পঞ্চম শ্রেণী বাংলা ৯ম অধ্যায় শব্দদূষণ

শব্দদূষণ

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

য়    সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।

১)   পল্লিতে কুকুরের দল কখন ডাকে?

      ক   সারাদিন   খ    সারারাত  

      গ   খুব ভোরে ঘ    নিশি রাতে

২)   পাখিদের ডাকাডাকির আওয়াজকে কী বলে?   

      ক   হাঁকাহাঁকি  খ    কিচিরমিচির

      গ   হইচই ঘ    হাঁকডাক

৩)   পল্লিতে কার গান শোনা যায়?          

      ক   গরুর খ    ফেরিঅলার

      গ   পাতি কাকের    ঘ    ঘুঘুর

৪)   শহরে ঝাঁকে ঝাঁকে কী ডাকে?           

      ক   মোরগ    খ    পাতিকাক 

      গ   ঘুঘু  ঘ    হাঁস

৫)   কোনটি শহরের জীবন-জ্বালা?

      ক   কুকুরের চিৎকার খ    ফেরিঅলার হাঁক

      গ   পাতিকাকের ডাক ঘ    শব্দদূষণ

৬)   ইশকুল মাঠে কারা হইচই করে?         

      ক   ফেরিঅলারা খ    ছোটরা   

      গ   পাতি কাকেরা   ঘ    টুনটুনিরা

৭)   দোয়েল চড়–ইয়ের ডাকাডাকিতে কী হয়?      

      ক   মনের শান্তি নষ্ট হয়  

      খ    শব্দদূষণ হয়    

      গ   মন ভরে যায়   

      ঘ    কান ঝালাপালা হয়

৮)   রাস্তায় বা বাড়িতে ঘুরে যারা জিনিসপত্র বিক্রি

      করেন তাঁদের কী বলে?                  

      ক   ডুবুরি খ    ফেরিঅলা 

      গ   মুচি  ঘ    বাড়িঅলা

৯)   গাড়ির হর্ন বাজা; সিডি, টিভি ইত্যাদি চলার ফলে

      কী সৃষ্টি হয়?                

      ক   পানিদূষণ খ    বায়ুদূষণ  

            গ   শব্দদূষণ            ঘ    মাটিদূষণ

১০)  ‘মুশকিল’ শব্দের অর্থÑ

      (ক)  সমাধান    (খ)  সহজ

      (গ)  সমস্যা    (ঘ)  সুবিধা

১১)  পাতিকাকের ডাক কেমন?

      (ক)  মিষ্টি (খ)  ঘুঘুর ডাকের মতো

      (গ)  সুরেলা     (ঘ)  কর্কশ

১২)  ‘নিশিরাত’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক) গভীর রাত্রি  (খ)  মধ্য দুপুর

      (গ)  খুব সকালে (ঘ)  শেষ বিকেল

১৩)  ফেরিঅলার হাঁকের ফলে কী সৃষ্টি হয়?

      (ক)  মধুর কলতান    (খ)  কিচিরমিচির

      (গ)  বায়ুদূষণ   (ঘ)  শব্দদূষণ

১৪)  কবিতাংশের মূলভাব কোনটি?

      (ক)  নানা রকম পাখির পরিচিতি

      (খ)  পশু-পাখিদের উপকারিতা

      (গ)  শহরের যানবাহনের সমস্যা

      (ঘ)  শহর ও গ্রামের জীবনের পার্থক্য

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর

১)   ঘ   নিশি রাতে

২)   খ    কিচিরমিচির

৩)   ঘ    ঘুঘুর

৪)   খ    পাতিকাক 

৫)   ঘ    শব্দদূষণ

৬)   খ    ছোটরা   

৭)   গ   মন ভরে যায়   

৮)   খ    ফেরিঅলা 

৯)   গ   শব্দদূষণ  

১০) (গ) সমস্যা;

১১) (ঘ) কর্কশ;

১২) (ক) গভীর রাত্রি;

১৩) (ঘ) শব্দদূষণ; 

১৪) (ঘ) শহর ও গ্রামের জীবনের পার্থক্য।

পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

১)   কবিতায় কোন কোন পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে?

