SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-প্রথম অধ্যায় স্রষ্টা ও সৃষ্টি-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ- স্রষ্টার স্বরূপ ও উপাসনা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
প্রথম অধ্যায়
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
স্রষ্টা, সৃষ্টি ও সেবা
সৃষ্টির আদিতে এ মহাবিশ্ব ছিল না। তখন সব ছিল অন্ধকার। তারপর এলো আলো, জল এবং জলের পরে পৃথিবী। পৃথিবীর পরে এলো গাছ-পালা, কীট-পতঙ্গ, জীবজন্তু, মানুষ প্রভৃতি। সকল জীব ও বস্তুর সৃষ্টির মূলে রয়েছেন ঈশ্বর। ঈশ্বরই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সকল কিছুর নিয়ন্তা। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর আদি নেই, অন্ত নেই, তাঁকে চোখে দেখা যায় না, তিনি নিরাকার। তিনিই জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন। তাই জীবকে সেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘আত্মা জন্মহীন মৃত্যুহীন শাশ্বত, পুরাতন হলেও চির নতুন’- কে বলেছেন?
ক শ্রীচৈতন্যদেব খ শ্রীবিজয়কৃষ্ণ
>শ্রীকৃষ্ণ ঘ শ্রীরামকৃষ্ণ
২. ভক্তদের কাছে ঈশ্বর কী নামে পরিচিত?
ক ব্রহ্ম ঘ বৈষ্ণব
> ভগবান ঘ পরমাত্মা
৩. জীবকে ভালোবাসার মূল কারণ হচ্ছে
র. যেখানেই জীব সেখানেই শিব
রর. ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন
ররর. জাগতিক কল্যাণ হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
অতীন্দ্র বাবু প্রতিদিন দুপুরে আহারের সময় একমুঠো ভাত তাঁর পালিত কুকুরকে দিতেন। একসময় কুকুরটি তাঁর খুব ভক্ত হয়ে ওঠে।
৪. অতীন্দ্র বাবুর আচরণে হিন্দুধর্মের কোন মূল বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটেছে?
ক পশুপ্রীতি >জীবসেবা
গ কর্তব্যনিষ্ঠা ঘ অন্নদান
৫. অতীন্দ্র বাবুর পড়্গে ঈশ্বরকে ভালোবাসা সম্ভব, কারণ তাঁর বিশ্বাসে রয়েছে ঈশ্বর-
র. সকল সৃষ্টির মূল
রর. মহাবিশ্বের নিয়ন্তা
ররর. আত্মারূপে জীবের মধ্যে অবস্থান করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
পাঠ-১ : সকল সৃষ্টির মূলে ঈশ্বর [পৃষ্ঠা : ১৩]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬. আদিতে সব কী ছিল? (জ্ঞান)
[সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ]
ক উজ্জ্বল >অন্ধকার
গ বৈচিত্র্যময় ঘ বর্ণিল
৭. ‘ঈশ্বর পরমাত্মা ও একমাত্র আশ্রয়’ কোন ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক উপনিষদ খ সামবেদ
গ রামায়ণ >গীতা
৮. জীবাত্মারূপে ঈশ্বর জীবদেহে অবস্থানের কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জীবকে সৎপথে পরিচালিত করা
খ জীবের স্বাধীনতা হরণ করা
গ জীবকে মোক্ষলাভে সাহায্য করা
>জীবকে নিয়ন্ত্রণ করা
৯. কোনটি ছাড়া জীবদেহ অচল? (জ্ঞান)
ক হাত খ পা
গ প্রজ্ঞা >আত্মা
১০. জীবদেহ চেতনাসম্পন্ন হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক জ্ঞানের মাধ্যমে খ বুদ্ধির মাধ্যমে
>ঈশ্বরের প্রবেশের মাধ্যমে ঘ খাবারের মাধ্যমে
১১. জীবদেহের ভেতরে যে জীবন আছে তা কিসের অংশ? (জ্ঞান)
ক জীবাত্মার খ দেব-দেবীর
>পরমাত্মার ঘ অন্তরাত্মার
১২. জলের পরে কী এলো? (জ্ঞান)
>পৃথিবী খ বাতাস
গ আকাশ ঘ সূর্য
১৩. এ বিশ্বে জীবকুল সৃষ্টির মূলে কে রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ব্রহ্ম >ঈশ্বর
গ নারায়ণ ঘ বিষ্ণু
১৪. সৌন্দর্য সৃষ্টির মূলে কে রয়েছেন? (জ্ঞান)
ক গণেশ খ ব্রহ্ম
>ঈশ্বর ঘ নারায়ণ
১৫. দেহের বিনাশ ঘটে কীভাবে? (অনুধাবন)
>মৃত্যুর মধ্য দিয়ে খ পুনর্জন্মের মধ্য দিয়ে
গ আত্মার মৃত্যু হলে ঘ আত্মার জন্ম হলে
১৬. আমাদের জন্ম ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করেন কে? (জ্ঞান)
ক শিব খ নারায়ণ
গ দুর্গা >ঈশ্বর
১৭. জীবের মধ্যে ঈশ্বর কী রূপে অবস্থান করেন? (জ্ঞান)
ক দেবতা খ অন্তর আত্মা
>আত্মা ঘ দেহ
১৮. আত্মাকে সক্রিয় করতে হলে কিসের প্রয়োজন? (অনুধাবন)
ক পরমাত্মার খ প্রতিমার
গ উপাসনার >জীবদেহের
১৯. পরমাত্মা থেকে কিসের সৃষ্টি? (জ্ঞান)
ক গ্রহ-নক্ষত্র খ আলো-বাতাস
>জীব ঘ পাহাড়-পর্বত
২০. স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিরাজ করছে কেন? (অনুধাবন)
[মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]
>জীবের মধ্যে ঈশ্বর বহুরূপে বিরাজ করেন বলে
খ স্রষ্টা তাঁর স্রষ্টাকে উপলব্ধির ঊর্ধ্বে বলে
গ সৃষ্টি তার স্রষ্টাকে উপলব্ধি করেন বলে
ঘ স্রষ্টা ও সৃষ্টি একই বলে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১. ঈশ্বর- (অনুধাবন)
র. জীবের জীবন
রর. প্রাণীর প্রাণ
ররর. সর্বভূতের সনাতন বীজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২২. জীবদেহের সাথে ঈশ্বরের সম্পর্ক হলো- (অনুধাবন)
র. ঈশ্বরের অবস্থানের কারণে জীবদেহ সচল থাকে
রর. ঈশ্বরের নির্গমনে জীবদেহ অচল হয়ে পড়ে
ররর. খাবারই মূলত জীবদেহকে বাঁচিয়ে রাখে
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩. ঈশ্বর নিয়ন্ত্রণ করছেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মানুষের চিন্তা
রর. মানুষের চেতনা
ররর. সকল কর্ম প্রচেষ্টা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৪. যেখানে জীব সেখানেই- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঈশ্বর
রর. আত্মা
ররর. চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৫. ঈশ্বর যেখানে পরিব্যক্ত- (অনুধাবন)
র. সর্বজীবে
রর. সমগ্র বিশ্বে
ররর. শুধুমাত্র পৃথিবীতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র >র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬. ঈশ্বর অবস্থান করেন তাঁর- (অনুধাবন)
[অগ্রগামী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট]
র. সৃষ্টির মধ্যে
রর. সৌন্দর্যের মধ্যে
ররর. বিভিন্ন শক্তির মধ্যে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৭. অনন্ত আকাশ জুড়ে যা বিরাজ করেছে- (অনুধাবন)
[সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ]
র. চন্দ্র-সূর্য
রর. গ্রহ-নক্ষত্র
ররর. পর্বতমালা
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮. পরমাত্মা- (অনুধাবন)
র. এক
রর. অদ্বিতীয়
ররর. অবিনশ্বর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
২৯. ঈশ্বর তিনিই, যিনি- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রকৃতি ও পরিবেশের মধ্যে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করেছেন
রর. জীবদেহ নিয়ন্ত্রণ করেছেন
ররর. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
৩০. ঈশ্বর প্রকৃতি সৃষ্টি করেছেন- (অনুধাবন)
র. নিজের প্রয়োজনে
রর. মানুষের কল্যাণে
ররর. জীবজন্তুর কল্যাণে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
>রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরনিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩১ ও ৩২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিশ্বজিৎ একজন ডাক্তার। তিনি তার ছাত্রছাত্রীদের মানবদেহ বিশেস্নষণের সময় বৈজ্ঞানিক তথ্যের পাশাপাশি ধর্মীয় বিশ্বাসের কথাও বলেন। দেহে প্রাণের উৎপত্তি সম্পর্কে তিনি এক অসীম ক্ষমতাবান সত্তার কথা শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারণ করেন।
৩১. বিশ্বজিৎ তার ছাত্রছাত্রীদের কোন মহান সত্তার কথা বলেছেন? (প্রয়োগ)
>ঈশ্বর খ শিব
গ কার্ত্তিক ঘ শ্রীকৃষ্ণ
৩২. অনুচ্ছেদের আলোচনায় উঠে এসেছে-
র. শুধু জীববিজ্ঞানের কথা
রর. জীবপ্রাণ সম্পর্কে হিন্দু ধর্মের দৃষ্টিশক্তি
ররর. আত্মারূপে জীবদেহে ঈশ্বরের অবস্থান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
>রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-২ : আত্মারূপে ঈশ্বর [পৃষ্ঠা : ১৩]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৩. পরমাত্মা যখন জীবের মাঝে অবস্থান করেন, তখন তাঁর পরিচয় কী থাকে? (জ্ঞান)
ক দেহ খ মন
গ হৃৎপিণ্ড >জীবাত্মা
৩৪. জীবাত্মার বিনাশ নেই কেন? (অনুধাবন)
ক আত্মা স্বর্গীয় বলে
>আত্মা পরমাত্মার অংশ বলে
গ আত্মার দেহান্তর ঘটে বলে
ঘ আত্মার মোক্ষলাভ করে বলে
৩৫. আত্মার অমরত্বের কথা কোন গ্রন্থে উলেস্নখ আছে? (জ্ঞান)
ক রামায়ণে >শ্রীমদ্ভগবদগীতায়
গ যজুর্বেদে ঘ শ্রী শ্রী চণ্ডীতে
৩৬. জ্ঞানীদের কাছে ঈশ্বর কী? (জ্ঞান)
[আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজ]
ক পরমাত্মা খ ভগবান
গ প্রভু >ব্রহ্ম
৩৭. পরমাত্মার সকল গুণ বিদ্যমান থাকে? (জ্ঞান)
>জীবাত্মায় খ অবতারে
গ দেব-দেবীর মধ্যে ঘ ভক্তের মধ্যে
৩৮. এ আত্মা জন্মেন না, মরেন নাকার উক্তি? (জ্ঞান)
ক বিষ্ণুর খ ব্রহ্মার
গ গণেশের >শ্রী কৃষ্ণের
৩৯. শিপ্রা এক মন, এক ধ্যানে ঈশ্বরের সাধনা করে যোগী হয়েছেন। তাঁর কাছে ঈশ্বরের পরিচয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জীবাত্মা খ ভগবান
গ অবতার >পরমাত্মা
৪০. আত্মার দেহ পরিবর্তনকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক জন্ম খ মৃত্যু
>জন্ম ও মৃত্যু ঘ পুনর্জন্ম
৪১. ‘আত্মা জন্মহীন, মৃত্যুহীন শাশ্বত, পুরাতন হয়েও চিরনতুন’-কে বলেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা) [নওগাঁ জিলা স্কুল]
ক শ্রীচৈতন্য খ শ্রী বিজয়কৃষ্ণ
>শ্রীকৃষ্ণ ঘ শ্রীরামকৃষ্ণ
৪২. যোগীর কাছে ঈশ্বর কিরূপ? (উচ্চতর দক্ষতা) [ময়মনসিংহ জিলা স্কুল]
ক জীবাত্মা >পরমাত্মা
গ অবতার ঘ ব্রহ্ম
৪৩. জীবদেহের বিনাশ থাকলেও জীবাত্মার বিনাশ নেই কারণ কী?
