পঞ্চম শ্রেণী বাংলা ৭ম অধ্যায় ফেব্রুয়ারির গান
ফেব্রুয়ারির গান
লুৎফর রহমান রিটন
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
য় সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১. মনের কথা কীভাবে বলব?
ক মায়ের ভাষায় খ বাবার ভাষায়
গ দাদার ভাষায় ঘ মামার ভাষায়
২. পাখির গানে সবার প্রাণ কেমন হয়?
ক বিরক্ত খ মুগ্ধ
গ রাগ ঘ খুশি
৩. নদীর অপর নাম কী?
ক স্রোতস্বিনী খ পুকুর
গ সমুদ্র ঘ খাল
৪. ফুলের সাথে কে কথা বলে?
ক প্রজাপতি খ হরিণ
গ মানুষ ঘ পাখি
৫. ফেব্রুয়ারির গান কাদের রক্তে লেখা?
ক ভাইয়ের খ মামার
গ বাবার ঘ মানুষের
৬) দোয়েল, কোয়েল, ময়নার কণ্ঠে কী আছে?
ক হাসি খ গান
গ ঊর্মি ঘ বাংলা ভাষা
৭) কী শুনে সবার প্রাণ মুগ্ধ হয়?
ক পাখির গান খ গাছের গান
গ সাগরের গান ঘ প্রজাপতির গান
৮) মন ভোলানো সুর আছে কার?
ক প্রজাপতির খ ঝরনার
গ ফুলের ঘ সাগর-নদীর
৯) পাতা কী শুনে মুগ্ধ হয়?
ক পাখির গান খ প্রজাপতির কথা
গ নদীর সুর ঘ গাছের গান
১০) ‘সমুদ্দুর’ কাকে বলা হয়?
ক নদীকে খ সাগরকে
গ স্রোতস্বিনীকে ঘ ঝরনাকে
১১) গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতের বাতাসে কিসের প্রতিধ্বনি?
ক ঝরনার সুরের খ পাখির গানের
গ প্রজাতির কথার ঘ নদীর ঢেউয়ের
১২) মায়ের মুখের ভাষা কেমন?
ক মিষ্টি খ কটু
গ নোনতা ঘ কঠিন
১৩) আমার মায়ের ভাষা কোনটি?
ক ইংরেজি খ হিন্দি
গ বাংলা ঘ উর্দু
১৪) ভাষা আন্দোলনের জন্য স্মরণীয় দিন কোনটি?
ক ২৬শে মার্চ খ ১৬ই ডিসেম্বর
গ ২১শে ফেব্রুয়ারি ঘ ১০ই ডিসেম্বর
১৫) পাকিস্তানি সরকার ছাত্রদের মিছিলেÑ
ক উৎসাহ দেয় খ গুলি চালায়
গ যোগ দেয় ঘ লাঠিপেটা করে
১৬) ‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতায় কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক বাংলাদেশের ষড়ঋতুর বর্ণনা
খ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য
গ ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা
ঘ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ভালোবাসা
১৭) রফিক, বরকত, শফিককে আমরা ভুলব না কেন?
ক এদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন বলে
খ বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন বলে
গ গরিবের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন দিয়েছেন বলে
ঘ ছয় দফা দাবি আদায়ে জীবন দিয়েছেন বলে
১৮) ২১শে ফেব্রুয়ারি আমরা কোন দিবস পালন করি?
ক মাতৃভাষা দিবস খ স্বাধীনতা দিবস
গ বিজয় দিবস ঘ মুক্তি দিবস
১৯) গাছের গান শুনে মুগ্ধ হয় কে?
(ক) পাহাড় (খ) ঝরনা (গ) পাখি (ঘ) পাতা
২০) বাতাসের ধাক্কায় ধ্বনির পুনরায় ফিরে আসার ঘটনাকে কী বলে?
(ক) স্বরধ্বনি (খ) ব্যঞ্জনধ্বনি
(গ) প্রতিধ্বনি (ঘ) জয়ধ্বনি
২১) ‘বাহার’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) রং (খ) ছন্দ
(গ) সুর (ঘ) সৌন্দর্য
২২) বাংলা ভাষার জন্য শহিদ ছেলেরা কোন মাসে জীবন দিয়েছিল?