      উত্তর : কবিতায় যেসব পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো- গরু, হাঁস, কবুতর, মোরগ, কুকুর, দোয়েল, চড়ুই, ঘুঘু, টুনটুনি ও পাতি কাক।

২)   শহরে ঘুমানোয় অসুবিধা কেন?

      উত্তর : শহরে নানা রকম শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। পাতি কাকের ডাক, হর্নের শব্দ, সিডি, টিভি, টেলিফোন, দরজার বেল ইত্যাদির আওয়াজ, আর ফেরিঅলার হাঁকডাকে শব্দদূষণ ঘটে। ফলে ঠিকমতো ঘুমানো যায় না।

৩)   কুকুরের ডাক আর পাখির ডাকের মধ্যে কোনটি তোমার ভালো লাগে? কেন?

      উত্তর : কুকুরের ডাক ও পাখির ডাকের মধ্যে পাখির ডাক আমার ভালো লাগে। এর কারণÑ

      কুকুরের উচ্চঃস্বরে ঘেউ ঘেউ ডাক শব্দদূষণের সৃষ্টি করে। এ ডাক শুনলে মনে অশান্তি সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে পাখির ডাক খুবই মধুর। কোনো কোনো পাখির ডাক খুবই সুরেলা। শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়।

৪)   গ্রামের মানুষ কোন পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠেন?

উত্তর : গ্রামের মানুষ সাধারণত মোরগের ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠেন। এছাড়া দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনি ইত্যাদি পাখির কিচিরমিচির শব্দেও তাঁদের ঘুম ভাঙে।

৫)   কবিতায় উল্লিখিত গ্রামের গৃহপালিত পশু ও পাখিদের একটি তালিকা তৈরি কর।

উত্তর : কবিতায় উল্লিখিত গৃহপালিত পশু ও পাখিদের তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো :

গৃহপালিত পশু  গৃহপালিত পাখি

গরু, কুকুর হাঁস, কবুতর, মোরগ

৬)   নিশিরাতে কারা জোরে ডাকে?

উত্তর : নিশিরাতে কুকুরের দল জোরে ডাকে।

৭)   গ্রামে কোন কোন পাখির কিচিরমিচির শোনা যায়?

উত্তর : গ্রামে দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনি ইত্যাদি পাখির কিচিরমিচির শোনা যায়।

৮)   শহরে ফেরিঅলা কী করেন?

উত্তর : শহরে ফেরিঅলা গলিপথে হেঁটে আর হাঁক দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জিনিসপত্র বিক্রি করেন।

৯)   ফেরিঅলা কাদের বলে?

উত্তর : রাস্তায় বা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে যারা জিনিসপত্র বিক্রি করেন তাঁদের ফেরিঅলা বলে। 

১০)  ‘পল্লির সেই সুরে ভরে যায় মন’Ñবাক্যটিতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : গ্রামে শব্দ অনেক কম। আর সামান্য যা কিছু শব্দ হয় তা করে নানা রকম পশুপাখি। সেই শব্দে সবার মন ভরে যায়। তাই গ্রামে মনের শান্তি বজায় থাকে।

১১)  কোথায় ঘুম দেওয়া মুশকিল?

            উত্তর : শহরে ঘুম দেওয়া মুশকিল।

১২)  গ্রামে কোন কোন পাখির ডাক শোনা যায়?

            উত্তর : গ্রামে দিনভর নানা রকমের পাখির ডাক শোনা যায়। এদের মধ্যে রয়েছেÑ হাঁস, কবুতর, মোরগ, দোয়েল, চড়–ই, ঘুঘু, টুনটুনি ইত্যাদি।

১৩)  শহরের জীবন-জ্বালা কী? পল্লির সাথে শহরের পার্থক্য কোথায়?

