SSC-২০২৩ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়- রাষ্ট্র, নাগরিকতা ও আইন সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ষষ্ঠ অধ্যায়
রাষ্ট্র, নাগরিকতা ও আইন
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
রাষ্ট্র : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের সকল মানুষ কোনো না কোনো রাষ্ট্রে বসবাস করে। আমাদের এই পৃথিবীতে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০৬টি রাষ্ট্র আছে। প্রতিটি রাষ্ট্রেরই আছে নির্দিষ্ট ভূখণ্ড এবং জনসংখ্যা। এছাড়া ও আছে সরকার এবং রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্থাৎ সার্বভৌমত্ব।
রাষ্ট্রের উপাদান : রাষ্ট্রের ধারণা ব্যাখ্যা করলে আমরা রাষ্ট্রের চারটি উপাদান দেখতে পাই।। যথা : ১. জনসমষ্টি, ২. নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, ৩. সরকার ও ৪. সার্বভৌমত্ব।
রাষ্ট্রের কার্যাবলি : মানুষের প্রয়োজনেই রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে। মানবজীবনের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনই রাষ্ট্রের কাজ। আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলিকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন : অপরিহার্য বা মুখ্য কার্যাবলি এবং কল্যাণমূলক বা ঐচ্ছিক কার্যাবলি।
নাগরিকের ধারণা : আজ থেকে প্রায় ২,৫০০ বছর পূর্বে প্রাচীন গ্রিসে নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণার উদ্ভব হয়। প্রাচীন গ্রিসে তখন নগরকেন্দ্রিক ছোট ছোট রাষ্ট্র ছিল, সেগুলোকে নগর-রাষ্ট্র বলা হতো। এসব নগর-রাষ্ট্রে যারা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করত, তারা নাগরিক হিসেবে পরিচিত ছিল। তাদের ভোটাধিকার ছিল।
নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য : রাষ্ট্রের নিকট নাগরিকের যেমন অধিকার রয়েছে, অনুরূপ রাষ্ট্রের প্রতিও নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। কর্তব্য পালন ব্যতীত শুধু অধিকার ভোগ করা প্রত্যাশিত নয়।
আইনের ধারণা : আইন বলতে সমাজ স্বীকৃত এবং রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত নিয়ম-কানুনকে বোঝায়, যা মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। আইন মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রণয়ন করা হয়। সাধারণত আইনকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন : ১. সরকারি আইন, ২. বেসরকারি আইন ও ৩. আন্তর্জাতিক আইন।
আইনের উৎস : আইনের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হল্যান্ড আইনের ৬টি প্রধান উৎসের কথা উলেস্নখ করেছেন। এগুলো হলো- ১. প্রথা, ২. ধর্ম, ৩. বিচার সংক্রান্ত রায়, ৪. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা, ৫. ন্যায়বোধ ও ৬. আইনসভা।
তথ্য অধিকার আইন : জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রেতথ্য অধিকার আইন একটি যুগান্তকারী আইন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত তথ্য অধিকার আইনটি ৫ এপ্রিল, ২০০৯ (২২ চৈত্র, ১৪১৫) তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে এবং এ আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা হয়।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ রাষ্ট্রের কার্যাবলি
‘ক’ রাষ্ট্রের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি মোবারক হোসেন ‘শ্রমনীতি’ প্রণয়ন, বয়স্কভাতা বৃদ্ধি এবং পেনশন বৃদ্ধির জন্য আইন প্রণয়নে অংশগ্রহণ করেন। ‘ক’ রাষ্ট্রের সরকার ২টি নতুন হাসপাতাল, বিনামূল্যে ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য বই বিতরণ এবং বাল্য বিবাহরোধে আইন প্রণয়ন করেন।
ক. ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র’-উক্তিটি কার?
খ. ‘নাগরিকত্ব’ ধারণাটি কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. জনাব মোবারক হোসেন কর্তৃক শ্রমনীতি প্রণয়ন রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ, তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অনুচ্ছেদের আলোকে ‘ক’ রাষ্ট্রকে কী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলা যায়- উত্তরের সপড়্গে তোমার যুক্তি দাও।
১ নং প্রশ্নোত্তর
ক ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কিছু পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র’ উক্তিটি এরিস্টটলের।
খ নাগরিকত্ব বলতে বোঝায়, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক অধিকার এবং নাগরিক সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধ্য হওয়া। বৃহৎ অর্থে, নাগরিক হচ্ছেন তিনি, যিনি ঐ রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন, রাষ্ট্রের আইন, সংবিধান এবং অন্যান্য নির্দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন।
গ জনাব মোবারক হোসেন কর্তৃক শ্রমনীতি প্রণয়ন হলো রাষ্ট্রের কল্যাণমূলক বা ঐচ্ছিক কাজ। শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য শ্রমনীতিমালা প্রণয়ন, ন্যূনতম সঠিক মজুরি নির্ধারণ, কাজের সময় নির্ধারণ, কাজের পরিবেশ সৃষ্টি, বোনাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শিল্প মালিকগণ বেশি লাভের আশায় শ্রমিকদের কম মজুরিতে নিয়োগ করে বেশি কাজ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সেজন্য শিল্প মালিকদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করাও রাষ্ট্রের কর্তব্য। অনুচ্ছেদে বর্ণিত মোবারক হোসেন ‘ক’ নামক রাষ্ট্রের একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি শ্রমনীতি প্রণয়ন, বয়স্কভাতা বৃদ্ধি এবং পেনশন বৃদ্ধির জন্য আইন প্রণয়নে অংশগ্রহণ করেন। আর শ্রমনীতি প্রণয়ন, বয়স্কভাতা বৃদ্ধি, পেনশন বৃদ্ধি এই কাজগুলো রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কার্যাবলির আওতাভুক্ত। সুতরাং বলা যায়, জনাব মোবারক হোসেন কর্তৃক শ্রমনীতি প্রণয়ন হলো রাষ্ট্রের কল্যাণমূলক বা ঐচ্ছিক কাজ।
ঘ অনুচ্ছেদের আলোকে ‘ক’ রাষ্ট্রকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলা যায়। জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং সমস্ত বিদ্যমান বিভিন্ন বৈষম্য ও কুপ্রথা দূরীকরণে রাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের সুব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, রোগ প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক টিকা প্রদান প্রভৃতি সেবা রাষ্ট্র প্রদান করে। এছাড়া যৌতুক ও বর্ণপ্রথা দূরীকরণ, বাল্যবিবাহরোধে রাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া রাষ্ট্র জনসাধারণের শিক্ষার জন্য বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, নারীশিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা এবং নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করে। উদ্দীপকে জনপ্রতিনিধি মোবারক হোসেন ‘ক’ রাষ্ট্রের জন্য শ্রমনীতি প্রণয়ন, বয়স্কভাতা বৃদ্ধি এবং পেনশন বৃদ্ধির জন্য আইন প্রণয়নে অংশগ্রহণ করেন। ঐ রাষ্ট্রের সরকার ২টি নতুন হাসপাতাল, বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বই বিতরণ এবং বাল্যবিবাহ রোধে আইন প্রণয়ন করেন। এসব কাজ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিলক্ষতি হয়। তাই অনুচ্ছেদের আলোকে ‘ক’ রাষ্ট্রকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলা যায়।
প্রশ্ন- ২ সুশাসনের জন্য আইনের প্রয়োজনীয়তা
জমিলা বেগম তার বিয়ের সময় লিখিত বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য কাবিন নামার কপি আনতে কাজী অফিসে যান। কাজী সাহেব তাকে সহযোগিতা না করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকেন। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে তথ্য না পাওয়ায় তিনি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষরে কাছে আপিল করেন। অবশেষে তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে সফলতা লাভ করেন।
ক. রাষ্ট্রীয় আয়ের প্রধান উৎস কী?
খ. শিক্ষাবিস্তারে রাষ্ট্র অধিক গুরুত্ব প্রদান করে কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. জমিলা বেগম কোন আইনের সহায়তায় তার তথ্য পেলেন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সুশাসনের ক্ষেত্রেজমিলা বেগমের সফলতা আশা ব্যঞ্জক’-মূল্যায়ন কর।
২ নং প্রশ্নোত্তর
ক রাষ্ট্রীয় আয়ের প্রধান উৎস হলো নাগরিকদের প্রদেয় কর ও খাজনা।
খ রাষ্ট্রের জনসাধারণকে শিক্ষতি করে তোলা রাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শিক্ষতি জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ। শিক্ষতি নাগরিক অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতন থাকেন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হন। এজন্য রাষ্ট্র শিক্ষাবিস্তারের প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদান করে।
গ জমিলা বেগম তথ্য অধিকার আইনের সহায়তায় তার তথ্য পেলেন। বাংলাদেশ সরকার ৫ এপ্রিল, ২০০৯ তথ্য অধিকার আইন জারি করে। জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার সুনিশ্চিত করার লড়্গ্েযই এই আইন প্রণীত হয়। এই আইনে বলা হয়েছে- প্রত্যেক নাগরিকের কর্তৃপক্ষরে নিকট হতে তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষও একজন নাগরিককে তথ্য প্রদানে বাধ্য থাকবে।এ আইন অনুসারে তথ্য জানার জন্য লিখিতভাবে বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বা ই-মেইলে আবেদন করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তথ্য প্রদান না করলে তথ্য প্রদানের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ত্রিশ দিনের মধ্যে অনুরোধকারী আপিল করতে পারবেন। আবেদনকারী আপিল কর্তৃপক্ষরে নিকট আইন মোতাবেক সুবিচার না পেলে তথ্য কমিশনের নিকট অভিযোগ পাঠাতে পারবেন। উদ্দীপকে বর্ণিত জমিলা বেগম নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে তথ্য না পেয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষরে কাছে আপিল করেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পান যা তথ্য অধিকার আইনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রপ্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে। কেউ কারও অধিকার ড়্গুণ্ণ করতে পারে না। সাধারণভাবে আইনের অনুশাসন দুইটি ধারণা প্রকাশ করে। যথা : ক. আইনের প্রাধান্য ও খ. আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য। আইনের প্রাধান্য বজায় থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সচরাচর সাহস করে না। আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা তখনই খর্ব হয় যখন আইনের অনুশাসন থাকে না। উদ্দীপকে বর্ণিত জমিলা বেগম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য না পেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষরে কাছে আপিল করেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে সফলতা লাভ করেন। অর্থাৎ আইন জমিলার তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করে। সুতরাং, উপরের আলোচনার পরিপ্রেড়্গেিত বলা যায়, সুশাসনের ক্ষেত্রেজমিলা বেগমের সফলতা আশাব্যঞ্জক- উক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ।
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ সুশাসনের জন্য আইন
জনাব কাসেম এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি বহুদিন ধরে গ্রামের রহিম মিয়ার সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করছেন এবং তাকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। এরূপ পরিস্থিতিতে রহিম মিয়া বিচার চাইলে বিচারক জনাব কাসেমের পক্ষইে রায় দেন।
ক. অধ্যাপক হল্যান্ড কর্তৃক প্রদত্ত আইনের সংজ্ঞাটি লেখ। ১
খ. সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়? ২
গ. অনুচ্ছেদে আইনের অনুশাসনের কোন ধারণাটি ক্ষুণ্ণ হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উক্ত ধারণাটির যথাযথ প্রয়োগের উপরই গণতন্ত্রের সফলতা নির্ভরশীল” বিশেস্নষণ কর। ৪
ক অধ্যাপক হল্যান্ড এর মতে, “আইন হচ্ছে মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের কতগুলো সাধারণ নিয়ম যা সার্বভৌম শক্তি কর্তৃক প্রণীত হয়।”
খ রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসঙ্গতভাবে আবদ্ধ নয়। কেবল জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ও সরকার থাকা সত্ত্বে— একটি দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা না থাকলে তা রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হবে না।
গ অনুচ্ছেদে আইনের অনুশাসনের ‘আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য’ ধারণাটি ক্ষুন্ন হয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম ও বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সকলের জন্য একই আইন প্রযোজ্য। রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা তখনই খর্ব হয় যখন আইনের অনুশাসন থাকে না। আইনের শাসনের অভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সচরাচর নাগরিকদের হয়রানি করে, বিনা অপরাধেও আটক করে। বিচারের রায়ও তার প্রতিকূলে যায়। উপরিউক্ত বক্তব্যের যথার্থতা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে অনুচ্ছেদে উলিস্নখিত জনাব কাসেম ও রহিম মিয়া চরিত্রদ্বয়ের ঘটনাটির মধ্য দিয়ে। অর্থাৎ এখানে আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য ধারণাটি ক্ষুণ্ণ হয়েছে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
ঘ আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য ধারণাটি যথাযথ প্রয়োগের ওপরই গণতন্ত্রের সফলতা নির্ভরশীল। মূলত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে আইনের শাসন কায়েম হয় না। আবার আইনের শাসন কায়েম না হলে তথা সকলের জন্য আইনের সাম্য প্রতিষ্ঠিত না হলে গণতন্ত্রও বিফল হয়। বস্তুত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আইনের দৃষ্টিতে সকলকে সমানভাবে দেখতে হবে। এতে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীন ও রাষ্ট্রপ্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এতে করে জনাব কাসেমের অনুচ্ছেদের মতো কেউ কারও অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে পারবে না। আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হলে অত্যাচার, নিপীড়নের প্রতিকার সহজেই করা যাবে। ফলে নির্যাতিত ও বঞ্চিত শ্রেণি আইনের কাছে আশ্রয় পাবে এবং স্বাধীনভাবে তার মত ব্যক্ত করতে প্রয়াসী হবে। এভাবে আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য ধারণাটি সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হলে সবাই নিজ নিজ স্থান থেকে স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার চর্চা করতে পারবে। আর মত প্রকাশের স্বাধীনতাই যেহেতু গণতন্ত্রের সফলতার মূল ভিত্তি; তাই জোর দিয়েই বলা যায়, আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য ধারণাটির যথাযথ প্রয়োগের ওপরই গণতন্ত্রের সফলতা নির্ভরশীল।
প্রশ্ন- ২ রাষ্ট্রের কার্যাবলি
১ম অংশ : ‘ক’ রাষ্ট্রে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিলে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য চলতি সংসদ অধিবেশনে বিশেষ আইন পাস করার জন্য আকুল আবেদন জানান।
২য় অংশ : ‘ক’ রাষ্ট্রের সরকার দেশের জনগণকে শিক্ষতি করে তোলা, বিনামূল্যে বই বিতরণ ও যৌতুকপ্রথা রোধকল্পে আইন প্রণয়ন করেন।
ক. রাষ্ট্রের সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা কে দিয়েছেন? ১
খ. ‘প্রতিটি সšত্মানই রাষ্ট্রের সšত্মান’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘ক’ রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক বিশেষ আইন পাস করার উদ্যোগ রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ? পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অনুচ্ছেদের ২য় অংশের আলোকে ‘ক’ রাষ্ট্রকে কি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলা যায়? উত্তরের সপড়্গে তোমার যুক্তি দেখাও। ৪
২ নং প্রশ্নোত্তর
ক অধ্যাপক গার্নার রাষ্ট্রের সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন।
খ প্রতিটি সšত্মানই রাষ্ট্রের সšত্মান। বস্তুত প্রতিটি শিশুই রাষ্ট্রের নাগরিক। রাষ্ট্রের পড়্গে পিতামাতা তার অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে। সšত্মান রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষেধক টিকা কর্মসুচি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ পেয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষতি হয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অবদান রাখে। এভাবে প্রতিটি সšত্মানই রাষ্ট্রের সšত্মান উক্তিটি যথার্থ।
গ ‘ক’ রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক বিশেষ আইন পাস করার উদ্যোগ রাষ্ট্রের অপরিহার্য বা মুখ্য কাজ। আধুনিক রাষ্ট্রে আইন প্রণয়ন করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের অপরিহার্য কাজের অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্রীয় আইনসভা বা পার্লামেন্টের মাধ্যমে আইন প্রণীত হয়। মূলত নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার নিশ্চয়তা থেকে রাষ্ট্র নামক সংগঠনের সৃষ্টি হয়। জনসাধারণকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, সমাজে শান্তি ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান করা এবং সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, অনুচ্ছেদের ‘ক’ রাষ্ট্রের কাজটি হলো রাষ্ট্রের অপরিহার্যও মুখ্য কাজের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ হ্যাঁ, অনুচ্ছেদের ২য় অংশের আলোকে ‘ক’ রাষ্ট্রকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলা যায় বলে আমি মনে করি। বর্তমানে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের দাবি করে। রাষ্ট্রকে অবশ্যই সমাজের সামগ্রিক উন্নতির জন্য, নাগরিকদের নৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশে কল্যাণমূলক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। জনকল্যাণ ও উন্নয়নে রাষ্ট্রের কার্যাবলি বর্তমানে অনেক বেশি বি¯ত্মৃত। এসব কাজ রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কাজ হলেও, এ ধরনের কার্যাবলি রাষ্ট্রকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। যেমন : রাষ্ট্রের জন্য জনসাধারণকে শিক্ষতি করে তোলা, জনসাধারণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যবস্থা করা, অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো, জেন্ডারসমতা বিধান করা, সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য ও কুপ্রথা দূরীকরণে সামাজিক ভূমিকা পালন করা ইত্যাদি। অনুচ্ছেদে ২য় অংশে ‘ক’ রাষ্ট্রের সরকারকে দেশের জনগণের উন্নয়নের নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যাবলি পরিচালনা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি ‘ক’ রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কার্যাবলির প্রতি সেদেশের সরকারের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। এ প্রেড়্গেিত বলা যায়, ‘ক’ রাষ্ট্র জনগণের কল্যাণে নিশ্চিতরূপেই আন্তরিক। সুতরাং ‘ক’ রাষ্ট্র একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র।
প্রশ্ন- ৩ রাষ্ট্রের উপাদান
ক. রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন কে? ১
খ. আইনের উৎস হিসেবে ধর্মের প্রভাব ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘অ’ চিহ্নিত স্থানে প্রযোজ্য রাষ্ট্রের উপাদানটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘উ’ উপাদানটি সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ অবদান রাখতে পারে তোমার মতামত দাও। ৪
ক অধ্যাপক গার্নার রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন।
খ মানুষের উপর ধর্মের প্রভাব অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ঐশ্বরিক আইন অনুসরণ করে আসছে। তাই ধর্ম, ধর্মীয় অনুশাসন ও ধর্মগ্রন্থ আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পুণ্য ইত্যাদি মূল্যবোধসমূহ ধর্ম চিহ্নিত করেছে বলে প্রাচীন ও মধ্যযুগে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেধর্মীয় রীতিনীতি প্রভাব বিস্তার করে। ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে ধর্মীয় বিধানই রাষ্ট্রীয় আইন হিসেবে বিবেচিত হয়। বিবাহ, উত্তরাধিকার প্রভৃতি বিষয়ে মুসলমান ও হিন্দুরা নিজ নিজ ধর্মীয় আইন মেনে চলে।
গ ‘অ’ চিহ্নিত স্থানে প্রযোজ্য রাষ্ট্রের উপাদানটি হচ্ছে সার্বভৌমত্ব। রাষ্ট্র গঠনের মূখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসঙ্গতভাবে আবদ্ধ নয়। প্রত্যেক সমাজ ব্যবস্থায় চূড়ান্ত ক্ষমতা কার্যকরী করার জন্য একটি মাত্র কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ থাকবে। আর এই ক্ষমতাই হলো সার্বভৌম ক্ষমতা। সার্বভৌম ক্ষমতার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দুইটি দিক রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যকার সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। বাহ্যিক সার্বভৌমত্বের অর্থ হলো রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেবহি:শক্তির নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষপে থেকে মুক্ত থাকবে। কেবল জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ও সরকার থাকা সত্ত্বেও একটি দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা না থাকলে তা রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হবে না।