(উচ্চতর দক্ষতা) [অগ্রগামী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট]
ক পরমাত্মা জীবদেহে অবস্থান করেন
>জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ
গ পরমাত্মা জন্ম-মৃত্যুর কারণ
ঘ আত্মা ঈশ্বরের প্রিয় বলে
৪৪. দেহ ও আত্মার মধ্যে কেমন সম্পর্ক রয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
[সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]
ক নিবিড় >ঘনিষ্ঠ
গ গভীর ঘ সুসম্পর্ক
৪৫. আত্মাহীন দেহ কেমন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সবল খ স্থির গ দুর্বল >জড়
৪৬. কাকে আশ্রয় করে আত্মার অভিযাত্রা? (উচ্চতর দক্ষতা)
[সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ]
ক জ্ঞানী খ ধ্যানী
গ যোগী >দেহ
৪৭. পরমাত্মা জীবের মধ্যে কিরূপে অবস্থান করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ব্রহ্মারূপে >আত্মারূপে
গ বিষ্ণুরূপে ঘ দেবতারূপে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৮. হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ স্রষ্টাকে অবহিত করেন- (অনুধাবন)
র. ঈশ্বর বলে
রর. ব্রহ্ম বলে
ররর. ভগবান বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
৪৯. ঈশ্বরের বহুরূপ ও বহুশক্তির পরিচয়ের সন্ধান পেয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. যোগীদের কাছে পরমাত্মা
রর. ভক্তদের কাছে ভগবান
ররর. জ্ঞানীদের কাছে ব্রহ্ম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
৫০. রাতুল একটি বিড়ালকে খাবার দিয়েছে কারণ সে জানে এই বিড়ালের মাঝে পরমাত্মা অবস্থান করছেন। রাতুল জানে পরমাত্মা- (প্রয়োগ)
র. দেহধারী
রর. নিত্য
ররর. শাশ্বত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
>রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫১. আত্মার দেহ পরিবর্তনকে বলে- (অনুধাবন)
র. জন্ম
রর. মৃত্যু
ররর. মোক্ষলাভ
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫২. দেহ ও আত্মার সম্পর্ক নির্ধারণে সত্যিকার তথ্য হলো- (অনুধাবন)
র. জীবাত্মা একাকী সক্রিয় থাকে
রর. আত্মাহীন দেহ জড়
ররর. দেহহীন আত্মা নিষ্ক্রিয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
>রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৩. আত্মা হলো- (অনুধাবন) [আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
র. নিত্য
রর. নিরাকার
ররর. অচল
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৪. ঈশ্বর জীবকুলের যে বিষয়টির সাথে সম্পৃক্ত- (অনুধাবন)
[মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]
র. জন্ম
রর. মৃত্যু
ররর. ধ্বংস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
৫৫. জীবাত্মা পরমাত্মার ন্যায়- (অনুধাবন) [সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]
র. নিষ্ক্রিয়
রর. জন্ম-মৃত্যুহীন
ররর. শাশ্বত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
>রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৬. পরমাত্মার মৃত্যু নেই, কারণ পরমাত্মা- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অজ
রর. শাশ্বত
ররর. নিত্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৭ ও ৫৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“এ আত্মা জন্মেও না মরেও না। ইনি নিত্য বিদ্যমান ইনি জন্মরহিত, নিত্য, শাশ্বত এবং পুরাণ শরীরের বিনাশ ঘটলেও ইনি বিনষ্ট হন না”।
[সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ]
৫৭. আলোচ্য উক্তিটি কোন গ্রন্থের? (অনুধাবন)
ক মহাভারত >শ্রীমদ্ভগবদগীতা
গ বেদ ঘ পুরাণ
৫৮. উক্ত উক্তিতে আত্মা দ্বারা বোঝানো হয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জীবকে
রর. ঈশ্বরকে
ররর. পরমাত্মাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
>রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৩ ও ৪ : জীবের মধ্যে আত্মারূপে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কিত একটি মন্ত্র বা শেণ্ঢাক এবং ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কিত কবি রজনীকান্ত সেন-এর গীতিকবিতা [পৃষ্ঠা : ১৪]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৯. ‘হে অর্জুন! আমি সকল প্রাণীর হৃদয়স্থিত আত্মা-কোন ধর্মগ্রস্থে বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক রামায়ণ >গীতা
গ উপনিষদ ঘ যজুর্বেদ
৬০. আদি বলতে কী বোঝানো হয়? (জ্ঞান)
ক জীবজগতের পালন খ জীবজগৎ রক্ষা
>জীবজগতের উৎপত্তি ঘ জীবজগতের বিনাশ
৬১. রজনীকাšেত্মর কবিতায় কী শিক্ষা ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ঈশ্বর সেবা খ জীব সেবা
>ঈশ্বরের সর্বত্র অবস্থান ঘ পরলোকের প্রতিচ্ছবি
৬২. ‘অহমাত্মা গুড়াকেশ সর্বভূতাশয়স্থিতঃ’-এটি কোন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক বেদে খ মহাভারতে
>শ্রীমদ্ভগবতদগীতায় ঘ উপনিষদে
৬৩. ‘অন্ত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? (জ্ঞান)
ক মধ্যে >মৃত্যু
গ প্রথমে ঘ জন্ম
৬৪. ঈশ্বরজ্ঞানে কাকে ভালোবাসব? (জ্ঞান)
ক বিষ্ণুকে খ ব্রহ্মাকে
গ গণেশকে >জীবকে
৬৫. ‘আছ অনল-অনিলে চির নভোনীলে’ গীতিকবিতাটির লেখক কে? (জ্ঞান)
[বস্নু বার্ড উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট; বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়]
ক জীবনানন্দ দাশ >রজনীকান্ত সেন
গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৬৬. বায়ুর গতির মূলে কী রয়েছে? (জ্ঞান) [মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]
ক মহাশূন্য খ বিশ্বব্রাহ্মাণ্ড
গ অগ্নির শক্তি >ঈশ্বরের শক্তি
৬৭. ‘ঈশ্বর অগ্নি, বায়ু ও চির সুনীল আকাশে আছেন’- কে বলেছেন? (জ্ঞান)
>রজনীকান্ত সেন খ সব্যসাচী
গ শমীনাথ ঠাকুর ঘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৮. অগ্নির যে দাহিকা শক্তি তা কার শক্তি? (জ্ঞান)
ক ব্রহ্মার খ দেবীর
>ঈশ্বরের ঘ দেবতার
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৯. মানুষ হয়ে জীবকে ঈশ্বর জ্ঞানে- (অনুধাবন)
র. ভালোবাসা উচিত
রর. সেবা করা উচিত
ররর. সারাক্ষণ শ্রমে খাটানো উচিত
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ‘আমি ভূতসকলের আদি, মধ্য ও অন্ত’-এ কথাটি থেকে বোঝা যায়- (অনুধাবন)
র. জীবজগতের উৎপত্তি
রর. তাদের স্থিতি
ররর. তাদের মৃত্যু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
৭১. অনল শব্দের অর্থ- (অনুধাবন)
র. অগ্নি
রর. বিহ্ন
ররর. পাবক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
৭২. ঈশ্বরের অ¯িত্মত্ব খুঁজে পাওয়া যায়- (অনুধাবন) [জামালপুর জিলা স্কুল]
র. পর্বতের দৃঢ়তায়
রর. জলের গভীরতায়
ররর. আকাশের সৌন্দর্যে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
৭৩. ঈশ্বর অবস্থান করেন- (অনুধাবন)
র. তাঁর সৃষ্টির মধ্যে
রর. তাঁর সৌন্দর্যের মধ্যে
ররর. তাঁর সকল শক্তির মধ্যে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৪ ও ৭৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিমল একটি শেস্নাক পড়েছে তার পাঠ্যবইয়ে। শেস্নাকটির মর্মার্থও সে অনুধাবন করেছে। শেস্নাকটি হলো :
‘অহমাত্মা গুড়াকেশ সর্বভূতাশয়স্থিতঃ।
অহমাদিশ্চ মধ্যঞ্চ ভূতানামন্ত এব চ ॥’
৭৪. বিমলের পড়া শেস্নাকটি কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
>অর্জুন খ সীতা গ চণ্ডী ঘ রাবণ
৭৫. উক্ত শেস্নাকটি পড়ে বিমল উপলব্ধি করেছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভগবান সকল প্রাণীর হৃদয়স্থিত আত্মা
রর. ভগবান শুধু মানুষেরই সৃষ্টিকর্তা
ররর. ভগবান সকলের আদিমধ্যম ও অন্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৫ : ঈশ্বরজ্ঞানে জীবসেবা [পৃষ্ঠা : ১৫]
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. ‘সেবা’ শব্দের সাধারণ অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পালন খ সৃষ্টি