            উত্তর : শব্দদূষণ শহরের জীবন-জ্বালা।

            পল্লিতে শব্দদূষণ নেই বলে মনের শান্তি বজায় থাকে। অন্যদিকে শহরে শব্দদূষণের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন

য়    কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।

উত্তর : কবিতাংশে গ্রাম আর শহরের জীবনের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে। গ্রামে সারাদিন নানা রকম পশু আর পাখির ডাকাডাকির শব্দ শোনা যায়। তা শুনে সবার মন ভরে যায়। অন্যদিকে শহরে নানা রকম বিরক্তিকর শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। এতে মনের শান্তি নষ্ট হয়।

পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর নির্দিষ্ট একটা শ্রুতিসীমা রয়েছে। এই সীমা অতিক্রমকারী কোনো শব্দ আমাদের কানে এসে পৌঁছলে আমাদের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বিষয়টিকেই আমরা শব্দদূষণ বলি। আমাদের পরিবেশে যদি অতিরিক্ত বা অবাঞ্ছিত শব্দ থাকে, তখন তাকে শব্দদূষণ বলা হয়। যানবাহন, কলকারখানা, যন্ত্রপাতি, মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি ইত্যাদি কারণে তীব্র শব্দ উৎপন্ন হয়ে শব্দদূষণ ঘটায়। বাড়িতে উচ্চ শব্দে সিডি, টেলিভিশন ইত্যাদি বাজলে শব্দদূষণ হয়। কান যেকোনো শব্দের ব্যাপারে যথেষ্ট সংবেদী। তাই যে তীব্র শব্দ কানের পর্দাতে বেশ জোরে ধাক্কা দেয় তা কানের পর্দাকে নষ্ট করেও দিতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ওপর এর প্রভাব অনেক বেশি। শব্দদূষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য এবং আচার-আচরণ উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত শব্দের কারণে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাভাবিক কার্যকলাপ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শব্দদূষণের ফলে দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ নানা ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। শব্দদূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার জন্য আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। অপ্রয়োজনে গাড়ির হর্ন না বাজানো, বাড়িতে নানা রকম যন্ত্রপাতি জোরে না চালানো, অকারণে হইচই না করা, রাস্তাঘাটে মাইক না বাজানো ইত্যাদির প্রতি মনোযোগী হতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারবে।

য়    সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।

১)   শব্দদূষণ কখন ঘটে?

      (ক)  যখন অপ্রয়োজনীয় ও অনেক বেশি শব্দ সৃষ্টি হয়

      (খ)  যখন খুব কম শব্দ হয়

      (গ)  যখন কোনো শব্দ শোনা যায় না

      (ঘ)  যখন প্রয়োজনীয় ও সীমিত পরিমাণে শব্দ সৃষ্টি হয়

২)   ‘হ্রাস’ শব্দটির বিপরীত শব্দ কোনটি?

      (ক)  কম  (খ)  বৃদ্ধি

      (গ)  উঁচু  (ঘ)  নিচু

৩)   অনুচ্ছেদে মূলত কী প্রকাশিত হয়েছে?

      (ক)  শব্দদূষণের উপকারী দিক

      (খ)  শব্দদূষণের সমাধান

      (গ)  শব্দদূষণের অপকারিতা

      (ঘ)  শব্দদূষণের কারণ

৪)   শব্দদূষণ কমানোর জন্য সবচেয়ে জরুরি কোনটি?

      (ক)  গাড়ি চলা বন্ধ করা

      (খ)  জনসচেতনতা সৃষ্টি

      (গ)  কলকারখানা বন্ধ করা

      (ঘ)  রাস্তায় বের না হওয়া

৫)   আমরা বাড়িতে উচ্চশব্দে গান বাজাব না। কেননা এতেÑ

      (ক)  গান ঠিকমতো বোঝা যায় না

      (খ)  দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়

      (গ)  পরিবেশ দূষিত হয়

      (ঘ)  সময় নষ্ট হয়

      উত্তর : ১) (ক) যখন অপ্রয়োজনীয় ও অনেক বেশি শব্দ সৃষ্টি হয়; ২) (খ) বৃদ্ধি; ৩) (গ) শব্দদূষণের অপকারিতা; ৪) (খ) জনসচেতনতা সৃষ্টি; ৫) (গ) পরিবেশ দূষিত হয়।