ঘ ‘উ’ উপাদানটি তথা সরকার সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ অবদান রাখতে পারে। আর.এম. ম্যাকাইভার তার ুঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের প্রাথমিক কাজ বা দায়িত্ব’। নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার নিশ্চয়তা থেকে রাষ্ট্র নামক সংগঠনের সৃষ্টি হয়। জনসাধারণকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, সমাজের শান্তি ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান করা এবং সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। আর রাষ্ট্রের পড়্গে এ কাজটি করে সরকার। তাই দেখা যায় এ লড়্গ্েয রাষ্ট্র স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে থাকে। মূলত এ কর্তৃত্ব সরকারের। সরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও অন্যান্য আধা-সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে। বাংলাদেশে পুলিশ, র্যাব, আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ইত্যাদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। উপরন্তু আইন প্রণয়ন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের মৌলিক কাজ যা সরকার কর্তৃক সাধিত হয়। রাষ্ট্রীয় আইনসভা বা পার্লামেন্টের মাধ্যমে আইন প্রণীত হয়। দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে জুডিশিয়াল কাউন্সিল, সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজ কোর্ট প্রভৃতি বিচারালয়ের মাধ্যমে দেশের সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলে সরকার দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলে। এভাবে সরকার রাষ্ট্রের পড়্গে সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটিয়ে সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে।
প্রশ্ন- ৪ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুনাগরিকের কর্তব্য
রেশমা ‘ক’ রাষ্ট্রের নাগরিক। নির্বাচনে তার স্বামী তাকে অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে ভোট প্রদানে চাপ দেয়। কিন্তু সে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়। এতে রেশমা স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়। ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য রেশমা আইনের দ্বারস্থ হয়।
ক. নাগরিক শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ কী? ১
খ. তথ্য অধিকার আইনে তথ্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. “উদ্দীপকে উলিস্নখিত রেশমা একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছে”- পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রেশমার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা মূল্যায়ন কর। ৪
৪ নং প্রশ্নোত্তর
ক নাগরিক শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ ঈরঃরুবহ।
খ তথ্য অধিকার আইনে তথ্য বলতে কোনো কর্তৃপক্ষরে গঠন, কাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত যে কোনো স্মারক, বই, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, লগবহি, আদেশ-বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা, পত্র, প্রতিবেদন, হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাব, আলোকচিত্র, অডিওভিডিও, অঙ্কিত চিত্র, ফিল্ম, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্র¯ত্মুতকৃত যে কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিকভাবে পাঠযোগ্য দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে অন্য যে কোনো তথ্যবহ বস্তু বা এদের প্রতিলিপিকে বুঝানো হয়েছে। তবে দাপ্তরিক নোট সিট বা নোট সিটের প্রতিলিপি এর অন্তর্ভুক্ত হবে না।
গ উদ্দীপকে উলিস্নখিত রেশমা একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছে। যেমন উদ্দীপকে আমরা দেখি নির্বাচনে রেশমার স্বামী তাকে অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে ভোট প্রদানে চাপ দেয়। কিন্তু সে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়। বস্তুত সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেওয়া নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর ফলে যোগ্য ও উপযুক্ত প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবে। অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে ভোটদানে বিরত থাকা উচিত। উদ্দীপকে রেশমা নির্যাতনের ভয় থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে সত্যিই একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছে।
ঘ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উদ্দীপকে রেশমার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যৌক্তিক। উদ্দীপকে রেশমা স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে ন্যায়বিচারের জন্য আইনের দ্বারস্থ হয়। তার এ সিদ্ধান্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। কেননা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। যেমন উদ্দীপকে স্বামীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত রেশমার সুশাসন পাওয়া ও প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত যৌক্তিক। আইনের প্রাধান্য ও আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য এ দুইটি ধারণার সমন্বয় আইনের অনুশাসন। আইনের প্রাধান্য বজায় থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সচরাচর সাহস করে না। তখন নাগরিকরাও কারও অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে সাহস পায় না। আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সকলের জন্য একই আইন প্রযোজ্য। রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা তখনই খর্ব হয় যখন আইনের অনুশাসন তথা সুশাসন থাকে না। সুতরাং নিজের স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ে রেশমার সিদ্ধান্তটি সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রেড়্গেিত যৌক্তিক। এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
প্রশ্ন- ৫ আইনের অনুশাসন
গ্রাম্য মাতবরের বখাটে ছেলে সুমন প্রায়ই স্কুল পড়–য়া সুন্দরি জরিনাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। জরিনার দরিদ্র পিতা চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইলে তিনি বিচারের আশ্বাস দেন। এতে ফল না পেয়ে জরিনার পিতা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সুমনকে গ্রেফতার করে এবং বিচারে তার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়।
ক. রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন কে? ১
খ. রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদানটি বর্ণনা কর। ২
গ. সুমন আইনের অনুশাসনের কোন ধারণাটি ক্ষুণ্ণ করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘সকলের জন্য একই আইন সমভাবে প্রযোজ্য’ উক্তিটি সুমনের শাস্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মূল্যায়ন কর। ৪
৫ নং প্রশ্নোত্তর
ক অধ্যাপক গার্নার রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন।
খ রাষ্ট্র গঠনের মূখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসঙ্গতভাবে আবদ্ধ নয়।
গ সুমন আইনের অনুশাসনের আইনের প্রাধান্য ধারণাটি ক্ষুণ্ণ করেছে। আইনের প্রাধান্য বজায় থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সচরাচর সাহস করে না। বিনা অপরাধে কাউকে গ্রেফতার করা, বিনা বিচারে কাউকে আটক রাখা ও শাস্তি দেয়া এগুলো আইনের প্রাধান্যের পরিপন্থী। আইনের প্রাধান্য নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। সমাজে আইনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ আইন অমান্য করে অন্যের অধিকারে হস্তক্ষপে করতে পারে না। সরকারও কারও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে সাহস পাবে না। অথচ উদ্দীপকে গ্রাম্য মাতবরের বখাটে ছেলে সুমন প্রায়ই স্কুল পড়–য়া সুন্দরি জরিনাকে নানাভাবে উত্তক্ত করে। অর্থাৎ সে জরিনার নাগরিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষপে করেছে। এভাবে সুমন ‘আইনের প্রাধান্য’ ধারণাটি ক্ষুণ্ণ করেছে।
ঘ উদ্দীপকে সুমন জরিনাকে উত্যক্ত করার পরও তার পিতা চেয়ারম্যান হওয়ায় জরিনার দরিদ্র পিতা সুবিচার পাননি। অথচ আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সকলের জন্য একই আইন প্রযোজ্য। তাই জরিনার পিতা থানায় অভিযোগ করে। রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা তখনই খর্ব হয় যখন আইনের অনুশাসন থাকে না। আইনের শাসনের অভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সচরাচর নাগরিকদের হয়রানি করে, বিনা অপরাধেও আটক করে। কিন্তু উদ্দীপকে বখাটে সুমন চেয়ারম্যানের ছেলে হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বিচারে তার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। এভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে আইনের শাসন কায়েম হয় না। সুতরাং বলা যায়, ‘সকলের জন্য একই আইন সমভাবে প্রযোজ্য’ উক্তিটি সুমনের শাস্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ৬ রাষ্ট্রের অপরিহার্য ও ঐচ্ছিক কার্যাবলি
বাবুলের স্কুলে যাওয়ার পথে খালের ওপর পুরাতন সাঁকোটি হঠাৎ একদিন ভেঙে যায়। বর্তমান সরকার সেখানে সংযোগ রাস্তাসহ একটি পাকা সেতু নির্মাণ করেছে। বাবুল ও তার বন্ধুরা এখন ভালোভাবে স্কুলে যেতে পেরে খুব খুশি।
ক. এরিস্টটল প্রদত্ত নাগরিকের সংজ্ঞাটি লেখ। ১
খ. সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে সরকারের কোন কাজের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. এ ধরনের কাজ ছাড়া সরকারকে আর কী ধরনের কাজ করতে হয়? বিশেস্নষণ কর। ৪
৬ নং প্রশ্নোত্তর
ক এরিস্টটল প্রদত্ত নাগরিকের সংজ্ঞা ‘সেই ব্যক্তিই নাগরিক যে নগর রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব ও শাসনকার্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।’
খ রাষ্ট্র গঠনের মূখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসঙ্গতভাবে আবদ্ধ নয়।
গ উদ্দীপকে সরকারের কল্যাণমূলক বা ঐচ্ছিক কাজের প্রতিফলন ঘটেছে। বর্তমানে সকল রাষ্ট্রই কল্যাণমূলক বলে নিজেদের দাািব করে। মূলত জনকল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের কাজগুলো হচ্ছে ঐচ্ছিক বা গৌণ কাজ। এর মধ্যে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যথা : রাস্তাঘাট, সেতু বিনির্মাণ, সড়ক, রেলপথ, নৌ-চলাচল, বিমান যোগাযোগ স্থাপন, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও যোগাযোগের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত থাকা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ। উদ্দীপকে দেখা যায় বাবুলের স্কুলে যাওয়ার পথে খালের ওপর পুরাতন সাঁকোটি হঠাৎ একদিন ভেঙে যায়। বর্তমান সরকার সেখানে সংযোগ রাস্তাসহ একটি পাকা সেতু নির্মাণ করেছে। সুতরাং উদ্দীপকে নিঃসন্দেহে সরকারের ঐচ্ছিক বা গৌণ কাজের প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ এ ধরনের ঐচ্ছিক বা কল্যাণমূলক কাজ ছাড়া সরকারের কিছু অপরিহার্য কাজ করতে হয়। যেমন আইন শৃঙ্খলা রক্ষা; জনসাধারণকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, সমাজের শান্তি ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান করা এবং সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। রাষ্ট্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও অন্যান্য আধা-সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে। জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা রাষ্ট্রের আরেকটি অপরিহার্য কাজ। আধুনিককালে প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্রই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রকে পরিচিত করা, রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত সম্পদের উপর দাবি প্রতিষ্ঠিত করা রাষ্ট্রের অন্যতম কাজ।এছাড়াও অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন, আঞ্চলিক কোর্ট গঠন, বহিঃর্বিশ্বে অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ করা, বিদেশে অবস্থান্তনরত দেশে নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদান করা ইত্যাদি হচ্ছে রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক অপরিহার্য কাজ। আইন প্রণয়ন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের মৌলিক কাজ। রাষ্ট্রীয় আইনসভা বা পার্লামেন্টের মাধ্যমে আইন প্রণীত হয়। দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে জুডিশিয়াল কাউন্সিল, সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজ কোর্ট প্রভৃতি বিচারালয়ের মাধ্যমে দেশের সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলা রাষ্ট্রের আবশ্যিক কাজের মধ্যে পড়ে। অর্থ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অর্থ সংগ্রহ ও বণ্টন ব্যবস্থা গড়ে তোলা রাষ্ট্রের একটি মুখ্য কাজ।
প্রশ্ন- ৭ রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কাজ
বর্তমানে মগবাজারে ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। বি¯ত্মৃত এলাকাজুড়ে কাজ চলায় ঐ এলাকার জনগণের যাতায়াতের ক্ষেত্রেবেশ অসুবিধা হচ্ছে। হঠাৎ একদিন যাত্রীবাহী একটি বাস ফ্লাইওভারের জন্য খোঁড়া গর্তে পড়ে যায় এবং তিনজন যাত্রী বেশ আহত হয়। এতে সাধারণ জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাংচুর শুরু করে। পুলিশ -র্যাব এসে অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
ক. রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান কোনটি? ১
খ. সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের উলিস্নখিত ফ্লাইওভারটি নির্মাণ রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব।”-উক্তিটি রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজের অন্তর্ভুক্ত বিশেস্নষণ কর। ৪
৭ নং প্রশ্নোত্তর
ক রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা।
খ রাষ্ট্র গঠনের মূখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসঙ্গতভাবে আবদ্ধ নয়।
গ উদ্দীপকে উলিস্নখিত ফ্লাইওভার নির্মাণ রাষ্ট্রের কল্যাণমূলক বা ঐচ্ছিক কাজ। বর্তমানে সকল রাষ্ট্রই কল্যাণমূলক বলে নিজেদের দাবি করে। মূলত জনকল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের কাজগুলো হচ্ছে ঐচ্ছিক বা গৌণ কাজ। এর মধ্যে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যথা : রাস্তাঘাট, সেতু বিনির্মাণ, সড়ক, রেলপথ, নৌ-চলাচল, বিমান যোগাযোগ স্থাপন, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও যোগাযোগের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত থাকা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ। বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপস্নব সংঘটিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেপ্রযুক্তিগত উন্নয়ন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সুষ্ঠু পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য অপরিহার্য। উদ্দীপকে ফ্লাইওভার নির্মাণও রাষ্ট্রের এরূপ একটি উন্নয়নমূলক বা কল্যাণমূলক কাজ।
ঘ উদ্দীপকে বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। -উক্তিটি রাষ্ট্রের অপরিহার্য বা মুখ্য কাজ নির্দেশ করে। আর.এম. ম্যাকাইভার তার ুঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের প্রাথমিক কাজ বা দায়িত্ব’। নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার নিশ্চয়তা থেকে রাষ্ট্র নামক সংগঠনের সৃষ্টি হয়। জনসাধারণকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, সমাজের শান্তি ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান করা এবং সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। এ লড়্গ্েয রাষ্ট্র স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে থাকে। রাষ্ট্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও অন্যান্য আধা-সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে। বাংলাদেশে পুলিশ, র্যাব আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ইত্যাদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। উদ্দীপকে দেখা যায়, মগবাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের ফলে সৃষ্ট গর্তে একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণ জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাংচুর শুরু করে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োজিত পুলিশ-র্যাব অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অর্থাৎ তারা রাষ্ট্রের পড়্গে একটি অপরিহার্য বা মুখ্য কাজের দায়িত্ব পালন করে।
প্রশ্ন- ৮ সুশাসনের জন্য আইন
বিত্তশালী আশরাফ আলীর তিনপুত্র ও এক কন্যা। মি. আশরাফ কন্যার বিয়েতে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর তিন ছেলে সমস্ত সম্পদ নিজেরা ভাগ করে নেয়। বোনকে কিছুই দেয় না। এতে আশরাফ সাহেবের কন্যা তার ভাইদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়।
ক. রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা কে দিয়েছেন? ১
খ. রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝ? ২
গ. আশরাফ সাহেবের তিনপুত্র আইনের অনুশাসন ব্যাহত করেছে কীভাবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “আশরাফ সাহেবের কন্যা সুশাসনের মাধ্যমে তার অধিকার ফিরে পেতে পারে।”-বিশেস্নষণ কর। ৪
৮ নং প্রশ্নোত্তর
ক রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন অধ্যাপক গার্নার।
খ রাষ্ট্র গঠনের মূখ্য উপাদান হচ্ছে সার্বভৌমত্ব। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। সার্বভৌম ক্ষমতার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দুইটি দিক রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যকার সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। আর বাহ্যিক সার্বভৌমত্বের মাধ্যমে রাষ্ট্র বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষপে থেকে মুক্ত থাকে।
গ আশরাফ সাহেবের তিন পুত্র আইনের অনুশাসন ব্যাহত করেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। কেউ কারও অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে পারে না। আইনের অনুশাসনের একটি দিক হচ্ছে আইনের প্রাধান্য। আইনের প্রাধান্য নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। সমাজে আইনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ আইন অমান্য করে অন্যের অধিকারে হস্তক্ষপে করতে পারে না। উদ্দীপকে বর্ণিত বিত্তশালী আশরাফ আলীর তিন পুত্র ও এক কন্যা। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর তিন ছেলে সমস্ত সম্পদ নিজেরা ভাগ করে নেয়। বোনকে কিছুই দেয় না। এভাবে আশরাফ সাহেবের তিন পুত্র তাদের একমাত্র বোনকে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আইনের অনুশাসন ব্যাহত করেছে।
ঘ আশরাফ সাহেবের কন্যা সুশাসনের মাধ্যমে তার অধিকার ফিরে পেতে পারে। আশরাফ সাহেবের মৃত্যুর পর তাঁর তিন ছেলে তাঁর একমাত্র কন্যাকে সম্পদের কোনো কিছুই না দিয়ে নিজেরাই সমস্ত সম্পদ ভাগ করে নেয়। এতে আশরাফ সাহেবের কন্যা তার ভাইদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়। এক্ষেত্রেসুশাসনের মাধ্যমেই আশরাফ সাহেবের কন্যা তার সম্পত্তির অধিকার ফিরে পেতে পারে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ কারও অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে পারে না। সাধারণভাবে আইনের অনুশাসন দুইটি ধারণা প্রকাশ করে। যথা : ক. আইনের প্রাধান্য ও খ. আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য। আইনের প্রাধান্য বজায় থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সচরাচর সাহস করে না। বিনা অপরাধে কাউকে গ্রেফতার করা, বিনা বিচারে কাউকে আটক রাখা ও শাস্তি দেয়া- এগুলো আইনের প্রাধান্যের পরিপন্থী। আইনের প্রাধান্য নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সকলের জন্য একই আইন প্রযোজ্য।পরিশেষে বলা যায় যে, সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত আশরাফ সাহেবের কন্যা সুশাসনের মাধ্যমেই তার অধিকার ফিরে পেতে পারে।
প্রশ্ন- ৯ আইনের শাসন
জনাব আতাউর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিজিএম পদে কর্মরত। তিনি সৎ, কর্মঠ এবং দক্ষ ব্যাংকার হিসেবে সুপরিচিত। তিনি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে নিজে যেমন আইন মান্য করে চলেন তেমনি অন্যদেরকেও আইন মেনে চলতে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে অবৈধভাবে ঋণ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি তিনি চাকরিচ্যুত হন।
ক. ম্যাকাইভার প্রদত্ত রাষ্ট্রের সংজ্ঞাটি লেখ। ১
খ. রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদানটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব আতাউরের ক্ষেত্রেআইনের কোন বৈশিষ্ট্যটি পরিলক্ষতি হয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনাব আতাউরের চাকরিচ্যুতিকে পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
৯ নং প্রশ্নোত্তর
ক ম্যাকাইভার প্রদত্ত রাষ্ট্রের সংজ্ঞাটি হচ্ছে ‘রাষ্ট্র হচ্ছে সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারা পরিচালিত একটি সংগঠন, যার কর্তৃত্বমূলক ক্ষমতা রয়েছে এবং যা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসরত অধিবাসীদের ওপর বলবৎ হয়।’
খ রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে জনসমষ্টি। জনসমষ্টি বলতে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত জনগণকে বোঝায়। রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনসমষ্টি অপরিহার্য। জনসমষ্টির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হতে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে। তবে রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনসংখ্যা কত হবে তার কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই।
গ জনাব আতাউরের ক্ষেত্রেআইনের যে বৈশিষ্ট্যটি পরিলক্ষতি হয় তা হলো- আইন হচ্ছে এক ধরনের আদেশ বা নিষেধ, যা সবাইকেই মান্য করতে হয় এবং যারা আইন অমান্য করে তাদের সাজা পেতে হয়। জনাব আতাউর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিজিএম পদে কর্মরত। তিনি সৎ, কর্মঠ এবং দক্ষ ব্যাংকার হিসেবে সুপরিচিত। তিনি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে নিজে যেমন আইন মান্য করে চলেন তেমনি অন্যদেরকেও আইন মেনে চলতে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে অবৈধভাবে ঋণ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি তিনি চাকরিচ্যুত হন। সুতরাং দেখা যায়, আইন সর্বক্ষেত্রেমেনে চলতে হয় নতুবা সাজা পেতে হয়।