(ক) জানুয়ারি (খ) ফেব্রুয়ারি
(গ) নভেম্বর (ঘ) ডিসেম্বর
২৩) কবিতাংশে প্রকাশিত হয়েছেÑ
(ক) মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা
(খ) প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা
(গ) নানা রকম পাখির কথা
(ঘ) বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্যের কথা
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১. কমায়ের ভাষায়
২. খ মুগ্ধ
৩. ক স্রোতস্বিনী
৪. ক প্রজাপতি
৫. ক ভাইয়ের
৬) খ গান
৭) ক পাখির গান
৮) ঘ সাগর-নদীর
৯) ঘ গাছের গান
১০) খ সাগরকে
১১) ক ঝরনার সুরের
১২) ক মিষ্টি
১৩) গ বাংলা
১৪) গ ২১শে ফেব্রুয়ারি
১৫) খ গুলি চালায়
১৬) গ ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা
১৭) খ বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন বলে
১৮) ক মাতৃভাষা দিবস
১৯) (ঘ) পাতা;
২০) (গ) প্রতিধ্বনি;
২১) (ঘ) সৌন্দর্য;
২২) (খ) ফেব্রুয়ারি;
২৩)(ক) মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা।
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১) কবি এই কবিতায় কত ধরনের সুরের কথা বলেছেন?
উত্তর : কবি এই কবিতায় চার ধরনের সুরের কথা বলেছেন। নিচে এগুলোর নাম লেখা হলোÑ
১। পাখির সুর, ২। সাগর নদীর ঊর্মিমালার সুর, ৩। পাহাড়ের সুর ও ৪। প্রজাপতির সুর।
২) পাতা আর স্বর্ণলতা কিসে মুগ্ধ হচ্ছে?
উত্তর : পাতা ও স্বর্ণলতা গাছের গানে মুগ্ধ হচ্ছে।
৩) প্রজাপতি ফুলের সাথে কীভাবে কথা বলে?
উত্তর : প্রজাপতি ছন্দ আর সুরের মাধ্যমে ফুলের সাথে কথা বলে।
৪) আমরা কোন ভাষাতে আমাদের মনের কথা বলি?
উত্তর : আমরা মায়ের মুখের মধুর ভাষা- বাংলায় মনের কথা বলি।
৫) ‘শহিদ ছেলের দান’ হিসেবে আমরা কী পেয়েছি?
উত্তর : শহিদ ছেলের দান হিসেবে আমরা পেয়েছি মায়ের ভাষা- বাংলা।
৬) পাহাড় কী ছড়ায়?
উত্তর : পাহাড় সুরের বাহার ছড়ায়।
৭) ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য স্মরণীয় দিন কেন?
উত্তর : ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে এ দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন শুরু করে। পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে অনেকে শহিদ হন। তাঁদের প্রাণের বিনিময়েই আমরা বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি। এ কারণেই ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য স্মরণীয় দিন।
৮) কয়েকজন ভাষাশহিদের নাম বল।
উত্তর : কয়েকজন ভাষাশহিদ হলেন : ১. সালাম, ২. বরকত, ৩. শফিক, ৪. জব্বার।
৯) আমরা কোন ভাষায় মনের কথা বলি?
উত্তর : আমরা মাতৃভাষা বাংলায় মনের কথা বলি।
১০) পাহাড় কী ছড়ায়? বাতাসে কখন তার প্রতিধ্বনি শোনা যায়?
উত্তর : পাহাড় সুরের বাহার ছড়ায়। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতে বাতাসে তার প্রতিধ্বনি শোনা যায়।
১১) কাকে, কেন শহিদ ছেলের দান বলা হয়েছে?
উত্তর : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে এ দেশের দামাল ছেলেরা প্রাণ দিয়েছিল। এ কারণে বাংলা ভাষাকে শহিদ ছেলের দান বলা হয়েছে।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
য় কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : ঝরনা, সাগর, পাহাড়, ফুল, পাখি ইত্যাদি নিয়ে প্রকৃতি। প্রকৃতিতে এরা নানাভাবে নানা রকম সুরের সৃষ্টি করে। সে রকম সুর তৈরি করতে না পারলেও আমরা যে মায়ের ভাষায় কথা বলি তাও খুব মিষ্টি। এ ভাষার জন্য এদেশের ছেলেরা জীবন দেয়। তাই মাতৃভাষা বাংলা আমাদের কাছে অনেক ভালোবাসার।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১৯৫২ সালের ২৬এ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন ঘোষণা করেছিলেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণা ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। ফলে ঢাকার ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। আওয়ামী মুসলিম লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মিলে তখন ‘সর্বদলীয় কর্মপরিষদ’ গঠন করে। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গঠন করে ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’। ২০এ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নুরুল আমিন সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’ ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১এ ফেব্রুয়ারি তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে এগিয়ে যায়। এই সংগ্রামে বহু ছাত্রছাত্রী ও জনতা আহত হয়, গ্রেফতার-বরণ করেন এবং রফিকউদ্দিন, জব্বার ও আবুল বরকত শহিদ হন। ২২এ ফেব্রুয়ারি সমগ্র জাতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ঢাকার রাজপথ হয়ে ওঠে উত্তাল। বহু হতাহতের সঙ্গে এই দিন শহিদ হন শফিকুর রহমান, আব্দুল আউয়াল, কিশোর অহিউল্লাহ। ২৩এ ফেব্রুয়ারি শহিদের স্মরণে শহিদ মিনার নির্মিত হয়। পুলিশ শহিদ মিনারটি ধ্বংস করে দেয়। আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরিশেষে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে।
য় সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) শেখ মুজিবুর রহমান কীভাবে ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখেন?
