পঞ্চম শ্রেণী বাংলা ৩য় অধ্যায় সুন্দরবনের প্রাণী

সুন্দরবনের প্রাণী

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

য়    সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।

১.   ক্যাঙ্গারু বললেই মনে পড়ে যে দেশের কথাÑ

      ১.   ভারত ২.   বাংলাদেশ

      ৩.   অস্ট্রেলিয়া ৪.   আফ্রিকা

২.   আফ্রিকার কথা উঠলে কোন প্রাণীর কথা মনে হয়?

      ১.   সিংহ ২.   হাতি

      ৩.   বাঘ  ৪.   উট

৩.   বাংলাদেশের কোন জঙ্গলে হাতি দেখতে পাওয়া যায়?

      ১.   সিলেট ও খুলনার

      ২.   ভাওয়াল ও মধুপুরের

      ৩.   রাঙামাটি ও বান্দরবানের

      ৪.   উপরের সবখানে

৪.   কোন পাখি ক্ষতিকর আবর্জনা খেয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে?

      ১.   ঈগল ২.   শকুন

      ৩.   চিল  ৪.   কাক

৫.   কোনটার বড় বড় শিং, কোনটার গায়ে ফোটা ফোটা সাদা দাগ, প্রাণীটির নাম কী?

      ১.   চিতা বাঘ  ২.   চিত্রা হরিণ

      ৩.   ভাল্লুক     ৪.   গণ্ডার

৬)   সুন্দরবনে চিতাবাঘ            

      ক   কখনোই ছিল না খ    এখন আর নেই 

      গ   প্রচুর পরিমাণে আছে  ঘ    অল্প কিছু আছে

৭)   শকুন কোন ধরনের খাবারগুলোকে নিজের

      খাবার হিসেবে গ্রহণ করে?              

      ক   মানুষের পছন্দের খাবারগুলোকে  

      খ    মানুষের অপছন্দের খাবারগুলোকে

      গ   মানুষের অনুপযোগী খাবারগুলোকে

      ঘ    মানুষের অপরিচিত খাবারগুলোকে

৮)   শকুনের কোন বিষয়টি অত্যন্ত চিন্তিত হওয়ার মতো?

      ক   খাদ্যাভ্যাস খ    আচার-আচরণ  

      গ   অপকারিতা      ঘ    বিলুপ্তি

৯)   রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কেমন প্রাণী?     

      ক   হিংস্র      খ    গোবেচারা

      গ   নিরীহ     ঘ    অসুন্দর

১০)  সুন্দরবন বাংলাদেশের কোন দিকে অবস্থিত?   

      ক   পূর্ব দিকে  খ    পশ্চিম দিকে

      গ   উত্তর দিকে ঘ    দক্ষিণ দিকে

১১)  সুন্দরবনের পাড়ে কী অবস্থিত?    

      ক   জলপ্রপাত খ    সমুদ্র

      গ   পাহাড়    ঘ    মরুভূমি

১২)  ‘কেওড়া’ কী?    

      ক   সুন্দরবনের প্রাণী

      খ    সুন্দরবনের নদী

      গ   সুন্দরবনের বৃক্ষ 

      ঘ    সুন্দরবনের গ্রাম

১৩)  রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের চালচলন কেমন?

      ক   রাজার মতো    খ    মানুষের মতো

      গ   পাখির মতো    ঘ    শিক্ষকের মতো

১৪)  রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে বিলুপ্তির হাত থেকে

      বাঁচাতে হবে কেন?    

      ক   এটি ভয়ংকর বলে

      খ    এটি অমূল্য সম্পদ বলে

      গ   এটি জীবজন্তু শিকার করে বলে

      ঘ    এটি উপকারী প্রাণী বলে

১৫)  সুন্দরবনের অনেক প্রাণী কেন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে? 

      ক   বাঘের আক্রমণে

      খ    প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে

      গ   খাদ্যের অভাবে

      ঘ    নতুন প্রাণীর আগমনে

১৬)  বাংলাদেশের নামের সাথে জড়িয়ে আছে কোন প্রাণীর নাম?