ঘ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনাব আতাউরের চাকরিচ্যুতিকে পাঠ্যপুস্তকের আলোকে সঠিক বলা যায়। কেননা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রপ্রদত্ত সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। কেউ কারও অধিকার ড়্গুণ্ণ করতে পারে না। সাধারণভাবে আইনের অনুশাসন দুইটি ধারণা প্রকাশ করে। যথা : ১. আইনের প্রাধান্য ও ২. আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য। আইনের প্রাধান্য নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। সমাজে আইনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ আইন অমান্য করে অন্যের অধিকারে হস্তক্ষপে করতে পারে না। সরকারও কারও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে সাহস পাবে না। আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবার সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সবার জন্য একই আইন প্রযোজ্য। উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব আতাউর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিজিএম। তিনি সৎ, কর্মঠ এবং দক্ষ ব্যাংকার হিসেবে সুপরিচিত। কিন্তু আইন ভঙ্গ করে প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে অবৈধভাবে ঋণ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তার এ চাকরিচ্যুতি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সঠিক পদক্ষপে।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১০ রাষ্টের ধারণা
মুশফিক সাহেব স্ত্রী-সšত্মান নিয়ে নিজ দেশেই বাস করছেন। তাদের দেশের লোকসংখ্যা প্রায় ২৫ মিলিয়ন। দেশটির নির্দিষ্ট সীমানাও রয়েছে। দেশটি সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষমতা যার হাতে ন্যস্ত থাকে ভোটের মাধ্যমে তাকে নির্বাচিত করা হয়। দেশের জনগণ তার প্রতি আস্থাশীল।
ক. আইনের প্রধান উৎস কয়টি? ১
খ. আইনের প্রাচীনতম উৎসটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে কোন প্রতিষ্ঠানের ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত প্রতিষ্ঠানটি মানুষের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের প্রয়োজনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তুমি কি বক্তব্যটির সাথে একমত? উত্তরের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
১০ নং প্রশ্নোত্তর
ক আইনের প্রধান উৎস ছয়টি।
খ প্রথা হচ্ছে আইনের সবচেয়ে প্রাচীনতম উৎস। সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, আচার-আচরণ ও অভ্যাসই হচ্ছে সামাজিক প্রথা। এসব সামাজিক প্রথার আবেদন এতই বেশি যে এগুলো অমান্য করলে সংঘাত ও বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়। কালক্রমে এসব প্রচলিত প্রথা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়ে আইনে পরিণত হয়েছে। যেমন : ব্রিটেনের অধিকাংশ আইনই প্রথা থেকে এসেছে।
গ উদ্দীপকে রাষ্ট্রের ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে। রাষ্ট্র গঠনের জন্য চারটি উপাদানের প্রয়োজন হয়। এগুলো হলো : জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব। প্রতিটি রাষ্ট্রই এই চারটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হয়। উদ্দীপকেও দেখা যায়, মুশফিক সাহেবের দেশের লোকসংখ্যা প্রায় ২৫ মিলিয়ন, যা রাষ্ট্র গঠনের প্রাথমিক উপাদান জনসমষ্টিকে নির্দেশ করে। এছাড়া উক্ত দেশের একটি নির্দিষ্ট সীমানা রয়েছে যা রাষ্ট্রের অপরিহার্য দ্বিতীয় উপাদান নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এছাড়া উদ্দীপকে আরও দেখা যায়, দেশটি পরিচালনা করার চূড়ান্ত ক্ষমতা যার হাতে ন্যস্ত তাকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় যা রাষ্ট্র গঠনের অপরিহার্য তৃতীয় উপাদান সরকার এবং রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান সার্বভৌমত্বকে নির্দেশ করে। কাজেই বলা যায়, উদ্দীপকে উলিস্নখিত প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্র।
ঘ উক্ত প্রতিষ্ঠানটি হলো রাষ্ট্র। রাষ্ট্র মানুষের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের প্রয়োজনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- বক্তব্যটির সাথে আমি সম্পূর্ণরূপে একমত। কেননা প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো রাষ্ট্রে বসবাস করে। হঠাৎ করে কোনো রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়নি। আদিম মানুষ প্রথমে গোত্রভিত্তিক বসবাস করত। সময়ের পরিবর্তনে একসময় রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়। মানুষই রাষ্ট্র সৃষ্টি করে। রাষ্ট্র হচ্ছে সামাজিক জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। সমাজে বসবাসরত সকল মানুষের কল্যাণ ও সমস্যা সমাধান এবং স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের প্রয়োজনেই রাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটে। নাগরিকের সুখশান্তি বিধান করার জন্য রাষ্ট্রকে অনেক কাজ করতে হয়। যেমন : আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, আইন প্রণয়ন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, অর্থ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অর্থ সংগ্রহ ও বণ্টন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, রাষ্ট্রের জনসাধারণকে শিক্ষতি করে তোলা, জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পদক্ষপে নেওয়া, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা, জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখা ইত্যাদি। রাষ্ট্রের এসব কার্যাবলির কারণেই আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রকে সর্বজনীন কল্যাণ সাধনকারী এবং মানুষের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান বলে ব্যাখ্যা করেছেন। আমিও এর সাথে একমত।
প্রশ্ন- ১১ সার্বভৌমত্ব
তাইওয়া চীনের আধুনিক একটি অঞ্চল। তাইওয়ায় ব্যাংক, বিমা, স্কুল-কলেজ, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং এগুলো পরিচালনার জন্য একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ থাকলেও তাকে রাষ্ট্র বলা যায় না।
ক. নাগরিক শব্দের উৎপত্তি কোথা থেকে? ১
খ. আইনের ২টি বৈশিষ্ট্য লিখ। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত তাইওয়ায় রাষ্ট্র গঠনের কোন উপাদানের অভাব রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত উপাদানটি রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান- উক্তিটির যৌক্তিকতা নিরূপণ কর। ৪
১১ নং প্রশ্নোত্তর
ক ল্যাটিন শব্দ ঈরারপং থেকে নাগরিক শব্দটির উৎপত্তি।
খ আইনের কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুটি বৈশিষ্ট্য হলো :
১. আইন মানুষের বাহ্যিক আচরণ ও ক্রিয়াকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করে।
২. আইন হচ্ছে এক ধরনের আদেশ বা নিষেধ, যা সবাইকে মান্য করতে হয় এবং যারা আইন অমান্য করে তাদের সাজা পেতে হয়।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত তাইওয়ায় রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতার অভাব রয়েছে। প্রত্যেক রাষ্ট্র চারটি উপাদানের সমম্বয়ে গঠিত হয়। সেগুলো হলো জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব। এর মধ্যে সার্বভৌমত্ব হলো রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান। সার্বভৌমত্ব শব্দ দ্বারা রাষ্ট্রের চরম, অবাধ ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এ ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। তাইওয়া অঞ্চলে জনসমষ্টি, ভূখণ্ড এবং সরকার বিদ্যমান। উদ্দীপকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। কেননা তাইওয়া অঞ্চলে ব্যাংক, বিমা, স্কুল-কলেজ, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং এগুলো পরিচালনার জন্য একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে। কিন্তু কেবল জনসমষ্টি, ভূখণ্ড এবং সরকার থাকা সত্ত্বেও একটি অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা না থাকলে তা রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হবে না। যেহেতু তাইওয়ার সার্বভৌমত্ব নেই তাই তাইওয়া রাষ্ট্র নয়।
ঘ উক্ত উপাদানটি হচ্ছে সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতা বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের সেই বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসংগতভাবে আবদ্ধ নয়। প্রত্যেক সমাজ ব্যবস্থায় চূড়ান্ত ক্ষমতা কার্যকরী করার জন্য একটিমাত্র কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ থাকবে। আর এই ক্ষমতাই হলো সার্বভৌম ক্ষমতা। সার্বভৌম ক্ষমতার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দুইটি দিক রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যকার সবাই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। বাহ্যিক সার্বভৌমত্বের অর্থ হলো রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেবহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষপে থেকে মুক্ত থাকবে। কেবল জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ও সরকার থাকা সত্ত্বেও একটি দেশের সার্বভৌম ক্ষমতা না থাকলে তা রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হবে না। যেমনটি উদ্দীপকের বর্ণিত তাইওয়ার ড়্গেেত্রও দেখা যায়। যতদিন রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব বিদ্যমান থাকে ততদিন সার্বভৌমত্বের স্থায়িত্ব থাকবে। সরকারের পরিবর্তন সার্বভৌমত্বের স্থায়িত্বকে নষ্ট করে না। সুতরাং বলা যায়, সার্বভৌমত্ব উপাদানটি রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান উক্তিটি যৌক্তিক।
প্রশ্ন- ১২ রাষ্ট্র গঠনের উপাদান
সৌমিত্র গোমেজের বসবাসের অঞ্চলের স্থলভাগের সীমানা নির্ধারিত নয়। জমিগুলোর মালিকানা নিয়ে রয়েছে পাশের অঞ্চলের সাথে বিরোধ। সৌমিত্র গোমেজ মনেপ্রাণে আশা করেন, জাতিসংঘ তাদের এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে অচিরেই। এছাড়া সেখানে একটি আদর্শ রাষ্ট্রের সবকিছুই উপস্থিত।
ক. রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান কোনটি? ১
খ. রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সংক্রান্ত কাজ বলতে কী বোঝ? ২
গ. সৌমিত্র গোমেজের অঞ্চলে রাষ্ট্রের কোন উপাদানটি অনুপস্থিত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, সৌমিত্র গোমেজের অঞ্চলটিকে রাষ্ট্র বলা যায়? উত্তরের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
১২ নং প্রশ্নোত্তর
ক রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে জনসমষ্টি।
খ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রকে পরিচিত করা, রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত সম্পদের ওপর অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন একটি রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সংক্রান্ত কাজ। বিদেশের সাথে বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন, আঞ্চলিক কোর্ট গঠন, বহির্বিশ্বে অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ করা পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয়। বিদেশে অবস্থানরত দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদান করাও পররাষ্ট্রবিষয়ক কাজ।
গ সৌমিত্র গোমেজের অঞ্চলে রাষ্ট্রের যে উপাদানটি অনুপস্থিত তা হলো নির্দিষ্ট ভূখণ্ড। উদ্দীপকের সৌমিত্র গোমেজ যে অঞ্চলে বসবাস করেন সে অঞ্চলের স্থলভাগের সীমানা নির্ধারিত নয়। জমিগুলোর মালিকানা নিয়ে পাশের অঞ্চলের সাথে বিরোধ রয়েছে। একথা থেকে বোঝা যায়, সৌমিত্র গোমেজের এলাকাটির ভূখণ্ড নির্দিষ্ট হয়নি। নির্দিষ্ট ভূখণ্ড একটি রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য উপাদান। রাষ্ট্র গঠনের জন্য আরও তিনটি উপাদান প্রয়োজন হয়। উদ্দীপকের বর্ণনা অনুযায়ী সে তিনটি উপাদান সৌমিত্র গোমেজের বসবাসের এলাকায় বিদ্যমান আছে। একটি এলাকাকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া যায় তখন, যখন সেখানে চারটি উপাদান বিদ্যমান থাকে। উপাদানগুলো হলো জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব। উদ্দীপকের সৌমিত্র গোমেজের এলাকাটি বিরোধপূর্ণ। একটি ভূখণ্ড আছে, কিন্তু এটি কার সেটি নির্দিষ্ট হয়নি। পাশের এলাকার সাথে সীমানা নিয়ে বিরোধ আছে। তাই এই এলাকায় বা অঞ্চলে রাষ্ট্রের অন্যান্য উপাদান যথাযথ থাকলেও নির্দিষ্ট ভূখণ্ড অনুপস্থিত।
ঘ উদ্দীপকের সৌমিত্র গোমেজের অঞ্চলটিকে রাষ্ট্র বলা যায় না। একটি রাষ্ট্রের চারটি মৌলিক উপাদান থাকে। তা হলো : জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার, সার্বভৌমত্ব। এর যেকোনো একটি উপাদান না থাকলে তা রাষ্ট্র হতে পারে না। রাষ্ট্রের প্রথম উপাদান হচ্ছে জনসমষ্টি। জনসমষ্টি কম বা বেশি হতে পারে। যেমন : গণচীনের জনসংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি, আবার মোনাকো রাষ্ট্রের জনসংখ্যা মাত্র চৌদ্দ হাজার। রাষ্ট্রের দ্বিতীয় উপাদান নির্দিষ্ট ভূখণ্ড। এটিও কম বা বেশি হতে পারে, তবে নির্দিষ্ট হতে হবে। যেমন : রাশিয়া বিশাল আয়তনের দেশ, পক্ষান্তরে ব্রম্ননাই একটি ক্ষুদ্র ভূখণ্ডের দেশ। রাষ্ট্রের তৃতীয় উপাদান সরকার। সরকারই মূলত দেশের জনগণের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের কার্যক্রম পরিচালনা করে। অর্থাৎ রাষ্ট্রের ক্ষমতা সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয়। রাষ্ট্র গঠনের চতুর্থ উপাদান হচ্ছে সার্বভৌমত্ব। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে এমন ক্ষমতা যার মাধ্যমে রাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ সকল কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষপে থেকে মুক্ত থাকবে। উদ্দীপকে বর্ণিত সৌমিত্র গোমেজের বসবাসের অঞ্চলটির জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌমত্ব আছে কিন্তু ভূখণ্ড নিয়ে বিরোধ আছে। তাই এটি রাষ্ট্র নয়।
প্রশ্ন- ১৩ রাষ্ট্রের অপরিহার্য কাজ
‘ক’ নামক একটি উন্নয়নশীল দেশের মন্ত্রী গত মাসে ইউরোপ ও আমেরিকা সফর করে সেদেশগুলোর সাথে বেশ কিছু বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন করেছেন। এছাড়াও তিনি মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা ‘ক’ নামক দেশ থেকে আরও বেশি হারে জনশক্তি আমদানি করে।
ক. শিক্ষাবিস্তার রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ? ১
খ. ‘ধর্ম আইনের অন্যতম উৎস’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘ক’ দেশের মন্ত্রীর কার্যাবলি রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ক’ দেশের মন্ত্রীর কাজগুলো দেশরক্ষামূলক কাজ থেকে কি কোনো অংশে কম? তোমার মতামত দাও। ৪
১৩ নং প্রশ্নোত্তর
ক শিক্ষাবিস্তার রাষ্ট্রের কল্যাণমূলক বা ঐচ্ছিক কাজ।
খ মানুষের ওপর ধর্মের প্রভাব অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ঐশ্বরিক আইন অনুসরণ করে আসছে। তাই ধর্ম, ধর্মীয় অনুশাসন ও ধর্মগ্রন্থ আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বিবাহ, উত্তরাধিকার প্রভৃতি বিষয়ে মুসলমান ও হিন্দুরা নিজ নিজ ধর্মীয় আইন মেনে চলে।
গ ‘ক’ দেশের মন্ত্রীর কার্যাবলি রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক অপরিহার্য কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। একটি দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক বিভাগগুলোকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ভাগ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমনই একটি প্রশাসনিক বিভাগ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রকে পরিচিত করা, রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত সম্পদের ওপর দাবি প্রতিষ্ঠা করা। অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। আঞ্চলিক কোর্ট গঠন, বহির্বিশ্বে অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ করা, বিদেশে অবস্থানরত দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদান করা ইত্যাদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের অন্তর্ভুক্ত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কাজগুলোই করে থাকে। উদ্দীপকেও দেখা যায়, ‘ক’ দেশের মন্ত্রী ইউরোপ ও আমেরিকা সফর করে সেদেশগুলোর সাথে বেশকিছু বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন করেছেন। এছাড়া তিনি মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা ‘ক’ দেশ থেকে আরও জনশক্তি আমদানি করে। এগুলো রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক অপরিহার্য কাজ।
ঘ ‘ক’ দেশের মন্ত্রী ইউরোপ ও আমেরিকা সফর করে সেদেশগুলোর সাথে বেশ কিছু বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন করেছেন। এছাড়া তিনি মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা ‘ক’ দেশ থেকে আরও বেশি হারে জনশক্তি আমদানি করে। এগুলো রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক অপরিহার্য কাজ এবং এগুলোর গুরুত্ব কোনো অংশেই দেশরক্ষামূলক কাজের চেয়ে কম নয়। দেশরক্ষামূলক কাজ হলো জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজ, দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য এবং বৈদেশিক আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন ও পরিচালনার কাজ। এ কাজগুলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি পররাষ্ট্র সংক্রান্ত কাজ হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রকে পরিচিত করা, রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত সম্পদের ওপর দাবি প্রতিষ্ঠিত করা, অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন ও আন্তর্জাতিক কোর্ট গঠন করা, বহির্বিশ্বে অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ করা, বিদেশে অবস্থানরত দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদান করা ইত্যাদি। পৃথিবীর কোনো দেশই একা চলতে পারে না। তাই রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য দেশরক্ষারমূলক কাজ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পররাষ্ট্র বিষয়ক কাজও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ১৪ নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
মুজাহিদ গত পঁচিশ বছর যাবত ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন। তিনি সেখানকার জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়াসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। তিনি ইংল্যান্ডের সকল রাষ্ট্রীয় বিধিবিধান মেনেই দেশটিতে বসবাস করছেন।
ক. রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কয়টি বিভাগ থাকে? ১
খ. তথ্য অধিকার আইনে তথ্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে পাঠ্যপুস্তকের যে ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে পাঠ্যপুস্তকের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মুজাহিদের ইংল্যান্ড রাষ্ট্রের বিধিবিধান মেনে চলার মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি কোন বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে? বিশেস্নষণ কর। ৪
১৪ নং প্রশ্নোত্তর
ক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য তিনটি বিভাগ থাকে।
খ তথ্য অধিকার আইনে তথ্য বলতে কোনো কর্তৃপক্ষরে গঠন কাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত যেকোনো স্মারক, বই, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, লগবহি, আদেশ-বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা পত্র, প্রতিবেদন, হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাব, আলোকচিত্র, অডিও ভিডিও, অঙ্কিত চিত্র, ফিল্ম, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত যেকোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিকভাবে পাঠযোগ্য দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে অন্য যে কোনো তথ্যবহ বস্তু বা এদের প্রতিলিপিকে বোঝানো হয়েছে।
গ উদ্দীপকে পাঠ্যপুস্তকের যে ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে তাহলো নাগরিক। সাধারণত নাগরিক শব্দটি দ্বারা নগরে বসবাসরত অধিবাসীকে বোঝায়। এরিস্টটল বলেন, “সেই ব্যক্তিই নাগরিক যে নগর রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব ও শাসনকাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।” আধুনিক রাষ্ট্রসমূহ আয়তনে অনেক বড় এবং জনসংখ্যা বেশি ও নাগরিক সুবিধাসমূহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সবাই ভোগ করে। কিন্তু এত বিপুল জনগোষ্ঠীকে সরাসরি শাসনকার্যে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রেজনগণের শাসনকাজে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের স্থলে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন এবং রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অন্যান্য সুবিধা ভোগকেই মাপকাঠি ধরা হয়েছে। সুতরাং নাগরিকত্ব বলতে বোঝায়, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক অধিকার এবং নাগরিক সুবিধা ভোগের পাশাপাশি রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধ্য হওয়া। উদ্দীপকে বর্ণিত মুজাহিদ পঁচিশ বছর যাবত ইংল্যান্ডে বসবাস করেন। তিনি সেখানে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেন, ইংল্যান্ডের সব আইনকানুন মেনে চলেন এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। এতে বোঝা যায়, মুজাহিদ ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। এখানে নাগরিকের ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ মুজাহিদের ইংল্যান্ড রাষ্ট্রের বিধিবিধান মেনে চলার মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে। তার কারণ মুজাহিদ ইংল্যান্ডের সকল রাষ্ট্রীয় বিধিবিধান মেনেই দেশটিতে বসবাস করছেন যা ইংল্যান্ড রাষ্ট্রের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্যকে নির্দেশ করে। নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা, রাষ্ট্রের নির্দেশ মেনে চলা। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য প্রত্যেক নাগরিককে সর্বদা সজাগ এবং চরম ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সুষ্ঠু জীবনযাপন, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিককে আইন মেনে চলতে হবে। যোগ্য ও সৎ জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের লড়্গ্েয সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেওয়া নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। নাগরিকের যথাসময়ে কর প্রদান করে রাষ্ট্রের প্রশাসনিক প্রতিরক্ষা এবং উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করতে হবে। কোনো সরকারি কাজে নিয়োজিত হলে সুষ্ঠুভাবে তা সম্পাদন করা নাগরিকের কর্তব্য। নিজ সšত্মানকে সুশিক্ষায় শিক্ষতি করা ও সুস্থ সবল হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য তাকে বিভিন্ন প্রতিষেধক টিকাদান ও সঠিক সময়ে স্কুলে পাঠানো প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। প্রত্যেক নাগরিককে নিজস্ব সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় অর্জন ও সফলতার জন্য গর্ববোধ এবং সবসময় দেশের মঙ্গল কামনা করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিকের ভিন্নমতকে মূল্যায়ন ও সম্মান করতে হবে। সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের লড়্গ্েয প্রত্যেক নাগরিককে দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। উদ্দীপকে বর্ণিত মুজাহিদ এসব বিষয় মেনেই ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন।