(ক) স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে
(খ) ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ আহ্বানের মাধ্যমে
(গ) ১৪৪ ধারা ভাঙার মাধ্যমে
(ঘ) অনশন পালনের মাধ্যমে
২) কাকে ভাষাশহিদ বলা যায়?
(ক) খাজা নাজিমউদ্দিনকে
(খ) মহিউদ্দিন আহমদকে
(গ) আব্দুল আউয়ালকে
(ঘ) শেখ মুজিবুর রহমানকে
৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছেÑ
(ক) ভাষা আন্দোলনের কথা
(খ) মুক্তিযুদ্ধের কথা
(গ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের কথা
(ঘ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের কথা
৪) ২৩এ ফেব্রুয়ারির পর আন্দোলন তীব্রতর হয় কেন?
(ক) পুলিশ গণহত্যা চালানোয়
(খ) বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করায়
(গ) খাজা নাজিমউদ্দিনের ঘোষণায়
(ঘ) শহিদ মিনার ভেঙে দেওয়ায়
৫) আমরা বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি। এটি কাদের অবদান?
(ক) মুক্তিযোদ্ধাদের (খ) পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর
(গ) রাজাকার-আলবদরদের (ঘ) ভাষাশহিদদের
উত্তর : ১) (ঘ) অনশন পালনের মাধ্যমে; ২) (গ) আব্দুল আউয়ালকে; ৩) (ক) ভাষা আন্দোলনের কথা। ৪) (ঘ) শহিদ মিনার ভেঙে দেওয়ায়; ৫) (ঘ) ভাষাশহিদদের।
য় নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
বিশ্বাসঘাতকতা বিশ্বাস ভঙ্গ করা, প্রতারণা।
পরিশেষে অবশেষে।
বেগবান জোরদার
বিক্ষুব্ধ অত্যন্ত দুঃখিত, বিচলিত।
উত্তাল অত্যন্ত আলোড়িত।
মর্যাদা সম্মান।
ক) একপর্যায়ে আন্দোলন আরও হলো।
খ) পদ্মার ঢেউ দেখলে বুকে কাঁপন লাগে।
গ) মাতৃভূমির রক্ষায় মুক্তিসেনারা প্রাণ দিয়েছেন।
ঘ) জনতা রাজপথে মিছিল করছে।
ঙ) একটি বড় অপরাধ।
উত্তর : ক) বেগবান; খ) উত্তাল; গ) মর্যাদা; ঘ) বিক্ষুব্ধ; ঙ) বিশ্বাসঘাতকতা।
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) খাজা নাজিমউদ্দিন কে ছিলেন? ‘সর্বদলীয় কর্মপরিষদ’ ও ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’ কারা গঠন করে?
উত্তর : খাজা নাজিমউদ্দিন ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী।
আওয়ামী মুসলিম লীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘সর্বদলীয় কর্মপরিষদ’। আর ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
খ) ২১এ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতা কীভাবে আত্মত্যাগ করে? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ২১এ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের ঘটনা নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো
‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’ ২১এ ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে যায়। পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়। সে সংগ্রামে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন রফিকউদ্দিন, জব্বার ও আবুল বরকত। আরও অনেকে আহত হন ও গ্রেফতার-বরণ করেন।
গ) খাজা নাজিমউদ্দিনের বক্তব্য শুনে ছাত্রসমাজ প্রতিবাদী হয়ে ওঠে কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: খাজা নাজিমউদ্দিন ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৫২ সালের ২৬এ জানুয়ারি তিনি ঘোষণা করেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এটি ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। কেননা পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব মানুষের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। ছাত্রসমাজ তাই ঘোষণাটি শুনে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।
ঘ) ২২ ও ২৩শে ফেব্রুয়ারি কী কী ঘটে? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : পাঁচটি বাক্যে ২২ ও ২৩শে ফেব্রুয়ারির ঘটনা নিচে উল্লেখ করা হলো-
