পঞ্চম শ্রেণী বাংলা ৮ম অধ্যায় শখের মৃৎশিল্প
শখের মৃৎশিল্প
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
য় সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১. আনন্দপুরে কখন মেলা বসে?
ক ষোলই ডিসেম্বর খ পয়লা বৈশাখ
গ একুশে ফেব্রুয়ারি ঘ বলিখেলার সময়
২. মামা কোথায় পড়েন?
ক কলেজে
খ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
গ ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে
ঘ চট্টগ্রামের চারুকলা ইনস্টিটিউটে
৩. মৃৎশিল্পের সবচেয়ে প্রাচীন উপাদান হচ্ছেÑ
ক বাঁশ খ কাঠ
গ পানি ঘ মাটি
৪. আমাদের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছেÑ
ক চারুশিল্প খ মৃৎশিল্প বা মাটির শিল্প
গ কারুশিল্প ৪. দারুশিল্প
৫. কুমোর সম্প্রদায় কিসের কাজ করেন?
ক বাঁশের কাজ খ কাঠের কাজ
গ পাকা বাড়ির কাজ ঘ মাটির কাজ
৬. গ্রামের শিল্পীরা রং তৈরি করেনÑ
ক আম ও লাউ পাতা থেকে
খ শিম ও কাঁঠাল গাছের বাকল থেকে
গ সরিষা ফুল থেকে
ঘ পান ও চুন থেকে
৭. পোড়ামাটির ফলকের অন্য নামÑ
ক টেপা পুতুল খ টেরাকোটা
গ শখের হাঁড়ি ঘ মৃৎশিল্প
৮) কোন কথাটি আমাদের দেশে প্রচলিত আছে?
ক মামার বাড়ি মধুর হাঁড়ি
খ মামার বাড়ি শখের হাঁড়ি
গ মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি
ঘ মামার বাড়ি খুশির হাঁড়ি
৯) লেখকের মামা সবাইকে কোন মেলায় নিয়ে
যাওয়ার কথা বললেন?
ক চড়ক মেলায় খ বিজয় দিবসের মেলায়
গ নবান্নের মেলায় ঘ বৈশাখী মেলায়
১০) টেপা পুতুল তৈরি করতে কী ধরনের মাটি প্রয়োজন?
ক এঁটেল খ বেলে
গ দোআঁশ ঘ বেলে-দোআঁশ
১১) যখন আমরা কোনো কিছু সুন্দরভাবে বানাই বা
আঁকি তখন তা হয়
ক পুতুল খ শিল্প
গ শখ ঘ ঐতিহ্য
১২) বেলে মাটি দিয়ে মাটির শিল্পকর্ম হয় না কেন?
ক আঠালো বলে
খ পোড়ানো যায় না বলে
গ ঝরঝরে বলে
ঘ ভেজানো যায় না বলে
১৩) কাদের কাছে মাটির শিল্প তৈরির কাজ খুব সহজ?
ক কামারদের কাছে
খ কুমোরদের কাছে
গ সব শিল্পীর কাছেই
ঘ গ্রামের মানুষদের কাছে
১৪) মৃৎশিল্প তৈরিতে সবার আগে কোনটি প্রয়োজন?
ক মাটির পাত্র খ বেলে মাটি
গ কাঠের চাকা ঘ মাটির চুলা
১৫) আনন্দপুর গ্রামের কোন দিকে কুমোরদের বসবাস?
ক পূর্ব দিকে খ পশ্চিম দিকে
গ উত্তর দিকে ঘ দক্ষিণ দিকে
১৬) দিনাজপুরে নিচের কোনটি অবস্থিত?
ক ষাটগম্বুজ মসজিদ খ মহাস্থানগড়
গ শালবন বিহার ঘ কান্তজির মন্দির
১৭) অনুচ্ছেদে মূলত বলা হয়েছেÑ
(ক) বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের সম্ভাবনার কথা
(খ) বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের অবনতির কথা
(গ) মৃৎশিল্প তৈরির কৌশল সম্পর্কে
(ঘ) মৃৎশিল্পীদের জীবনযাপন সম্পর্কে
১৮) কুমোর কারা?
(ক) যারা মাটি নিয়ে গবেষণা করেন
(খ) যারা প্রতœতত্ত্বের সন্ধান করেন
(গ) যারা মাটি দিয়ে জিনিস তৈরি করেন
(ঘ) যারা মাটি কাটার কাজ করেন
১৯) মৃৎশিল্পের জন্য সবচেয়ে উপযোগী কোনটি?