প্রশ্ন- ১৫ আইনের উৎসসমূহ
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ‘ক’ দেশের কয়েকজন অফিসারকে জিম্মি করে এবং হত্যা করে। ঐ দেশের আইনে এরূপ বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি আট বছরের জেল এবং অর্থ দণ্ড। বিচারকালীন সময়ে বিচারক বিদ্রোহের দণ্ডের সাথে সাথে হত্যা ও জিম্মির জন্য প্রচলিত আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে বিদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
ক. আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলিকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়? ১
খ. আইনের ধারণা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ দেশে আইনের কোন উৎসের ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত উৎসই আইনের একমাত্র উৎস নয় বিশেস্নষণ কর। ৪
১৫ নং প্রশ্নোত্তর
ক আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলিকে দুইটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।
খ সাধারণভাবে আইন বলতে সামাজিক ব্যবস্থায় সম্মিলিত জীবনযাপনের ক্ষেত্রেমানুষ কর্তৃক অনুসরণকৃত কিছু লিখিত ও অলিখিত বিধিবিধানকে বোঝায়। মানুষের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অধিকাংশ মানুষই এ নিয়মকানুনসমূহ মেনে চলে। সুতরাং আইন হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের নিয়মকানুন, রীতিনীতি বা বিধিবিধান।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত ‘ক’ দেশে আইনের বিচার সংক্রান্ত উৎসের ইঙ্গিত রয়েছে। বিচারকের রায় অথবা বিচার বিভাগীয় রায় আইনের একটি উৎস। বিচারকালে বিচারক যদি প্রচলিত আইনের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হন তখন তিনি স্বীয় বুদ্ধি, মেধা এবং প্রজ্ঞার সাহায্যে প্রচলিত আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে আইনের নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে বিচারের রায় প্রদান করেন, যা একটি দৃষ্টান্ত হয়ে যায় এবং এক সময় আইনে পরিণত হয়। উদ্দীপকে বর্ণিত বিচারক বিচারকালীন সময়ে বিদ্রোহের দণ্ডসহ প্রচলিত আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে হত্যা ও জিম্মির জন্যও শাস্তি প্রদান করেন যা আইনের অন্যতম উৎস বিচার সংক্রান্ত উৎসের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ উক্ত আইনের উৎস হলো বিচার সংক্রান্ত উৎস। এটি আইনের একটি উৎস, তবে একমাত্র উৎস নয়। আইনের আরও কতগুলো উৎস রয়েছে। এগুলো হলো : ১. প্রথা; ২. ধর্ম; ৩. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা; ৪. ন্যায়বোধ ও ৫. আইনসভা।
প্রথা : প্রথা হচ্ছে আইনের প্রাচীনতম উৎস। সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি, আচার-আচরণ ও অভ্যাসই হচ্ছে সামাজিক প্রথা। ব্রিটেনের অধিকাংশ আইন প্রথা থেকে এসেছে।
ধর্ম : মানুষের ওপর ধর্মের প্রভাব অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ঐশ্বরিক আইন অনুসরণ করে আসছে। তাই ধর্ম, ধর্মীয় অনুশাসন ও ধর্মগ্রন্থ আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা : আইনবিদদের বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা বা তাদের আইনবিষয়ক গ্রন্থাবলিও আইনের উৎস হিসেবে কাজ করে।
ন্যায়বোধ : বিচারক যখন প্রচলিত আইনের মাধ্যমে কিংবা উপযুক্ত আইনের অভাবে ন্যায়বিচার করতে ব্যর্থ হয়ে নিজস্ব সামাজিক নীতিবোধের আলোকে ন্যায্য রায় প্রদান করেন, তখন তার নীতিবোধের দ্বারা প্রণীত আইন দেশের আইনের পূর্ণ মর্যাদা লাভ করে।
আইনসভা : আধুনিক রাষ্ট্রের আইনসভাই আইনের প্রধান উৎস। সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেরই আইনসভা বা আইন পরিষদ আছে। এ আইনসভায় দেশের জনগণের স্বার্থকে লড়্গ্য রেখে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন- ১৬ তথ্য অধিকার আইন
আজগর মন্ডল একজন দিনমজুর। অর্থের অভাবে তিনি বেশিদূর লেখাপড়া করতে পারেননি। কিছুদিন আগে তিনি সরকারি কর্মসূচির আওতায় একটি ভবন তৈরির কাজ করেন। পারিশ্রমিক হিসেবে যা পেয়েছেন তা সন্তোষজনক না হওয়ায় জেলা কার্যালয়ের একজন বিশেষ ব্যক্তির নিকট উক্ত কাজের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ও প্রদানকৃত টাকার হিসাব চেয়ে আবেদন করেন। এ ব্যাপারে অন্য দিনমজুররা তাকে নিরুৎসাহিত করলেও তিনি নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
ক. বেদ কাদের ধর্মীয় বই? ১
খ. নাগরিক হিসেবে কেমন জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা উচিত? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে আজগর মন্ডলের হিসাব চেয়ে আবেদন কেমন অধিকার? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আজগর মন্ডলের সিদ্ধান্তে অটল থাকা দেশের জন্য কল্যাণজনক- উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক বেদ হিন্দুদের ধর্মীয় বই।
খ নাগরিক হিসেবে যোগ্য ও উপযুক্ত প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করা উচিত। নাগরিকদের কর্তব্যের মধ্যে একটি হচ্ছে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করা। সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেয়া নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর ফলে যোগ্য ও উপযুক্ত প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়।
গ আজগর মন্ডলের হিসাব চেয়ে আবেদন তথ্য প্রাপ্তির অধিকারের আওতাভুক্ত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে চিšত্মা, বিবেক ও বাক্স্বাধীনতা নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার এরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ সরকার ৫ এপ্রিল, ২০০৯ তথ্য অধিকার আইন জারি করে। এই আইনে বলা হয়েছে- প্রত্যেক নাগরিকের কর্তৃপক্ষরে কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এ আইন অনুসারে তথ্য জানার জন্য লিখিতভাবে বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বা ই-মেইলে আবেদন করতে হবে। যারা লেখাপড়া জানে না তাদের ক্ষেত্রেদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহযোগিতা প্রদান করবেন এবং আবেদনে টিপসহি নিয়ে দাখিল করতে পারবেন। উদ্দীপকে বর্ণিত আজগর মন্ডল অল্পশিক্ষতি দিনমজুর। তিনি সরকারি কর্মসূচির আওতায় একটি ভবন তৈরির কাজ করেন। এ কাজের জন্য তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে যা পেয়েছেন তা সন্তোষজনক না হওয়ায় জেলা কার্যালয়ের একজন বিশেষ ব্যক্তির নিকট উক্ত কাজের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ও প্রদানকৃত টাকার হিসাব চেয়ে আবেদন করেন যা তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ আজগর মন্ডলের সিদ্ধান্তে অটল থাকা দেশের জন্য কল্যাণজনক।
তথ্য অধিকার আইনে তথ্য বলতে কোনো কর্তৃপক্ষরে গঠন, কাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত যেকোনো স্মারক, বই, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, লগবহি, আদেশ-বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা পত্র, প্রতিবেদন, হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাব, আলোকচিত্র, অডিও ভিডিও, অঙ্কিত চিত্র, ফিল্ম, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত যেকোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিকভাবে পাঠযোগ্য দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্যি নির্বিশেষে অন্য যেকোনো তথ্যবহ বস্তু বা এদের প্রতিলিপিকে বোঝানো হয়েছে। তবে দাপ্তরিক নোটসিট বা নোটসিটের প্রতিলিপি এর অন্তর্ভুক্ত নয়। তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেআমাদের তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে দরিদ্র, প্রান্তিক এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে। প্রতিটি সংস্থার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব হবে, জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে মানবাধিকার ও দারিদ্র্যবিমোচনের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হবে।সুতরাং আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, আজগর মন্ডলের সিদ্ধান্তে অটল থাকা দেশের জন্য কল্যাণজনক- উক্তিটি যথার্থ।
অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১৭ রাষ্ট্রের অপরিহার্য ও ঐচ্ছিক কাজ
গত ২৪ নভেম্বর ২০১২ চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ধসে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়, রাজপথ অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। অনেক চেষ্টার পর পুুলিশ, র্যাব, বিজিবির সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ক. স্যানম্যারিনো রাষ্ট্রের জনসংখ্যা কত? ১
খ. রাষ্ট্রের শিক্ষা সংক্রান্ত কাজের ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ফ্লাইওভার নির্মাণও কি রাষ্ট্রের একই ধরনের কাজের অন্তর্ভুক্ত? তোমার উত্তরের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
১৭ নং প্রশ্নোত্তর
ক স্যানম্যারিনো রাষ্ট্রের জনসংখ্যা বিশ হাজার।
খ রাষ্ট্রের জনসাধারণকে শিক্ষতি করে তোলা রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শিক্ষতি নাগরিক অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতন থাকেন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হন। এজন্য রাষ্ট্র শিক্ষা বিস্তারের প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদান করে এবং শিক্ষা সুবিধা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়।
গ বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা রাষ্ট্রের অপরিহার্য বা মুখ্য কাজ। কেননা আমরা জানি, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ও রাষ্ট্রে বসবাসরত জনগণের অধিকার সংরক্ষণের জন্য রাষ্ট্র যেসব পদক্ষপে গ্রহণ করে সেগুলোকে অপরিহার্য বা মুখ্য কাজ বলা হয়। আর. এম. ম্যাকাইভার তার ‘ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব’ গ্রন্থে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের প্রাথমিক কাজ বা দায়িত্ব। জনসাধারণকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা এবং সমাজের শান্তি ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান করা এবং সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। এ লড়্গ্েয রাষ্ট্র স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে থাকে। রাষ্ট্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনী গড়ে তোলে। বাংলাদেশে পুলিশ, র্যাব, আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ইত্যাদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণ রাষ্ট্রের একই ধরনের কাজ অর্থাৎ অপরিহার্য বা মুখ্য কাজের অন্তর্ভুক্ত নয়। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যথা : রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণ, সড়ক, রেলপথ, নৌচলাচল, বিমান যোগাযোগ স্থাপন, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় ও যোগাযোগের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত থাকা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ। বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপস্নব সংঘটিত হয়েছে। ইন্টারনেট, নেটওয়ার্কিং ও তরঙ্গের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে বিশ্বে পারস্পরিক যোগাযোগ ক্ষেত্রেপ্রযুক্তিগত উন্নয়ন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সুষ্ঠু পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য অপরিহার্য। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেড়্গেিত বলা যায়, ফ্লাইওভার নির্মাণ রাষ্ট্রের অপরিহার্য বা মুখ্য কাজের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি রাষ্ট্রের কল্যাণমূলক বা ঐচ্ছিক কাজের অন্তর্ভুক্ত।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ১৮ রাষ্ট্রের কার্যাবলি
জাহিদ ঢ রাষ্ট্রের ণ এলাকায় বসবাস করেন। হঠাৎ তার এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়ায় চাল, ডাল, চিনি ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। আর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য ও পুনর্বাসন করেন। ফলে এখন জাহিদের এলাকাবাসী কিছুটা স্বস্তিবোধ করছে।
ক. ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব গ্রন্থটি কার লেখা? ১
খ. রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান কোনটি? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কাজ রাষ্ট্রের কিরূপ কাজকে প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ঢ রাষ্ট্র কি একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র? উত্তরের পড়্গে যুক্তি দাও। ৪
১৮ নং প্রশ্নোত্তর
ক ঞযব সড়ফবৎহ ংঃধঃব গ্রন্থটি আর.এম. ম্যাকাইভারের লেখা।
খ রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে জনসমষ্টি। জনসমষ্টি বলতে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত জনগণকে বোঝায়। রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনসমষ্টি একান্ত অপরিহার্য। জনসমষ্টির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হতে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে। তবে রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনসংখ্যা কত হবে তার কোনো ধারা নিয়ম নেই। রাজনৈতিকভাবে রাষ্ট্রের জনসংখ্যা কয়েক কোটি আবার কয়েক হাজারও হতে পারে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর।
ঘ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সম্পর্কে বিশেস্নষণ কর।
প্রশ্ন- ১৯ রাষ্ট্রের উপাদান
[সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
ক. “রাষ্ট্র যদি হয় জীবদেহ তবে সরকার হলো এর মস্তিষ্কস্বরূপ।” -উক্তিটি কার? ১
খ. আইনের প্রাচীনতম উৎসটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘অ’ এর ক্ষেত্রেরাষ্ট্রের কোন উপাদানটি প্রযোজ্য হবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ই’ উপাদানটিই পারে “সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার দ্বারা একটি আদর্শ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে।”- উক্তিটি সম্পর্কে তোমার মতামত দাও। ৪
১৯ নং প্রশ্নোত্তর
ক “রাষ্ট্র যদি হয় জীবদেহ তবে সরকার হলো এর মস্তিষ্ক স্বরূপ” উক্তিটি অধ্যাপক গার্নারের।
খ প্রথা হচ্ছে আইনের সবচেয়ে প্রাচীনতম উৎস। সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, আচার-আচরণ ও অভ্যাসই হচ্ছে সামাজিক প্রথা। এ সকল সামাজিক প্রথার আবেদন এতই বেশি যে এগুলো অমান্য করলে সংঘাত ও বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়। কালক্রমে এসব প্রচলিত প্রথা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়ে আইনে পরিণত হয়েছে। যেমন : ব্রিটেনের অধিকাংশ আইনই প্রথা থেকে এসেছে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ “রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম উপাদান সার্বভৌমত্ব”- ব্যাখ্যা কর।
ঘ রাষ্ট্র গঠনে জসংখ্যার গুরুত্ব বিশেস্নষণ কর।
প্রশ্ন- ২০ রাষ্ট্র্রের উপাদান ও কার্যাবলি
লিমন চাকরি নিয়ে ২০১০ সালে সিঙ্গাপুর গমন করেন। সিঙ্গাপুরের মোট জনসংখ্যার একটি পরিসংখ্যানও তার কাছে রয়েছে। সেখানকার রাষ্ট্রপ্রধান ও রাষ্ট্রের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ বহিঃশত্রম্নর আক্রমণ থেকে নিজেদের সম্পদ ও জনগণকে রক্ষা করতে সক্ষম। লিমন সিঙ্গাপুরের নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখেই সেখানে বসবাস করতে আগ্রহী।
ক. আইনের সবচেয়ে প্রাচীন উৎস কোনটি? ১
খ. কীভাবে সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে? ২
গ. লিমনের কাছে যে পরিসংখ্যান রয়েছে তা রাষ্ট্রের কোন উপাদানকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. লিমন যেখানে বসবাসে আগ্রহী তার রয়েছে কিছু অপরিহার্য কার্যাবলি বিশেষণ কর। ৪
২০ নং প্রশ্নোত্তর
ক আইনের সবচেয়ে প্রাচীন উৎস হচ্ছে প্রথা।
খ প্রত্যেক নাগরিককেই বিভিন্ন ক্ষেত্রেদুর্নীতি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এমনকি রাষ্ট্রের বেআইনি কোনো কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো নাগরিকদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে কোনোক্রমেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। তাহলেই সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান হিসেবে জনসংখ্যা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ রাষ্ট্রের অপরিহার্য কার্যাবলি বিশেস্নষণ কর।
অধ্যায় সমন্বিত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ২১ জিয়াউর রহমানের শাসন ও রাষ্ট্রের উপাদান
মুক্তিযুদ্ধের সময় মি. ‘ক’ একটি সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। তিনি একজন নেতার পড়্গে স্বাধীনতার ঘোষণা বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠ করেন। পরবর্তীতে নানা ঘটনা ও ক্ষমতার উত্থান-পতনে তিনি দেশটির রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন। সংবিধানে সংশোধনী আনয়ন করেন, যা দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
ক. সার্বভৌম ক্ষমতার কয়টি দিক রয়েছে? ১
খ. কোনো রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসংক্রান্ত কাজ বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে মি. ‘ক’ পাঠ্যবইয়ের কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে মি. ‘ক’- এর দেশটিকে কি একটি রাষ্ট্র বলা যেত? তোমার মতামত দাও। ৪
২১ নং প্রশ্নোত্তর
ক সার্বভৌম ক্ষমতার দুটি দিক রয়েছে।
খ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রকে পরিচিত করা, রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত সম্পদের ওপর, অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন একটি রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সংক্রান্ত কাজ। বিদেশের সাথে বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন, আঞ্চলিক কোর্ট গঠন, বহির্বিশ্বে অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ করা পররাষ্ট্রসংক্রান্ত বিষয়। বিদেশে অবস্থানরত দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদান করাও পররাষ্ট্রবিষয়ক কাজ।
গ উদ্দীপকে মি. ‘ক’ পাঠ্যবইয়ের জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নির্দেশ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক বাহিনীর মেজর ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা তিনি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে পাঠ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ২ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট তিনি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদে নিযুক্ত হন। ৩ নভেম্বর এক সেনা অভ্যুত্থানে জেনারেল জিয়াউর রহমান গৃহবন্দি হন। কিন্তু ৭ নভেম্বর পাল্টা সেনা অভ্যুত্থানে জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্ত হয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ১৯৭৭ সালে ২১ এপ্রিল তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করেন। সুতরাং উপর্যুক্ত আলোচনায় দেখা যায়, উদ্দীপকে মি. ‘ক’ জেনারেল জিয়াউর রহমানের প্রতিনিধিত্ব করেন। অর্থাৎ মি. ‘ক’-এর মধ্যে জেনারেল জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
ঘ উদ্দীপকে মি. ‘ক’ -এর দেশ বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্র ছিল না বরং পাকিস্তান রাষ্ট্রের অংশ ছিল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের দেওয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী একটি রাষ্ট্রের চারটি মৌলিক উপাদান থাকে। সেগুলো হলো- জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব। রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে জনসমষ্টি। জনসমষ্টি বলতে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত জনগণকে বোঝায়। রাষ্ট্রের দ্বিতীয় অপরিহার্য উপাদান ভূখণ্ড। রাষ্ট্রের তৃতীয় উপাদান হচ্ছে সরকার। সরকার গঠনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। ভূখণ্ড এবং কর্তৃত্বশীল সরকার ছিল কিন্তু সার্বভৌম ক্ষমতা ছিল না। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ও চরম ক্ষমতা। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এ সার্বভৌম ক্ষমতা অর্জন করেছি। উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের সবগুলো উপাদান পাওয়া যায় না, তাই এটি রাষ্ট্র ছিল না।
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ আধুনিক রাষ্ট্রে বিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রকে মানুষের কী বিকাশের জন্য অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান বলে ব্যাখ্যা
রেছেন?