      (ক)  শকুন          (খ) রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার

      (গ)  হরিণ          (ঘ) গণ্ডার

১৭) ‘স্যাঁতসেঁতে’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক)  ভেজাভেজা (খ)  অস্বাস্থ্যকর

      (গ)  সুস্বাদু     (ঘ)  অপ্রয়োজনীয়

১৬)  ‘রাজকীয়’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক)  রাজা সম্বন্ধীয়

      (খ)  প্রাণীর রাজা

      (গ)  রাজার পছন্দ নয় এমন

      (ঘ)  রাজারা পোষেন এমন

১৯)  ‘ক্ষ’ বর্ণটি কোন কোন যুক্তবর্ণ নিয়ে গঠিত?

      (ক)  খ + য়    (খ)  ম + ষ

      (গ)  হ + ম    (ঘ)  ক + ষ

২০)  অনুচ্ছেদটিতে মূলত কিসের কথা বলা হয়েছে?

      (ক)  রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের হিংস্রতার কথা

      (খ)  শকুনের উপকারী ভূমিকার কথা

      (গ)  জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা

      (ঘ)  পশুপাখি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা

২১)  ‘প্রচুর’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক) অনেক           (খ) প্রয়োজনের চেয়ে বেশি

      (গ)  খুব কম   (ঘ)  শূন্য

২২) সুন্দরবনে কোন প্রাণীটি এখনও রয়েছে?

      (ক)  গণ্ডার     (খ)  হাতি

      (গ)  হরিণ      (ঘ)  বুনো শুয়োর

২৩)  ‘বিলুপ্ত’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক)  হারিয়ে যাওয়া   

      (খ)  অন্যত্র চলে যাওয়া

      (গ)  বাঘে খেয়ে ফেলা

      (ঘ)  বনের গভীরে চলে যাওয়া

২৪)  মানুষের জন্য ক্ষতিকর আবর্জনা শকুন খাওয়ার ফলে-

      (ক)  তারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে

      (খ)  পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে

      (গ)  তাদের অসুখ হয়

      (ঘ)  মানুষের ক্ষতি হয়

২৫) অনুচ্ছেদটিতে মূলত কিসের কথা বলা হয়েছে?

      (ক)  বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর কথা

      (খ)  প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা

      (গ)  জলবায়ু পরিবর্তনের কথা

      (ঘ)  ক্ষতিকর প্রাণীর কথা

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর

      ১. ৩. অস্ট্রেলিয়া

      ২. ১. সিংহ

      ৩. ৩. রাঙামাটি ও বান্দরবানের

      ৪. ২. শকুন

      ৫. ২. চিত্রা হরিণ

      ৬)   খ এখন আর নেই    

      ৭)   গ মানুষের অনুপযোগী খাবারগুলোকে

      ৮)   ঘ বিলুপ্তি

      ৯)   ক হিংস্র    

      ১০) ঘ দক্ষিণ দিকে

      ১১) খ সমুদ্র

      ১২) গ সুন্দরবনের বৃক্ষ

      ১৩) ক রাজার মতো  

      ১৪) খ এটি অমূল্য সম্পদ বলে

      ১৫) খ প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে

১৬) (খ) রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার;

১৭) (ক) ভেজাভেজা;   ১৮) (ক) রাজা সম্বন্ধীয়; ১৯) (ঘ) ক + ষ;  

২০) (ঘ) পশুপাখি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা।

২১) (ক) অনেক; ২২) (গ) হরিণ; 

২৩) (ক) হারিয়ে যাওয়া;

২৪) (খ) পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে;

২৫) (ক) বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর কথা।

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর

য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

১)   ক্যাঙ্গারু ও সিংহ বললেই কোন কোন দেশের কথা মনে হয়?

      উত্তর : ক্যাঙ্গারু বললেই মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার কথা। আর সিংহ বললেই মনে হয় আফ্রিকা মহাদেশের কোনো একটি দেশের কথা।

২)   বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে তুমি যা জান লেখ।

      উত্তর : বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে আমি যা যা জানি তা নিচে উল্লেখ করা হলোÑ

      ১। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার : এই বাঘের চেহারা ও স্বভাব রাজার মতো। তাই এর নাম রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সুন্দরবনে এদের বাস। শিকার করে জীবজন্তু, সুযোগ পেলে মানুষও।

      ২। চিতাবাঘ : অন্য বাঘের সাথে এর পার্থক্য হলো এটি গাছে উঠতে পারে। অন্যান্য বাঘের চেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারে।