(ক) বেলে-দোঁআশ মাটি (খ) দোঁআশ মাটি
(গ) বেলে মাটি (ঘ) এঁটেল মাটি
২০) ‘সরঞ্জাম’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) উপকরণ (খ) গবেষণা
(গ) কৌশল (ঘ) নৈপুণ্য
২১) বেলে মাটি দিয়ে মাটির জিনিস তৈরি করলে কী ঘটবে?
(ক) অনেক দিন টিকবে
(খ) খুব দ্রুত ভেঙে যাবে
(গ) রং চমৎকারভাবে ফুটবে
(ঘ) মৃৎশিল্পের উন্নতি হবে
২২) কুমোরপাড়ায় গিয়ে কী দেখা গেল?
(ক) সবাই গল্পগুজবে ব্যস্ত
(খ) সবাই অতিথি বরণে ব্যস্ত
(গ) সবাই মাটির কাজে ব্যস্ত
(ঘ) সবাই খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত
২৩) ‘কদর’ শব্দটির অর্থ হলো
(ক) সৌন্দর্য (খ) মর্যাদা
(গ) নৈপুণ্য (ঘ) কৌশল
২৪) কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত?
(ক) রাজশাহীতে (খ) বগুড়ায়
(গ) দিনাজপুরে (ঘ) নওগাঁয়
২৫) আনন্দপুর গ্রামের কোনদিকে কুমোরপাড়ার অবস্থান?
(ক) পশ্চিম দিকে (খ) পূর্ব দিকে
(গ) দক্ষিণ দিকে (ঘ) উত্তর দিকে
২৬) ‘মৃৎ’ শব্দটির অর্থ কী?
(ক) মাটি (খ) মূল্য
(গ) পানি (ঘ) জীবন
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১. খপয়লা বৈশাখ
২. গ ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে
৩. ঘ মাটি
৪. খমৃৎশিল্প বা মাটির শিল্প
৫. ঘ মাটির কাজ
৬. খশিম ও কাঁঠাল গাছের বাকল থেকে
৭. খটেরাকোটা
৮) গ মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি
৯) ঘ বৈশাখী মেলায়
১০) ক এঁটেল
১১) খ শিল্প
১২) গ ঝরঝরে বলে
১৩) খ কুমোরদের কাছে
১৪) গ কাঠের চাকা
১৫) গ উত্তর দিকে
১৬) ঘ কান্তজির মন্দির
১৭) (গ) মৃৎ শিল্প তৈরির কৌশল সম্পর্কে;
১৮) (গ) যারা মাটি দিয়ে জিনিস তৈরি করেন;
১৯) (ঘ) এঁটেল মাটি;
২০) (ক) উপকরণ;
২১) (খ) খুব দ্রুত ভেঙে যাবে।
২২) (গ) সবাই মাটির কাজে ব্যস্ত;
২৩) (খ) মর্যাদা;
২৪) (গ) দিনাজপুরে;
২৫) (ঘ) উত্তর দিকে;
২৬) (গ) মাটি।
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১) মাটির শিল্প বলতে কী বুঝি?
উত্তর : মাটির শিল্প বলতে আমরা বুঝি মাটি দিয়ে তৈরি শিল্পকর্মকে। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। কুমোররা তাঁদের হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এ ধরনের শিল্পকর্ম তৈরি করেন।
২) বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পকর্ম হলো মৃৎশিল্প। এ দেশের কুমোর সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে মৃৎশিল্পের চর্চা করে আসছেন।
৩) শখের হাঁড়ি কী রকম?
উত্তর : শখের হাঁড়ি হলো মাটি দিয়ে তৈরি এক ধরনের হাঁড়ি। এই হাঁড়িতে অপূর্ব সুন্দর সব কাজ করা থাকে। শখ করে পছন্দের জিনিস এ হাঁড়িতে রাখা হয় বলে এর নাম শখের হাঁড়ি।
৪) বৈশাখী মেলায় কী কী পাওয়া যায়?