>পরিচর্যা ঘ সাহচর্য
৭৭. আমরা জীবের সেবা করব কেন? (অনুধাবন)
ক জীব আমাদের উপকারে আসে তাই
>জীবের মাঝে ঈশ্বর আছেন তাই
গ জীব দেখতে সুন্দর বলে
ঘ জীব ছাড়া আমরা অচল বলে
৭৮. জীব সেবার ফলাফল কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
>ঈশ্বরের সন্তুষ্টি খ সম্পদ বৃদ্ধি
গ জাগতিক পুরস্কার প্রাপ্তি ঘ সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি
৭৯. অপু নিয়মিত বৃক্ষরে সেবা বা পরিচর্যা করেন। বৃক্ষরে মধ্যে প্রাণরূপে কে বিরাজ করে? (প্রয়োগ)
ক জমির উর্বরা শক্তি খ সূর্যের আলো
>স্বয়ং ঈশ্বর ঘ নাইট্রোজেন গ্যাস
৮০. অতিথিকে কার সাথে তুলনা করা হয়? (জ্ঞান)
>ভগবান বিষ্ণুর সাথে খ শ্রীকৃষ্ণের সাথে
গ অর্জুনের সাথে ঘ ভরতের সাথে
৮১. যত্র জীবঃ তত্র শিবঃ এখানে শিব বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? (জ্ঞান)
[বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ; ডা. খা¯ত্মগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক মানুষকে খ অতিথিকে
গ দেবতাকে >ঈশ্বরকে
৮২. হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান ব্রত হিসেবে বিবেচিত? (জ্ঞান)
ক দেব-দেবীর সেবা খ ঈশ্বরের আরাধনা
গ অতিথির সেবা >জীবসেবা
৮৩. বৃক্ষসেবা বা পরিচর্যা করা হিন্দুধর্মে অতি প্রাচীনকাল থেকেই অধিক গুরম্নত্ব দেওয়া হয়েছে কেন? (অনুধাবন) [মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]
ক বৃক্ষ আমাদের পরিবেশ বন্ধু বলে
>বৃক্ষরে মধ্যে প্রাণরূপে ঈশ্বর বিরাজিত বলে
গ বৃক্ষ আমাদের ফল দেয় বলে
ঘ বৃক্ষ থেকে আমরা ছায়া পাই বলে
৮৪. মিরা দাস শনি দেবতার পূজা শেষে দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত বিভিন্ন ধরনের ফল ও পুষ্টিজাতীয় উন্নত খাদ্য দ্রব্যাদি সকলকে খেতে দেন। তাঁর এ ধরনের কাজে কী প্রকাশ পায়? (প্রয়োগ)
ক অতিথি সেবা খ প্রকৃতি সেবা
গ জাতিসেবা >জীবসেবা
৮৫. জীবেপ্রেম করে যেই জন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর-উক্তিটি কার? (জ্ঞান)
[পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক রজনীকান্ত সেন খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
>স্বামী বিবেকানন্দ ঘ সুকুমার রায়
৮৬. হিন্দুধর্মে বিভিন্ন সেবাশ্রম বা মঠ গড়ে উঠেছে কেন? (অনুধাবন)
[মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]
ক ঈশ্বরের সেবার জন্য >জীবসেবার জন্য
গ ব্রাহ্মণ সেবার জন্য ঘ লেখাপড়া শেখানোর জন্য
৮৭. সাবিত্রী আহারের অবশিষ্টাংশ পোষা কুকুর ও বিড়ালের জন্য সংরক্ষণ করে। তাঁর এ কাজকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
>জীবসেবা খ দেবতার সেবা
গ প্রকৃতি সেবা ঘ অতিথি সেবা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৮. রাতুল তার পাঠ্যবই ‘হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ পাঠ করে এখন জীবসেবায় ব্য¯ত্ম থাকে। রাতুল জীবকে সেবা করে (প্রয়োগ)
র. ঈশ্বরজ্ঞানে
রর. অবলা প্রাণী হিসেবে
ররর. ব্রহ্মজ্ঞানে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর >র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. ঈশ্বরজ্ঞানে জীবসেবা- (উচ্চতর দক্ষতা) [লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
র. হিন্দুধর্মের মূল বৈশিষ্ট্য
রর. হিন্দুধর্মের নৈতিক শিক্ষা
ররর. ঈশ্বরের প্রধান দীক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. বৃক্ষরে মধ্যে ঈশ্বর বিরাজিত – (অনুধাবন)
র. প্রাণরূপে
রর. জীবরূপে
ররর. মায়ারূপে
নিচের কোনটি সঠিক?
>র খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯১. জীবসেবা বলতে যা বোঝায়- (প্রয়োগ)
র. সংরক্ষণ করা
রর. বৃদ্ধি করা
ররর. জীবের পরিচর্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর >র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯২ ও ৯৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সুজয় বাবু ব্যবসা বাণিজ্যের কাজে সবসময় ব্য¯ত্ম থাকেন। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা বা দেব-দেবীর পূজা করতে পারেন না। সুজয় বাবু ব্যবসার লভ্যাংশের কিছু টাকা সেবাশ্রমে প্রদান করে থাকেন। সকলের বিপদে আপদে তিনি সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন।
৯২. সুজয় বাবুর কাজের মাধ্যমে প্রকৃতপড়্গে কী প্রকাশ পায়? (প্রয়োগ)
>ঈশ্বরের সেবা করা খ মোক্ষলাভ করা
গ দেব-দেবীর আশীর্বাদ লাভ করা ঘ মুক্তিলাভ করা
৯৩. সুজয় বাবুর এ ধরনের কাজ থেকে যে ধারণা পাওয়া যায়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টার খোঁজ
রর. জীবসেবা দ্বারা ঈশ্বরের সেবা
ররর. ব্রহ্মকে উপলব্ধি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
>র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন –১ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মৌমিতার বোনের জন্মের সাত দিন পরেই তার ঠাকুরমার মৃত্যু হয়। প্রিয় ঠাকুরমাকে হারিয়ে সে একা হয়ে পড়ে এবং মায়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলে মা তাকে জীবাত্মা সম্পর্কে একটি ধর্মগ্রন্থের বক্তব্য বুঝিয়ে বলেন। মৌমিতা তা উপলব্ধি করতে পেরে শ্রদ্ধায় ঈশ্বরের প্রতি মাথা নত করে।
ক. ব্র্হ্ম থেকে কী সৃষ্টি হয়েছে?
খ. ঈশ্বরকে কেন আদি শক্তি বলা হয়?
গ. অনুচ্ছেদে মৌমিতার মা কোন ধর্মগ্রন্থের বক্তব্য তুলে ধরেন তা তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মৌমিতার উপলব্ধিটি তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে মূল্যায়ন কর।
ক. ব্রহ্ম থেকে জীবের সৃষ্টি হয়েছে।
খ. সৃষ্টির আদিতে ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কোনো শক্তি ছিল না বলে ঈশ্বরকে আদি শক্তি বলা হয়।
আদিতে এ মহাবিশ্ব ছিল না। তখন সব ছিল অন্ধকার। তারপর এলো আলো, জল এবং জলের পরে পৃথিবী। পৃথিবীর পরে এলো গাছপালা, কীটপতঙ্গ, জীবজন্তু, মানবকুল প্রভৃতি। এসবকিছু সৃষ্টির মূলে রয়েছে ঈশ্বর। তাই ঈশ্বরকে আদি শক্তি বলা হয়।
গ. উদ্দীপকে মৌমিতার মা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় উলেস্নখ রয়েছে,
‘বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি গৃহ্ণাতি নরোহপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী। (২/২২)
অর্থাৎ মানুষ যেমন পুরাতন কাপড় পরিত্যাগ করে নতুন কাপড় পরিধান করে। আত্মাও পুরাতন দেহ পরিত্যাগ করে নতুন দেহে প্রবেশ করে। আত্মার এই দেহ পরিবর্তনকে জন্ম ও মৃত্যু বলে।
জীবদেহের বিনাশ আছে কিন্তু আত্মার বিনাশ নেই। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ‘এ আত্মা জন্মেন না, মরেন না। ইনি নিত্য বিদ্যমান। ইনি জন্মরহিত, নিত্য, শাশ্বত এবং পুরাণ। শরীরের বিনাশ ঘটলেও ইনি বিনষ্ট হন না।’
উদ্দীপকে মৌমিতার প্রিয় ঠাকুরমার ঈশ্বরের নিয়মানুযায়ী মৃত্যু হয়। এতে মৌমিতা খুব দুঃখ পায়। তখন মৌমিতার মা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার এ বক্তব্য তুলে ধরে মৌমিতাকে বুঝিয়ে দেন।
ঘ. মৌমিতা ঈশ্বরের ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারে। এজন্য শ্রদ্ধায় সে ঈশ্বরের প্রতি মাথা নত করে।
ঈশ্বর এ মহাবিশ্বের মাঝে যা কিছু আছে সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা। তিনি আবার এই সকল কিছুর ধ্বংসকর্তাও। তাঁর ন্যায় ক্ষমতাবান আর কেউ নেই। এ বিশ্বের সকল জীবের মাঝেই তিনি অবস্থান করেন আত্মারূপে। তিনি জন্মরহিত, নিত্য, শাশ্বত এবং পুরাণ। আমরা তাঁর দয়ার কারণে বেঁচে থাকি, পৃথিবীতে অবস্থান করি। আবার তাঁরই ইচ্ছায় আমরা এ পৃথিবী থেকে চলে যাব।
শ্রীমদভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে উপদেশ দিতে গিয়ে জীবের মাঝে ঈশ্বরের অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন-
অহমাত্মা গুড়াকেশ সর্বভূতাশয়স্থিতঃ।
অহমাদিশ্চ মধ্যঞ্চ ভূতানামন্ত এব চ ॥ (১০/২০)