য়    নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।

শব্দ  অর্থ

নির্দিষ্ট নির্ধারিত।

অবাঞ্ছিত   অপ্রিয়, অনাকাক্সিক্ষত।

সংবেদী    অনুভূতিপ্রবণ।

ব্যাঘাত    বাধা, বিঘœ।

উগ্র  অসহিষ্ণু।

উৎপন্ন    সৃষ্ট, উৎপাদিত।

ক)  বৃষ্টি আসায় খেলায়  ঘটল।

খ)   অনুষ্ঠানের জন্য একটি দিন  করা হয়েছে।

গ)    আচরণকারীদের সবাই অপছন্দ করে।

ঘ)   এ বছর দেশে প্রচুর ধান  হয়েছে।

ঙ)   কিছু  আসবাবের কারণে ঘরটির সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে।

      উত্তর : ক) ব্যাঘাত; খ) নির্দিষ্ট;  গ) উগ্র;  ঘ) উৎপন্ন;   ঙ) অবাঞ্ছিত।

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

ক)  শব্দদূষণ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : শ্রুতিসীমার চেয়ে উচ্চ মাত্রার শব্দ উৎপন্ন হলে তা আমাদের শ্রবণশক্তির ক্ষতি করতে পারে। এই বিষয়টির নামই শব্দদূষণ। পরিবেশে অতিরিক্ত বা অবাঞ্ছিত শব্দ থাকলে শব্দদূষণ সৃষ্টি হয়।

খ)   কীভাবে শব্দদূষণ ঘটে? পাঁচটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : যেভাবে শব্দদূষণ ঘটে তা নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো- 

১)   পরিবেশে যখন প্রয়োজনীয় শব্দের বাইরে অনেক উচ্চ মাত্রার শব্দের উৎপত্তি হয় তখনই শব্দদূষণ ঘটে।

২)   মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি শব্দদূষণ ঘটাতে পারে।

৩)   শব্দদূষণের জন্য মূলত যানবাহন, কলকারখানা, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন বিকট শব্দই দায়ী।

৪)   নানা ধরনের পশুপাখির বিরক্তিকর ডাক শব্দদূষণ ঘটায়।

৫)   সিডি, টেলিভিশন, রেডিও, দরজার বেল ইত্যাদির উচ্চ আওয়াজে বাড়িতে শব্দদূষণ ঘটে।

গ)   শব্দদূষণের ফলে কী কী সমস্যা হতে পারে? পাঁচটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : শব্দদূষণের ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে তা নিচে উল্লেখ করা হলো :

১)   শব্দদূষণের ফলে আমাদের কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২)   এতে শ্রুতিশক্তি কমে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

৩)   বিশেষত শিশুদের ওপর এর প্রভাব মারাত্মক।

৪)   শব্দদূষণের ফলে মানুষের দুশ্চিন্তা, উচ্চ রক্তচাপ, ঘুমের ব্যাঘাতসহ নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫)   মানসিক জটিলতা ও নানা আচরণগত সমস্যার উৎপত্তি হতে পারে।

ঘ)   শব্দদূষণ নিরসনে তুমি কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পার তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : শব্দদূষণ নিরসনে আমারও অনেক কিছু করার আছে। যেমন-

১)   বাড়িতে টিভি, সিডি, কম্পিউটার ইত্যাদি উচ্চশব্দে চালাব না।

২)   বাড়িতে বা স্কুলে অকারণে হইচই করব না।

৩)   সাইকেল চালানোর সময় অপ্রয়োজনে হর্ন বাজাব না।

৪)   মাইক ব্যবহার করে শব্দদূষণ ঘটাব না।

৫)   শব্দদূষণ বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ      করব।

যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ

য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ

      ল্ল, জ্ব, ব্দ, ন্ত, ত্র।

      উত্তর :