      ৩। ওলবাঘ : একসময় সুন্দরবনে এ বাঘ দেখা যেত। এখন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।

      ৪। মেছোবাঘ : দেখতে অনেকটা চিতাবাঘের মতো। এরা মাছ শিকার করে খায়। তবে নাম মেছো বাঘ হলেও মাছ এদের মূল খাদ্য নয়। এরাও এখন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী।

৩)   দেশের জন্য পশুপাখি, জীবজন্তু কী উপকার করে তা নিজের ভাষায় লেখ।

      উত্তর : পশুপাখি ও জীবজন্তু দেশের অমূল্য সম্পদ। এরা নানাভাবে দেশের উপকার করে। যেমনÑ

     পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

     এদের থেকে ডিম, দুধ, মাংস ইত্যাদি পাওয়া যায়। এগুলো আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

৪)   শকুন কীভাবে মানুষের উপকার করে?

      উত্তর : মানুষের পক্ষে যা অনুপযোগী ও ক্ষতিকর সেগুলোকে শকুন নিজের খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এর ফলে আমরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দ্বারা আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাই। এভাবে শকুন মানুষের উপকার করে।

৫)   পশুপাখি জীবজন্তু না থাকলে প্রকৃতির কী বিপর্যয় ঘটবে বলে তোমার মনে হয়?

উত্তর : পশুপাখি জীবজন্তু পরিবেশের প্রাণ। এরা না থাকলে প্রকৃতিতে নানা বিপর্যয় ঘটবে। বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে। এতে মানুষের জীবনও মারাত্মক হুমকিতে পড়বে।

৬)   সুন্দরবন কিসের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে?

উত্তর : সুন্দরবন সমুদ্রের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে।

৭)   সুন্দরবনে রয়েছে এমন চারটি প্রাণী ও চারটি উদ্ভিদের নাম লেখ।

উত্তর : সুন্দরবনে রয়েছে এমন চারটি প্রাণী ও চারটি উদ্ভিদের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো :

প্রাণী : বাঘ, হরিণ, কুমির, বানর।

উদ্ভিদ : কেওড়া, সুন্দরী, গেওয়া, গোলপাতা।

৮)   সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কোথায় ঘুরে বেড়ায়?

উত্তর : সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ভেজা স্যাঁতসেঁতে গোলপাতার বনে ঘুরে বেড়ায়।

৯)   সুন্দরবনের কোন কোন প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে?

উত্তর : সুন্দরবনে একসময় ওলবাঘ, চিতাবাঘ,, গণ্ডার, হাতি, বুনো শুয়োর ইত্যাদি প্রাণী ছিল। কিন্তু এখন এগুলো আর দেখা যায় না।

১০)  সুন্দরবনের প্রাণীগুলোকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে হবে কেন?

উত্তর : সুন্দরবনের প্রাণীগুলো আমাদের অমূল্য সম্পদ। এরা সমগ্র পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। এরা বিলুপ্ত হয়ে গেলে পরিবেশে নানা বিপর্যয় দেখা দেবে। তাই এ প্রাণীগুলোকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে হবে।

১১)  বাংলাদেশে হাতি কোন অঞ্চলে দেখা যায়?

উত্তর : বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ছাড়াও জামালপুর ও শেরপুর অঞ্চলের গারো পাহাড়ে হাতি দেখা যায়।

১২)  শকুন কোথায় বাসা করে?

উত্তর : শকুন গাছের ডালে বাসা করে।

১৩)  রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে ভয়ঙ্কর বলা হয়েছে কেন?

উত্তর : রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বিভিন্ন জীবজন্তু শিকার করে খায়। এমনকি সুযোগ পেলে মানুষকেও আক্রমণ করে। এই কারণেই এ বাঘকে ভয়ঙ্কর বলা হয়েছে।

১৪)  রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো দরকার কেন?

উত্তর : রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সুন্দরবনের অমূল্য সম্পদ। এটি না থাকলে সুন্দরবনের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি।

১৫) যেসব হরিণের বড় বড় শিং এবং গায়ে ফোটা ফোটা সাদা দাগ সেগুলো কী হরিণ?

