SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-দ্বিতীয় অধ্যায় হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস, উৎপত্তি ও বিকাশ-প্রথম পরিচ্ছেদ- সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
দ্বিতীয় অধ্যায়
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস, উৎপত্তি ও বিকাশ
প্রথম পরিচ্চছেদ
গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে হিন্দুধর্ম। বিশ্বাসসমূহের মধ্যে ঈশ্বরে বিশ্বাস হচ্ছে মৌল বিশ্বাস। ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ, সর্বত্র বিরাজিত, তিনি এক, অভিন্ন, অনন্য পরমসত্তা। তিনি একাধিক নন। এই যে, এক ঈশ্বরে বিশ্বাস, একেই বলে একেশ্বরবাদ। তিনি নিরাকার, তবে প্রয়োজনে সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। যেমন- ঈশ্বরের অবতারগণ। এঁদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পূজা-অর্চনার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ঈশ্বরের কোনো গুণ বা শক্তিকে ঈশ্বর যখন আকার দেন, তখন তাঁকে দেবতা বা দেবদেবী বলে। তবে দেবদেবী ও অবতারগণ সবাই এক পরমেশ্বরের বিভূতি এবং শক্তির প্রকাশক। দেবদেবীর আরাধনার মধ্য দিয়ে ভক্ত ঈশ্বরের করম্নণা পেয়ে থাকে। কেননা, ঈশ্বরের বিভিন্ন শক্তির প্রকাশ হিসেবে দেবদেবীর আবির্ভাব আর অবতাররূপে তো স্বয়ং ভগবানই পৃথিবীতে নেমে আসেন। তাই বিভিন্ন অবতার, দেবদেবী একই ব্রহ্ম বা ঈশ্বরের সাকার রূপ। হিন্দুধর্মে জীবনকে সার্থক ও গৌরবময় করার জন্য ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস এই চতুরাশ্রম বা চারটি স্তরের কথা বলা হয়েছে। কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ-এর যেকোনো একটি নিষ্ঠার সঙ্গে অনুশীলন করলেই মানুষ মুক্তিলাভ করতে পারে। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা সাধন জীবনের এই স্তরগুলো জেনে অনুশীলন করে জীবনকে সুন্দর, সার্থক করে তুলতে পারেন।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংযোগকে কী বলে?
ক যোগশাস্ত্র >যোগসাধনা
গ যোগ দর্শন ঘ যোগাঙ্গ
২. সন্ন্যাস শব্দের অর্থ কী?
>সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ খ কর্ম পরিত্যাগ
গ গৃহত্যাগ ঘ ভোগাকাক্সক্ষা ত্যাগ
৩. গার্হস্থ্য কলিযুগের জন্য উত্তম আশ্রম, কারণ-
র. এর মধ্যে থেকে মানুষ সমাজের প্রতি তার কর্তব্য পালন করে
রর. জাগতিক সকল কর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বর চিন্তাতেই মগ্ন থাকেন
ররর. এতে মানুষের জীবন সার্থক ও কল্যাণময় হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর
>র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪, ৫ ও ৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গোবিন্দ বাবু একজন সাধারণ গৃহস্থ। সংসারে সন্তান প্রতিপালন ও অর্থ উপার্জন সকল ড়্গেেত্রই তিনি ঈশ্বরে কর্মফল অর্পণ করে কর্ম করার চেষ্টা করেন। এটাই তার জীবনের মূল লড়্গ্য। কিন্তু মাঝে মাঝে বৃদ্ধ বয়সে তার ভরণপোষণের দায়িত্ব তার সন্তানরা নেবে কিনা এটা ভেবেও শঙ্কিত হন।
৪. ঈশ্বরে কর্মফল অর্পণে গোবিন্দ বাবুর মূল লড়্গ্য ছিল কোনটি?
ক জ্ঞান খ ভক্তি
>মোক্ষ ঘ কর্ম
৫. লড়্গ্য অর্জনের জন্য গোবিন্দ বাবুর করণীয়-
র. নিষ্কাম কর্ম
রর. সকাম কর্ম
ররর. আবশ্যিক কর্ম
নিচের কোনটি সঠিক?
>র খ রর
গ র ও রর ঘ রর ও ররর
৬. গোবিন্দ বাবুর অভীষ্ট লড়্গ্য অর্জিত না হওয়ার কারণ কী?
ক বিষয়প্রীতি খ সন্তানপ্রীতি
>ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার চিন্তা ঘ ঈশ্বর সাধনায় মনোযোগহীনতা
ভূমিকা [পৃষ্ঠা : ১৭]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭. হিন্দুধর্মের মৌল বিশ্বাস কোনটি? (জ্ঞান)
ক দেবতায় বিশ্বাস খ অবতারে বিশ্বাস
>ঈশ্বরে বিশ্বাস ঘ ধর্মগ্রন্থে বিশ্বাস
৮. ঈশ্বরের সাকাররূপের উদাহরণ হিসেবে কাদের কথা বলা যায়? (অনুধাবন)
ক অসুরগণ খ মুনি-ঋষিগণ
গ প্রাণিকুল >অবতারগণ
৯. হিন্দুধর্মাবলম্বীরা পূজা-অর্চনা করে কেন? (অনুধাবন)
ক পুণ্যলাভের জন্য খ স্বর্গলাভের জন্য
>ঈশ্বরের সাকার রূপের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঘ ধনসম্পদের জন্য
১০. ঈশ্বর যখন তার কোনো গুণ বা শক্তিকে আকার দেন তখন তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ধর্মগ্রন্থ খ অবতার
গ ঋষি >দেবদেবী
১১. দেবদেবীর আরাধনা করে ভক্তরা কী লাভ করেন? (্জ্ঞান)
ক দেবতার আশীষ >ঈশ্বরের করম্নণা
গ অঢেল ঐশ্বর্য ঘ সুখশান্তি
১২. ঈশ্বরের শক্তির প্রকাশ হিসেবে কাদের আবির্ভব ঘটে? (জ্ঞান)
ক পুরোহিত খ মুনি-ঋষি
>দেবদেবী ঘ আর্য-ব্রাহ্মণ
১৩. স্বয়ং ভগবান কিরূপে পৃথিবীতে নেমে আসেন? (জ্ঞান)
ক দেবদেবী >অবতার
গ ব্রাহ্মণ ঘ মহাত্মা
১৪. বিভিন্ন অবতার ও দেবতাগণ ঈশ্বরের কোন রূপের প্রকাশক? (জ্ঞান)
ক নিরাকার >সাকার
গ বিশেষ ঘ আংশিক
১৫. ঈশ্বরের রূপ কী? (জ্ঞান)
ক সাকার খ বিশ্বাসযোগ্য
গ ধর্মকেন্দ্রিক >নিরাকার
১৬. ঈশ্বরের শক্তির প্রকাশ কারা? (জ্ঞান)
ক প্রাণিকুল খ মৎস্যকুল
>দেবদেবী ঘ পশুকুল
১৭. হিন্দুধর্মের মূলে কে? (জ্ঞান)
ক শিব খ মহেশ্বর
>ঈশ্বর ঘ বিষ্ণু
১৮. ঈশ্বরের গুণ বা ক্ষমতার কোনো আকার বা রূপকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক অবতার খ মহেশ্বর
>দেবদেবী ঘ ব্রহ্ম
১৯. দেবতা বহু হলেও ঈশ্বর কতজন? (অনুধাবন)
ক এক খ অদ্বিতীয়
গ দুই >এক ও অদ্বিতীয়
পাঠ-১ ও ২ : একেশ্বরবাদ [পৃষ্ঠা : ১৮]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২০. একেশ্বরবাদ কী? (জ্ঞান)
[সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর; সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
>এক ঈশ্বরে বিশ্বাস খ দেবদেবীর প্রতি বিশ্বাস
গ একাধিক ঈশ্বরে বিশ্বাস ঘ প্রকৃতির প্রতি বিশ্বাস
২১. বেদ ও উপনিষদের বর্ণনা মতে ঈশ্বরের রূপ কী? (জ্ঞান)
ক বহুরূপী >এক ও অদ্বিতীয়
গ দেবতারূপী ক অবতাররূপী
২২. এক ঈশ্বরে বিশ্বাসকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ঈশ্বরবাদ খ ধ্যান
>একেশ্বরবাদ ঘ ঈশ্বরপ্রেম
২৩. দেবদেবীর উপাসনা হিন্দুধর্মের কেমন দিক? (জ্ঞান)
ক সাধারণ >বিশেষ
গ লক্ষণীয় ঘ আংশিক
২৪. দেবদেবীগণ ভিন্ন ভিন্ন শক্তির পরিচায়ক হলেও তাঁদের শক্তির সম্মিলিত কেন্দ্র কে? (অনুধাবন)
ক প্রকৃতি খ বিশ্বাস
>ঈশ্বর ঘ ভক্তকুল
২৫. কোন বেদে অগ্নি, ইন্দ্র, বায়ু, ঊষার স্তুতি রয়েছে? (জ্ঞান)
>ঋগ্ খ সাম
গ যজু ঘ অথর্ব
২৬. ‘একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি’ – কোথায় বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
[জামালপুর জিলা স্কুল; পাবনা জিলা স্কুল]
ক রামায়ণে খ অথর্ববেদে
>ঋগ্বেদে ঘ মহাভারতে
২৭. ‘নেহ নানা¯ন্তিকিঞ্চন’-কথাটি কোন গ্রন্থে আছে? (জ্ঞান)
[কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
ক ঋঙ্গবেদে >কঠোপনিষদে
গ রামায়ণে ঘ পুরাণে
২৮. ‘নেহ নানা¯ন্তিকিঞ্চন’-এ কথার অর্থ কী? (জ্ঞান)
[খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ঈশ্বরের বহুরূপ বিদ্যমান >ব্রহ্ম এক ও অদ্বিতীয়
গ ব্রেহ্মর ক্ষমতা অসীম ঘ দেবদেবীতেই ঈশ্বর প্রকাশিত
২৯. ‘প্রভবঃ প্রলয়ঃ স্থানং নিধানং বীজমব্যয়ম’- কোন গ্রন্থে উলেস্নখ আছে? (জ্ঞান)
ক বেদে খ পুরাণে
>শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাতে ঘ রামায়ণে
৩০. গীতায় কার সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘তিনিই জগতের নিধান-আধার ও আশ্রয়? (অনুধাবন)
ক দেবদেবী খ অর্জুন
>ঈশ্বর ঘ অবতার
৩১. ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের সাধনা কেমন ছিল? (জ্ঞান)
ক একমুখী >বহুমুখী
গ ধর্মমুখী ঘ জীবনমুখী
৩২. দেবতার আরাধনা ও ব্রহ্ম সাধনার সমন্বয় চেতনার প্রকাশ রয়েছে কার আরাধনায়? (জ্ঞান)
ক রামমোহন রায়ের গ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর
>ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঘ ভক্তিবেদান্ত স্বামীর
৩৩. হিন্দুধর্মে বহু দেবদেবীর পূজা মূলত কী? (অনুধাবন)
ক ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা খ দেবতার সন্তুষ্টি কামনা
গ ধর্মবিশ্বাসের বিষয় >এক পরমেশ্বরের উপাসনা
৩৪. একেশ্বরবাদ হিন্দুধর্মের কোন ধারণা? (অনুধাবন)
ক ব্যক্তিগত বিশ্বাস খ সামাজিক বিশ্বাস
গ আচরিক বিশ্বাস >ধর্মীয় বিশ্বাস
৩৫. হিন্দুধর্মাবলম্বীরা নিঃসন্দেহে কিসে বিশ্বাসী? (অনুধাবন)
ক ধর্ম-কর্মে খ দেবতায়
>একেশ্বরবাদে ঘ অবতারে
৩৬. ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। এ বিশ্বাসকে কী বলা হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অদ্বৈতবাদ >একেশ্বরবাদ
গ অবতার বাদ ঘ বহু ঈশ্বরবাদ
৩৭. প্রতিভা ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু ও ঊষার স্তুতি করেন। এদের সম্মিলিত শক্তির কেন্দ্রটি কে? (প্রয়োগ)
>ঈশ্বর খ দুর্গা
গ প্রকৃতি ঘ কালী
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৮. ঋগ্বেদ পাঠে যেসব দেবদেবীর স্তুতি সম্পর্কে জানা যায় – (অনুধাবন)
[ময়মনসিংহ জিলা স্কুল]
র. ইন্দ্র ও অগ্নি
রর. বায়ু ও ঊষা
ররর. গণেশ ও কার্তিক
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯. হিন্দুধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পর্যালোচনায় পাওয়া যায় (অনুধাবন)
র. বহু দেবদেবীর উপাসনা
রর. বহু ঈশ্বরের ধারণা
ররর. একেশ্বরবাদের চিন্তা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০. মানুষ একাগ্রচিত্তে দেবদেবীর আরাধনা করেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঈশ্বরের নৈকট্য অর্জনের জন্য
রর. দেবদেবীর শক্তি লাভ করার জন্য
ররর. ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১. দেবদেবীর এক পরমেশ্বরেরইÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভিন্ন ভিন্ন গুণের প্রকাশ
রর. ভিন্ন ভিন্ন শক্তির প্রকাশ
ররর. ভিন্ন ভিন্ন সাফল্যের প্রকাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪২ ও ৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
উজ্জ্বল ভাদুরী একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। ঈশ্বরের গুণ ও শক্তি সম্পর্কে তার আগ্রহের শেষ নেই। একক শক্তিধর ঈশ্বর সম্পর্কে তিনি গীতা থেকে পাঠ করছিলেন-‘প্রভাবেঃ প্রলয়ঃ স্থানং নিধানং বীজমব্যয়ম’।
৪২. উজ্জ্বল ভাদুরী ঈশ্বরের কোন কোন রূপ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? (প্রয়োগ)
ক সৃষ্টি ও ধ্বংস >অবতার ও দেবদেবী
গ স্বর্গ ও মর্ত্য ঘ সাকার ও নিরাকার
৪৩. উজ্জ্বল ভাদুরীর পাঠ করা শেস্নাকের তাৎপর্যÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঈশ্বরের দ্বারা জগতের উৎপত্তি
রর. ঈশ্বরই জগতের আধার
ররর. ঈশ্বরই জগতের আশ্রয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
পাঠ-৩ ও ৪ : অবতারবাদ [পৃষ্ঠা : ১৯]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৪. হিন্দুধর্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী? (জ্ঞান)
ক বিবর্তনবাদে বিশ্বাস >অবতারবাদে বিশ্বাস
গ ব্রাহ্মণ্যবাদে বিশ্বাস ঘ সামাজিকতায় বিশ্বাস
৪৫. অবতারবাদ কোন ধর্মের অন্যতম বিশ্বাস? (জ্ঞান)
[আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
>হিন্দু খ বৌদ্ধ
গ খ্রিষ্ট ঘ ইসলাম
৪৬. ‘অবতার’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক অবকাশ যাপন >অবতরণ করা
গ অবস্থান করা ঘ আরোহণ করা
৪৭. স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষার জন্য কোন ব্যবস্থা রেখেছেন? (জ্ঞান)
ক কর্মযোগ >ধর্ম অনুশীলন
গ দেবতার আগমন ঘ অবতার পূজা
৪৮. ধর্মের গুণ কেমন? (অনুধাবন)
ক পরিচিত খ সাধারণ
>অসাধারণ ঘ সামান্য
৪৯. ‘ধর্মো রক্ষতি রক্ষতিঃ’-এ কথাটি অর্থ কী? (অনুধাবন)
ক ধর্ম রক্ষাই মূল অনুশীলন >ধর্ম ধার্মিককে রক্ষা করে
গ ধর্ম করে ধার্মিক হও ঘ ধর্ম সৃষ্টি ও রক্ষাকারী
৫০. কোন সমাজে মাঝে মাঝে ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা দেখা দেয়? (জ্ঞান)
ক দেব সমাজে খ আধুনিক সমাজে
গ বৈদিক সমাজে >মনুষ্য সমাজে
৫১. মাঝে মাঝে ধার্মিকদের জীবনে কী নেমে আসে? (জ্ঞান)
ক জ্ঞানের সম্ভাবনা খ অভিশাপ
>নিপীড়ন-নির্যাতন ঘ রোগ-ব্যাধি
৫২. দুষ্কৃতকারীদের কোন কাজ সমাজকে কলুষিত করে? (জ্ঞান)
ক গালাগালী খ ধর্মহীনতা
গ শক্তিপ্রদর্শন >অত্যাচার-অনাচার
৫৩. ভগবান স্বয়ং বা দেবদেবী ভগবানের অপ্রাকৃত নিত্য ধাম থেকে নেমে আসলে তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক নবসৃষ্টি >অবতার
গ দেবতা ঘ মহাত্মা
৫৪. অবতার সম্পর্কে দার্শনিক চিন্তা-ভাবনাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক দেবত্ববাদ খ ঈশ্বরবাদ
>অবতারবাদ ঘ সৃষ্টিবাদ
৫৫. কোন যুগে অবতারবাদের সূচনা ঘটে? (জ্ঞান)
ক বৈদিক যুগে খ আধুনিক যুগে
গ রামায়ণের যুগে >পৌরাণিক যুগে
৫৬. অনন্ত শক্তিধর ঈশ্বর কোন দেহ ধারণ করে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন? (জ্ঞান)
ক জড়দেহ >জীবদেহ
গ আলোকদেহ ঘ গ্রন্থদেহ
৫৭. ঈশ্বর কেমন সত্তা? (জ্ঞান) [সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ]
ক অচৈতন্যময় খ ধ্বনিময়
>চৈতন্যময় ঘ শক্তিময়
৫৮. কে অসীম সসীম সকল অবস্থাতেই থাকতে পারেন? (জ্ঞান)
ক দেবগণ খ মানুষ
গ রামচন্দ্র >ঈশ্বর
৫৯. ঈশ্বরের স্থূল দেহ ধারণকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ক যোগবিদ্যা খ বিদ্যাশ্রয়
গ দিব্যলীলা >মায়ার খেলা
৬০. অবতার কয় পর্যায়ের হয়ে থাকে? (জ্ঞান)
[মতিঝিল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক দুই >তিন
গ চার ঘ পাঁচ
৬১. ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর-এ তিনটি ঈশ্বরের কেমন রূপ? ( অনুধাবন)
ক অবতাররূপ > দেবতারূপ
গ শক্তিরূপ ঘ মহিমারূপ
৬২. ঈশ্বর কোনরূপে সৃষ্টি করেন? (জ্ঞান)
>ব্রহ্মা খ বিষ্ণু
গ মহেশ্বর ঘ দুর্গা
৬৩. ঈশ্বরের সংহারক রূপ কোনটি? (জ্ঞান)
>ব্রহ্মা খ বিষ্ণু
গ মহেশ্বর ঘ দুর্গা
৬৪. ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে কোন অবতার বলা যায়? (অনুধাবন)
ক লীলাবতার খ কূর্মাবতার
গ আবেশাবতার >গুণাবতার
৬৫. ঈশ্বর পৃথিবীতে মৎস্য, কূর্ম, বরাহ প্রভৃতি স্থূল দেহধারী জীবের মূর্তি ধারণ করে অবতীর্ণ হলে তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক গুণাবতার >লীলাবতার
গ আবেশাবতার ঘ দশাবতার
৬৬. শ্রীচৈতন্য, শ্রীরামকৃষ্ণ ঈশ্বরের কোন শক্তির দ্বারা আবিষ্ট? (জ্ঞান)
>জ্ঞানাদি খ কর্ম
গ সৃষ্টি ঘ শব্দ
৬৭. শ্রী বিষ্ণুর কয়টি অবতারের পরিচয় পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
ক আট >দশ
গ বারো ঘ চৌদ্দ
৬৮. শ্রী বিষ্ণুর দশাবতারের শেষ অবতার কোনটি? (জ্ঞান)
ক মৎস্য খ বামন
গ বুদ্ধ >কল্কি
৬৯. ভগবান বিষ্ণু কোন রূপ ধারণ করে বেদ উদ্ধার করেন? (জ্ঞান)
>মৎস্য খ কূর্ম
গ বরাহ ঘ বামন
৭০. কোন কাহিনী থেকে শ্রীভগবানের মৎস্য অবতারের বিষয়ে জানা যায়? (জ্ঞান)
ক ধর্মীয় কাহিনী >পৌরাণিক কাহিনী
গ মহিমাকাহিনী ঘ সৃষ্টি কাহিনী
৭১. ভগবান কূর্মরূপে আবির্ভূত হওয়ার সময় পৃথিবী কিসে পস্নাবিত ছিল? (জ্ঞান)
ক দুধে খ তেলে
গ বাতাসে >জলে
৭২. ভগবান কোন রূপে পৃথিবীকে পৃষ্ঠে ধারণ করেন? (জ্ঞান) [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
>কূর্ম খ মৎস্য
গ বরাহ ঘ হ¯ত্মী
৭৩. পৃথিবী জলপস্নাবিত হলে ভগবান কিরূপ ধারণ করেন? (জ্ঞান)
[কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
ক কূর্ম খ মৎস্য
>বরাহ ঘ হ¯ত্মী
৭৪. ভগবান নৃসিংহরূপে আবির্ভূত হয়ে কাকে রক্ষা করেন? (জ্ঞান)
ক হরিচাঁদকে >প্রহ্লাদকে
গ লোকনাথকে ঘ শিশুপালকে
৭৫. ভগবান কিরূপে বলির দর্প চূর্ণ করেন? (জ্ঞান) [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
ক বরাহ >বামন
গ রাম খ বলরাম
৭৬. কাদের প্রতাপ দমনে পরশুরামের আবির্ভাব ঘটে? (জ্ঞান)
>ক্ষত্রিয়দের খ ব্রাহ্মণদের
গ বৈশ্যদের ঘ শূদ্রদের
৭৭. পরশুরাম কতবার পৃথিবীকে নিক্ষত্রিয় বা ক্ষত্রিয়হীন করেন? (জ্ঞান)
ক আঠারো খ উনিশ
গ বিশ >একুশ
৭৮. কোন অবতার অত্যাচারী রাজা রাবণের বিনাশ করেন? (জ্ঞান)
ক মৎস্য খ নৃসিংহ
>রাম ঘ কল্কি
৭৯. হলধর বলরাম কীভাবে পৃথিবীকে অমৃতময় করেন? (জ্ঞান)
ক অমৃত বর্ষণ করে খ অমৃত পান করে
>হল কর্ষণ করে ঘ শক্তি প্রদর্শন করে
৮০. ভগবান কোন অবতারের মাধ্যমে অহিংসা, সাম্য, মৈত্রীর শিক্ষা দান করেন? (জ্ঞান)
ক রাম খ বলরাম
>বুদ্ধ ঘ কল্কি
৮১. কলি যুগের শেষভাগ শ্রীবিষ্ণু কোন রূপে অবতীর্ণ হবেন? (অনুধাবন)
[আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মতিঝিল, ঢাকা]
ক মৎস্য খ রাম
>কল্কি ঘ বলরাম
৮২. শ্রী বিষ্ণু কল্কিরূপে অবতীর্ণ হবেন কেন? (অনুধাবন)
>ধর্ম ও সত্য প্রতিষ্ঠা করতে খ পৃথিবী ধ্বংস করতে
গ অবতারের সংখ্যা পূরণ করতে ঘ লীলা প্রকাশ করতে
৮৩. অবতার অসংখ্য একথা কোথায় বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় >শ্রীমদ্ভাগবদ্ পুরাণে
গ রামায়ণে ঘ শ্রী শ্রী চণ্ডিতে
৮৪. দশ অবতারের মধ্যে কে অন্তর্ভুক্ত নন? (জ্ঞান)
[মাতৃপাঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]
>ভগবান শ্রীকৃষ্ণ খ রামচন্দ্র
গ বুদ্ধদেব ঘ বলরাম
৮৫. শ্রীকৃষ্ণকে মহা-অবতারী বলার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শ্রীকৃষ্ণ ভগবানের অংশ অবতার খ মহান ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হন বলে
>শ্রীকৃষ্ণ ভগবানের পূর্ণ অবতার ঘ শ্রীকৃষ্ণ সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী
৮৬. কবি জয়দেব রচিত কৃষ্ণ প্রশ¯িত্মবাচক কাব্যটির নাম কী? (জ্ঞান)
ক গীতবিতান খ গীতবিষ্ণু
গ গোবিন্দনামা >গীতগোবিন্দ
৮৭. ভগবানের পূর্ণ অবতার কে? (জ্ঞান) [পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়]
ক শ্রীরাম >শ্রীকৃষ্ণ
গ শ্রীবলরাম ঘ শ্রীবরাহ
৮৮. অসীম ও অন্তরূপী ঈশ্বর অবতার হিসেবে কেমন রূপ ধারণ করেন? (অনুধাবন)
ক নবরূপ খ লীলারূপ
গ অক্ষতরূপ >সসীমরূপ
৮৯. হিন্দুদের নিকট অবতার স্বয়ং ভগবানের কিরূপ প্রকাশ? (জ্ঞান)
ক খণ্ড প্রকাশ >মুক্ত প্রকাশ
গ বদ্ধ প্রকাশ ঘ জ্বলন্ত প্রকাশ
৯০. ঈশ্বর অসীম সসীম সব অবস্থাই থাকতে পারেন। এর কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা) [সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]
ক ঈশ্বর চৈতন্যময় সত্তা খ ঈশ্বর অতুলনীয়
>ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয় ঘ ঈশ্বর নরদেহ ধারণকারী
৯১. দেবদেবীরা মনুষ্যমূর্তি ধারণ করে নেমে আসেনÑ (অনুধাবন)
[মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]
>অপ্রাকৃত নিত্যধাম খ প্রাকৃত নিত্যধাম
গ আকাশের নিত্যধাম ঘ অধরাধায়
৯২. ভগবান কোন রূপে হিরণ্যকশিপুকে বধ করেন? (অনুধাবন)
[নওগাঁ জিলা স্কুল]
ক বামন খ মৎস্য
>নৃসিংহ ঘ কূর্ম
৯৩. বেদ প্রলয়পয়োধি জলে নিমগ্ন হলে কে উদ্ধার করেন? (অনুধাবন)
[কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
ক শ্রীকৃষ্ণ খ শ্রীচৈতন্য
>বিষ্ণু ঘ শ্রীরামচন্দ্র
৯৪. ভগবান বামনরূপে অবতীর্ণ হয়ে কার দর্প চূর্ণ করেন? (জ্ঞান)
[সাতড়্গীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক রাজা কার্তবীর্য খ রাজা হরিশ্চন্দ্র
>রাজা বলি ঘ রাজা পরীক্ষতি
৯৫. সরসপুর এলাকায় বন্যার জলে পস্নাবিত হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য তারা কোন অবতারের প্রার্থনা করবে? (প্রয়োগ)
>কূর্ম খ বিষ্ণু
গ বরাহ ঘ নৃসিংহ
৯৬. হিন্দুরা অবতারকে ভগবৎ শক্তির আশ্রয় হিসেবে ভক্তি শ্রদ্ধা করার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অবতারগণ শক্তির প্রকাশ বলে
>অবতারগণ ভগবানের শক্তির প্রকাশ বলে
গ অবতারগণ স্বর্গের দূত বলে
ঘ অবতারগণ সাফল্য এনে দেয় বলে
৯৭. বিপুল সাম্য, মৈত্রী ও করম্নণা নৈতিক শিক্ষায় সকলকে উদ্বুদ্ধ করে। তার এ ধরনের কাজের মধ্যে কোন অবতারের সাদৃশ্য দেখা যায়? (প্রয়োগ)
>বুদ্ধ খ কূর্ম
গ নৃসিংহ ঘ মৎস্য
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৮. স্বয়ং ভগবান বা তার দেবদেবী অপ্রাকৃত অমৃতধামে থেকে নেমে আসেন- (অনুধাবন)
র. ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা-অবহেলা হলে
রর. ধার্মিকরা নিপীড়িত-নির্যাতিত হলে
ররর. দেবদেবীরা ইচ্ছাপোষণ করলে
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৯. ঈশ্বর কর্তৃক অবতার রূপধারণের উদ্দেশ্য হলো- (অনুধাবন)
র. দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ
রর. ধর্ম সংস্থাপন
ররর. আপন মহিমা প্রকাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০০. আবেশাবতার হিসেবে মহাপুরম্নষরা ঈশ্বরের জ্ঞানাদি শক্তি দ্বারা আবিষ্ট, এরা হলেন- (অনুধাবন)
র. ভগবান বিষ্ণু
রর. শ্রীচৈতন্য
ররর. শ্রীরামকৃষ্ণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
>রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০১. শ্রীরামচন্দ্ররূপে ভগবান শ্রী বিষ্ণু- (অনুধাবন)
র. ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন
রর. অন্যায় রোধ করেন
ররর. জগৎকে অমৃতময় করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
>রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০২. ঈশ্বর হচ্ছেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অসীম ও সসীম
রর. দৈতন্যময় সত্তা
ররর. শক্তি ও গুণের অধিকারী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১০৩. পরমেশ্বরই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বররূপে অবতীর্ণ হন। দেবতারূপে অবতীর্ণ হয়ে তিনিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সৃষ্টিকে রক্ষা করেন
রর. স্থিতিকে বজায় রাখেন
ররর. দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০৪ ও ১০৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বর্তমান সমাজে অন্যায়-অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ধার্মিক ব্যক্তিরা পদে পদে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, কলিযুগের শেষভাগ অত্যাসন্ন, ভগবান বিষ্ণু দশাবতারের শেষ রূপটি ধরে আবির্ভূত হবেন।
১০৪. অনুচ্ছেদের বাস্তবতা অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণু কিরূপে পৃথিবীতে আসবেন? (প্রয়োগ)
ক বামন খ নৃসিংহ
গ বুদ্ধ >কল্কি
১০৫. উক্ত অবতাররূপে তিনি- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ধর্ম প্রতিষ্ঠা করবেন
রর. সত্য প্রতিষ্ঠা করবেন
ররর. অত্যাচারী শাসক ধ্বংস করবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৫ ও ৬ : চতুরাশ্রম [পৃষ্ঠা-২০]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৬. হিন্দুধর্মের কয়টি দিক প্রত্যক্ষ করা যায়? (জ্ঞান)
ক একটি >দুইিিট
গ তিনটি ঘ চারটি
১০৭. হিন্দুধর্মে ব্যবহারিক জীবনের কর্মকাণ্ডের লক্ষ কী থাকে? (অনুধাবন)
ক শক্তি ও সাহস অর্জন খ ধনবান হওয়া
>আধ্যাতি¥ক জীবনের উন্নয়ন ঘ সুন্দরভাবে পৃথিবী ত্যাগ
১০৮. হিন্দুধর্মে কারা মানবজীবনকে বিকশিত ও সার্থক করতে সচেষ্ট ছিলেন? (জ্ঞান)
ক অবতারগণ >ঋষিগণ
গ আর্যগণ ঘ তাত্ত্বিকগণ
১০৯. মানুষের সমগ্র জীবনকে কয়টি স্তরে বা আশ্রমে বিভক্ত করা হয়? (জ্ঞান)
ক দুই খ তিন
>চার ঘ ছয়
১১০. মানুষের জীবনের প্রথম পঁচিশ বছরকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক সন্ন্যাস আশ্রম খ বানপ্রস্থ আশ্রম
>ব্রহ্মচর্যাশ্রম ঘ গার্হস্থ্য আশ্রম
১১১. মানুষের জীবনের দ্বিতীয় পঁচিশ বছরকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
[বরিশাল জিলা স্কুল]
ক সন্ন্যাস আশ্রম খ বানপ্রস্থ আশ্রম
>গার্হস্থ্য আশ্রম ঘ ব্রহ্মচর্যাশ্রম
১১২. কত বছর বয়স থেকে ব্রহ্মচর্যা জীবন শুরম্ন করতে হয়? (জ্ঞান)
ক ৪ >৫
গ ৬ ঘ ৭
১১৩. ব্রহ্মচর্যাশ্রমে বিদ্যাশিক্ষা শেষে কার নির্দেশ মেনে গৃহে প্রত্যাবর্তন করতে হয়? (জ্ঞান)
ক ঋষির খ ঈশ্বরের
>গুরম্নর ঘ সহপাঠীর
১১৪. গার্হস্থ্য আশ্রমে একজন মানুষ কয়টি যজ্ঞ কর্মের অনুশীলন করে? (জ্ঞান)
[ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক তিন খ চার
>পাঁচ ঘ ছয়
১১৫. প্রকৃতিপ্রদত্ত বস্তু ভোগের সময় তা থেকে প্রকৃতি ভগবানকে নিবেদনের কাজকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক পিতৃযজ্ঞ >দৈবযজ্ঞ
গ ঋষিযজ্ঞ ঘ প্রকৃতিযজ্ঞ
১১৬. ভূতযজ্ঞে কাদের সেবা ও আহার প্রদান করা হয়? (জ্ঞান)
ক ভূতদের খ মানুষের
গ শুধু পাখিদের >পাখি ও জীবজন্তুর
১১৭. অতিথি সেবাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ভূতযজ্ঞ >নৃযজ্ঞ
গ ঋষিযজ্ঞ ঘ কর্মযজ্ঞ
১১৮. মুনি-ঋষিদের নিকট থেকে জ্ঞান অর্জনের প্রচেষ্টাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক জ্ঞানযজ্ঞ খ নৃযজ্ঞ
>ঋষিযজ্ঞ ঘ কর্মযজ্ঞ
১১৯. বিবাহ কোন আশ্রমের অন্তর্গত কর্তব্য? (অনুধাবন)
ক ব্রহ্মচর্যাশ্রম >গার্হস্থ্য আশ্রম
গ বানপ্রস্থ আশ্রম ঘ সন্ন্যাস আশ্রম
১২০. বানপ্রস্থ আশ্রমে কিরূপ জীবনযাপন করতে হয়? (জ্ঞান)
ক আড়ম্বরপূর্ণ খ সুখময়
>বৈরাগ্যময় ঘ কষ্টময়
১২১. বানপ্রস্থ স্তরে কী ধরনের কর্মে মগ্ন থাকার বিধান রয়েছে? (অনুধাবন)
ক সাংসারিক কর্মে খ সন্ন্যাসীর কর্মে
গ রাজকীয় কর্মে >ধর্মীয় কর্মে
১২২. ‘সন্ন্যাস’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
[সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়]
ক সামান্য ত্যাগ খ সম্পূর্ণ গ্রহণ
>সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ ঘ সামান্যরূপে গ্রহণ
১২৩. সন্ন্যাসী কার চিন্তায় নিমগ্ন থাকবেন বলে শাস্ত্রের নির্দেশ? (জ্ঞান)
ক পরিবারের খ বাবা-মা’র
>ঈশ্বরের ঘ দেবতাদের
১২৪. আশ্রয়হীন অবস্থায় কোনো সন্ন্যাসী কত সময় দেবালয়ে থাকতে পারেন? (জ্ঞান)
>ক্ষণকাল খ সপ্তাহকাল
গ একমাসকাল ঘ দীর্ঘকাল
১২৫. শাস্ত্রীয় যুগবিভাগ অনুসারে বর্তমানে কোন যুগ চলমান? (জ্ঞান)
ক সত্য খ ত্রেতা
গ দ্বাপর >কলি
১২৬. ব্রহ্মচর্য জ্ঞান অনুশীলন বর্তমানে কোন জীবনে পর্যবসিত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক সংসারজীবনে খ প্রযুক্তিজীবনে
>ছাত্রজীবনে ঘ প্রবাসজীবনে
১২৭. সুধীর বাবু সংসারের দায়-দায়িত্ব সন্তানের ওপর ন্যস্ত করে নির্জন পরিবেশে অবসর জীবনযাপন করেন। এখন তাকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক গার্হস্থ্য >বানপ্রস্থ
গ ব্রহ্মচর্য ঘ সন্ন্যাস
১২৮. অলোক চৌধুরী ৭৫ বছর জীবিত ছিলেন। তিনি কয়টি আশ্রমের ধর্ম পালন করেছিলেন? (প্রয়োগ)
ক দুই >তিন
গ চার ঘ পাঁচ
১২৯. হিন্দুধর্মের ঋষিগণ ধর্মচর্চা করেছেন কেন? (অনুধাবন)
[সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]
>মানবজীবনকে সার্থক করে তোলার জন্য
খ হিন্দুধর্মের উন্নতির জন্য
গ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় রীতি শিক্ষা দেয়ার জন্য
ঘ মানবজাতির উন্নতির জন্য
১৩০. সুবল বাবু জাগতিক সকল কর্মপরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বরের চিন্তায় মগ্ন থাকেন। তার এ কাজটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক গার্হস্থ্য আশ্রম খ বানপ্রস্থ আশ্রম
গ ব্রহ্মচর্যাশ্রম >সন্ন্যাস আশ্রম
১৩১. প্রিয়াংকা দাসের বাড়িতে কোনো আত¥ীয়স্বজন এলে খুব যত্ন সহকারে তাদের সেবা করান। তিনি কোন যজ্ঞ পালন করেন? (প্রয়োগ)
ক দৈবযজ্ঞ খ ঋষি যজ্ঞ
>নৃযজ্ঞ ঘ ভূতযজ্ঞ
১৩২. কলিযুগে জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে তুলতে হলে কোন আশ্রমে জীবনযাপন করা ভালো? (অনুধাবন)
ক সন্ন্যাস >গার্হস্থ্য
গ ব্রহ্মচর্য ঘ বানপ্রন্থ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৩. ব্রহ্মচর্য আশ্রমে যে জীবনে অভ্যস্ত হতে হয়- (অনুধাবন)
র. আত¥সংযমী
রর. পরিশ্রমী
ররর. কঠোর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১৩৪. গার্হস্থ্য আশ্রমের কর্মসাধনার স্বরূপ হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. সেবাধর্মের অনুশীলন
রর. সমাজের প্রতি কর্তব্য পালন
ররর. বিবাহ করে সংসার ধর্ম পালন
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৫. সন্ন্যাসীর জীবনযাত্রা যেমন হবে- (অনুধাবন)
র. স্ত্রী-পরিবার ছেড়ে একাকী জীবনযাপন
রর. শুধু দুপুরে অল্প আহার
ররর. ঈশ্বর চিন্তায় মগ্নতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১৩৬. সন্ন্যাস আশ্রমের মূল প্রতিপাদ্য হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জীবনাসক্তি ত্যাগ
রর. কর্মফলাসক্তি ত্যাগ
ররর. ভোগাসক্তি ত্যাগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
>রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৭. দুপুর ব্যতীত বাকি দু’বেলা সন্ন্যাসী যা সংগ্রহ করে স্বল্প পরিমাপের আহার করবেন- (অনুধাবন) [আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
র. দুধ
রর. ফল
ররর. মধু
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮. প্রমিলা বানপ্রস্থের জীবন অতিক্রম করে সন্ন্যাস গ্রহণ করছেন। তার ড়্গেেত্র প্রযোজ্যÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জাগতিক সকল কর্ম পরিত্যাগ করা
রর. একাকী জীবনযাপন করা
ররর. ঈশ্বর চিন্তায় মগ্ন থাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১৩৯. শর্মিলা বানপ্রস্থ আশ্রমে জীবনযাপন করছেন। তিনি নিজেকে নিমগ্ন রাখবেনÑ (প্রয়োগ)
র. পূজা-অর্চনায়
রর. জপ ও ধ্যানে
ররর. কীর্তন ও জপে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১৪০. অপলা ব্রহ্মচর্যাশ্রমে জীবনযাপন করছেন। তাঁর ড়্গেেত্র প্রযোজ্যÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গুরম্নর নির্দেশ বহুশাস্ত্র অধ্যয়ন করা
রর. গুরম্নর নিকট থেকে দীক্ষা গ্রহণ করে
ররর. গুরম্নর তত্ত্বাবধানে পড়াশোনা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪১ ও ১৪২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রবীর মণ্ডল জাগতিক সকল কাজকর্ম ত্যাগ করে এক ঈশ্বরের ধ্যানে নিমগ্ন থাকছেন। তিনি গৃহত্যাগ করে আশ্রয়হীন অবস্থায় এক ধ্যানে ঈশ্বরের চিন্তা করছেন।
১৪১. প্রবীর মণ্ডলের কাজটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক গার্হস্থ্য আশ্রম খ বানপ্রস্থ আশ্রম
>সন্ন্যাস ঘ বৈরাগ্য জীবনযাপন
১৪২. উক্ত কাজটির মূল প্রতিপাদ্য হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভোগাসক্তি ত্যাগ করা
রর. দেব-দেবীর পূজা-অর্চনা করা
ররর. কর্মফলাসক্তি পরিত্যাগ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৩ ও ১৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ধীরেন্দ্র দেবের বয়স পঁয়ষট্টি। এ বয়সে বনে যাওয়ার কথা শাস্ত্রে বলা হয়েছে। তবে সময়ের পরিবর্তনের কারণে তিনি মন্দিরে পূজার্চনা ও ঈশ্বরের ধ্যান করেই জীবন কাটাচ্ছেন।
১৪৩. ধীরেন্দ্র দেব কোন আশ্রমে অবস্থান করছেন? (প্রয়োগ)
ক ব্রহ্মচর্য খ সন্ন্যাস
>বানপ্রস্থ ঘ গার্হস্থ্য
১৪৪. উক্ত আশ্রম জীবনে একজন মানুষকে যেসব বিষয়ে নিমগ্ন থাকতে হয়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সাধন-ভজনে
রর. জপ-ধ্যানে
ররর. ভজন-কীর্তনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৫ ও ১৪৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রকৃতির দান করা ভোগ্যবস্তু ভোগ করার সময় মনীষ রায় চৌধুরী সবসময়ই কিছু বস্তু ঈশ্বরের উদ্দেশে নিবেদন করেন। তিনি এ কাজটি না করে কিছুতেই স্ব¯ন্তিপান না। [সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
১৪৫. মনীষের কাজটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক পিতৃযজ্ঞ >দৈবযজ্ঞ
গ নৃযজ্ঞ ঘ ঋষিযজ্ঞ
১৪৬. উক্ত কাজটি কোন চতুরাশ্রমের অন্তর্ভুক্ত? (উচ্চতর দক্ষতা)
>গার্হস্থ্যের খ ব্রহ্মচর্যের
গ বানপ্রস্থের ঘ সন্ন্যাসের
পাঠ-৭ ও ৮ : যোগের ধারণা [পৃষ্ঠা : ২৩]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৭. জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংযোগকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক সংযোগসাধনা খ আত¥সাধনা
গ পরমসাধনা > যোগসাধনা
১৪৮. যোগসাধনার মূল বিষয় কী? (অনুধাবন)
ক আত্মার সান্নিধ্য লাভ খ সাধনার গভীরে প্রবেশ
>চিত্তবৃত্তি নিরোধ করা ঘ মনের উজ্জ্বলতা প্রকাশ
১৪৯. যোগদর্শনে কয় প্রকার সাধনপ্রক্রিয়ার উলেস্নখ আছে? (জ্ঞান)
ক চার খ ছয়
>আট ঘ দশ
১৫০. আটপ্রকার যোগাঙ্গ অনুশীলন করে যোগী কী লাভ করতে পারেন? (জ্ঞান)
ক শান্তি >মুক্তি
গ সিদ্ধি ঘ জ্ঞান
১৫১. দেহ, মন ও বাক্যের দ্বারা কোনো জীবকে হত্যা বা নির্যাতন না করাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ব্রত খ ভালোবাসা
>অহিংসা ঘ শুদ্ধতা
১৫২. ‘অ¯েত্ময়’ শব্দটি কী অর্থ প্রকাশ করে? (জ্ঞান)
ক অপরকে কষ্ট না দেওয়া >অপরের জিনিস চুরি না করা
গ মিথ্যা না বলা ঘ কাউকে কষ্ট না দেওয়া
১৫৩. বিনা প্রয়োজনে দ্রব্য গ্রহণ না করাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক অ¯েত্ময় >অপরিগ্রহ
গ অহিংস ঘ অগ্রহণ
১৫৪. শৌচ কত প্রকার? (জ্ঞান)
ক এক >দুই
গ তিন ঘ চার
১৫৫. স্নানের মাধ্যমে কোন শৌচ লাভ হয়? (জ্ঞান)
ক স্নানশৌচ খ দেহশৌচ
>বাহ্যিক শৌচ ঘ ধৌত শৌচ
১৫৬. স্বাভাবিকভাবে যা পাওয়া যায় তাতেই সন্তুষ্টির নাম কী? (জ্ঞান)
ক অসšেত্মাষ >সšেত্মাষ
গ প্রাপ্য ঘ মার্জনা
১৫৭. শ্রদ্ধার সঙ্গে শাস্ত্রনির্ধারিত ব্রত পালনকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক সšেত্মাষ খ পরিগ্রহ
>তপস্যা ঘ প্রাপ্যতা
১৫৮. স্বধর্মের ধর্মশাস্ত্র নিয়মিত অধ্যয়ন করাকে কী বলে? (জ্ঞান)
>স্বাধ্যায় খ অধ্যায়
গ তপস্যা ঘ পাঠ
১৫৯. প্রণিধান করতে হলে কখন ঈশ্বরচিন্তা করতে হয়? (জ্ঞান)
ক মাঝে মাঝে খ বিপদে
গ পূজার দিনে >সর্বক্ষণ
১৬০. দেহ ও মনের সুস্থতা ও সবল থাকে কোনটির মাধ্যমে? (জ্ঞান)
[ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক স্বাধ্যায় খ প্রণিধান
গ ব্যায়াম >আসন
১৬১. কখন যোগাসনে হিতে বিপরীত হতে পারে? (অনুধাবন)
ক সময় না মানলে
>গুরম্ন বা যোগীর কাছে শিক্ষা না করলে
গ মন ও শরীর অপবিত্র থাকলে
ঘ ভরা পেটে আসন করলে
১৬২. শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিকে নিয়ন্ত্রণ ও আয়ত্তে আনার নাম কী? (জ্ঞান)
ক আসন খ নিয়ম
গ যোগাসন > প্রাণায়াম
১৬৩. প্রাণায়াম কত প্রকার? (জ্ঞান)
ক দুই >তিন
গ চার ঘ পাঁচ
১৬৪. শ্বাস ত্যাগ করে সেটি বাইরে স্থির রাখাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
>রেচক খ পূরক
গ কুম্ভক ঘ তপস্যা
১৬৫. দেহের ইন্দ্রিয়গুলোকে চিত্তের অনুগামী করার নাম কী? (জ্ঞান)
ক প্রাণায়াম >প্রত্যাহার
গ ধ্যান ঘ তপস্যা
১৬৬. দেহের ইন্দ্রিয়গুলো অন্তর্মুখী হলে কী ফল পাওয়া যায়? (অনুধাবন)
ক শরীর সুন্দর হয় খ মন শান্ত হয়
গ ইন্দ্রিয় সবল হয় >বিষয় আসক্তি নষ্ট হয়
১৬৭. মনকে বিশেষ কোনো বিষয়ে আবদ্ধ করাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক প্রত্যাহার খ তপস্যা
>ধারণা ঘ ধ্যান
১৬৮. ধ্যান ও ধারণার মাঝে কেমন সম্পর্ক বিদ্যমান? (জ্ঞান)
ক সাধারণ খ বিষয়গত
>গভীর ঘ সামান্য
১৬৯. যোগসাধনার সর্বোচ্চ স্তর কোনটি? (জ্ঞান)
ক ধ্যান খ তপস্যা
গ ধারণা >সমাধি
১৭০. সমাধিস্তরে এসে যোগীর চিত্ত কোথায় লীন হয়? (জ্ঞান)
ক দেহে খ মন্দিরে
গ বিগ্রহে >আরাধ্য বস্তুতে
১৭১. অষ্টাঙ্গযোগের স্তরগুলোকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক এক >দুই
গ তিন ঘ চার
১৭২. মোক্ষলাভের জন্য প্রধানত কী প্রয়োজন? (উচ্চতর দক্ষতা)
> আতে¥াপলব্ধি খ ধ্যান
গ জ্ঞান ঘ সাধনা
১৭৩. নিরবচ্ছিন্ন গভীর চিন্তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ধারণা >ধ্যান
গ সাধনা ঘ একাগ্রতা
১৭৪. শৌচ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক ন্যায় খ অন্যায়
গ অপবিত্রতা >পবিত্রতা
১৭৫. চিত্ত বৃত্তি নিরোধকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সাধনা খ ধ্যান
>যোগ ঘ সমাধি
১৭৬. কোনটি পালন না করলে ব্যক্তি যোগী হতে পারে না? (জ্ঞান)
[বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ]
ক জ্ঞানসাধনা খ কর্মসাধনা
>অষ্টাঙ্গযোগ ঘ গুরম্নর দায়িত্ব
১৭৭. বিজয়কৃষ্ণ ঈশ্বর আরাধনায় সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখছেন। তিনি তার ইন্দ্রিয়সমূহকেও বাহ্যিক বিষয়বস্তু থেকে ফিরিয়ে রাখছেন। তার কাজটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ) [খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক প্রাণায়ম খ সমাধি
গ ধারণা >প্রত্যাহার
১৭৮. শৌচ, সšেত্মাষ, তপস্যা, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বর প্রণিধান এ পাঁচটি অনুষ্ঠানকে একত্রে কী বলে? (জ্ঞান)
ক যম খ আসন
>নিয়ম ঘ প্রাণায়াম
১৭৯. যোগে ‘তপ’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
> ঈশ্বরের সাথে মিলনের জন্য সচেতন চেষ্টা
খ জীবন সংগ্রামে জয়ী হওয়ার চেষ্টা
গ উপার্জন করার প্রচেষ্টা ঘ উদ্দেশ্য অর্জনের চেষ্টা
১৮০. যোগসাধনা কিসের বিশেষ উপায়? (জ্ঞান)
ক ধৈর্যের খ মুক্তির
গ পরাধীনতার >ভক্তির
১৮১. সমাধি শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান) [পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
>ঈশ্বরের নিজেকে সমর্থন করা খ উঁচু বেদী করা
গ দেহত্যাগ করা ঘ যোগ সাধনা করা
১৮২. যোগীরা একনিষ্ঠ মোক্ষলাভ করেন কীভাবে? (অনুধাবন)
>যোগ সাধনায় খ ব্রহ্ম সাধনায়
গ একনিষ্ঠ সাধনায় ঘ যোগাসনে
১৮৩. অষ্টাঙ্গযোগের শেষ ধাপ কোনটি? (জ্ঞান) [সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়]
ক অপরিগ্রহ খ যম
>সমাধি ঘ অহিংসা
১৮৪. যম কত প্রকার? (জ্ঞান) [মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
>পাঁচ খ দশ
গ পনেরো ঘ বিশ
১৮৫. নিলয় দৃঢ় সংকল্প ও অভ্যাসের দ্বারা ইন্দ্রিয়গুলোকে অন্তর্মুখী করেছে। তার কাজটিকে কী বলে? (প্রয়োগ)
> প্রত্যাহার খ সমাধি
গ ধ্যান ঘ আসন
১৮৬. প্রমিলা শৌচ, সšেত্মাষ ও তপস্যায় সর্বদা ব্যস্ত থাকেন। তিনি কীভাবে এ কাজটি করেন? (প্রয়োগ)
ক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে >ঈশ্বরকে সর্বক্ষণ চিন্তা করে
গ অন্যের কাজে সর্বদা চিন্তা করে ঘ ব্রত পালন করে
১৮৭. বিনয় বাবু দেহ ও মনকে সুস্থ ও স্থির রাখতে চান। এজন্য তাকে কোন কাজটি করতে হবে? (প্রয়োগ)
> আসন খ সমাধি
গ ধারণা ঘ প্রাণায়াম
১৮৮. শ্যামল যোগ সাধনার সর্বোচ্চ স্তরে যোগ সাধনা করছেন। তার এ কাজটি কিসের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক প্রাণায়াম খ ধান
গ প্রত্যাহার >সমাধি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮৯. মোক্ষলাভের জন্য চিত্ত বা মনের অবস্থা যেমন হওয়া প্রয়োজন- (অনুধাবন)
র. শুদ্ধ
রর. স্থির
ররর. প্রশান্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১৯০. যে যে গ্রন্থে ‘যোগঃ চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ’ কথাটি বলা হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. যোগবিষয়ক শাস্ত্রে
রর. শ্রীমভগব˜্গীতায়
ররর. পতঞ্জলির যোগদর্শনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১৯১. যোগী ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – (অনুধাবন)
র. অহিংস নীতির অনুসরণ
রর. মিথ্যা না বলা ও চুরি পরিহার
ররর. ব্রহ্মচর্য অবলম্বন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১৯২. ‘ধারণা’র সময় মনকে যে ধরনের স্থানে নিবিষ্ট করা যায়- (অনুধাবন)
র. নাভিতে
রর. ভ্রুযুগলের মধ্যস্থানে
ররর. কোনো দেবমূর্তিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১৯৩. ধ্যান সম্পর্কে বলা যায়- (অনুধাবন)
র. অবিচ্ছিন্ন ধারণাই ধ্যান
রর. পরমতত্ত্ব উপলব্ধিতে ধ্যান আবশ্যক
ররর. ধ্যানকারী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৪. সমাধির চরম অবস্থায়- (অনুধাবন)
র. যোগীর চিত্ত নিষ্ক্রিয় হয়
রর. ধ্যানী ও আরাধ্য বস্তু একাকার হয়
ররর. ধ্যানীর কোনো অনুভূতি থাকে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১৯৫. ধারণা ও ধ্যানের মধ্যে সম্পর্কÑ (অনুধাবন)
র. গভীর
রর. নিবিড়
ররর. পারস্পরিক
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৬. যোগের গুরম্নত্ব অপরিসীমÑ (অনুধাবন) [গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা]
র. দেহ-মনকে সুস্থ রাখার জন্য
রর. ধর্মসাধনা করার জন্য
ররর. সামাজিকতা রক্ষার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৭. যৌগিক ক্রিয়ার দ্বারাÑ (অনুধাবন) [গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা]
র. আত্মা প্রশান্তি লাভ করে
রর. মেদের পাচন হয়
ররর. শরীর সুন্দর ও সুঠাম হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
১৯৮. যোগ দ্বারা মুক্তি পাওয়া যায়Ñ (অনুধাবন) [সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়]
র. হৃদরোগ থেকে
রর. ক্যান্সার থেকে
ররর. হাঁপানি থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৯. শৌচের প্রকারভেদ চিিহ্নত করÑ (অনুধাবন)
র. বাহ্য
রর. অভ্যন্তরীণ
ররর. স্বাভাবিক
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০০. অষ্টাঙ্গযোগের আধার হচ্ছেÑ (অনুধাবন) [ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়]
র. যম
রর. প্রাণায়াম
ররর. নিয়ম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০১. শ্বাস গ্রহণকে যা বলা হয়Ñ (অনুধাবন)
র. পূরক
রর. রেচক
ররর. কুম্ভক
নিচের কোনটি সঠিক?
>র খ ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২০২ ও ২০৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
যোগী হরিপদ ঠাকুর মুক্তি লাভের প্রত্যাশায় একটি নির্দিষ্ট বস্তুতে মনকে স্থির রেখে সাধনা করে চলেছেন। মনকে দীর্ঘসময় ধরে এক বিষয়ে নিবিষ্ট রাখার অভ্যাসই তার একান্ত কামনা।
২০২. হরিপদ ঠাকুরের সাধনাকে কী বলে চিিহ্নত করা হওয়ায়? (প্রয়োগ)
ক ধ্যান খ প্রাণায়াম
>ধারণা ঘ সমাধি
২০৩. যোগসাধনায় উক্ত বিষয়টি অত্যাবশ্যক হওয়ার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
>পরমতত্ত্বকে উপলব্ধি করা যায় বলে
খ আত্মার পরিশুদ্ধি করা যায় বলে
গ শরীর-মনের সুস্থতা রাখা যায় বলে
ঘ দেবতার স্বরূপ জানা যায় বলে
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২০৪ ও ২০৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জুয়েল অত্যন্ত সৎ ও ধার্মিক। সে কারও জিনিস না বলে নেয় না। জীবকে হত্যা করে না, বিনা প্রয়োজনে খাদ্যগ্রহণও করে না। সে ব্রহ্মচর্য অবলম্বন করে। [পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়]
২০৪. জুয়েলের কৃতকর্মে কোনটি প্রকাশ পেয়েছে? (প্রয়োগ)
ক নিয়ম খ প্রত্যাহার
>যম ঘ প্রাণায়াম
২০৫. উক্ত কর্মের মাধ্যমে জুয়েল- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মোক্ষলাভ করতে পারবে
রর. মুক্তিলাভ করতে পারবে
ররর. সুনাম অর্জন করতে পারবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২০৬ ও ২০৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাতুল মণ্ডল প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন আসন অনুশীলন করেন। তিনি মনে করেন এর মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা অর্জনের পাশাপাশি পরমেশ্বরের সান্নিধ্য লাভ সম্ভব।
২০৬. রাতুল মণ্ডলের বিভিন্ন আসন গ্রহণের উদ্দেশ্য কী? (প্রয়োগ)
ক শক্তি অর্জন খ জ্ঞানার্জন
>সুস্থতা অর্জন ঘ সান্নিধ্য লাভ
২০৭. পরমেশ্বরকে পাওয়ার ড়্গেেত্র বিভিন্ন আসনÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শক্তি জোগায়
রর. মন্ত্র শেখায়
ররর. মনকে শান্ত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৯ ও ১০ : কর্মযোগ [পৃষ্ঠা : ২৪]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২০৮. মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি কোনটি? (জ্ঞান)
ক অর্থলাভ খ জ্ঞান বা প্রজ্ঞালাভ
গ ধর্মলাভ >ঈশ্বর বা মোক্ষলাভ
২০৯. মোক্ষলাভের উপায় হিসেবে ঋষিগণ কয়টি পথের নির্দেশ দিয়ে গেছেন? (জ্ঞান)
ক দুই >তিন
গ ছয় ঘ আট
২১০. যা কিছু করা হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ধর্ম খ কর্তব্য
>কর্ম ঘ আরাধনা
২১১. কর্ম কতভাবে সম্পাদিত হয়ে থাকে? (জ্ঞান)
ক এক >দুই
গ তিন ঘ চার
২১২. ফলের আশা না করে কোন কর্ম সম্পাদিত হয়? (অনুধাবন)
ক সকাম কর্ম খ অকাম কর্ম
>নিষ্কাম কর্ম ঘ উভয় কর্ম
২১৩. কর্মকে কিসে পরিণত করলে মোক্ষলাভ সম্ভব? (অনুধাবন)
ক সাধনায় খ অনুশীলনে
>যোগে ঘ যজ্ঞে
২১৪. ‘ড়্গীণে পুণ্যে মর্ত্যলোকং বিশন্তি’-এটি কোন ধরনের কর্ম সম্পর্কে উচ্চারিত হয়? (অনুধাবন)
>সকাম কর্ম খ অকাম কর্ম
গ নিষ্কাম কর্ম ঘ ধর্মকর্ম
২১৫. কোন যুগে সকাম কর্মের মাধ্যমে স্বর্গলাভের কথা জানা যায়? (জ্ঞান)
ক পৌরাণিক যুগে খ সত্যযুগে
গ কলিযুগে >বৈদিক যুগে
২১৬. ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কোন যুগে আবির্ভূত হন? (জ্ঞান)
ক সত্য খ ক্রেতা
>দ্বাপর ঘ কলি
২১৭. ‘মোক্ষলাভের জন্য কর্মত্যাগের প্রয়োজন নেই’-এটি কার বাণী? (জ্ঞান)
>ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খ রামচন্দ্রের
গ শ্রীচৈতন্যের ঘ জনৈক সন্ন্যাসীর
২১৮. ফলাকাক্সক্ষা বর্জিত কর্মকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ফলযোগ খ ধর্মযোগ
গ ভাগ্যযোগ >কর্মযোগ
২১৯. ‘কর্মে তব অধিকার, ফলে কভু নয়’-ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কোন গ্রন্থে এটি বলেছেন? (জ্ঞান)
ক চণ্ডীতে >গীতায়
গ ভাগবতে ঘ বেদে
২২০. নিষ্কাম কর্মে কী লাভ হয়? (জ্ঞান)
[সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুমানগঞ্জ; কুষ্টিয়া জিলা স্কুল; মতিঝিল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
ক রাজ্য >মোক্ষ
গ সম্মান ঘ জ্ঞান
২২১. কামনাযুক্ত কর্মকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
[আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার]
ক নিষ্কাম কর্ম >সকাম কর্ম
গ স্বরূপ কর্ম ঘ কর্মান্ত কর্ম
২২২. তোমার পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে। এ জন্য নিষ্কামকর্মী হিসেবে তুমি কী প্রার্থনা করবে? (জ্ঞান) [পাবনা জিলা স্কুল]
ক আমাকে প্রথম করে দাও >ঈশ্বর সকল সাফল্য তোমার
গ ঈশ্বর সকল কর্মের তোমার ঘ কষ্ট অনুসারে ফল দাও
২২৩. কীভাবে মোক্ষলাভ সম্ভব? (অনুধাবন)
ক জপ-কীর্তনের মাধ্যমে
>কর্মকে যোগে পরিণত করার মাধ্যমে
গ পূজা-অর্চনার মাধ্যমে ঘ ত্যাগের মাধ্যমে
২২৪. শর্মিলা মানুষের কল্যাণ করেন ফলাকাঙ্ক্ষা ছাড়াই। তার কাজের মাধ্যমে কী পরিচয় বহন করে? (প্রয়োগ)
>নিষ্কাম কর্ম খ সকাম কর্ম
গ সগুণ কর্ম ঘ নির্গুণ কর্ম
২২৫. কর্মফল লাভের প্রত্যাশা ত্যাগ করে কর্ম করার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
>মানুষ মুক্তিলাভ করতে পারবে
খ মানুষ কল্যাণ লাভ করতে পারবে
গ মানুষ স্বর্গ লাভ করতে পারবে
ঘ মানুষ সাফল্য লাভ করতে পারবে
২২৬. কর্মফল ভোগের জন্য সন্ন্যাস গ্রহণ অত্যাবশ্যক-এ মত কাদের? (জ্ঞান)
ক একেশ্বরবাদীদের খ ব্রহ্মচারীদের
গ অবতারবাদীদের >সন্ন্যাসবাদীদের
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২৭. সকাম কর্ম সম্পর্কে বলা যায়- (অনুধাবন)
র. এটি ফলের আশায় করা হয়
রর. কর্মকর্তার কর্তৃত্বের অভিমান থাকে
ররর. ফলাকাঙ্ক্ষা থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২২৮. নিষ্কাম কর্মের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. এটি যোগ সাধনার ড়্গেেত্র কর্মযোগ
রর. এর কর্মফল কর্তাকে স্পর্শ করে না
ররর. এর মাধ্যমে মোক্ষলাভ সম্ভব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২২৯. কর্মযোগের নির্দেশ হচ্ছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নিজ নিজ কর্ম অবশ্যই করতে হবে
রর. ফলের আশা ত্যাগ করে কর্ম করবে
ররর. কর্মফল ঈশ্বরে সমর্পণ করতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৩০. যেভাবে মানুষ ধন্য হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. সেবার মাধ্যমে
রর. ভোগের মাধ্যমে
ররর. ত্যাগের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩১. কর্মফল ভোগের জন্য কর্মকর্তাকে জš§-মৃত্যুর চক্রে আবদ্ধ হতে হয়। এর থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য আবশ্যকÑ (প্রয়োগ)
র. সন্ন্যাস গ্রহণ
রর. বানপ্রস্থ আশ্রম
ররর. ঈশ্বরে সমর্পণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩২. কর্মফল লাভের প্রত্যাশা ত্যাগ করে কর্ম করলেÑ (অনুধাবন)
র. স্বর্গলাভ সম্ভব হয়
রর. কর্মকর্তা অন্তরে আনন্দ লাভ করেন
ররর. মানুষের মুক্তি লাভ হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
>রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৩৩ ও ২৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
ধীরেন মুখার্জি গৃহস্থ মানুষ। সংসারের সকল কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করলেও কোনো কাজেই তিনি ফলের আশা করেন না। তিনি এও মনে করেন সকল কর্মই ঈশ্বরের, ঈশ্বর তাকে দিয়ে কর্ম করিয়ে নিচ্ছেন মাত্র।
২৩৩. ধীরেন মুখার্জির কর্মকে কী ধরনের কর্ম বলা যায়? (প্রয়োগ)
ক সকাম কর্ম খ নিরপেক্ষ কর্ম
>নিষ্কাম কর্ম ঘ ধর্মকর্ম
২৩৪. উক্ত কর্ম করে যেতে পারলে ধীরেন মুখার্জি কী লাভ করতে পারেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জ্ঞান খ ভক্তি
গ স্বর্গ >মোক্ষ
পাঠ-১১ ও ১২ : জ্ঞানযোগ [পৃষ্ঠা : ২৬]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩৫. জ্ঞান অনুশীলন দ্বারা পরম সত্তায় উপনীত হওয়ার পদ্ধতিকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক জ্ঞান বৃদ্ধি খ জ্ঞানুবৃদ্ধি
>জ্ঞানযোগ ঘ জ্ঞানপথ
২৩৬. কোথায় আত¥তত্ত্ব ও পরমার্থতত্ত্ব জানাকে জ্ঞান বলা হযেছে? (জ্ঞান)
ক ধর্মে >শাস্ত্রে
গ মুনিবাক্যে ঘ বেদাšেত্ম
২৩৭. জগতের সব কিছু কোন পরম চৈতন্যের সত্তাবান? (অনুধাবন)
ক আত্মা বা জীবাত্মার >ঈশ্বরের
গ দেবতার ঘ মানুষের
২৩৮. সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে কী ধরা পড়ে না? (জ্ঞান)
ক অকূল তত্ত্ব খ ধর্মতত্ত্ব
>পরমতত্ত্ব ঘ কর্মতত্ত্ব
২৩৯. সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পরমতত্ত্ব ধরা না পড়ার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জীবের দৃষ্টিশক্তি সীমাবদ্ধ বলে
>জীব ঈশ্বরের মায়াশক্তি দ্বারা আচ্ছন্ন থাকে বলে
গ জীবের বোঝার ক্ষমতা কম বলে
ঘ জীব ঈশ্বর কর্তৃক সৃষ্ট বলে
২৪০. জীব কখন ব্রহ্মজ্ঞ হতে পারে? (অনুধাবন)
ক দেবতার আশীর্বাদ পেলে খ মানুষের ভালোবাসা পেলে
>ঈশ্বরের মায়ার প্রভাব কেটে গেলে ঘ কর্মের অনুশীলন করলে
২৪১. জ্ঞানীর লক্ষণসমূহ গীতার কোন অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক দ্বিতীয় খ তৃতীয়
>চতুর্থ ঘ পঞ্চম
২৪২. গীতার চতুর্থ অধ্যায়ে জ্ঞানীর কয়টি লক্ষণের উলেস্নখ রয়েছে? (জ্ঞান)
ক দশটি খ পনেরোটি
>বিশটি ঘ পঁচিশটি
২৪৩. কোনটিকে জ্ঞানীর কর্ম বলা যায়? (অনুধাবন)
ক ধর্মকর্ম >নিষ্কাম কর্ম
গ সকাল কর্ম ঘ অকাম কর্ম
২৪৪. গীতায় কর্মতত্ত্ব সম্বন্ধে কয়টি কথা আছে? (জ্ঞান)
ক দু >তিন
গ চার ঘ পাঁচ
২৪৫. রতন শাস্ত্র-নিষিদ্ধ কর্ম করেন। তার এই কর্ম কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক কর্ম খ অকর্ম >বিকর্ম ঘ শ্রীকর্ম
২৪৬. গীতার তত্ত্বমতে কোন ভক্ত ভগবানের বেশি প্রিয়? (অনুধাবন)
ক ধ্যানী ভক্ত খ গুণীভক্ত
গ দ্রোহীভক্ত >জ্ঞানী ভক্ত
২৪৭. জ্ঞানের উদয়ে কী থাকতে পারে না? (জ্ঞান)
ক কুসংস্কার খ অন্ধকার
গ আলস্য >অজ্ঞানতা
২৪৮. অতীশ বাবু জ্ঞানের পথে স্রষ্টাকে জানার চেষ্টা করেন। তার এই পদ্ধতিকে কী বলে? (প্রয়োগ)
>জ্ঞানযোগ খ ভক্তিযোগ
গ মুক্তিযোগ ঘ তপস্যাযোগ
২৪৯. প্রতাপমণ্ডল শাস্ত্রবিহিত সকল কর্ম করেন। তার এ কর্মতত্ত্ব উপলব্ধিকে কী বলা হবে? (প্রয়োগ)
>কর্ম খ বিকর্ম
গ অকর্ম ঘ স্বকর্ম
২৫০. জ্ঞানী কী উপলব্ধি করেন? (জ্ঞান)
[পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
>আত¥তত্ত্ব খ পরমতত্ত্ব
গ কর্মতত্ত্ব ঘ ভক্তিতত্ত্ব
২৫১. জ্ঞানী কখন পরম শান্তি লাভ করেন? (অনুধাবন)
ক গুরম্নর নিকট উপস্থিত হয়ে খ গুরম্নর উপদেশ মেনে চলে
গ কর্মতত্ত্ব উপলব্ধি করে >আত¥জ্ঞান অর্জন কর
২৫২. কর্মতত্ত্বকে কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে? (অনুধাবন)
ক বালুময় প্রান্তরের খ ধুধু মরম্নভূমির
>গহীন অরণ্যের ঘ বিশাল মাঠের
২৫৩. জীব কখন ব্রহ্মজ্ঞ হতে পারেন? (অনুধাবন)
ক ঈশ্বরের নিয়মকানুন ঠিকমতো অনুশীলন করলে
>ঈশ্বরের মায়ার প্রভাব কেটে গেলে
গ দেবদেবীর আশীর্বাদ প্রাপ্ত হলে
ঘ মানুষের শ্রদ্ধাভক্তি পেলে
২৫৪. পরমাত্মার অবস্থান বিশ্বচরাচরের মধ্যে কার দৃষ্টিতে ধরা পড়ে? (অনুধাবন)
>জ্ঞানীর খ যোগীর
গ ভক্তের ঘ দেবদেবীর
২৫৫. ঈশ্বরের অধিক প্রিয়পাত্র কে? (জ্ঞান)
[চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার]
>জ্ঞানী ভক্ত খ সকাম কর্তা
গ উদাসীন পথিক ঘ কর্মঠ ও নিয়োগ যোগী
২৫৬. কর্মতত্ত্বকে উপলব্ধি করেন কে? (অনুধাবন)
>জ্ঞানী খ যোগী
গ সন্ন্যাসী ঘ ধ্যানী
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৫৭. জ্ঞানী যে ধরনের বিষয়াবলি উপলব্ধি করেন- (অনুধাবন)
র. সৃষ্টির ঊর্ধ্বে স্রষ্টার অনুভব
রর. নিজের ও অন্যান্য প্রাণীর চেতনা একই
ররর. জীবাত্মা পরমাত্মার অংশবিশেষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৫৮. ঈশ্বর-অনুগ্রহে ঈশ্বরের মায়ার প্রভাব কেটে গেলে জীব হতে পারে- (অনুধাবন)
র. আত¥তত্ত্বজ্ঞ
রর. দৈবজ্ঞ
ররর. ব্রহ্মজ্ঞ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৫৯. কর্মতত্ত্ব সম্পর্কে বলা যায়- (অনুধাবন)
র. এটি গহীন অরণ্যের মতো
রর. গীতার এ সম্পর্কে ৩টি কথা আছে
ররর. জ্ঞানী কর্তব্যকর্ম ভুলে থাকেন
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬০. জ্ঞান অর্জনে গীতার নির্দেশ হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. তত্ত্বদর্শী গুরম্নর বন্দনা করতে হবে
রর. সেবা দ্বারা তাকে তুষ্ট করতে হবে
ররর. বিনীতভাবে তাকে প্রশ্ন করতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৬১. সংড়্গেেপ জ্ঞানযোগের ফল- (উচ্চতর দক্ষতা) [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
র. জ্ঞান পরম পবিত্র
রর. জ্ঞানীর পাপ বিনষ্ট হয়
ররর. জ্ঞানীর কর্মবন্ধন থাকে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৬২. শাস্ত্র অনুযায়ী জ্ঞান মূলত- (অনুধাবন)
[লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
র. আত¥তত্ত্ব জানা
রর. পরমার্থতত্ত্ব জানা
ররর. কর্মতত্ত্ব জানা
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬৩. জ্ঞান অনুশীলনের মাধ্যমে- (অনুধাবন)
র. ভগবানের প্রিয় পাত্র হওয়া যায়
রর. মানুষের দুঃখ দূর হয়
ররর. সকল অপবিত্রতা দূর হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৬৪ ও ২৬৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শ্যামলিমা এই বিশ্ব ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। এজন্য সে একজন তত্ত্বজ্ঞানী গুরম্নর নিকট গমন করে। সেবাকর্ম দ্বারা গুরম্নকে তুষ্ট করে সে বিনীতভাবে গুরম্নর নিকট তার জিজ্ঞাস্য বিষয়সমূহ উত্থাপন করে।
২৬৪. শ্যামলিমার কাজকে কী বলে চিিহ্নত করা যায়? (প্রয়োগ)
ক রূপযোগ >জ্ঞানযোগ
গ ভক্তিযোগ ঘ কর্মযোগ
২৬৫. উক্ত কর্মের ফলে শ্যামলিমার- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সকল অপবিত্রতা দূর হবে
রর. অলৌকিক শক্তি লাভ হবে
ররর. পরম সুখ অর্জন হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-১৩ ও ১৪ : ভক্তিযোগ [পৃষ্ঠা : ২৭ ]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৬৬. ভক্তিকে অবলম্বন করে যে ঈশ্বর আরাধনা তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ভক্তযোগ >ভক্তিযোগ
গ ঈশ্বরযোগ ঘ কাম্যযোগ
২৬৭. ভগবানের পদে যে একান্ত রতি, তার নামই ভক্তিÑএটি কোথায় বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
>শাণ্ডিল্য সূত্রে খ নারদীয় সূত্রে
গ বৈদিক সূত্রে ঘ কৌটিল সূত্রে
২৬৮. অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণীতে কোন বিষয়ে জেনেছেন? (জ্ঞান)
>সগুণ ঈশ্বর খ প্রমময়
গ জগদ্বিশ্বর ঘ শ্রাদ্ধবাদ ঈশ্বর
২৬৯. শ্রীমদভগবদগীতার দ্বাদশ অধ্যায়ের নাম কী? (জ্ঞান)
ক কর্মযোগ >ভক্তিযোগ
গ জ্ঞান যোগ ঘ রাজযোগ
২৭০. ভক্তিযোগের প্রধান কথা কী? (অনুধাবন)
[ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
ক কর্মের ফল ঈশ্বরে সমর্পণ খ সাধনার দ্বারা জ্ঞানার্জন
গ ঈশ্বর লাভে সন্ন্যাস গ্রহণ >ভগবানে আত¥সমর্পণ
২৭১. কোনরূপে ঈশ্বরের আরাধনা করা সহজ? (জ্ঞান)
ক নিরাকাররূপে >সাকাররূপে
গ এককরূপে ঘ প্রকৃতিরূপে
২৭২. অশোক বাবু ভগবানের শ্রীচরণে আত¥সমর্পণ করে ঈশ্বরের করম্নণা লাভ করতে চান? এড়্গেেত্র তার করণীয় কী? (অনুধাবন)
ক দেবতার চরণে নিজেকে উৎসর্গ করা
খ কঠোরভাবে ব্রত-উপবাস করা
>সাধনায় একাগ্রতা ও নিষ্ঠা
ঘ সক্রিয় চিন্তা-চেতনা
২৭৩. ‘হে পার্থ, যে আমাকে যেভাবে উপাসনা করে, আমি তাকে সেভাবেই তুষ্ট করি’Ñ একথা দৃঢ়ভাবে কে বলেছেন? (জ্ঞান)
ক শ্রীচৈতন্য খ অর্জুন
>ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ঘ শ্রীরামকৃষ্ণ
২৭৪. ভক্তি পথের সাধক কারা? (জ্ঞান)
ক যারা নিরাকার ঈশ্বরের প্রার্থণা করেন
খ যারা ঈশ্বর চিন্তায় নিমগ্ন থাকেন
>যারা সাকাররূপে ঈশ্বরের আরাধনা করেন
ঘ যারা সন্ন্যাস জীবনযাপন করেন
২৭৫. সুবলদাস ভগবানকেই একমাত্র গতি মনে করেন। তিনি কোন পথের পথিক? (প্রয়োগ)
ক রাজ যোগের খ জ্ঞান যোগের
গ কর্ম যোগের >ভক্তি যোগের
২৭৬. শ্রীমদ্ভগবদগীতার দ্বাদশ অধ্যায়ের নাম কী? (জ্ঞান)
[ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
ক কর্মযোগ খ জ্ঞানযোগ
গ নিষ্কামযোগ >ভক্তিযোগ
২৭৭. ভক্তি মূলত কী? (অনুধাবন)
ক ঈশ্বরের আরাধনা >মানব মনের সুকুমার বৃত্তি
গ মানুষের সকল কর্মপ্রচেষ্টা ঘ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি
২৭৮. ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কে ঈশ্বর সম্পর্কে জেনেছেন? (জ্ঞান)
>অর্জুন খ প্রহ্লাদ
গ বিশ্বামিত্র ঘ রন্তিদেব
২৭৯. ভগবানের প্রতি প্রেম বা ভালোবাসাকে কী বলে? (জ্ঞান)
>ভক্তি খ যুক্তি
গ কর্ম ঘ যোগ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৮০. কোনো ব্যক্তি ঈশ্বরের শরণাপন্ন হয়ে ভগবদ ভাব লাভ করতে পারেন- (অনুধাবন)
র. আসক্তি ত্যাগ করে
রর. ভয় ও ক্রোধ ত্যাগ করে
ররর. কর্ম ত্যাগ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮১. ভক্তিযোগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. ভগবান একমাত্র গতি-এই অনুভব
রর. ভগবানে আত¥সর্পণই সারকথা
ররর. ভগবানের অশেষ করম্নণায় বিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৮২. শ্রীবাসকুণ্ডু আসক্তি, ভয় ও ক্রোধ ত্যাগ করে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হন। কারণ এই কর্মের ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তিনি ভগবদ্ভাব লাভ করবেন
রর. তার পাপ-তাপ-দুঃখ-বেদনা থাকে না
ররর. ভক্তির মাধ্যমে ভগবানের অনুগ্রহ পেয়ে থাকেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৮৩. ভক্তির মূলে বিশ্বাস থাকবেÑ (অনুধাবন)
র. ভগবান সর্বশক্তিবান
রর. দেবদেবী ভগবানের সাকার রূপ
ররর. একমাত্র স্থল সাকাররূপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৮৪ ও ২৮৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নিত্যানন্দ সরকার যোগসাধনার বিশেষ একটি মার্গে অবস্থান করছেন। তিনি সকল প্রকার ভয়, ক্রোধ ও আসক্তি ত্যাগ করে, ঈশ্বরকে একমাত্র আশ্রয়স্থল বিবেচনা করে নিজেকে আরাধনায় নিয়োজিত রেখেছেন।
২৮৪. নিত্যানন্দ সরকারকে কী বলে চিিহ্নত করা যায়? (প্রয়োগ)
ক যোগী >ভক্ত
গ ধ্যানী ঘ জ্ঞানী
২৮৫. নিত্যানন্দ সরকারের উক্ত সাধনার মূল কথা কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নিষ্কাম কর্ম খ ঈশ্বরের ধ্যান
>ভগবানে শরণাগতি ঘ কঠোরতম সাধনা
সৃজশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর সৃজশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দ্বিজেন্দ্রনাথ একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। তাঁর বয়স ৭৫ বছর। তিনি সংসারে থেকেও অত্যন্ত সংযমী। তিনি সংসারের সমস্ত দায়িত্ব পুত্রের হাতে অর্পণ করে মন্দিরে মন্দিরে ঈশ্বর ধ্যানে মগ্ন থাকেন। এতেও তাঁর আত¥তৃপ্তি হয় না বিধায় তিনি জীবনের পরম প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে সংসার ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
ক. একেশ্বরবাদ কী?
খ. প্রত্যাহার বলতে কী বোঝায়?
গ. দ্বিজেন্দ্রনাথ সংসারে থেকে জীবনের কোন স্তরে অবস্থান করছেন তা তোমার পঠিত বিষয়ব¯ুত্মর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘জীবনের পরম প্রাপ্তি লাভে দ্বিজেন্দ্রনাথের সিদ্ধান্তটি ছিল যৌক্তিক।’- তোমার উত্তরের সপড়্গে যুক্তি দাও।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এ বিশ্বাসকে বলা হয় একেশ্বরবাদ।
খ. দেহের ইন্দ্রিয়গুলোকে নিজ নিজ বিষয় হতে তুলে এনে চিত্তের অনুগামী করার নাম প্রত্যাহার।
ইন্দ্রিয়গুলোকে নিজ নিজ বিষয় হতে তুলে আনা কষ্টসাধ্য বটে কিন্তু অসাধ্য নয়। দৃঢ় সংকল্প ও অভ্যাসের দ্বারা ইন্দ্রিয়গুলোকে অন্তর্মুখী করাকে প্রত্যাহার বলা হয়।
গ. দ্বিজেন্দ্রনাথ সংসারে থেকে জীবনের তৃতীয় স্তরে অর্থাৎ বানপ্রস্থ আশ্রমে অবস্থান করছেন।
শাস্ত্রমতে জীবনের পঞ্চাশ থেকে পঁচাত্তর বছর পর্যন্ত এই পঁচিশ বছরকে বলা হয় বানপ্রস্থ আশ্রম। জীবনের এ স্তরে মানুষ সংসারের দায়দায়িত্ব সন্তানের ওপর ন্যস্ত করে নির্জন পরিবেশে অবসর জীবনযাপন করেন। এখানে সংসারে জীবনের সঙ্গী স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে থাকতে পারেন তবে তাদের জীবনচর্চায় সংযম, ত্যাগ, নির্লোভ আচরণের বিধান থাকে। বানপ্রস্থে বনে যাওয়ার বিধান থাকলেও সভ্যতার অগ্রগতিতে মানুষ বনবাসী না হয়ে গৃহত্যাগ করে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সেবা বা পূজা-অর্চনার মাধ্যমে বৈরাগ্যময় জীবনযাপন করতে পারেন।
উদ্দীপকেও দেখা যায় দ্বিজেন্দ্রনাথ পঁচাত্তর বছর বয়সী ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। তিনি সংসারে থেকেও অত্যন্ত সংযমী এবং সংসারের সমস্ত দায়িত্ব পুত্রের হাতে অর্পণ করে মন্দিরে ঈশ্বর ধ্যানে মগ্ন থাকেন। তাই বলা যায় দ্বিজেন্দ্রনাথ সংসারে থেকে জীবনের তৃতীয় স্তরে অবস্থান করছেন।
ঘ. জীবনের পরম প্রাপ্তি লাভে দ্বিজেন্দ্রনাথের সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক ছিল।
কারণ জীবনে পরমপ্রাপ্তি লাভের পর্যায় হলো জীবনের চতুর্থ পর্যায়। আশ্রম জীবনের চতুর্থ পর্যায়ে আসে সন্ন্যাসের কথা। এ সময় পঁচাত্তর থেকে একশ বছরের মধ্যে জীবন ধারণের শাস্ত্রীয় নির্দেশ। সন্ন্যাস শব্দের অর্থ সম্পূর্ণ ত্যাগ। এ আশ্রমে এসে সন্ন্যাসী একাকী জীবন ধারণ করবেন। এ সময় সন্ন্যাসীদের সঙ্গে তার স্ত্রীও থাকবে না। সন্ন্যাসী সকল জাগতিক কর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বর চিন্তাতেই মগ্ন থাকবেন। আশ্রয়হীন অবস্থায় মন্দিরে দেবালয়ে ক্ষণকালের জন্য আশ্রয় নিতে পারেন। পোশাক পরিচ্ছদ থাকবে নিতান্তই সাধারণ। অতীত জীবনের স্মৃতি সব পরিহার করে এক মনে এক ধ্যানে ঈশ্বরের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। শাস্ত্রবচনে জানা যায়, ‘দণ্ডগ্রহণমাত্রেণ নরো নারায়ণো ভবেৎ।’ অর্থাৎ সন্ন্যাস গ্রহণ করলেই মানুষ নারায়ণ বা দেবতা হয়ে যায়। তবে সন্ন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে কর্মফলাসক্তি ও ভোগাসক্তি ত্যাগ।
উদ্দীপকে দ্বিজেন্দ্রনাথের বয়স পঁচাত্তর। শাস্ত্র অনুযায়ী এখন তিনি আশ্রমের চতুর্থ পর্যায়ে প্রবেশ করছেন। জীবনের পরম প্রাপ্তি লাভ করতে হলে এই পর্যায়ে সংসার ত্যাগ করে জাগতিক সকল কর্ম পরিত্যাগ করে ঈশ্বরের চিন্তাতে মগ্ন থাকতে চান। তাই বলা যায় জীবনের পরম প্রাপ্তি লাভের ড়্গেেত্র দ্বিজেন্দ্রনাথের সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ সঠিক।
প্রশ্ন-২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রশান্ত বাবু তাঁর সন্তানদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করেন। অতিথি সেবাসহ পরিবার ও সমাজের প্রতি তাঁর কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে সম্পাদন করেন। তাঁর প্রতিবেশী আশীষ বাবু সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কিছুকাল পর জাগতিক সকল কর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বর চিন্তায় মগ্ন থাকেন। [এসএসসি সকল বোর্ড-’১৫]
ক. মানুষ জীবনের প্রথম পঁচিশ বছরকে কী বলা হয়? ১
খ. বানপ্রস্থ আশ্রমের জীবন-যাপন প্রণালি বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. আশ্রম ধর্মানুযায়ী প্রশান্ত বাবু কোন পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আশীষ বাবু কী ধর্ম নির্দেশিত পথে হাঁটছেন? তোমার উত্তরের সপড়্গে যুক্তি প্রদর্শন কর। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মানুষের জীবনের প্রথম পঁচিশ বছরকে বলা হয় ব্রহ্মচার্য।
খ. মানুষের একান্ন থেকে পঁচাত্তর বছর বয়স পর্যন্ত সময়কালকে বানপ্রস্থ আশ্রম বলা হয়। এ আশ্রমে মুনিবৃত্তি অবলম্বন এবং সন্ন্যাস আশ্রমে কর্ম ত্যাগ করে ব্রহ্মচিন্তায় নিমজ্জন করতে হয়। বানপ্রস্থ আশ্রমে জ্ঞানযোগের পরিচয় মেলে।
গ. আশ্রয় ধর্মানুযায়ী প্রশান্ত বাবু গার্হস্থ্য আশ্রমের অন্তর্ভুক্ত।
হিন্দুদের জীবনচর্চার আশ্রম বিভাগে জানা যায়, প্রথম পঁচিশ বছর ব্রহ্মচর্য আশ্রমে বিদ্যা শিক্ষা ও সংযম শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এর পরের পঁচিশ বছর অর্থাৎ ছাব্বিশ থেকে পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত পঁচিশ বছর হলো গার্হস্থ্য আশ্রম। এ আশ্রমে ধর্ম সংযুক্ত অর্থ ও কামের সাথে। গার্হস্থ্য আশ্রমে সেবা আচরণীয়। এ পর্যায়ে কর্মযোগের পরিচয় মেলে। মানুষ পরিবার পরিজন, জীবনসঙ্গী সন্তানসন্ততি ও সমাজের সবার সাথে মিলেমিশে জীবনযাপন করার মাধ্যমে এ আশ্রম পালন করে। অর্থাৎ গার্হস্থ্য আশ্রমে সম্মিলন ঘটে ধর্ম, কর্ম ও সেবার।
উদ্দীপকের প্রশান্ত বাবুও পরিবার ও সমাজের প্রতি তাঁর কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে সম্পাদন করেন। সন্তানদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করেন। তিনি যথেষ্ট অতিথিপরায়ণও। অর্থাৎ তাঁর জীবনে ধর্ম, কর্ম ও সেবার সম্মিলন ঘটেছে। অতএব, আশ্রমধর্ম অনুযায়ী বলা যায় প্রশান্ত বাবু গার্হস্থ্য আশ্রম পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ. আশীষ বাবু আবশ্যই ধর্ম নির্দেশিত পথে হাঁটছেন।
আশীষ বাবু তার চাকরি জীবন অর্থাৎ হিন্দুধর্মের আশ্রম ধর্মমতে গার্হস্থ্য আশ্রম সম্পন্ন করেছেন। এখন তিনি অবসরপ্রাপ্ত। তাই জাগতিক সকল কর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বরচিন্তায় মগ্ন থাকেন। আশ্রয়বিহীন অবস্থায় লোকালয় থেকে সংগৃহীত আহার শুধু দিনের বেলা গ্রহণ করেন। হিন্দুদের জীবনচর্চার আশ্রমধর্ম অনুযায়ী তিনি সন্ন্যাস আশ্রম পালন করছেন।
হিন্দুধর্ম অনুযায়ী আশ্রম বিভাগে জানা যায় সন্ন্যাস আশ্রম হলো চতুর্থ ও সর্বশেষ আশ্রম। ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য ও বানপ্রস্থ আশ্রম শেষ করার পর সন্ন্যাস আশ্রমে কর্ম ত্যাগ করে ব্রহ্মচিন্তায় নিমজ্জিত থাকতে হয়। এ আশ্রমে জ্ঞানযোগের পরিচয় মেলে। নির্দিষ্ট বাসস্থান ত্যাগ করে ঠিকানাবিহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে হয় এবং লোকের কাছ থেকে ভিক্ষা করে দিন যাপন করতে হয়।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা ও যুক্তি থেকে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, আশীষ বাবু উপযুক্ত রূপেই ধর্মনির্দেশিত পথে হাঁটছেন।
প্রশ্ন-৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হিন্দুধর্মের একনিষ্ঠ সাধক জয়তী সান্যাল প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সূর্যদেবতার আরাধনা করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মন্দিরে গিয়ে দেবতাকে প্রসাদ দেয়। কালী, লক্ষ্মী সব দেবতার আরাধনা করে জয়তী। বহু দেবতার আরাধনা করলেও জয়তী এ আরাধনার মধ্য দিয়ে একজনের সন্তুষ্টি অর্জনেরই চেষ্টা করে। [পাঠ- ১ ও ২]
ক. কোনটিকে হিন্দুধর্মের মৌল বিশ্বাস বলা হয়? ১
খ. ‘একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি’- কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জয়তী সান্যালের আরাধনার মধ্য দিয়ে হিন্দুধর্মের কোন বিশ্বাসটি প্রতিভাত হয়ে ওঠে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. হিন্দুধর্মাবলম্বীদের উক্ত বিশ্বাসী বলাটা কতটা যুক্তিযুক্ত বলে তুমি মনে কর? ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ঈশ্বরে বিশ্বাস স্থাপন করাকে হিন্দুধর্মের মৌল বিশ্বাস বলা হয়।
খ. একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি কথাটির অর্থ হচ্ছে- সদ্বস্তু এক, বিপ্রগণ তাঁকে বহু প্রকার বলে বর্ণনা করেন। একেশ্বরবাদের উপলব্ধি থেকে ঋগ্বেদে ঋষিগণ উলেস্নখ করেছেন, ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। বিশ্বে ঈশ্বরের সমান আর কেউ নেই। তবে ঈশ্বরের গুণ বা শক্তি নিয়ে দেবতা বা অবতারগণ এ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন। এরা সবাই নির্গুণ ঈশ্বরের সাকার রূপ।
গ. জয়তী সান্যালের আরাধনার মধ্য দিয়ে হিন্দুধর্মের একেশ্বরবাদের ধারণাটি প্রতিভাত হয়ে ওঠে।
একেশ্বরবাদ হচ্ছেÑ ঈশ্বর এক বা অদ্বিতীয়, ব্রহ্ম একাধিক নন-এই মতে বিশ্বাস স্থাপন করা। দেবদেবীর উপাসনা হিন্দুধর্মের একটি বিশেষ দিক। দেবদেবীগণ ঈশ্বরেরই ভিন্ন ভিন্ন গুণ বা শক্তির অধিকারী।
উদ্দীপকে জয়তী সান্যাল বিভিন্ন দেবদেবীর আরাধনা করলেও তার লড়্গ্য হচ্ছে এক ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন। ঈশ্বরের শক্তি বা গুণের অধিকারী নানা দেবতার পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে জয়তী ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে চায়। সে বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। দেবতারা ঈশ্বরের সাকার রূপ। তার এই বিশ্বাসটিই হচ্ছে একেশ্বরবাদ। তাই বলা যায়, জয়তীর আরাধনার মধ্য দিয়ে হিন্দুধর্মের একেশ্বরবাদের বিশ্বাসটি প্রতিভাত হয়ে ওঠে।
ঘ. হিন্দুধর্মাবলম্বীরা একেশ্বরবাদী একথা বলা একেবারেই যুক্তিযুক্ত। কারণ হিন্দুদের ধর্মীয় বিভিন্ন গ্রন্থাবলিতে ঈশ্বরের স্বরূপ সম্পর্কে যে ধারণা দেয়া হয়েছে সেসব ধারণা বিশেস্নষণ করলে একথা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হবে যে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা একেশ্বরবাদী।
হিন্দুরা ভিন্ন ভিন্ন দেবতার পূজা অর্চনা করলেও তারা বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। দেবদেবী হচ্ছে ঈশ্বরের শক্তি বা গুণের প্রকাশক। যেমনটি উদ্দীপকে জয়তী সান্যালের বিশ্বাস এবং কর্মকাণ্ডে লক্ষ করা যায়। ঋষিদের উপলব্ধি হচ্ছে- একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি-অর্থাৎ সদ্বস্তু এক, বিপ্রগণ তাঁকে বহু প্রকার বলে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে কঠোপনিষদে দেখা যায় ‘নেহ নানা¯ন্তিকিঞ্চন-ব্রহ্ম থেকে পৃথক কিছু নেই। ব্রহ্ম এক এবং অদ্বিতীয়। বিশ্বে ঈশ্বরের সমান আর কেউ নেই। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায়ও বলা হয়েছে- ঈশ্বরই হলেন জগতের উৎপত্তি, স্থিতি ও লয়ের কেন্দ্রস্থল। সুতরাং অবতার বা দেবদেবীগণ এক পরমেশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন গুণ ও শক্তির প্রকাশক।
তাহলে দেখা যাচ্ছে হিন্দুধর্মে বহু দেবদেবীর পূজা-অর্চনার বিভিন্ন পদ্ধতি অনুশীলিত হলেও সেসব ধর্মকর্মের মধ্য দিয়ে এক পরমেশ্বরেরই উপাসনা করা হচ্ছে।
সুতরাং বলা যায়, একেশ্বরবাদ হিন্দুধর্মের একটি বিশ্বাস এবং হিন্দুধর্মাবলম্বীরা নিঃসন্দেহে একেশ্বরবাদী।
প্রশ্ন-৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুবর্ণচর গ্রামে একটি ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে হিন্দুধর্মের ওপর একটি তত্ত্ব বিষয়ে বলা হয় যে, ব্রহ্মা বা ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। অবতার ও দেব-দেবীগণ এক পরমেশ্বরেরই ভিন্ন ভিন্ন গুণ ও শক্তির প্রকাশ। [পাঠ – ১ ও ২]
ক. অবতার শব্দের অর্থ কী? ১
খ. প্রত্যাহার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের কোন তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে? পাঠবইয়ের আলোকে উক্ত তত্ত্বটি বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষ উক্তিটি বিশেস্নষণ কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অবতার শব্দের অর্থ হলো যিনি অবতরণ করেন।
খ. দেহের ইন্দ্রিয়গুলোকে নিজ নিজ বিষয় হতে মুক্ত করে চিত্তের অনুগামী করার নাম প্রত্যাহার।
ইন্দ্রিয়গুলোকে নিজ নিজ বিষয় হতে মুক্ত করা কষ্টসাধ্য বটে কিন্তু অসাধ্য নয়। দৃঢ় সংকল্প ও অভ্যাসের দ্বারা ইন্দ্রিয়গুলোকে অন্তর্মুখী করা যায়। ইন্দ্রিয়গুলো অন্তর্মুখী হলে চিত্তে বিষয়-আসক্তি নষ্ট হয়।
গ. উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের একেশ্বরবাদের কথা বলা হয়েছে। অবতার ও দেবদেবীগণ এক ঈশ্বরেরই ভিন্ন ভিন্ন গুণ ও শক্তির প্রকাশ। ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এ বিশ্বাসকে বলা হয় একেশ্বরবাদ।
প্রচলিত বহু দেবদেবীর উপাসনা হিন্দুধর্মের একটি বিশেষ দিক। ঋগ্বেদে ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু, ঊষা প্রভৃতি দেবদেবীর স্তুতি রয়েছে। হিন্দুধর্মে বহু দেবদেবীর আরাধনা ও পূজা-অর্চনার বিভিন্ন পদ্ধতি অনুশীলিত হলেও সেসব ধর্মকর্মের মধ্য দিয়ে এক পরমেশ্বরেরই উপাসনা করা হচ্ছে। তবে দেবদেবীগণ ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন শক্তি বা গুণের অধিকারী। ঈশ্বরই জগতের একমাত্র সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশের কর্তা। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা নিঃসন্দেহে একেশ্বরবাদী। উদ্দীপকেও বলা হয় যে, ব্রহ্মা বা ঈশ্বর এক অদ্বিতীয়। অবতার ও দেবদেবীগণ এক পরমেশ্বরেরই ভিন্ন ভিন্ন শক্তির প্রকাশ। তাহলে বলা যায় যে, হিন্দুধর্মের অন্যতম তত্ত্ব হলো ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ, এক, অভিন্ন, অনন্য পরমসত্তা।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ উক্তিটি হলো অবতার ও দেবদেবী একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ-তাত্ত্বিক অর্থে উক্তিটি যথার্থ।
কেননা ঈশ্বরের কোনো গুণ বা শক্তি যখন আকার পায়, তখন তাকে দেবদেবী বলে। দেবদেবী ও অবতারগণ সবাই এক পরমেশ্বরের বিভূতি ও শক্তির প্রকাশ।
বেদ ও উপনিষদে বলা হয়েছে ‘ব্রহ্ম এক এবং অদ্বিতীয়’। ‘ঋগ্বেদে ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু, ঊষা প্রভৃতি দেবদেবীর স্তুতি রয়েছে। এরা ভিন্ন ভিন্ন শক্তির পরিচয় বহন করলেও তাদের সম্মিলিত শক্তির কেন্দ্রটি হচ্ছে ঈশ্বর। দৃষ্টান্তস্বরূপ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সাধনার ফলাফলের বক্তব্য হলো যিনি কালী, তিনি ব্রহ্ম।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, সুবর্ণচর গ্রামের ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচিত হয় যে, ব্রহ্মা বা ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। দেবদেবী ও অবতারগণ সবাই এক পরমেশ্বরেরই বিভূতি ও শক্তির প্রকাশ। তাই উপরিউক্ত উক্তিটি সঠিক ও তাৎপর্যমণ্ডিত।
প্রশ্ন-৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
এলাকার গডফাদার সন্ত্রাসী কালা মানিকের অত্যাচার নির্যাতন এত মাত্রায় বেড়ে গিয়েছিল যে ঈশ্বর তাকে শা¯ন্তিনা দিয়ে পারলেন না। মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় আর নৈতিকতাবিরোধী সকল অন্যায়ের জবাব দিতে সিদ্ধার্থ নামের এক যুবককে পাঠালেন ঈশ্বর। সিদ্ধার্থ কালা মানিককে চিরতরে পৃথিবী থেকে পাঠিয়ে দিয়ে মানুষকে মুক্তি দিয়ে উধাও হয়ে গেল। [পাঠ- ৩ ও ৪]
ক. ঈশ্বরকে কোন ধরনের সত্তা বলা হয়? ১
খ. ধর্মো রক্ষতি রক্ষতিঃ- কথাটির তাৎপর্য লেখ। ২
গ. উদ্দীপকটিতে হিন্দুধর্মের কোন বিশ্বাসের ধারণা দিচ্ছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটিতে উক্ত বিশ্বাসের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে কি? উত্তরের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ঈশ্বরকে বলা হয় চৈতন্যময় সত্তা।
খ. ‘ধর্মো রক্ষতি রক্ষতিঃ’ কথাটির অর্থ হলো-ধর্মকে যিনি রক্ষা করেন ধর্ম তাকে রক্ষা করেন।
অর্থাৎ যিনি পরিপূর্ণভাবে ধর্ম পালন করেন বা ঈশ্বরে বিশ্বাস স্থাপন করেন-বিপদে সর্ববস্থায় ঈশ্বর তাকে সাহায্য করেন। আমরা দৈত্য হিরণ্যকশিপু এবং তার হরিভক্ত ছেলে প্রহ্লাদের কাহিনি জানি। প্রহ্লাদ ধার্মিক ছিলেন বলেই ধর্ম তাকে রক্ষা করেছিল।
গ. উদ্দীপকটি হিন্দুধর্মের অন্যতম একটি বিশ্বাস অবতারবাদের ধারণা দিচ্ছে।
অবতারবাদ হচ্ছে হিন্দুদের এমন একটি বিশ্বাস সেখানে মনে করা হয়-সমাজে অত্যাচার অনাচার দুষ্কৃতি অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে-ভগবান এ পৃথিবীতে অবতরণ করে অত্যাচারীকে নিধন করে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। মনুষ্য সমাজে মাঝে মাঝে ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা দেখা দেয়, ধার্মিকদের জীবনে নেমে আসে নিপীড়ন-নির্যাতন। এরূপ অবস্থায় ভগবান স্বয়ং বা তাঁর কোনো দেবদেবী মনুষ্যাদির মূর্তি ধারণ করে ভগবানের অপ্রাকৃত নিত্যধাম থেকে নেমে আসেন, একেই বলে অবতারবাদ।
উদ্দীপকেও আমরা একই চিত্র দেখতে পাচ্ছি। সন্ত্রাসী কালা মানিককে শা¯ন্তিদিতে সিদ্ধার্থ নামের এক ব্যক্তির উদয় হলো। কালা মানিককে শা¯ন্তিদিয়ে তিনি আবার নিত্যধাম থেকে উধাও হয়ে গেলেন। ঘটনাটি হিন্দুধর্মের অবতারবাদ ধারণাটির বহিঃপ্রকাশ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি হিন্দুধর্মের অবতারবাদ বিশ্বাসের ধারণা দিচ্ছে।
ঘ. উদ্দীপকটিতে হিন্দুধর্মের অবতারবাদ বিশ্বাসের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। হিন্দুধর্মের অবতার তিন পর্যায়ের হয়ে থাকে। যেমন : গুণাবতার, লীলাবতার ও আবেশাবতার। পরমেশ্বর ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর এই তিন দেবতা, পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি, স্থিতি ও সংহার করেন। এরা হলেন-পরমেশ্বরের গুণাবতার। আবার পৃথিবীতে মৎস্য, কূর্ম, রাম, পরশুরাম প্রভৃতি স্থূল দেহধারী জীবের মূর্তিতে অবতীর্ণ হয়ে ভগবান যে কর্মকাণ্ড করেন তাকে লীলাবতার বলা হয়। শ্রীচৈতন্য শ্রীরামকৃষ্ণ এরা হলেন পরমেশ্বরের জ্ঞানাদি শক্তি দ্বারা আবিষ্ট। এ মহাপুরম্নষরা হলেন-আবেশাবতার।
কিন্তু উদ্দীপকটিতে আমরা শুধু লীলাবতারের ধারণা পাই। ভবগান বিষ্ণু যে দশটি রূপ নিয়ে এ পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন-তার একটি রূপক ধারণা উদ্দীপকে দেয়া হয়েছে। ভগবান বিষ্ণু এ পৃথিবীতে দশবার অবতীর্ণ হয়েছেন। অত্যাচারীকে বিনাশ, ধর্ম রক্ষা করা, সাধু সজ্জনদের দুঃখ কষ্ট দূরীকরণের উদ্দেশ্যে বরাহ, কূর্ম, মৎস্য, নৃসিংহ, রাম, পরশুরাম, কল্কি প্রভৃতি অবতার হিসেবে এ পৃথিবীতে আগমন করেছেন।
উদ্দীপকে শুধু এ দিকটিরই অবতারণা করা হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটিতে অবতারবাদ ধারণার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।
প্রশ্ন-৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শ্যামনগর গ্রামের বটগাছতলায় রাসপূজার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত পূজা উপলড়্গে সেখানে অষ্টকের দল এসেছে। তাদের এ অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নৃসিংহ, পরশুরাম ও বুদ্ধের মুখোশ পরিহিত কিছু মানুষের অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন করা। এ অনুষ্ঠানের হিন্দুধর্মীয় বিভিন্ন উপাখ্যানের অংশবিশেষ মানুষের মাঝে প্রচার করা হয়। [পাঠ-৩ ও ৪]
ক. জগতের সৃষ্টি, লয় ও স্থিতিকে কোন অবতার বলা হয়? ১
খ. সমাধি বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের যে মতবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত মতবাদের সাথে একেশ্বরবাদের সম্পর্ক বিশেস্নষণ কর। ৪
ক. জগতের সৃষ্টি, লয় ও স্থিতিকে গুণাবতার বলা হয়।
৬নং প্রশ্নের উত্তর
খ. সমাধি হচ্ছে যোগ সাধনার সর্বোচ্চ স্তর। সমাধি অর্থ সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরে চিত্তসমর্পণ সাধনায় যে পর্যায়ে সাধকের ‘আমি’ বা আমার জ্ঞান থাকে না তখন সাধক সমাধি লাভ করেন। অর্থাৎ প্রকৃত যোগ লাভ করেন।
গ. উদ্দীপকে মূলত হিন্দুধর্মের অবতারবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অবতারবাদ অনুযায়ী ঈশ্বর হচ্ছেন চৈতন্যময় সত্তা। তিনি অসীম সসীম সকল অবস্থাতেই থাকতে পারেন। অবতার সসীম হয়ে দেহধারণ করলে তাঁর মাঝে ঈশ্বরীয় শক্তি থাকে। ঈশ্বর সসীম রূপ ধারণ করে নিজের শক্তি তাঁদের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। পৃথিবীতে যখন অধর্ম বেড়ে যায় তখন ঈশ্বর বিভিন্ন রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে নেমে এসে অধার্মিকের বিনাশ করেন। অর্থাৎ অবতারবাদের সূচনা লক্ষ করা যায় পৌরাণিক যুগে। অবতারের উদ্দেশ্য হলো, দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ সাধন, সাধু-সজ্জনদের দুঃখকষ্ট থেকে মুক্ত করা এবং ধর্ম সংস্থাপন করা। ধর্মকে যিনি রক্ষা করেন, ধর্ম তাকে রক্ষা করে- অবতারবাদে এমন একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলা হয়েছে।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, নৃসিংহ, পরশুরাম ও বুদ্ধের বিভিন্ন মুখোশ পরিহিত কিছু মানুষের অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন করা হয়। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের অবতার মতবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঘ. উক্ত মতবাদটি হলো অবতারবাদ যা হিন্দুধর্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আর একেশ্বরবাদ হলো হিন্দুধর্মের একটি তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের নাম। অবতারবাদ এবং একেশ্বরবাদের পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়বস্তু এক একেশ্বরবাদে বলা হয়েছে ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়, তিনি একাধিক নন। অন্যদিকে অবতারবাদ অনুসারে ঈশ্বর হচ্ছেন চৈতন্যময় সত্তা। ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা, ধার্মিকদের প্রতি নিপীড়ন, নির্যাতন, সামাজিক অত্যাচার, অনাচার যখন বেড়ে যায় তখন ঈশ্বর সসীমরূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন যা অবতার নামে খ্যাত। উদ্দীপকে দেখানো নৃসিংহ সত্য যুগে, পরশুরাম ত্রেতাতে এবং বুদ্ধ কলির শুরম্নতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
কলিযুগের শেষভাগেও যখন অধর্ম ও অসত্যের প্রভাব প্রকট হয়ে উঠবে তখন শ্রীবিষ্ণু কল্কিরূপে অবতীর্ণ হয়ে জগতে ধর্ম ও সত্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবেন।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা বিশেস্নষণ করে বলা যায় যে, উদ্দীপকের মতবাদ অবতারবাদের সাথে একেশ্বরবাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।
প্রশ্ন-৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করে প্রশাসনের উচ্চপদে চাকরি নিয়েছেন মৃণাল ঘোষ। বাবা-মা ঠিক করলেন এবার তাকে বিয়ে করাবেন। গ্রামের উচ্চ শিক্ষতি মিনু দাসের সাথে বিয়ে দিলেন। সুখেই সংসার করছে তারা। মৃণাল স্ত্রী সন্তানের প্রতি যেমন দায়িত্ব পালন করছেন তেমনি বাবা-মার প্রতি তার শ্রদ্ধারও কমতি নেই। ঈশ্বরের প্রতি মৃণাল কৃতজ্ঞ যে পৃথিবীতে তিনি এত সুন্দরভাবে জীবন উপভোগ করতে পারছেন। [পাঠ-৫ ও ৬]
ক. অবতারবাদের সূচনা হয়েছে কোন যুগে? ১
খ. অবতারের পৃথিবীতে পদার্পণ করার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটির ঘটনা চতুরাশ্রমের কোন ধারণাটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি উক্ত বিষয়টির পূর্ণ রূপ নয় Ñ বিশেস্নষণ কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অবতারবাদের সূচনা হয়েছে পৌরাণিক যুগে।
খ. দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ, সাধু-সজ্জনদের দুঃখকষ্ট থেকে মুক্ত করা এবং ধর্ম সংস্থাপন করার জন্যই ভগবান অবতার হিসেবে এ পৃথিবীতে অবতরণ করেন। মনুষ্য সমাজে মাঝে মাঝে ধর্মের প্রতি অবহেলা, অবজ্ঞা দেখা যায়। ধার্মিকদের জীবনে নেমে আসে দুঃখ কষ্ট, নির্যাতন-নিপীড়ন। দুষ্কৃতকারীদের অত্যাচার অনাচার সমাজকে কলুষিত করে তোলে। এ অবস্থায় ভগবান বা তাঁর কোনো দেবদেবী মনুষ্যাদির মূর্তি ধারণ করে অবতাররূপে ধার্মিককে রক্ষা করে ধর্ম সংস্থাপন করেন।
গ. উদ্দীপকটির ঘটনা চতুরাশ্রমের দ্বিতীয় স্তর গার্হস্থ্য আশ্রম ধারণার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
মানুষ বিদ্যাশিক্ষা শেষ করে বিবাহের মাধ্যমে গার্হস্থ্য আশ্রমে প্রবেশ করে। এখানে সন্তান-সন্ততির জš§ দেয়া, স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-বাবা মা ইত্যাদি সবার প্রতি দায়িত্ব পালন করে। পারিবারিক জীবনে প্রতিদিন পাঁচটি যজ্ঞের মাধ্যমে কর্মের অনুশীলন করা হয়। এগুলো হচ্ছে, পিতৃযজ্ঞ, দৈবযজ্ঞ, ভূতযজ্ঞ, নৃযজ্ঞ এবং ঋষিযজ্ঞ। মানুষ মাতাপিতার মাধ্যমে জš§গ্রহণ করে, তাদের তত্ত্বাবধানে সেবা শুশ্রূষায় বড় হতে থাকে। এই বাবা-মা’র প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি, সেবাযত্ন, প্রভৃতিপালন সন্তানের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। অতএব, এ কর্তব্যগুলো সম্পাদন করে একজন সন্তান-পিতৃযজ্ঞ সম্পন্ন করে।
উদ্দীপকে এ বিষয়টিরই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। বিবাহের মাধ্যমে মৃণাল ঘোষ সাংসারিক জীবনে প্রবেশ করে সংসারের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালন করছেন। পিতামাতাকে শ্রদ্ধা ভক্তি করে তাদের সেবা-শুশ্রূষার মাধ্যমে অতিবাহিত করছেন প্রতিটি দিন। এ ঘটনাটি চতুরাশ্রমের গার্হস্থ্য আশ্রম ধারণাটির সাথেই সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকটি গার্হস্থ্য আশ্রম ধারণাটির পূর্ণ রূপ নয়। কথাটি যথার্থ এবং বাস্তব সত্য।
গার্হস্থ্য আশ্রমে প্রবেশকারী একজন মানুষ পিতৃযজ্ঞ পালনের পাশাপাশি আর চারটি যজ্ঞ অনুশীলনের মাধ্যমে প্রতিটি দিন অতিবাহিত করেন। এগুলো হলো-দৈবযজ্ঞ অর্থাৎ জীবনধারণের জন্য প্রকৃতির দান গ্রহণ করে দানের কর্তার প্রতি ভোগ্যবস্তু নিবেদন করা। প্রকৃতি প্রদত্ত বস্তু ভোগ করার সময় কৃতজ্ঞচিত্তে ভোগ্যবস্তু ঈশ্বরে নিবেদন করাই হলো দৈবযজ্ঞ। ভূতযজ্ঞ হচ্ছে পাখিসহ অন্যান্য জীবজন্তুর আহার প্রদানসহ নানা প্রকার পরিচর্যা, অতিথি সেবাকে বলা হয় নৃযজ্ঞ। আর পদ্ধতিগতভাবে বেদসহ প্রয়োজনীয় গ্রন্থাদি পাঠের দ্বারা জ্ঞান ও নৈতিকতা অর্জনের প্রচেষ্টাকে বলা হয় ঋষিযজ্ঞ।
আবার সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে মানুষ সমাজ থেকে যেমন নানা ধরনের দ্রব্যাদি গ্রহণ করে, তেমনি সামাজিক চাহিদার কারণে সমাজে নানা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে সেবাধর্ম পালন করে মানুষ। এসবই হলো গার্হস্থ্য আশ্রমের কর্ম।
কিন্তু উদ্দীপকে আমরা মৃণাল ঘোষকে শুধু পিতৃযজ্ঞ পালনের মধ্যে তার কর্ম সীমাবদ্ধ রাখতে দেখি। গার্হস্থ্য আশ্রমের অন্যান্য যজ্ঞগুলো সে অনুশীলন করছে না। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উদ্দীপকটি গার্হস্থ্য আশ্রমের পূর্ণ রূপ নয়।
প্রশ্ন-৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ধর্মকর্মে মন দিয়েছেন শ্রী বিমল রায়। তাই তিনি জাগতিক কাজকর্ম থেকে বিরত থেকে একমাত্র ঈশ্বরের ধ্যানে নিমগ্ন থাকেন। সামান্য সময়ের জন্য তিনি মন্দিরে আশ্রয় নেন। তিনি দুপুরবেলায় অন্ন গ্রহণ করেন এবং বাকি দুবেলা ফল, দুধ খেয়ে জীবন ধারণ করেন। তার ধারণা এভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করলে তিনি মোক্ষলাভ করতে পারবেন। [পাঠ-৫ ও ৬]
ক. ধর্মের শাস্ত্রীয় সংজ্ঞা উলেস্নখ কর। ১
খ. ব্রহ্মচর্যাশ্রম বলতে কী বোঝ? ২
গ. শ্রী বিমল রায়ের কাজে চতুরাশ্রমের কোন ধারণাটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শ্রী বিমল দাসের কাজটিই চতুরাশ্রমের একমাত্র কাজ নয়Ñ মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিশেস্নষণ কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ধর্মের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে শাস্ত্রে বলা হয়েছে-যা থেকে অভ্যুদয় অর্থাৎ সাংসারিক উন্নতি ও নিশ্রেয়স্ অর্থাৎ নিশ্চিত মঙ্গল লাভ হয় তার নাম ধর্ম।
খ. মানুষের জীবনের প্রথম পঁচিশ বছরকে বলা হয় ব্রহ্ম চর্যাশ্রম। হিন্দুধর্মের চতুরাশ্রমের প্রথম স্তরটি হচ্ছে ব্রহ্মচর্যাশ্রম। মানুষের শৈশবকাল বাদ দিয়ে পাঁচ বছর বয়স হলে তাকে গুরম্নগৃহে গমন করে ব্রহ্মচর্য জীবন শুরম্ন করতে হয়। গুরম্নর নিকট দীক্ষাগ্রহণ, গুরম্নর তত্ত্বাবধানে পড়াশোনা করাই হলো ব্রহ্মচর্যাশ্রম। এ আশ্রমে থেকেই শিষ্য বহু শাস্ত্র অধ্যয়ন, আত¥সংযমী, পরিশ্রমী ও কঠোর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হয়।
গ. শ্রী বিমল দাসের কাজে চতুরাশ্রমের চতুর্থ স্তর সন্ন্যাস ধারণাটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
সন্ন্যাস শব্দের অর্থ সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করা। এই আশ্রমে সন্ন্যাসী একাকী জীবনধারণ করেন। এ সময় তিনি সকল মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করেন এবং জাগতিক কাজকর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বর চিন্তাতেই মনকে নিবিষ্ট করেন। মাত্র দুপুর বেলায় আহার লোকালয় থেকে সংগ্রহ করেন এবং বাকি দুবেলা দুধ, ফল প্রভৃতি আহার অল্প পরিমাণে গ্রহণ করেন। আশ্রয়হীন অবস্থায় অল্প সময়ের জন্য সন্ন্যাসী মন্দিরে আশ্রয় নিতে পারেন।
উদ্দীপকে শ্রী বিমল দাস জাগতিক কর্ম, সঙ্গী সাথী ত্যাগ করে ধর্মকর্মে মন দিয়েছেন তিনি মন্দিরে ক্ষণকালের জন্য আশ্রয় নেন। দুবেলা দুধ, ফল এবং একবেলা অন্ন খেয়ে জীবনধারণ করেন তিনি। ঈশ্বরের নিমগ্ন থাকাই তার প্রধান কাজ। তার এ কাজগুলো সন্ন্যাস জীবনের কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
তাই বলা যায়, শ্রী বিমল দাসের কাজে সন্ন্যাস ধারণাটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
ঘ. শ্রী বিমল দাসের সন্ন্যাস জীবনের কাজটি চতুরাশ্রমের একমাত্র কাজ নয়Ñ কথাটি যৌক্তিক।
হিন্দুধর্মের দুটি দিক ব্যবহারিক এবং পারমার্থিক। ব্যবহারিক কাজে উন্নতির মাধ্যমে আধ্যাতি¥ক উন্নয়ন ঘটে। এই ব্যবহারিক কাজকে চারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। যেমন : ব্রহ্মচর্য আশ্রম, গার্হস্থ্য আশ্রম, বানপ্রস্থ আশ্রম এবং সন্ন্যাস। ব্রহ্মচর্যাশ্রম হচ্ছে-জীবনের প্রথম পঁচিশ বছর সময়। এ বছর গুরম্নর তত্ত্বাবধানে থেকে একজন মানুষ নিজেকে পরিশ্রমী, সংযমী এবং শাস্ত্রীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলে। বিদ্যাশিক্ষা সমাপ্ত করে মানুষ গার্হস্থ্য আশ্রমে প্রবেশ করে, যেখানে পাঁচটি যজ্ঞের মাধ্যমে প্রতিদিন তাকে কর্ম সম্পাদন করতে হয়। এগুলো হলো-পিতৃযজ্ঞ, দৈবযজ্ঞ, ভূতযজ্ঞ, নৃযজ্ঞ এবং ঋষিযজ্ঞ। আর বানপ্রস্থ আশ্রমে মানুষ নির্জনে অবসর জীবনযাপন করে। সংসারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে বনবাসী না হয়ে গৃহত্যাগ করে মানুষ বৈরাগ্য জীবনযাপন করে। কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বা পূজা অর্চনার মাধ্যমে সময় কাটে তার। এড়্গেেত্র কারও সঙ্গ ত্যাগ করা হয় না। ইচ্ছে করলে স্বামী স্ত্রীর বা স্ত্রী স্বামীর সঙ্গী হতে পারেন। তবে তারা নির্লোভ, সংযমী জীবনযাপন করবেন। চতুর্থ স্তর হচ্ছে সন্ন্যাস গ্রহণ যে ধারণাটি আমরা উদ্দীপক থেকে লাভ করেছি। উদ্দীপকে আমরা শুধু সন্ন্যাস স্তরটির ধারণা লাভ করি, কিন্তু অন্য তিনটি স্তর সম্পর্কে উদ্দীপকে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। তাই একথা আমরা বলতে পারি যে উদ্দীপকের বিমল দাসের কাজটিই চতুরাশ্রমের একমাত্র কাজ নয়।
প্রশ্ন-৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
স্বপনমণ্ডল ধর্মীয় নির্দেশমতে পরিবারের সবাইকে রেখে আশ্রমে এসে একাকী জীবনযাপন করেন। সংসার ত্যাগের সময় তার স্ত্রী শর্মিলা দেবী তার সঙ্গে যেতে চাইলে তিনি বলেন ধর্মীয় বিধিনিষেধ আছে। স্বপন মণ্ডল জাগতিক সকল কর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বরের চিন্তাতেই মগ্ন থাকেন। এদিকে তার স্ত্রী শর্মিলা দেবী সংসারে থেকেও নিরাসক্তভাবে সংসারের কাজকর্ম করেন। [পাঠ – ৫ ও ৬]
ক. ভগবান কোন রূপে অবতীর্ণ হয়ে রাজা বলির দর্প চূর্ণ করেন? ১
খ. অবতার বলতে কী বোঝ? ২
গ. স্বপন মণ্ডল বর্তমানে কোন আশ্রম অনুশীলন করছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বর্তমান যুগের আলোকে শর্মিলা দেবীর চিন্তার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন কর। ৪
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ভগবান বামনরূপে অবতীর্ণ হয়ে রাজা বলির দর্প চূর্ণ করেন।
খ. অবতার এর অর্থ হচ্ছে উপর থেকে নিচে নামা বা অবতরণ করা। পৃথিবীতে অন্যায়-অত্যাচার ও অনাচার যখন বেড়ে যায় তখন ভগবান স্বয়ং বা তাঁর কোনো শক্তি বিভিন্ন রূপ ধারণ করে ভগবানের অপ্রাকৃত নিত্যধাম থেকে নেমে এলে তাঁকে অবতার বলে।
গ. স্বপনমণ্ডল বর্তমানে চতুরাশ্রমের সন্ন্যাস আশ্রম অনুশীলন করছেন।
আশ্রম জীবনের চতুর্থ পর্যায়ে আসে সন্ন্যাসের কথা। এ সময় পঁচাত্তর থেকে একশ বছরের মধ্যে জীবনধারণের শাস্ত্রীয় নির্দেশ আছে। সন্ন্যাস শব্দের অর্থ সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ। এই আশ্রমে এসে সন্ন্যাসী একাকী জীবনধারণ করবেন। এ সময় সন্ন্যাসীদের সঙ্গে তার স্ত্রীও থাকবেন না। সন্ন্যাসী জাগতিক সকল কর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বর চিন্তাতেই মগ্ন থাকবেন। মাত্র দুপুরবেলার আহারের সামগ্রী লোকালয় থেকে সংগ্রহ করবেন। বাকি দুবেলা দুধ, ফল ইত্যাদি সংগ্রহ করে স্বল্প পরিমাণে আহার করবেন। আশ্রয়হীন অবস্থায় মন্দিরে দেবালয়ে ক্ষণকালের জন্য আশ্রয় নিতে পারেন। পোশাক-পরিচ্ছদ থাকবে নিতান্তই সাধারণ।
উদ্দীপকে দেখা যায় স্বপনমণ্ডল ধর্মীয় নির্দেশমতে পরিবারের সবাইকে রেখে আশ্রমে এসে একাকী জীবনযাপন করেন। সংসার ত্যাগের সময় তার স্ত্রী শর্মিলা দেবী তার সঙ্গে যেতে চাইলে তিনি বলেন ধর্মীয় বিধিনিষেধ আছে। স্বপন মণ্ডল জাগতিক সকল কর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বরের চিন্তাতেই মগ্ন থাকেন।
তিনি তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকেও রাখেন না। সুতরাং, উলিস্নখিত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, স্বপনমণ্ডল বর্তমানে চতুরাশ্রমের সন্ন্যাস আশ্রমে অনুশীলন করছেন।
ঘ. বর্তমান যুগের আলোকে অর্থাৎ বর্তমান কলিযুগে শর্মিলা দেবীর চিন্তার যৌক্তিকতা রয়েছে। হিন্দুধর্মের ঋষিগণ মানবজীবনকে বিকশিত ও সার্থক করে তোলার জন্য সচেষ্ট ছিলেন। চতুরাশ্রম পালনের মাধ্যমে মানুষের পরমার্থিক ও ব্যবহারিক জীবনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হতো। কিন্তু এ সময়ে ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস এ চার আশ্রমের অনুশীলন সম্ভব নয়। বর্তমানে বানপ্রস্থ আশ্রম নেই বললেই চলে। গার্হস্থ্য ও সন্ন্যাস এ দুটি আশ্রম স্তর লক্ষ করা যায়। তবে গার্হস্থ্য জীবনে স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, মাতা, পিতা এদের পরিত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণে উৎসাহিত করা হয় না। তাই কলি যুগে গার্হস্থ্য আশ্রমে থেকে জীবনযাপন করাই ভালো। এতেই মানুষের জীবন সার্থক হয় এবং কল্যাণময় হয়।
শর্মিলা দেবী সংসার ধর্ম পালনের মাধ্যমে পারমার্থিক জীবনের পথে পা বাড়িয়েছেন। তিনি চিন্তা করেন স্বামী তাকে সন্ন্যাসে যাওয়ার সময় সঙ্গে না নিলেও তিনি তার জীবনকে সার্থক ও কল্যাণময় করে তুলতে সক্ষম হবেন।
উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, বর্তমান যুগের আলোকে শর্মিলা দেবীর চিন্তা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ও যৌক্তিক।
প্রশ্ন-১০ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মুক্তি লাভের বিশেষ উপায় হিসেবে আচার্য দেব যোগসাধনাকে গ্রহণ করেছেন। তিনি তার দৈনন্দিন আচার-আচরণের মাধ্যমে একজন সাধক হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি যেমন সবসময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করেন তেমনি চুরি কিংবা জীব হত্যাকেও ঘৃণা করেন। শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য তিনি পদ্মাসনেরও অনুশীলন করেন। [পাঠ-৭ ও ৮]
ক. ‘যোগ’ শব্দটির সাধারণ অর্থ কী? ১
খ. ‘যোগঃ চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. আচার্য দেব যোগ সাধনার কোন উপায়গুলো অবলম্বন করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি যোগ সাধনার পরিপূর্ণ ধারণা দেয় কি? তোমার মতামতের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
১০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘যোগ’ শব্দটির সাধারণ অর্থ হচ্ছে সংযোগ।
খ. যোগঃ চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ কথাটি দ্বারা চিত্তবৃত্তি নিরোধকে যোগ বলা হয়েছে।
মোক্ষলাভের জন্য প্রথমে আতে¥াপলব্ধির দরকার হয়। আর এ আতে¥াপলব্ধির জন্য প্রয়োজন শুদ্ধ, স্থির ও প্রশান্ত মন বা চিত্তের। চিত্ত ড়্গুব্ধ হলে যোগ সাধনা দ্বারা মোক্ষলাভ করা সম্ভব হয় না।
গ. আচার্য দেব যোগ সাধনার যম এবং আসন প্রক্রিয়ার অনুশীলন করেছেন।
যম শব্দটি মূলত সংযম অর্থ প্রকাশক। মোক্ষলাভের সাধক দৈনন্দিন আচার-আচরণে সংযমী হবেন। তাকে অহিংসা, সত্য, অ¯েত্ময়, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ এ পাঁচটি বিষয় অনুশীলন করতে হবে। দেহ, মন বা বাক্যের দ্বারা জীবকে হত্যা বা নির্যাতন না করা হলো অহিংসা। যোগী পুরম্নষ হবেন বাক্যে ও কর্মে সত্যনিষ্ঠ। তাছাড়া তিনি সব সময় চুরি তথা অ¯েত্ময় থেকে বিরত থাকবেন। তিনি ব্রহ্মচর্য অবলম্বন করবেন এবং বিনা প্রয়োজনে অন্যের দ্রব্য গ্রহণ করবেন না। অন্যদিকে আসন হলো দেহ ও মনকে সুস্থ ও স্থির রাখার দেহভঙ্গি। যেমন : পদ্মাসন, বজ্রাসন, গোমুখাসন প্রভৃতির অনুশীলন। দেহ মনকে ঈশ্বরের চিন্তায় নিবিষ্ট রাখার জন্য আসন অনুশীলন করা হয়।
উদ্দীপকে আচার্য দেব মোক্ষলাভের জন্য সবসময় সৎপথে চলেন, সত্য কথা বলেন, জীবহত্যাকে তিনি ঘৃণা করেন। অপরের জিনিস চুরি বা বিনা প্রয়োজনে ব্যবহার করা থেকে তিনি বিরত থাকেন। এগুলো যম এর বহিঃপ্রকাশ। এছাড়া পদ্মাসন অনুশীলন করার মাধ্যমে তিনি নিজ মনকে ঈশ্বর চিন্তায় নিবিষ্ট রাখেন। তাই বলা যায়, আচার্য দেব যোগ সাধন প্রক্রিয়ায় যম এবং আসন পদ্ধতির অনুশীলন করেছেন।
ঘ. উদ্দীপকটি যোগ সাধন প্রক্রিয়ার পূর্ণ রূপ দেয় না।
যোগ দর্শনে যোগ সাধন প্রক্রিয়ার আট প্রকার নিয়মের কথা বলা হয়েছে। যেমন : যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান এবং সমাধি।
উদ্দীপকে আমরা শুধু যম এবং আসন প্রক্রিয়াটির ধারণা পাই। এছাড়া নিয়ম অর্থাৎ- শৌচ, সšেত্মাষ, তপস্যা, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বর প্রণিধান কিংবা প্রাণায়াম তথা শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক গতিকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজ আয়ত্তে আনার কোনো ধারণা পাই না। তাছাড়া দেহের ইন্দ্রিয়াগুলোকে নিজ নিজ বিষয় হতে তুলে এনে চিত্তের অনুগামী করার বিষয়টিই উদ্দীপকে অনুপস্থিত। ধারণা বা ধ্যান অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আচার্য দেব গভীরভাবে মগ্ন থাকেন। আর যোগ সাধনার সর্বোচ্চ স্তর সমাধি তথা চিত্ত আরাধ্য বস্তুতে পরিণত হওয়ার বিষয়টিও উদ্দীপকে লক্ষ করা যায় না।
উদ্দীপকে শুধু যম তথা সত্য বলা, মিথ্যা পরিহার, চুরি না করা, জীব হত্যা না করা এবং অহিংসা তথা পদ্মাসন অনুশীলনের কথা বলা হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি যোগ সাধন প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণ ধারণা দেয় না।
প্রশ্ন-১১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিপুল রায় এবং মালদা দেবী দুজন স্বামী-স্ত্রী। ঈশ্বর লাভের জন্য তারা দুজনই কর্ম করেন। বিপুল রায় তার কাজের কোনো প্রাপ্তি চান না। কর্মের ফল তিনি ঈশ্বরে সমর্পণ করেন। কিন্তু মালদা দেবী তার কাজের ফলাকাক্সক্ষা করেন। তারা দুজনই জাগতিক কর্মের পাশাপাশি আধ্যাতি¥ক কর্ম সাধন করে থাকেন। [পাঠ- ৯ ও ১০]
ক. কর্ম কী? ১
খ. কর্ম সম্পর্কে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ধারণা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. বিপুল রায় এবং মালদা দেবীর কর্মের স্বরূপ নির্ণয় কর। ৩
ঘ. বিপুল রায় এবং মালদা দেবীর কর্মের মধ্যে কোনটিকে তুমি অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে কর? কর্মের প্রকৃত তাৎপর্যের আলোকে মতামত দাও। ৪
১১ প্রশ্নের উত্তর
ক. আমরা প্রতিনিয়ত জীবন ধারণের জন্য যে সকল কাজ করি সেগুলোই হলো কর্ম।
খ. কর্ম সম্পর্কে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন-মোক্ষলাভের জন্য কর্মত্যাগের প্রয়োজন নেই। তাঁর মতে, দেহধারী জীবের পড়্গে সম্পূর্ণভাবে কর্ম পরিত্যাগ করা সম্ভব নয়। যারা মুক্তি লাভের প্রত্যাশায় জাগতিক কর্মকাণ্ড ত্যাগ করেন, তারাও আধ্যাতি¥ক কর্ম অনুশীলন করেন। মুক্তিলাভের সোপান হিসেবে সংযম, নিয়ম, আসন প্রভৃতি অষ্টাঙ্গ যোগ অনুশীলন করে। তাই কর্মপরিত্যাগ নয় বরং কর্মকে নিষ্কাম কর্মে পরিণত করতে হবে।
গ. উদ্দীপকের বর্ণনা অনুযায়ী বলা যায়, বিপুল রায় নিষ্কাম কর্ম এবং মালদা দেবী সকাম কর্ম অনুশীলন করছেন।
নিষ্কাম কর্ম হচ্ছে ফলাকাক্সক্ষা না করে, ঈশ্বরে কর্মের ফল নিবেদন করে যে কর্ম করা হয় সেটি। অন্যদিকে সকাম কর্ম হচ্ছে কর্মের ফলাকাক্সক্ষা করা। অর্থাৎ বিশেষ ফল লাভের আশায় কর্ম সম্পাদন করাই হলো সকাম কর্ম। প্রকৃতপড়্গে নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে মোক্ষলাভ সম্ভব। নিষ্কাম কর্মের ফল কর্মকর্তাকে স্পর্শ করে না। সকাম কর্মে বন্ধন হয়। আর নিষ্কাম কর্মে হয় মোক্ষলাভ।
উদ্দীপকে বিপুল রায় এবং মালদা দেবী দুজনই ঈশ্বর প্রাপ্তির জন্য কর্ম সম্পাদন করছেন। বিপুল রায় যেহেতু তার কর্মের ফল লাভের আশা না করে ঈশ্বরে ফল নিবেদন করেছেন, তাই তার কাজটি নিষ্কাম কর্ম। অন্যদিকে মালদা দেবী তার কর্মের ফল আশা করছেন। তাই তার কাজটি সকাম কর্ম।
ঘ. বিপুল রায় এবং মালদা দেবীর কর্মের মধ্যে বিপুল রায়ের কর্মটিকে আমি অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি। কারণ বিপুল রায়ের কর্মটি হলো নিষ্কাম কর্ম। অর্থাৎ তিনি কর্মের ফল লাভ না করে ঈশ্বরে কর্মফল নিবেদন করেছেন। এ ধরনের কর্মই হলো প্রকৃতকর্ম।
নিষ্কাম কর্মই যোগ সাধনার ড়্গেেত্র কর্মযোগ নামে পরিচিত। নিষ্কাম কর্মের ফল কর্মকর্তাকে স্পর্শ করে না। কর্মকে যোগে পরিণত করে তা অনুশীলন করলে মোক্ষলাভ সম্ভব হয়। নিষ্কাম কর্মই আমাদের মোক্ষলাভের প্রধান হাতিয়ার। অর্থাৎ আমরা কর্মফল ঈশ্বরে সমর্পণ করে কর্ম করব। কর্মের ফলের আশা ত্যাগ করে প্রত্যেকে নিজ কর্ম সাধন করব। এ অনুভূতি নিয়ে কর্ম করলে ঈশ্বর আমাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন। আর এভাবেই মানুষের মুক্তিলাভ সম্ভব। কিন্তু মালদা দেবীর কর্মটিতে মোক্ষলাভের কোনো সুযোগ নেই এখানে থাকে বন্ধন। কর্মের ফল লাভের আশা করে কর্ম করলে ঈশ্বরের কাছে তা গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে।
তাই বিপুল রায়ের তথা নিষ্কাম কর্মটিকেই আমি অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।
প্রশ্ন-১২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শ্রী নরেনদাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্মতত্ত্বে ডিগ্রি নিয়ে এবং নিজেকে যোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ধর্মীয় শাস্ত্রের নানা বিষয় অধ্যয়ন করছেন। তার ধারণা আত¥তত্ত্ব এবং পরমার্থতত্ত্ব জানতে হলে এভাবেই তাকে সাধনা করতে হবে। তিনি তার সাধনা দ্বারা এটা বুঝতে সমর্থ হয়েছেন যে জীবের মধ্যে বিশ্বআত্মা বা পরমাত্মা বিরাজ করছে।
[পাঠ- ১১ ও ১২]
ক. ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কোন যুগে অবতরণ করেছেন? ১
খ. নিষ্কাম কর্ম বলতে কী বোঝ? ২
গ. শ্রী নরেনদাস ঈশ্বরপ্রাপ্তির কোন উপায়টি অবলম্বন করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত উপায়টি সম্পর্কে নরেন দাসের ভাবনার যৌক্তিকতা পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
১২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে অবতরণ করেছেন।
খ. নিষ্কাম কর্ম হলো কর্তা যে কর্ম কোনোরকম ফলের আশা না নিয়ে করেন। তিনি মনে করেন কর্মের কর্তা আমি নই, কর্মফলও আমার নয়। নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে মোক্ষলাভ হয়।
গ. শ্রী নরেনদাস ঈশ্বর প্রাপ্তির জ্ঞানযোগের উপায়টি অবলম্বন করেছেন।
জ্ঞানের অনুশীলন দ্বারা পরমসত্তায় উপনীত হওয়ার পদ্ধতিই হলো জ্ঞানযোগ। জ্ঞান বলতে শাস্ত্রে আত¥তত্ত্ব ও পরমার্থতত্ত্ব জানাকে বোঝানো হয়েছে। আর জ্ঞানের পথে স্রষ্টাকে জানার সাধনাকে জ্ঞানযোগ বলা হয়েছে। জ্ঞানী জগৎ ও জীবের প্রকৃতি ও পরিণতি জেনে সৃষ্টির ঊর্ধ্বে স্রষ্টাকে অন্তরে অনুভব করেন। তিনি উপলব্ধি করেন জগতের সবকিছু পরম চৈতন্যের সত্তাবান। এই চৈতন্যই হলো আত্মা বা জীবাত্মা।
উদ্দীপকে শ্রী নরেনদাস নিজেকে যোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জ্ঞানের পথে সাধনা করছেন। এ সাধনার মাধ্যমে তিনি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে চাইছেন। তিনি নানা ধর্মীয় শাস্ত্র অধ্যয়ন করে বুঝতে পেরেছেন যে জীব ব্রহ্ম ছাড়া আর কিছুই নয় এটি জ্ঞানযোগেরই নামান্তর। জ্ঞানযোগে এ ধরনের উপায়ই অবলম্বন করা হয়। তাই বলা যায়, ঈশ্বর প্রাপ্তির জন্য শ্রী নরেনদাস জ্ঞানযোগ উপায়টি অবলম্বন করেছেন।
ঘ. শ্রী নরেন দাস ঈশ্বর প্রাপ্তির জন্য জ্ঞানযোগ উপায়টি অবলম্বন করে এটা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে, জীবাত্মা পরমাত্মা বই কিছুই নয়। জীবের মধ্যে আত্মারূপে ঈশ্বর বা ব্রহ্ম অবস্থান করেন। প্রত্যেক জীবের মধ্যে যে জীবাত্মা রয়েছে, তা বিশ্ব আত্মা বা পরমাত্মা। ঈশ্বরের মায়া শক্তি দ্বারা জীব আচ্ছন্ন থাকে বলে তার নিকট আত¥তত্ত্ব বা পরমতত্ত্ব প্রকাশিত হয় না। তবে ঈশ্বর অনুগ্রহে যখন মায়ার প্রভাব কেটে যাবে-এখন জীবন আত¥তত্ত্ব এবং ব্রহ্মজ্ঞ হতে পারে। এভাবে তার সর্বত্র সমবুদ্ধি জšে§ বাসনা শুদ্ধ হয়। সুন্দর হয় তার আচরণ। তখন সাধকের হিংসা থাকে না। গুরম্নসেবা জানার আগ্রহ, ক্ষমা-দেহ মনে পবিত্র থাকা পবিত্র গুণগুলো তার মধ্যে প্রবেশ করে। যিনি শ্রদ্ধাবান একনিষ্ঠ সাধন তৎপর এবং জিতেন্দ্রীয় তিনি জ্ঞান লাভ করেন। আত¥জ্ঞান লাভ করে শীঘ্রই তিনি পরম শান্তি লাভ করেন। শ্রী নরেনদাসের এ ভাবনার যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে। তিনি জ্ঞানী বলেই এ মহাসত্যটিকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। সাধারণের চোখে এটি ধরা পড়ে না।
উদ্দীপকে এমনটিই দেখানো হয়েছে। শ্রী নরেনদাস আত¥জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি পরমাত্মা সম্পর্কে একটি বাস্তব উপলব্ধি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই বলা যায়, শ্রী নরেনদাসের ভাবনার যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে।
প্রশ্ন-১৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জাগতিক কর্মকে তুচ্ছজ্ঞান করে মন্দিরকেই আশ্রয়স্থল বানিয়ে নিয়েছেন দীপক রায়। দেবতার আরাধনা আর স্তব-স্তুতি পাঠের মধ্য দিয়ে ভগবানের প্রতি ঐকান্তিক প্রেম ভালোবাসা প্রকাশ করছেন তিনি। দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী প্রভৃতি দেবতার মূর্তিতে প্রণাম, পুষ্প দান আর অঞ্জলি দিয়ে তিনি ঈশ্বরে প্রকাশ করছেন তার ভালোবাসা । আর এভাবেই ঈশ্বর বা ভগবানকে পাবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। [পাঠ-১৩ ও ১৪]
ক. মোক্ষলাভের অন্যতম উপায় কয়টি? ১
খ. জ্ঞানযোগের ফলাফল বর্ণনা কর। ২
গ. দীপক রায়ের কাজে ঈশ্বর লাভের কোন পদ্ধতিটির ধারণা পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ঈশ্বরপ্রাপ্তিতে উক্ত পদ্ধতির ভূমিকা পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
১৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মোক্ষলাভের অন্যতম উপায় চারটি।
খ. জ্ঞানযোগের ফলাফল অপরিসীম। জ্ঞান পরম পবিত্রবস্তু। জ্ঞান সকল অপবিত্রতাকে দূর করে দেয়। জ্ঞানীর পাপ বিনষ্ট হয়। জ্ঞানের উদয়ে দূরীভূত হয় সকল অজ্ঞানতা। জ্ঞানীর কোনো কর্মবন্ধন থাকে না। তাই জ্ঞানী পরম সুখে অবস্থান করেন।
গ. দীপক রায়ের কাজে ঈশ্বর লাভের ভক্তিযোগ পদ্ধতিটির ধারণা লাভ করা যায়।
ভক্তিকে অবলম্বন করে যে ঈশ্বর আরাধনা করা হয় তাকে ভক্তিযোগ বলে। ভক্তিকে অবলম্বন করে ভগবানের সঙ্গে যোগ রচনা করাই হলো ভক্তিযোগ। ভক্তির অশেষ শক্তি, ভক্তিতেই মুক্তি। ভক্তি মানব হৃদয়ের একটি সুকুমার বৃত্তি। ভগবানে ঐকান্তিক প্রেম ভালোবাসাকে ভক্তি বলা হয়। ভগবদ পদে একান্ত রতিকেও ভক্তি বলে অভিহিত করা হয়।
উদ্দীপকে দীপক রায় দেবতার আরাধনা আর স্তব-স্তুতি পাঠের মধ্য দিয়ে ভগবানের প্রতি ঐকান্তিক ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন। বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা অর্চনার মধ্য দিয়েই তার সময় কাটছে। আর এসবের মধ্য দিয়েই তিনি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে যাচ্ছেন। তার এ কর্মকাণ্ড ভক্তিযোগেরই নামান্তর।
তাই বলা যায়, দীপক রায়ের কাজে ঈশ্বরপ্রাপ্তির ভক্তিযোগ উপায়টির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
ঘ. উদ্দীপকে ঈশ্বরপ্রাপ্তির অন্যতম উপায় ভক্তিযোগের ধারণা দেয়া হয়েছে ঈশ্বর প্রাপ্তিতে যার ভূমিকা অনন্য।
বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ এবং মহাপুরম্নষদের জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা ভক্তিযোগের মাধ্যমে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্য প্রমুখ ব্যক্তিগণ ভক্তিযোগের মাধ্যমেই ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করেছেন। শ্রীমদ্ভগবাদগীতার দ্বাদশ অধ্যায়ে উলেস্নখ করা হয়েছে অর্জুনের মনে প্রশ্ন জেগেছিল ঈশ্বরকে সাকারূপে আরাধনা করার উত্তমপথ কোনটি? ভগবান উত্তরে বলেছিলেন সাধনার উভয় পথেই ক্লেশ রয়েছে তবে অব্যক্ত ব্রহ্মচিন্তার চেয়ে স্বগুণ মূর্তিমান সাকার ঈশ্বরের আরাধনা করা অপেক্ষাকৃত সহজ। ঈশ্বরকে যারা সাকার গুণময় রূপে আরাধনা করেন, তারাই মূলত ভক্তি পথের সাধক। ভক্তিকে অবলম্বন করে যিনি সাধনা করেন তিনিই ভক্ত। গীতায় ভক্ত সম্বন্ধে বলা হয়েছে ক্রোধ, আসক্তি, ভয় ত্যাগ করে, যিনি ঈশ্বরের শরণাপন্ন হন, তিনি ভগবদ্ভাব লাভ করেন। ভক্তির মাধ্যমে ভক্ত ভগবানের অনুগ্রহ লাভ করেন। ভগবানের শ্রীচরণে আত¥সমর্পণে মাধ্যমেই ঈশ্বরকে লাভ করা যায়। ভক্তিযোগে ভক্তের চিত্তে ভগবানের অশেষ করম্নণা ও সর্বশক্তিমত্তায় থাকবে গভীর বিশ্বাস। এই বিশ্বাস অবলম্বন করে-ভক্ত ভগবানকে একমাত্র আশ্রয়স্থল মনে করেন এবং ভগবান ও ভক্তের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন।
অতএব উপরিউক্ত আলোচনা ও বিশেস্নষণ থেকে বলা যায় যে, ঈশ্বরপ্রাপ্তিতে উক্ত পদ্ধতির ভূমিকা অপরিসীম।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১৪ হরিবিদ্বেষী হিরণ্যকশিপুকে ধ্বংস করতে ভগবান নৃসিংহরূপে এ পৃথিবীতে অবতরণ করেন। হরিভক্ত প্রহ্লাদকে বাঁচিয়ে হিরণ্যকশিপুকে এ পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন তিনি। এভাবে যুগে যুগে অত্যাচারীকে শা¯ন্তিদেয়ার জন্য ভগবান এ পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন।
ক. অবতার শব্দের অর্থ কী? ১
খ. অবতারবাদ ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে অবতারের কোন ধারণাটির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটিতে অবতার ধারণার পূর্ণ রূপ প্রতিফলিত হয়নি-মন্তব্যের পড়্গে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
প্রশ্ন-১৫ রনিতা সেন যোগ সাধনার বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে এখন মনকে অভীষ্ট লড়্গ্েয পৌঁছনোর জন্য স্থির করেছেন। এখন তার চিত্তটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় উন্নীত হয়েছে। তার নিজস্ব কোনো অনুভূতি আছে বলেই মনে হয় না। তাই বাহ্যিক কাজকর্মের প্রতি দেখা দিয়েছে উদাসীনতা।
ক. ধারণা কী? ১
খ. মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি লাভের জন্য কোন কোন পদ্ধতি অনুশীলন করা প্রয়োজন? ২
গ. রনিতা সেন যোগ সাধনার কোন পর্যায়ে রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত পর্যায়ে পৌঁছতে রনিতা সেনকে আর কী কী পর্যায় অতিক্রম করতে হবে বলে তুমি মনে কর। ৪
প্রশ্ন-১৬ ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় হলেও হিন্দুরা বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা অর্চনা করে থাকেন। আসলে বহু দেবদেবীর উপাসনা হিন্দুধর্মের একটি বিশেষ দিক। সৎ ও ধার্মিক হিসেবে পরিচিত নিখিলবাবু বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ঈশ্বর সম্পর্কে ঋষিদের ধারণা ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপন করেন। একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি’ ঋষিদের এই উপলব্ধি ব্যাখ্যা করে তিনি প্রশংসা পান। তিনি একেশ্বরবাদ, অবতারবাদ, চতুরাশ্রম সম্পর্কেও বি¯ত্মারিত আলোচনা করেন। [ময়মনসিংহ জিলা স্কুল]
ক. কাকে মহা-অবতারী বলা হয়? ১
খ. ‘একেশ্বরবাদ’ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চতুরাশ্রমের অন্তর্ভুক্ত সন্ন্যাস আশ্রম সম্পর্কে নিখিল বাবুর ধারণা তোমার মতামতের প্রেড়্গেিত বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘একং সদ বিপ্রা বহুধা বদন্তি’- উক্তিটি বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৭ ধর্মপ্রাণ সুজিত তার আত্মার মোক্ষলাভের জন্য সন্ন্যাস গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার বিশ্বাস মানুষ যতক্ষণ ভোগকেন্দ্রিক জীবন উপভোগ করবে ততক্ষণ তার আত্মার মোক্ষলাভ সম্ভব নয়। কারণ কর্ম করলে কর্মফল উৎপন্ন হয়। আর এ কর্মফল ভোগের জন্য কর্মকর্তাকে বার বার জš§গ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করতে হয়। তাই জš§-মৃত্যুর এ চক্র থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য সন্ন্যাস গ্রহণ আবশ্যক। [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
ক. মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি কী? ১
খ. সকাম কর্মের বিষয়বস্তু আলোচনা কর। ২
গ. সুজিতের সন্ন্যাস গ্রহণ থেকে তরম্নণ সমাজ কী ধারণা লাভ করবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে সুজিতের গৃহীত সিদ্ধান্ত কতটুকু সঠিক ছিল? তোমার উত্তরের সপড়্গে যুক্তি দেখাও। ৪
প্রশ্ন-১৮ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেনÑ।
কর্মে তব অধিকার
ফলে কভু নয়।
ফলাসক্তি ত্যাগ কর
কর্ম ত্যাজ্য নয়। (২/৪৭)
[রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. ঋষিগণের কয়টি সাধন পথের মাধ্যমে মোক্ষলাভ করা যায়? ১
খ. নিষ্কাম কর্ম বলতে কী বোঝ? ২
গ. মোক্ষলাভের জন্য তুমি উদ্দীপক থেকে কী শিক্ষা লাভ করবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “ফলাসক্তি ত্যাগ কর। কর্ম ত্যাজ্য নয়”- মোক্ষলাভের জন্য উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
প্রশ্ন-১৯ পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষ একাগ্রতার মাধ্যমে সুখের সন্ধান করেছেন। এখানে যোগসাধনার আলোচনা করা হয়েছে। এখানে মানুষের আত্মানুসন্ধানের একটি পথ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে, যার রয়েছে আটটি ধাপ। এই যোগসাধনার ফলে সাধকের ইন্দ্রিয়সমূহ আকাক্সক্ষার দাসত্বের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়। [পাঠ-৭ ও ৮] [নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ চট্টগ্রাম।
ক. তপ কী? ১
খ. ব্রহ্মচর্য বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে যে যোগসাধনার কথা বলা হয়েছে পাঠ্যবই অনুসারে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত যোগসাধনার ফলে সাধকের ইন্দ্রিয়সমূহ আকাক্সক্ষার দাসত্বের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়-বিশেস্নষণ কর। ৪
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ দেবতা বা দেবদেবী কী?
উত্তর : ঈশ্বরের কোনো গুণ বা শক্তিকে যখন ঈশ্বর আকার দেন, তখন তাকে দেবতা বা দেবদেবী বলে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ দেবদেবী ও অবতারগণ কার শক্তির প্রকাশক?
উত্তর : দেবদেবী ও অবতারগণ সবাই এক পরমেশ্বরের বিভূতি এবং শক্তির প্রকাশক।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ হিন্দুধর্মের মৌল বিশ্বাস কী?
উত্তর : হিন্দুধর্মের মৌল বিশ্বাস হচ্ছে ঈশ্বরে বিশ্বাস স্থাপন করা।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ একেশ্বরবাদ কী?
উত্তর : ব্রহ্ম বা ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়-এ মতের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করাই হলো একেশ্বরবাদ।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ব্রহ্ম এক এবং অদ্বিতীয়-একথা কোথায় বলা হয়েছে?
উত্তর : ব্রহ্ম এক এবং অদ্বিতীয়-একথা বেদ, গীতা এবং উপনিষদে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ ‘একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি’-একথা কোথায় বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি’ -একথা ঋগবেদে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ অবতার শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘অবতার’ শব্দের অর্থ হচ্ছে উপর থেকে নিচে নামা বা অবতরণ করা।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ আবেশাবতার কারা?
উত্তর : ঈশ্বরের জ্ঞানাদি শক্তির দ্বারা আবিষ্ট হয়ে যেসব মহাপুরম্নষ এ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন (শ্রীচৈতন্য শ্রীরামকৃষ্ণ) তারা হলেন আবেশাবতার।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ হিন্দুধর্মের কয়টি দিক প্রত্যক্ষ করা যায়?
উত্তর : হিন্দুধর্মের দুটি দিক প্রত্যক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ স্বাভাবিকভাবে মানুষের জীবিত থাকার সময় কত বছর ধরা হয়?
উত্তর : স্বাভাবিকভাবে মানুষের জীবিত থাকার সময় একশত বছর ধরা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ বিদ্যাশিক্ষা গ্রহণ কোন আশ্রমের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : বিদ্যাশিক্ষা গ্রহণ ব্রহ্মচর্য আশ্রমের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ ‘যম’ শব্দটি মূলত কী অর্থ প্রকাশক?
উত্তর : ‘যম’ শব্দটি মূলত সংযম অর্থ প্রকাশক।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ মানুষের কত বছর বয়সকে ব্রহ্মচর্য আশ্রমের সময়সীমা ধরা হয়?
উত্তর : মানুষের জীবনের প্রথম পঁচিশ বছরকে ব্রহ্মচর্য আশ্রমের সময়সীমা ধরা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ আশ্রম পর্যায়ের তৃতীয় স্তর কোনটি?
উত্তর : আশ্রম পর্যায়ের তৃতীয় স্তর হলো বানপ্রস্থ আশ্রম।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ আশ্রম পর্যায়ের চতুর্থ স্তর কোনটি?
উত্তর : আশ্রম পর্যায়ের চতুর্থ স্তর সন্ন্যাস।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ যোগসাধনা কী?
উত্তর : জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার সংযোগই হলো যোগসাধনা।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ মোক্ষলাভের জন্য প্রথমে কোনটি দরকার?
উত্তর : মোক্ষলাভের জন্য প্রথমে দরকার আতে¥াপলব্ধি।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ যোগদর্শনে কত প্রকার সাধন প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : যোগ দর্শনে আট প্রকার সাধন প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ আসন কাকে বলে?
উত্তর : দেহ ও মনকে সুস্থ ও স্থির রাখার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেহভঙ্গি বা দেহবস্থানকে আসন বলে।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ প্রাণায়াম কী?
উত্তর : শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক গতিকে নিয়ন্ত্রণ এবং নিজ আয়ত্তে আনাই হলো প্রাণায়াম।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ ধারণা কী?
উত্তর : মনকে বিশেষ কোনো বিষয়ে স্থির করা বা আবদ্ধ রাখার নাম ধারণা।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ ধারণা, ধ্যান এবং সমাধিকে কী বলা হয়?
উত্তর : ধারণা, ধ্যান এবং সমাধিকে বলা হয় অন্তরঙ্গ সাধনা।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ যোগসাধনার সর্বোচ্চ স্তর কোনটি?
উত্তর : যোগসাধনার সর্বোচ্চ স্তর হলো সমাধি।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ সকাম কর্ম কী?
উত্তর : যখন বিশেষ কোনো ফলের আশায় কর্ম করা হয়, তখন তাকে সকাম কর্ম বলে।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ নিষ্কাম কর্ম কাকে বলে?
উত্তর : কোনো রকম ফলের আশা না করে, কর্মফল ঈশ্বরে সমর্পণ করে কর্তা যে কর্ম করে তাকে নিষ্কাম কর্ম বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ জ্ঞানযোগ কী?
উত্তর : জ্ঞানের অনুশীলন দ্বারা পরম সত্তায় উপনীত হওয়ার পদ্ধতিই হলো জ্ঞানযোগ।
প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি কী?
উত্তর : মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি ঈশ্বর বা মোক্ষলাভ।
প্রশ্ন ॥ ২৮ ॥ কর্মতত্ত্ব সম্পর্কে কোন গ্রন্থে ধারণা দেয়া হয়েছে।
উত্তর : শ্রীমদ্ভগ্বতগীতায় কর্মতত্ত্ব সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ২৯ ॥ ভক্তিযোগ কাকে বলে?
উত্তর : ভক্তিকে অবলম্বন করে যে ঈশ্বর আরাধনা করা হয়, তাকে ভক্তিযোগ বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩০ ॥ নারদীয় ভক্তি সূত্রে ভক্তি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
উত্তর : নারদীয় ভক্তি সূত্রে ভক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে- ভগবানে ঐকান্তিক প্রেম বা ভালোবাসাকে ভক্তি বলে।
প্রশ্ন ॥ ৩১ ॥ কোন গ্রন্থের দ্বাদশ অধ্যায়ের নাম ভক্তিযোগ?
উত্তর : শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দ্বাদশ অধ্যায়ের নাম ভক্তিযোগ।
প্রশ্ন ॥ ৩২ ॥ শাণ্ডিল্য সূত্রে ভক্তির লক্ষণ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
উত্তর : শাণ্ডিল্য সূত্রে ভক্তির লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে-ভগবদ্পদে যে একান্ত রতি, তারই নাম ভক্তি।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ অবতারের কার্যাবলি বর্ণনা কর।
উত্তর : অবতারের কার্যাবলি হলো দুষ্টের দমন, তাদের বিনাশ সাধন।সমাজে মাঝে মাঝে ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা দেখা যায়। ধার্মিকদের জীবনে নেমে আসে নিপীড়ন বা নির্যাতন। দুষ্কৃতকারীদের অত্যাচার-অনাচার সমাজজীবনকে কলুষিত করে তোলে। এরূপ অবস্থায় ভগবান স্বয়ং বা তাঁর কোনো দেবদেবী মনুষ্যাদির মূর্তি ধারণ করে ভগবানের অপ্রাকৃত নিত্যধাম থেকে নেমে আসেন। একেই বলা হয় অবতার। অন্যদিকে অবতার সাধু-সজ্জনদের দুঃখকষ্ট থেকে মুক্ত করেন এবং তিনি।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ একেশ্বরবাদ সম্পর্কে তোমার ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : হিন্দুধর্মানুষ্ঠান ও ধর্মাচার পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সেখানে যেমন রয়েছে একেশ্বরের চিন্তা, ধ্যান-ধারণা আবার তেমনি রয়েছে বিভিন্ন অবতার এবং বহু দেবদেবীর উপাসনা ও পূজা-অর্চনার কথা।
ঋগ্বেদে ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু, ঊষা প্রভৃতি দেবদেবীর স্তুতি রয়েছে। এঁরা ভিন্ন ভিন্ন শক্তির পরিচয় বহন করলেও তাঁদের সম্মিলিত শক্তির কেন্দ্রটি হচ্ছেন ঈশ্বর। ঋগবেদে এ সম্পর্কে ঋষিদের উপলব্ধি হচ্ছে: ‘একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি’।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ প্রভাবঃ প্রলয়ঃ স্থানং নিধানং বীজমব্যয়ম-একথার তাৎপর্য কী?
উত্তর : প্রভাবঃ প্রলয়ঃ স্থানং নিধানং বীজমব্যয়ম’ -এটি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার ৯/১৮ অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে। এর তাৎপর্য হচ্ছে তাঁর অর্থাৎ ঈশ্বরের থেকে জগতের উৎপত্তি, তাঁর দ্বারা স্থিতি এবং তাঁতেই হচ্ছে লয়। তিনিই জগতের নিধান আধার ও আশ্রয়। অর্থাৎ ঈশ্বরই এ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, রক্ষণাবেক্ষণ করছেন এবং তিনিই এ পৃথিবী ধ্বংস করবেন।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ হিন্দুরা অবতারকে ভগবৎ শক্তির আশ্রয় হিসেবে ভক্তি শ্রদ্ধা করে কেন?
উত্তর : হিন্দুদের নিকট অবতার স্বয়ং ভগবানেরই এক মুক্ত প্রকাশ বলেই তারা অবতারকে ভগবৎ শক্তির আশ্রয় হিসেবে ভক্তি শ্রদ্ধা করে থাকে। ঈশ্বরের পূর্ণ স্বরূপ মানুষের ধারণার অতীত। তবে অবতার পুরম্নষের মাধ্যমে মানুষ ঈশ্বরের স্বরূপ সম্পর্কে খানিকটা ধারণা করতে পারে। ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ ও সর্বত্র বিরাজিত। ঈশ্বর অবতাররূপে দেহ ধারণ অসীম, অনন্ত, সসীমরূপ ধারণ করে থাকেন। তাই হিন্দুরা অবতারকে ভগবৎ শক্তির আশ্রয় হিসেবে ভক্তিশ্রদ্ধা করে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ আসন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : দেহ ও মনকে সুস্থ ও স্থির রাখার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেহভঙ্গি বা দেহাবস্থানকে বলে আসন। আসন অনেক প্রকারের রয়েছে যেমন : পদ্মাসন গোমুখাসন, বজ্রাসন প্রভৃতি। এই আসন অনুশীলনের মধ্য দিয়ে যোগী পুরম্নষ নিজ দেহ ও মনকে ঈশ্বর চিন্তায় নিবিষ্ট করার যোগ্যতা অর্জন করে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ লীলাবতার কাকে বলে?
উত্তর : পৃথিবীতে মৎস্য, কূর্ম, বরাহ প্রভৃতি স্থূল দেহধারী জীবের মূর্তিতে অবতীর্ণ হয়ে ভগবান যে কর্মকাণ্ড করেন তাকে লীলাবতার বলে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ কর্মতত্ত্বের ধারণার ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার জ্ঞানযোগ অধ্যায়ে কর্মতত্ত্ব সম্পর্কে তিনটি কথা বলা হয়েছে। কর্ম-অকর্ম এবং বিকর্ম। এ তিনটি ধারণার সমন্বয়ই হলো কর্মতত্ত্ব।
শাস্ত্রবিহিত যে সকল কর্ম করতে হয়, সেগুলোকে বলা হয় কর্ম। আর শাস্ত্র নিষিদ্ধ কর্ম হচ্ছে বিকর্ম। আর কোনো কাজ না করাকে বলা হয় অকর্ম। কর্মতত্ত্ব হলো গহিন অরণ্যের মতো, যেখানে জ্ঞানী তার জ্ঞানলোকে কর্তব্য কর্ম নির্ণয় করে থাকে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ পৃথিবীতে অবতার কী কী করে থাকেন?
উত্তর : পৃথিবীতে অবতার যা করেন তা হলো :
১. দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ সাধন।
২. সাধু-সজ্জনদের দুঃখ- কষ্ট থেকে মুক্ত করা এবং
৩. ধর্ম সংস্থাপন করা।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ দেবদেবী বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। কিন্তু ঈশ্বরের কোনা গুণ বা শক্তিকে ঈশ্বর যখন আকার দেন তখন তাঁকে দেবতা বা দেব-দেবী বলে। দেব-দেবীর আরাধনার মধ্য দিয়ে ভক্ত ঈশ্বরের করম্নণা পেয়ে থাকে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ মহা-অবতারী বলতে কী বোঝ?
উত্তর : শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান বলেই দশ অবতারের অন্তর্ভুক্ত নন। দশ অবতারের মধ্যে তাঁরই শক্তির প্রকাশ ঘটেছে। শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণ অবতার। শ্রীকৃষ্ণের এই অবতার মহা-অবতারী নামে খ্যাত।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ সন্ন্যাস বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সন্ন্যাস চতুরাশ্রমের চতুর্থ বা শেষ পর্যায়। কর্মফলাসক্তি ও ভোগাসক্তি ত্যাগ করে একাকী জীবনযাপন করাকে সন্ন্যাস বলে। সন্ন্যাসী সকল জাগতিক কর্ম পরিত্যাগ করে ঈশ্বর চিন্তাতেই মগ্ন থাকেন।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ ভক্ত বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ভক্তিকে অবলম্বন করে যিনি ঈশ্বর সাধনা করেন তিনি ভক্ত। ভগবদ্ ভাব লাভের জন্য ভক্ত আসক্তি, ভয় ও ক্রোধ ত্যাগ করে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হন। ঈশ্বরকে যারা স্বভাবে গুণময়রূপে আরাধনা করেন তারাই মূলত ভক্তিপথের সাধক।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ নিয়ম বলতে কী বোঝ?
উত্তর : নিয়ম বলতে সাধারণত নীতি বিধানকে বোঝায়। শৌচ, সšেত্মাষ, তপস্যা, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বর প্রণিধান এই পাঁচটি বিষয় পালন বা অনুশীলন করা মোক্ষলাভের ড়্গেেত্র অপরিহার্য। এগুলো নিয়মের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ ধ্যান বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ধারণা ও ধ্যানের সম্পর্ক পারস্পরিক গভীর। পরমাত্মাকে উপলব্ধি করার জন্য মনকে কোনো বিষয়ের ওপর স্থির রেখে উক্ত বিষয়ে অবিচ্ছিন্ন ভাবনাকে ধ্যান বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ জ্ঞানযোগ বলতে কবী বোঝ?
উত্তর : মোক্ষলাভের অন্যতম উপায় হচ্ছে জ্ঞান। আত¥তত্ত্ব ও পরমার্থতত্ত্বকে অনুশীলনের মাধ্যমে পরম সত্তায় উপনীত হওয়ার পদ্ধতিকে জ্ঞানযোগ বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ ভক্তিযোগ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ভক্তি মানবহৃদয়ের একটি সুকুমার বৃত্তি। এর অশেষ শক্তির মাধ্যমে মুক্তি লাভ করা যায়। অর্থাৎ ভক্তিকে অবলম্বন করে যে ঈশ্বর আরাধনা করা হয় তাকে ভক্তিযোগ বলে।