উত্তর : বৈশাখী মেলায় বিচিত্র সব জিনিস পাওয়া যায়। বাঁশের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- কুলো, ডালা, ঝুড়ি, চালুন, মাছ ধরার চাঁই ইত্যাদি মেলে বৈশাখী মেলায়। মাটির তৈরি খেলনা, পুতুল ও বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্রও পাওয়া যায় এ মেলায়। এ ছাড়া পাওয়া যায় বাঙি, তরমুজ, মুড়ি-মুড়কি, জিলাপি, বাতাসা ইত্যাদি মজার মজার খাবার।
৫) মৃৎশিল্পের প্রধান উপাদান কী?
উত্তর : মৃৎশিল্পের প্রধান উপাদান হলো মাটি।
৬) কয়েকটি মৃৎশিল্পের নাম বলি।
উত্তর : আমাদের দেশের কুমোররা নানা ধরনের মৃৎশিল্প তৈরি করেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মাটির হাঁড়ি, কলস, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির ছাঁচ, নানা ধরনের খেলনা, টেরাকোটা ইত্যাদি।
৭) টেরাকোটা কী?
উত্তর : টেরাকোটা একটি ল্যাটিন শব্দ। ‘টেরা’ অর্থ মাটি, আর ‘কোটা’ অর্থ হলো পোড়ানো। পোড়ামাটির তৈরি মানুষের ব্যবহারের সামগ্রীগুলো টেরাকোটা হিসেবে পরিচিত। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে এ শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়। টেরাকোটা বাংলাদেশের প্রাচীন মৃৎশিল্প।
৮) বাংলাদেশের কোথায় পোড়ামাটির প্রাচীন শিল্প দেখতে পাওয়া যায়? [প্রা.শি. স. প.- ’১৩]
উত্তর : বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পোড়ামাটির প্রাচীন শিল্প দেখতে পাওয়া যায়। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুরের সোমপুর বিহার ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে টেরাকোটার কাজ রয়েছে।
৯) মাটির শিল্প কেন আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়?
উত্তর : আমাদের কুমোর সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে এ দেশের প্রাচীনতম শিল্পটিকে বহন করে চলেছেন। মাটির তৈরি নানা শিল্পকর্মে আমাদের দেশের ঐতিহ্যের ছাপ লক্ষ করা যায়। পোড়ামাটির শিল্প বা টেরাকোটাগুলোতেও দেখা যায় অপূর্ব সুন্দর কারুকার্য। এ দেশের মানুষের মন যে শিল্পীর মন আমাদের মৃৎশিল্প সে পরিচয় বহন করে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতেও দেখা যায় মৃৎশিল্পের চমৎকার সব নিদর্শন। এগুলো আমাদের সভ্যতার ইতিহাসকেই তুলে ধরে। মৃৎশিল্প তাই আমাদের ঐতিহ্য ও গর্বের বিষয়।
১০) ‘মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি’- প্রচলিত এই কথাটি দিয়ে কী বোঝানো হয়?
উত্তর : মামার বাড়ি সবার কাছেই স্বপ্নময় একটি জায়গা। মামার বাড়িতে আদর, ভালোবাসা আর আপ্যায়নের মাত্রা অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে বেশি হয়। এ বাড়ির লোকজনের কাছে আমাদের আবদারের পরিমাণও হয় বেশি। ইচ্ছেমতো যা খুশি করা যায়। শাসন-বারণের ভয় থাকে না। মামার বাড়িতে কাটানো পুরোটা সময়ই আনন্দে ভরপুর থাকে বলে ‘মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি’- কথাটি বলা হয়।
১১) টেপা পুতুল বলতে কী বোঝ?
উত্তর : আমাদের কুমোররা নরম এঁটেল মাটি হাত দিয়ে টিপে টিপে নানা ধরনের ও নানা আকারের পুতুল তৈরি করেন। টিপে টিপে তৈরি করা হয় বলে এগুলোর নাম টেপা পুতুল।
১২) মাটির শিল্পকর্ম তৈরি করতে কী কী প্রয়োজন?
উত্তর : মাটির শিল্পকর্ম তৈরি করতে প্রয়োজন পরিষ্কার এঁটেল মাটি, কাঠের চাকা এবং আরও কিছু ছোটখাটো যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম। কুমোররা কাঠের চাকায় মাটির তাল লাগিয়ে তাদের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মাটির জিনিসপত্র তৈরি করেন।
১৩) নকশা করার কাজে ব্যবহৃত রংগুলো কুমোররা কীভাবে সংগ্রহ করেন?
উত্তর : নকশা করার কাজে ব্যবহৃত রংগুলো কুমোররা শিম, সেগুন পাতার রস, কাঁঠালগাছের বাকল ইত্যাদি থেকে তৈরি করেন। তাছাড়া বাজার থেকে কিনে আনা রংও ব্যবহার করা হয় এ কাজে।
১৪) আনন্দপুর গ্রামে কয় ঘর কুমোরের বাস?
উত্তর : আনন্দপুর গ্রামে আট-দশ ঘর কুমোরের বাস।
১৫) আনন্দপুর গ্রামের কুমোরপাড়ার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর : আনন্দপুর গ্রামের উত্তর দিকে আট দশ ঘর কুমোরের বাস। কুমোরপাড়ায় ছোট-বড় সকলেই নানা রকম মাটির জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করে। কেউ মাটির তাল চাক করে সাজিয়ে রাখে, কেউ চাকায় মাটি লাগিয়ে নানা আকারের পাত্র বানায়। কেউ কেউ পাত্রগুলোকে রোদে শুকোতে দেয়। পাত্রগুলোকে পরে মাটির চুলায় পোড়ানো হয়।
১৬) মামার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে কী কী থাকে?
উত্তর : মামার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকে ছবি আঁকার নানা জিনিস। আর থাকে একটা বাঁশি।
১৭) পুতুলের পাশে ঘোলা চোখে কী তাকিয়ে ছিল?
উত্তর : পুতুলের পাশে ঘোলা চোখে তাকিয়ে ছিল মাটির তৈরি একটা চকচকে রুপালি ইলিশ।
১৮) মৃৎশিল্পের জন্য কেমন মাটি প্রয়োজন? কেন প্রয়োজন?
উত্তর : মৃৎশিল্পের জন্য পরিষ্কার এঁটেল মাটি প্রয়োজন। এ মাটি আঠালো হওয়ায় সহজেই আকৃতি দেওয়া যায়। যা অন্য মাটি দিয়ে করা যায় না।
১৯) মৃৎশিল্প কাকে বলে?
উত্তর : মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে মৃৎশিল্পকে বলে।
২০) মৃৎশিল্পের জন্য কোন সরঞ্জামটি সবার আগে প্রয়োজন?
উত্তর : মৃৎশিল্পের জন্য সবার আগে প্রয়োজন একটা কাঠের চাকা।
২১) দোঁআশ ও বেলে মাটি দিয়ে মৃৎশিল্পের কাজ হয় না কেন?
উত্তর : মৃৎশিল্পের জন্য প্রয়োজন আঠালো মাটি। কিন্তু দোঁআশ মাটি খুব একটা আঠালো নয়। আর বেলে মাটি ঝরঝরে। তাই এগুলো দিয়ে মৃৎশিল্পের কাজ হয় না।
২২) মৃৎশিল্পের চর্চায় কাঠের চাকা কীভাবে কাজে লাগে?
উত্তর : মৃৎশিল্পের চর্চায় কাঠের চাকা সবচেয়ে জরুরি উপাদান। এই চাকায় প্রথমে নরম মাটির তাল লাগানো হয়। তারপর কুমোররা চাকাটি জোরে ঘোরান। আর হাত দিয়ে ধরেন মাটির তাল। এভাবে চাকার সাহায্যে তাঁরা নানা আকারের মাটির জিনিস তৈরি করেন।
২৩) আজকাল কী কাজে নকশা করা মাটির ফলক ব্যবহার করা হচ্ছে?
উত্তর : আজকাল সরকারি-বেসরকারি ভবনে সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজে নকশা করা মাটির ফলক ব্যবহৃত হচ্ছে।
২৪) কুমোরপাড়ার লোকদের কাজ সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ?
উত্তর : কুমোরপাড়ার লোকদের কেউ মাটির তাল চাক করে সাজিয়ে রাখছেন। কেউ-বা কাঠের চাকায় মাটি লাগিয়ে নানা আকারের পাত্র বানাচ্ছেন।
২৫) পোড়ামাটির এই ফলক বাংলার প্রাচীন মৃৎশিল্পÑ কথাটি বুঝিয়ে লেখ।?
উত্তর : এদেশে পোড়ামাটির ফলক বা টেরাকোটা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে হাজার বছর আগে। নানা ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে পাওয়া গেছে টেরাকোটার কাজ। তাই একে বাংলার প্রাচীন মৃৎশিল্প বলা হয়েছে।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
য় অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্পের প্রধান উপাদান হলো মাটি। এঁটেল মাটিই এ শিল্পের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এদেশের কুমোররা যুগ যুগ ধরে এই শিল্পের সাথে যুক্ত। হাতের নৈপুণ্য আর কারিগরি জ্ঞানের মাধ্যমে খুব সহজেই তাঁরা নানা আকারের মাটির জিনিস তৈরি করেন। এসব কাজে তাঁরা ব্যবহার করেন বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
তাঁত হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র, যা দিয়ে তুলা বা তুলা হতে উৎপন্ন সুতার মাধ্যমে কাপড় বানানো যায়। সাধারণত তাঁত নামক যন্ত্রটিতে সুতা কুণ্ডলী আকারে টানটান করে ঢুকিয়ে দেওয়া থাকে। যখন তাঁত চালু করা হয় তখন নির্দিষ্ট সাজ অনুসারে সুতা টেনে নিয়ে সেলাই করা হয়। তাঁতে কাপড় বোনা যার পেশা সে হলো তন্তুবায় বা তাঁতি। তাঁতশিল্পের ইতিহাস থেকে জানা যায়, আদি বসাক সম্প্রদায়ের তাঁতিরাই আদিকাল থেকে তন্তুবায়ী গোত্রের লোক। এদেরকে এক শ্রেণির যাযাবর বলা চলে। শুরুতে এরা সিন্ধু অববাহিকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে এসে তাঁতের কাজ শুরু করে। কিন্তু সেখানকার আবহাওয়ায় শাড়ির মান ভালো না হওয়ায় চলে আসে বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে। পরবর্তীকালে তারা নানা অংশে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, ঢাকার ধামরাই ইত্যাদি এলাকায়। বাংলাদেশের মণিপুরী সম্প্রদায়ের তাঁতশিল্পের বেশ সুনাম রয়েছে। নিজেদের বস্ত্রের চাহিদা মেটাতে এরা দীর্ঘকাল ধরে তাঁতশিল্পের সাথে জড়িত। শাড়ি, ওড়না, তোয়ালে, গামছাসহ নানা রকম শৌখিন বস্ত্র তৈরি করে মণিপুরীরা। বর্তমানে তাদের তৈরি তাঁতের নানা জিনিসপত্র বাঙালি সমাজে বেশ জনপ্রিয়।
য় সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছেÑ
(ক) তাঁতিদের জীবন যাপনের কথা
(খ) তাঁতে তৈরি জিনিসপত্র সম্পর্কে
(গ) বিভিন্ন আকারের তাঁত যন্ত্রের কথা
(ঘ) তাঁতশিল্পের পরিচয় সম্পর্কে
২) মুর্শিদাবাদ থেকে তাঁতিদের এদেশে আসার কারণ কী?
(ক) যুদ্ধ শুরু হওয়া
(খ) প্রতিকূল আবহাওয়া
(গ) ঠিকঠাক দাম না পাওয়া
(ঘ) সুতার দাম বেড়ে যাওয়া
৩) মণিপুরীরা দীর্ঘদিন ধরে মূলত কেন তাঁতে কাপড় বুনে আসছেন?
(ক) ব্যবসার জন্য
(খ) নিজস্ব প্রয়োজন মেটাতে
(গ) বাঙালিদের প্রয়োজন মেটাতে
(ঘ) এটি তাঁদের আদি পেশা বলে
৪) ‘সুনাম’ শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?
(ক) কুনাম (খ) দুর্নাম
(গ) কুখ্যাত (ঘ) আনাম
৫) ‘আদি বসাক সম্প্রদায়’- এখানে ‘আদি’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছেÑ
(ক) নতুনত্ব বোঝাতে (খ) প্রাচীনত্ব বোঝাতে
(গ) কর্মদক্ষতা বোঝাতে (ঘ) বিশেষত্ব বোঝাতে
উত্তর : ১) (ঘ) তাঁতশিল্পের পরিচয় সম্পর্কে; ২) (খ) প্রতিকূল আবহাওয়া; ৩) (খ) নিজস্ব প্রয়োজন মেটাতে; ৪) (খ) দুর্নাম; ৫) (খ) প্রাচীনত্ব বোঝাতে।
য় নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
যাযাবর যারা এক স্থানে বেশিদিন থাকে না
বস্ত্র পরার কাপড়
চাহিদা প্রয়োজন
উৎপন্ন তৈরি হওয়া
গোত্র বংশ
কুণ্ডলী গোলাকারে প্যাঁচানো অবস্থা
ক) কুকুরটি পাকিয়ে ঘুমিয়ে আছে।
খ) দুঃখী লোকটির শীতের নেই।
গ) বেদেরা ধরনের মানুষ।
ঘ) আখ থেকে চিনি হয়।
ঙ) দেশের মিটিয়ে চিংড়ি বিদেশে রফতানি করা হয়।
উত্তর : ক) কুণ্ডলী; খ) বস্ত্র; গ) যাযাবর; ঘ) উৎপন্ন; ঙ) চাহিদা।
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) মণিপুরীদের তাঁতশিল্পের চর্চা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : মণিপুরীরা দীর্ঘকাল ধরেই তাঁতশিল্পের চর্চা করে আসছেন। অতীতে মণিপুরীরা নিজেদের বস্ত্রের চাহিদা মেটাতে তাঁতে কাপড় বুনতেন। বর্তমানে মণিপুরীদের তাঁতে তৈরি নানা জিনিস বাঙালি সমাজেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মণিপুরীদের তাঁতশিল্প অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। মণিপুরীরা শাড়ি, ওড়না, তোয়ালে, গামছাসহ বিভিন্ন শৌখিন পোশাক-পরিচ্ছদ তৈরি করেন।
খ) পাঁচটি বাক্যে বসাক সম্প্রদায়ের পরিচয় তুলে ধর।
উত্তর : নিচে পাঁচটি বাক্যে বসাক সম্প্রদায়ের পরিচয় তুলে ধরা হলো-
(১) বসাক সম্প্রদায়ের লোকজন তাঁতশিল্পের প্রাচীন ধারক ও বাহক।
(২) এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা সিন্ধু অববাহিকা থেকে মুর্শিদাবাদে এসে তাঁতের চর্চা শুরু করেছিলেন।
(৩) কাজের সুবিধার্থে মুর্শিদাবাদ থেকে একসময় তাঁরা বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে চলে আসেন।
(৪) বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে তাঁদেরকে যাযাবর শ্রেণির লোক বলা যায়।
(৫) তাঁদের তৈরি করা তাঁত শিল্পজাত পণ্যসামগ্রী খুবই উন্নত মানের হয়।
গ) বসাক সম্প্রদায়কে যাযাবর শ্রেণির বলার কারণ তিনটি বাক্যে লেখ। তাঁতে তৈরি হয় এমন দুটি বস্ত্রের নাম লেখ।
উত্তর : বসাক সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রথমে ছিলেন সিন্ধু অববাহিকা অঞ্চলে। সেখান থেকে তাঁরা প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েন। বারবার এমন স্থান পরিবর্তনের কারণেই তাঁদেরকে যাযাবর শ্রেণির বলা হয়েছে। তাঁতে তৈরি হয় এমন দুটি বস্ত্রের নাম হলো- শাড়ি ও লুঙ্গি।
ঘ) তাঁত কী? এর সাহায্যে কীভাবে কাপড় তৈরি করা হয়?