উত্তর : যেসব হরিণের বড় বড় শিং এবং গায়ে ফোটা ফোটা সাদা দাগ সেগুলো চিত্রা হরিণ।

১৬) শকুন কীভাবে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে?

            উত্তর : শকুন আবর্জনা খায়। মানুষের জন্য যেসব ক্ষতিকর আবর্জনা রয়েছে তা শকুন খেয়ে ফেলে। এভাবে শকুন পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে।

১৭) প্রকৃতির দানকে ধ্বংস করতে নেই কেন?

            উত্তর : প্রাণী বৃক্ষলতা সবকিছুই প্রকৃতির দান। এগুলোকে ধ্বংস করলে প্রকৃতিতে নেমে আসে নানা বিপর্যয়। সৃষ্টি হয় বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি। তাই প্রকৃতির দানকে ধ্বংস করতে নেই।

      পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন

য়    অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।

      উত্তর : রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বা রাজকীয় বাঘের বাস সুন্দরবনে। এর চালচলন রাজার মতো, স্বভাবে এটি হিংস্র। সুন্দরবনের অমূল্য এ সম্পদটি এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সব ধরনের প্রাণী ও উদ্ভিদের ভূমিকাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

চড়–ইয়ের মতোই ছোট্ট একটি পাখি টুনটুনি। পালকের রং জলপাই সবুজ। মাথায় লাল আভা। লম্বা ঠোঁট কালচে খয়েরি। পায়ের রং হলুদাভ। চড়–ই ও টুনটুনি দুজনেই মানুষের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশ সুন্দর রাখে। টুনটুনি পাখি ফুলে ফুলে ঘুরে মধু খেয়ে পরাগায়ণেও সাহায্য করে। ময়না পাখি দেখতে যেমন মিষ্টি তেমনি মিষ্টি তার গান। অন্য পাখির ডাক, মানুষের কথা অবিকল নকল করতে পটু সে। মানুষ এজন্য তাকে শখ করে পোষে। চড়–ইয়ের মতো চঞ্চল একটি পাখি বুলবুলি। এরা কলহপ্রিয়, কিছুটা দুর্বিনীত। মাথার ওপর

থাকে রাজকীয় কালো ঝুঁটি। ঠোঁট ও পা কৃষ্ণবর্ণের। পোকামাকড় ও কীট-পতঙ্গ খেয়ে পরিবেশ বাঁচায়। পানির সঙ্গে যার সখ্য, সেই পাখির নাম পানকৌড়ি। কুচকুচে কালো এই পাখি ডুব দিয়ে তিন মিটার পর্যন্ত সাঁতরাতে পারে। এদের পায়ের পাতা হাঁসের মতো। এরা খুব পেটুক স্বভাবের হয়ে থাকে। পাখিরা আমাদের অনেক উপকার করে। তারা আমাদের প্রতিবেশীর মতো। আমাদের বন্ধুর মতো।

  • সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।

১)   চঞ্চলতার জন্য বুলবুলিকে কোন পাখির সাথে তুলনা করা যায়?

      (ক)  টুনটুনির সাথে  

      (খ)  কাকের সাথে

      (গ)  ময়নার সাথে   

      (ঘ)  চড়–ইয়ের সাথে

২)   মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে কোন কোন পাখি?

      (ক) কোকিল ও ময়না     

      (খ)  টুনটুনি ও চড়–ই

      (গ) দোয়েল ও চড়–ই     

      (ঘ)  বুলবুলি ও টুনটুনি

৩)   ময়না পাখির কোন গুণের কথা অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে?

      (ক)  পরাগায়ণে সাহায্য করে

      (খ)  পরিবেশ সুন্দর রাখে

      (গ)  মানুষের কথা নকল করতে পারে

      (ঘ)  সহজে পোষ মানে

৪)   অনুচ্ছেদটি পড়ে বলা যায় 

      (ক)  পাখি শিকার করা খারাপ কাজ নয়

      (খ)  পাখি পরিবেশের জন্য অপকারী

      (গ)  পাখিদের রক্ষা করা উচিত

      (ঘ)  পাখিরা খুবই চঞ্চল

৫)   ‘কলহ’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?

      (ক)  ঝগড়া     (খ)  আরাম

      (গ)  আনন্দ    (ঘ)  কোলাহল

      উত্তর : ১) (ঘ) চড়–ইয়ের সাথে;   ২) (খ) টুনটুনি ও চড়ুই;   ৩) (গ) মানুষের কথা নকল করতে পারে; ৪) (গ) পাখিদের রক্ষা করা উচিত;  ৫) (ক) ঝগড়া।

  • নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।

শব্দ  অর্থ

দুর্বিনীত    বিনয়ী বা সংযত নয় যে।

পরাগায়ণ  গাছের বংশবিস্তার প্রক্রিয়া।

রাজকীয়   অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ।

অবিকল   সম্পূর্ণ একই রকম।

শখ  পছন্দ, আগ্রহ।

পটু  দক্ষ।

ক)  ডাকটিকিট জমানো আমার । 

খ)    অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছোট ফুপুর বিয়ে হলো।

গ)   বাবুর চেহারা  তার যমজ ভাইয়ের মতো।

ঘ)   সেলিনা গল্প করায় খুব ।

ঙ)    হলে মানুষ ভালোবাসে না।

      উত্তর : ক) শখ;   খ) রাজকীয়;   গ) অবিকল;   ঘ) পটু;   ঙ) দুর্বিনীত।

  • নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

ক)  বুলবুলি কেমন স্বভাবের পাখি? চড়–ই ও টুনটুনি পাখির মধ্যে দুটি মিল লেখ।

উত্তর : বুলবুলি খুব চঞ্চল স্বভাবের। এরা কলহপ্রিয় আর খানিকটা দুর্বিনীত।

চড়–ই ও টুনটুনি পাখির মধ্যে দুটি মিল হলো-

১)   চড়–ই ও টুনটুনি দুটিই আকারে খুব ছোট।

২)   এরা দুজনেই মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে।

খ)   ময়না পাখি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।

      উত্তর : নিচে ময়না পাখি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখা হলো

      ১)   ময়না পাখি দেখতে খুব সুন্দর।

২)   এর গলা খুব মিষ্টি।

৩)   এরা অন্য পাখির ডাক, মানুষের কথা ইত্যাদি নকল করতে পারে।

৪)   অনেকে শখ করে ময়নাকে পোষে।

গ)   ‘পাখিরা আমাদের বন্ধুর মতো’- কথাটি পাঁচটি বাক্য বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : পাখিকে আমাদের বন্ধু বলা হয়েছে কারণ-

১)   পাখিরা আমাদের পরিবেশেরই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

২)   এরা প্রতিবেশীর মতোই আমাদের কাছাকাছি বাস করে।

৩)   পাখিরা নানাভাবে আমাদের উপকার করে।

৪)   এরা ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশ সুন্দর রাখে।

৫)   কোনো কোনো পাখি পরাগায়ণে সহায়তা করে।

ঘ)   পানকৌড়ি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

উত্তর : পানকৌড়ি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিচে উল্লেখ করা হলো-

১)   পানকৌড়ির বসবাস জলপূর্ণ স্থানে।

২)   এদের দেহ কুচকুচে কালো।

৩)   এরা সাঁতারে খুব দক্ষ।

৪)   এদের পায়ের পাতাগুলো হাঁসের মতো।

৫)   পানকৌড়ি পেটুক স্বভাবের পাখি।

      যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ

  • নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।

      স্ম, প্ত, শ্চ, হ্ন, ন্ব, ল্ল, ষ্ট, বৃ, ক্র, ধ্ব।

      উত্তর :