অর্থাৎ, হে অর্জুন! আমি সকল প্রাণীর হৃদয়স্থিত আত্মা, আমি ভূতসকলের আদি মধ্য ও অন্ত।
এই বাণীর মর্মার্থই মৌমিতা উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধায় নত হয়েছে। কারণ, আমাদের জন্ম, পালন এবং মৃত্যু, সবই ঈশ্বর নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রশ্ন –২ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মনোজ ও সুধাংশু দুই সহপাঠী। মনোজ বাড়ির পোষা গরম্ন-ছাগলগুলো খুব যত্নের সাথে দেখাশুনা করে। অপরদিকে সুধাংশু বাড়ির চারদিকে ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরে চারা রোপণ করে সেগুলোর পরিচর্যা করে। তারা বিশ্বাস করে এসব কর্মের মাধ্যমে তারা ঈশ্বরের সান্নিধ্যলাভে সমর্থ হবে। [এসএসসি স. বো. ’১৫]
ক. যোগীর নিকট ঈশ্বর কী? ১
খ. ‘আত্মা জন্মরহিত, নিত্য, শাশ্বত এবং পুরাণ’- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মনোজ চরিত্রে ঈশ্বর সেবার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে তা আলোচনা কর। ৩
ঘ. সুধাংশু কি তার কৃতকর্মে ঈশ্বরের সান্নিধ্যলাভ করতে পারবে? তোমার উত্তরের সপড়্গে যুক্তি দাও। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যোগীর নিকট ঈশ্বর পরমাত্মা।
খ. আত্মা জন্মরহিত, নিত্য, শাশ্বত এবং পুরাণ- উক্তিটির অর্থ হলো, আত্মা জন্মরহিত, নিত্য, শাশ্বত এবং পুরান।
শ্রীমদভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এ উক্তিটি করেছেন। তিনি বলেছেন, আত্মা জন্মেন না, মরেন না। ইনি নিত্য বিদ্যমান। শরীরের বিনাশ ঘটলেও ইনি বিনষ্ট হন না। আত্মা নিত্যবস্তু ও নিরাকার। জীবদেহের বিনাশ আছে, কিন্তু আত্মার বিনাশ নেই।
গ. মনোজের চরিত্রে ঈশ্বর সেবার জীবসেবার দিকটি ফুটে উঠেছে।
অপরের সšেত্মাষ বিধানের জন্য যে দেহ ও মনের সমন্বয়ে কল্যাণকর কাজ করা হয় তাকে সেবা বলে। জীবসেবা বলতে জীবের পরিচর্যা, সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করাকে বোঝায়। এ ছাড়াও বুদ্ধি দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে, সহানুভূতি জানিয়ে, বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে নানাভাবে সেবা করা যায়। ঈশ্বর জীবাত্মারূপে জীবের মধ্যে অবস্থা করেন। তাই জীবসেবা করলে ঈশ্বরকে সেবা করা হয়।
উদ্দীপকের মনোজ বিভিন্ন জীবের প্রতি খুবই সহানুভূতিশীল। সে বাড়ির পোষা-গরম্ন ছাগলগুলোকে খুব যত্নের সাথে দেখাশুনা করেন। কারণ সে জানে যে, হিন্দুধর্মে জীবকে ঈশ্বর বা ব্রহ্মজ্ঞানে সেবা করতে বলা হয়েছে। অতএব, এটা নিশ্চিত যে, মনোজের চরিত্রে ঈশ্বরসেবার জীবসেবার দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ. সুধাংশু অবশ্যই তার কৃতকর্মে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে পারবে।
সুধাংশু বাড়ির চারদিকে ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরে চারা রোপণ করে এবং সেগুলো পরিচর্যা করে। সে বিশ্বাস করে, এই কর্মের মাধ্যমে সে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে পারবে। কারণ, জীবের সেবা করার মাধ্যমে মূলত ঈশ্বরেরই সেবা করা হয়।
বৃক্ষ একটি জীব। বৃক্ষরে মধ্যে প্রাণরূপে ঈশ্বর বিরাজিত। তাই বৃক্ষরে সেবা বা পরিচর্যা করা হিন্দুধর্মে অতি প্রাচীন কাল থেকেই অধিক গুরম্নত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ, জীবের সেবা করা হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান ব্রত হিসেবে বিবেচিত। ‘যত্র জীবঃ তত্র শিবঃ’। অর্থাৎ যেখানে জীব সেখানেই শিব। এখানে শিব বলতে ঈশ্বরের কথাই বোঝানো হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন :
‘বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর
জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।’
এ কথার তাৎপর্য এই যে, বহুরূপে অর্থাৎ বহুজীবরূপে ঈশ্বর আমাদের সম্মুখেই আছেন। তাই তাঁকে খুঁজে বেড়ানোর দরকার নেই। যিনি জীবকে ভালোবাসেন, তিনি সেই সেবার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরেরই সেবা করেন। তাই হিন্দুধর্মে জীবকে ঈশ্বর বা ব্রহ্মজ্ঞানে সেবা করতে বলা হয়েছে। কারণ জীবকে সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। সুতরাং জ্ঞানে জীবসেবা হিন্দুধর্মের একটি মূল বৈশিষ্ট্য এবং অন্যতম নৈতিক শিক্ষা।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা ও বিশেস্নষণ থেকে আমার যুক্তি হলো, সুধাংশু যেহেতু জীবসেবা করে, তাই সে নিশ্চিতরূপেই ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে পারবে।
প্রশ্ন –৩ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুমি তার পিতার কাছে জানতে চায় দিনে সূর্যের আলো, রাতে চাঁদের সৌরভ, তারার মেলা, সাগরের জল, মাটি বাতাস এসব কিছু কীভাবে, কার দ্বারা সৃষ্টি হলো। পিতা উত্তর দিলেন, এসব একজনেই তৈরি করেছেন। তিনি সবার চেয়ে আদি পুরম্নষ, তাঁর রূপের কোনো সীমা নেই। [নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক. অনল শব্দের অর্থ কী? ১
খ. দেহ ও আত্মার সম্পর্ক কেমন? ২
গ. সুমির বর্ণনামতে নিখিল বিশ্ব সৃষ্টির ধারণা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘সুমির পিতার উত্তরে এটাই প্রমাণিত যে, ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কারো পড়্গে এসব তৈরি অসম্ভব’- পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অনল শব্দের অর্থ অগ্নি।
খ. দেহ ও আত্মার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। দেহকে আশ্রয় করে আত্মার অভিযাত্রা। আবার আত্মাকে লাভ করে দেহ সজীব। দেহহীন আত্মা নিষ্ক্রিয়, আত্মাহীন দেহ জড়। অর্থাৎ জড় বস্তুতে আত্মা নেই, তাই নিশ্চল, প্রাণহীন ও ক্রিয়াহীন। আত্মার জন্ম ও মৃত্যু নেই। আত্মা জন্মহীন, মৃত্যুহীন-শাশ্বত, পুরাতন হয়েও চিরনতুন।
গ. সুমির বর্ণনামতে, নিখিল বিশ্বের সৃষ্টির ধারণার মূলে রয়েছেন ঈশ্বর।
বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুর সৃষ্টির মূলে রয়েছে ঈশ্বর। তিনি জীবাত্মা হিসেবে জীবদেহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে বিরাজ করছেন। তিনি জীবের জীবন সর্বভূতের সনাতন বীজ। জীবদেহের ভেতরে যে জীবন আছে তা পরমাত্মারই অংশ। জীবদেহের মধ্যে যখন ঈশ্বর আত্মারূপে অবস্থান করেন জীবদেহ তখন চেতনা সম্পন্ন, সচল ও সক্রিয় হয়। ঈশ্বর মানুষ ও জীবজন্তুর কল্যাণে অফুরন্ত সৌন্দর্যে ও সম্পদে ভরপুর এ সুন্দর পৃথিবী ও প্রকৃতি সৃষ্টি করেছেন। এ প্রকৃতিতে বিরাজ করছে কত রকমের প্রকৃতির সৌন্দর্য। সৌন্দর্য সৃষ্টির মূলেও ঈশ্বর রয়েছেন।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, সুমি তার পিতার কাছে জানতে চায় সূর্যের আলো, তারার মেলা, সাগরের জল, মাটি ও বাতাস কার দ্বারা সৃষ্টি হলো। এ প্রশ্নের উত্তরে সুমির পিতা বললেন তাঁর রূপের কোনো সীমা নেই। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, সুমির বর্ণনা মতে নিখিল বিশ্বের সৃষ্টির ধারণার মূলে ঈশ্বর।
ঘ. সুমির পিতার উত্তরে এটাই প্রমাণিত হয় যে, ঈশ্বর ব্যতীত কারো পড়্গে এসব তৈরি করা সম্ভব নয়-এ কথাটি যথার্থ।
সবকিছু সৃষ্টির মূলে রয়েছেন ঈশ্বর। গীতায় বলা হয়েছে, তিনি পরমাত্মা এবং একমাত্র আশ্রয়। এ বিশ্বে জীবকুল সৃষ্টির মূলে রয়েছেন ঈশ্বর। আবার তিনিই জীবাত্মা হিসেবে জীবদেহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে বিরাজ করছেন। তিনি জীবের জীবন, প্রাণীর প্রাণ, সর্বভূতের সনাতন বীজ। জীবদেহের ভেতরে যে জীবন আছে তা পরমাত্মারই অংশ।
জীবদেহের মধ্যে যখন ঈশ্বর আত্মারূপে প্রবেশ করেন, জীবদেহ তখন চেতনাসম্পন্ন হয়, সচল, সক্রিয় হয়। যতদিন জীবাত্মারূপে তিনি জীবদেহে অবস্থান করেন, ততদিনই জীবের জীবন বা আয়ু। জীবাত্মা জীবদেহ পরিত্যাগ করলে জীবের মৃত্যু ঘটে এবং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেহের বিনাশ ঘটে। তাই বলা হয়েছে ঈশ্বরই আমাদের জন্ম ও মৃত্যুর কারণ। তিনিই আমাদের চিন্তা, চেতনা ও সকল প্রচেষ্টার নিয়ন্তা।
ঈশ্বর এই বিশ্বজগতে অবস্থান করেন তাঁর শক্তি দ্বারা, এই মহাবিশ্বের সুশৃঙ্খলার মাঝে ঈশ্বরের শক্তিই প্রকাশিত। তিনি সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।
প্রশ্ন –৪ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাধিকা খুব প্রকৃতিপ্রেমিক। আকাশের চাঁদ, বাগানের ফুল, পাখির গান, নদীর কলতান তার খুব ভালো লাগে। তার একটি পোষা বিড়াল আছে। বন্ধুদের সাথে স্টাডি ট্যুরে সে অনেক জায়গায় ঘুরেছে। পাহাড়ের উচ্চতা, সাগরের বিশালতা তাকে মুগ্ধ করেছে। বার বার সে উপলব্ধি করেছে এই পৃথিবী কতই না সুন্দর। সবসময় সে ভাবতো এই বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা কে, যিনি এতো সুন্দর করে সবকিছু সাজিয়েছেন। সে ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে সেই উত্তরও পেয়েছে।
ক. ঈশ্বর ভক্তের নিকট কী? ১
খ. জীবাত্মার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. রাধিকার উপলব্ধি তোমার পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রাধিকার চারপাশের পরিবেশের সাথে ঈশ্বরের সংযোগ কিরূপ তা বিশেস্নষণ কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ঈশ্বর ভক্তের নিকট ভগবান।
খ. জীবের মাঝে যে আত্মা থাকে তাই জীবাত্মা। জীবাত্মা ঈশ্বর তথা পরমাত্মার অংশ। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আত্মা জীবদেহ ত্যাগ করে অন্য জীবদেহ ধারণ করে। আত্মার বহির্গমনে জীবদেহের বিনাশ ঘটলেও আত্মা শাশ্বত। কারণ, জীবাত্মা পরমাত্মারই অংশ। এজন্য পরমাত্মার গুণ জীবাত্মায় প্রবিষ্ট হয়ে জীবাত্মাকেও অমরত্ব দান করে। জীবসেবা করলে ঈশ্বরকে সেবা করা হয়। এটাই জীবাত্মার স্বরূপ।
গ. রাধিকা এই বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরকে উপলব্ধি করেছে।
এই সুন্দর পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন এই প্রশ্ন আমাদের সকলের। নিশ্চয়ই এর একজন শক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আছেন। না হলে পৃথিবী এত সুন্দর আর সুনিয়ন্ত্রিত কেন। আমরা কোনো একটি বস্তু দেখলে এর উদ্ভাবক ও সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজি। এই বিশাল সৃষ্টিজগৎ, এরও একজন সৃষ্টিকর্তা থাকা স্বাভাবিক। আমরা তাকে খুঁজি। একসময় সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের দেখা পাই। ঈশ্বরই এই বিশাল সৃষ্টি জগতের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা।
রাধিকার মনেও এই প্রশ্নগুলোই বারবার অনুরণিত করেছে। এত সুন্দর জগৎ, এত সুন্দর চারপাশ। এর সৃষ্টিকর্তাকে সে খুঁজে ফিরেছে সর্বত্র। সে তার পাঠ্যপু¯ত্মক পড়ে জানতে পেরেছে ঈশ্বরের কথা, ঈশ্বরের শক্তির কথা। তখন তার উপলব্ধি হয়েছে ঈশ্বর ছাড়া আর কেউই এত সুন্দর করে পৃথিবী সাজাতে পারেন না। ঈশ্বর যেমন এই পৃথিবীর পালনকর্তা তেমনি এই পৃথিবী ধ্বংসও করবেন তিনি।
ঘ. রাধিকার চারপাশের পরিবেশের মাঝে ছড়িয়ে আছে এই পৃথিবীর বিভিন্ন সৃষ্টি-এগুলো সবই ঈশ্বরের সৃষ্টি। ঈশ্বরের সাথে এই বিশ্বজগতের সবকিছুর একটা কঠিন সেতুবন্ধন আছে।
ঈশ্বর এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা। তিনি তাঁর আপন মহিমা ও মহত্ত্ব দিয়ে গোটা বিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন। জগতের সবকিছুতে তাঁরই সৌন্দর্য প্রতীয়মান হয়। তিনি সুন্দর বলেই তার সৃষ্টিও সুন্দর। ঈশ্বর সর্বভূতের সনাতন বীজ। আকাশের বিশালতা ঈশ্বরের বিশালতার অংশ, ফুলের সৌন্দর্য ঈশ্বরের সৌন্দর্যেরই অংশ মাত্র।
ঈশ্বর এই মহাবিশ্বের আদি কারণ। আবার এই মহাবিশ্বের অšিত্মম কারণও তিনি। যখন ঈশ্বর চাইবেন তখন তিনি এই বিশ্বজগৎ ধ্বংস করে দিবেন। কেউ তা রক্ষা করতে পারবে না।
অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, রাধিকার চারপাশের পরিবেশের সাথে ঈশ্বরের সংযোগ অত্যন্ত নিবিড়।
প্রশ্ন –৫ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুপ্রিয়ার দাদু মারা গেছেন দু’দিন হলো। দাদু তাকে খুব আদর করত, ভালোবাসতো। দাদু মারা যাওয়ার পর সুপ্রিয়ার এত কান্না পেয়েছে যে, সারাদিন সে শুধু কেঁদেছে। পরে ছোট কাকা এসে বোঝালেন তুমি যে ভাবছ তোমার দাদু মারা গেছেন আসলে কিন্তু তা নয়। শুধু দেহটাই নিষ্ক্রিয় হয়েছে। তোমার দাদুর আত্মা এখনও বেঁচে আছে। আত্মার মৃত্যু নেই। আত্মা চিরন্তন। এই আত্মাই এক সময় পরমাত্মার সাথে মিলিত হবে। তখন তোমার দাদুর আত্মা মুক্তি পাবে। সুপ্রিয়ার মনে পড়ল তার পাঠ্যপু¯ত্মকের কথা। তার মনে হলো-আরে মানবাত্মার সাথে পরমাত্মার তো পার্থক্য নেই।
ক. জীবকুল সৃষ্টির মূলে কে? ১
খ. ঈশ্বর জীবের মাঝে কীভাবে অবস্থান করেন? ২
গ. আত্মা সম্পর্কে সুপ্রিয়ার ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সুপ্রিয়ার কাকার বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? তোমার মতামতের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জীবকুল সৃষ্টির মূলে ঈশ্বর।
খ. ঈশ্বর জীবের মাঝে আত্মারূপে অবস্থান করেন।
ঈশ্বরই জীবের প্রাণ। জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ। পরমাত্মা হলেন ঈশ্বর। আত্মার কোনো বিনাশ নেই। শুধু দেহের বিনাশ ঘটে। কারণ পরমাত্মা যেমন শাশ্বত, চিরন্তন, তেমনি আত্মাও শাশ্বত, চিরন্তন। জীবাত্মাকে সেবা করলে ঈশ্বর সেবা করা হয়।
গ. আত্মা সম্পর্কে সুপ্রিয়ার ধারণা হলো জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার কোনো পার্থক্য নেই।
জীবদেহের মাঝে ঈশ্বর আত্মারূপে প্রবেশ করেন। ঈশ্বর অবস্থান করার কারণে জীবদেহ চঞ্চল হয়ে ওঠে। ঈশ্বর এভাবে জীবকে বাঁচিয়ে রাখেন। ঈশ্বরকে বলা হয় পরমাত্মা। পরমাত্মার কোনো বিনাশ নেই। পরমাত্মা অজ, নিত্য, শাশ্বত। জীবাত্মাও পরমাত্মার গুণে গুণান্বিত। কারণ জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ। জীবাত্মারও তাই কোনো বিনাশ নেই।
সুপ্রিয়া তার পাঠ্যপু¯ত্মক থেকে বুঝেছে আত্মা পরমাত্মার অংশ তাই আত্মার কোনো বিনাশ নেই। আত্মা এক দেহ থেকে অন্য দেহে স্থানান্তরিত হয় মাত্র। এক সময় আত্মা যখন পাপমুক্ত হয় তখন আবার আত্মা পরমাত্মার সাথে মিলিত হয়ে মুক্তি লাভ করে। একে বলে মোক্ষলাভ। অর্থাৎ মোক্ষলাভ করাই জীবের পরম সাধনা। এটাই আত্মা সম্পর্কে সুপ্রিয়তা ধারণা।
ঘ. সুপ্রিয়ার কাকা আত্মা সম্পর্কে যে উক্তি করেছেন তার সাথে আমি একমত।
জীবাত্মা পরমাত্মারই অংশ। পরমাত্মা ঈশ্বরেরই রূপ। পরমাত্মার কোনো বিনাশ নেই। পরমাত্মা অজ, নিত্য, শাশ্বত। আত্মা যখন জীবদেহ ত্যাগ করে তখন দেহের বিনাশ ঘটে। এর মাধ্যমে শুধু দেহেরই বিনাশ ঘটে আত্মার কোনো বিনাশ ঘটে না। আত্মা পরমাত্মার অংশ বলে এর কোনো বিনাশ নেই। আত্মা অমর। আত্মার এই দেহান্তরকে তুলনা করা যায় মানুষের পুরাতন কাপড় ছেড়ে নতুন কাপড় পরিধান করার সাথে। আত্মাও তেমন পুরাতন দেহ ছেড়ে নতুন দেহ ধারণ করে। এভাবে দেহ ধারণ করতে করতে এক সময় জীবাত্মা পরমাত্মার সাথে মিলিত হয়।
সুপ্রিয়াকে সাšত্ম্বনা দিতে গিয়ে তার কাকা তাকে এ কথাগুলোই বলেছেন। আত্মার এই বৈশিষ্ট্যের কথা শুনে তার মন কিছুটা শান্ত হয়। কাকার বক্তব্যের সাথে সে তার পাঠ্যপু¯ত্মকের বক্তব্যের মিল খুঁজে পায়।
তাই আমিও জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ বলে জীবাত্মারও মৃত্যু নেই, জীবাত্মাও অমর।
প্রশ্ন –৬ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মিহির বাবু তার পরিবার নিয়ে শহরে বাস করেন। একবার গ্রীষ্মের ছুটিতে সপরিবারে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে গেলেন। সেখানকার পাহাড়, নদী ও আকাশের পাখি দেখে বিমোহিত হলেন। তার মধ্যে ভাবের সৃষ্টি হলো। তিনি বুঝতে পারলেন, সকল সৃষ্টির মধ্যে ঈশ্বরের অ¯িত্মত্ব বিদ্যমান। [পাঠ : ৩ ও ৪]
ক. ঈশ্বর জ্ঞানীদের কাছে কী নামে পরিচিত? ১