উত্তর : আধুনিক রাষ্ট্রে বিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রকে মানুষের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য
তিষ্ঠান বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ রাষ্ট্র কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?
উত্তর : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কার মতে, “স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই
ষ্ট্র”।
উত্তর : এরিস্টটলের মতে, “স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত
গঠনই রাষ্ট্র”।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ রাষ্ট্রকে পরিচালনা করে কে?
উত্তর : রাষ্ট্রকে পরিচালনা করে সরকার।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান কোনটি?
উত্তর : রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান জনসমষ্টি।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বাংলাদেশে কখন স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়?
উত্তর : বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ কোনটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়?
উত্তর : সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব গ্রন্থের লেখক কে?
উত্তর : ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব গ্রন্থের লেখক হলেন আর. এম. ম্যাকাইভার।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ বিশেস্নষকদের মতে, রাষ্ট্র প্রধানত কত ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকে?
উত্তর : বিশেস্নষকদের মতে, রাষ্ট্র প্রধানত দুই ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন, আঞ্চলিক কোর্ট গঠন রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ?
উত্তর : বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন, আঞ্চলিক কোর্ট গঠন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক অপরিহার্য কাজ।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ শরণার্থীদের আশ্রয়দান রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ?
উত্তর : শরণার্থীদের আশ্রয়দান রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক রাজনৈতিক কাজ।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ কী?
উত্তর : রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে শিক্ষতি জনগোষ্ঠী।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ পৌরনীতি পাঠের মূল বিষয়বস্তু কী?
উত্তর : পৌরনীতি পাঠের মূল বিষয়বস্তু হলো নাগরিকত্ব ও রাষ্ট্র।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ নাগরিকের প্রধান কর্তব্য কী?
উত্তর : নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হলো রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ “রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত অধিকার এবং বাধ্যবাধকতাসমূহ আইন”। উক্তিটি কার?
উত্তর : “রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত অধিকার এবং বাধ্যবাধকতাসমূহ আইন” উক্তিটি টি এইচ গ্রিনের।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ আইনের ৬টি প্রধান উৎসের কথা বলেছেন কে?
উত্তর : আইনের ৬টি প্রধান উৎসের কথা বলেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হল্যান্ড।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ আইনের সবচেয়ে প্রাচীন উৎস কী?
উত্তর : আইনের সবচেয়ে প্রাচীন উৎস হলো প্রথা।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ ইসলামি রাষ্ট্রের আইন কিসের ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর : ইসলামি রাষ্ট্রের আইন কুরআন ও সুন্নাহের ওপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ আধুনিক রাষ্ট্রে আইনের প্রধান উৎস কী?
উত্তর : আধুনিক রাষ্ট্রে আইনের প্রধান উৎস হলো আইনসভা।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ কোন দেশের অধিকাংশ আইন প্রথা থেকে সৃষ্ট?
উত্তর : ব্রিটেনের অধিকাংশ আইন প্রথা থেকে সৃষ্ট।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ বাংলাদেশ সরকার কখন তথ্য অধিকার আইন জারি করে?
উত্তর : বাংলাদেশ সরকার ৫ এপ্রিল, ২০০৯ তথ্য অধিকার আইন জারি করে।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ তথ্য অধিকার আইন জারির মূল লড়্গ্য কী?
উত্তর : তথ্য অধিকার আইন জারির মূল লড়্গ্য হলো জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার সুনিশ্চিত করা।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ বর্তমানে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই কী হিসেবে নিজেদের দাবি করে?
উত্তর : বর্তমানে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের দাবি করে।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য কী?
উত্তর : নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেওয়া।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ সামাজিক আইন কী?
উত্তর : সামাজিক জীবনে যেসব দণ্ডবিধি বা রীতিনীতি মানুষ মেনে চলে তাই হচ্ছে সামাজিক আইন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ রাষ্ট্র কীভাবে গড়ে ওঠে?
উত্তর : প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো রাষ্ট্রে বসবাস করে। হঠাৎ করে কোনো রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়নি।
দিম মানুষ প্রথমে গোত্রভিত্তিক বসবাস করত। সময়ের পরিবর্তনে একসময় রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়। মানুষই
ষ্ট্র সৃষ্টি করে। রাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রত্যেক নাগরিকেরই রাষ্ট্রের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ সরকারকে রাষ্ট্রের মস্তিষ্ক বলা হয় কেন?
উত্তর : গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাধারণত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের সরকার গঠন করে। সরকার
দ্ধতি বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভিন্ন হতে পারে। সরকার বলতে ব্যাপক অর্থে শাসকগোষ্ঠীর সবাইকে বোঝায়, যারা
ত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে। অর্থাৎ রাষ্ট্রের ক্ষমতা সরকার কর্তৃক
রিচালিত হয়। তাই সরকারকে রাষ্ট্রের মস্তিষ্ক বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ রাষ্ট্রের মৌলিক কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আইন প্রণয়ন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের মৌলিক কাজ। রাষ্ট্রীয়
ইনসভা বা পার্লামেন্টের মাধ্যমে আইন প্রণীত হয়। দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে জুডিশিয়াল
উন্সিল, সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট প্রভৃতি বিচারালয়ের মাধ্যমে দেশের সুষ্ঠু বিচারব্যবস্থা গড়ে
তোলা রাষ্ট্রের আবশ্যিক কাজের মধ্যে পড়ে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কীভাবে সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে?
উত্তর : প্রত্যেক নাগরিককেই বিভিন্ন ক্ষেত্রেদুর্নীতি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। ব্যক্তি
প্রতিষ্ঠানের এমনকি রাষ্ট্রের বেআইনি কোনো কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো নাগরিকদের নৈতিক
য়িত্ব। তবে কোনোক্রমেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। তাহলেই সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত
মাজ প্রতিষ্ঠা হবে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বিচারকের রায়ও আইনের একটি উৎস ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিচারকালে বিচারক যদি প্রচলিত আইনের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হন তখন তিনি
য় বুদ্ধি, মেধা এবং প্রজ্ঞার সাহায্যে প্রচলিত আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে আইনের নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে
চারের রায় প্রদান করেন, যা একটি দৃষ্টান্ত হয়ে যায় এবং এক সময় আইনে পরিণত হয়। তাই দেখা যায়,
চারকের রায়ও আইনের একটি উৎস।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ রাষ্ট্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও জনহিতকর কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রাষ্ট্র বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও জনহিতকর কাজ করে থাকে। যেমন : কৃষি ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বনায়ন কর্মসূচি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য ও পুনর্বাসন, দুর্ভিক্ষ ও মহামারী প্রতিরোধ, বিদ্যুতায়ন ও জ্বালানি সরবরাহ, প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, গ্রামীণ উন্নয়ন, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ সচেতনতা সৃষ্টি ইত্যাদি বহুবিধ কাজ রাষ্ট্র সম্পাদন করে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কাজগুলো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় ঐতিহ্য তুলে ধরা এবং জাতীয়তাবোধ সৃষ্টিতে দেশীয় শিল্প, গান-বাজনা, আঞ্চলিক বৈচিত্র্য রক্ষা, লোকশিল্পের সংরক্ষণ, জাদুঘর প্রতিষ্ঠা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন, সাংস্কৃতিক বিনিময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ। জনগণের চিত্তবিনোদনের জন্য প্রয়োজনীয় মঞ্চ, খেলার মাঠ, পার্ক ও উদ্যান প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ নাগরিকত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : নাগরিকত্ব বলতে বোঝায় রাষ্ট্রের রাজনৈতিক অধিকার এবং নাগরিক সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধ্য হওয়া। বৃহৎ অর্থে, নাগরিক হচ্ছেন তিনি, যিনি রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং রাষ্ট্রের আইন, সংবিধান এবং অন্যান্য নির্দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ আইনের উৎস হিসেবে ধর্মের বিবরণ দাও।
উত্তর : আইনের উৎসের মধ্যে ধর্ম অন্যতম। মানুষের ওপর ধর্মের প্রভাব অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ঐশ্বরিক আইন অনুসরণ করে আসছে। তাই ধর্ম, ধর্মীয় অনুশাসন ও ধর্মগ্রন্থ আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বিবাহ, উত্তরাধিকার প্রভৃতি বিষয়ে মুসলমান ও হিন্দুরা নিজ নিজ ধর্মীয় আইন মেনে চলে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ রাষ্ট্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও জনহিতকর কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রাষ্ট্র বিবিধ উন্নয়নমূলক ও জনহিতকর কাজ সম্পাদন করে থাকে। যেমন : কৃষি ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বনায়ন কর্মসূচি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য ও পুনর্বাসন, দুর্ভিক্ষ ও মহামারী প্রতিরোধ, নাগরিক সুবিধা সৃষ্টি, বিদ্যুতায়ন ও জ্বালানি সরবরাহ, প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, নগরায়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, কালোবাজারি রোধ, নারী ও শিশুপাচার প্রতিরোধ, সচেতনতা সৃষ্টি ইত্যাদি বহুবিধ কাজ রাষ্ট্র সম্পাদন করে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ আইনের বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর।
উত্তর : আইনের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
১. আইন মানুষের বাহ্যিক আচরণ ও ক্রিয়াকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করে।
২. আইন হচ্ছে সর্বজনীন, কেননা তা সমভাবে সবার জন্য প্রযোজ্য হয়।
৩. আইন হচ্ছে এক ধরনের আদেশ বা নিষেধ, যা সবাইকেই মান্য করতে হয় এবং যারা আইন অমান্য করে তাদের সাজা পেতে হয়।
৪. আইন রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বমূলক কর্তৃপক্ষ হতে স্বীকৃত এবং আরোপিত।
৫. সমাজে প্রচলিত প্রথা ও রীতিনীতি সবার নিকট মান্য।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ আইনের প্রাধান্য নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আইনের প্রাধান্য বজায় থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সচরাচর সাহস করে না। বিনা অপরাধে কাউকে গ্রেফতার করা, বিনা বিচারে কাউকে আটকে রাখা ও শাস্তি দেওয়া- এগুলো আইনের প্রাধান্যের পরিপন্থী। সমাজে আইনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ আইন অমান্য করে অন্যের অধিকারে হস্তক্ষপে করতে পারে না। সুতরাং, আইনের প্রাধান্য স্বাধীনতার রক্ষাকবচ।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ আইনের দৃষ্টিতে সাম্য বলতে কী বোঝ?
উত্তর : আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই সমান। আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না। সবার জন্য একই আইন প্রযোজ্য। রাষ্ট্রে ব্যক্তিস্বাধীনতা তখনই খর্ব হয় যখন আইনের অনুশাসন থাকে না।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ আইনের প্রধান উৎস সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : আইনসভা আধুনিক রাষ্ট্রের আইনের প্রধান উৎস। সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেরই আইনসভা বা আইন পরিষদ আছে। এ আইনসভায় দেশের জনগণের স্বার্থকে লক্ষ রেখে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করা হয়ে থাকে।
সংক্ষপ্তি প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ রাষ্ট্র সামাজিক জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সাধারণভাবে রাষ্ট্র বলতে সরকার, দেশ, সমাজ বা জাতিকে বোঝায়। রাষ্ট্র হচ্ছে সামাজিক জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। সমাজে বসবাসরত সকল মানুষকে একটি ঐক্য সূত্রে বাঁধা এবং তাদের কল্যাণ ও সমস্যা সমাধানের জন্যই রাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটে। সমাজ বিকাশের একটি স্তরে সমাজের মধ্য থেকেই রাষ্ট্রের উৎপত্তি ঘটেছে। প্রাচীন ও মধ্যযুগে রাষ্ট্রকে মনে করা হতো ঈশ্বরের সৃষ্টি করা একটি প্রতিষ্ঠান। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রকে ‘সর্বজনীন কল্যাণ সাধনকারী’ এবং ‘মানুষের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য’ প্রতিষ্ঠান বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
তাই রাষ্ট্র সামাজিক জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান কোনটি? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান হলো সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করে। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের সে বৈশিষ্ট্য, যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসংগতভাবে আবদ্ধ নয়। প্রত্যেক সমাজ ব্যবস্থায় চূড়ান্ত ক্ষমতা কার্যকরী করার জন্য একটিমাত্র কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ থাকবে। আর এই ক্ষমতাই হলো সার্বভৌম ক্ষমতা। সার্বভৌমের আদর্শই হলো আইন। সার্বভৌমের আদর্শ বা আইন মানতে সবাই বাধ্য।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ওয়াদুদকে বাংলাদেশের নাগরিক বলব কোন যুক্তিতে?
উত্তর : নাগরিকত্ব বলতে বোঝায়, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক অধিকার এবং নাগরিক সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধ্য হওয়া। বৃহৎ অর্থে, নাগরিক হচ্ছেন তিনি, যিনি ওই রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং রাষ্ট্রের আইন, সংবিধান এবং অন্যান্য নির্দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন। রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধনে নিজেদের কর্মের মাধ্যমে ভূমিকা রাখেন এবং রাষ্ট্র কর্তৃক বণ্টনকৃত সকল সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করেন। ওয়াদুদ যদি বাংলাদেশে বসবাস করে এবং উপরের গুণগুলো যদি তার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে তাকে আমরা বাংলাদেশের নাগরিক বলব।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ সুশাসনের জন্য আইনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রপ্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে। কেউ কারও অধিকার ড়্গুণ্ণ করতে পারে না। আইনের প্রাধান্য বজায় থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সচরাচর সাহস করে না। বিনা অপরাধে কাউকে গ্রেফতার করা, বিনা বিচারে কাউকে আটক রাখা ও শাস্তি দেয়া- এগুলো আইনের প্রাধান্যের পরিপন্থী। তাই সুশাসনের জন্য আইনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ‘দরিদ্র, প্রান্তিক এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার সংরক্ষণে তথ্য অধিকার আইন সুফল বয়ে আনবে’- বিশেস্নষণ কর।
উত্তর : দরিদ্র, প্রান্তিক এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার সংরক্ষণে তথ্য অধিকার আইন অবশ্যই সুফল বয়ে আনবে।এই আইনে বলা হয়েছে- প্রত্যেক নাগরিকের কর্তৃপক্ষরে নিকট হতে তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষও একজন নাগরিককে তথ্য প্রদানে বাধ্য থাকবে। আইন অনুযায়ী সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা কার্যালয়ের সাথে সংযুক্ত বা অধীনস্থ কোনো অধিদপ্তর, পরিদপ্তর বা দপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা কার্যালয় বা উপজেলা কার্যালয় তথ্য প্রদান ইউনিট হিসেবে কাজ করবে।এ আইন অনুসারে তথ্য জানার জন্য লিখিতভাবে বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বা ই-মেইলে আবেদন করতে হবে। যারা লেখাপড়া জানে না তাদের ক্ষেত্রেদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহযোগিতা প্রদান করবেন এবং আবেদনে টিপসই নিয়ে দাখিল করতে পারবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তথ্য প্রদান না করলে তথ্য প্রদানের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ত্রিশ দিনের মধ্যে অনুরোধকারী আপিল করতে পারবেন। আবেদনকারী আপিল কর্তৃপক্ষরে নিকট আইন মোতাবেক সুবিচার না পেলে তথ্য কমিশনের নিকট অভিযোগ পাঠাতে পারবেন। এক্ষেত্রেতথ্য কমিশনের কাজ হচ্ছে মূলত অভিযোগ গ্রহণ করা ও সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। এভাবে তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে দরিদ্র, প্রান্তিক এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ‘যে রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে যত বেশি উন্নত তার ঐচ্ছিক কার্যাবলি তত বেশি বি¯ত্মৃত’- উক্তিটির পড়্গে তোমার মতামত দাও।
উত্তর : বর্তমানে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের দাবি করে। রাজনৈতিক তত্ত্ববিদরা একসময় ভাবতে শুরু করেন যে, রাষ্ট্রের ভূমিকা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং কর আদায়ের জন্য নয়, নাগরিকদের নৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশে কল্যাণমূলক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। জনকল্যাণ ও উন্নয়নে রাষ্ট্রের এ কাজগুলো ঐচ্ছিক বা গৌণ কাজ। যে রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে যত বেশি উন্নত তার ঐচ্ছিক কার্যাবলি তত বেশি বি¯ত্মৃত।রাষ্ট্রের জনসাধারণকে শিক্ষতি করে তোলা রাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শিক্ষতি জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ। শিক্ষতি নাগরিক অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতন থাকেন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হন। সরকার বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন, নারী শিক্ষার ওপর গুরুত্বসহ বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা করে, নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে। জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য যেমন : চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি ইত্যাদি সরবরাহ প্রক্রিয়া সচল রাখা তদুপরি খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যেকোনো রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নতি তার শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নয়ন ও প্রসারের সাথে সংশিস্নষ্ট। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যথা : রাস্তাঘাট, সেতু বিনির্মাণ, সড়ক, রেলপথ, নৌচলাচল, বিমান যোগাযোগ স্থাপন, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও যোগাযোগের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত থাকা উন্নত রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন, সাংস্কৃতিক বিনিময়ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঐচ্ছিক কাজ। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও আধুনিক রাষ্ট্রসমূহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরিশেষে বলা যায় যে, রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে যত উন্নত সে রাষ্ট্রকে জনকল্যাণমূলক কাজ তত বেশি করতে হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি তোমার দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : একজন নাগরিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে অনেক অধিকার ভোগ করে, বিনিময়ে তাকে রাষ্ট্রের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছ থেকে অনেক অধিকার ভোগ করে থাকি। তাই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য ব্যাখ্যা করা হলো :
১. নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।
২. রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন এবং সংবিধান মেনে চলা এবং আইনের প্রতি সম্মান দেখানো নাগরিকদের অন্যতম দায়িত্ব।
৩. সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেওয়া নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য।
৪. রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা নাগরিকের কর্তব্য।
৬. প্রত্যেক নাগরিককেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকতে হবে। নিজস্ব সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় অর্জন ও সফলতা এবং সবসময় দেশের মঙ্গল কামনা করা নাগরিকদের কর্তব্য।
৭. প্রত্যেক নাগরিককে বিভিন্ন ক্ষেত্রেদুর্নীতি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। রাষ্ট্রের বেআইনি কোনো কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো নাগরিকদের নৈতিক দায়িত্ব।
পরিশেষে বলা যায় যে, আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে উপরের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো জীবনের সকল সময়ে যথাযথভাবে পালন করব।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
‘আইন হচ্ছে মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের কতগুলো সাধারণ নিয়ম, যা সার্বভৌম শক্তি কর্তৃক প্রণীত হয়’- উক্তিটি কার?
ক টি. এইচ. গ্রীণ > হল্যান্ড গ উড্রো উইলসন ঘ এরিস্টটল
নাগরিকের দায়িত্ব হলো
> রাস্তায় ট্রাফিক আইন মেনে চলা
খ অধিক সংখ্যক লোককে শিল্পকারখানায় কাজে লাগানো
গ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা
ঘ রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলা
আইনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে
র. মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা
রর. সকলের অধিকার সমভাবে সংরক্ষণ করা
ররর. বিধিবিধান মানতে বাধ্য করা
উপরের তথ্যের আলোকে নিম্নের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
অভি ও রাফি দুই বন্ধু একদিন প্রতিবেশীর গাছ থেকে পেয়ারা পাড়তে গিয়ে ধরা পড়ে যায়। বাড়িওয়ালা দুইজনকে থানায় সোপর্দ করেন। রাফির বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন। অভির দরিদ্র বাবা-মা অনেক মিনতি করেও অভিকে ছাড়াতে পারেননি।
অভির ক্ষেত্রেআইনের অনুশাসনের যে দিকটি প্রযোজ্য হয়নি
র. আইনের প্রাধান্য
রর. আইনের দৃষ্টিতে সাম্য
ররর. আইনের সর্বজনীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র > রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
উক্ত দিকটি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হলে, আইনের দৃষ্টিতে
র. ধনী-গরিব সকলেই সমান হবে
রর. সকলের জন্য আইন সমানভাবে প্রযোজ্য হবে
ররর. কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব গ্রন্থের রচয়িতা কে?