১) ২১শে ফেব্রুয়ারির ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ।
২) ঢাকার রাজপথে ছাত্র-জনতার ঢল নামে।
৩) পুলিশের সাথে সংঘর্ষে অনেকে হতাহত হন।
৪) ২৩শে ফেব্রুয়ারি শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনার নির্মিত হলে পুলিশ তা ভেঙে দেয়।
৫) ফলে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
স্র, দ্দ, ষ্ম, স্ব, প্র, ন্দ, স্ত, ব্ব।
উত্তর :
স্র = স + র-ফলা ( ্র ) অজস্র
– সাগরে আছে অজস্র মাছ।
দ্দ = দ + দ উদ্দাম
উদ্দাম ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
ষ্ম = ষ + ম উষ্ম
কাপের চা এখনো উষ্ম আছে।
স্ব = স + ব-ফলা ( ^ ) স্বাধীন
আমরা স্বাধীন জাতি।
প্র = প + র-ফলা ( ্র ) প্রতিদিন
আমি প্রতিদিন গোসল করি।
ন্দ = ন + দ আনন্দ
ছেলেগুলো মাঠে আনন্দ করছে।
স্ত = স + ত অস্ত
সূর্য পশ্চিম দিকে অস্ত যায়।
ব্ব = ব + ব আব্বা
আব্বা আমাকে খুব ভালোবাসেন।
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
গ্ধ, ধ্ব, ব্র, ষ্ট্র, ম্ব।
উত্তর :
গ্ধ = গ + ধ দগ্ধ
– প্রখর রৌদ্রে মাঠ-ঘাট দগ্ধ হচ্ছে।
ধ্ব = ধ + ব-ফলা ( ^ ) ধ্বনি
– আযানের সুমিষ্ট ধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
ব্র = ব + র-ফলা ( ্র ) জেব্রা
– জেব্রার গায়ে ডোরাকাটা দাগ আছে।
ষ্ট্র = ষ + ট + র-ফলা ( ্র ) উষ্ট্র
– মরুভূমিতে চলতে উষ্ট্রই সর্বোত্তম বাহন।
ম্ব = ম + ব সম্বল
– নদী ভাঙনে রহিম মিয়া শেষ সম্বলটিও হারাল।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
য় এককথায় প্রকাশ কর।
স্মরণে রাখার যোগ্য, মায়ের ভাষা, বাতাসের ধাক্কায় পুনরায় ফিরে আসা ধ্বনি, বাংলা মাতৃভাষা যার।
উত্তর :
ক) স্মরণে রাখার যোগ্য স্মরণীয়।
খ) মায়ের ভাষা মাতৃভাষা।
গ) বাতাসের ধাক্কায় পুনরায় ফিরে আসা ধ্বনি – প্রতিধ্বনি।
ঘ) বাংলা মাতৃভাষা যার – বাঙালি।
য় ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
লিখিয়া, চালাইল, পাইয়াছে, দেখিলে, জুড়াইয়া।
উত্তর :
সাধু রূপ চলিত রূপ
লিখিয়া লিখে
চালাইল চালাল
পাইয়াছে পেয়েছে
দেখিলে দেখলে
জুড়াইয়া জুড়িয়ে
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
য় নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
সুরেলা, মুগ্ধ, শ্রদ্ধা, শুরু।
উত্তর : মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
সুরেলা Ñ বেসুরো
মুগ্ধ Ñ বিরক্ত
শ্রদ্ধা Ñ অশ্রদ্ধা
শুরু Ñ শেষ
য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
মা, ঊর্মি, নদী, সাগর, মুগ্ধ।
উত্তর :
মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
মা Ñ জননী, মাতা।
ঊর্মি Ñ ঢেউ, তরঙ্গ।
নদী Ñ তটিনী, স্রোতস্বিনী।
সাগর Ñ পাথার, দরিয়া।
মুগ্ধ Ñ আনন্দিত, বিমোহিত।
কবিতার চরণ সাজিয়ে লিখন এবং কবিতা, কবির নাম ও প্রশ্নোত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মায়ের মুখের মধুর ভাষায়
শহিদ ছেলের দান
ফুল পাখি নই, নইকো পাহাড়
মনের কথা কই।
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
ঝরনা সাগর নই
ক) কবিতার লাইনগুলো পর পর সাজিয়ে লেখ।
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) বাংলা ভাষাকে মায়ের ভাষা বলা হয়েছে কেন?
উত্তর :
ক) কবিতার লাইনগুলো নিচে পর পর সাজিয়ে লেখা হলো-
ফুল পাখি নই, নইকো পাহাড়
ঝরনা সাগর নই
মায়ের মুখের মধুর ভাষায়
মনের কথা কই।
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
শহিদ ছেলের দান।
খ) কবিতাংশটি ‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম লুৎফর রহমান রিটন।
ঘ) মায়ের মুখ থেকে প্রথম শুনেই আমরা বাংলা ভাষা শিখি। এ ভাষাকে আমরা মায়ের মতোই ভালোবাসি। বাংলা ভাষাকে তাই মায়ের ভাষা বলা হয়েছে।