স্ম   =    স + ম-ফলা (§)       স্মৃতি

      –     শৈশবের স্মৃতি বড়ই মধুর।

প্ত   =    প + ত                 সপ্তাহ

      –     সাত দিনে এক সপ্তাহ।

শ্চ   =    শ + চ                  নিশ্চিত   

–     পরীক্ষা কবে হবে তা নিশ্চিত নয়।

হ্ন   =    হ + ন                  চিহ্ন 

      –     খোকা তীর চিহ্ন আঁকবে।

ন্ব    =    ন + ব-ফলা (  ¦ )           সমন্বয়   

      –     সমন্বয় ছাড়া কাজের সফলতা আসে না।

ল্ল   =    ল + ল                  উল্লাস    

      –     গোল হতেই দর্শকেরা উল্লাসে মাতল।

ষ্ট    =    ষ + ট                  স্পষ্ট

      –     চশমা ছাড়া করিম স্পষ্ট দেখতে পায় না।

বৃ    =    ব + ঋ-কার (  ৃ )       বৃহস্পতি  

      –     বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি থাকবে।

ক্র   =    ক + র-ফলা (  ্র )      ক্রমিক   

      –     সালমার ক্রমিক নং ছয়।

ধ্ব   =    ধ + ব-ফলা (  ¦ )           ঊর্ধ্ব

      –     একশ টাকার ঊর্ধ্বে খরচ করো না।

য়    নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।

      ঙ্গ, ফ্র, ঙ্ক, চ্ছ, কৃ।

      উত্তর :

ঙ্গ   =    ঙ + গ             –    অঙ্গ

      –     ছেলেটির অঙ্গ ঘামে ভেজা।

ফ্র   =    ফ + র-ফলা (  ্র )  –    ফ্রক

      –     খুকী ফ্রক পরেছে।

ঙ্ক   =    ঙ + ক             –    অঙ্ক

      –     বাদল অঙ্ক কষছে।

চ্ছ   =    চ + ছ              –    কচ্ছপ

      –     কচ্ছপ খুব ধীরে চলে।

কৃ   =    ক + ঋ-কার (  ৃ  )  –    কৃষক

      –     কৃষক মাঠে কাজ করেন।

বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন

য়    সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।

      প্রাণী বৃক্ষলতা সব কিছুই প্রকৃতির দান তাকে ধ্বংস করতে নেই ধ্বংস করলে নেমে আসে নানা বিপর্যয় বন্যা খরা ঝড় ইত্যাদি।

উত্তর : প্রাণী বৃক্ষলতা সব কিছুই প্রকৃতির দান। তাকে ধ্বংস করতে নেই। ধ্বংস করলে নেমে আসে নানা বিপর্যয়Ñ বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি।

এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন

য়    এককথায় প্রকাশ কর।

ক) যা লোপ পেয়েছে;  খ) বিভিন্ন উপাদান; গ) যার মূল্য নির্ধারণ করা যায় না;  ঘ) যার প্রয়োজন নেই; ঙ) যা ক্ষতি করে।

      উত্তর : ক) বিলুপ্ত; খ) সম্ভার; গ) অমূল্য; ঘ) অপ্রয়োজনীয়; ঙ) ক্ষতিকর।  

য়    ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।

দেখিতে, উঠিয়াছে, ভাসিয়া, বেড়াইতেছে, গিয়াছে।

      উত্তর :    সাধু রূপ        চলিত রূপ

            দেখিতে        দেখতে

            উঠিয়াছে       উঠেছে

            ভাসিয়া        ভেসে

            বেড়াইতেছে     বেড়াচ্ছে

            গিয়াছে        গেছে

বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন

য়  নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।

      প্রচুর, ধ্বংস, সুন্দর, ক্ষতিকর, উপকার, অপ্রয়োজনীয়, বিশাল, রাজা, অমূল্য, দান।

      উত্তর :   

মূল শব্দ        বিপরীত শব্দ    মূল শব্দ        বিপরীত শব্দ

প্রচুর Ñ     স্বল্প  অপ্রয়োজনীয়    Ñ     প্রয়োজনীয়

ধ্বংস Ñ     সৃষ্টি  বিশাল Ñ     ক্ষুদ্র

সুন্দর Ñ     অসুন্দর   রাজা Ñ     প্রজা

ক্ষতিকর   Ñ     লাভজনক অমূল্য    Ñ     মূল্যহীন

উপকার    Ñ     অপকার   দান  Ñ     গ্রহণ

য়    নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।

      প্রাণী, বিশ্ব, বৃক্ষ, সমুদ্র, পরিচ্ছন্ন।

      উত্তর :    মূল শব্দ        সমার্থক শব্দ

            প্রাণী Ñ     জন্তু, জানোয়ার।

            বিশ্ব      Ñ     পৃথিবী, দুনিয়া।

            বৃক্ষ       Ñ     উদ্ভিদ, গাছ।

            সমুদ্র Ñ     সাগর, পাথার।

            পরিচ্ছন্ন   Ñ     পরিপাটি, পরিষ্কার।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *