন্তিকে নিয়ে বাবা-মার কবর দেখতে যায়।
৫৪. বুধার মা-বাবার কবর কে পরিষ্কার করে রাখে?
উত্তর : বুধার মা-বাবার কবর কুন্তি পরিষ্কার করে রাখে।
৫৫. বুধা মাটি কাটার দলে কাজ নিতে কার কাছে অনুরোধ করে?
উত্তর : বুধা মাটি কাটার দলে কাজ নিতে ফজু চাচার কাছে অনুরোধ করে।
৫৬. বাঙ্কার কাটার কাজ কে তদারকি করে?
উত্তর : বাঙ্কার কাটার কাজ আহাদ মুন্সির ছেলে মতিউর তদারকি করে।
৫৭. রাতের বেলা বাঙ্কারে করে মিলিটারিরা কী দেখবে বলে বুধা জানায়?
উত্তর : রাতের বেলা বাঙ্কারে করে মিলিটারিরা হাউইবাজি দেখবে বলে বুধা জানায়।
৫৮. বুধা কার পা ধরে সালাম করে ভোঁ দৌড় দেয়?
উত্তর : বুধা ফজু মিয়ার পা ধরে সালাম করে ভোঁ দৌড় দেয়।
৫৯. বুধা বাঙ্কারে কী পুঁতে রাখে?
উত্তর : বুধা বাঙ্কারে মাইন পুঁতে রাখে।
৬০. বুধা ও শাহাবুদ্দিন দুজনে মিলে কী খায়?
উত্তর : বুধা ও শাহাবুদ্দিন দুজনে মিলে গুড়-মুড়ি খায়।
৬১. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উলিস্নখিত কে নিজের বোঝা নিজে বইবে?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উলিস্নখিত বুধা নিজের বোঝা নিজে বইবে।
৬২. কে বুধাকে লজ্জা দিতে চায় না?
উত্তর : চাচি বুধাকে লজ্জা দিতে চায় না।
৬৩. পাকিস্তানি সেনা দেখে বুধা কোথায় লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে?
উত্তর : পাকিস্তানি সেনা দেখে বুধা ধানগাছের আড়ালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে।
৬৪. কে বুধাকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে?
উত্তর : হরিকাকুর বউ বুধাকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে।
৬৫. বুধার চাচা কাজ খুঁজতে কোথায় গিয়েছে?
উত্তর : বুধার চাচা কাজ খুঁজতে শহরে গিয়েছে।
৬৬. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত সালাম চাচা কিসের আঘাতে মারা গেছে?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত সালাম চাচা বুলেটের আঘাতে মারা গেছে।
৬৭. কোন রোগ বুধাকে খেতে পারেনি?
উত্তর : কলেরা রোগ বুধাকে খেতে পারেনি।
৬৮. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে লাশ খেতে কে উড়ে আসে?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে লাশ খেতে শকুন উড়ে আসে।
৬৯. শত্রুদের না তাড়িয়ে কে চায়ের দোকান বানাবে না?
উত্তর : শত্রুদের না তাড়িয়ে আলি চায়ের দোকান বানাবে না।
৭০. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে কে যার-তার কাছে হাত পাতে না?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধা যার-তার কাছে হাত পাতে না।
৭১. বুধার মতে কী না করলে গ্রামটা একদিন ভূতের বাড়ি হবে?
উত্তর : বুধার মতে লড়াই না করলে গ্রামটা একদিন ভূতের বাড়ি হবে।
৭২. বুধা কার কাছ থেকে কেরোসিন তেল নেয়?
উত্তর : বুধা আলির কাছ থেকে কেরোসিন তেল নেয়।
৭৩. বুধা বড় মশালটা কয় চালা ঘরের চালে ছুড়ে মারে?
উত্তর : বুধা বড় মশালটা আটচালা ঘরের চালে ছুড়ে মারে।
৭৪. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধাকে দেখে কাদের সাহস বেড়ে যায়?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধাকে দেখে আলি আর মিঠুর সাহস বেড়ে যায়।
৭৫. কে বুধাকে পেলে চিবিয়ে খাবে?
উত্তর : মতিউর বুধাকে পেলে চিবিয়ে খাবে।
৭৬. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে কার হম্বিতম্বি দেখে লোক জড়ো হয়?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে মতিউরের হম্বিতম্বি দেখে লোক জড়ো হয়।
৭৭. বুধা ফুলকলিকে কী খেতে দিল?
উত্তর : বুধা ফুলকলিকে দুটো জিলাপি খেতে দিল।
৭৮. কমান্ডারের বাড়িতে কিছু ঘটলে বুধাকে কে জানাবে?
উত্তর : কমান্ডারের বাড়িতে কিছু ঘটলে বুধাকে ফুলকলি জানাবে।
৭৯. ফুলকলি বুধাকে কী বলে ডাকবে বলে জানায়?
উত্তর : ফুলকলি বুধাকে যুদ্ধ বলে ডাকবে বলে জানায়।
৮০. বুধা মনের আনন্দে দু পায়ে কী মাখে?
উত্তর : বুধা মনের আনন্দে দু পায়ে পথের ধুলো মাখে।
৮১. বুধার ঘুমানোর জন্য দরজাবিহীন কী আছে?
উত্তর : বুধার ঘুমানোর জন্য দরজাবিহীন ঢেঁকিঘর আছে।
৮২. গেরস্ত বাড়িতে কাজ করে দিলে বুধার কোন ডালের সাথে ভাত জোটে?
উত্তর : গেরস্ত বাড়িতে কাজ করে দিলে বুধার অড়হর ডালের সাথে ভাত জোটে।
৮৩. ‘কোথায় যাচ্ছিস বুধা’- জিজ্ঞেস করলে বুধা কী জবাব দেয়?
উত্তর : ‘কোথায় যাচ্ছিস বুধা’- জিজ্ঞেস করলে বুধা জবাব দেয় ‘সোনার ঘরে’।
৮৪. মানুষের কিসের সীমা নেই বলে বুধা হাসতে হাসতে নিজেকে বলে?
উত্তর : মানুষের বোকামির সীমা নেই বলে বুধা হাসতে হাসতে নিজেকে বলে।
৮৫. কিসের গান শুনে বুধা গান শেখে?
উত্তর : আখড়ার গান শুনে বুধা গান শেখে।
৮৬. বুধা আঙুলের মাথায় কী তুলে নিয়ে নাচাতে থাকে?
উত্তর : বুধা আঙুলের মাথায় মরা শামুকের খোল তুলে নিয়ে নাচাতে থাকে।
৮৭. পায়ের আঙুলে লাগানো শামুকের খোলটিকে বুধার কাছে কী বলে মনে হয়?
উত্তর : পায়ের আঙুলে লাগানো শামুকের খোলটিকে বুধার কাছে লোহার টুপি বলে মনে হয়।
৮৮. ‘ও পাগল হয় নি। শক্ত হয়ে গেছে।’- গাঁয়ের লোক কার সম্পর্কে কথাটি বলে?
উত্তর : ‘ও পাগল হয় নি। শক্ত হয়ে গেছে।’- গাঁয়ের লোক বুধা সম্পর্কে কথাটি বলে।
৮৯. চাচির বলা কোন শব্দটা বুধার শক্ত হয়ে থাকা মগজের গায়ে ধাক্কা খায়?
উত্তর : চাচির বলা ‘কামাই’ শব্দটা বুধার শক্ত হয়ে থাকা মগজের গায়ে ধাক্কা খায়।
৯০. চাচির বলা কোন শব্দটা বুধার শক্ত হয়ে থাকা বুকের মাটিতে বলের মতো লাফায়?
উত্তর : চাচির বলা ‘বোমা’ শব্দটা বুধার শক্ত হয়ে থাকা বুকের মাটিতে বলের মতো লাফায়।
৯১. বুধা চাচির বাড়িতে গেলে কার চোখ ছলছল করত?
উত্তর : বুধা চাচির বাড়িতে গেলে কুন্তির চোখ ছলছল করত।
৯২. কিসের ভেতরে বুধা গাঁয়ের বেশির ভাগ মানুষকে দেখতে পায়?
উত্তর : কাকতাড়ুয়ার ভেতরে বুধা গাঁয়ের বেশির ভাগ মানুষকে দেখতে পায়।
৯৩. হরিকাকু কখন বুধাকে হেসে মানিকরতন বলে ডাকে?
উত্তর : হরিকাকুর জালে প্রচুর মাছ উঠলে বুধাকে সে হেসে মানিকরতন বলে ডাকে।
৯৪. গাঁয়ের গোবর কুড়ানি বুড়িটা বুধার কী নাম দিয়েছে?
উত্তর : গাঁয়ের গোবর কুড়ানি বুড়িটা বুধার নাম দিয়েছে ‘গোবররাজা’।
৯৫. বুধা কার ভাবনার মতো সাহসী মানুষ হয়ে উঠতে চায়?
উত্তর : বুধা নোলক বুয়ার ভাবনার মতো সাহসী মানুষ হয়ে উঠতে চায়।
৯৬. ‘আমি তো এখন স্বাধীন মানুষ।’- বুধা কাকে এ কথা বলে?
উত্তর : ‘আমি তো এখন স্বাধীন মানুষ।’- বুধা হাবু দোকানদারকে এ কথা বলে।
৯৭. গাঁয়ে যখন মিলিটারি এলো বুধা তখন কী খেলছিল?
উত্তর : গাঁয়ে যখন মিলিটারি এলো বুধা তখন কাকতাড়ুয়া খেলছিল।
৯৮. বুধাদের গাঁয়ে মিলিটারিরা কিসে চড়ে আসে?
উত্তর : বুধাদের গাঁয়ে মিলিটারিরা জিপে চড়ে আসে।
৯৯. বুধা আতঙ্কে কিসে মিলে যায়?
উত্তর : বুধা আতঙ্কে ধানক্ষেেতর কাদায় মিলে যায়।
১০০. বুধা কী নিয়ে ডোবা থেকে পানি আনে?
উত্তর : বুধা মাটির হাঁড়ি নিয়ে ডোবা থেকে পানি আনে।
১০১. কিসের দিকে তাকিয়ে বুধার চোখ লাল হতে থাকে?
উত্তর : আধপোড়া বাজারুটির দিকে তাকিয়ে বুধার চোখ লাল হতে থাকে।
১০২. বুকের ভেতর ভীষণ কিছু গজিয়ে উঠলে বুধা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়?
উত্তর : বুকের ভেতর ভীষণ কিছু গজিয়ে উঠলে বুধা নদীর ধারে গিয়ে দাঁড়ায়।
১০৩. কার বাড়িতে গিয়ে বুধার চক্ষু চড়কগাছ হয়?
উত্তর : নোলক বুয়ার বাড়িতে গিয়ে বুধার চক্ষু চড়কগাছ হয়।
১০৪. হরিকাকুর সাথে কোন গাছের নিচে বুধার দেখা হয়?
উত্তর : হরিকাকুর সাথে জামগাছের নিচে বুধার দেখা হয়।
১০৫. বুধাদের গ্রামে কলেরার প্রকোপ কত দিন ছিল?
উত্তর : বুধাদের গ্রামে কলেরার প্রকোপ সাত দিন ছিল।
১০৬. ‘বানরের আবার চাঁদে যাওয়ার সাধ’- ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উক্তিটি কার?
উত্তর : “বানরের আবার চাঁদে যাওয়ার সাধ’।- ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উক্তিটি মধুর।
১০৭. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত মধুর বড় ভাইয়ের নাম কী?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত মধুর বড় ভাইয়ের নাম মিঠু।
১০৮. মৃত্যুর সময় বুধার মা বুধাকে কার ভরসায় রেখে যাওয়ার কথা বলে?
উত্তর : মৃত্যুর সময় বুধার মা বুধাকে আলস্নাহর ভরসায় রেখে যাওয়ার কথা বলে।
১০৯. কী খেলে বুধার মন ভরে?
উত্তর : জোছনা খেলে বুধার মন ভরে।
১১০. কী খেলে বুধার মগজ ভরে?
উত্তর : বাতাস খেলে বুধার মগজ ভরে।
১১১. আহাদ মুন্সির দলের লোকেরা কিসের পাশে ঘোরাঘুরি করে?
উত্তর : আহাদ মুন্সির দলের লোকেরা মিলিটারি ক্যাম্পের পাশে ঘোরাঘুরি করে।
১১২. আহাদ মুন্সি বুধাকে কী কাজ দেওয়ার কথা বলে?
উত্তর : আহাদ মুন্সি বুধাকে গরু চরানোর কাজ দেওয়ার কথা বলে।
১১৩. বুধা গায়ে খেটে কিসের দাম শোধ দেবে?
উত্তর : বুধা গায়ে খেটে তেলের দাম শোধ দেবে।
১১৪. বুধা পোড়া ঘরে গিয়ে কয়টা মশাল বানায়?
উত্তর : বুধা পোড়া ঘরে গিয়ে চারটা মশাল বানায়।
১১৫. আলি ও মিঠু কিসে যোগ দিতে গ্রাম ছেড়ে পালায়?
উত্তর : আলি ও মিঠু মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিতে গ্রাম ছেড়ে পালায়।
১১৬. ফুলকলি বাড়ির বাইরে কোন গাছের নিচে বসে অনেকক্ষণ কাঁদল?
উত্তর : ফুলকলি বাড়ির বাইরে জামগাছের নিচে বসে অনেকক্ষণ কাঁদল।
১১৭. বুধা ফুলকলিকে কার বাড়িতে নিয়ে যায়?
উত্তর : বুধা ফুলকলিকে আতাফুপুর বাড়িতে নিয়ে যায়।
১১৮. আতাফুপুর বাড়িতে বুধা পেটভরে কী খায়?
উত্তর : আতাফুপুর বাড়িতে বুধা পেটভরে পান্তা ভাত খায়।
১১৯. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত কে আর্ট কলেজে পড়ে?
উত্তর : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত শাহাবুদ্দিন আর্ট কলেজে পড়ে।
১২০. গাঁয়ের স্কুলঘরটি দখল করে মিলিটারিরা কী বানিয়েছে?
উত্তর : গাঁয়ের স্কুলঘরটি দখল করে মিলিটারিরা ক্যাম্প বানিয়েছে।
১২১. “লোহার টুপি কি মানুষের মগজ খায়?” বুধা কাকে জিজ্ঞেস করে?
উত্তর : “লোহার টুপি কি মানুষের মগজ খায়?” বুধা আহাদ মুন্সিকে জিজ্ঞেস করে।
১২২. বুধার পোড়া ঘরে তৈরি হওয়া মশালটি কার নতুন তোলা ছনের ঘর পুড়িয়ে দেয়?
উত্তর : বুধার পোড়া ঘরে তৈরি হওয়া মশালটি আহাদ মুন্সির নতুন তোলা ছনের ঘর পুড়িয়ে দেয়।
১২৩. বুধা তার জ্বরকে কিসের জ্বর বলেছে?
উত্তর : বুধা তার জ্বরকে ভালস্নুকের জ্বর বলেছে।
১২৪. কুন্তি কী তুলে বাড়ি ফিরছিল?
উত্তর : কুন্তি একগাদা শাপলা তুলে বাড়ি ফিরছিল।
১. রাত নিয়ে ওর কোনো ঝামেলা নেই- কেন?
উত্তর : ভবঘুরে বুধার মনে কোনো ভয়ডর নেই বলে রাত নিয়ে ওর কোনো ঝামেলা নেই।
ছোটবেলা থেকেই ভয়ডরের সাথে দেখা হয়নি বুধার। নিজের মতো করেই সে মানুষ হয়েছে। ছন্নছাড়া তার জীবন তাই দিন-রাত সবই তার কাছে সমান। জীবন নিয়ে তার বিশেষ কোনো ভাবনা নেই। রাত হলে ঘরে ফেরার তাড়া নেই। যেখানে ইচ্ছা সেখানেই নির্ভয়ে রাত কাটিয়ে দেয় সে। এ কারণেই আলোচ্য কথাটি বলা হয়েছে।
২. বুধা ফুলকলিকে ‘জয় বাংলা’ বলে ডাকবে কেন?
উত্তর : ফুলকলির মাঝে মুক্তির চেতনা রয়েছে বলে বুধা ফুলকলিকে ‘জয় বাংলা’ বলে ডাকবে।
‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ¯েস্নাগান। এর দৃপ্ত উচ্চারণ বাঙালির মাঝে অমিত প্রেরণার সঞ্চার করত। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধাও ‘জয় বাংলার’ মন্ত্রে উদ্দীপ্ত ছিল। ফুলকলি শত্রুর বিরুদ্ধে তার অবস্থান ও সহযোগিতার কথা জানায় বুধাকে। বুধা তখন ফুলকলিকে ‘জয় বাংলা’ বলে ডাকবে বলে জানায়।
৩. ‘ও পাগল হয় নি। শক্ত হয়ে গেছে।’- কেন?
উত্তর : চোখের সামনে পরিবারের সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে দেখেছে বুধা। তার মনের অবস্থার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।
একরাতেই বুধার বাবা-মা ও চার ভাই-বোনের সবাই প্রাণ হারায় কলেরায় আক্রান্ত হয়ে। এত কাছ থেকে আপন মানুষদের এভাবে হারিয়ে যেতে দেখে শোকে পাথর হয়ে যায় বুধা। সেই থেকেই তার আচার-আচরণের কোনো ঠিক নেই। কেউ কেউ ভাবে বুধা বুঝি পাগল হয়ে গেছে। আর সচেতন মানুষেরা জানে বুধা পাগল হয়নি। মৃত্যুশোকের তীব্রতা তার স্বাভাবিক অনুভূতিকে ভোঁতা করে দিয়েছে। মনের ভেতর তৈরি হওয়া স্বজন হারানোর গভীর ক্ষত বুধার মনে স্থায়ী ছাপ তৈরি করেছে।
৪. চাচির প্রতি বুধা মনে মনে কৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে কেন?
উত্তর : চাচির ভর্ৎসনার কারণেই বুধা আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছিল। এ কারণেই চাচির প্রতি সে কৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে।
এক রাত্রির ব্যবধানে পরিবারের সকল সদস্যকে হারানো অসহায় বুধার আশ্রয় জোটে চাচার ঘরে। বেকার চাচা তার আটটি সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে দিনযাপন করছিলেন। তাই বিশাল এই পরিবারে বুধা যে একটি বোঝা সেই কথা বুধাকে স্মরণ করিয়ে দেয় চাচি। চাচির কথা শুনে বুধা বুঝতে পারে আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার গুরুত্ব। চাচির সংসার ছেড়ে সে নিজের ভার নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়। এভাবে মুক্ত স্বাধীন জীবনের স্বাদ পায়, যা চাচির সংসারে পড়ে থাকলে তার পক্ষে সম্ভব হতো না। এ কারণেই বুধা মনে মনে চাচির প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে উঠেছিল।
৫. বুধা আতঙ্কে ধানক্ষেেতর কাদায় মিশে যায় কেন?
উত্তর : পাকবাহিনীর বর্বরতা দেখে বুধা আতঙ্কে ধানক্ষেেতর কাদায় মিশে যায়।
১৯৭১ সালের একদিন পাকিস্তানি হানাদাররা বুধাদের গ্রামে এসে উপস্থিত হয়। গ্রামের বাজারটিতে তারা হামলা চালায়। গুলি করে মানুষ হত্যা করে। বাজারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে মারা যায় অনেকে। পাকিস্তানি হানাদারদের নিষ্ঠুরতার পরিচয় জানা ছিল না বুধার। তাছাড়া মানুষ যে মানুষের ওপর এতটা নির্দয় হতে পারে এ বিষয়টিও বুধা প্রথম বুঝতে পারল। এ কারণেই তাকে প্রচণ্ড ভয় ঘিরে ধরেছিল। চোখের সামনে দেখা এমন দৃশ্য তার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না।
৬. বুধার গ্রামের লোকেরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছিল কেন?
উত্তর : পাকিস্তানি হানাদারদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে বুধার গ্রামের লোকেরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছিল।
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী এ দেশের মানুষের ওপর বর্বর নির্যাতন চালায়। পাখির মতো মানুষকে হত্যা করে। বাড়ি-ঘর-বাজার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উলিস্নখিত বুধাদের গ্রামেও একইভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় হানাদাররা। প্রাণ বাঁচাতে গ্রামের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘরবাড়ি ফেলে পালাচ্ছিল।
৭. ‘যেন পুরো একটি বিল ঢুকে আছে ওর চোখে’- কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : বুধার বোন বিনুর মায়াঘেরা চোখের সৌন্দর্যের অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য বক্তব্যে।
বিনু ছিল বুধার পিঠাপিঠি বোন। তার চোখ জোড়া ছিল অসম্ভব সুন্দর। বিলের মতোই গভীর ও স্বচ্ছ ছিল তার চাহনি। সেই বোনটি কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মৃত বোনের কথা স্মরণ করে আবেগাপস্নুত হয়ে পড়ে বুধা।
৮. বিদেশি মানুষ ও নিজেদের মানুষ সবার ওপর বুধার ঘৃণা বাড়তে থাকে কেন?
উত্তর : বিদেশি মানুষের ধ্বংসলীলা এবং তাতে এদেশের কিছু মানুষের সহযোগিতার বিষয়টি দেখে উভয় শ্রেণির মানুষের প্রতি বুধার প্রবল ঘৃণার সৃষ্টি হয়।
১৯৭১ সালে বাঙালির ওপর নিষ্ঠুর অত্যাচার চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ভিনদেশি বর্বরদের নির্মমতা বুধাকে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ করে তোলে। তার ক্ষােভ আরও বাড়ে যখন সে দেখে এ দেশেরই কিছু মানুষ তাদের সমর্থন করছে। তাদের ধ্বংসযজ্ঞে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা প্রদান করছে। তাদের এমন বিশ্বাসঘাতকতায় বুধার মনে তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জন্মায়।
৯. “আপনারা কী দুই জন, না এক জন?” বুধা এ কথা বলে কেন?
উত্তর : আলি ও মধুর একাত্মতার বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে বুধা আলোচ্য প্রশ্নটি করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে শত্রুমুক্ত করার প্রত্যয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় আলি ও মধু দুজনেই। বুধাও ছিল একই চেতনায় উদ্দীপ্ত এক কিশোর। ছোট হলেও বুধার অনুভূতিশক্তি ছিল প্রখর। মধু ও আলির মুখ দেখে সে বুঝে যায় যে, তাদের দুজনের মনে একই ভাবনা খেলা করছে। তাদের প্রাণের বাসনা একটি সুতোতে বাঁধা পড়েছে। তারা যে দুটি প্রাণ এক আত্মা এ বিষয়টিই প্রকাশিত হয়েছে বুধার কথায়।
১০. বুধা আলির কাছ থেকে কেরোসিনের শিশি চেয়ে নেয় কেন?
উত্তর : আহাদ মুন্সির ঘরে আগুন দেওয়ার জন্য বুধা আলির কাছ থেকে কেরোসিনের শিশি চেয়ে এনেছিল।
১৯৭১ সালে এদেশে পাকিস্তানিদের বর্বরতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগী হয়েছিল এদেশেরই কিছু নরপশু। আহাদ মুন্সি তাদেরই একজন প্রতিনিধি। বুধাদের গ্রামে পাকিস্তানিদের ধ্বংসযজ্ঞের সে ছিল অন্যতম দোসর। বুধা তাই আহাদ মুন্সিকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার কথা ভাবে। আহাদ মুন্সির ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য সে আলির কাছ থেকে কেরোসিনের শিশি চেয়ে নেয়।
১১. বুধা আহাদ মুন্সির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় কেন?
উত্তর : দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য আহাদ মুন্সিকে শাস্তিদেওয়ার প্রত্যয়ে বুধা তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বুধাদের গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করে। গ্রামে গণহত্যা চালায়। তাদের হত্যাযজ্ঞে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা পালন করে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আহাদ মুন্সি। আহাদ মুন্সিকে বুধা তাই উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সে আহাদ মুন্সির বাড়িতে আগুন দেয়।
১২. আলী ও মিঠু গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় কেন?
উত্তর : আহাদ মুন্সির আক্রোশ থেকে বাঁচতে এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার প্রত্যয়ে আলি ও মিঠু গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
রাজাকার আহাদ মুন্সির বাড়িতে আগুন দেওয়ার পিছনে বুধার হাত থাকলেও নাবালক ও আপাতদৃষ্টিতে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হওয়ায় সে ছিল সন্দেহের ঊর্ধ্বে। আহাদ মুন্সির সকল সন্দেহ নিশ্চিতভাবেই এসে পড়ত স্বাধীনতাকামী যুবক আলি ও মধুর ওপর। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের গ্রাম ছেড়ে পালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আহাদ মুন্সীর বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তাদের গ্রামে অবস্থান আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে সেই রাতেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
১৩. মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুধার সাথে দেখা করতে আসে কেন?
উত্তর : দেশকে শত্রুমুক্ত করতে বুধার সাহসিকতাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লড়্গ্য নিয়ে বুধার সাথে দেখা করতে আসে মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন।
বুধা অসীম সাহসী এক বালকের নাম। পাকিস্তানিদের দোসর আহাদ মুন্সির বাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে সে দেশপ্রেমের অনন্য স্বাক্ষর রাখে। আলি ও মধুর মুখে বুধার দেশপ্রেম ও বীরত্বের কথা শুনে মুগ্ধ হন মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন। বুধাকে নিয়ে তিনি আরও বড় পরিকল্পনা করেন। বুধার সাহায্য নিয়ে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প নিশ্চিহ্ন করে দিতে চান। এ কথা জানাতেই তিনি বুধার সাথে দেখা করতে আসেন।
১৪. মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুধাকে বঙ্গবন্ধু, মেশিনগান, যুদ্ধ ইত্যাদি নামে ডাকে কেন?
উত্তর : বুধার মাঝে মুক্তিসংগ্রামের অদম্য চেতনা লক্ষ করে বুধাকে প্রশ্নোক্ত নামগুলো দেয় মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন।
বুধা স্বদেশপ্রেমের অনন্য এক দৃষ্টান্ত। দুর্দান্ত সাহসিকতার সাথে সে রুখে দেয় শত্রুর গতি। তার মাঝে এমন মুক্তির আকাঙ্ক্ষা দেখতে পেয়ে অভিভূত হন মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন। তার চোখে বুধা যেন দেশের মানুষের মুক্তিচেতনার অনন্য এক প্রতীক। তাই ভালোবেসে বুধাকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন নামে ডাকে সে।
১৫. মিলিটারিদের ক্যাম্পে যাওয়ার সময় বুধা সাথে করে পেয়ারা নেয় কেন?
উত্তর : পেয়ারার লোভ দেখিয়ে পাকিস্তানিদের সাথে ভাব জমিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই বুধা মিলিটারিদের ক্যাম্পে যাওয়ার সময় সাথে করে পেয়ারা নিয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিনের নির্দেশে পাকিস্তানিদের ক্যাম্পটি রেকি করার দায়িত্ব পড়েছিল বুধার ওপর। তাই ক্যাম্পে সৈনিকদের অবস্থান, অস্ত্রশস্ত্রের অবস্থান ও পরিমাণ ইত্যাদি খুব কাছ থেকে ভালোভাবে দেখা প্রয়োজন ছিল। পাকিস্তানিদের সাথে ভাব জমাতে পারলে কমিটি আরও সহজ হয়ে যেত। পেয়ারা খাওয়ানোর ছলে তাদের সাথে আড্ডা জমিয়ে নিজের কার্যসিদ্ধির পরিকল্পনা করে বুধা। এ কারণেই সে সাথে করে অনেকগুলো পেয়ারা নিয়ে যায়।
১৬. আহাদ মুন্সি বুধাকে কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখার নির্দেশ দেয় কেন?
উত্তর : বেয়াদবি করার শাস্তিহিসেবে আহাদ মুন্সি বুধাকে কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখার নির্দেশ দেয়।
পাকিস্তানিদের নির্মম অত্যাচারের সারথী হওয়ায় আহাদ মুন্সিকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করত বুধা। তাই তার সাথে দেখা হলেই অদ্ভুত কথাবার্তা বলে তাকে বিভ্রান্ত করত সে। মিলিটারিদের ক্যাম্পে বুধা আবার একই আচরণ করলে তার ওপর ভীষণ ক্ষপ্তি হয় আহাদ মুন্সি। সঙ্গী রাজাকার তিনজনকে আদেশ দেয় বুধাকে কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখতে।
১৭. বুধাকে দেখে রাজাকার তিনজন ভয় পেয়ে যায় কেন?
উত্তর : বুধার যন্ত্রণাক্লিষ্ট, কালিমাখা মুখটি রাজাকার তিনজনকে ভয় পাইয়ে দেয়।
কাকতাড়ুয়া বানানোর জন্য বুধার মুখে রাজাকাররা কালি মেখে দিয়েছিল। প্রচণ্ড জ্বরের কারণে বুধার মুখ কদাকার হয়ে ওঠে। জ্বরের ঘোরে সুনসান পরিবেশে একাকী ছেলেটির কোঁকানোর দৃশ্য দেখে রাজাকাররা ভাবে যেন ভূত দেখছে। এ কারণেই ওরা বিষম ভয় পেয়ে যায়।
১৮. বুধা মাটি কাটার দলে কাজ নিতে চায় কেন?
উত্তর : পাকবাহিনীর বাঙ্কারে গোপনে মাইন পুঁতে রাখার জন্য বুধা মাটি কাটার দলে কাজ নিতে চায়।
মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুধাদের গ্রামে পাকবাহিনীর ক্যাম্পটি ধ্বংস করে দিতে চায়। হানাদাররা বাঙ্কার তৈরির উদ্যোগ নিলে সে বাঙ্কারটি উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধাকে একটি মাইন দেওয়া হয় বাঙ্কারে পুঁতে আসার জন্য। বাঙ্কারের মাটি খোঁড়ার লোকদের সাথে কাজের সুযোগ পেলেই কেবল তা করা সম্ভব। এ কারণেই বুধা মাটি কাটার দলে কাজ নিতে চায়।
১৯. পাকিস্তানি মিলিটারিরা বাঙ্কার খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন?
উত্তর : মুক্তিবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে পাকিস্তানি মিলিটারিরা বাঙ্কার খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
যুদ্ধের সময় আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বাঙ্কার বা পরিখা খোঁড়া হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণের মুখে পাকবাহিনী অসহায় হয়ে পড়েছিল। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত বুধাদের গ্রামে ক্যাম্প স্থাপন করলেও এই ভয়ে স্ব¯িত্মতে ছিল না মিলিটারিরা। নদীপথে যেকোনো সময় মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের আশঙ্কা করছিল তারা। এ জন্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা বাঙ্কার খোঁড়ার উদ্যোগ নেয়।
২০. মধুর মা বুধাকে রোজ এসে ভাত খেয়ে যেতে বলেন কেন?
উত্তর : বুধার মুখের দিকে তাকিয়ে ছেলেকে হারানোর কষ্ট ভুলতে চান বলে মধুর মা বুধাকে রোজ এসে ভাত খেয়ে যেতে বলেন।
বুধা ও মধু সমবয়সী বন্ধু ছিল। পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে শহিদ হয় মধু। ছেলের জন্য মধুর মায়ের শোকার্ত বুক হাহাকার করে ওঠে। বুধার মাঝে তিনি যেন মৃত ছেলেরই ছায়া দেখতে পান। এ কারণেই বুধাকে তিনি রোজ এসে ভাত খেয়ে যেতে বলেন।
২১. ‘মরণের কথা মনে করলে যুদ্ধ করা যায় না’- কুন্তি এ কথা বলে কেন?
উত্তর : বুধাকে মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করার জন্যই কুন্তি আলোচ্য উক্তিটি করে।
বুধা অসীম সাহসী এক বালক। দেশকে শত্রুমুক্ত করার প্রত্যয়ে সে তার সাহস ও বুদ্ধি খাটিয়ে যুদ্ধ করে যায়। বাবা-মায়ের কবরের সামনে এসে হঠাৎই বদলে যায় বুধা। ভয়-ডরহীন বুধার মাঝে মৃত্যুভয়ের চিহ্ন দেখা যায়। কিন্তু মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে যুদ্ধক্ষেেত্র নামা যায় না। সে ক্ষেেত্র পরাজয় সুনিশ্চিত। বুধা যাতে তার মনোবল না হারায় সে জন্যই এ কথাটি বলে তার চাচাতো বোন কুন্তি।
২২. ‘চাচা আমি একবার ভেতরটা দেখে আসি?’- বুধা কেন এ কথা বলে?
উত্তর : বাঙ্কার ধ্বংসের পরিকল্পনার মূল কাজটি সুসম্পন্ন করার জন্যই বুধা ফজু মিয়ার কাছে বাঙ্কারের ভেতরটা দেখে আসার ইচ্ছা জানায়।
বুধাদের গ্রামে পাকিস্তানি মিলিটারিদের আস্তানা ধ্বংস করার দায়িত্ব দেওয়া হয় বুধার ওপর। মিলিটারিদের বাঙ্কার উড়িয়ে দেওয়ার জন্য বুধাকে দেওয়া হয় একটি মাইন। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধা বাঙ্কারের মাটি কাটার লোকদের দলে কাজ জুটিয়ে নেয়। কাজ শেষে সে বাঙ্কারের ভেতরটা দেখে আসার জন্য ফজু মিয়ার কাছে অনুমতি চায়। ভেতরে দেখে আসার ছলে গোপনে মাইন পুঁতে রাখাই ছিল বুধার আসল উদ্দেশ্য।
২৩. ‘রাতের বেলা ওরা বাঙ্কারে শুয়ে হাওইবাজি দেখবে’- বুধা কথাটি কেন বলে?
উত্তর : বাঙ্কারে মাইন বিস্ফোরিত হলে পাকিস্তানি সৈন্যদের যে অসহায় অবস্থা হবে ইঙ্গিতে সে কথাই বুঝিয়েছে বুধা।
পাকিস্তানিদের বাঙ্কার উড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাঙ্কারে গোপনে একটি মাইন স্থাপন করে বুধা। মিলিটারিদের পায়ের চাপে সেটি বিস্ফোরিত হলেই হাউইবাজির মতো আলোর ছটা দেখা যাবে। আহত, অসহায় পাকিস্তানি সেনাদের তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। এই দৃশ্যটিই কল্পনা করেছে বুধা।
২৪. “তবে কি বঙ্গবন্ধু এই মানুষদের বিরুদ্ধে লড়ার কথা বলেছিলেন?” উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর ঘোষণায় বাঙালির যে মুক্তির আহ্বান ছিল তারই অনুধাবনের বিষয়টি ধরা পড়েছে এখানে।
আচার-আচরণে ভাবলেশহীন হলেও ভেতরে ভেতরে এক গভীর অনুভূতিপ্রবণ সত্তা লালন করে বুধা। গ্রামে ভিনদেশি ও স্বদেশি মানুষদের মিলিত অত্যাচারে বিভীষিকার কারণ অনুসন্ধান করতে চায় সে। একসময় বুঝতে পারে এই মানুষগুলো সবার শত্রু। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রতিশোধ গ্রহণের প্রতিজ্ঞা নেয় সে। তখনই তার মনে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা। বঙ্গবন্ধু শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই আহ্বানের সাথে নিজের মনের ভাবনা মিলে যাওয়ায় দারুণভাবে উদ্দীপ্ত হয় বুধা।
২৫. ফুলকলিকে আচ্ছামতো পিটুনি দেওয়া হয় কেন?
উত্তর : ঘরে আগুন লাগার জন্য ফুলকলির গাফিলতিকে দায়ী করে তাকে আচ্ছামতো পিটুনি দেয় রাজাকার কমান্ডার।
এ দেশের কিছু মানুষ পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানিদের ধ্বংসযজ্ঞের দোসর হয়েছিল। সেই বিশ্বাসঘাতকদের মনে-প্রাণে ঘৃণা করে বুধা। তাই এক রাতে গোপনে সে রাজাকার কমান্ডারের বাড়িতে আগুন দেয়। কমান্ডারের পরিবার ঘুণাক্ষরেও টের পায় না যে বুধা এ কাজটি করেছে। তারা ধারণা করে কাজের মেয়ে ফুলকলি রান্নার পর পাটখড়ি চুলার পাশে রেখে দেওয়ার কারণেই আগুন লেগেছে। এই সন্দেহ থেকেই তারা ফুলকলিকে নির্মমভাবে পিটুনি দেয়।
২৬. ‘যুদ্ধের সময় আমাদের কত কিছু সইতে হয়’- বুধা কথাটি বলে কেন?
উত্তর : যুদ্ধের সময় মানুষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়- এ অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে বুধার উক্তিটিতে।
যুদ্ধের সময় একটি দেশের মানুষের ওপর মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে। বিনা অপরাধে কষ্ট ভোগ করতে হয় অনেককে। বুধা রাজাকার কমান্ডারের ঘরে আগুন দিলেও সন্দেহ এসে পড়ে গৃহকর্মী ফুলকলির ওপর। তাই তাকে বিনাদোষে প্রহার করা হয়। ফুলকলিকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যই বুধা কথাটি বলেছে।
২৭. বুধাকে রেকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন?
উত্তর : বুধার সাহসিকতা ও আপাত মানসিক ভারসাম্যহীন কাজকর্মের জন্য বুধাকে রেকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বুধা এক অদম্য সাহসী কিশোরের নাম। দেশপ্রেমের গভীর আবেগে যেকোনো কঠিন কাজ সে অনায়াসে করে ফেলে। বয়স বলে তার সাথে মুক্তিবাহিনীর সংযোগের ব্যাপারে কারও মনে সন্দেহ জাগে না। তাছাড়া, বুধার উদ্ভট আচরণ দেখে সবাই ভাবে বুধা বুঝি মানসিক ভারসাম্যহীন। বুধা রেকি করতে গেলে এসব কারণে বিপদের ঝুঁকি কম। তাই বুধাকেই রেকি করার দায়িত্ব দেয় মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন।
২৮. ‘এখন শব্দটা শোনার জন্য বসে থাকব’- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : বাঙ্কারে মাইন লুকিয়ে রাখার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে কি না তা জানার জন্যই অপেক্ষা করে থাকবে বুধা।
পাকিস্তানি মিলিটারিদের ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল বুধার ওপর। মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন সেই লড়্গ্েয বুধাকে একটি মাইন দেন। বাঙ্কারের মাটি খোঁড়ার সময় বুধা তা গোপনে মাটির নিচে লুকিয়ে রেখে আসে। মাইনের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের কারো পা পড়লেই সেটির বিস্ফোরণ হওয়ার কথা। সেই বিকট শব্দ শোনার অপেক্ষার কথাই বলা হয়েছে আলোচ্য উক্তিতে। শব্দটি বুধার দুঃসাহসিক কাজের সফলতার ঘোষণা দেবে।
২৯. ‘স্বাধীনতা ভীষণ আনন্দের’- বুধা এ কথা বলেছে কেন?
উত্তর : স্বাধীন ও আত্মনির্ভরশীল জীবনযাপনের মর্ম বুঝতে পেরে আলোচ্য উক্তিটি করেছে বুধা।
অনাথ বুধা দীর্ঘদিন চাচা-চাচির সংসারে আশ্রিত ছিল। কিন্তু চাচির সংসারে বোঝা হয়ে না থেকে সে একসময় নিজের মতো করে বাঁচতে শুরু করে। তখনই তার মাঝে মুক্তির বোধ জাগ্রত হয়। সে বুঝতে পারে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার আনন্দের সাথে কোনো কিছুর তুলনা হয় না।
৩০. বুধা গ্রাম ছেড়ে পালায় না কেন?
উত্তর : শত্রুদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য বুধা গ্রাম ছেড়ে পালায় না।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা হানা দেয় বাংলার গ্রামে-গঞ্জে। গ্রামের পর গ্রাম পুড়ে যায়, প্রাণ হারায় অসংখ্য মানুষ। বুধাদের গ্রামেও একইভাবে ধ্বংসলীলা চালায় হানাদাররা। জীবন বাঁচাতে গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালাতে থাকে গ্রামের মানুষ। কিন্তু হানাদারদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো না গেলে তাদের তাণ্ডব থামানো যাবে না। আর গ্রামের সবাই পালিয়ে গেলে লড়াই করা সম্ভব হবে না। এ ভাবনা থেকেই বুধা গ্রাম ছেড়ে পালায় না।
৩১. ‘তোকে দেখেই বুঝতে পারছি দেশটা স্বাধীন হবে’- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : বুধার নির্ভীক স্বদেশপ্রেমিক মনোভাব আলী ও মধুর মুক্তির চেতনাকে আরো উদ্দীপ্ত করে।
কিশোর বুধা অসীম সাহসের অধিকারী। দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তার মাঝে বিন্দুমাত্র ভয় নেই। অনায়াসে সে জ্বালিয়ে দেয় রাজাকার আহাদ মুন্সির ঘর। বুধার এমন সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের অনুভূতি মুক্তির প্রেরণা জোগায় আলী ও মিঠুর মাঝে। দেশমাতৃকার মুক্তির ব্যাপারে তাদের আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হয়।
৩২. পাকিস্তানি সৈনিকদের চোখে চোখ পড়লে বুধার দৃষ্টি কেঁপে ওঠে না কেন?
উত্তর : পাকিস্তানি সৈনিকদের চোখে কোনো ভাষা নেই বলে তাদের চোখে চোখ পড়লে বুধার দৃষ্টি কেঁপে ওঠে না।
‘কাকতাড়ুয়া’ গল্পের প্রধান চরিত্র বুধা ভয়-ডরহীন ও অসাধারণ মানসিকতা বোধসম্পন্ন এক কিশোর। মুক্ত জীবনের অভিজ্ঞতায় সে মানুষ চিনতে শিখেছে। পাকিস্তানি সেনারা এদেশে এসেছিল কেবল হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে। মানবিকতার ভাষা সম্পর্কে তারা ছিল অজ্ঞ। তাদের মেরুদণ্ডহীন সৈনিকেরা কেবল জানত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরে হুকুম তামিল করা। তাদের চোখেও সেটি ফুটে উঠত। বুধা তাই তাদের ভাষাহীন দৃষ্টি দেখে তাদেরকে ভয় পায় না।
৩৩. রাজাকাররা বুধার কাছে মিঠুর অবস্থান জানতে চায় কেন?
উত্তর : মিঠু মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছিল এবং বুধার সাথে মিঠুর ভালো সম্পর্ক ছিল বলে রাজাকাররা বুধার কাছে মিঠুর খবর জানতে চায়।
মিঠু ছিল মুক্তির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ। সে পালিয়ে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সে ছিল রাজাকারদের শত্রু। গ্রামে বুধার সাথে যে কয়েকজনের ভালো সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে মিঠু অন্যতম। এসব কারণেই মিঠু গ্রাম থেকে উধাও হয়ে গেলে বুধার কাছে তার খোঁজ চায় রাজাকাররা।
৩৪. ‘এমন খুশি আমার জীবনে আর আসেনি’- বুধা কেন এ কথা বলে?
উত্তর : দেশদ্রোহী রাজাকার আহাদ মুন্সির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পর বুধার হৃদয়ের প্রবল উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়েছে বুধার উক্তিটির মাধ্যমে।
একরাতের ব্যবধানে পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়ে অন্য রকম হয়ে গিয়েছিল বুধা। প্রচণ্ড কষ্টের আড়ালে চাপা পড়ে গিয়েছিল তার সব হাসি-আনন্দ। পাকিস্তানি দখলবাজরা যে এদেশের মানুষের মুক্তির অধিকার কেড়ে নিতে চায় তা বুঝতে পারে বুধা। রাজাকাররা ছিল পাকিস্তানিদের সেই অপকর্মের সহযোগী। তাই গ্রামের রাজাকারদের প্রধান নেতা আহাদ মুন্সির বাড়িতে আগুন দিতে পেরে গভীর তৃপ্তি পায় বুধা। বহুদিন পর প্রাণখোলা হাসিতে ফেটে পড়ে সে। এটি বুধার স্বদেশপ্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ।
৩৫. “ওই যে বাড়িগুলো পুড়িয়েছিস, এটাও যুদ্ধ।”- কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : রাজাকারদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া যে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেরই অংশ, এ বিষয়টিই বুধাকে বুঝিয়ে বলেন মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন।
বুধাদের গ্রামের কিছু মানুষ পাকিস্তানিদের ধ্বংসযজ্ঞের প্রত্যক্ষ সহযোগীর ভূমিকা পালন করে। বিশ্বাসঘাতক এই লোকদের শাস্তিদেওয়ার ভার নিজের হাতে নেয় বুধা। গোপনে তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধার কাজটি দেশকে শত্রুমুক্ত করারই একটি অংশ। বুধা এত কিছু ভেবে না করলেও সেও এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের অংশ হয়ে উঠেছে- সে কথাটিই বলা হয়েছে উক্তিটিতে।
১. বুধার কয় ভাইবোন কলেরায় মারা যায়? ছ
ক. ৩ জন খ. ৪ জন
গ. ৫ জন ঘ. ৬ জন
২. ক ঞ্চু কথার অর্থ কী? গ
ক. পা খ. পাখা
গ. ঠোঁট ঘ. কান
৩. হরিকাকুর সঙ্গে বুধার কোথায় দেখা হয়েছিল? ক
ক. জামতলায় খ. ফসলের মাঠে
গ. বাজারে ঘ. রাস্তায়
৪. শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছিল কে? খ
ক. মতিউর খ. আহাদ মুন্সি
গ. হাশেম মিয়া ঘ. হরিবাবু
৫. নিজের বোঝা নিজে বইব। বুধা এ বক্তব্যে ফুটে ওঠে- খ
ক. সাহস খ. আত্মবিশ্বাস
গ. স্বনির্ভরতা ঘ. দেশপ্রেম
৬. বিদেশি মানুষ এবং নিজেদের মানুষ সবার ওপর বুধার ঘৃণা বাড়তে থাকে কেন? খ
ক. যুদ্ধ করার জন্য খ. অত্যাচার করার জন্য
গ. বিরোধিতা করার জন্য ঘ. গণহত্যার জন্য
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘কবর’ নাটকে বর্ণিত ইন্সপেক্টর হাফিজ ভাই শহিদদের একটা গণকবরে মাটি চাপা দিতে চাইলে গোরখুঁড়েরা আপত্তি জানায়। তাদের বক্তব্য, ‘মুসলমানের লাশ দাফন নাই, কাফন নাই তার ওপর আলাদা একটা কবর পাবে না তা হতে পারে না কভি নেহি।’
৭. উদ্দীপকের গোরখুঁড়েদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটি হলো- গ
ক. আহাদ মুন্সি খ. মতিউর
গ. বুধা ঘ. কুদ্দুস
৮. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ হলো- খ
ক. দেশপ্রেম খ. প্রতিবাদী মনোভাব
গ. সচেতনতা ঘ. প্রতিশোধ স্পৃহা
৯. ‘আমরা লড়াই না করলে গ্রামটা একদিন ভূতের বাড়ি হবে’। কেন ভূতের বাড়ি হবে? ঘ
র. গণহত্যার কারণে
রর. লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় ররর. গ্রামটি জনশূন্য হওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১০. যুদ্ধে শত্রুরা কখন হেরে যায়? ক
ক. সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে খ. আধুনিক অস্ত্র থাকলে
গ. উন্নত প্রশিক্ষণ থাকলে ঘ. সৈন্যসংখ্যা বেশি হলে
১. উপন্যাস কী? গ
ক. গদ্যে লেখা একধরনের প্রবন্ধ
খ. গদ্যে লেখা একধরনের নাটক
গ. গদ্যে লেখা একধরনের গল্প
ঘ. গদ্যে লেখা একধরনের ইতিহাস
২. উপন্যাসের শব্দ সংখ্যা কমপক্ষে কত হওয়া বাঞ্ছণীয়? খ
ক. বিশ হাজার খ. পঁচিশ হাজার
গ. দশ হাজার ঘ. পনেরো হাজার
৩. উপন্যাসের প্রধান উপাদান কী? ক
ক. কাহিনি খ. ক রিত্র
গ. দৃশ্য ঘ. ভাষা
৪. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস কোনটি? ঘ
ক. ফুলমণি ও করুনার বিবরণ খ. আলালের ঘরের দুলাল
গ. পথের পাঁচালি ঘ. দুর্গেশ নন্দিনী
৫. ‘চোখের বালি’ কার লেখা উপন্যাস? ক
ক. রবীন্দ্রনাথ খ. বঙ্কিমচন্দ্র
গ. শরৎচন্দ্র ঘ. তারাশঙ্কর
৬. ‘সূর্য-দীঘল বাড়ি’ কার লেখা উপন্যাস? গ
ক. গ হির রায়হান খ. সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ
গ. আবু ইসহাক ঘ. শওকত ওসমান
৭. পদ্মা মেঘনা যমুনা কোন ধরনের উপন্যাস? ক
ক. মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক খ. ইতিহাসভিত্তিক
গ. মনস্তাত্ত্বিক ঘ. দার্শনিক
৮. বাংলা উপন্যাসে ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন কে? গ
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ. বঙ্কিমচন্দ্র
গ. শরৎচন্দ্র ঘ. সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ
৯. নিচের কোনটি মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস? ক
ক. খেলাঘর খ. লালসালু
গ. চোখের বালি ঘ. গৃহদাহ
১০. উপন্যাসের দ্বিতীয় উপাদান কোনটি? খ
ক. পরিবেশ খ. ক রিত্র
গ. কাহিনি ঘ. ভাষা
১১. সেলিনা হোসেন কত সালে জন্মগ্রহণ কারণ? ক
ক. ১৯৪৭ খ. ১৯৪৬
গ. ১৯৪৮ ঘ. ১৯৪১
১২. সেলিনা হোসেন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন? গ
ক. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ. ক ট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
গ. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
ঘ. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
১৩. সেলিনা হোসেন কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? খ
ক. ঢাকায় খ. রাজশাহীতে
গ. ক ট্টগ্রামে ঘ. বগুড়ায়
১৪. সেলিনা হোসেনের উপন্যাস কোনটি? ক
ক. হাঙর নদী গ্রেনেড খ. ক রিত্রহীন
গ. বিষবৃক্ষ ঘ. পথের পাঁচালি
১৫. সেলিনা হোসেন কত সালে ডিলিট উপাধি লাভ করেন? গ
ক. ২০০৫ খ. ২০১২
গ. ২০১০ ঘ. ২০০৩
১৬. মহামারিতে গাঁয়ের কত লোক উজাড় হয়ে যায়? ঘ
ক. এক-তৃতীয়াংশ লোক খ. সব লোক
গ. এক-চতুর্থাংশ লোক ঘ. অর্ধেক লোক
১৭. পথ কাকে ডাকে? খ
ক. আহাদ মুন্সিকে খ. বুধাকে
গ. আলিকে ঘ. শাহাবুদ্দিনকে
১৮. বুধা ভাত-মাংস পেটপুরে কোথায় খেতে পায়? গ
ক. ঈদের দিন খ. কুলখানিতে
গ. বিয়ে বাড়িতে ঘ. চাচির বাড়িতে
১৯. বুধার মা বুধাকে কার ভরসায় রেখে গেছে? গ
ক. চাচির ভরসায় খ. চাচার ভরসায়
গ. আলস্নাহর ভরসার ঘ. ভরসার নোলক বুয়ার
২০. কত বছর আগে বুধা মা-বাবা সবাইকে হারিয়েছে? খ
ক. এক বছর খ. দুই বছর
গ. তিন বছর ঘ. চার বছর
২১. ‘পালাও! তোমাদের বাঁচতে হবে তো।”- বুধা কাকে বলেছে? খ
ক. হরিকাকুকে খ. হরিকাকুর বউকে
গ. নোলক বুয়াকে ঘ. রানিকে
২২. পোড়া বাজারের দিকে তাকিয়ে বুধার কোন অনুভূতি হয়? খ
ক. কাঁদতে ইচ্ছা করে খ. প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছা করে
গ. দুঃখ হয় ঘ. হাসি পায়
২৩. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত বাজারে আগুন লাগায় কারা? খ
ক. রাজাকাররা খ. মিলিটারিরা
গ. ডাকাতরা ঘ. গ্রামের লোকেরা
২৪. কে বুধাকে সইতে পারেনি? ঘ
ক. হরিকাকু খ. নোলক বুয়া
গ. মিঠু ঘ. বুধার চাচি
২৫. বুধার মতে কুন্তির বর কেমন হবে? ঘ
ক. সাদা ধবধবে খ. শ্যামলা বর্ণ
গ. কালো কুচকুচে ঘ. লাল টুকটুকে
২৬. বুধাকে মুরব্বির মতো লাগে কার চোখে? ক
ক. বুধার চাচির খ. আহাদ মুন্সির
গ. ফুলকলির ঘ. কুন্তির
২৭. কলেরার মহামারিতে বুধা একরাতে কতজন আপনজনকে হারায়? খ
ক. ৫ জন খ. ৬ জন
গ. ৭ জন ঘ. ৮ জন
২৮. বুধার চাচাতো ভাইবোন কত জন? ক
ক. আট জন খ. নয় জন
গ. সাত জন ঘ. খ য় জন
২৯. কখন শাহাবুদ্দিন বুধার ছবি আঁকবে? খ
ক. বুধা মারা গেলে খ. দেশ স্বাধীন হলে
গ. বুধা সুস্থ হলে ঘ. ছুটি পেলে
৩০. বাঙ্কারের মধ্যে বুধা কী পুঁতে রাখে? গ
ক. গ্রেনেড খ. বারুদ
গ. মাইন ঘ. ছুরি
৩১. পাকিস্তানি সেনাদের কাছে বুধা তার নাম কী বলে? ঘ
ক. বঙ্গবন্ধু খ. বুধা
গ. যুদ্ধ ঘ. কাকতাড়ুয়া
৩২. বুধার মা কখন ভাপা পিঠা রাখত? গ
ক. গ্রীষ্মকালে খ. বর্ষাকালে
গ. শীতকালে ঘ. শরৎকালে
৩৩. শাহাবুদ্দিনের মতে গ্রামে কে একাই লড়াই করছে? গ
ক. আলি খ. মিঠু
গ. বুধা ঘ. আহাদ মুন্সি
৩৪. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উলিস্নখিত সাহাবুদ্দিন কোথায় পড়ে? গ
ক. ঢাকা কলেজে খ. গ গন্নাথ কলেজে
গ. আর্ট কলেজে ঘ. তিতুমীর কলেজে
৩৫. স্বপ্নের আশ্চর্য দেশে বুধা কাকে পাশে দেখতে পায়? গ
ক. কুন্তিকে খ. মিঠু
গ. ফুলকলিকে ঘ. আলিকে
৩৬. বুধার মতে কখন ফুলকলির দুঃখ থাকবে না? ঘ
ক. নতুন কাজ পেলে খ. রাজাকার কমান্ডার মরে গেলে
গ. বুধা বড় হলে ঘ. দেশ স্বাধীন হলে
৩৭. আলির মতে- কী খেলে বুধার পেট ভরে? ক
ক. রোদ খ. জ্যোৎস্না
গ. বাতাস ঘ. বৃষ্টির পানি
৩৮. বুধার মতে লড়াই না করলে গ্রাম কিসের বাড়ি হয়ে পড়ে? ঘ
ক. পরির বাড়ি খ. রাজাকারের বাড়ি
গ. জিনের বাড়ি ঘ. ভূতের বাড়ি
৩৯. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উলিস্নখিত কুদ্দুস কে? গ
ক. পাকিস্তানি সেনা খ. মুক্তিযোদ্ধা
গ. রাজাকার ঘ. বুধার বন্ধু
৪০. বুধা ফুলকলিকে কী খেতে দিল? খ
ক. বিস্কুট খ. জিলাপি
গ. আম ঘ. ভাত
৪১. রাজাকারের কমান্ডারের বাড়িতে কাজ করে কে? খ
ক. মিঠু খ. ফুলকলি
গ. বুধা ঘ. কুন্তি
৪২. আহাদ মুন্সির বড় ছেলের নাম কী? ক
ক. মতিউর খ. কুদ্দুস
গ. মিঠু ঘ. আলি
৪৩. কীভাবে বুধা আলির তেলের দাম শোধ করবে? ঘ
ক. ধান দিয়ে খ. ফল দিয়ে
গ. টাকা দিয়ে ঘ. গায়ে খেটে
৪৪. আহাদ মুন্সির ঘর কয় চালা? খ
ক. খ য় চালা খ. আট চালা
গ. চার চালা ঘ. দোচালা
৪৫. কারা খায় দায় ফুর্তি করে আর মানুষ ধরে নিয়ে যায়? খ
ক. রাজাকাররা খ. হানাদাররা
গ. গ্রামের লোকজন ঘ. মুক্তিযোদ্ধারা
৪৬. বুধা কিসের ভঙ্গিতে নৌকায় শুয়ে পড়ে? গ
ক. অসুস্থ হওয়ার খ. মৃতের
গ. কাকতাড়ুয়ার ঘ. পাখির
৪৭. কে বুধাকে রোজ ভাত খেয়ে যেতে বলে? গ
ক. চাচি খ. নোলক বুয়া
গ. মিঠুর মা ঘ. আতাফুপু
৪৮. কুন্তি শাপলা তুলেছে কেন? খ
ক. বিক্রির জন্য খ. ক্ষুধা থেকে বাঁচার জন্য
গ. মালা বানানোর জন্য ঘ. গরুকে খাওয়ানোর জন্য
৪৯. বুধা কার কাছে মাটি কাটার কাজে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে? গ
ক. মতিউরের খ. আহাদ মুন্সির
গ. ফজু চাচার ঘ. মিলিটারির
৫০. বাঙ্কার তৈরির কাজে অগ্রগতি দেখে কে বুধার প্রশংসা করে? ঘ
ক. মিলিটারি খ. আহাদ মুন্সি
গ. ফজু চাচা ঘ. মতিউর
৫১. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে আখড়ার গান শুনে কে গান শেখে? খ
ক. শাহাবুদ্দিন খ. হরিকাকু
গ. বুধা ঘ. আলি
৫২. বুধা দুঃখকে কী ভাবে? ক
ক. হিংস্র শকুন খ. গোপন শত্রু
গ. মহাবিপদ ঘ. শান্ত পাখি
৫৩. কার গায়ে হাত দিয়ে বুধা শিউরে ওঠে? ঘ
ক. কুন্তির খ. মধুর
গ. ফুলকলির ঘ. তিনুর
৫৪. মাঠের মাঝখানে কাকতাড়ুয়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কে? গ
ক. মতিউর খ. শাহাবুদ্দিন
গ. বুধা ঘ. আলি
৫৫. ‘ওরা তো আবার আসবে’ ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে ‘ওরা’ কারা? ঘ
ক. রাজাকাররা খ. মুক্তিযোদ্ধারা
গ. গ্রামবাসীরা ঘ. মিলিটারিরা
৫৬. কারা একে-ওকে ধরে নিয়ে ক্যাম্পের সামনে বেঁধে রাখে? গ
ক. গ্রামবাসীরা খ. রাজাকাররা
গ. মিলিটারিরা ঘ. মুক্তিযোদ্ধারা
৫৭. বুধা বাঁশের লাঠির মাথায় শুকনা পাট জড়িয়ে কয়টা মশাল ধরায়? গ
ক. ৫টি খ. ১০টি
গ. ৪টি ঘ. ২টি
৫৮. বুধার নতুন নাম জয় বাংলা কে রাখে? ক
ক. আলি খ. কুন্তি
গ. শাহাবুদ্দিন ঘ. মিঠু
৫৯. মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছে কারা? ঘ
ক. মধু ও মিঠু খ. মিঠু ও বুধা
গ. আলি ও মিঠু ঘ. মতিউর ও কুদ্দুস
৬০. আহাদ মুন্সির বড় ছেলে কাকে কান ধরে টেনে তোলে? গ
ক. মিঠুকে খ. আলিকে
গ. বুধাকে ঘ. কুন্তিকে
৬১. বুধা কার দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাটে? ঘ
ক. মিঠুর দিকে খ. আহাদ মুন্সির দিকে
গ. হরি কাকুর দিকে ঘ. মতিউরের দিকে
৬২. “তোকে পেলে চিবিয়ে খাব”- ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে কার উক্তি? ক
ক. মতিউর খ. আহাদ মুন্সি
গ. বুধা ঘ. শাহাবুদ্দিন
৬৩. রাজাকার কমান্ডারের কাজের মেয়ের নাম কী? গ
ক. কুন্তি খ. রানি
গ. ফুলকলি ঘ. গ রিনা
৬৪. বুধা ও ফুলকলি এক দৌড়ে কোথায় যায়? খ
ক. নোলক বুয়ার বাড়িতে খ. আতাফুফুর বাড়িতে
গ. হরিকাকুর বাড়িতে ঘ. আহাদ মুন্সির বাড়িতে
৬৫. কাকতাড়ুয়া সেজেছিস কেন?- বুধার প্রতি প্রশ্নটি কার? ক
ক. রাজাকার কুদ্দুস খ. মতিউর
গ. আহাদ মুন্সি ঘ. মিলিটারি
৬৬. কুদ্দুস কাকে তাড়া করে? খ
ক. মিঠুকে খ. বুধাকে
গ. আলিকে ঘ. শাহাবুদ্দিনকে
৬৭. বুধাকে কে ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলে গালি দেয়? গ
ক. মতিউর খ. আহাদ মুন্সি
গ. কুদ্দুস রাজাকার ঘ. মিলিটারি
৬৮. বুধা কাকে স্যালুট করে? ক
ক. শাহাবুদ্দিনকে খ. মিলিটারিকে
গ. আহাদ মুন্সিকে ঘ. মতিউরকে
৬৯. বুধাকে ট্যাংরা মাছের তরকারি দিয়ে ভাত দেয় কে? গ
ক. চাচি খ. নোলক বুয়া
গ. মিঠুর মা ঘ. আতাফুফু
৭০. কুন্তি বুধার সাথে কোথায় যায়? ঘ
ক. বেড়াতে খ. খেলতে
গ. আম কুড়াতে ঘ. যুদ্ধে
৭১. মতিউর ফজু মিয়াকে বকাবকি করে কেন? ক
ক. বুধাকে দলে নেওয়ায় খ. কাজে ফাঁকি দেওয়ায়
গ. কাজে দেরিতে আসায় ঘ. রাজাকারদের বিরোধিতা করায়
৭২. মাইন বিস্ফোরিত হওয়ায় প্রচণ্ড শব্দের সাথে গাঁয়ে কী ছড়িয়ে পড়ে? গ
ক. আনন্দধ্বনি খ. গুলির আওয়াজ
গ. আর্তচিৎকার ঘ. কান্নার শব্দ
৭৩. বুধার মা-বাবা কোন রোগে মারা গেছে? ক
ক. কলেরায় খ. ম্যালেরিয়ায়
গ. হৃদরোগে ঘ. যক্ষ্মায়
৭৪. বুধার মতে কাদের একদিন এ গাঁ ছেড়ে চলে যেতে হবে? গ
ক. রাজাকারদের খ. গ্রামবাসীদের
গ. মিলিটারিদের ঘ. আলি ও শাহাবুদ্দিনকে
৭৫. কে বুধাকে ‘ছন্নছাড়া’ বলে ডাকে? খ
ক. হরিকাকু খ. নোলক বুয়া
গ. চাচি ঘ. রানি
৭৬. কে বুধাকে মোয়া-মুড়কি খেতে দেয়? গ
ক. চাচি খ. নোলক বুয়া
গ. কুন্তি ঘ. ফুলকলি
৭৭. ‘তোমার মতো কেউ ভালো না’- কুন্তি এ কথা কাকে বলেছিল? ঘ
ক. আলিকে খ. মিঠুকে
গ. ফুলকলিকে ঘ. বুধাকে
৭৮. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত কার সামনে জেগে ওঠে ভয়াবহ কুটিল রাত? ক
ক. বুধার খ. আলির
গ. শাহাবুদ্দিনের ঘ. আহাদ মুন্সির
৭৯. কার চোখ দেখতে অপূর্ব ছিল? খ
ক. কুন্তির খ. বিনুর
গ. ফুলকলির ঘ. তিনুর
৮০. কে বুধাকে স্বাধীন মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দিয়েছে? খ
ক. হরিকাকু খ. চাচি
গ. শাহাবুদ্দিন ঘ. মতিউর
৮১. ধান কাটার সময় কে বুধাকে বাবা ছাড়া কথা বলে না? ক
ক. গ য়নাল চাচা খ. হরিকাকু
গ. নোলক বুয়া ঘ. চাচি
৮২. বুধাকে কে কাকতাড়ুয়া খেলতে নিষেধ করে? খ
ক. আহাদ মুন্সি খ. রানি
গ. চাচি ঘ. কুদ্দুস
৮৩. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কোনটি? ক
ক. বুধা খ. কুন্তি
গ. আহাদ মুন্সী ঘ. শাহাবুদ্দিন
৮৪. ‘ওর কাছে পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষণি সব সমান।’- বাক্যটি থেকে বুধার কোন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়? খ
ক. বোধশক্তিহীনতা খ. দিকভ্রান্তি
গ. খ ন্নছাড়া জীবন ঘ. দুঃসাহস
৮৫. বুধার মাঝে কোনো ভয় নেই কেন? ক
ক. নিজের নিয়মে বড় হয়েছে বলে
খ. মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছে বলে
গ. মুক্তিযুদ্ধ দেখেছে বলে
ঘ. লেখাপড়া শিখেছে বলে
৮৬. খড়ের ওমে বুধার পাশে গা ডুবিয়ে ঘুমায় কোনটি? খ
ক. বিড়াল খ. কুকুর
গ. বানর ঘ. ছাগল
৮৭. কোথায় কাজ করলে বুধার চা-বিস্কুট জোটে? গ
ক. বিয়েবাড়িতে খ. ধানখেতে
গ. চায়ের দোকানে ঘ. গেরস্ত বাড়িতে
৮৮. ‘কোথায় যাচ্ছিস বুধা?’- কেউ প্রশ্ন করলে বুধা কী জবাব দেয়? ক
ক. সোনার ঘরে খ. যুদ্ধে
গ. মরতে ঘ. কাকতাড়ুয়া হতে
৮৯. বুধার মতে কারও ভেতরে কী থাকলে সে ভালো মানুষ হতে পারে? গ
ক. সাহস খ. মায়া
গ. গান ঘ. স্বপ্ন
৯০. মৃত্যুর সময় তিনুর বয়স কত ছিল? খ
ক. এক বছর খ. দেড় বছর
গ. দুই বছর ঘ. আড়াই বছর
৯১. কে বুধার কোলে উঠতে খুব ভালোবাসত? ক
ক. তিনু খ. শিলু
গ. তালেব ঘ. বিনু
৯২. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে পিঠাপিঠি ভাইবোন কারা? খ
ক. তালেব-বিনু খ. বুধা-বিনু
গ. তিনু-তালেব ঘ. বুধা-শিলু
৯৩. কোন শব্দটা বুধার শক্ত হয়ে থাকা মগজের গায়ে ঠোক্কর খায়? খ
ক. বোমা খ. কামাই
গ. মরা ঘ. মুক্তি
৯৪. কোন শব্দটা বুধার শক্ত হয়ে থাকা বুকের মাটিতে বলের মতো লাফায়? গ
ক. কামাই খ. মুক্তি
গ. বোমা ঘ. স্বাধীন
৯৫. চাচির বাড়ি ছেড়ে আসার সময় সম্পর্কের অধিকার তুলে বুধাকে বাধা দিয়েছিল কে? খ
ক. চাচি খ. কুন্তি
গ. ফুলকলি ঘ. চাচা
৯৬. ‘আমি একদিন ভীষণ ভালোভাবে আসব’- বুধা এখানে কোন সময়টা বুঝিয়েছে? ক
ক. কুন্তির বিয়ের সময়
খ. দেশের স্বাধীনতা লাভের সময়
গ. নিজের বড়লোক হওয়ার সময়
ঘ. প্রতিশোধ গ্রহণের সময়
৯৭. হরিকাকুর জালে প্রচুর মাছ উঠলে তিনি বুধাকে কী বলে ডাকেন? ঘ
ক. খ ন্নছাড়া খ. সোনাবাবা
গ. খোকন বাবু ঘ. মানিকরতন
৯৮. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত কে বেশি সওদা করতে পারলে আত্মহারা হয়ে যেত? খ
ক. হরিকাকু খ. হাশেম মিয়া
গ. গ য়নাল চাচা ঘ. সালাম চাচা
৯৯. গাঁয়ের গোবর কুড়ানি বুড়িটা বুধাকে কী নামে ডাকে? ক
ক. গোবর রাজা খ. গোবরা
গ. গবুচন্দ্র ঘ. গব্বর সিং
১০০. স্বাধীন জীবনের ছোঁয়া পেয়ে বুধা মনে মনে কার প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করে? ক
ক. চাচির প্রতি খ. নোলক বুয়ার প্রতি
গ. কুন্তির প্রতি ঘ. ফুলকলির প্রতি
১০১. বুধা কাকতাড়ুয়া হয়ে দাঁড়ালে ওর দিকে শকুন উড়ে আসে কেন? খ
ক. ওর কাঁধে বসতে খ. ওকে মৃত ভেবে
গ. ওকে ভয় দেখাতে ঘ. ওকে খাবার দিতে
১০২. মিলিটারিরা এলে বুধা আতঙ্কে কিসে মিশে যায়? খ
ক. পুকুরের পানিতে খ. ধানখেতের কাদায়
গ. পাটখেতের গভীরে ঘ. কচুরিপানার আড়ালে
১০৩. বাজার পুড়ে গেলে বুধা কোথায় থাকার সিদ্ধান্ত নেয়? গ
ক. চাচির বাড়িতে খ. স্কুলঘরে
গ. আধপোড়া বাজারে ঘ. আলির দোকানে
১০৪. বুধার চাচা কত মাস আগে কাজ খুঁজতে শহরে গিয়েছে? গ
ক. দুই মাস খ. চার মাস
গ. খ য় মাস ঘ. আট মাস
১০৫. হাবিব ভাইয়ের কাছ থেকে বুধা কোন নতুন শব্দটি শোনে? গ
ক. যুদ্ধ খ. মুক্তি
গ. গণকবর ঘ. রাজাকার
১০৬. বুধাদের গ্রামে কলেরার মহামারি কত দিন স্থায়ী ছিল? ক
ক. সাত দিন খ. দশ দিন
গ. পনেরো দিন ঘ. বিশ দিন
১০৭. বুধা কোথায় বসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনেছিল? ক
ক. কানু দয়ালের বাড়িতে খ. চাচির বাড়িতে
গ. আধপোড়া দোকান ঘরে ঘ. ধানখেতের আড়ালে
১০৮. ‘বানরের আবার চাঁদে যাওয়ার সাধ।’- মধু কেন বুধাকে এ কথা বলেছিল? ক
ক. বঙ্গবন্ধু নামে ডাকতে বলায়
খ. মিলিটারিদের প্রতিরোধ করার প্রতিজ্ঞা করায়
গ. স্বাধীনভাবে বাঁচার কথা বলায়
ঘ. মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে চাওয়ায়
১০৯. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত আলি কোন গাছের নিচে বাঁশের বেঞ্চি বসিয়ে চা বিক্রি করতে শুরু করেছে? খ
ক. নিমগাছ খ. কড়ইগাছ
গ. নারিকেলগাছ ঘ. আমগাছ
১১০. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিল? খ
ক. মতিউর খ. আহাদ মুন্সি
গ. হাশেম মিয়া ঘ. গ য়নাল চাচা
১১১. আলি ও মিঠু বুধাকে দেখে কী বুঝতে পারে? ক
ক. দেশটা স্বাধীন হবে খ. বুধার স্মৃতি হারিয়ে গেছে
গ. যুদ্ধে যাওয়ার এখনই সময়
ঘ. মুক্ত জীবন খুব আনন্দের
১১২. আহাদ মুন্সির বাড়ির পর কোথায় আগুন লাগে? খ
ক. মতিউরের বাড়িতে খ. রাজাকার কমান্ডারের বাড়িতে
গ. মিলিটারিদের ক্যাম্পে ঘ. আলির দোকান ঘরে
১১৩. বুধা রাজাকার কমান্ডারের বাড়িতে আগুন দিল কেন? খ
ক. বাবা-মাকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে
খ. যুদ্ধের অংশ হিসেবে
গ. অপমানের প্রতিশোধ নিতে
ঘ. মানসিক ভারসাম্যহীন বলে
১১৪. বুধা ফুলকলিকে কী নামে ডাকবে? খ
ক. যুদ্ধ খ. গ য় বাংলা
গ. মেশিনগান ঘ. আগুন
১১৫. ফুলকলি বুধাকে কী নামে ডাকতে চায়? ক
ক. যুদ্ধ খ. বঙ্গবন্ধু
গ. গ য় বাংলা ঘ. কাকতাড়ুয়া
১১৬. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিনের পরিচয় কোনটি? ঘ
ক. ডাক্তার খ. শিল্পী
গ. আইনজীবী ঘ. সাংবাদিক
১১৭. মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুধাকে কোনটির দায়িত্ব দেয়? খ
ক. রাজাকারের বাড়িতে আগুন দেওয়ার
খ. হানাদার ক্যাম্প রেকি করার
গ. আলি ও মিঠুকে খবর দেওয়ার
ঘ. গ্রামে মুক্তিবাহিনী গঠন করার
১১৮. বুধা মিলিটারি ক্যাম্পে যাওয়ার সময় সাথে কী নেয়? খ
ক. আম খ. পেয়ারা
গ. কলা ঘ. কমলা
১১৯. মিলিটারিরা কোথায় ক্যাম্প বানিয়েছে? ক
ক. স্কুলঘরে খ. আধপোড়া বাজারে
গ. আহাদ মুন্সির বাড়িতে ঘ. বটগাছের নিচে
১২০. মিলিটারিদের ক্যাম্পে যাওয়ার সময় বুধা সাথে করে পেয়ারা নিয়ে যায় কেন? খ
ক. মিলিটারিদের প্রতি মায়া অনুভব করায়
খ. মিলিটারিদের সাথে ভাব জমিয়ে তুলতে
গ. পেয়ারাগুলো বিষাক্ত ছিল বলে
ঘ. দূরের রাস্তায় ক্ষুধা লাগতে পারে বলে
১২১. কাদের দৃষ্টি বুধার কাছে প্রাণহীন মনে হয়? ক
ক. মিলিটারিদের খ. মুক্তিযোদ্ধাদের
গ. ভয়ার্ত মানুষদের ঘ. প্রিয় মানুষদের
১২২. মিলিটারিদের দৃষ্টি বুধার মনে ভয় ধরায় না কেন? গ
ক. বুধা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে
খ. মিলিটারিরা দয়ালু ছিল বলে
গ. দৃষ্টিতে ভাষা ছিল না বলে
ঘ. মিলিটারিদের সাথে ভাব ছিল বলে
১২৩. মিলিটারি ক্যাম্পে পৌঁছে বুধা প্রথমে কী করে? খ
ক. মিলিটারিদের পেয়ারা খেতে দেয়
খ. নিজে একটি পেয়ারায় কামড় দেয়
গ. গাছ থেকে পেয়ারা পাড়ে
ঘ. পেয়ারা খেতে চায়
১২৪. মিলিটারিরা নাম জিজ্ঞেস করলে বুধা কোন নামটি বলে? খ
ক. যুদ্ধ খ. কাকতাড়ুয়া
গ. বঙ্গবন্ধু ঘ. গোবর রাজা
১২৫. মিলিটারিরা পেয়ারা খাওয়ার সময় বুধা কী করে? খ
ক. ঘুমিয়ে নেয় খ. রেকি করে
গ. লবণ মাখিয়ে দেয় ঘ. ক্যাম্পের ভেতরে ঢোকে
১২৬. লোহার টুপি কি মানুষের মগজ খায়?- বুধা কাকে জিজ্ঞাসা করে? ক
ক. আহাদ মুন্সিকে খ. মতিউরকে
গ. গ নৈক মিলিটারিকে ঘ. শাহাবুদ্দিনকে
১২৭. আহাদ মুন্সি বুধাকে কী বানিয়ে রাখতে বলে? ক
ক. কাকতাড়ুয়া খ. মুরগি
গ. গাছ ঘ. ঘুড়ি
১২৮. আহাদ মুন্সি বুধাকে কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখার হুকুম দেয় কেন? ক
ক. শাস্তিহিসেবে খ. মজা দেখবে বলে
গ. ধানখেতের সুরক্ষার জন্য
ঘ. মিলিটারিদের বিনোদন দিতে
১২৯. ‘লোহার টুপি মানুষের মগজ খায়’- কথাটির মাধ্যমে বুধা মিলিটারিদের কোন দিকটিকে বুঝিয়েছে? গ
ক. বুদ্ধিহীনতা খ. স্মৃতিভ্রষ্টতা
গ. বিবেকহীনতা ঘ. নির্মমতা
১৩০. মিলিটারিরা কখন বুধার বাঁধন খুলে দেয়? গ
ক. সকালবেলা খ. দুপুরবেলা
গ. সন্ধ্যাবেলা ঘ. ভোরবেলা
১৩১. তিন রাজাকারের কাছে বুধাকে কিসের মতো লাগে? খ
ক. পাগলের মতো খ. ভূতের মতো
গ. মুরুব্বির মতো ঘ. আহাম্মকের মতো
১৩২. বুধা নিজের জ্বরকে কী বলেছে? গ
ক. কুমিরের জ্বর খ. বাঘের জ্বর
গ. ভালস্নুকের জ্বর ঘ. মাছের জ্বর
১৩৩. পাক মিলিটারি ক্যাম্পে বাঙ্কার খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন? ক
ক. মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত আক্রমণ ঠেকাতে
খ. গোলবারুদ লুকিয়ে রাখতে
গ. খাবার ও পানির মজুদ রাখতে
ঘ. শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে
১৩৪. মিঠুদের বাড়ি গিয়ে বুধা কী চায়? খ
ক. কেরোসিন খ. খাবার
গ. আগুন ঘ. জামা
১৩৫. মিঠুর মা বুধাকে রোজ ভাত খেয়ে যেতে বলে কেন? ঘ
ক. ঘরের কাজ করিয়ে নিতে
খ. অতিরিক্ত ভাত থেকে যায় বলে
গ. বুধা যুদ্ধ করছে বলে ঘ. মৃত ছেলের কষ্ট ভুলতে
১৩৬. মিঠুর মা বুধাকে সানকিভরা ভাতের সাথে কোন মাছের তরকারি দেয়? গ
ক. বোয়াল মাছের খ. ইলিশ মাছের
গ. টেংরা মাছের ঘ. পুঁটি মাছের
১৩৭. মিঠুদের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বুধার কার সাথে দেখা হয়? খ
ক. ফুলকলির সাথে খ. কুন্তির সাথে
গ. চাচির সাথে ঘ. আহাদ মুন্সির সাথে
১৩৮. কে বুধার সাথে যুদ্ধ করতে চায়? খ
ক. ফুলকলি খ. কুন্তি
গ. মধু ঘ. মতিউর
১৩৯. কুন্তি বুধার বাবা-মায়ের কবরের যত্ন নেয় কেন? ক
ক. বুধা খুশি হবে বলে খ. মা আদেশ করেছেন বলে
গ. তাঁরা যুদ্ধে শহিদ হয়েছেন বলে
ঘ. বুধা বলেছিল বলে
১৪০. কুন্তির মতে কিসের কথা ভাবলে যুদ্ধ করা যায় না? খ
ক. দেশের কথা খ. মরণের কথা
গ. পরিবারের কথা ঘ. ক্ষুধার কথা
১৪১. ফজু কাকা বুধাকে মাটি কাটার দলে নিতে চায় না কেন? খ
ক. বুধা মুক্তিবাহিনীর পক্ষে বলে
খ. বুধার শরীরে শক্তি কম বিবেচনায়
গ. বুধার অভিজ্ঞতা নেই বলে
ঘ. বুধা মিলিটারিদের সাথে ভাব করেছে বলে
১৪২. বাঙ্কার কাটার কাজ তদারক করে কে? খ
ক. আহাদ মুন্সি খ. মতিউর
গ. কুদ্দুস ঘ. ফজু মিয়া
১৪৩. বুধা ফজু মিয়ার কাছে বাঙ্কার দেখে আসার অনুমতি চায় কেন? খ
ক. জীবনে আর দেখার সুযোগ পাবে না বলে
খ. মাইন পুঁতে রেখে আসতে
গ. বাঙ্কারে নিজের নাম লিখে আসতে
ঘ. বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকতে
১৪৪. ফজু মিয়ার মতে বাঙ্কার মিলিটারিদের জন্য কী হবে? গ
ক. বিছানা খ. ঘর
গ. কবর ঘ. শহর
১৪৫. বুধা কাকে সালাম করে ভোঁ দৌড় দেয়? ক
ক. ফজু মিয়াকে খ. চাচিকে
গ. আহাদ মুন্সিকে ঘ. মধুর মাকে
১৪৬. শাহাবুদ্দিন ও বুধা কী খায়? গ
ক. দই-চিড়ে খ. রুটি-কলা
গ. গুড়-মুড়ি ঘ. ডাল-ভাত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
১৪৭. উপন্যাসের মধ্যে ঔপন্যাসিকের জীবনানুভূতির প্রকাশ পাওয়ার কারণ-
র. জীবনের ঘটনার আলোকে উপন্যাস রচনা করেন বলে
রর. উপন্যাসে লেখকরা নিজের ভাবনাকে মিশিয়ে দেন বলে
ররর. উপন্যাসে ঘটনার বর্ণনা থাকে বলে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৪৮. উপন্যাস রচনায় লেখকেরা কাহিনির আশ্রয় নেন-
র. নিজের কথা বলার তাগিদে রর. মনের খেয়ালে
ররর. সমাজের কথা বলার তাগিদে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৪৯. বুধা তার পরিবার-পরিজনকে হারিয়েছিল-
র. পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণে রর. কলেরার মহামারিতে
ররর. একরাতের মধ্যে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৫০. বুধা চাচির বাড়ি ত্যাগ করেছিল-
র. চাচি দারিদ্র্যের কথা তোলায়
রর. নিজের আত্মসম্মানবোধের কারণে
ররর. চাচার অত্যাচারের কারণে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৫১. বুধা মিলিটারিদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়-
র. শাহাবুদ্দিনের কথা শুনে
রর. তারা বাজারের দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়ায়
ররর. ভীষণ ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৫২. বুধার চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো-
র. দেশের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ
রর. মিলিটারিদের প্রতি ঘৃণা
ররর. অসীম সাহস
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৫৩. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধা ভীষণ সাহসী হওয়ার কারণ-
র. দেশের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ
রর. একা একা বেড়ে ওঠা
ররর. মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৫৪. বুধার কাছে রাতদিন সমান হওয়ার কারণ-
র. ওর নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা নেই
রর. সবাই ওকে পাগল বলে তাই
ররর. ওর কোনো পিছুটান নেই
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৫৫. বুধা নিজের নিয়মে বড় হওয়ার কারণে-
র. ভয় ওকে কাবু করতে পারে না
রর. মিলিটারি ক্যাম্প উড়িয়ে দেয়
ররর. চারদিকে খোলা চোখে তাকাতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৫৬. গাঁয়ের লোকের মতে বুধা শক্ত হয়ে গেছে-
র. চোখের সামনে বাবা-মাকে মরতে দেখে
রর. প্রচণ্ড শোকের আঘাতে
ররর. মিলিটারির হত্যাকাণ্ড দেখে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৫৭. বুধা তিনুর গায়ে হাত দিয়ে শিউরে ওঠে-
র. গা ঠাণ্ডা হয়ে গেছে দেখে রর. প্রচণ্ড জ্বর হয়েছে দেখে
ররর. তিনুর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৫৮. বুধা চাচির বাড়ি থেকে চলে আসার সময় কুন্তি তাকে বাধা দেয়-
র. নিজের খারাপ লাগবে বলে রর. কুন্তি তাকে ভালোবাসে বলে
ররর. মিলিটারি মেরে ফেলবে বলে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৫৯. হাশেম মিয়া ডালাভরা বাজার করতে পারলে-
র. আনন্দে আত্মহারা হয় রর. বুধাকে বাজার নিয়ে যেতে যায়
ররর. বুধাকে বাসায় খেতে ডাকে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬০. “তুমি যেয়ো না বুধা ভাই” কুন্তির এই উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে-
র. ভালোবাসা রর. অসহায়ত্ব
ররর. মিনতি
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬১. নোলক বুয়া বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়-
র. মিলিটারির ভয়ে রর. বুধার অত্যাচারে
ররর. অজানার উদ্দেশ্যে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬২. নোলক বুয়া বুধাকে সাথে করে নিয়ে যেতে চায়-
র. গ্রাম ছেড়ে অজানা আশ্রয়ে
রর. মিলিটারির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য
ররর. মুড়ি ভাজায় সহায়তার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৩. ‘নিজের বোঝা নিজে বইব’ বুধার এই বক্তব্যে প্রকাশ পায়-
র. অহংকার রর. সাহস
ররর. আত্মবিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৪. বুধা মিলিটারিদের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে-
র. আধপোড়া বাজার দেখে রর. গণকবর দিতে গিয়ে
ররর. আহাদ মুন্সিকে দেখে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৫. বুধা চাচির প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে-
র. চাচি ওকে মুক্তির কথা বলায়
রর. চাচি স্বাধীন মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেয়ায়
ররর. চাচি পান্তা ভাত খেতে দেওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৬. গাঁয়ের টাকাওয়ালা মানুষগুলো মিলিটারিদের খুশি করতে চায়-
র. পালিয়ে যাওয়া লোকদের জমি দখল করে
রর. ঘনঘন যোগাযোগ রেখে
ররর. ক্যাম্পে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য পাঠিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৭. মিলিটারিরা গাঁয়ের লোকদের ধরে নিয়ে যায়-
র. নিজেদের খেয়াল খুশিমতো
রর. রাজাকার বাহিনীতে ভর্তি করার
ররর. ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৮. গাঁয়ের কিছু মানুষের ওপর বুধার ঘৃণা বাড়তে থাকে-
র. মিলিটারিদের সহযোগিতা করার কারণে
রর. ঘনঘন মিলিটারিদের ক্যাম্পে যাতায়াত করার কারণে
ররর. আহাদ মুন্সির দলে যোগ না দেওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৯. আলি কড়ইগাছের নিচে বাঁশের বেঞ্চি বানিয়ে চা বিক্রি শুরু করে-
র. মিলিটারিরা তার দোকান পুড়িয়ে দেওয়ায়
রর. দোকান বানানোর টাকা না থাকায়
ররর. মিলিটারিদের তাড়িয়ে দোকান বানানোর প্রতিজ্ঞা করায়
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭০. বুধা আহাদ মুন্সির বাড়ি পুড়িয়ে দেয়-
র. আহাদ মুন্সি গরু চরানোর কাজ দিতে চাওয়ায়
রর. দেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায়
ররর. আহাদ মুন্সি মিলিটারিদের সহায়তা করায়
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭১. আলি ও মিঠু রাতেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে চায়-
র. আহাদ মুন্সি ও তাদের সন্দেহ করবে ভেবে
রর. মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য
ররর. বুধা তাদের কথা মিলিটারিকে বলে দেবে ভেবে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭২. আলি ও মিঠু মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিতে যায়-
র. দেশপ্রেমের টানে রর. আহাদ মুন্সির ভয়ে
ররর. মিলিটারি ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়ার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৩. বুধা ফুলকলিকে আতাফুফুর বাড়িতে নিয়ে যায়-
র. ঘুমানোর জন্য
রর. ফুলকলিকে রাজাকার কমান্ডার বের করে দেওয়ায়
ররর. বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনানোর জন্য
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৪. রাজাকাররা বুধাকে সন্দেহ না করার কারণ-
র. বুধার বয়স কম ছিল বলে রর. বুধাকে পাগল ভেবে
ররর. বুধা এতিম বলে
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৫. মিলিটারিরা ক্যাম্পে বাঙ্কার বানায়-
র. সতর্কতার জন্য
রর. নদীপথে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ করবে ভেবে
ররর. যুদ্ধ করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৬. শাহাবুদ্দিন বুধাকে মাইন দিয়ে যায়-
র. মিলিটারি ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়ার জন্য
রর. বাঙ্কারের মাটির নিচে পুঁতে রাখার জন্য
ররর. আহাদ মুন্সির বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৭. শাহাবুদ্দিন মাইন দিয়ে যাওয়ার পর সারা রাত বুধা আর ঘুমায় না-
র. মিলিটারির ভয়ে রর. প্রতিশোধের উত্তেজনায়
ররর. ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়ার আনন্দে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৮. মিঠুর মা চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে- গ
র. মধুর কথা মনে পড়ায় রর. পুত্র হারানোর শোকে
ররর. মিঠুর মৃত্যুসংবাদ শুনে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৯. বুধা দৌড়ে মাটি কাটার দলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়-
র. বাঙ্কার খুঁড়তে বাধা দেওয়ার জন্য
রর. তাদের সাথে যাওয়ার জন্য
ররর. নিজের কৌশল বাস্তাবায়নের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮০. আহাদ মুন্সির ছেলে বুধার ওপর খুশি হয়-
র. বুধার কাজের দক্ষতা দেখে রর. বুধার কাজের আগ্রহ দেখে
ররর. বুধার ভদ্র ব্যবহার দেখে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৮১ ও ১৮২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাবা-মা মারা যাওয়ায় রতন মামার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মামি রতনকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে মামাকে বকতে থাকে। রতন আড়াল থেকে সব শুনতে পায় এবং বাড়ি থেকে চলে যায়।
১৮১. উদ্দীপকের রতনের আচরণে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়? খ
ক. কুন্তি খ. বুধা
গ. হরিকাকু ঘ. আলি
১৮২. উক্ত মিল থাকার কারণ-
র. আত্মসম্মানবোধ রর. দেশপ্রেম
ররর. স্বাধীনচেতা মনোভাব
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৮৩ ও ১৮৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাতুল মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র দেখছিল। সেখানে সে দেখে একদল মিলিটারি এসে একটি গ্রামের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। বিনা কারণে নিরীহ মানুষজনের ওপর এই অত্যাচার দেখে রাতুল ক্ষুব্ধ হয়।
১৮৩. উদ্দীপকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন ঘটনার ইঙ্গিত রয়েছে? ক
ক. বাজার পোড়ানোর ঘটনা
খ. আহাদ মুন্সির বাড়ি পোড়ানোর ঘটনা
গ. ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা
ঘ. বুুধাকে কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখার ঘটনা
১৮৪. উদ্দীপকের রাতুলের মাঝে উপন্যাসের বুধার চেতনার প্রকাশ ঘটেছে। কেননা-
র. রাতুলের মাঝে দেশপ্রেম রয়েছে
রর. রাতুল অন্যায়কে মেনে নিতে পারেনি
ররর. রাতুল বুধার মতোই প্রতিশোধপরায়ণ
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৮৫ ও ১৮৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সম্প্রতি মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অনেক রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। পিতৃমাতৃহীন কিশোর সালাম হোসেন পাশের বাড়ির রহিমা খালার কাছে গিয়ে দেখে তিনিও সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছেন। রহিমা খালা সালামকে তার সাথে যাওয়ার কথা বললে সে রহিমা খালার সাথে অজানার পথে পাড়ি জমায়।
১৮৫. উদ্দীপকের রহিমা খালার মাঝে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে? গ
ক. কুন্তি খ. আতাফুফু
গ. নোলক বুয়া ঘ. বুধার চাচি
১৮৬. উদ্দীপকের সালাম উপন্যাসের বুধার প্রতিনিধি নয়। কারণ-
র. তার মাঝে প্রতিবাদী চেতনা নেই
রর. তার মাঝে দেশপ্রেম নেই
ররর. সে পালিয়ে গেছে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৮৭ ও ১৮৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
কামাল মুক্তিযুদ্ধের সময় যুবক ছিল। পাকিস্তানি মিলিটারি ২৫ মার্চ নৃশংস গণহত্যা চালালে কামাল তা দেখে ক্ষুব্ধ হয়। সে প্রতিজ্ঞা করে ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার। এজন্য সবাই এলাকা ছেড়ে পালালেও সে পালায় না।
১৮৭. উদ্দীপকের কামালের সাথে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে? গ
ক. হরিকাকু খ. ফুলকলি
গ. বুধা ঘ. আহাদ মুন্সি
১৮৮. উক্ত চরিত্রের মতোই উদ্দীপকের কামালের মাঝে প্রকাশ পেয়েছে-
র. দেশের মানষের প্রতি ভালোবাসা
রর. বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা
ররর. একাকিত্বের যাতনা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৮৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রবীর দশম শ্রেণির ছাত্র। সে বাবা-মা ও দুই ভাইবোনের সাথে একটি দোতলা বাসায় থাকে। একদিন রাতে ভূমিকম্পে বাসাটি ভেঙে পড়ে। প্রবীর ও তার পরিবারের সবাই ছাদের নিচে চাপা পড়ে। প্রবীর ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও মারা যায় পরিবারের সবাই। সেই থেকে প্রবীর মানসিক রোগী।
১৮৯. উদ্দীপকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন ঘটনার ইঙ্গিত রয়েছে? গ
ক. বাজার পোড়ানোর ঘটনা
খ. আহাদ মুন্সির বাড়ি পোড়ানোর ঘটনা
গ. বুধার পরিবার-পরিজন হারানোর ঘটনা
ঘ. ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৯০ ও ১৯১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সেবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে শিমুলতলী অঞ্চল ধ্বংস হয়ে যায়। অসংখ্য মানুষ মারা যায় সেই ধ্বংসলীলায়। এলাকায় যে কজন বেঁচে ছিল তারা লাশগুলোকে একই গর্তে মাটিচাপা দেয়।
১৯০. উদ্দীপকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন ঘটনার ইঙ্গিত রয়েছে? গ
ক. বাজার পোড়ানো খ. বুধার পরিজন হারানো
গ. বুধার গ্রামে গণকবর দেওয়ার ঘটনা
ঘ. ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়া
১৯১. উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসকে প্রতিফলিত করে নি। কারণ- ক
র. উভয়ের প্রেক্ষাপট ভিন্ন
রর. উভয়ই ভিন্ন উদ্দেশ্যে রচিত
ররর. উপন্যাসে দুঃখের স্মৃতির বর্ণনা নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৯২ ও ১৯৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সালামত মাতবর একজন ধুরন্ধর মানুষ। তাদের এলাকায় মিলিটারি ক্যাম্পে বানালে সে ক্যাম্পে যাতায়াত করে। সেখানে দুধ, মিষ্টি, মুরগি ইত্যাদি বিভিন্ন খাবার পাঠায়। মিলিটারির সাথে ভাব জমিয়ে সে এলাকায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল মাস্টারকে হয়রানি করে।
১৯২. উদ্দীপকের সালামত মাতবর ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কার প্রতিনিধি? গ
ক. বুধা খ. শাহাবুদ্দিন
গ. আহাদ মুন্সি ঘ. মিঠু
১৯৩. উপন্যাসের বুধার দৃষ্টিতে ঘৃণার পাত্র- ক
র. উদ্দীপকের মিলিটারি
রর. উদ্দীপকের সালামত মাতবর
ররর. উদ্দীপকের কামাল মাস্টার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
WordsMeaningsSynonyms antonymsouterবাইরেরoutmostinnerproletarianদরিদ্র/সর্বহারাWorking-classmorallaunchশুরু করাIntroductionwithdrawpreparingপ্রস্তুতিGet-readydoubtfaultlesslyনির্দোষভাবেabsolutelyfaultynauseaবমিবমিভাবvomitingheadachediscomfortঅসস্তিupsetcomfortmaintainedবজায় করাsustainuselessLaterকরেnextearlierdynamicগতিশীলAggressivestaticplanপরিকল্পনাproposaldisorderaimলক্ষGoalaimlessdirectionনিদ্ধেশনাInstructionnoticeprofessionপেশাJobjoblesssuitsআকারFormnothingaptitudeযোগ্যতাAttitudedislikevaryপরিবর্তীতVariousfixeducatedশিক্ষিতLearneduneducatedcitizenনাগরিকnativeforeignervirtueপূর্ণgoodnessevilA lotঅনেকhugelittlecourteousবিনয়ীpoliterudediscourtesyঅবিনয়ীrudenesscourteouswinজয় করাgainloseenemyশত্রুfoefriendensureনিশ্চিত করাconfirmcancelangerরাগtempercalmnessremoveঅপসারণcancelputcordialityসোহার্দrudenessdiscordialitydifferentভিন্নDissimilarsameseeksঅনুসন্ধানPursuefindeagerআগ্রহীinterestdisinterestedobservationপর্যবেক্ষণExaminationneglectmereএকমাত্রImmenseabnormalalertসতর্কWatchfulunawarelatentসুপ্তOpenrealizedinstructorsপ্রশিকক্ষকteacherstudentguideগাইডmentormisguidewayপথ/উপায়Pathpartfascinatingচমৎকারexcellentunattractiveinterestআগ্রহীeagerdisregardimpatientঅধৈয্যIntolerancepatientillogicalঅযোক্তিকunethicalLogicalindifferentউদাসীনUninteresteddifferentethicallyনৈথিকভাবেlawfullyUnethicalGood-lookingচমৎকারAttractiveUnattractiveDarkঅন্ধকারBlackbrightFlawlessস্থিরperfectflawedShinyউজ্জল্যbrightdarkSlenderসরুthinfatGracefulকরুনাময়elegantungracefulStylishlyআড়ম্বরপূর্ণভাবেattractivesimplyAppreciatesপ্রশংসা করেpriesCriticizeNoticeলক্ষ করেadvertisementoverlookAmbitionউচ্ছাকাঙকাAim/desirelazinessRequireপ্রয়োজনneedanswerProficiencyদক্ষতাskilledincompetenceWonderআশ্চয্যSurprisedisinterestTestedপরীক্ষীতverifiednewEquallyসমানভাবেsimilarlyUnequallyDisappointingহতাশাজনকInceptingappointingPresumablyসম্ভবতdoubtlesslyimprobableQualifyযোগ্যতাcertifyDisqualifywrongভুলmistakewriteIdealআদর্শModelbadMasterদক্ষTeacherStudentMakesতৈরীcreateBreak/destroyMethodপদ্ধতিSystemdifferenceConvincingবিশ্বাসীsatisfactoryUnconvincingPraisesপ্রশাংসা করেhurrahCriticizeMistakeভুলErrorsagacityAngryরাগevilcalmSimpleসাধারণgeneralComplexmoralনৈতিকethicalamoralAcceptedগৃহিতreceivedrejectedSincerityআন্তরিকতাGood-willinsincerityResponsibilityদায়িত্বdutiesdepartureComplexityজটিলতাcomplicationSimplicityEnvyহিংসাlastedpraiseVicesমন্দevilVirtueImpactsপ্রভাবeffectfailsAwarenessসতর্কতাalertnessunawarenessOut-comeবাহিরের দিকresultcauseimportanceগুর্ত্বপূর্ণsignificanceinsignificanceFriendবন্দুenemyfoeNeedপ্রয়োজনcommitment/necessaryavoidSympathyসহানুভুতিkindnessrudenessProveপ্রমানconfirmdisproveFalseমিথ্যাwrongtrueHarmক্ষতিকরlosshelpLaughহাসাburstcryPleasureআনন্দhappinesssadnessBringআনাcarryleaveideaধারণাconceptnothingAllowঅনুমতিpermitdenyFreedomস্বাধীনতাindependencebondageOpinionমতামতviewawarenessFairমেলাcleanunfairEqualসমানbalancedunequalDivisionবিভাগdistributionunionElectনির্বাচন করাvoterefuseSystemনিয়ম-নীতিprocesspartTreatmentচিকিৎশা করাcuringhurtFacilityসুবিধাadvantagepainNeverকখন নয়NotingAlwaysWeakerদুর্বলrottenstrongerDiscourageনিরুৎসাহিতdroopEncourageFrustratingহতাশাজনকBuffaloingsatisfyingInterestআগ্রহীeagernessdiscourageAbilityসক্ষমতাCapabilityinabilityDreamস্বপ্নfancyfactBestসবচেয়ে ভালfinestworstSuccessসফলতাachievementfailureachieveঅর্জন…
আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক…
Model Question 1 Part-I : Marks 60 1. Read the passage and answer the questions…
পঞ্চম অধ্যায় দেবদেবী ও পূজা এ অধ্যায়ে আমরা পূজা, পুরোহিতের ধারণা ও যোগ্যতা, দেবী দুর্গা,…
চতুর্থ অধ্যার হিন্দুধর্মে সংস্কার আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয…
তৃতীয় অধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয়…
This website uses cookies.