ক এরিস্টটল খ অধ্যাপক গার্নার
গ টি এইচ গ্রিন > আর. এম. ম্যাকাইভার
বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে ছিটমহল বিষয়ক চুক্তি করে ছিটমহল বিনিময় করে। এটি রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ?
ক কল্যাণমূলক খ ঐচ্ছিক > মুখ্য ঘ গৌণ
আইনের প্রাধান্য বলতে বোঝায়
ক আইন সকলের জন্য সমান খ আইনের অপপ্রয়োগ করা
গ যখন যাকে খুশি গ্রেফতার করা > সবকিছু আইন অনুসারে চলা
রাষ্ট্র সম্পর্কিত কার সংজ্ঞায় রাষ্ট্রের সবকটি উপাদানের উলেস্নখ রয়েছে?
ক এরিস্টটল > গার্নার গ জন অস্টিন ঘ টি এইচ গ্রিন
কোনটি রাষ্ট্রের মুখ্য কাজ?
ক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন
খ পানীয় জলের সুব্যবস্থা
> দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা
ঘ প্রতিষেধক টিকা প্রদান
তথ্য অধিকার আইনে কোন স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয়েছে?
ক তথ্য অধিকার আইন খ তথ্য প্রাপ্তি আইন
গ তথ্য মন্ত্রণালয় > তথ্য কমিশন
নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ কোনটি?
ক সংবিধানের প্রাধান্য খ শাসন বিভাগের প্রাধান্য
> আইনের প্রাধান্য ঘ বিচার বিভাগের প্রাধান্য
রাষ্ট্রের উপাদান কয়টি?
ক ২টি খ ৩টি > ৪টি ঘ ৫টি
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?
> এরিস্টটল খ জন লক গ ম্যাকাইভার ঘ রুশো
আইনসভা কিসের উপর লড়্গ্য রেখে আইন সংশোধন করে থাকে?
ক বিচারকের > জনগণের গ প্রশাসনের ঘ উন্নয়নের
নিচের কোনটির সাথে রাষ্ট্রের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে?
ক সরকারের > জনগণের
গ আইন বিভাগের ঘ শাসন বিভাগের
“স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র।”- উক্তিটি কার?
ক গার্নার খ গেটেল গ ম্যাকাইভার > এরিস্টটল
আইনের উৎস কয়টি?
ক ৫টি > ৬টি গ ৭টি ঘ ৮টি
রাষ্ট্রের চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতা হচ্ছে-
ক নির্দিষ্ট ভূখণ্ড খ জনসমষ্টি
> সার্বভৌমত্ব ঘ সরকার
‘ক’ দেশের সরকার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য একটি যাদুঘর প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। এটি রাষ্ট্রের কী ধরনের কাজ?
> ঐচ্ছিক খ অপরিহার্য গ মুখ্য ঘ প্রাথমিক
বাংলাদেশ সরকার তথ্য অধিকার আইন জারি করেন-
ক ৬ এপ্রিল ২০০৯ খ ৫ এপ্রিল ২০১৪
গ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ > ৫ এপ্রিল ২০০৯
সার্বভৌমত্ব কী?
> সরকারের চূড়ান্ত ক্ষমতা খ রাষ্ট্রের চূড়ান্ত ক্ষমতা
গ রাষ্ট্রপতির চূড়ান্ত ক্ষমতা ঘ প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত ক্ষমতা
“স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র”- উক্তিটি কার?
ক অধ্যাপক গার্নার খ অধ্যাপক গেটেল
> এরিস্টটল ঘ ম্যাকাইভার
শাসকগোষ্ঠীর পরিবর্তন রাষ্ট্রের কোন উপাদানের স্থায়িত্বকে নষ্ট করে না?
ক জনসমষ্টি খ নির্দিষ্ট ভূখণ্ড
গ সরকার > সার্বভৌমত্ব
ইসলামিক রাষ্ট্রের আইন প্রধানত কোরআন ও শরিয়ার উপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রেআইনের কোন উৎসকে প্রাধান্য দেয়া হয়?
ক প্রথা > ধর্ম
গ ন্যায়বোধ ঘ আইনসভা
রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান কোনটি?
ক জনসমষ্টি খ নির্দিষ্ট ভূখণ্ড
গ সরকার > সার্বভৌমত্ব
জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ?
ক অপরিহার্য খ আবশ্যিক
গ সামাজিক > কল্যাণমূলক
আইনের সবচেয়ে প্রাচীনতম উৎস হলো-
ক ধর্ম খ আইনসভা
গ ন্যায়বোধ > প্রথা
রাষ্ট্রের অপরিহার্য তৃতীয় উপাদান কোনটি?
ক সার্বভৌমত্ব > সরকার
গ জনসমষ্টি ঘ নির্দিষ্ট ভূখণ্ড
‘রাষ্ট্র যদি হয় জীবদেহ তবে সরকার হলো এর মস্তিষ্কস্বরূপ কে বলেছেন?
ক ম্যাকাইভার > অধ্যাপক গার্নার
গ এরিস্টটল ঘ ই.এম. হোয়াইট
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হল্যান্ড আইনের কয়টি প্রধান উৎসের কথা বলেছেন?
ক ৫ > ৬ গ ৭ ঘ ৮
‘ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব’ বইটির লেখক কে?
ক এরিস্টটল > ম্যাকাইভার গ গার্নার ঘ গেটেল
“রাষ্ট্র যদি হয় জীবদেহ তবে সরকার হলো এর মস্তিষ্কস্বরূপ”কে বলেছেন?
ক পেস্নটো খ টি.এইচ.গ্রিণ গ ই.এম.হোয়াইট > অধ্যাপক গার্নার
আধুনিক যুগে আইনের প্রধান উৎস কী?
ক প্রথা খ ধর্ম গ ন্যায়বোধ > আইনসভা
প্রাচীন ও মধ্যযুগে কোন প্রতিষ্ঠান ঈশ্বরের সৃষ্টি মনে করা হতো?
> রাষ্ট্র খ সমাজ
গ পরিবার ঘ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র- কে বলেছেন?
ক অধ্যাপক গার্নার খ অধ্যাপক গেটেল
গ ম্যাকাইভার > এরিস্টটল
রাষ্ট্রের উৎপত্তির পেছনে প্রাথমিক কারণ কোনটি?
ক দুর্যোগ থেকে রক্ষা খ রাজনীতি চর্চা করা
গ সকলের সাথে সদ্ভাব > ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা
এরিস্টটল কোন বিজ্ঞানের জনক?
ক সমাজবিজ্ঞান > রাষ্ট্রবিজ্ঞান
গ মনোবিজ্ঞান ঘ দর্শন শাস্ত্র
রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে কোথা হতে?
> ঐক্যবাদী হওয়ার ইচ্ছা থেকে খ আর্থিক সামর্থ্য থেকে
গ রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে ঘ ভৌগোলিক কাঠামো থেকে
অধ্যাপক গার্নারের ‘রাষ্ট্রের’ সংজ্ঞায় একটি রাষ্ট্রের কতটি উপাদানের নাম উলেস্নখ আছে?
ক ২ খ ৩ > ৪ ঘ ৫
রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন কে?
ক এরিস্টটল খ ম্যাকাইভার > গার্নার ঘ গেটেল
স্যানম্যারিনো রাষ্ট্রের জনসংখ্যা কত?
ক চৌদ্দ হাজার > বিশ হাজার
গ পঁচিশ হাজার ঘ ত্রিশ হাজার
চৌদ্দ হাজার জনসংখ্যাবিশিষ্ট রাষ্ট্র কোনটি?
ক স্যানম্যারিনো > মোনাকো গ দারুস সালাম ঘ ব্রম্ননাই
নিচের কোন উপাদানটি রাষ্ট্রকে অন্য রাষ্ট্র হতে পৃথক করে?
> ভূখণ্ড খ সরকার গ জনসমষ্টি ঘ সার্বভৌমত্ব
সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়?
ক সকলের অংশগ্রহণ > রাষ্ট্রের চরম ক্ষমতা
গ সরকারি ক্ষমতা ঘ রাষ্ট্রের আইন
‘সার্বভৌম’ শব্দ দ্বারা কেমন ক্ষমতাকে বোঝায়?
ক সামরিক খ স্থায়ী > চরম ও চূড়ান্ত ঘ অলীক
কোন ক্ষমতা রাষ্ট্রকে অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক করেছে?
ক সরকারি খ বেসরকারি > সার্বভৌম ঘ সামরিক
রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে কে?
ক জনগণ খ সংগঠন
> কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ঘ রাষ্ট্রের বিভাগসমূহ
ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব-গ্রন্থটির লেখক কে?
ক গার্নার খ এরিস্টটল গ লাস্কি > ম্যাকাইভার
জাতীয় নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ?
ক ঐচ্ছিক খ কল্যাণমূলক > মুখ্য ঘ সাধারণ
বাংলাদেশের সাথে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এটি রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ?
> অপরিহার্য খ ঐচ্ছিক গ গৌণ ঘ কল্যাণমূলক
রাষ্ট্রের মৌলিক কাজ কোনটি?
> আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা খ জনগণকে শিক্ষতি করা
গ রাষ্ট্রীয় সম্পদ বৃদ্ধি করা ঘ অন্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা
কিরূপ রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কার্যাবলি বেশি বি¯ত্মৃত?
ক উন্নয়নশীল খ অনুন্নত
> অর্থনৈতিকভাবে উন্নত ঘ প্রতিরক্ষায় সমৃদ্ধ
রাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজ কোনটি?
> পেনশন প্রদান খ ন্যূনতম সঠিক মজুরি নির্ধারণ
গ কাজের পরিবেশ সৃষ্টি ঘ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরি
ঈরঃরুবহ শব্দের অর্থ কী?
ক শহরের বাসিন্দা খ ন্যায়ের মানুষ
> নাগরিক ঘ গণমানুষ
হ্যারল্ড জে লাস্কি কোন দেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী?
ক যুক্তরাষ্ট্র খ ফ্রান্স গ ইতালি > ব্রিটেন
নাগরিকের প্রধান কর্তব্য কী?
ক আইন মেনে চলা খ সংবিধান মেনে চলা
> রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা ঘ আইনের প্রতি সম্মান দেখানো
আইনের উৎকৃষ্ট সংজ্ঞা প্রদান করেছেন কে?
ক হল্যান্ড > উড্রো উইলসন
গ অস্টিন ঘ টি. এইচ. গ্রিন
হল্যান্ডের মতে আইনের উৎস কয়টি?
ক ২ খ ৪ গ ৫ > ৬
আইনের সবচেয়ে প্রাচীনতম উৎস কোনটি?
ক ন্যায়বোধ খ রীতিনীতি গ ধর্ম > প্রথা
কোন দেশের অধিকাংশ আইনই প্রথা থেকে এসেছে?
ক যুক্তরাষ্ট্রের > ব্রিটেনের গ গ্রিসের ঘ গণচীনের
আধুনিক রাষ্ট্রে আইনের প্রধান উৎস কোনটি?
ক বিচারকের রায় খ ধর্মীয় অনুশাসন
> আইনসভা ঘ কেন্দ্রীয় কার্যালয়
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কোনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?
ক বিচার বিভাগ খ আইন বিভাগ
গ শাসন বিভাগ > আইনের অনুশাসন
কোনটি নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ?
ক বিচারবিভাগ খ আইনের সাম্য
> আইনের প্রাধান্য ঘ আইনসভা
তথ্য প্রাপ্তির অধিকার বাংলাদেশ সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ?
ক ২৯ খ ৩১ > ৩৯ ঘ ৯৩
বাংলাদেশ সরকার কখন তথ্য অধিকার আইন জারি করে?
ক ৫ এপ্রিল, ২০০১ খ ১৫ এপ্রিল, ২০০১
> ৫ এপ্রিল, ২০০৯ ঘ ১৫ এপ্রিল, ২০০৯
জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে সুনিশ্চিত করার লড়্গ্েয কোন আইন প্রণীত হয়?
ক তথ্য আইন > তথ্য অধিকার আইন
গ তথ্য কমিশন আইন ঘ প্রতিলিপি অধিকার আইন
তথ্য কমিশনে কতজন কমিশনার রয়েছেন?
> দুই খ চার গ পাঁচ ঘ তিন
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিসের পরিমাণ ক্রমশ কমে আসছে?
> কৃষিজমি খ কৃষিঋণ গ কৃষি উপকরণ ঘ প্রযুক্তি
বাংলাদেশের কোন বনভূমির গাছের পাতা একত্রে ফোটেও না’ ঝরেও পড়ে না
ক পাহাড়ি খ ক্রাšত্মীয় পাতাঝরা
গ স্রোতজ > ক্রাšত্মীয় চিরহরিৎ
বাংলাদেশের মোট কত বর্গ কিলোমিটার স্রোতজ বনভূমি রয়েছে?
> ৪১৯২ বর্গকিলোমিটার খ ৫১৯২ বর্গকিলোমিটার
গ ৬৯২১ বর্গকিলোমিটার ঘ ৩১৯২ বর্গকিলোমিটার
বাংলাদেশের বনভূমি কমে যাওয়ার মূল কারণ কোনটি?
ক ভূমিধস খ শিল্প-কারখানা নির্মাণে
> জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঘ জ্বালানি চাহিদা মেটানো
নিচের কোনটি পত্র পতনশীল বনভূমির গাছ?
ক সুন্দরী খ গেওয়া > ময়না ঘ পশুর
নীতু তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে বেড়াতে গিয়ে সেখানকার বনভূমিতে কাঁঠাল, হরীতকী ও নিমগাছ দেখল।
ক ম্যানগ্রোভ খ ক্রাšত্মীয় চিরহরিৎ এবং পত্রপতনশীল
> ক্রাšত্মীয় পাতাঝরা ঘ গরান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বাংলাদেশের আইনসভা
র. জাতীয় সংসদ নামে পরিচিত
রর. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট
ররর. প্রচলিত আইন সংশোধন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র, রর ও ররর খ র ও রর গ রর ও ররর > র ও ররর
সরকার
র. রাষ্ট্রের অপরিহার্য তৃতীয় উপাদান
রর. সকল রাষ্ট্রে একই প্রকৃতির হয়
ররর. রাষ্ট্রের মস্তিষ্কস্বরূপ
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও ররর খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নাগরিকের সামাজিক অধিকার
র. সম্পত্তির অধিকার
রর. চলাফেরার অধিকার
ররর. জীবন ধারণের অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর > র ও রর ঘ র ও ররর
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হল্যান্ডের মতে আইনের উৎস হলো-
র. ন্যায়বোধ
রর. বিচার সংক্রান্ত রায়
ররর. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কার্যাবলি হলো
র. রাষ্ট্রের জনগণকে শিক্ষতি করে তোলা
রর. নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা
ররর. জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও রর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হল্যান্ডের মতে আইনের উৎস হলো-
র. ন্যায়বোধ
রর. বিচার সংক্রান্ত রায়
ররর. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
আইনের উৎস
র. বিচার সংক্রান্ত রায়
রর. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা
ররর. দুর্নীতিমুক্ত সমাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
আইনের শাসন কায়েম হয় না, যখন
র. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে না
রর. গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হয় না
ররর. সকলের অধিকার সমভাবে সংরক্ষতি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
রাষ্ট্রগঠনের পটভূমিতে রয়েছে
র. মানুষকে ঐক্যসূত্রে বাধা
রর. মানুষের সমস্যা সমাধান
ররর. মানুষের কল্যাণ সাধন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
রাষ্টের মৌলিক কাজ হলো
র. আইন প্রণয়ন
রর. প্রতিরক্ষা গঠন
ররর. ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
আইনের অনুশাসন হলো
র. আইনের প্রাধান্য
রর. আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য
ররর. রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিম্নের অনুচ্ছেদেটি পড়ে ৮১ ও ৮২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
একটি বিশেষ শাসন ব্যবস্থায় জনগণই ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত কখনও কখনও নতুন আইন হিসেবে চালু হতে পারে।
অনুচ্ছেদটি কোন শাসন ব্যবস্থার ইঙ্গিত দেয়?
ক একনায়কতন্ত্র > গণতন্ত্র
গ সমাজতন্ত্র ঘ অভিজাততন্ত্র
অনুচ্ছেদে বর্ণিত আইনের উৎস কোনটি?
ক প্রথা খ ধর্ম
> আইনসভা ঘ বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বীণা তার পিতার মৃত্যুর পর সম্পদের একটি অংশ পাবে। বড় ভাই রশিদ মিয়া প্রত্যেক ভাইবোনকে বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বণ্টনের ব্যবস্থা করেন।
রশিদ মিয়া আইনের কোন উৎসটি প্রয়োগ করেছেন?
ক ন্যায়বোধ > প্রথা
গ বিচার সংক্রান্ত ঘ ধর্ম
রশিদ মিয়া যেভাবে সম্পত্তি ভাগ করবেন তাতে বীণা কত অংশ পাবে?