খ. পরমাত্মা ও জীবাত্মার মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিহির বাবুকে কীভাবে প্রভাবিত করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মিহির বাবুর উপলব্ধি তোমার নিজের ভাষায় মূল্যায়ন কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ঈশ্বর জ্ঞানীদের কাছে ব্রহ্ম নামে পরিচিত।
খ. পরমাত্মা ও জীবাত্মার মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।
পরমাত্মা যখন জীবের মধ্যে অবস্থান করেন, তখন তিনি জীবাত্মার রূপ ধারণ করেন। পরমাত্মা থেকেই জীবের সৃষ্টি। একই পরমাত্মা বহু আত্মারূপে জীবদেহের মধ্যে অবস্থান করেন। জীবদেহের বিনাশ আছে, কিন্তু আত্মার বিনাশ নেই। কারণ জীবাত্মা পরমাত্মারই অংশবিশেষ। পরমাত্মার সকল গুণই জীবাত্মার মধ্যে বিদ্যমান। তাই পরমাত্মার ন্যায় জীবাত্মাও জন্ম-মৃত্যুহীন এবং শাশ্বত। এটাই পরমাত্মা ও জীবাত্মার মধ্যে সম্পর্ক।
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিহির বাবুকে প্রভাবিত করে।
ঈশ্বর তাঁর সকল সৃষ্টি ও সৌন্দর্যের মধ্যে অবস্থান করেন। আমাদের মাথার ওপরে যে সুনীল আকাশ, ঈশ্বর সেখানেও আছেন নীলিম সৌন্দর্যরূপে। আবার ঈশ্বর আছেন পর্বতের দৃঢ়তা ও জলের গভীরতায়। তিনি বৃক্ষ, লতা, মেঘ, চন্দ্র, সূর্য ও তারকারাজির মধ্যেও বিরাজ আছেন। এসব কিছুই তাঁর সৃষ্টি। তিনি তাঁর সকল সৃষ্টির মধ্যে অবস্থান করছেন। তিনি তাঁর সৃষ্টিকে মহিমা ও সৌন্দর্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাই ঈশ্বরের সৌন্দর্যেই সকল কিছু সুন্দর।
উদ্দীপকে মিহির বাবু গ্রীষ্মের ছুটিতে সপরিবারে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়ে সেখানকার পাহাড়, নদী ও আকাশের পাখি দেখে বিমোহিত হলেন এবং তার মধ্যে ঈশ্বর ভাবের সৃষ্টি হলো।
উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, উদ্দীপকে সৃষ্টির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিহির বাবুকে প্রভাবিত করে।
ঘ. মিহির বাবুর উপলব্ধি হলো ‘সকল সৃষ্টির মধ্যে ঈশ্বরের অ¯িত্মত্ব বিদ্যমান’- যা আমিও উপলব্ধি করি।
উদ্দীপকে মিহির বাবু পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে গেলেন। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হলেন এবং উপলব্ধি করতে পারলেন, সকল সৃষ্টির মূলে ঈশ্বরের অ¯িত্মত্ব রয়েছে।
ঈশ্বর সকল কিছুর মূলে অবস্থান করছেন। ঈশ্বর অনল অর্থাৎ অগ্নি, বায়ু ও চির সুনীল আকাশে আছেন। এর অর্থ হচ্ছে- অগ্নির যে দাহিকা শক্তি, তা ঈশ্বরের শক্তি। বায়ু ঈশ্বরেরই সৃষ্টি। বায়ুর যে গতি, তার মূলে রয়েছে ঈশ্বরের শক্তি। আমাদের মাথার ওপরে যে সুনীল আকাশ, ঈশ্বর সেখানেও আছেন নীলিম সৌন্দর্যরূপে। একইভাবে ভূধরে মানে পর্বতের দৃঢ়তা, উচ্চতা ও মৌনতার মধ্যে ঈশ্বরের অ¯িত্মত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। আবার ঈশ্বর আছেন জলের গভীরতায়। তিনি বৃক্ষ, লতা, মেঘ, চন্দ্র, সূর্য ও তারকারাজির মধ্যেও বিরাজিত আছেন। এসব কিছুই তাঁর সৃষ্টি। তিনি তাঁর সকল সৃষ্টির মধ্যে অবস্থান করছেন। তাঁর শক্তিতেই সকল কিছু শক্তিমান।
অতএব, আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, সকল সৃষ্টির মধ্যে ঈশ্বরের অ¯িত্মত্ব বিদ্যমান।
প্রশ্ন –৭ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শ্যামল ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ধর্মপরায়ণ। তিনি জীবসেবার মাধ্যমে স্বর্গে গমন করতে চেয়েছিলেন। এই নিরিখে তিনি গড়ে তুলেছিলেন দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র, নানা ঔষধি গাছ ভরা বাগান ও পশু খামার। তিনি ধর্মীয় বই পড়ে জানতে পারেন প্রাণিকুলের মধ্যে তার সৃষ্টিকর্তা বিরাজমান এবং এদের সেবা করা মানে সৃষ্টিকর্তার সেবা করা। [পাঠ : ৫]
[বস্নু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. হিন্দুধর্মানুসারে ‘বৃক্ষ’ কী? ১
খ. আত্মার জন্ম নেই মৃত্যু নেই- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. শ্যামলের কর্মকাণ্ডে যে বিষয়টির প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শ্যামলের কর্মকাণ্ডের গুরম্নত্ব বিশেস্নষণ কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. হিন্দুধর্মানুসারে ‘বৃক্ষ’ একটি জীব।
খ. আত্মার জন্ম নেই, মৃত্যু নেই। একই পরমাত্মা বহু আত্মারূপে জীবদেহের মধ্যে অবস্থান করেন।
জীবদেহের মধ্যে প্রাণ বা আত্মা অবস্থান করে। আত্মা নিত্যবস্তু ও নিরাকার। জীবদেহের বিনাশ আছে, কিন্তু আত্মার বিনাশ নেই। কারণ জীবাত্মা পরমাত্মারই অংশ। পরমাত্মার জন্ম-মৃত্যু নেই। তাই আত্মা তথা জীবাত্মার ও জন্ম নেই, মৃত্যু নেই।
গ. শ্যামলের কর্মকাণ্ডে জীবসেবার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করার বিষয়টি প্রতিচ্ছবি হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।
ঈশ্বর জীবাত্মারূপে জীবের মধ্যে অবস্থান করেন। তাই জীবসেবা করলে ঈশ্বরকে সেবা করা হয়। বহু জীবরূপে ঈশ্বর আমাদের সম্মুখেই আছেন। তাই তাঁকে খুঁজে বেড়ানোর দরকার নেই। যিনি জীবকে ভালোবাসেন, তিনি সেই সেবার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরকে সেবা করেন। তাই হিন্দুধর্মে জীবকে ঈশ্বর বা ব্রহ্মজ্ঞানে সেবা করতে বলা হয়েছে। কারণ জীবকে সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, শ্যামল ধর্মীয় বই পড়ে জানতে পারেন প্রাণিকুলের মধ্যে সৃষ্টিকর্তা বিরাজমান এবং এদের সেবা করা মানেই ঈশ্বরকে সেবা করা। অতএব, শ্যামলের কর্মকাণ্ডের জীবসেবার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করার বিষয়টি প্রতিচ্ছবি হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ. শ্যামলের কর্মকাণ্ড ঈশ্বর সেবার ড়্গেেত্র অত্যন্ত গুরম্নত্বপূর্ণ। কারণ সে জানে যে, জীবসেবার মাধ্যমে ঈশ্বরকে সেবা করা করা যায়।
জীবসেবা বলতে জীবের পরিচর্যা, সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করাকে বোঝায়। এছাড়াও বুদ্ধি দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে, সহানুভূতি জানিয়ে, বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে নানাভাবে সেবা করা যায়। ঈশ্বর জীবাত্মারূপে জীবের মধ্যে অবস্থান করেন। তাই জীবসেবা করলে ঈশ্বরকে সেবা করা হয়। জীবের সেবা করা হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান ব্রত হিসেবে বিবেচিত। ‘যত্র জীবঃ তত্র শিবঃ অর্থাৎ যেখানে জীব সেখানেই শিব। এখানে শিব বলতে ঈশ্বরের কথাই বোঝানো হয়েছে। হিন্দু ধর্মে জীবসেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন সেবাশ্রম, মঠ গড়ে উঠেছে যা মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করছে। এভাবেও জীবসেবা করা হয়।, কারণ জীবকে সেবা করলেই ঈশ্বরকে সেবা করা হয়।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, শ্যামল জীবসেবার মাধ্যমে স্বর্গে গমন করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি গড়ে তুলেছিলেন দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র। নানা ঔষধি গাছ ভরা বাগান ও পশু খামার গড়ে তোলেন। শ্যামল জীবদেহের সšেত্মাষ বিধানের জন্য কল্যাণকর কাজ করেছেন।
উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, জীবকে সেবার মাধ্যমেই ঈশ্বরকে সেবা করা যায়। তাই শ্যামলের কর্মকাণ্ড অত্যন্ত গুরম্নত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমণ্ডিত।
প্রশ্ন –৮ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রোহিতকে পাড়ার সকলে দুষ্টু ছেলে বলে জানে। তার সমবয়সীদের সাথে সে সবসময় ঝগড়া বিবাদ করে। ছোটদের সে মজা করে মারে। ছোটরা তাকে পছন্দ করে না। বন্য পশু, জীবজন্তু কেউ তার হাত থেকে রক্ষা পায় না। কুকুর দেখলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আসে। ঘরের পোষা বিড়ালটি তার হাতে মার খেতে খেতে ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। একদিন রা¯ত্মায় পা ভাঙা একটি কুকুরকে খুব পিটাচ্ছিল সে। এমন সময় তার শিক্ষক এসে তাকে বুঝিয়ে বললেন জীবকে কষ্ট দেয়া কতটা পাপ, তিনি স্বামী বিবেকানন্দের বাণী বললেন। সেদিন থেকে রোহিত কোনো জীবকে কষ্ট দেয় না। সর্বদা জীবসেবায় নিজেকে ব্য¯ত্ম রাখে।