উত্তর : যে যন্ত্রের সাহায্যে তুলা বা তুলা থেকে উৎপাদিত সুতার মাধ্যমে কাপড় বানানো যায় সে যন্ত্রকে তাঁত বলে।তাঁত যন্ত্রের সুতা কুণ্ডলী আকারে টানটান করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তারপর নির্দিষ্ট সাজ অনুসারে সেলাই করে কাপড় তৈরি করা হয়।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
দ্ধ, স্ত, ন্ত্র, ল্প, শ্র, ন্দ ম্ব, শ্ব।
উত্তর :
দ্ধ = দ + ধ বিশুদ্ধ
বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত।
স্ত = স + ত ব্যস্ত
বাবা কাজে ব্যস্ত।
ন্ত্র = ন + ত + র-ফলা ( ্র ) – যন্ত্রণা
আমার পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে।
ল্প = ল + প অল্প
সে অল্প খাবার খেল।
শ্র = শ + র-ফলা ( ্র ) শ্রমিক
শ্রমিকরা মাটি কাটছে।
ন্দ = ন + দ মন্দ
মন্দ কাজ করব না।
ম্ব = ম + ব কম্বল
– শীতের দিনে কম্বলে আরাম লাগে।
শ্ব = শ + ব-ফলা ( ^ ) আশ্বিন
– ভাদ্র ও আশ্বিন মিলে হয় শরৎকাল।
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।
ন্দ, ট্ট, ম্প্র, ষ্ক, জ্ঞ।
উত্তর :
ন্দ = ন + দ বন্দর
– চাঁদপুর নদীবন্দরের জন্য বিখ্যাত।
ট্ট = ট + ট হট্টগোল
– ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে হট্টগোল করছে।
ম্প্র = ম + প + র-ফলা ( ্র ) সম্প্রীতি
– সব ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি প্রয়োজন।
ষ্ক = ষ + ক শুষ্ক
– শুষ্ক তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছে নাও।
জ্ঞ = জ + ঞ অজ্ঞতা
– অজ্ঞতার কারণে অনেক বিপদ হয়।
বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন
য় সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
আজকাল কি পোড়ামাটির এই শিল্পচর্চা হয় না মামার কাছে জানতে চাইলাম আমরা মামা বললেন আজকাল ওরকম টেরাকোটা হচ্ছে না বটে তবে পোড়ামাটির নকশার কদর বেড়েছে
উত্তর : আজকাল কি পোড়ামাটির এই শিল্পচর্চা হয় না? মামার কাছে জানতে চাইলাম আমরা। মামা বললেন, আজকাল ওরকম টেরাকোটা হচ্ছে না বটে, তবে পোড়ামাটির নকশার কদর বেড়েছে।
য় সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
মামা বললেন এটা শখের হাঁড়ি শখ করে পছন্দের জিনিস এই সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয় তাই এর নাম শখের হাঁড়ি তাছাড়া শখের যে কোনো জিনিসই সুন্দর
উত্তর : মামা বললেন, এটা শখের হাঁড়ি। শখ করে পছন্দের জিনিস এই সুন্দর হাঁড়ির রাখা হয়, তাই এর নাম শখের হাঁড়ি তা ছাড়া শখের যে কোনো জিনিসই তো সুন্দর।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
য় এককথায় প্রকাশ কর।
ক) মাটির তৈরি শিল্পকর্ম। খ) পূর্বে ঘটেনি এমন।
গ) মাটি দিয়ে যারা পাত্র, পুতুল ইত্যাদি তৈরি করেন। ঘ) রেখা দিয়ে আঁকা ছবি।
ঙ) কারিগরের কাজ বা পেশা।
উত্তর : ক) মৃৎশিল্প; খ) অপূর্ব; গ) কুমোর; ঘ) নকশা; ঙ) কারিগরি।
য় ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
বানাইতেছেন, পৌঁছাইতে, পাইলাম, চাহিয়া, কিনিলাম, বুঝাইয়া, কহিলেন, দেখিতেছ, শুকাইতে।
উত্তর : সাধুরূপ চলিত রূপ
বানাইতেছেন বানাচ্ছেন
পৌঁছাইতে পৌঁছতে
পাইলাম পেলাম
চাহিয়া চেয়ে
কিনিলাম কিনলাম
বুঝাইয়া বুঝিয়ে
কহিলেন বললেন
দেখিতেছ দেখছ
শুকাইতে শুকোতে
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
য় নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
খুশি, দেরি, ঘোলা, চকচকে, নরম, পরিষ্কার, পুরনো, প্রাচীন।
উত্তর : মূলশব্দ বিপরীত শব্দ
খুশি অখুশি
দেরি শীঘ্র
ঘোলা স্বচ্ছ
চকচকে বিবর্ণ
নরম শক্ত
পরিষ্কার অপরিষ্কার/নোংরা
পুরনো নতুন
প্রাচীন আধুনিক
য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
ঘোড়া, চোখ, আনন্দ, হাতি, নিদর্শন।
উত্তর :
মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
ঘোড়া Ñ অশ্ব, বাজী।
চোখ Ñ নয়ন, লোচন।
আনন্দ Ñ খুশি, আহ্লাদ।
হাতি Ñ গজ, ঐরাবত।
নিদর্শন Ñ উদাহরণ, চিহ্ন।