> এক ভাইয়ের অর্ধেক খ এক ভাইয়ের এক-তৃতীয়াংশ
গ এক ভাইয়ের এক-চতুর্থাংশ ঘ এক ভাইয়ের সমান অংশ
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভূমিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
কোনটি সামাজিক জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান? (জ্ঞান)
> রাষ্ট্র খ সরকার
গ নির্বাচন কমিশন ঘ মন্ত্রণালয়
প্রাচীন যুগে রাষ্ট্রকে কী মনে করা হতো? (অনুধাবন)
ক অসামরিক প্রতিষ্ঠান > ঈশ্বরের সৃষ্টি
গ সংঘ ঘ গোষ্ঠী
রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে কোথা থেকে? (অনুধাবন)
> ঐক্যবাদী হওয়ার ইচ্ছা থেকে খ আর্থিক সামর্থ্য থেকে
গ রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে ঘ ভৌগোলিক কাঠামো থেকে
রাষ্ট্রের ধারণা
প্রত্যেক মানুষই বসবাস করে কোনো না কোনো রাষ্ট্রে।
রাষ্ট্রে বসবাসকারী জনগণকে বলা হয় ঐ রাষ্ট্রের নাগরিক।
‘স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র’ এরিস্টটলের মতে।
রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন অধ্যাপক গার্নার।
চারটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্র।
রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে জনসমষ্টি।
রাষ্ট্র গঠনের মুখ্য উপাদান সার্বভৌমত্ব।
সার্বভৌমের আদেশই হলো আইন।
সার্বভৌম শব্দ দ্বারা বোঝায় চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে।
একটি দেশ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হয় না সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা না থাকলে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
কোনটি সামাজিক জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান? (জ্ঞান)
> রাষ্ট্র খ সরকার
গ নির্বাচন কমিশন ঘ মন্ত্রণালয়
আদিম মানুষ কীভাবে বসবাস করত? (জ্ঞান)
ক অঞ্চলভিত্তিক খ রাষ্ট্রভিত্তিক
> গোত্রভিত্তিক ঘ সমাজভিত্তিক
রাষ্ট্রে বসবাসকারী জনগণকে ঐ রাষ্ট্রের কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ক বুদ্ধিজীবী > নাগরিক
গ নাগরিকত্ব ঘ সরকার
রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদের কেন দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়? (অনুধাবন)
ক ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য খ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য
> একটি সুন্দর রাষ্ট্র গড়ার জন্য ঘ সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য
রাষ্ট্র কী ধরনের প্রতিষ্ঠান? (জ্ঞান)
> রাজনৈতিক খ সামাজিক
গ অর্থনৈতিক ঘ সাংস্কৃতিক
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে? (জ্ঞান)
ক গার্নার খ হল্যান্ড > এরিস্টটল ঘ ম্যাকাইভার
কার মতে, রাষ্ট্র হচ্ছে সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারা পরিচালিত একটি সংগঠন, যার কর্তৃত্বমূলক ক্ষমতা রয়েছে এবং নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসরত অধিবাসীদের ওপর বলবৎ হয়? (জ্ঞান)
ক এরিস্টটল > ম্যাকাইভার
গ গার্নার ঘ লাস্কি
কোন উপাদানটি রাষ্ট্রকে অন্য রাষ্ট্র হতে পৃথক করে? (অনুধাবন)
ক সরকার > ভূখণ্ড গ জনসমষ্টি ঘ সার্বভৌমত্ব
জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব কী গঠনের মৌল উপাদান হিসেবে বিবেচ্য হয়? (জ্ঞান)
ক সমাজ খ রাজনৈতিক দল
গ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান > রাষ্ট্র
সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী সুসংগঠিত সরকারের প্রতি স্বভাবগতভাবে আনুগত্যশীল বহিঃশত্রম্নর নিয়ন্ত্রণ হতে মুক্ত স্বাধীন জনসমষ্টি কিসের পরিচয় বহন করে? (জ্ঞান)
ক সমাজ খ পরিবার
গ রাজনৈতিক দল > রাষ্ট্র
চট্টগ্রাম রাষ্ট্র নয় কেন? (অনুধাবন)
ক জনসংখ্যা আছে সরকার নেই
খ স্থানীয় সরকার আছে সার্বভৌমত্ব নেই
> জনসংখ্যা, ভূখণ্ড আছে, সরকার ও সার্বভৌমত্ব নেই
ঘ ভূখণ্ড আছে, তবে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি
রাষ্ট্রের উপাদান কোনটি? (জ্ঞান)
ক ধর্ম খ নির্বাচন গ ন্যায়বোধ > সার্বভৌমত্ব
রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান কোনটি? (জ্ঞান)
ক সরকার খ সার্বভৌমত্ব
> জনসমষ্টি ঘ নির্দিষ্ট ভূখণ্ড
ভারতের জনসংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৮০ কোটির উপরে খ ৮০ কোটির নিচে
> ১০০ কোটির উপরে ঘ ১০০ কোটির নিচে
নিচের কোনটি ড়্গুদ্র রাষ্ট্র? (জ্ঞান)
ক ভারত খ চীন গ কানাডা > মোনাকো
সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা কোনটি? (জ্ঞান)
ক পরিবার > রাষ্ট্র
গ ধর্ম প্রতিষ্ঠান ঘ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
আয়তনে বড় রাষ্ট্র কোনটি? (জ্ঞান)
ক সুইজারল্যান্ড খ ব্রম্ননাই গ ভারত > রাশিয়া
বাংলাদেশ ভূখণ্ডটি পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে কত সালে স্থান পায়? (জ্ঞান)
ক ১৯৫২ খ ১৯৬৬ গ ১৯৬৯ > ১৯৭১
রাষ্ট্র গঠনের তৃতীয় অপরিহার্য উপাদান কোনটি? (জ্ঞান)
ক নির্দিষ্ট ভূখণ্ড খ সার্বভৌমত্ব
> সরকার ঘ জনসমষ্টি
রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কয়টি বিভাগ থাকে? (জ্ঞান)
ক ২ > ৩ গ ৪ ঘ ৫
সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র গঠনের কোন ধরনের উপাদান? (জ্ঞান)
> মুখ্য খ অপরিহার্য গ গৌণ ঘ ঐচ্ছিক
কোনটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়? (জ্ঞান)
ক জনসমষ্টি খ নির্দিষ্ট ভূখণ্ড
> সার্বভৌমত্ব ঘ সরকার
সার্বভৌমত্বের আদর্শ কী? (জ্ঞান)
> আইন খ বিচার গ শাসন ঘ স্বাধীনতা
সার্বভৌম ক্ষমতার কয়টি দিক আছে? (জ্ঞান)
> ২ গ ৩
ক ৪ ঘ ৫
কামরুল চায় তার দেশ বহিঃশক্তির আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকুক। এজন্য তার রাষ্ট্রের কী প্রয়োজন? (প্রয়োগ)
> সার্বভৌমত্ব খ জনসমষ্টি
গ সরকার ঘ নির্দিষ্ট ভূখণ্ড
১৯৭১ সালের পূর্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন করতে পারেনি কেন? (অনুধাবন)
ক জনসংখ্যার অভাব ছিল খ নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ছিল না
> সার্বভৌমত্ব ছিল না ঘ সরকার ছিল না
কাশ্মীর ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। এখানে সরকার আছে, ভূমি আছে, জনসংখ্যা রয়েছে। কাশ্মীরের জনগণ দীর্ঘদিন যাবত স্বাধীন রাষ্ট্র কায়েম করতে চাচ্ছে কিন্তু পারছে না। কাশ্মীরের জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র কায়েম করতে না পারার কারণ কী? (প্রয়োগ)
ক ভূখণ্ড আলাদা নয় খ সরকার দেশ চালাতে পারে না
> সার্বভৌম ক্ষমতা নেই ঘ জনসংখ্যা অল্প
রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা কার দ্বারা বাস্তবায়িত হয়? (অনুধাবন)
ক রাষ্ট্রপতি খ প্রধানমন্ত্রী গ আইনসভা > সরকার
আরিফ বাধ্যতামূলকভাবে একটি বৃহৎ ভৌগোলিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য। সে চাইলেও এ প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ ত্যাগ করতে পারে না। সে নিচের কোন প্রতিষ্ঠানের সদস্য? (প্রয়োগ)
ক সংঘ খ পাড়ার ক্লাব
> রাষ্ট্র ঘ গির্জা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
রাষ্ট্রকে মনে করা হতো ঈশ্বরের সৃষ্টি করা একটি প্রতিষ্ঠান (অনুধাবন)
র. প্রাচীন যুগ
রর. মধ্যযুগে
ররর. শিল্পযুগে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রকে ব্যাখ্যা করেছেন (অনুধাবন)
র. সর্বজনীন কল্যাণ সাধনকারী প্রতিষ্ঠান বলে
রর. মানুষের স্বাধীনতা বিকাশের জন্য অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান বলে
ররর. মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে জনসমষ্টির- (অনুধাবন)
র. পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে
রর. ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা হতে
ররর. পারস্পরিক সম্পর্ক হতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নির্দিষ্ট ভূখণ্ড বলতে বোঝায় রাষ্ট্রের (অনুধাবন)
র. স্থলভাগ
রর. জলভাগ
ররর. আকাশসীমা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
জনসংখ্যা একশ কোটির উপরে (অনুধাবন)
র. স্যানম্যারিনোর
রর. ভারতের
ররর. গণচীনের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
চিত্রে রাষ্ট্রের যেসব উপাদান অনুপস্থিত তা হলো (প্রয়োগ)
র. সরকার
রর. বিচার বিভাগ
ররর. সার্বভৌমত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
যেসব বিভাগের সমন্বয়ে সরকার গঠিত হয় তা হলো (অনুধাবন)
র. বিচার বিভাগ
রর. শাসন বিভাগ
ররর. আইন বিভাগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
সার্বভৌম শব্দ দ্বারা বোঝায় (অনুধাবন)
র. চরম ক্ষমতা
রর. চূড়ান্ত ক্ষমতা
ররর. ক্ষমতাহীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সরকার বলতে ব্যাপক অর্থে তাদেরকে বোঝায় যারা (অনুধাবন)
র. প্রত্যক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে
রর. পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে
ররর. অভ্যন্তরীণভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়- (অনুধাবন)
র. আন্তর্জাতিক সংস্থার ওপর
রর. সকল ব্যক্তির ওপর
ররর. সকল প্রতিষ্ঠানের ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে (অনুধাবন)
র. রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়
রর. রাষ্ট্র অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক হয়
ররর. সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
জনসমষ্টি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে (অনুধাবন)
র. জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে
রর. সংগ্রাম ও যুদ্ধের মাধ্যমে
ররর. সাংবিধানিকভাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের ছকটি দেখে ১২৯ ও ১৩০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘?’ চিিহ্নত স্থানে কোনটি বসবে? (প্রয়োগ)
ক মন্ত্রিপরিষদ খ আইনবিভাগ
> সার্বভৌমত্ব ঘ বিচার বিভাগ
উক্ত বিষয়টির মাধ্যমে-
র. রাষ্ট্র গঠিত হয়
রর. রাষ্ট্র অন্যান্য সংস্থা থেকে পৃথক হয়
ররর. বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ মুক্ত থাকে
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
রাষ্ট্রের কার্যাবলি
মানবজীবনের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনই হলো রাষ্ট্রের কাজ।
রাষ্ট্র প্রধানত ভূমিকা পালন করে থাকে দুই ধরনের।
‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের প্রাথমিক কাজ’ আর এম ম্যাকাইভারের মতে।
রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা অপরিহার্য কাজ।
ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব গ্রন্থের লেখক আর এম ম্যাকাইভার।
রাষ্ট্রের স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গড়ে উঠে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
আইন প্রণয়ন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের মৌলিক কাজ।
বহির্বিশ্বে অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক কাজ।
জনগণের স্বাধীনতা এবং অধিকার রক্ষা করা হলো রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কাজ।
প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রকে মোকাবিলা করতে হয় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিশেস্নষকদের মতে, রাষ্ট্র প্রধানত কয় ধরনের ভূমিকা পালন করে? (জ্ঞান)
> ২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলিকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
> ২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
রাষ্ট্রের অপরিহার্য কাজ কোনটি? (জ্ঞান)
ক শিক্ষা খ সড়ক উন্নয়ন
গ শ্রমিক কল্যাণ > স্বাধীনতা রক্ষা
‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের প্রাথমিক কাজ’- কে বলেছেন? (জ্ঞান)
ক গার্নার > ম্যাকাইভার
গ এরিস্টটল ঘ হল্যান্ড
নাগরিকের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্রের করণীয় কী? (জ্ঞান)
> অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা
খ শিল্প ও বাণিজ্যের সম্প্রসারণ
গ শ্রম আদালত স্থাপন
ঘ সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রবর্তন
রাষ্ট্রের মুখ্য কাজ কোনটি? (জ্ঞান)
ক শিক্ষা বিস্তার খ পেনশন প্রদান
> জীবনের নিরাপত্তা বিধান ঘ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা
আধুনিককালে প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্রই শক্তিশালী কী গড়ে তুলেছে? (জ্ঞান)
ক সেনাবাহিনী > প্রতিরক্ষাবাহিনী
গ নৌবাহিনী ঘ বিমানবাহিনী
কিসের মাধ্যমে এদেশে আইন প্রণীত হয়? (জ্ঞান)
ক রাষ্ট্রের প্রচলিত প্রথার > রাষ্ট্রীয় আইনসভার
গ সংবিধানের ঘ রাষ্ট্রের প্রচলিত রীতির
রাষ্ট্রের দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদন, নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রত্যেক রাষ্ট্রে কী গড়ে ওঠে? (জ্ঞান)
ক আইন বিভাগ খ বিচার বিভাগ
গ কেন্দ্রীয় প্রশাসন > প্রশাসনিক কাঠামো
অর্থ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অর্থ সংগ্রহ ও বণ্টন ব্যবস্থা গড়ে তোলা রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ? (অনুধাবন)
> মুখ্য খ ঐচ্ছিক গ কল্যাণমূলক ঘ গৌণ
বর্তমানে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই নিজেদের কিরূপ রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে? (জ্ঞান)
> কল্যাণমূলক খ শক্তিশালী গ উন্নত ঘ শ্রেষ্ঠ
জনকল্যাণ ও উন্নয়নে রাষ্ট্রের কাজগুলোকে কী বলে? (জ্ঞান)
> গৌণ কাজ খ মুখ্য কাজ
গ আদর্শ কাজ ঘ কল্যাণকামী কাজ
কোনটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ? (জ্ঞান)
ক জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা দান
খ জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা দান
গ জনসাধারণের সামাজিক নিরাপত্তা দান
> জনসাধারণকে শিক্ষতি করে তোলা
রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ কী? (জ্ঞান)
ক পরিশ্রমী জনগোষ্ঠী > শিক্ষতি জনগোষ্ঠী
গ পোশাক শিল্প ঘ প্রাকৃতিক সম্পদ
শিক্ষা বিস্তার ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ? (জ্ঞান)
ক মুখ্য খ সাধারণ > ঐচ্ছিক ঘ অপরিহার্য
জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং বিদ্যমান বিভিন্ন বৈষম্য ও কুপ্রথা দূরীকরণে রাষ্ট্র কিরূপ ভূমিকা পালন করে? (জ্ঞান)
ক অর্থনৈতিক > সামাজিক গ রাজনৈতিক ঘ প্রশাসনিক
রাসেল তার দাঁত ব্যথার কারণে সরকারি দাতব্য চিকিৎসালয়ে গেল। সেখানে সে বিনা খরচে চিকিৎসা পেল। এটা রাষ্ট্রের কেমন কাজ? (প্রয়োগ)
ক নৈতিক খ মুখ্য গ অপরিহার্য > স্বাস্থ্যসেবামূলক
বর্তমান বিশ্বে কোনটির ক্ষেত্রেব্যাপক বিপস্নব সংঘটিত হয়েছে?
> যোগাযোগ ব্যবস্থা খ নেটওয়ার্কিং (জ্ঞান)
গ চাকরি ঘ ব্যবসায়
রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনটি? (অনুধাবন)
ক রাস্তা নির্মাণ খ সেতু বিনির্মাণ
গ বিমান যোগাযোগ স্থাপন > জনগণের অধিকার রক্ষা করা
বেকার ভাতা প্রদান কোন রাষ্ট্র্রের বৈশিষ্ট্য? (জ্ঞান)
> কল্যাণমূলক খ গণতান্ত্রিক
গ সমাজতান্ত্রিক ঘ একনায়কতান্ত্রিক
কোনটি রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কাজ? (জ্ঞান)
ক প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন খ আইন প্রণয়ন করা
> বেকার ভাতা প্রদান ঘ পররাষ্ট্রবিষয়ক কাজ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কাজ (অনুধাবন)
র. শিক্ষাবিস্তার
রর. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
ররর. চুক্তি সম্পাদন
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক অপরিহার্য কাজ- (অনুধাবন)
র. প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা
রর. আঞ্চলিক কোর্ট গঠন
ররর. শিক্ষা বিস্তার
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য রাষ্ট্রের করণীয়- (অনুধাবন)
র. কাজের সময় নির্ধারণ
রর. সঠিক মজুরি নির্ধারণ
ররর. কাজের পরিবেশ সৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
রাষ্ট্রের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। উক্তিটি প্রমাণ করে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুর্নীতি পরায়ণতা রোধ করা
রর. জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করা
ররর. বহিঃশত্রম্নর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
রাষ্ট্রের প্রধান কাজ হলো (অনুধাবন)
র. জনগণকে আইন মানতে বাধ্য করা
রর. সমাজের শান্তি ভঙ্গকারীদের শাস্তির বিধান করা
ররর. অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
যেগুলো ব্যবহারের ফলে বিশ্বের পারস্পরিক যোগাযোগ অনেক বেড়ে গেছে- (অনুধাবন)
র. নেটওয়ার্কিং
রর. ইন্টারনেট
ররর. তরঙ্গ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে (অনুধাবন)
র. নৌ বাহিনীর সমন্বয়ে
রর. স্থল বাহিনীর সমন্বয়ে
ররর. বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
রাষ্ট্রের বাধ্যতামূলক দায়িত্ব প্রশাসনিক কাঠামোর (অনুধাবন)
র. কাজ তদারক
রর. কর্মকর্তাদের নিয়োগ
ররর. কর্মবণ্টন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত (অনুধাবন)
র. খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা
রর. বিমান যোগাযোগ স্থাপন
ররর. সেতু বিনির্মাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে সহজ যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ করা হয়, এ ধরনের নির্মাণকাজ মূলত রাষ্ট্রের (প্রয়োগ)
র. অপরিহার্য কাজ
রর. ঐচ্ছিক কাজ
ররর. যোগাযোগ রক্ষামূলক কাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর > রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য (অনুধাবন)
র. শ্রমনীতিমালা প্রণয়ন
রর. কাজের পরিবেশ সৃষ্টি
ররর. নাগরিক সুবিধা সৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক ও জনহিতকর কাজ হলো (অনুধাবন)
র. বনায়ন কর্মসূচি
রর. কর্মসংস্থান সৃষ্টি
ররর. প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৪ ও ১৬৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
এ বছর বন্যায় ‘ক’ জেলার জনগণের প্রচুর ক্ষতি হয়। নদীভাঙনে অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। সরকার ভুক্তভোগীদের মধ্যে নানা রকম ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে।
অনুচ্ছেদে উলিস্নখিত জনগণের বিপদে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ সরকারের কোন ধরনের কাজ? (প্রয়োগ)
ক মুখ্য > গৌণ গ নিয়ন্ত্রণমূলক ঘ বাধ্যতামূলক
অনুচ্ছেদে উলিস্নখিত মানুষের এ ধরনের কষ্ট থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারের উচিত (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা
রর. নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা
ররর. ছিটমহল সমস্যার সমাধান করা
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নাগরিকের ধারণা : নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য
রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।
ল্যাটিন শব্দ ঈরারপং থেকে উৎপত্তি হয় ঈরঃরুবহ বা নাগরিক শব্দটির।
বর্তমানে নগর রাষ্ট্রের স্থলে উৎপত্তি ঘটেছে জাতীয় রাষ্ট্রের।
নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।
পৌরনীতি পাঠের মূল বিষয়বস্তু হলো নাগরিকত্ব ও রাষ্ট্র।
সাধারণত নাগরিক শব্দটি দ্বারা বোঝায় নগরে বসবাসরত অধিবাসীকে।
ভিন্নমতকে মুল্যায়ন ও সম্মান করার মধ্য দিয়ে অর্জন করা সম্ভব জাতীয় সংহতি।
পরস্পর নির্ভরশীল ও পরিপূরক অধিকার ও কর্তব্য।
নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো ভোট দেওয়া।
প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যে থাকতে হবে দেশপ্রেম।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
রাষ্ট্র গঠনের পূর্বশর্ত কোনটি? (জ্ঞান)
> জনসমষ্টি খ আইন বিভাগ
গ বিচার বিভাগ ঘ শাসন বিভাগ
নাগরিকদের সঙ্গে কার সম্পর্ক নিবিড়? (জ্ঞান)
ক সমাজের খ গ্রামের
> রাষ্ট্রের ঘ সরকারের
“যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে তাকেই নাগরিক বলা হয়”-উক্তিটি কার? (জ্ঞান)
ক গেটেলের খ গার্নারের
> হ্যারণ্ড জে. লাস্কির ঘ এরিস্টটলের
নাগরিক কাকে বলে? (জ্ঞান)
ক যে রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে
খ যে রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে
গ যে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে
> যে স্থায়ীভাবে রাষ্ট্রে বসবাস ও রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে
পৌরনীতি পাঠের মূল বিষয়বস্তু কী? (জ্ঞান)
> নাগরিকত্ব ও রাষ্ট্র খ সরকার ও রাষ্ট্র
গ নাগরিকত্ব ও নাগরিক ঘ নগর রাষ্ট্র
শব্দগত অর্থে নাগরিক বলতে কী বোঝায়? (জ্ঞান)
ক গ্রামের অধিবাসী খ দেশের অধিবাসী
> নগরের অধিবাসী ঘ নগরের কর্মকর্তা
“সেই ব্যক্তিই নাগরিক যে নগররাষ্ট্রের শাসনকার্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে”- এটা কার মত? (জ্ঞান)
ক পেস্নটো খ ই. এম. হোয়াইট
> এরিস্টটল ঘ বার্জেস
ঢ নামক রাষ্ট্র দাস ও নারীদের নাগরিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেনি। ঢ রাষ্ট্রের সাথে নিচের কোনটির সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
ক ল্যাটিন রাষ্ট্র খ ব্রিটিশ রাষ্ট্র
> গ্রিক রাষ্ট্র ঘ ইন্ডিয়ান রাষ্ট্র
বর্তমানে নগর রাষ্ট্রের স্থলে কিসের উৎপত্তি ঘটেছে? (জ্ঞান)
ক ডোমিনিয়নের খ আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রের
গ আন্তর্জাতিক জোটের > জাতীয় রাষ্ট্রের
কার মতে, নাগরিক হচ্ছে রাজনৈতিক সমাজের সেইসব সদস্য, যারা উক্ত সমাজের প্রতি কর্তব্য পালনে বাধ্য থাকেন এবং সে সমাজ থেকে সকলে সুযোগ-সুবিধা লাভের অধিকারী হন? (জ্ঞান)
> অধ্যাপক গেটেল খ অধ্যাপক গার্নার
গ লাস্কি ঘ এরিস্টটল
নাগরিকতার মূল লড়্গ্য হিসেবে কোনটি যৌক্তিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ব খ বিশ্বভ্রাতৃত্ব
গ সর্বজনীন কল্যাণ > সার্বিক অধিকার ভোগ
নাগরিককে কোনটির ব্যাপারে তাকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে? (জ্ঞান)
> রাষ্ট্রের নিরাপত্তা খ রাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক
গ রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা ঘ রাষ্ট্রের অবকাঠামো
কেউ আইন অমান্য করলে সমাজে কী দেখা দেয়? (জ্ঞান)
> বিশৃঙ্খলা খ দুর্যোগ গ বিপর্যয় ঘ সন্ত্রাস
সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেয়া নাগরিকের কিরূপ দায়িত্ব ও কর্তব্য? (জ্ঞান)
ক নৈতিক খ সামাজিক
গ প্রধান > পবিত্র
রাষ্ট্রীয় আয়ের প্রধান উৎস কোনটি? (জ্ঞান)
ক বাণিজ্য শুল্ক খ বৈদেশিক রেমিটেন্স
> নাগরিকের প্রদেয় কর ও খাজনা ঘ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান
আহসান অন্যের মতকে মূল্যায়ন এবং সম্মান করে। এর মাধ্যমে কী অর্জন করা সম্ভব? (প্রয়োগ)
> জাতীয় সংহতি খ জাতীয় শান্তি
গ ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘ আন্তর্জাতিক অগ্রগতি
রাষ্ট্রের বেআইনি কোনো কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো নাগরিকের কোন ধরনের দায়িত্ব? (জ্ঞান)
ক পবিত্র খ ধর্মীয় > নৈতিক ঘ মৌলিক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নাগরিকের কর্তব্য হলো- (অনুধাবন)
র. রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা
রর. কর প্রদান করা
ররর. সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
সরকার কর ধার্য করে- (অনুধাবন)
র. রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য
রর. প্রতিরক্ষার জন্য
ররর. উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদনের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
নাগরিকের সততা, কাজে একাগ্রতা ও নিষ্ঠার ওপর নির্ভর করে সরকারের- (অনুধাবন)
র. উন্নতি
রর. অবনতি
ররর. সফলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
রাষ্ট্রের মঙ্গল ও কল্যাণ সাধনের জন্য নাগরিককে বিবেকবান হতে হবে। প্রকৃতপড়্গে বিবেকবান নাগরিকের প্রয়োজন রয়েছে- (অনুধাবন)
র. রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনের জন্য
রর. প্রবাসীদের প্রতি কর্তব্য পালনের জন্য
ররর. সমাজসেবা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বৃহৎ অর্থে, নাগরিক বলতে তাদেরকে বোঝায় যারা (অনুধাবন)
র. রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে
রর. রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে
ররর. সরাসরি রাষ্ট্রের শাসন কাজে অংশগ্রহণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
আধুনিক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেবলা যায়- (অনুধাবন)
র. নাগরিক সুবিধা সকলেই ভোগ করে
রর. রাষ্ট্রগুলো আয়তনে অনেক বড়
ররর. জনসংখ্যা কম থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নাগরিকদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে (অনুধাবন)
র. রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য
রর. নিজের সুবিধা আদায়ের জন্য
ররর. রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব হলো (অনুধাবন)
র. সংবিধান মেনে চলা
রর. আইনের প্রতি সম্মান দেখানো
ররর. সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯১ ও ১৯২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নাদিম বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। সে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে এবং রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধনে ভূমিকা রাখে।
নাদিমকে কী বলে অভিহিত করা যায়? (প্রয়োগ)
> নাগরিক খ শিক্ষক গ চিকিৎসক ঘ আমলা
অনুচ্ছেদে বর্ণিত কার্যক্রমের ফলে নাদিম বাংলাদেশের নিকট থেকে ভোগ করবে
র. রাজনৈতিক অধিকার রর. সামাজিক অধিকার
ররর. অর্থনৈতিক অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
আইনের ধারণা, বৈশিষ্ট্য উৎস ও প্রয়োজনীয়তা
সামাজিকভাবে স্বীকৃত লিখিত ও অলিখিত বিধিবিধান ও রীতিনীতিকে বলে আইন।
আইনের উৎকৃষ্ট সংজ্ঞা প্রদান করেছেন উড্রো উইলসন।
আইনের ৬টি প্রধান উৎসের কথা বলেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হল্যান্ড।
আইনের সবচেয়ে প্রাচীনতম উৎস প্রথা।
ইসলামিক রাষ্ট্রের আইন প্রধানত নির্ভরশীল কুরআন ও শরিয়ার ওপর।
ন্যায়নীতি ও ন্যায়পরাণতা আইনের একটি প্রকৃষ্ট উৎস।
আধুনিক রাষ্ট্রে আইনের প্রধান উৎস আইনসভা।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনের অনুশাসন।
সাধারণভাবে আইনের অনুশাসন প্রকাশ করে দুইটি ধারণা।
আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
আইনের অনুশাসন বলতে প্রধানত কয়টি ধারণাকে বোঝায়? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৪ গ ৩ > ২
সামাজিক জীবনে যে সকল বিধিবিধান বা রীতিনীতি মানুষ মেনে চলে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ধর্মীয় আইন > সামাজিক আইন
গ আন্তর্জাতিক আইন ঘ রাষ্ট্রীয় আইন
সার্বজনীনভাবে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন আদেশ নির্দেশ কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
> রাষ্ট্রীয় আইন খ সামাজিক আইন
গ ধর্মীয় আইন ঘ অর্থনৈতিক আইন
রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত অধিকার এবং বাধ্যবাধকতাসমূহ আইনকে বলেছেন? (জ্ঞান)
ক হল্যান্ড খ উড্রো উইলসন
> টি. এইচ. গ্রিন ঘ অস্টিন
‘আইন হচ্ছে মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের কতগুলো সাধারণ নিয়ম যা সার্বভৌম শক্তি কর্তৃক প্রণীত হয়’ কার মতে? (জ্ঞান)
ক টি. এইচ. গ্রিন > হল্যান্ড
গ উড্রো উইলসন ঘ বস্ন্যাকস্টোন
আইন হলো সমাজের সেই সকল প্রতিষ্ঠিত প্রথা ও রীতিনীতি যেগুলো সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত এবং যা সরকারের অধিকার ও ক্ষমতার দ্বারা বলবৎ করা হয়- উক্তিটি কার? (জ্ঞান)
> উড্রো উইলসনের খ টি.এইচ. গ্রিনের
গ অস্টিনের ঘ হল্যান্ডের
কোনটি মানুষের বাহ্যিক আচরণ ও ক্রিয়াকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করে? (জ্ঞান)
ক প্রথা খ ধর্ম > আইন ঘ আইনসভা
কোনটি আইনের বৈশিষ্ট্য? (জ্ঞান)
ক বৈচিত্র্য খ অপরিবর্তনীয় > সার্বজনীন ঘ সর্বব্যাপিতা
মানুষের ওপর কোনটির প্রভাব অপরিসীম? (জ্ঞান)
ক প্রথা > ধর্ম গ মূল্যবোধ ঘ ন্যায়বোধ
কোন রাষ্ট্রের ধর্মীয় বিধানই রাষ্ট্রীয় আইন হিসেবে বিবেচিত হয়? (জ্ঞান)
ক সমাজতান্ত্রিক খ গণতান্ত্রিক গ প্রজাতান্ত্রিক > ধর্মভিত্তিক
বিবাহ, উত্তরাধিকার প্রভৃতি বিষয়ে মুসলমান ও হিন্দুরা কোন আইন মেনে চলে? (জ্ঞান)
ক সামাজিক > ধর্মীয় গ রাষ্ট্রীয় ঘ প্রচলিত
অ্যাডভোকেট রাসেল কোনো এক মামলার রায়ে স্বীয় বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার সাহায্যে মামলার নিষ্পত্তি করেন। এটি কোন ধরনের আইনরে উৎস? (প্রয়োগ)
ক প্রথা > বিচার সংক্রান্ত
গ ধর্মীয় ঘ বিজ্ঞানসম্মত
ইসলামি আইনের ক্ষেত্রেকার অভিমত আইনের মর্যাদা লাভ করেছে? (জ্ঞান)
ক ইমাম গাযযালি খ বস্নাকস্টোন
গ আইনবিদ কোক > ইমাম আবু হানিফা
কোনটি আইনের প্রকৃষ্ট উৎস? (অনুধাবন)
ক প্রথা খ ধর্ম
গ বিচারসংক্রান্ত > ন্যায়বোধ
দেশের জনগণের স্বার্থকে লক্ষ রেখে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও সংশোধন হয়ে থাকে কোথায়? (জ্ঞান)
ক আইনমন্ত্রণালয়ে > আইনসভায়
গ বিচার বিভাগে ঘ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
কখন সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে? (জ্ঞান)
> রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে
খ রাষ্ট্রের লোকসংখ্যা কম হলে
গ রাষ্ট্রের নাগরিকগণ শিক্ষতি হলে
ঘ নাগরিক সচেতন হলে
রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন না থাকলে কী হয়? (জ্ঞান)
> ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব হয় খ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়
গ সামাজিক অধিকার বৃদ্ধি পায় ঘ রাজনৈতিক স্বাধীনতা থাকে না
আইনের শাসন জনগণের কী সংরক্ষণ করে? (অনুধাবন)
ক গণতান্ত্রিক অধিকার > মৌলিক অধিকার
গ সামাজিক অধিকার ঘ ধর্মীয় অধিকার
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
আইনের বৈশিষ্ট্য হলো (অনুধাবন)
র. আইন সর্বজনীন
রর. আইন অমান্যকারীকে শাস্তি পেতে হয়
ররর. মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে আইন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
আইনের উৎস হলো (অনুধাবন)
র. প্রথা
রর. ধর্ম
ররর. আইনসভা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
মুসলমান ও হিন্দুরা নিজ নিজ ধর্মীয় আইন মেনে চলে যেসব ড়্গেেত্র (অনুধাবন)
র. বিবাহ
রর. রীতিনীতি
ররর. উত্তরাধিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ব্রিটেনের আইন ব্যবস্থায় যে সব আইনবিদের অভিমত আইনের মর্যাদা লাভ করেছে- (অনুধাবন)
র. কোক
রর. বস্নাকস্টোন
ররর. বটোমর
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
আইন হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের (অনুধাবন)
র. বিধিবিধান
রর. নিয়মকানুন
ররর. রীতিনীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
সামাজিক প্রথা হচ্ছে সমাজে প্রচলিত (অনুধাবন)
র. অভ্যাস
রর. আচার-আচরণ
ররর. রীতিনীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস (অনুধাবন)
র. ধর্মগ্রন্থ
রর. ধর্মীয় ব্যাখ্যা
ররর. ধর্মীয় অনুশাসন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় আইনের সন্ধান লাভ করে প্রখ্যাত আইনবিদদের- (অনুধাবন)
র. ব্যাখ্যা থেকে
রর. আলোচনা থেকে
ররর. মূল্যায়ন থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বিচারকগণ প্রচলিত আইনের অস্পষ্টতার নতুন ব্যাখ্যা প্রদান করেন (অনুধাবন)
র. নিজস্ব বুদ্ধি দ্বারা
রর. প্রজ্ঞা দ্বারা
ররর. মেধা দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
বিচারক প্রণীত আইন বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. বিচারকগণ প্রজ্ঞার সাহায্যে প্রচলিত আইনের অস্পষ্টতার ব্যাখ্যা দেন
রর. বিষয়টির অস্পষ্টতার জন্য প্রধান বিচারপতির ব্যাখ্যা চান
ররর. বিষয়টি নিষ্পত্তির ভিত্তিতে নতুন আইন তৈরি করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
আইন হিসেবে গৃহীত হয়ে থাকে (অনুধাবন)
র. বৈদেশিক চুক্তি
রর. রাষ্ট্রীয় সংবিধান
ররর. রাষ্ট্র প্রধানের জারিকৃত প্রশাসনিক ডিক্রি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
আইনের প্রাধান্যের পরিপন্থী হলো বিনা বিচারে কাউকে (অনুধাবন)
র. আটক রাখা
রর. শাস্তি দেওয়া
ররর. অপরাধী গণ্য করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
আইনের দৃষ্টিতে সাম্য মানে- (অনুধাবন)
র. সকলের জন্য একই আইন প্রযোজ্য
রর. বিনা অপরাধে কাউকে আটকে না রাখা
ররর. আইনের চোখে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২২৪ ও ২২৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নবম শ্রেণির ছাত্রী ফাহমিদা বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বই পড়ে আইনের একটি উৎস সম্পর্কে জানতে পারে। উক্ত উৎসটি আধুনিক রাষ্ট্রের আইনের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত
ফাহমিদা আইনের কোন উৎস সম্পর্কে জানতে পারে? (প্রয়োগ)
ক প্রথা খ ধর্ম > আইনসভা ঘ ন্যায়বোধ
আইনের উক্ত উৎস (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আইন প্রণয়ন করে
রর. আইন সংশোধন করে
ররর. বিচারকের রায় পর্যালোচনা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইন
জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে সুনিশ্চিত করার লড়্গ্েয প্রণীত হয় তথ্য অধিকার আইন।
চিšত্মা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে।
বাংলাদেশ সরকার তথ্য অধিকার আইন জারি করে ৫ এপ্রিল, ২০০৯।
বর্তমান তথ্য অধিকার আইনে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়েছে তথ্য কমিশন নামে।
তথ্য কমিশনে একজন প্রধান তথ্য কমিশনারসহ রয়েছেন দুইজন তথ্য কমিশনার।
জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে সুনিশ্চিত করার লড়্গ্েয প্রণীত হয় তথ্য অধিকার আইন ২০০৯।
নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত চিšত্মা, বিবেক ও বাক স্বাধীনতা।
তথ্য জানার জন্য আবেদন করতে হবে লিখিতভাবে বা ই-মেইলে।
তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রেদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে হয়ে উঠতে হবে তথ্যের সংরক্ষক বা ভাণ্ডার।
গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হবে তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সংবিধানের কত অনুচ্ছেদে নাগরিকের চিšত্মা, বিবেক, বাক্স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ৩৮ > ৩৯ গ ৪০ ঘ ৪১
তথ্য শব্দটির অন্তর্ভুক্ত কোনটি? (জ্ঞান)
> যে কোনো ধরনের রেকর্ড খ দাপ্তরিক নোট সিট
গ নোট সিটের প্রতিলিপি ঘ ভৌতিক চিত্র
বর্তমান তথ্য অধিকার আইনে কোন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে? (জ্ঞান)
ক তথ্য মন্ত্রণালয় খ তথ্য অধিদপ্তর
গ তথ্য কার্যালয় > তথ্য কমিশন
তথ্য কমিশনের কতজন প্রধান তথ্য কমিশনার রয়েছে? (জ্ঞান)
> ১ খ ২ গ ৩ ঘ ৪
তথ্য জানতে জনগণ কীভাবে আবেদন করবে? (জ্ঞান)
> লিখিতভাবে খ চাপসৃষ্টির মাধ্যমে
গ মৌখিকভাবে ঘ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে
তথ্য প্রদানের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী কত দিনের মধ্যে অনুরোধকারী আপিল করতে পারবে? (জ্ঞান)
ক ১৫ খ ২০ গ ২৫ > ৩০
আবেদনকারীর আপিল কর্তৃপক্ষরে নিকট আইন মোতাবেক সুবিচার না পেলে কোনটির নিকট অভিযোগ পাঠানো যাবে? (জ্ঞান)
ক তথ্য মন্ত্রণালয় খ তথ্য অধিদপ্তর
> তথ্য কমিশন ঘ তথ্য কার্যালয়
তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রেআমাদের তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে কী হতে হবে? (জ্ঞান)
ক অবগত খ অবহেলা
> সচেতন ঘ মনোযোগী
তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রেকোন আইন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে? (জ্ঞান)
> তথ্য ও অধিকার আইন খ মানবাধিকার আইন
গ নারী নির্যাতন আইন ঘ শিশু অধিকার আইন
তথ্য অধিকার কীসের ভিত মজবুত করে? (জ্ঞান)
> গণতন্ত্র খ নির্বাচন
গ রাজতন্ত্র ঘ স্বাধীনতা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বাংলাদেশের সংবিধানে অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত- (অনুধাবন)
র. চিšত্মা
রর. বিবেক
ররর. বাক্স্বাধীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর গ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
তথ্য জানার জন্য নাগরিকদের আবেদন করতে হবে (অনুধাবন)
র. লিখিতভাবে
রর. মৌখিকভাবে
ররর. ই-মেইলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর > র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
আইন অনুযায়ী তথ্যপ্রদান ইউনিট হিসেবে কাজ করে সরকারের- (অনুধাবন)
র. বিভাগীয় কার্যালয়
রর. আঞ্চলিক কার্যালয়
ররর. জেলা কার্যালয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
তথ্য অধিকার আইন গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করে যেভাবে- (অনুধাবন)
র. সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে
রর. দুর্নীতি নির্মূল করে
ররর. জনগণকে সচেতন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রেদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে-
(অনুধাবন)
র. তথ্য সরবরাহের ব্যর্থতা নির্ধারণ
রর. কর্তৃপক্ষরে কাছ থেকে তথ্য প্রাপ্তির সুবিধা সৃষ্টি
ররর. তথ্যের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর
তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রেদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তথ্যের- (অনুধাবন)
র. সংরক্ষক
রর. ভাণ্ডার
ররর. পর্যবেক্ষক
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে (অনুধাবন)
র. প্রান্তিক মানুষের
রর. সুবিধাবঞ্চিত মানুষের
ররর. দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের
নিচের কোনটি সঠিক?
> র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৪৩ ও ২৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালের ৫ এপ্রিল একটি আইন প্রণয়ন করে। উক্ত আইনের আওতাধীন বিষয় জানার জন্য লিখিতভাবে বা ই-মেইলে আবেদন করতে হয়
অনুচ্ছেদে কোন আইনের কথা বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন খ যৌতুক নিরোধ আইন
> তথ্য অধিকার আইন ঘ শিশু আইন-১৯৭৪
উক্ত আইনের ক্ষেত্রেপ্রযোজ্য তথ্যসমূহ হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সরকারি আয়-ব্যয়ের হিসাব জানা যায়
রর. ২০০৯ সালে জারি হয়
ররর. তথ্য প্রাপ্তির অধিকার সুনিশ্চিত করার লড়্গ্েয প্রণীত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর > র, রর ও ররর