ক. জীবের মাঝে আত্মারূপে কে অবস্থান করেন? ১
খ. জীবসেবা বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকের শুরম্নতে রোহিতের যে কর্ম দেখানো হয়েছে তোমার পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রোহিতের শেষ কাজটির ফলাফল তোমার পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে পর্যালোচনা কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জীবের মাঝে আত্মারূপে ঈশ্বর অবস্থান করেন।
খ. জীবকে পরিচর্যা করাই হলো জীবসেবা।
জীবকে কোনো কষ্ট না দেয়া, জীবে দয়া করা এসবই জীবসেবা। আমরা জানি, জীবের মাঝে ঈশ্বর অবস্থান করেন। তাই জীবসেবার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করা যায়। জীবসেবা করলে প্রকারান্তরে ঈশ্বরকেই সেবা করা হয়।
আমরা জীবকে ঈশ্বরজ্ঞানে সেবা করব।
গ. উদ্দীপকের শুরম্নতে রোহিতের যে কর্ম দেখানো হয়েছে তা জীবকে তথা ঈশ্বরকেই কষ্ট দেওয়া যা খুবই অন্যায়।
রোহিত তার আশপাশের সকল জীবকে কষ্ট দিত। তাদের শারীরিকভাবে আঘাত করত। এতে করে ঈশ্বর আঘাত পেতেন। কারণ জীবাত্মা তারই অংশ। জীবকে কষ্ট দিলে, তাকে আঘাত করলে ঈশ্বরকে আঘাত করা হয়। এটা পাপাচার। এটা পাপকর্ম। পাপকর্মের জন্য ঈশ্বর শা¯িত্ম দেন। পাপের শা¯িত্ম থেকে কেউ বাঁচতে পারে না।
হিন্দুধর্মের মূল শিক্ষার অংশ হলো জীবসেবা এবং তাও করতে হবে ঈশ্বরজ্ঞানে। রোহিত জীবসেবায় প্রথম দিকে উদ্বুদ্ধ ছিল না। বরং জীবকে কষ্ট দিতে পারার মাঝেই তার যত আনন্দ ছিল। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের শুরম্নতে রোহিতের যে কর্ম আলোচিত হয়েছে তা পাপকর্ম ছাড়া কিছুই নয়।
ঘ. রোহিতের শেষ কাজটি জীবসেবার উদাহরণ। এখানে রোহিত জীবসেবা করেছে।
হিন্দুধর্ম দর্শন অনুসারে জীবসেবাকে ভালো কাজের মাঝে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। কারণ জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ। পরমাত্মা হলেন ঈশ্বর। তিনি নিরাকার বলে আমরা তাকে দেখতে পাই না। কিন্তু ঈশ্বর আত্মারূপে জীবের মাঝে অবস্থান করেন। জীবাত্মা ঈশ্বরের অংশ। এজন্য জীবাত্মার বিনাশও নেই। পরমাত্মার মতোই জীবাত্মাও শাশ্বত, চিরন্তন। জীবসেবা করলে তাই ঈশ্বর খুশি হন। তাঁর সেবা করার কারণে তিনি সেবকের কল্যাণ করেন। এজন্য স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘বহুরূপে সম্মুখে তোমারে ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর জীবেপ্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।’
আগে জীবদের অত্যাচার করলেও শিক্ষকের কথা শুনে রোহিত জীবসেবার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। জীবকে সেবা করে তার সেবা জীবের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখেনি। বরং রোহিত ঈশ্বরেরই সেবা করেছে। এতে করে ঈশ্বর তার ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। ঈশ্বর তার কল্যাণ করবেন। যে জীবসেবা করে ঈশ্বর তাকে ভালোবাসেন। তার কল্যাণ করেন।
অতএব, রোহিতের শেষ কাজটির ফলাফলস্বরূপ তার কল্যাণ ও মঙ্গল হবে।
অনুশীলনীর অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-৯ স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন,
‘বহুরূপে সম্মুখে ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর
জীবেপ্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।’
ক. সাধারণ অর্থে সেবা কী? ১
খ. দেহ ও আত্মার সম্পর্ক কেমন? লেখ। ২
গ. উদ্দীপকটি দ্বারা হিন্দুধর্মে কোনটিকে উৎসাহিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের লাইন দুটির তাৎপর্য বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১০ বন্ধুর সাথে হিন্দুদের মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিল সিমন পারভেজ। ওখানে ও দেখতে পেল একটি গরম্নর পেটের মধ্য দিয়ে একজন দেবতা দাঁড়িয়ে আছে। ছবিটি দেখে সিমন কিছুটা অবাক হলো। কিন্তু বন্ধু দেবরাজ যখন তাদের এ ছবির অর্থ বুঝিয়ে দিল তখন সিমন ধর্মের শিক্ষা দেখে অভিভূত হলো।
ক. আমাদের জন্ম ও মৃত্যুর কারণ কে? ১
খ. ঈশ্বরকে আমাদের জন্ম ও মৃত্যুর কারণ বলা হয়েছে কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণনাকৃত ছবিটি হিন্দুধর্মের কোন ধারণাটির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়? ৩
ঘ. উক্ত ধারণাটির প্রকৃত উপলব্ধি পাঠ্যবইয়ের আলোকে তুলে ধর। ৪
প্রশ্ন-১১ রাজনদের শিক্ষক একদিন শ্রেণিকড়্গে ঈশ্বরের পরিচয় সম্পর্কে পড়াচ্ছিলেন। রাজন প্রশ্ন করল, স্যার ঈশ্বর কি সবখানে আছেন? তিনি বললেন, অবশ্যই। রাজন আবার বলল, এই যে বিশাল বিশাল পাহাড়, সুউচ্চ আকাশ, বহুদূরের তারকারাজি, নক্ষত্র সবখানে? স্যার বললেন, হ্যাঁ সবখানে ঈশ্বর আছেন, তিনি এসব কিছু সৃষ্টি করেছেন। এসব কিছু টিকে আছে তারই জন্য। রাজন তখন বলল, বুঝেছি স্যার এই জগতের যত বস্তু আছে সকল কিছুর মূল শক্তি হলেন ঈশ্বর।
ক. জীবদেহে ঈশ্বর কী রূপে প্রবেশ করেন? ১
খ. আত্মার দেহ পরিবর্তন বলতে কী বোঝ? ২
গ. ঈশ্বরের শক্তি সম্পর্কে রাজনের ধারণাটি পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘রাজনের শিক্ষকের বক্তব্যে ঈশ্বরের সর্বময় উপস্থিতি ফুটে উঠেছে’-আলোচনা কর। ৪
প্রশ্ন-১২ সুনীল তার স্কুলের ধর্ম বই পড়ছে। সে শব্দ করে পড়ার মাধ্যমে দেহ ও আত্মার সম্পর্ক মুখস্থ করছে। ছোট বোন যুথি পড়া শুনে তার কাছে জানতে চায়, দাদা আত্মা কী? ইমন তখন যুথিকে জীবদেহ ও আত্মার সম্পর্ক বুঝিয়ে বলে। সে আরও জানায় মানুষের জন্ম-মৃত্যু চক্রাকারে আবর্তিত হয়। [ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. হিন্দুধর্মাবলম্বীরা স্রষ্টাকে কী নামে ডাকেন? ১
খ. পরমাত্মা ও জীবাত্মার মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের যুথি তার দাদার কাছ থেকে জীবদেহ ও আত্মা সম্পর্কিত যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা প্রয়োগ দেখাও। ৩
ঘ. মানুষের জন্ম-মৃত্যু চক্রাকারে আবির্ভূত হয়, সুনীলের আলোচ্য উক্তিটি পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৩ ধর্মীয় শিক্ষক অখিল বাবু জীব ও জগতের কথা বলতে গিয়ে বলেন যে, তোমরা জীবের সেবা করলে তার মাঝেই ঈশ্বরকে পাবে। কারণ ঈশ্বর তার সৃষ্টিতে মিশে আছেন। তিনি আরও বলেন, ঈশ্বর জ্ঞানে জীবসেবা হিন্দুধর্মের মূল বৈশিষ্ট্য।
ক. আত্মা কী? ১
খ. ঈশ্বরকে কেন আদি শক্তি বলা হয়? ২
গ. উদ্দীপকের সাথে পাঠ্যপু¯ত্মকের আত্মারূপে ঈশ্বরের অবস্থানের কোথায় সাদৃশ্য আছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জীবসেবা সম্পর্কে শিক্ষকের উক্তিটির মূল্যায়ন কর। ৪
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
সংক্ষপ্তি উত্তর প্রশ্ন
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ‘ঈশ্বরের ঐশ্বর্য তাঁর বিভূতি’ – উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ঈশ্বর সকল কিছুর অধীশ্বর। তিনি সর্বশক্তিমান। সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক। তাঁর এই ক্ষমতা, শক্তি ও সৌন্দর্য তাঁর ঐশ্বর্য।
আমাদের চারপাশে যা কিছু সুন্দর, যা কিছু আমাদের বাঁচিয়ে রাখে তা সবই ঈশ্বরের সৃষ্টি। এমনকি আমরাও তারই সৃষ্টি। তিনি পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। সকল কিছুর লালন-পালন করছেন তিনিই। আবার ঈশ্বর যখন চাইবেন তখন তিনি সবকিছু ধ্বংস করে দেবেন। রাত-দিনের আবর্তন, চন্দ্র-সূর্যের ঘূর্ণন, ঋতু পরিবর্তন সবকিছুই ঈশ্বরের লীলা। ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলো এনেছেন। তারপর সৃষ্টি করেছেন জল, তারপর সৃষ্টি হলো পৃথিবী। তিনি পৃথিবীকে গাছপালা, কীটপতঙ্গ, জীবজন্তু আর মানব প্রজাতি দিয়ে সাজিয়েছেন। আমরা এই পৃথিবীতে যা কিছু সুন্দর দেখি তা সবই ঈশ্বরের রূপ।
জ্ঞানমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ আদিতে মহাবিশ্বের স্থলে কী ছিল?
উত্তর : আদিতে মহাবিশ্বের স্থলে অন্ধকার ছিল।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ অন্ধকারের পর কী এসেছে?
উত্তর : অন্ধকারের পর এসেছে আলো।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ আলোর পর কী এসেছে?
উত্তর : আলোর পর এসেছে জল।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ পৃথিবী এসেছে কিসের পর?
উত্তর : পৃথিবী এসেছে জলের পর।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ জীবের সৃষ্টি কার থেকে?
উত্তর : জীবের সৃষ্টি পরমাত্মা থেকে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ জীবাত্মা জীবদেহ পরিত্যাগ করলে জীবের কী ঘটে?
উত্তর : জীবাত্মা জীবদেহ পরিত্যাগ করলে জীবের মৃত্যু ঘটে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কিসের বিনাশ ঘটে?
উত্তর : মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেহের বিনাশ ঘটে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ আমাদের জন্ম ও মৃত্যুর নির্ধারক কে?
উত্তর : আমাদের জন্ম ও মৃত্যুর নির্ধারক ঈশ্বর।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ প্রকৃতির সৌন্দর্য কার সৌন্দর্য?
উত্তর : প্রকৃতির সৌন্দর্য ঈশ্বরের সৌন্দর্য।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ পরমাত্মা যখন জীবের মধ্যে অবস্থান করেন তখন তিনি কী?
উত্তর : পরমাত্মা যখন জীবের মধ্যে অবস্থান করেন তখন তিনি জীবাত্মা।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ আত্মা কিরূপ বস্তু?
উত্তর : আত্মা নিত্যবস্তু ও নিরাকার।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ কিসের বিনাশ নেই?
উত্তর : আত্মার বিনাশ নেই।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ সর্বশক্তিমান কে?
উত্তর : ঈশ্বর সর্বশক্তিমান।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ কাকে আশ্রয় করে আত্মার অভিযাত্রা?
উত্তর : দেহকে আশ্রয় করে আত্মার অভিযাত্রা।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ কাকে লাভ করে দেহ সজীব হয়?
উত্তর : আত্মাকে লাভ করে দেহ সজীব হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ কার জন্ম, মৃত্যু নেই?
উত্তর : আত্মার জন্ম মৃত্যু নেই।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ কোন জ্ঞানে জীবকে সেবা করতে হবে?
উত্তর : ঈশ্বরজ্ঞানে জীবকে সেবা করতে হবে।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ অনল শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : অনল শব্দের অর্থ আগুন।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ ভূধর মানে কী?
উত্তর : ভূধর মানে পর্বত।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ সাধারণ অর্থে সেবা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সাধারণ অর্থে সেবা বলতে পরিচর্যা বোঝায়।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ জীবসেবা করলে কার সেবা করা হয়?
উত্তর : জীবসেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ যেখানে জীব সেখানেই কী?
উত্তর : যেখানে জীব সেখানেই শিব।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ ‘বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে
শ্বর। -কে বলেছেন।
উত্তর : স্বামী বিবেকানন্দ।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ঈশ্বরের-ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ঈশ্বর সব কিছুর স্রষ্টা। ঈশ্বর সৃষ্টি, প্রতিপালন ও ধ্বংস করেন। তিনি মানবের মঙ্গল-অমঙ্গলেরও নিয়ন্ত্রক। গীতায় বলা হয়েছে, তিনি পরমাত্মা এবং একমাত্র নিয়ন্ত্রক। আবার ঈশ্বর জগতের কল্যাণ তথা দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের জন্য জীবরূপে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। তাঁর এই অবতরণই অবতার অর্থাৎ তিনি অবতাররূপে পৃথিবীতে আগমন করেন।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ আত্মার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আত্মা পরমাত্মার অংশ। পরমাত্মা হলো ঈশ্বর। পরমাত্মাই জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন। আত্মা নিত্যবস্তু ও নিরাকার। আত্মার জন্ম নেই, মৃত্যু নেই। এই পরমাত্মা জীবদেহে আত্মারূপে অবস্থান করেন। জীবদেহের বিনাশ আছে, কিন্তু আত্মার বিনাশ নেই। শ্রীমদভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, এ আত্মা জন্মে না, মরে না।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ জীবের মধ্যে আত্মারূপে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কিত শেস্নাকের শিক্ষা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জীবের মধ্যে আত্মারূপে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কিত শেস্নাকের শিক্ষা হলো :
ঈশ্বর জীব-জগতের উৎপত্তি, স্থিতি এবং মৃত্যুর নিয়ন্ত্রক। তিনিই জীবের মাঝে আত্মারূপে অবস্থান করেন। জীবাত্মা তাঁরই অংশ। তিনি পরমাত্মা। জীবাত্মা পরমাত্মা হওয়ায় তার কোনো ধ্বংস নেই। আবার জীবদেহে ঈশ্বর অবস্থান করেন বলে জীবকে সেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ঈশ্বর জীবের মাঝে কীভাবে অবস্থান করেন?
উত্তর : ঈশ্বর জীবের মাঝে প্রাণ বা আত্মারূপে অবস্থান করেন। কারণ জীবাত্মা পরমাত্মারই অংশ বিশেষ। পরমাত্মার যেমন বিনাশ নেই তেমনি আত্মারও বিনাশ নেই। আত্মা শুধু দেহ ত্যাগ করে মাত্র। আত্মা জীব দেহ ত্যাগ করলেই জীব দেহের বিনাশ ঘটে। ঈশ্বর যখন জীবাত্মা ত্যাগ করেন তখন তার মৃত্যু ঘটে। তাই বলা যায়, ঈশ্বরই জীবের আত্মারূপে অবস্থান করেন।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ঈশ্বরের বিভিন্ন পরিচয় সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। আমরা তাঁর শক্তির প্রকাশ দেখে নানা নামে তাঁকে অভিহিত করি। তিনি ব্রহ্ম, ঈশ্বর, ভগবান। আবার জ্ঞানীদের কাছে তিনি ব্রহ্ম, যোগীদের কাছে তিনি পরমাত্মা, ভক্তের কাছে তিনি ভগবান। তিনি নিত্যবস্তু ও নিরাকার।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ ঈশ্বরকে কেন আদি শক্তি বলা হয়?
উত্তর : আদিতে এ মহাবিশ্ব ছিল না। তখন সব ছিল অন্ধকার। তারপর এলো আলো, জল এবং জলের পরে পৃথিবী। পৃথিবীর পরে এলো গাছপালা, কীট পতঙ্গ, জীবজন্তু, মানবকুল প্রভৃতি। এ সবকিছুর মূলে রয়েছেন ঈশ্বর। তাই ঈশ্বরকে আদি শক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ আত্মা ও দেহ এর মধ্যকার সম্পর্ক নিরূপণ কর।
উত্তর : আত্মা ও দেহের মাঝে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। দেহকে আশ্রয় করে আত্মার অভিযাত্রা। আবার আত্মাকে লাভ করে দেহ সজীব হয়। দেহহীন আত্মা নিষ্ক্রিয়, আত্মাহীন দেহ জড়। অর্থাৎ জড় বস্তুর আত্মা নেই, তাই নিশ্চল, প্রাণহীন ও ক্রিয়াহীন। তাই বলা যায়, দেহকে আশ্রয় করে আত্মা ক্রিয়াশীল হয় আবার আত্মাকে অবলম্বন করে দেহ চেতনাসম্পন্ন হয়। আত্মা শাশ্বত ও চিরন্তন।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ বিশ্বজগতে ঈশ্বরের অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : এই বিশ্বজগৎ ঈশ্বরের সৃষ্টি। তিনি তাঁর আপন মহিমায় এই বিশ্বলোক সৃষ্টি করেছেন। তার থেকেই সবকিছুর উৎপত্তি। তিনি সবকিছুতেই প্রকাশিত। এই বিশ্বজগতের সৌন্দর্য তারই সৌন্দর্যের প্রকাশ। তাই তিনি অপরূপ। তিনি পানি, বায়ু, পাহাড়, সবকিছুতে বিরাজিত। মানুষ জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ তারই মহিমায় জীবনধারণ করছে। এই বিশ্বের সবকিছুই ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশ করছে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ ‘ঈশ্বরজ্ঞানে জীবসেবা’ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ‘যত্র জীবঃ তত্র শিবঃ’ অর্থাৎ যেখানে জীব সেখানেই শিব। এখানে শিব বলতে ঈশ্বরের কথাই বলা হয়েছে। জীবের মাঝে ঈশ্বর আত্মারূপে অবস্থান করেন। আমরা যখন জীবকে সেবা করব মনে করব আমরা ঈশ্বরেই সেবা করছি। জীবকে ঈশ্বরের অংশ জেনে তাকে যেভাবে সেবা করছি এটাই ঈশ্বরজ্ঞানে জীবসেবা। জীবসেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ জীবসেবা করতে হবে কেন?
উত্তর : হিন্দুধর্ম অনুসারে জীবের মাঝে ঈশ্বর অবস্থান করেন। এজন্য জীবসেবা করলে ঈশ্বর সেবা করা হয়। আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো মোক্ষলাভ বা আত্মার মুক্তি। জীবসেবা আমাদের মোক্ষলাভের সহায়ক। ঈশ্বর নিরাকার বলে আমরা তাকে দেখিনা তাই জীবকে সেবার মাধ্যমে আমরা আমাদের ঈশ্বর সেবার আকাক্সক্ষাকে পূর্ণ করতে পারব। এজন্য জীবসেবা করতে হবে। জীবকে ঈশ্বর জ্ঞানে সেবা করলে মোক্ষ লাভ হয়।