      ল্ল   =    ল + ল                  উল্লেখ    

      –     বিজ্ঞপ্তিতে সুমনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

জ্ব   =    জ + ব – ফলা (  ^ )       জ্বর 

      –     সকাল থেকেই জ্বর জ্বর লাগছে।

ব্দ   =    ব + দ                  শতাব্দি   

      –     একশ বছরে হয় এক শতাব্দি।

ন্ত   =    ন + ত                 ঘুমন্ত

      –     ঘুমন্ত শিশুটিকে জাগিও না।

ত্র   =    ত + র-ফলা (  ্র )      পুত্র

  সেলিম চৌধুরী সাহেবের পুত্র।

এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন

য়    ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।

ডাকিয়া, বাজিতেছে, শুনিলাম, ঘুমাইতেছে, ঘুরিয়া।

      উত্তর : সাধুরূপ  চলিত রূপ

      ডাকিয়া        ডেকে

      বাজিতেছে     বাজছে

      শুনিলাম       শুনলাম

      ঘুমাইতেছে     ঘুমুচ্ছে

ঘুরিয়া             ঘুরে

বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন

য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।

      দিন, রাত, ঘুম, গাছ, কবুতর।

      উত্তর :    মূল শব্দ   সমার্থক শব্দ

      দিন  Ñ     দিবা, দিবস।

      রাত  Ñ     নিশি, যামিনী।

      ঘুম  Ñ     নিদ্রা, তন্দ্রা।

      গাছ  Ñ     তরু, উদ্ভিদ।

                কবুতর        Ñ পায়রা, কপোত।

য়    নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।

      দিন, ভোর, পল্লি, ঘুম, ছোট, গলিপথ।

      উত্তর :

মূল শব্দ        বিপরীত শব্দ    মূল শব্দ        বিপরীত শব্দ

দিন  Ñ     রাত  গলিপথ    Ñ     রাজপথ

ভোর Ñ     সন্ধ্যা ছোট     বড়

পল্লি Ñ     শহর ঘুম  Ñ     জাগরণ

কবিতার চরণ সাজিয়ে লিখন এবং কবিতা, কবির নাম ও প্রশ্নোত্তর লিখন

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

      দরজায় বেল বাজে, কান পেতে শোন।

      ছোটদের হইচই ইশকুল মাঠে।

      ঘুম দেয়া মুশকিল হর্নের হাঁকে।

      সিডি চলে, টিভি চলে, বাজে টেলিফোন

      গলিপথে ফেরিঅলা হাঁকে আর হাঁটে

      শহরের পাতি কাক ডাকে ঝাঁকে ঝাঁকে

      ক)   কবিতার লাইনগুলো পর পর সাজিয়ে লেখ।

      খ)   কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?

      গ)   কবিতাটির কবির নাম কী?

      ঘ)   শহরে ঘরের ভেতর কীভাবে শব্দদূষণ ঘটে?

      উত্তর :

      ক)  কবিতার লাইনগুলো নিচে পর পর সাজিয়ে লেখা হলো-

      শহরের পাতি কাক ডাকে ঝাঁকে ঝাঁকে

      ঘুম দেয়া মুশকিল হর্নের হাঁকে।

      সিডি চলে, টিভি চলে, বাজে টেলিফোন

      দরজায় বেল বাজে, কান পেতে শোন।

      গলিপথে ফেরিঅলা হাঁকে আর হাঁটে

      ছোটদের হইচই ইশকুল মাঠে।

খ)   কবিতাংশটি ‘শব্দদূষণ’ কবিতার অংশ।

গ)   কবিতাটির কবির নাম সুকুমার বড়–য়া। 

ঘ)   শহরে ঘরের ভেতর সিডি, টিভি ইত্যাদি শব্দ করে চলে। টেলিফোন ও দরজার বেল যখন তখন বেজে ওঠে। এভাবেই শহরে ঘরের ভেতর শব্দদূষণ ঘটে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *