নাম | সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ । |
জন্ম ও জন্মস্থান | ১৯২০ (মতান্তরে ১৯২২) সালের ১৫ই আগস্ট; চট্টগ্রামের ষোলশহর। |
পারিবারিক পরিচয় | পিতার নাম সৈয়দ আহমাদউলস্নাহ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। মায়ের নাম নাসিম আরা খাতুন। তিনি ছিলেন উচ্চশিক্ষতিা ও সংস্কৃতিমনা। |
শিক্ষা ও পেশা | ১৯৩৯ সালে কুড়িগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ডিস্টিঙ্কশনসহ বিএ ডিগ্রি পাস করেন এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে এমএ ক্লাস পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। পেশাগত জীবনের শুরু ‘দৈনিক স্টেটসম্যান’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা দিয়ে। কিছুদিন কাজ করেছেন বেতারে, তারপর তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসে। সর্বশেষ কাজ করেছেন ইউনেস্কো সদর দপ্তরে। |
বিশেষ অবদান | বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে প্যারিসে থেকে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করেন। |
উলেস্নখযোগ্য সাহিত্যকর্ম | প্রথম গল্পগ্রন্থ : ‘নয়নচারা’ (১৯৪৫)। পরবর্তী গল্পগ্রন্থ : ‘দুই তীর ও অন্যান্য গল্প’ (১৯৬৫)। উপন্যাস : ‘লালসালু’ (১৯৪৯), ‘চাঁদের অমাবস্যা’ (১৯৬৪), ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ (১৯৬৮)। নাটক : ‘বহিপীর’ (১৯৬০), ‘সুড়ঙ্গ’ (১৯৬৪), ‘তরঙ্গভঙ্গ’ (১৯৬৫)। |
পুরস্কার ও সম্মাননা | সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘পিইএন পুরস্কার’ (১৯৫৫), ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ (১৯৬১), ‘আদমজী পুরস্কার’ (১৯৬৫) ও ‘একুশে পদক’ (মরণোত্তর, ১৯৮৪) লাভ করেন। |
মৃত্যু | ১৯৭১ সালের ১০ই অক্টোবর প্যারিসে। |
১ নং. আজাদের বাবা নামকরা পীর ছিলেন। কিন্তু আজাদ লেখাপড়া শিখেছেন। শহরে চাকরি করেন। দীর্ঘদিন পর গ্রামে বেড়াতে আসেন। গ্রামের মুরুব্বি তার কাছে এসে তাকে সালাম করতে যায়। আজাদ সাহেব নিজেই তাকে সালাম করেন, কিন্তু মুরুব্বি এ ঘটনায় নিজেকে পাপী মনে করেন। আরেক জন তার কাছে পানি পড়া নিতে আসে। তাকে আজাদ সাহেব বোঝানোর চেষ্টা করেন।
ক. বহিপীর নাটকের ১ম সংলাপটি কার? ১
খ. বিয়ে হলো তগদিরের কথা – এ কথাটি বুঝিয়ে বলো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত গ্রামের মানুষগুলোর কার্যক্রমে ‘বহিপীর’ নাটকে প্রতিফলিত সমাজের কোন চিত্রকে ইঙ্গিত করে তা তুলে ধরো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আজাদ চরিত্রটি ‘বহিপীর’ নাটকের বহিপীরের মতো ধর্মব্যবসায়ী নয় – মন্তব্যটি বিচার করো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
বহিপীর নাটকের ১ম সংলাপটি হাশেমের।
১ এর খ নং প্র. উ.
বিয়ের ব্যাপারটি মানুষের ইচ্ছায় নয় বরং দৈব নির্দেশে হয়। জমিদারপত্নী খোদেজা তাহেরাকে এভাবে বোঝানোর জন্য আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।
একজন বুড়ো মানুষের সাথে তাহেরার বিয়ে হওয়ায় সে বাড়ি ছেড়ে পালায়। নৌকায় আশ্রয়প্রার্থী তাহেরাকে বোঝানোর জন্য খোদেজা বলে ‘বিয়ে হলো তকদিরের কথা’। এতে মানুষের কোনো হাত নেই। এতে তৎকালীন সময়ে নারীর সবকিছু মাথা পেতে নেওয়ার প্রবণতাই ব্যক্ত হয়েছে।
১ এর গ নং প্র. উ.
উদ্দীপকে বর্ণিত গ্রামের মানুষগুলোর কার্যক্রমে ‘বহিপীর’ নাটকে প্রতিফলিত ধর্মীয় কুসংস্কারে আচ্ছন্ন সমাজের চিত্রকে ইঙ্গিত করে।
‘বহিপীর’ নাটকে সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ ধর্মীয় কুসংস্কারের বিষয়টি চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। ধর্মীয় কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে এবং সওয়াবের আশায় এক শ্রেণির মানুষ বহিপীরের সব কথা মান্য করে চলে। পীরের সেবায় সর্বস্ব ত্যাগ করার মনোবৃত্তি পোষণ করে। তারা পীরকে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী মনে করে। বহিপীরের প্রতি অন্ধভক্তির কারণে তাহেরার মা-বাবা তাকে একজন বুড়ো পীরের কাছে সঁপে দিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না।
উদ্দীপকে পীরের প্রতি সীমাহীন অন্ধবিশ্বাসের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। আজাদের বাবা নামকরা পীর হলেও আজাদ শিক্ষিত ও আধুনিক মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন পর গ্রামে এলে গ্রামের মুরব্বি তাকে সালাম করতে চান। পীরের ছেলে বলে তাঁকে বিশেষ মর্যাদা দেন। কিন্তু আজাদ সাহেব নিজেই তাঁকে সালাম করেন। এতে মুরব্বি লোকটির মনে অপরাধবোধ বোধ জাগ্রত হয় এবং নিজেকে পাপী মনে করেন। কেউ আবার তার কাছে পানি পড়া নিতে আসে। সুতরাং উদ্দীপক এবং আলোচ্য ‘বহিপীর’ নাটকে উভয় ক্ষেেত্রই আমরা পীরের প্রতি অযৌক্তিক অন্ধভক্তির দিকটি লক্ষ করি।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
উদ্দীপকের আজাদ একজন আধুনিক চিন্তাচেতনার মানুষ। পীরের সন্তান হলেও তিনি বহিপীরের মতো ধর্ম পুঁজি করে নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেননি।
‘বহিপীর’ নাটকে বহিপীর একজন ধর্মব্যবসায়ী পীর। ধর্মকে ব্যবহার করে তিনি হয়েছেন প্রচুর অর্থ-বিত্তের মালিক। চাইলে ধনী মুরিদেরা তার কাছে টাকা-পয়সাসহ সর্বস্ব তুলে দেয়। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে তিনি নিজের আখের গুছিয়ে নেন।
উদ্দীপকে আজাদ সাহেব ইচ্ছে করলে বাবার মতো পীর হতে পারতেন। কিন্তু তিনি শিক্ষিত আধুনিক মানুষ হিসেবে কুসংস্কারমুক্ত। যে কারণে বাবার বয়সী একজন বৃদ্ধ মুরব্বির সালাম গ্রহণ না করে নিজেই সালাম দিয়েছেন। আজাদ সাহেব সৎ জীবনযাপন করার জন্য একটি চাকরি করেন। তিনি পানি পড়া দিতেও রাজি হননি। ‘বহিপীর’ নাটকের বহিপীরের মতো ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তিনি পীর হননি বা অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেননি।
‘বহিপীর’ নাটকে বহিপীর একজন কূটবুদ্ধিসম্পন্ন সুযোগসন্ধানী পীর। তাঁর বৈষয়িক জ্ঞান অত্যন্ত প্রখর। বহিপীর প্রকৃতই যদি ধার্মিক হতেন তবে বৃদ্ধ বয়সে একটি কিশোরীকে বিয়ের চিন্তা করতে পারতেন না। আবার পীর হওয়ার কারণেই তাহেরার অমত সত্ত্বেও তার বাবা-মা সওয়াব লাভের আশায় এ বিয়ে সম্পন্ন করেছিল। ধর্ম ব্যবসায়ীরা এভাবেই মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে। অন্যদিকে উদ্দীপকে আজাদ সাহেবের প্রতি গ্রামের মানুষের অন্ধবিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু তিনি সে অন্ধবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বহিপীরের মতো ভণ্ডপীর হননি। বরং তিনি মানুষকে এসব কুসংস্কারের ব্যাপারে বুঝিয়েছেন, সতর্ক করেছেন। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, উদ্দীপকের আজাদ চরিত্রটি ‘বহিপীর’ নাটকের বহিপীরের মতো ধর্ম ব্যবসায়ী নন।
২ নং. মঞ্জুর সাহেবের ভগ্নিপতি মারা যাওয়ার পর ভগিনী মাজেদাকে নিয়ে এসে মানুষ করে। টাকা বাঁচানোর জন্য মাজেদাকে ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রী এর প্রতিবাদ করে এবং তা হতে দেয়নি।
ক. সূর্যাস্ত আইন কত সালে প্রণীত হয়? ১
খ. গ মিদার হাতেম আলির মনে শান্তি নেই কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের হাতেম আলি চরিত্রের বৈসাদৃশ্য তুলে ধরো। ৩
ঘ. মাতৃসুলভ সহানুভূতি থাকলেও উদ্দীপকের মাজেদা চরিত্রটি পুরোপুরি ‘বহিপীর’ নাটকের খোদেজা চরিত্র নয়- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো। ৪
[বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রশ্নটি ত্রম্নটিপূর্ণ। প্রশ্নে ‘মাজেদার’ স্থলে ‘মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রী’ হলে প্রশ্নটি যথার্থ হতো।]
২ নংপ্র. উ.
ক. সূর্যান্ত আইন প্রণীত হয় ১৭৯৩ সালে।
খ. গ মিদারি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে জমিদার হাতেম আলির মনে শান্তি নেই।
খাজনা বাকি পড়ে যাওয়ায় হাতেম আলির জমিদারি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়। সূর্যাস্ত আইন অনুযায়ী যথাসময়ে খাজনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে জমিদারি নিলামে ওঠে। তখন কর্তৃপক্ষ অন্য কারো কাছে জমিদারি হস্তান্তর করে। জমিদারি বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেও টাকার জোগাড় করতে পারেন না জমিদার হাতেম আলি। এমনি এক পরিস্থিতিতে হাতেম আলি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। জমিদারি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার ভয়ে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাই হাতেম আলির মনে শান্তি নেই।
গ. ‘বহিপীর’ নাটকে হাতেম আলি টাকার বিনিময়ে তাঁর কাছে আশ্রিতার সর্বনাশ করতে রাজি হননি। তার এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের চরিত্রের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
খাজনা বাকি পড়ায় হাতেম আলির জমিদারি নিলামে ওঠে। বন্ধুদের কাছে সাহায্য চেয়েও তিনি পাননি। এতে তিনি অত্যন্ত চিন্তিত ও বিমর্ষ হয়ে পড়েন। বহিপীরের কাছে ঘটনাটি খুলে বললে তাহেরাকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার শর্তে বহিপীর তাঁকে জমিদারি বাঁচানোর জন্য অর্থ ধার দিতে চান। এতে তাহেরা রাজি হলেও জমিদার রাজি হননি। কারণ নিজেকে তাঁর হৃদয়হীন ও কসাই মনে হতে থাকে। জমিদারি চলে গেলেও তিনি একটি নিষ্পাপ মেয়ের জীবন বিপন্ন করতে চাননি।
উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের ভগ্নীপতি মারা গেলে ভগিনী মাজেদাকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। টাকা বাঁচাতে মাজেদাকে তিনি ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে দিতে চান। যদিও স্ত্রীর বাধায় তিনি তা করতে পারেননি। মঞ্জুর সাহেব নিজের সুবিধার জন্য ভগিনীর ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে এমন একটি অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু বহিপীর নাটকের জমিদার হাতেম আলি চরম বিপদগ্রস্ত হয়েও আশ্রিতা তাহেরাকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়ে নিজে সুখী হতে চাননি।
ঘ. ‘বহিপীর’ নাটকের খোদেজা চরিত্রে মাতৃসুলভ সহানুভূতি থাকলেও কুসংস্কারাচ্ছন্নতার কারণে তা পূর্ণরূপে বিকশিত হতে পারেনি। কিন্তু উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রীর মাঝে তা পূর্ণরূপে বিকাশ লাভ করেছে।
বহিপীর নাটকে জমিদারপত্নী খোদেজা কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অত্যন্ত ধর্মভীরু। অচেনা মেয়ে তাহেরাকে তিনি আশ্রয় বজরার দিয়েছেন। মেয়েটি দুঃখের কাহিনী শুনে ব্যথিতও হয়েছেন। কিন্তু যখনই শুনেছেন মেয়েটি একজন পীরের পালিয়ে আসা স্ত্রী তখন তাকে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন। পীরের বদদোয়া কিংবা অমঙ্গলের চিন্তায় ভীত হয়েছেন।
উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রী প্রতিবাদী, সাহসী নারী। যার তার সাথে মাজেদার বিয়ে হবে এটা তিনি মেনে নিতে পারেননি। ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে একটা দায়সারা গোছের বিয়ে দিয়ে তিনি মাজেদার জীবনটাকে সংকটাপন্ন করতে চাননি। তাই তিনি সচেতনভাবে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন এবং বিয়েটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তার এই সাহসী কর্মকাণ্ডে তার মধ্যে মানবিকতাপূর্ণ ও মহতী হৃদয়ের পরিচয় পাই।
‘বহিপীর’ নাটকে খোদেজা চরিত্রে মাতৃসুলভ সহানুভূতি বিদ্যমান। জমিদারপত্নী খোদেজার কন্যাসন্তান ছিল না। তাই তিনি তাহেরাকে অনেকটা মেয়ের মতোই দেখেছেন। বিপদে ঠাঁই দিয়েছেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাহেরা পানিতে ঝাঁপ দিতে গেলে হাশেম তাহেরাকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেয় সেখানেও তাঁর সম্মতি ছিল। আবার বহিপীরের কর্মকাণ্ডে হাশেম মার্জিত প্রতিবাদ করলে খোদেজা তা বারণ করেছে কিন্তু পুত্রের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেননি। অন্যদিকে মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রীর মধ্যেও মাতৃসুলভ সহানুভূতি কাজ করেছে। মাজেদাকে তিনি সতীনের ঘর করতে দিতে চাননি। তিনি নিশ্চিতই বুঝেছিলেন মাজেদা সেখানে শান্তিতে থাকবে না। মাতৃসুলভ সহানুভূতির পাশাপাশি তাঁর মধ্যে ছিল ন্যায়-অন্যায় বোধ। সমুন্নত ছিল বিবেক ও ব্যক্তিত্ববোধ। কিন্তু নাটকের খোদেজা বহিপীরের বদদোয়ার ভয়ে মাতৃস্নেহের বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করতে চেয়েছেন। খোদেজার ইচ্ছা ও ভবিষ্যতের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে ধর্মীয় চিন্তা। তাই উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রী চরিত্রটি বহিপীর নাটকের খোদেজা চরিত্র নয়।
৩ নং. সুমির বাবা দিনমজুর। যৌতুকের টাকার অভাবে সুমির বাবা বৃদ্ধ মোড়লের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে। সুমি রাজি না হয়ে কর্মের সন্ধানে বেরিয়ে পড়তে গেলে সবাই মিলে তাকে ধরে জোর করে বিয়ে দিতে চায়। তখন রাহুল প্রতিবাদ করে এ বিয়ে ঠেকায়। অবশেষে সে নিজেই বিনা যৌতুকে তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ক. নৌকার সঙ্গে কিসের ধাক্কা লেগেছিল? ১
খ. এমন মেয়েও কারো পেটে জন্মায় জানতাম না- এ কথাটি বুঝিয়ে বলো। ২
গ. উদ্দীপকের সুমি চরিত্রটি ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ – তা তুলে ধরো। ৩
ঘ. প্রতিবাদের প্রতীক চরিত্র হিসেবে উদ্দীপকের রাহুল ও ‘বহিপীর’ নাটকের হাশেম আলি অভিন্ন – মূল্যায়ন করো। ৪
৩ নংপ্র. উ.
ক. নৌকার সঙ্গে বজরার ধাক্কা লেগেছিল।
খ. তাহেরার দুঃসাহস লক্ষ করে ‘বহিপীর’ নাটকে বর্ণিত জমিদারের স্ত্রী খোদেজা তাহেরার উদ্দেশে উক্তিটি করেছেন।
‘বহিপীর’ নাটকে তাহেরাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে পীরের সাথে বিয়ে দিলে সে ঘর ছেড়ে পালায়। তাহেরা কিছুতেই একজন বুড়ো পীরকে স্বামী হিসেবে মানতে চায় না। পীরের হাত থেকে রক্ষা পেতে সে মরিয়া হয়ে ওঠে, আত¥হত্যার ভয় দেখায়। কিন্তু কোনো মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর স্বামীর ঘর করবে না এটা মেনে নিতে পারছিলেন না জমিদারের স্ত্রী খোদেজা। বিশেষত স্বামী যখন একজন পীর তখন কোনো মেয়ের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া খোদেজার কাছে অকল্পনীয়। তাই খোদেজা এমন উক্তি করেছেন।
গ. অসম বিয়েতে রাজি না হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপকের সুমী চরিত্রটি ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরা চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘বহিপীর’ নাটকে তাহেরা এক প্রতিবাদী চরিত্র। কিশোরী তাহেরাকে মা-বাবা তার অমতে একজন বুড়ো পীরের সাথে বিয়ে দিলে সে বাড়ি ছেড়ে পালায়। কারণ একজন অপছন্দের মানুষের সাথে সে সারা জীবন কাটাতে চায় না। নিজের ভবিষ্যৎ ভেবে তাই সে পালাতে বাধ্য হয়।
দরিদ্র দিনমজুরের মেয়ে হলেও উদ্দীপকের সুমি এক স্বাধীনচেতা তরুণী। যৌতুকের টাকার অভাবে তার বাবা তাকে এক বৃদ্ধ মোড়লের সাথে বিয়ে দিতে চায়। সুমির এতে ঘোর আপত্তি থাকায় নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য কাজের সন্ধানে বের হওয়ার উদ্যোগ নেয়। ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরাও জোর করে বিয়েতে বাধ্য করায় সে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে।
ঘ. নারীর স্বাধীনতা রক্ষায় উদ্দীপকে
রাহুল ও ‘বহিপীর’ নাটকের হাশেম আলি সমরূপ প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছে।
‘বহিপীর’ নাটকে জমিদারপুত্র হাশেম আলি অত্যন্ত যুক্তিবাদী, আধুনিক ও মানবিক অনুভূতিসম্পন্ন মানুষ। সে অসহায় তাহেরার সমস্যার প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করে। তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। মেয়েটি আত¥হত্যা করতে গেলে সে রক্ষা করে। সবাই মেয়েটির বিরুদ্ধে গেলেও সে তার পক্ষ তাকে ত্যাগ করেনি। একসময় সে তাহেরাকে নিয়ে অজানার উদ্দেশে রওনা দেয়। বহিপীরের হাত থেকে তাহেরার বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টাকে সে সফল করে তোলে।
উদ্দীপকে সুমির দিনমজুর বাবা বৃদ্ধ মোড়লের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে এবং সবাই মিলে জোর করে বিয়ে দিতে চায়। তখন রাহুল প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে এবং এই অসম বিয়ে বন্ধ করে দিতে সমর্থ হয়। পরে মানবিক কারণেই রাহুল বিনা যৌতুকে সুমিকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। সামাজিক কুসংস্কারের শিকার নারীর জীবন রক্ষার চেষ্টা লক্ষ করা যায় রাহুল ও হাশেম আলি উভয়ের কর্মকাণ্ডেই।
‘বহিপীর’ নাটকে হাশেম আলি তাহেরার মানসিক সংকট ও অসহায় অবস্থাকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছিল। সংস্কারমুক্ত হাশেম তার মানবিক বিবেচনা দিয়েই তাহেরাকে বাঁচানোর প্রাণপণ উদ্যোগ নিয়েছিল। নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে ঘটনাপ্রবাহ যখন এগিয়ে চলছিল তখন হাসেম অত্যন্ত সচেতন ভূমিকা পালন করেছে। মায়ের ব্যঙ্গোক্তি, উপহাসকে সে কৌশলে এড়িয়ে গেছে। বহিপীরের কূটচালকেও সে দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করেছে। উদ্দীপকের রাহুলও তেমনি সুমিকে সংকট থেকে বাঁচানোর জন্য রুখে দাঁড়িয়েছে। একটি অন্যায় ও অসম বিয়ে সে বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটিকে অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা করেছে তাই বলা যায়, প্রতিবাদের প্রতীক চরিত্র হিসেবে উদ্দীপকের রাহুল ও বহিপীর নাটকের হাশেম আলি অভিন্ন।
৪ নং. মা কেঁদে কয়, ‘মঞ্জুলী মোর ওই তো কচি মেয়ে
ওরই সঙ্গে বিয়ে দেবে, বয়সে ওর চেয়ে
পাঁচগুণো সে বড়-
তাকে দেখে বাছা আমার ভয়েই জড়োসড়ো
এমন বিয়ে ঘটতে দেব নাকো।’
বাবা বললে, ‘কান্না তোমার রাখো।
পঞ্চাননকে পাওয়া গেছে অনেক দিনের খোঁজে
জাননা কি মস্ত কুলীন ওযে!
সমাজে তো উঠতে হবে
সেটা কি কেউ ভাবো?
ওকে ছাড়লে পাত্র কোথায় পাব!’
ক. ‘বহিপীর’ নাটকের শেষ সংলাপটি কার? ১
খ. হাতেম আলি তাহেরাকে পীরের হাতে দিলেন না কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘বহিপীর’ নাটকের কোন সামাজিক অসংগতি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মঞ্জুরির বাবা কি তাহেরার বাবার সার্থক প্রতিনিধি? তোমার মতামত দাও। ৪
৪ নংপ্র. উ.
ক. ‘বহিপীর নাটকের শেষ সংলাপটি বহিপীরের।
খ. হাতেম আলির মাঝে মানবতাবোধের জাগরণ ঘটায় তিনি তাহেরাকে পীরের হাতে দিলেন না।
পীরসাহেবের বয়স বেশি হওয়ায় তাহেরা তাকে বিয়ে করতে সম্মত ছিল না। এজন্য সে বিয়ের রাতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং ঘটনাক্রমে হাতেম আলির নৌকায় আশ্রয় নেয়। পীরসাহেব হাতেম আলিকে জমিদারি রক্ষায় টাকা ধার দেওয়ার বিনিময়ে তাহেরাকে চায়। কিন্তু হাতেম আলির মাঝে মানবতাবোধের জাগরণ ঘটে। তিনি তাহেরার সিদ্ধান্তের ওপর নিজের স্বার্থবাদী চেতনা চাপিয়ে দিতে চান না। এজন্য তিনি তাহেরাকে পীরের হাতে তুলে দেননি।
গ. উদ্দীপকে ‘বহিপীর’ নাটকে প্রতিফলিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর মতামত অগ্রাহ্য করার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
আমাদের সমাজে নারীরা অসহায়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে তাদের মতামতের কোনো মূল্য দেয় না কেউ। ‘বহিপীর’ নাটকেও নারীর অবমূল্যায়নের দিকটিই নাট্যকার তুলে ধরেছেন। বিয়েতে তাহেরা রাজি না থাকা সত্ত্বেও তার মতের প্রাধান্য না দিয়ে বহিপীর নামক এক বুড়ো পীরের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। এতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবমূল্যায়নের দিকটির প্রকাশ ঘটে।
উদ্দীপকে নারীর অসহায়ত্বের দিকটিকে প্রধান করে তুলে ধরা হয়েছে। সমাজে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের একাধিপত্য বিদ্যমান, যা মঞ্জুলীর বিয়েতে পরিলক্ষিত হয়। মঞ্জুলীর বিয়ের এই দিকটি ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার বিয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাহেরার বিয়েতে যেমন তার কোনো মতামত নেওয়া হয়নি তেমনি উদ্দীপকের মঞ্জুলীর বিয়েতেও নেয়া হয় না।
ঘ. মেয়ের বিয়েতে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এবং স্বার্থবাদী চেতনার ক্ষেেত্র মিল থাকায় উদ্দীপকের মঞ্জুলীর বাবা তাহেরার বাবার সার্থক প্রতিনিধি।
আমাদের সমাজের অনেকেই স্বার্থবাদী চেতনার নিগঢ়ে আবদ্ধ। তারা স্বার্থের কাছে হেরে গিয়ে নিজের বুদ্ধি-বিবেক বিসর্জন দেয়। সমাজের পুরুষেরা নিজের মতামত প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের মতামতের কোনো তোয়াক্কাই করে না। আর এই মানসিকতা ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার বাবার মাঝে ফুটে উঠেছে। তিনি নিজের স্বার্থচিন্তা নিমগ্ন হয়ে মেয়ের মতামত যাচাই না করে বুড়ো পীরের সাথে বিয়ে ঠিক করেন।
উদ্দীপকে মঞ্জুলীর বাবা নিজের স্বার্থচিন্তায় মগ্ন। স্বার্থের কাছে হেরে গিয়ে সে নিজের বিবেক-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়েছে। তার মাঝে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মনোভাব থাকায় সে সংসারে নারীর কোনো মতামতকে গুরুত্ব দেয় না। তাই মঞ্জুলী এবং তার মায়ের অমত থাকা সত্ত্বেও সে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে অটল থাকে। মূলত স্বার্থবাদী চেতনায় বন্দি থাকার কারণে মঞ্জুলীর বাবার কর্মকাণ্ড ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার বাবার কর্মকাণ্ডের সাথে সাদৃশ্যময় হয়ে উঠেছে।
বহিপীর নাটকে তাহেরার বাবা যেমন স্বার্থবাদী চেতনার কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন, উদ্দীপকের মঞ্জুলীর বাবাও তাই করেছেন। তিনিও কুলীন ঘর দেখে মেয়ের সাথে পাত্রের বয়সের ব্যবধানে কোনো গুরুত্ব দেননি। বিয়েতে মেয়ের মত আছে কি নেই তারও কোনো তোয়াক্কা করেননি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে সংসারে পুরুষের আধিপত্য, অন্যের মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়া এবং নিজের স্বার্থচিন্তায় তাহেরার বাবা এবং মঞ্জুলীর বাবা একইরকম বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দিয়েছেন। ফলে তাদের চিন্তা-চেতনা এবং কর্মকাণ্ড একই ধরনের। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মঞ্জুলীর বাবা তাহেরার বাবার সার্থক প্রতিনিধি।
৫ নং. লালসালু উপন্যাসের ভণ্ডপীর মজিদ কিশোরী জমিলাকে বিয়ে করে মাজারের সেবায় নিয়োজিত করে। কিন্তু জমিলা মজিদের ভণ্ডামির রহস্য বুঝতে পারে। সে মজিদের অবাধ্য হয়ে ওঠে। মজিদের গায়ে থু-থু মারে। স্বামী হিসেবে মজিদকে মেনে নেয়নি। বরং সে মজিদের বিরুদ্ধে আরও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। মজিদ শুধু বলে, নাফরমানি করিয়ো না।
ক. “কিন্তু আমাদের বজরায় কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না”- উক্তিটি কার? ১
খ. বহিপীর বইয়ের ভাষায় কথা বলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মজিদ ও ‘বহিপীর’ নাটকের বহিপীর চরিত্রের সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. উদ্দীপকের জমিলা চরিত্রটি ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরা চরিত্রটিকে পুরোপুরি নির্দেশ করে কি? বিচার করো। ৪
৫ নংপ্র. উ.
ক. “কিন্তু আমাদের বজরায় কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না”-উক্তিটি খোদেজার।
খ. বহিপীর তাঁর কথায় ভাবগাম্ভীর্য আনার জন্য বইয়ের ভাষায় কথা বলেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহিপীরের মুরিদ রয়েছে। তারা একেকজন একেক ভাষায় কথা বলে। তাদের সাথে কথা বলার জন্য বহিপীর প্রমিত ভাষাকে বেছে নিয়েছেন। এই প্রমিত ভাষা হলো বইয়ের ভাষা। বহিপীরের মতে এই ভাষা পবিত্র ও ভাবগম্ভীর। বহিপীর ধর্মীয় কথা বলার তাতে ভাবগাম্ভীর্য আনতে চেয়েছেন। তাই তিনি বইয়ের ভাষায় কথা বলেন।
গ. মানুষের কুসংস্কার ও ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে ধর্মব্যবসা করার ক্ষেেত্র উদ্দীপকের মজিদ ও ‘বহিপীর’ নাটকের বহিপীর চরিত্রের সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
আমাদের সমাজে পীরপ্রথা জেঁকে বসেছে। গ্রামের অশিক্ষিত সহজ-সরল মানুষের কুসংস্কার ও ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে অনেকেই নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভণ্ডপীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ‘বহিপীর’ নাটকে বহিপীর চরিত্রটি তেমনই এক ভণ্ড চরিত্র। অত্যন্ত ধূর্ত ও বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন বহিপীর সারা বছর মুরিদদের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে যান।
উদ্দীপকের মজিদ বহিপীরের মতোই একটি ভণ্ড চরিত্র। মজিদ গ্রামের মানুষের সরল ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে ব্যবসা করেন। তিনি যে ভণ্ডপীর তা তার স্ত্রী জমিলা বুঝতে পেরেছেন। ‘বহিপীর’ নাটকে বহিপীর চরিত্রের মাধ্যমে মজিদের মতোই এমন ভণ্ডপীরদের মুখোশ উন্মোচনের চেষ্টা করা হয়েছে।
ঘ. ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভিন্নতা থাকায় উদ্দীপকের জমিলা চরিত্রটি ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরা চরিত্রটিকে পুরোপুরি নির্দেশ করে না।
আমাদের সমাজে নারীরা পুরুষতান্ত্রিকতার শিকার হয়ে অসহায় অবস্থায় থাকে। তাদেরকে পুরুষের সকল নির্দেশ মেনে চলতে হয়। কিন্তু ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরা চরিত্রটি এর ব্যতিক্রম। তাহেরা নিজের মতামত এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঘর ছেড়েছে, তবু অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ এই তাহেরা চরিত্রের মাঝে অনমনীয় এবং মানবিক চরিত্রের এক অপূর্ব সম্মিলন ঘটিয়েছেন।
উদ্দীপকের জমিলা একটি অনমনীয় চরিত্র। সে মজিদের ভণ্ডামির রহস্য বুঝতে পেরে এর প্রতিবাদ করেছে। অন্যায়কে চোখের সামনে দেখে সে চুপ করে থাকতে পারে নি। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সংসারে নারীকে নমনীয় করে রাখা হয়। তাদেরকে পুরুষের সকল সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হয়।
ন্তু উদ্দীপকে জমিলা এই প্রথাকে ভেঙে দিয়েছে। সে নিজের স্বামীর ভণ্ডামির প্রতিবাদ করেছে। জমিলার এই অনমনীয়তার দিকটি ‘বহিপীর’ নাটকে তাহেরার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
উদ্দীপকের জমিলা চরিত্রটি প্রতিবাদী চরিত্র হলেও তা ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার সাথে সম্পূর্ণরূপে মেলে না। কেননা জমিলা ভণ্ডপীর মজিদের সংসারে থেকে মজিদের বিরোধিতা করলেও তাহেরা নিজেকে বহিপীরের স্ত্রী হিসেবেই মেনে নেয়নি। তাহেরা বহিপীরের সাথে অত্যন্ত অনমনীয়তা দেখালেও জমিদারের অসহায়ত্বে তার মাঝে মানবিকতা প্রকাশ পায়। কিন্তু উদ্দীপকের জমিলার মধ্যে প্রতিবাদী চেতনা থাকলেও তাহেরার মতো মানবিকতার কোনো দিক ফুটে ওঠেনি। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের জমিলা চরিত্রটি তাহেরা চরিত্রকে পুরোপুরি নির্দেশ করেনি।
৬ নং. রেবেকা বেগম, ভাই মজিদ মিয়ার রাইসমিল রক্ষা করার জন্য টাকা দিতে চাইলেন। কিন্তু শর্ত হলো যে, মজিদ মিয়ার মেয়ে নূরজাহানকে রেবেকা বেগমের ছেলে রবিনের সাথে বিয়ে দিতে হবে। রবিন মাদকাসক্ত। নূরজাহান এ বিয়েতে রাজি নয় বলে জানিয়ে দিলে মজিদ মিয়া রেবেকা বেগমের টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানালেন। রেবেকা বেগম এবার বললেন, বিয়ের শর্তে নয়। বোন হিসেবে তিনি টাকা দিতে চান। [ব.বো. ১৫]
ক. বহিপীরের সহকারী কে ছিল? ১
খ. হাতেম আলি চিকিৎসার অজুহাতে শহরে গিয়েছিলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকে মজিদের মাঝে ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “বহিপীরের মতোই উদ্দীপকের রেবেকা বেগমের বোধোদয় ঘটেছে”- উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার করো। ৪
৬ নংপ্র. উ.
ক. বহিপীরের সহকারী ছিল হকিকুলস্নাহ।
খ. হাতেম আলি তার জমিদারি রক্ষায় বন্ধুর কাছে টাকা ধার করার জন্য চিকিৎসার অযুহাতে শহরে গিয়েছিলেন।
হাতেম আলি রেশমপুরের জমিদার। টাকার অভাবে সান্ধ্য আইনে তাঁর জমিদারি হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। জমিদারি রক্ষা করতে হলে তাঁর অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল। এজন্যই তিনি শহরে বন্ধুর কাছে টাকা ধার করতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জমিদারি হারানোর শঙ্কার কথা তিনি তাঁর পরিবারের কাজে গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি চিকিৎসার অজুহাতে শহরে গিয়েছিলেন।
গ. সংকটাপন্ন হওয়া ও সে অবস্থায় বিবেক সমুন্নত রেখে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিক থেকে। উদ্দীপকের মজিদের সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের হাতেম আলি চরিত্রের মিল রয়েছে।
‘বহিপীর’ নাটকে সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ হাতেম আলির মাঝে স্মিতধী, আত¥নিমগ্ন হাতেম উচ্চ মানবিক চেতনা সম্পন্ন চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।হাতেম আলি একজন ক্ষয়িষ্ণু জমিদার। মূর্যাস্ত আইনের কারণে তাঁর জমিদারি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। জমিদারি রক্ষার জন্য অর্থসংকটে ভুগলেও নিজের আত¥সম্মান রক্ষায় তিনি বহিপীরের শর্ত ফিরিয়ে দিয়েছেন।
উদ্দীপকে মজিদ চরিত্রের প্রবল মানবিক চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। মজিদ নিজের রাইসমিল রক্ষার জন্য মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার শর্তে টাকা পেলেও তিনি সে টাকা গ্রহণ না করে সুবিবেচকের পরিচয় দিয়েছেন। ‘বহিপীর’ নাটকের হাতেম আলিও একই ধরনের সমস্যায় পড়েন। তবু তিনি নিজের নৈতিকতা বিসর্জন দেননি।
ঘ. বিনা শর্তে ভাইকে টাকা দিতে চাওয়ায় উদ্দীপকের রেবেকা চরিত্রের মাঝে বহিপীরের মতোই মানবিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
‘বহিপীর’ উপন্যাসে বর্ণিত বহিপীর চরিত্রের মাঝে বাস্তবজ্ঞান ও বিবেকবোধের প্রকাশ ঘটেছে। বহিপীর তাহেরাকে পাওয়ার জন্য নানা রকম চালাকির আশ্রয় নিলেও একসময় তাঁর মধ্যে মানবিকতাবোধ জাগ্রত হয়। ফলে তিনি ভুল পথ থেকে সরে আসেন। এর মাধ্যমে বহিপীরের নৈতিকতাবোধ ও বাস্তবজ্ঞানের প্রকাশ ঘটে।
উদ্দীপকে রেবেকা বেগমের মাঝে বহিপীরের মতোই স্বার্থ হাসিলে কূটকৌশল গ্রহণের প্রবণতা লক্ষ করা যায়। তিনি ভাইয়ের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নিজের মাদকাসক্ত ছেলের সাথে ভাইয়ের মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। বহিপীরের ক্ষেেত্রও একই প্রবণতা লক্ষণীয়। তিনি হাতেম আলির অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাহেরাকে ফেরত পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রেবেকা এবং বহিপীর উভয়ই তাদের উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যর্থ হয় এবং নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেন।
বহিপীর তাহেরাকে পাওয়ার বিনিময়ে হাতেম আলিকে টাকা দিতে চাইলেও একসময় তাঁর বোধোদয় হয় এবং বিনা শর্তে টাকা দিতে চান। উদ্দীপকের রেবেকাও একসময় বিনা শর্তে ভাইকে টাকা দিতে চান। দুজনের ক্ষেেত্রই স্বার্থবাদী মনোভাব পরিহারের প্রবণতাটি লক্ষণীয়। স্বার্থের মোহ মানুষকে অনেক সময় অন্ধ করে দেয়। অনেক সময় মানুষ তার ভুল বুঝতে পারে ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। নাটকের বহিপীর ও উদ্দীপকের রেবেকা উভয়ের ক্ষেেত্রই এ বিষয়টি সত্য। তাই বলা যায়, বহিপীরের মতোই উদ্দীপকের রেবেকা বেগমের বোধোদয় ঘটেছে।
৭ নং. স্তবক-১ : মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?
স্তবক-২ : বল কি তোমার ক্ষিত
জীবনের অথৈ নদী-
পার হয় তোমাকে ধরে-
দুর্বল মানুষ যদি।
ক. ‘বহিপীর’ নাটকের শেষ সংলাপটি কার? ১
খ. “এমন মেয়েও কারও পেটে জন্মায় জানতাম না”- কথাটি বলার কারণ কী? ২
গ. গ মিদারি হারাতে বসা হাতেম আলির কাছে বহিপীরের প্রস্তাব স্তবক-১-এর ‘সহানুভূতি’ শব্দটির রূপক হতে পারে কি? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তাহেরার প্রতি হাশেমের মনোভাব স্তবক-২- এর আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪
৭ নংপ্র. উ.
ক. ‘বহিপীর’ নাটকের শেষ সংলাপটি বহিপীরের।
খ. [সৃজনশীল ৩ (খ) – এর উত্তর দেখো।]
গ. গ মিদারি হারাতে বসা হাতেম আলির কাছে বহিপীরের প্রস্তাব স্তবক-১-এর ‘সহানুভূতি’ শব্দটির রূপক হতে পারে না। কারণ বহিপীরের প্রস্তাবটি ছিল উদ্দেশ্যমূলক।
‘বহিপীর’ নাটকে বহিপীর একটি ধর্মব্যবসায়ী সুযোগসন্ধানী চরিত্র। ধর্মকেই তিনি জীবনজীবিকার অবলম্বন বানিয়েছেন। এই পীর তাঁর এক মুরিদের কিশোরী মেয়ে তাহেরাকে বিয়ে করেন। তাহেরা তাঁর হাত থেকে বাঁচার জন্য বাড়ি ছেড়ে পালায়। ঘটনাক্রমে তাহেরা জমিদার হাতেম আলির বজরায় আশ্রয় নেয়। সেখানে বহিপীর জমিদারের অসহায়ত্বের সুযোগ গ্রহণ করে। জমিদারকে তাঁর জমিদারি বাঁচানোর টাকা ধার দিতে চান তাহেরাকে ফেরত পাওয়ার বিনিময়ে।
উদ্দীপকে মানুষের সাথে মানুষের মানবিক আচরণের কথা বলা হয়েছে। মনুষ্যত্বের ধর্মই হচ্ছে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। একটি জীবন যেন আরেকটি জীবনের জন্য সহযোগী হয়ে উঠতে পারে। মানুষের দুঃখ যেন আর একটি মানুষ ভাগ করে নিতে পারে। মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতি হতে হবে শর্তহীন। তা হতে হবে কেবলই মানবিক বিবেচনা থেকে। কিন্তু ‘বহিপীর’ নাটকে হাতেম আলির প্রতি পীর সাহেবের দেখানো সহানুভূতি আসলে ছিল তাহেরাকে পাওয়ার জন্য কৌশলমাত্র। স্বার্থসিদ্ধির ভাবনা জড়িত থাকায় জমিদারি হারাতে বসা হাতেম আলির কাছে বহিপীরের প্রস্তাব ‘সহানুভূতি’ শব্দটির রূপক হতে পারে না।
ঘ. স্তবক-২ -এর মনোভাব তাহেরার প্রতি হাশেমের সহযোগিতামূলক মনোভাবেরই প্রতিচ্ছবি।
‘বহিপীর’ নাটকের বর্ণিত হাশেম একটি প্রতিবাদী চরিত্র যুবক। সে শিক্ষিত ও সংস্কারমুক্ত। তাহেরার সমস্যা বুঝে হাশেম তাকে সাহায্য করার জন্য সর্বাত¥ক চেষ্টা করে। বৃদ্ধ ও কপট বহিপীরের হাত থেকে তাহেরাকে বাঁচানোর জন্য নিজেই তাকে বিয়ে করতে চেয়েছে। মায়ের কাছে তাহেরার পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করেছে। বহিপীরের কূটচাল থেকে তাহেরাকে রক্ষার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থেকেছে।
স্তবক-২ -এ জীবনের এক চরম সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। সমাজের দুর্বল মানুষেরা যদি একজন সবল মানুষকে আশ্রয় করে কোনো সুবিধা বা কল্যাণ লাভ করে তবে তাতে তো দোষের কিছু নেই। জীবনের অথৈ নদীতে অসহায় মানুষ যাতে ডুবে না মরে সেজন্য শক্তিমান মানুষের উচিত তার পাশে দাঁড়ানো। তার জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করা। এতে তো কোনো ক্ষিত নেই বরং এটি তার কর্তব্য। ‘বহিপীর নাটকের বর্ণিত হাশেম অসহায় তাহেরার পাশে এভাবেই দাঁড়িয়েছে।
উদ্দীপকের হাশেমের মাঝে মানবিকতাবোধ পুরোপুরি বিদ্যমান। তার মানসিকতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা অনুসরণযোগ্য। কারো বিপদাপন্ন অবস্থাকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা কাপুরুষতা। তাই সে জীবনসংকটে নিপতিত তাহেরার জীবন বাঁচিয়েছে। তাহেরার জীবন যাতে ব্যর্থ হয়ে না যায়, সে জন্য তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়েছে। হাশেমের সাহসী ও প্রতিবাদী ভূমিকার কারণে একটি অসহায় মেয়ে শেষ পর্যন্ত স্বপ্নময় জীবনের সন্ধান পায়। তাই বলা যায়, তাহেরার প্রতি হাশেমের মনোভাব এবং স্তবক-২ -এর মনোভাব এক ও অভিন্ন।
৮ নং. মীনার বয়স পনেরো। তার বিয়ের জন্য বাবা পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ধনাঢ্য পাত্র ঠিক করেছে। এ বিয়েতে মীনার মত নেই। কিন্তু বাবার সামনে প্রতিবাদ করার মতো শক্তি নেই তার, সে শুধু কাঁদে।
ক. হাতেম আলির জমিদারি কোথায় ছিল? ১
খ. পীরসাহেবকে বহিপীর বলার কারণ কী? ২
গ. উদ্দীপকের মীনার সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রে সাদৃশ্য আছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মীনা তাহেরাকে প্রতিনিধিত্ব করছে।-বিশেস্নষণ করো। ৪
৮ নংপ্র. উ.
ক. হাতেম আলির জমিদারি ছিল রেশমপুরে।
খ. পীরসাহেব বইয়ের ভাষা তথা সাধু ভাষায় কথা বলেন বলে তাঁকে বহিপীর বলা হয়।
আমাদের দেশে পীর প্রথার প্রচলন থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ পীরের ভক্ত হয়। কিন্তু দেশের সব অঞ্চলের মানুষের ভাষা এক নয়। ‘বহিপীর’ নাটকে বর্ণিত পীরসাহেব এজন্য সব অঞ্চলের মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের সুবিধার্থে বইয়ের ভাষায় কথা বলেন। আর এই বইয়ের ভাষায় কথা বলার কারণেই তাঁকে বহিপীর বলা হয়।
গ. উদ্দীপকের মীনার সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার সাদৃশ্য রয়েছে। উভয়ের বাবা তাদের অমতে জোরপূর্বক বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল।
‘বহিপীর’ নাটকে তাহেরাকে তার বাবা বৃদ্ধ জোরপূর্বক বহিপীরের সাথে বিয়ে দিয়েছিল। কেবল পীরকে খুশি করার জন্যই নিষ্পাপ কিশোরী মেয়ে তাহেরাকে তার অমতেই বিয়ে দেওয়া হয়। তাহেরার বাবা পীরভক্ত ও ধর্মান্ধ হওয়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
উদ্দীপকের মীনার বয়স পনেরো হলেও তার বাবা একজন ধনাঢ্য পাত্রের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে। এটি একটি অসম বিয়ে তাই মীনার এতে মত নেই। প্রতিবাদ করার সাহস না থাকায় সে শুধু বসে বসে কাঁদছিল। ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার মতো উদ্দীপকের মীনাকেও তার বাবা তার অমতে বিয়ে দিতে চায়। এদিক থেকেই উভয়ের মাঝে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. নারীর অসহায়ত্বের দিক দিয়ে উদ্দীপকের মীনা ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরাকে প্রতিনিধিত্ব করছে।
‘বহিপীর’ নাটক সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহর এক অসাধারণ সৃষ্টি। লেখক ধর্মের নামে কথিত পীরের ভণ্ডামির পাশাপাশি অসহায় নারীর করুণ আর্তি প্রকাশ করেছেন। একটি মেয়ে কার সাথে ঘর করবে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে যদি তার মতামতের কোনো মূল্যই না থাকে তবে তা সভ্য সমাজের কাজ হতে পারে না। কারণ এতে তার জীবনটাই অর্থহীন হয়ে পড়ে। নাটকের তাহেরা এমন অসঙ্গতিরই শিকার।
উদ্দীপকে বর্ণিত মীনার বাবা পঞ্চাশোর্ধ্ব ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর সাথে তার বিয়ে ঠিক করে। তারা বাবা তার মেয়ের ভালো লাগা মন্দ লাগার দিকে না তাকিয়ে অর্থ বিত্তকেই প্রাধান্য দিয়েছে। মীনার চোখের পানিতে অবিবেচক বাবার মন গলেনি। হৃদয়হীন মানুষের মতো সে নিজ মেয়ের অমতেই তার বিয়ে ঠিক করেছে।
‘বহিপীর’ নাটকে তাহেরাকে তার অমতে জোর করে বিয়ে দেয় তার বাবা ও সৎ মা। অন্যদিকে উদ্দীপকের মীনাকেও তার বাবা বিয়ে দিতে যায় তার মতামত না নিয়েই। নারী একসময় এমনভাবে অবহেলিত ছিল। তাদের মতামতের কোনো মূল্য ছিল না। ফলে ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তাদের ওপর অনেক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হতো। নারীর এই অসহায় অবস্থা বিবেচনায় মীনা তাহেরাকে প্রতিনিধিত্ব করছে।
৯ নং. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী প্রমা। তার যেমন বুদ্ধি তেমনই সাহস। একদিন রাতের বেলা শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি থেকে ফেরার সময় তিনজন বখাটে ছেলে তার পথ আটকায়। সে মোটেও ভয় পায় না। বিপদ বুঝে প্রমা মোবাইলে শাহবাগ থানায় ডায়াল করে ঐ ছেলেদের সাথে হাসিমুখে কথা বলতে থাকে। কথার ছলে সে পুলিশকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলে দ্রম্নত পুলিশ এসে সেখানে পৌঁছে। তাদের একজন পালিয়ে গেলেও বাকি দুজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। লোকজন বলাবলি করতে থাকে ‘মেয়েটির সাহস আছে বটে’।
ক. বজরা কোন ঘাটে থেমেছিল? ১
খ. হাতেম আলির মন বিষণ্ণ কেন? ২
গ. প্রমার সাথে তাহেরার সাহসিকতার তুলনা করো। ৩
ঘ. প্রমার সামাজিক বাস্তবতা- ‘বহিপীর’ নাটকের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪
৯ নংপ্র. উ.
ক. বজরা ডেমরা ঘাটে থেমেছিল।
খ. গ মিদারি হারানোর শঙ্কায় হাতেম আলির মন বিষণ্ণ।
সান্ধ্য আইনের কারণে হাতেম আলি তার জমিদারি হারাতে বসেছেন। জমিদারি রক্ষার জন্য তিনি অসুস্থতার অজুহাতে শহরে বন্ধুর কাছে টাকা ধার করতে আসেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। ফলে পরদিন হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠবে টাকা পরিশোধ করতে না পারায়। আর এই শঙ্কাতেই হাতেম আলির মন বিষণ্ণ।
গ. প্রতিবাদী চেতনা ধারণ ও সাহসিকতার দিক থেকে উদ্দীপকের প্রমার সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরায় তুলনা করা যায়।
‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরাকে তার বাবা ও সৎমা জোর করে বিয়ে দিলেও তাহেরা তা মেনে নেয়নি। প্রতিবাদস্বরূপ সে ঘর ছেড়ে পালায়। পালিয়ে সে কোথায় যাবে সে ভাবনা না ভেবেই সে এই দুঃসাহসী সিদ্ধান্ত নেয়। বৃদ্ধ পীরের দাসী হয়ে সে থাকতে চায়নি। সে মনে করেছে ওই জীবনে তার কোনো মর্যাদা নেই। তাই ভাগ্যে যাই ঘটুক সে অজানার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
উদ্দীপকের প্রমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। রাতের বেলা বখাটেরা তার পথ আটকালেও সে ভীতসন্ত্রস্ত হয়নি। যার বিপদের কথা সে শাহবাগ থানাকে কৌশলে জানিয়ে দেয়। পুলিশ বখাটেদের গ্রেফতার করে। বুদ্ধিমত্তার জোরে সে বখাটেদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে। ‘বহিপীর’ নাটকে বর্ণিত তাহেরাও এমন সাহসের পরিচয় দিয়েছে, বুদ্ধিমত্তাও দেখিয়েছে। তাই বলা যায়, প্রমা ও তাহেরা দুজনেই সাহসী তরুণী। যারা ভয়কে জয় করতে পেরেছে।
ঘ. সময় ও প্রেক্ষিত বিবেচনায় উদ্দীপকের প্রমার সামাজিক বাস্তবতা এবং ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার সামাজিক বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন।
যে সামাজিক বাস্তবতায় সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ ‘বহিপীর’ নাটক রচনা করেছেন সেই বাস্তবতায় নাটকের প্রতিটি ঘটনা ও কাহিনীবিন্যাস অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেই সমাজে ধর্মীয় কুসংস্কার ছিল ব্যাপক মাত্রায়। তখন ভণ্ডপীরদের দৌরাত¥্য ছিল বেশি। পুরুষশাসিত সমাজে অবদমিত ছিল নারীর অধিকার। সমাজে সামন্তবাদী প্রথা চালু ছিল।
উদ্দীপকের প্রমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। রাতের বেলা শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি থেকে ফেরার সময় তিন বখাটে তার পথ আটকায়। বিপদ বুঝে সে কৌশলে পুলিশকে জানিয়ে দেয়। পুলিশ এসে বখাটেদের গ্রেফতার করে। উদ্দীপকের ঘটনাটি আধুনিক বাস্তবতার উদাহরণ হলেও ‘বহিপীর’ নাটকের বাস্তবতা ভিন্নতর।
উদ্দীপকের প্রমার হাতের মুঠোয় আধুনিক প্রযুক্তি। সমাজে নারী স্বাধীনতার বিষয়টি উদ্দীপকে লক্ষণীয়। প্রমার এই সামাজিক বাস্তবতার ফলে সে সহজেই বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পেরেছে।
অন্যদিকে তাহেরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিল না। তার কাছে ছিল না আধুনিক প্রযুক্তিও। প্রাথমিকভাবে তাই ধর্মীয় কুসংস্কারের বলি হতে হয়েছিল তাকে। নারী হওয়ায় তার অনুভূতির প্রতি কেউ সম্মান জানায়নি। পীরের বদদোয়া লাগার ভয়ে সহায়তা করতে সাহস পায়নি। আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক হাশেম আলি তাকে সাহায্য না করলে হয়তো তার জীবনটা অনিশ্চয়তার আবরণেই ঢেকে যেত। তাই বলা যায়, প্রমার বাস্তবতা তাহেরার বাস্তবতার চেয়ে ভিন্ন।
১০ নং.রাহেলার বয়স তেরো। দিনমজুর বাবা যৌতুকের টাকার অভাবে পিতার বয়সী এক লোকের সাথে বিয়ে ঠিক করে। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয় রাহেলা। গার্মেন্টে চাকরি করে বাবার কষ্ট নিবারণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় সে।
ক. ‘বহিপীর’ নাটকের শেষে সংলাপটি কার? ১
খ. একবার ঝুট কথা বললে উপায় নেই কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘বহিপীর’ নাটকের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের রাহেলা এবং ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরা সর্বক্ষেেত্র এক রকম নয়- মন্তব্যটি বিশেস্নষণ করো। ৪
১০ নংপ্র. উ.
ক. ‘বহিপীর’ নাটকের শেষে সংলাপটি বহিপীরের।
খ. একবার ঝুট কথা বললে তাকে ঢাকতে আরো অসংখ্য মিথ্যে কথা বলতে হয় বিধায় মিথ্যা একবার বললে আর উপায় নেই।
জমিদার হাতেম আলি মিথ্যা কথা বলে শহরে এসেছেন। তাঁর অসুস্থতা না থাকলেও তিনি অসুস্থতার ভান করে শহরে ডাক্তার দেখাবেন বলে এসেছেন। কিন্তু তিনি যে উদ্দেশ্যে এসেছেন তা ব্যর্থ হয়ে এখন সত্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। এজন্য এই মিথ্যা রক্ষা করতে আরো মিথ্যা বলতে হয়। তাই জমিদার বলেছেন একবার ঝুট কথা বললে আর উপায় নেই।
গ. অন্যায়ের বিরুদ্ধে ‘বহিপীর’ নাটকে বর্ণিত তাহেরার প্রতিবাদের দিকটি উদ্দীপকের রাহেলার মাঝে প্রতিফলিত হয়েছে।
‘বহিপীর’ নাটকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র তাহেরা। কুসংস্কারাচ্ছন্ন বাবা ও সৎমা তাকে জোরপূর্বক বৃদ্ধ পীরের সাথে বিয়ে দেয়। তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া এই ঘটনা সে মেনে নেয়নি। উপায়ান্তর না দেখে সে ছোট এক চাচাতো ভাইকে সাথে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীকালে জমিদারের বজরায় অবস্থানকালেও সে ছিল অনমনীয়। পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরবে তবু বহিপীরের ঘর সে করবে না, এটিই ছিল তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
উদ্দীপকের কিশোরী রাহেলার বিয়ে ঠিক করা হয় পিতার বয়সী এক লোকের সাথে। বাবা যৌতুক দিতে পারবে না বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়। রাহেলা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং বিয়ে ভেঙে দেয়। বাবার দরিদ্র দশা দূর করতে সে গার্মেন্টে চাকরি করার উদ্যোগ নেয়। রাহেলার এই ভূমিকা ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া বিয়ের বিরুদ্ধে তাহেরার প্রতিবাদের দিকটিই উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. অবস্থানগত কারণে উদ্দীপকের রাহেলা এবং ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরা সর্বক্ষেেত্র এক রকম নয়।
‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয় বৃদ্ধ বহিপীরের সাথে। তাহেরা মনে করেছে, এই পীরের সাথে ঘর করলে তার জীবনটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই সে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীকালে সে কোথায় থাকবে, কী করবে ইত্যাদি কোনো কিছু না ভেবেই ঘর ছাড়ে।
উদ্দীপকের রাহেলার বিয়ে ঠিক হয় বাবার বয়সী এক মানুষের সাথে। রাহেলা এর তীব্র প্রতিবাদ করে বিয়ে ভেঙে দেয়। সেই সাথে সংসারের দারিদ্র্য দূর করার জন্য নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার এমন উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব ছিল না।
‘বহিপীর’ নাটকের বাবা ও সৎমায়ের কাছে তাহেরা ছিল অনেকটা বোঝার মতো। বাবা ও সৎমা তাদের পীরকে খুশি করার জন্য তাহেরাকে পীরের হাতে তুলে দেয়। যে ঘটনার সাথে একজন সুযোগসন্ধানী ধূর্তপীর জড়িয়ে গেছে সেখানে তাহেরা উপায়হীন হয়ে পড়ে। নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করলেও তেমন লাভ হতো না। তাই পারিবারিক সমাধানের বিষয়টি তার কাছে মূল্যহীন হয়ে যায়। অন্যদিকে উদ্দীপকের রাহেলা ছিল অনেকটা স্বাধীন। সে নিজের মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছে। প্রতিবাদ করতে পেরেছে। জয়ীও হয়েছে। সেই সাথে পরিবারের সমস্যা দূরীকরণে আত¥প্রত্যয়ী হয়েছে। উভয়েই প্রতিবাদী চরিত্র হলেও উদ্দীপকের রাহেলা এবং ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরা সর্বক্ষেেত্র এক রকম নয়।
১১ নং. উচ্চশিক্ষিত শৈলী বিয়ের পর শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত হয়। এতে তার স্বামী সামান্য অনীহা প্রকাশ করেন। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় শৈলীর স্বামী পঙ্গু হয়ে পড়লে শৈলীকে সংসারের হাল ধরতে হয়। এবার শৈলীর স্বামী উপলব্ধি করেন, সুখী ও সুন্দর সমাজ গঠনে নারীর স্বনির্ভরতা আবশ্যক।
ক. ‘বহিপীর’ নাটকে ডেমরাঘাট থেকে উদ্ধার করা মেয়েটির নাম কী? ১
খ. ‘এমন মেয়েও পেটে কারো জন্মায় জানতাম না’- এ কথাটি বুঝিয়ে বলো। ২
গ. উদ্দীপকের শৈলী আর ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরা চরিত্রের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “শৈলীর চেতনা প্রগতিশীল কিন্তু তাহেরার জীবনযাত্রা ছিল অনিশ্চিত”- কথাটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
১১ নংপ্র. উ.
ক. ‘বহিপীর’ নাটকে ডেমরাঘাট থেকে উদ্ধার করা মেয়েটির নাম তাহেরা।
খ. [সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ (খ) – এর উত্তর দেখো]
গ. সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থানগত দিক থেকে উদ্দীপকের শৈলী আর ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার মধ্যে বৈসাদৃশ্য বিদ্যামান।
‘বহিপীর’ নাটকে তাহেরা নারী অধিকার ও জাগরণের প্রতীক। তাহেরা শিক্ষিত না হলেও বুদ্ধিমতী ও স্পষ্টবাদী। সে সবসময় তার নিজস্বতা ও ব্যক্তিত্বকে অক্ষুণ্ণ রাখতে চেষ্টা করেছে। তবে সে কোনো কর্মসংস্থান বা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেনি। সেই সামাজিক বাস্তবতায় হয়তো সেটি সম্ভব ছিল না। হাশেমের হাত ধরেই শেষ পর্যন্ত সে তার জীবনের পূর্ণতা খুঁজে পেয়েছিল।
উদ্দীপকে শৈলী উচ্চশিক্ষিত। সে বিয়ের পর শিক্ষকতা শুরু করে। স্বামী পঙ্গু হয়ে গেলে সে-ই সংসারের হাল ধরে। একজন আত¥নির্ভরশীল নারী হিসেবে শৈলী নিজেকে গড়ে তোলে। কিন্তু নাটকের তাহেরার বাস্তবতার সেটি সম্ভব ছিল না।
ঘ. জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য উদ্দীপকের শৈলী সচেষ্ট ও আত¥নির্ভরশীল হলেও ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার ক্ষেেত্র সেটি দেখা যায় না।
‘বহিপীর’ নাটকে তাহেরা এক সাহসী নারী। তার ভেতর আবেগ, অনুভূতি, মর্যাদাবোধ ছিল। কিন্তু সে বাস্তববাদী ছিল না। কারণ সে কোনো কিছু না ভেবেই বহিপীরের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাকে নির্ভর করতে হয়েছে মানুষের সহানুভূতি ও মানবিকতার ওপর।
উদ্দীপকের শৈলী যথেষ্ট বাস্তববাদী একজন নারী। বিয়ের পর তাই শিক্ষকতার চাকরিকে বেছে নিয়েছে। স্বামী দুর্ঘটনায় পঙ্গু হলে সে সংসারে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। শৈলীর এই জীবনধর্মী ও বাস্তব পদক্ষেেপ তার স্বামীও বুঝতে পেরেছে সুখী সুন্দর সমাজের জন্য নারীর একটি মজবুত অবস্থান দরকার। ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরা কারও মনে এমন পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়নি।
‘বহিপীর’ নাটকে হাশেম যদি তাহেরার পাশে না দাঁড়াতো তাহলে তাহেরার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ত। ঘর ছেড়ে পালানোর সময় তাহেরার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। প্রকৃতপক্ষে তাহেরার বাস্তবতায় সেটি সম্ভবও ছিল না। তবে তাহেরার জীবনের যেকোনো সুনির্দিষ্ট ভিত্তি ছিল না সেটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। সে অনেকটা ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু উদ্দীপকের শৈলী পরিশ্রম ও দক্ষতার মাধ্যমে নিজের ভাগ্যকে গড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। তার রয়েছে নিজস্ব পরিকল্পনা। স্বামীর জীবনে বড় একটি দুর্ঘটনার পরও সে হেরে যায়নি। বরং এগিয়ে চলছে সাহসিকতার সাথে। তাই বলা যায়, শৈলীর চেতনা প্রগতিশীল কিন্তু তাহেরার জীবনযাত্রা ছিল অনিশ্চিত- উক্তিটি যথার্থ।
১২ নং. চৌধুরী সাহেবের ছেলে মেধাতালিকায় স্থান না পেলেও চৌধুরী সাহেব তাকে ঐ স্কুলেই পড়াতে চান। তিনি প্রধান শিক্ষক কিবরিয়া সাহেবকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখান। পারিবারিক অনটনের কথা মাথায় এলেও অন্য একটি মেধাবী ছেলেকে বঞ্চিত করতে কিবরিয়া সাহেবের মন সায় দেয় না। তিনি চৌধুরী সাহেবের প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন। চৌধুরী সাহেব এতে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেন এবং কিবরিয়া সাহেবকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দিয়ে যান।
ক. বহিপীর নাটকের রচয়িতা কে? ১
খ. তাহেরা উঁকি দিয়ে পীরসাহেবকে দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় কেন? ২
গ. ‘বহিপীর’ নাটকের হাতেম আলির সাথে উদ্দীপকের কিবরিয়া সাহেবকে কোন দিক থেকে মেলানো যায়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “মানুষের সততা ‘বহিপীর’ নাটকের বহিপীর এবং উদ্দীপকের চৌধুরী সাহেবের মনে ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪
১২ নংপ্র. উ.
ক. বহিপীর নাটকের রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ।
খ. যে পীরের সাথে বিয়ে দেওয়ায় তাহেরা পালিয়ে এসেছে তাকেই বজরায় দেখতে পেয়ে আতকে স্তব্ধ হয়ে যায়।
তাহেরা একটি কম বয়সী বালিকা। কিন্তু তার পিতা জোর করে তার সাথে এক বুড়ো পীরের বিয়ে দেয়। এই বিয়ে তাহেরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তাই বিয়ের রাত্রেই পালিয়ে যায়। ঘটনাক্রমে সে জমিদার হাতেম আলির আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানে ঐ পীরসাহেবও ঝড়ের কবলে পড়ে আশ্রয় নেন। তাহেরা উঁকি দিয়ে বজরার আরেক কামরায় তাঁকে দেখেই স্তব্ধ হয়ে যায়।
গ. ‘বহিপীর’ নাটকে জমিদার হাতেম আলি এবং উদ্দীপকের কিবরিয়া সাহেব সততা প্রদর্শনের দিক থেকে তুলণীয়।
‘বহিপীর’ নাটকে বর্ণিত হাতেম আলি এক ক্ষহিষ্ণু জমিদার। খাজনা বাকি পড়ায় তাঁর জমিদারি নিলামে উঠেছে। ধূর্ত বহিপীর হাতেম আলির এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাহরোকে তার হাতে তুলে দেওয়ার শর্তে টাকা কর্জ দিতে চায়। জমিদার পরিবারকে বাঁচাতে তাহেরা এই শর্তে রাজি হলেও হাতেম আলির ভেতরে মনুষ্যত্ববোধ জেগে ওঠে। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন তাঁর জমিদারি চলে গেলেও তিনি অন্যায় শর্তে একটি অসহায় মেয়েকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেবেন না। তাই বহিপীরকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তিনি ওই শর্তে কর্জ নেবেন না।
উদ্দীপকে বর্ণিত প্রধান শিক্ষক কিবরিয়া সাহেব টাকার লোভে অন্যায় ও অমানবিক কাজ করতে রাজি হননি। একটি মেধাবী ছাত্রকে বঞ্চিত করে চৌধুরী সাহেবের কথামতো অর্থের লোভে তার সন্তানকে ভর্তি করা অনৈতিক বিবেচনা ভেবেছেন। ফলে তিনি অন্যায় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। চৌধুরী সাহেবের হুমকি সত্ত্বেও তিনি সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন। ‘বহিপীর’ নাটকেও আমরা লক্ষ করি সুযোগসন্ধানী বহিপীরের প্রস্তাব জমিদার হাতেম আলি প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিজের জীবনের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জেনেও সততা, মানবিকতা ও নীতি আদর্শকে বড় করে দেখেছেন।
ঘ. মানুষের সততা ‘বহিপীর’ নাটকের ধূর্ত অর্থলোভী বহিপীরের মাঝে মানবিকতা সৃষ্টি করলেও উদ্দীপকের চৌধুরী সাহেবকে প্রতিহিংসাপরায়ণ করেছে।
‘বহিপীর’ নাটকে স্বার্থান্বেষী বহিপীর তাঁর মুরিদদের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে ধর্মব্যবসা পরিচালনা করেন।
ভাবে তিনি প্রচুর অর্থবিত্তের মালিকও হয়েছেন। অন্ধভক্ত মুরিদ সওয়াব লাভের আশায় তার কিশোরী কন্যাকে বহিপীরের হাতে তুলে দেয়। পীরের হাত থেকে বাঁচার জন্য কিশোরী তাহেরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাক্রমে জমিদার হাতেম আলির বজরায় তাদের সাক্ষাৎ ঘটে। তাহেরাকে পাওয়ার জন্য বহিপীর মরিয়া হয়ে ওঠেন। জমিদারি বাঁচাতে হাতেম আলিকে টাকা কর্জ দেওয়ার প্রস্তাব করেন বহিপীর। বিনিময়ে তাহেরাকে তাঁর হাতে তুলে দিতে বলেন। এক পর্যায়ে তাহেরা রাজি হলেও জমিদার টাকা নিতে রাজি হননি।
একটি অসহায় মেয়ের জীবন নষ্ট করতে চাননি। এ ঘটনার বহিপীরের মাঝেও নৈতিকতা জেগে ওঠে।
উদ্দীপকের চৌধুরী সাহেব ছেলের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও স্কুলে ভর্তির করার জন্য প্রধান শিক্ষক কিবরিয়া সাহেবকে মোট টাকার প্রলোভন দেখান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক অন্য একজন মেধাবী ছাত্রকে বঞ্চিত করতে রাজি হননি। এতে চৌধুরী সাহেব ক্ষপ্তি হয়ে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। প্রধান শিক্ষকের মতো চৌধুরীর সাহেবের মনে কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি বরং তিনি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছেন।
‘বহিপীর’ নাটকে জমিদার হাতেম আলীর সততার দৃষ্টান্ত দেখে ধূর্ত ও সুযোগসন্ধানী বহিপীরের মাঝেও মানবিক চেতনা জাগ্রত হয়। বহিপীর পরে কোনো শর্ত ছাড়াই হাতেম আলীর জমিদারি রক্ষা করার জন্য তার পাশে দাঁড়ান। তাহেরাকে জোর করে পাওয়ার মনোবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসেন। অন্যদিকে উদ্দীপকে প্রধান শিক্ষক কিবরিয়া চৌধুরী সাহেবের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাঁর মনে এই সততা ও নৈতিকতার কোনোই প্রভাব পড়েনি। উল্টো প্রধান শিক্ষককে তিনি ভয়ভীতি দেখান। তাই বলা যায়, মানুষের সততা ‘বহিপীর’ নাটকের বহিপীর এবং উদ্দীপকের চৌধুরী সাহেবের মনে ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
১৩ নং. সকলে বলে মনোয়ার হাজি একজন কামেল লোক। তার কাছে পানি পড়া নিলে যেকোনো রোগ ভালো হয়ে যায়। স্থানীয় চাষি গণি মিয়া বুকের ব্যথা সারানোর জন্য হাজি সাহেবের কাছে যেতে চাইলে তার কলেজপড়–য়া ছেলে এর জন্য ডাক্তার দেখানোই ভালো বলে মন্তব্য করে। গণি মিয়া ছেলেকে ধমক দিয়ে বলে, চুপ কর বেয়াদব, উনি কামেল পীর। ওনার গজব পড়লে ধ্বংস হয়ে যাবি।
ক. আপনার তো বুড়োর সাথে বিয়ে হয়নি – তাহেরা এ কথা কাকে বলেছিল? ১
খ. খোদেজা তাহেরাকে পীরসাহেবের কাছে ফিরিয়ে দিতে চান কেন? ২
গ. উদ্দীপকের গণি মিয়ার মানসিকতার সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ‘বহিপীর’ নাটকের মূলভাবের প্রতিফলন ঘটেছে কি? তোমার মন্তব্য প্রতিষ্ঠা করো। ৪
১৩ নংপ্র. উ.
ক. আপনার তো বুড়োর সাথে বিয়ে হয়নি-তাহেরা এ কথা খোদেজাকে বলেছিল।
খ. পীরসাহেবের বদদোয়ার ভয়ে খোদেজা তাহেরাকে ফিরিয়ে দিতে চান।
বৃদ্ধ পীরের সাথে বিয়েতে মত না থাকায় তাহেরা পালিয়ে এসেছিল। বহিপীর তাকে খুঁজতে এসে হাতেম আলির বজরায় পেয়ে যায়। পীরের দোয়া পাওয়ার জন্য মানুষ অনেক কিছুই করে। খোদেজাও পীরের দোয়া পেতে চেয়েছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন বহিপীর বদদোয়া দিলে সংসারে ক্ষিত হবে। তাই পীরের বদদোয়া থেকে রক্ষা পেতে তিনি তাহেরাকে ফিরিয়ে দিতে চান।
গ. অন্ধবিশ্বাস পোষণের দিক থেকে উদ্দীপকের গণি মিয়ার মানসিকতার সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের খোদেজা চরিত্রের মিল রয়েছে।
‘বহিপীর’ নাটকে একজন সর্বগ্রাসী স্বার্থপর পীরের চরিত্র চিত্রণ করা হয়েছে। ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করেন। জমিদারপত্নী খোদেজা তেমনি পীরের অন্ধভক্ত। ধর্মভীরু খোদেজা একটি অচেনা অসহায় মেয়েকে আশ্রয় দেন। যখনই জেনেছেন মেয়েটি পীরের পালিয়ে আসা স্ত্রী, তখন তিনি তাকে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন। বিয়েটিকে অন্যায় মনে করলেও পীরের অভিশাপের ভয়ে ভীত থেকেছেন।
উদ্দীপকের গণি মিয়া একজন চাষি। বুকে ব্যথা সারানোর জন্য সে কথিত কামেল পীর মনোয়ার হাজির কাছে যেতে চায় পানি পড়া আনার জন্য। তার বিশ্বাস পানি পড়া খেলে সে ভালো হয়ে যাবে। কলেজপড়–য়া শিক্ষিত ছেলে এর প্রতিবাদ করলে গণি মিয়া রেগে যায় এবং পুত্রকে গালমন্দ করে। ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয়ও দেখায়। অসুখে বিসুখে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই সচেতন মানুষের কাজ। কিন্তু ধর্মীয় কুসংস্কার গণি মিয়াকে এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাই গণি মিয়ার এই ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসের সাথে বহিপীর নাটকের খোদেজা চরিত্রের মিল রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে ‘বহিপীর’ নাটকের মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। কারণ নাটকে সবশেষে সত্যই জয়যুক্ত হলেও উদ্দীপকে তা লক্ষ করা যায় না।
‘বহিপীর’ নাটকে শক্তিমান লেখক সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ ধর্মের মুখোশধারী একজন পীরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন। পীরসাহেব সারা বছর মুরিদদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ান। তাদের কাছ থেকে অর্থ-সম্পদ সংগ্রহ করেন। বৃদ্ধ বয়সে তিনি একজন অন্ধভক্ত মুরিদের কিশোরী কন্যাকে বিয়ে করেন। প্রতিবাদী কিশোরী এই অন্যায় সিদ্ধান্ত না মেনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। নানা কূটকৌশলে তাহেরাকে ফিরে পেতে চান বহিপীর। তাহেরার প্রতিবাদী ভূমিকা ও হাশেমের চারিত্রিক দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত তাহেরা মুক্তি পায়।
উদ্দীপকে ধর্মীয় কুসংস্কারের দিকটি আলোচিত হয়েছে। সেখানে গণি মিয়া তার চিরাচরিত ধর্মীয় কুসংস্কার অনুযায়ী বুকের ব্যথার উপশমের জন্য কথিত কামেল পীরের নিকট পানি পড়া আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার কলেজপড়–য়া শিক্ষিত ছেলে এর প্রতিবাদ করে। কিন্তু গণি মিয়ার বদ্ধমূল বিশ্বাস যে, এতে ছেলে পীরের বদদোয়ায় ধ্বংসের সম্মুখীন হতে পারে।
‘বহিপীর’ নাটকে ধর্মীয় গোঁড়ামি, ধর্মকে পুঁজি করে অর্থবিত্তের মালিক হওয়া, সত্য ও মানবাধিকারের পক্ষে জোরালো ও শক্ত অবস্থান, মানবিকতার জয় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে। পাশাপাশি তৎকালীন সমাজের জমিদারি প্রথা পীরের উদ্দেশে সর্বস্ব নিবেদন করাসহ বহুবিধ বিষয় আলোচিত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে কেবল ধর্মীয় কুসংস্কার ও এর প্রতিবাদের বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে সত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা নেই। তাই উদ্দীপকে ‘বহিপীর’ নাটকের মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।
১. বহিপীর নাটকে কে ঘর ছেড়ে পালিয়েছিল?
উত্তর : বহিপীর নাটকে তাহেরা ঘর ছেড়ে পালিয়েছিল।
২. বদলোকেরা কাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে?
উত্তর : বদলোকেরা তাহেরাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে।
৩. তাহেরা কাকে সাথে নিয়ে পালিয়েছিল?
উত্তর : তাহেরা চাচাতো ভাইকে সাথে নিয়ে পালিয়েছিল।
৪. বহিপীর নাটকে কার চোখে ভয় ও কান্না ছিল না?
উত্তর : বহিপীর নাটকে তাহেরার চোখে ভয় ও কান্না ছিল না।
৫. বহিপীর নাটকে নদীতে কী ভেসে যায়?
উত্তর : বহিপীর নাটকে নদীতে কচুরিপানা ভেসে যায়।
৬. তাহেরার পরিবারে কে কে ছিল?
উত্তর : তাহেরার পরিবারে বাবা ও সৎমা ছিল।
৭. “আমি কি বকরি-ঈদের গরু ছাগল নাকি?” কথাটি কার?
উত্তর : “আমি কি বকরি ঈদের গরু ছাগল নাকি?”- কথাটি তাহেরার।
৮. বজরার দুর্ঘটনায় কারা নাকানি-চুবানি খেয়েছেন?
উত্তর : বজরার দুর্ঘটনায় পীরসাহেব ও দুই সঙ্গী নাকানি-চুবানি খেয়েছেন।
৯. কলেজের পড়া শেষ করে কে ছাপাখানা দিতে চায়?
উত্তর : কলেজের পড়া শেষ করে হাশেম ছাপাখানা দিতে চায়।
১০. হাতেম আলির একমাত্র ছেলের নাম কী?
উত্তর : হাতেম আলীর একমাত্র ছেলের নাম হাশেম।
১১. কিসের ভাষায় কথা বলেন বলে পীরসাহেবের নাম বহিপীর হয়েছিল?
উত্তর : বইয়ের ভাষায় কথা বলেন বলে পীরসাহেবের নাম বহিপীর হয়েছিল।
১২. বহিপীরের মতে কোন ভাষার মতো পবিত্র ও গম্ভীর কোনো ভাষা নেই?
উত্তর : বহিপীরের মতে পুস্তকের ভাষার মতো পবিত্র ও গম্ভীর কোনো ভাষা নেই।
১৩. খোদার বাণী বহন করার উপযুক্ততা নেই কোন ভাষার?
উত্তর : খোদার বাণী বহন করার উপপুক্ততা নেই কথ্য ভাষার।
১৪. বহিপীরের বাড়ি কোথায়?
উত্তর : বহিপীরের বাড়ি সুনামগঞ্জে।
১৫. গ মিদার হাতেম আলি বহিপীরের কাছে কী বলার জন্য মাফ চাইলেন?
উত্তর : জমিদার হাতেম আলি বহিপীরের কাছে ঝুট কথা বলার জন্য মাফ চাইলেন।
১৬. কোন আইনের কারণে জমিদার হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠতে বসেছিল?
উত্তর : জমিদার হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠতে বসেছিল সান্ধ্য আইনের কারণে।
১৭. বহিপীরের প্রথম স্ত্রীর এন্তেকাল হয় কত বছর আগে?
উত্তর : বহিপীরের প্রথম স্ত্রীর এন্তেকাল হয় চৌদ্দ বছর আগে।
১৮. বহিপীরের মতে, শিক্ষাদীক্ষার গাফিলতি হলে দোষটা কার ঘাড়ে পড়ে?
উত্তর : বহিপীরের মতে শিক্ষাদীক্ষার গাফিলতি হলে দোষটা পিতামাতার ঘাড়েই পড়ে।
১৯. খোদেজার মতে বিয়ে হলো কিসের কথা?
উত্তর : খোদেজার মতে বিয়ে হলো তকদিরের কথা।
২০. খোদেজার মতে কার সাথে বিয়ে হওয়া খারাপ কথা না?
উত্তর : খোদেজার মতে পীরের সাথে বিয়ে হওয়া খারাপ কথা না।
২১. বকরি ঈদ মানে কী?
উত্তর : বকরি ঈদ মানে কোরবানির ঈদ।
২২. বহিপীর সারা জীবন কাদের মঙ্গল কামনা করেছেন?
উত্তর : বহিপীর সারা জীবন মুরিদদের মঙ্গল কামনা করেছেন।
২৩. বহিপীর নাটকে কে সাঁতার জানে না?
উত্তর : বহিপীর নাটকে তাহেরা সাঁতার জানে না।
২৪. বহিপীর কাকে বাবা বলে সম্বোধন করেন?
উত্তর : বহিপীর হাশেমকে বাবা বলে সম্বোধন করেন।
২৫. কার মতে তাহেরার লজ্জাশরম নেই?
উত্তর : খোদেজার মতে তাহেরার লজ্জাশরম নেই।
২৬. হাতেম আলির বাল্যবন্ধুর নাম কী?
উত্তর : হাতেম আলির বাল্যবন্ধুর নাম আনোয়ার উদ্দিন।
২৭. কী হারালে হাতেম আলির পরিবার দেউলে হবে?
উত্তর : জমিদারি হারালে হাতেম আলির পরিবার দেউলে হবে।
২৮. জুম্মারাতে বহিপীরের সাথে কার বিয়ে হয়?
উত্তর : জুম্মারাতে বহিপীরের সাথে তাহেরার বিয়ে হয়।
২৯. বহিপীর তাহেরাকে খুঁজতে কোথায় গিয়েছিলেন?
উত্তর : বহিপীর তাহেরাকে খুঁজতে কদমতলা গিয়েছিলেন।
৩০. বহিপীরের মতে কারা পেটের কথা চেপে রাখতে পারে না?
উত্তর : বহিপীরের মতে স্ত্রীলোক পেটের কথা চেপে রাখতে পারে না।
৩১. তাহেরাকে বাঁচাতে হাশেম প্রয়োজনে কী করবে?
উত্তর : তাহেরাকে বাঁচাতে হাশেম প্রয়োজনে তাকে বিয়ে করবে।
৩২. গ মিদার কার আগমনের অপেক্ষা করছিলেন?
উত্তর : জমিদার বাল্যবন্ধু আনোয়ার উদ্দিনের আগমনের অপেক্ষা করছিলেন।
৩৩. হাশেমের মতে বার্তাবাহককে কী হতে হয়?
উত্তর : হাশেমের মতে বার্তাবাহককে দলহীন হতে হয়।
৩৪. ‘বহিপীর’ নাটকে কে সাবধানী লোক?
উত্তর : ‘বহিপীর’ নাটকে পীর সাহেব সাবধানী লোক।
৩৫. বহিপীর কাকে পুলিশ ডাকতে বলল?
উত্তর : বহিপীর হকিকুলস্নাহকে পুলিশ ডাকতে বলল।
৩৬. বিবির গায়ে হাত দেওয়ার জন্য বহিপীর কাকে মানা করলেন?
উত্তর : বিবির গায়ে হাত দেওয়ার জন্য বহিপীর হাশেমকে মানা করলেন।
৩৭. কে বহিপীরের ঘাড়ের ওপর জিব্রাইলের মতো দাঁড়িয়ে আছে?
উত্তর : হকিকুলস্নাহ বহিপীরের ঘাড়ের পওর জিব্রাইলের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
৩৮. হাশেম তাহেরার কোথায় ব্যথা দিয়েছে?
উত্তর : হাশেম তাহেরার বাম বাহুতে ব্যথা দিয়েছে।
৩৯. হাতেম আলি শহরে এসেছে কী রক্ষা করতে?
উত্তর : হাতেম আলি শহরে এসেছে জমিদারি রক্ষা করতে।
৪০. হাশেম কার কথা ভেবে কাঁদল?
উত্তর : হাশেম তার বাবার কথা ভেবে কাঁদল।
৪১. ‘বহিপীর’ নাটকে খোদা কার দিলে রুহানি শক্তি দিয়েছেন বলে উলেস্নখ আছে?
উত্তর : ‘বহিপীর’ নাটকে খোদা বহিপীরের দিলে রুহানি শক্তি দিয়েছেন বলে উলেস্নখ আছে।
৪২. বহিপীরের মতে কে জীবনে স্নেহমমতা পায়নি?
উত্তর : বহিপীরের মতে তাহেরা জীবনে স্নেহমমতা পায়নি।
৪৩. কার মতে বহিপীর অনেক নেক মানুষ?
উত্তর : খোদেজার মতে বহিপীর অনেক নেক মানুষ।
৪৪. বহিপীরের পিঠ টিপে দেয় কে?
উত্তর : বহিপীরের পিঠ টিপে দেয় হকিকুলস্নাহ।
৪৫. কারা নতুন জীবনের পথে যাচ্ছে?
উত্তর : হাশেম আর তাহেরা নতুন জীবনের পথে যাচ্ছে।
৪৬. তাহেরাকে কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়?
উত্তর : তাহেরাকে ডেমরা ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়।
৪৭. বহিপীরের কানে কোন ভাষা কটু ঠেকে?
উত্তর : বহিপীরের কানে কথ্য ভাষা কটু ঠেকে।
৪৮. কারা বহিপীরকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে?
উত্তর : মুরিদরা বহিপীরকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে।
৪৯. বহিপীরের সবসময় কী করার অভ্যাস?
উত্তর : বহিপীরের সবসময় ওয়াজ-নসিহত করার অভ্যাস।
৫০. ‘বহিপীর’ নাটকে অঙ্ক কয়টি?
উত্তর : ‘বহিপীর’ নাটকে অঙ্ক দুইটি।
৫১. হাতেম আলির কাছে ‘জমিদার সাহেব’ নামটা কিসের মতো শোনায়?
উত্তর : হাতেম আলির কাছে ‘জমিদার সাহেব’ নামটা ঠাট্টার মতো শোনায়।
৫২. ‘বহিপীর’ নাটকে হাতেম আলির স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর : ‘বহিপীর’ নাটকে হাতেম আলির স্ত্রীর নাম খোদেজা।
৫৩. বহিপীর কার মাঝে একজন অসাধারণ নারীর পরিচয় পেয়েছেন?
উত্তর : বহিপীর তাহেরার মাঝে একজন অসাধারণ নারীর পরিচয় পেয়েছেন।
৫৪. শহরে বহিপীরের কয়জন ধনী মুরিদ আছে?
উত্তর : শহরে বহিপীরের তিনজন ধনী মুরিদ আছে।
৫৫. পীরসাহেব হাতেম আলিকে কর্জ দেওয়ার বিনিময়ে কাকে ফেরত চান?
উত্তর : পীরসাহেব হাতেম আলিকে কর্জ দেওয়ার বিনিময়ে তাঁর বিবি তাহেরাকে ফেরত চান।
৫৬. কোনো বদদোয়া কার গায়ে লাগে না?
উত্তর : কোনো বদদোয়া পীরের গায়ে লাগে না।
১. তাহেরা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল কেন?
উত্তর : বহিপীরের সাথে বিয়েতে মত না থাকায় তাহেরা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল।
তাহেরার তুলনায় বহিপীরের বয়স অনেক বেশি। কিন্তু তাহেরার পিতামাতা বহিপীরের মুরিদ হওয়ায় তারা তার সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাহেরার এই বিয়েতে কোনোভাবেই মত ছিল না। তাই সে এই বিয়ে থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চেয়েছিল। এজন্য তাহেরা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল।
২. বহিপীর হাতেম আলির নৌকায় আশ্রয় নেন কেন?
উত্তর : ঝড়ের কবলে বহিপীরকে বহনকারী নৌকা ডুবে যাওয়ায় তিনি হাতেম আলির নৌকায় আশ্রয় নেন।
বহিপীর তাহেরাকে খুঁজতে নৌকা নিয়ে তার খাদেমের সাথে বের হন। পথিমধ্যে নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে। তখন বহিপীরের নৌকা ও হাতেম আলির নৌকা একই সাথে খালের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করছিল। সে সময় ধাক্কা খেয়ে বহিপীরের নৌকা ডুবে যায়। ফলে সাঁতরে বহিপীর হাতেম আলির নৌকায় আশ্রয় নেন।
৩. হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠতে চলেছে কেন?
উত্তর : সান্ধ্য আইনের ফলে টাকা পরিশোধ করতে না পারায় হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠতে চলেছে।
হাতেম আলি রেশমপুরের জমিদার। কিন্তু তিনি এই জমিদারি হারাতে বসেছেন। সান্ধ্য আইনে নির্ধারিত সময়ের আগে খাজনা পরিশোধ না করলে জমিদারি নিলামে উঠত। হাতেম আলি অনেক চেষ্টা করেও খাজনার টাকা জোগাড় করতে পারেননি। এজন্য তিনি শহরে বন্ধুর কাছে গিয়েও খালি হাতে ফিরেছেন। ফলে তার জমিদারি নিলামে উঠতে চলেছে।
৪. বহিপীর নৌকা নিয়ে কদমতলার ঘাটের দিকে গিয়েছিলেন কেন?
উত্তর : বহিপীর তাহেরাকে খুঁজতে নৌকা নিয়ে কদমতলার ঘাটের দিকে গিয়েছিলেন।
বহিপীরের বয়স বেশি হওয়ায় বালিকা তাহেরা বহিপীরের সাথে বিয়েতে রাজি ছিল না। এজন্য সে বিয়ের রাতেই পালিয়ে যায়। বহিপীর তাহেরার পালিয়ে যাওয়ার কথা শুনে তার খাদেমকে নিয়ে নৌকা করে খুঁজতে বের হন। সে সময় বহিপীর তাহেরাকে খুঁজতে কদমতলার ঘাটের দিকেও গিয়েছিলেন।
৫. তাহেরা পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরতে চায় কেন?
উত্তর : তাহেরা বহিপীরের সাথে যেতে ইচ্ছুক নয় বলে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরতে চায়।
তাহেরা বহিপীরকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় পালিয়ে যায়। কিন্তু তাহেরা যে বজরায় আশ্রয় নেয় ঝড়ের কবলে পড়ে বহিপীরও সেই বজরাতেই আশ্রয় নেয়। সেখানে তাহেরাকে বহিপীর ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে তাহেরা তাতে অস্বীকৃতি জানায় এবং প্রয়োজনে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরতে চায়।
৬. “চারিদিকে আমি অন্ধকার দেখছি”- হাতেম আলির একথা বলার কারণ কী?
উত্তর : জমিদারির পতন আসন্ন জেনে হতাশায় হাতেম আলি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
হাতেম আলি রেশমপুরের জমিদার। সে জমিদারি রক্ষার জন্য বাল্যবন্ধু আনোয়ারের কাছে টাকা কর্জ করতে গিয়েছিল। কিন্তু বন্ধু তাকে নিরাশ করে। ফলে খাজনা শোধ করতে না পারায় হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠবে। এই দুশ্চিন্তায় হাতেম আলি বলেন ‘চারিদিকে আমি অন্ধকার দেখছি’।
৭. হাশেম তাহেরাকে বিয়ে করে হলেও বাঁচাতে চায় কেন?
উত্তর : তাহেরার প্রতি দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসার কারণে হাশেম তাকে বিয়ে করে হলেও বহিপীরের হাত থেকে বাঁচাতে চায়।
তাহেরা বালিকা মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও তার পরিবার এক বুড়ো পীরের সাথে তার বিয়ে দেয়। কিন্তু তাহেরা এই বিয়ে না মেনে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং ঘটনাক্রমে হাশেম আলিদের বজরায় আশ্রয় নেয়। তাহেরার মতো একজন বালিকা মেয়ের এই বিয়ে হাশেম আলিও মেনে নিতে পারেনি। একজন দায়িত্ববোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে সে তাহেরার পক্ষ অবলম্বন করে। বহিপীরের হাত থেকে তাহেরাকে সে বাঁচাতে চায়। প্রয়োজনে বিয়ে করে হলেও সে তাহেরাকে বাঁচাতে চায়।
৮. তাহেরা বহিপীরের সাথে বিয়েতে রাজি ছিল না কেন?
উত্তর : বয়সের ব্যবধান অনেক বেশি হওয়ায় তাহেরা বহিপীরের সাথে বিয়েতে রাজি ছিল না।
তাহেরা একজন স্বাধীনচেতা নারী। তাহেরা বালিকা হলেও বহিপীর ছিলেন বুড়ো। তার পিতা বয়সের ব্যবধানের হিসাব না করে এই বুড়ো পীরের সাথেই বিয়ে ঠিক করে। কিন্তু তাহেরা বহিপীরের সাথে তার বয়সের ব্যবধান মেনে নিতে পারেনি। তাই সে বিয়েতে রাজি ছিল না।
৯. তাহেরার পিতামাতা বহিপীরের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেন কেন?
উত্তর : তাহেরার পিতামাতা পীরসাহেবকে খুশি করার জন্য বহিপীরের সাথে তাহেরার বিয়ে ঠিক করেন।
তাহেরার পিতামাতা ছিলেন বহিপীরের মুরিদ। বহিপীর অনেক দিন পর পর তাদের বাড়িতে গেলে তারা পীরের খেদমতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা মনে করে পীরের খেদমত করতে পারলেই অনেক অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। তাই তারা পীরকে খুশি রাখতে চান। আর পীরকে খুশি রাখার আশায় তারা তাহেরার সাথে পীরসাহেবের বিয়ে দিতে চান।
১০. হাশেম তাহেরাকে হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দেয় কেন?
উত্তর : তাহেরা নদীতে ঝাঁপ দিতে গেলে তাকে বাঁচানোর জন্য হাশেম হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দেয়।
তাহেরার প্রতি প্রথম থেকেই হাশেমের দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা জাগ্রত হয়। সে বহিপীরের কবল থেকে তাহেরাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বহিপীর বিভিন্ন কৌশলে তাহেরাকে নিয়ে যেতে চান। একপর্যায়ে পীরসাহেব পুলিশ ডাকতে পাঠালে তাহেরা নদীতে ঝাঁপ দিতে যায়। তখন তাকে বাঁচানোর জন্য হাশেম হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দেয়।
১১. খোদেজার সাথে হাশেমের বিরোধ সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তর : তাহেরাকে বহিপীরের সাথে পাঠানো নিয়ে খোদেজার সাথে হাশেমের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
তাহেরা বাড়ি থেকে পালিয়ে হাতেম আলির বজরায় উঠেছে। অন্যদিকে বহিপীর তাহেরাকে খুঁজতে গিয়ে ঐ বজরায় এসেছে। সেখান থেকে বহিপীর তাহেরাকে নিয়ে যেতে চাইলে তাহেরা তাতে অস্বীকৃতি জানায়। কেননা সে বহিপীরের সাথে সংসার করতে রাজি নয়। সেখানে হাশেম তাহেরার পক্ষ নিলেও খোদেজা তাহেরাকে পাঠিয়ে দিতে চায়। আর এ নিয়ে খোদেজার সাথে হাশেমের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
১২. বাবার জমিদারি নিলামে ওঠার কথায় হাশেম কাঁদতে শুরু করে কেন?
উত্তর : বাবার জমিদারি নিলামে ওঠায় তার কষ্ট অনুধাবন করে হাশেম কাঁদতে শুরু করে।
হাশেম একজন অনুভূতিবোধসম্পন্ন মানুষ। অন্যের দুঃখ কষ্ট তাকে ব্যথিত করে। তাহেরার প্রতি সে যেমন সমব্যথী হয়েছে তেমন বাবার জমিদারি হারোনোর কথাও তাকে ব্যথিত করেছে। বাবা জমিদারি হারানোতে তার বুকের মধ্যে কেমন অস্থিরতা কাজ করছে তা ভেবে হাশেম আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। আর এজন্য সে কেঁদে ফেলে।
১৩. খোদেজা খাল কেটে কুমির আনার কথা বলেছে কেন?
উত্তর : হাশেম তাহেরাকে বিয়ে করতে চাওয়ায় খোদেজা মনে করে সে খাল কেটে কুমির এনেছে।
খোদেজা তাহেরাকে বিপদগ্রস্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তাদের বজরায় আশ্রয় দেয়। তার কাছে সকল ঘটনা শুনে হাশেম তাহেরার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। সে তাহেরাকে বিয়ে করে হলেও উদ্ধার করতে চায়। তখন খোদেজা তাহেরার প্রতি ইঙ্গিত করে খাল কেটে কুমির আনার কথা বলেছে।
১৪. হাতেম আলি বহিপীরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল কেন?
উত্তর : হাতেম আলি নিজের আত¥সম্মান বোধের কারণে বহিপীরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল।
হাতেম আলি রেশমপুরের জমিদার। ফলে তিনি একজন আত¥সম্মানী মানুষ। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি জমিদারি হারাতে বসেছেন। এ সময় বহিপীর তাহেরাকে সাথে যেতে রাজি করার বিনিময়ে হাতেম আলিকে জমিদারি রক্ষার টাকা দিতে চায়। কিন্তু এ প্রস্তাব মেনে নিতে হাতেম আলির আত¥সম্মানে বাধে। তাই তিনি বহিপীরের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
১৫. শেষ পর্যায়ে বহিপীর হাতেম আলিকে কোনো উদ্দেশ্য ছাড়া সাহায্য করতে চাইলেন কেন?
উত্তর : বহিপীরের মাঝে মানবতাবোধ জাগ্রত হওয়ায় শেষ পর্যায়ে তিনি হাতেম আলিকে কোনো উদ্দেশ্য ছাড়া সাহায্য করতে চাইলেন।
বহিপীর তাহেরাকে সাথে নেওয়ার জন্য নানা রকম ফন্দি আঁটেন। কিন্তু কোনো কিছুতে কাজ না হওয়ায় হাতেম আলিকে সাহায্য করার বিনিময়ে তাহেরাকে চান। কিন্তু হাতেম আলি আত¥সম্মান বোধের কারণে বহিপীরের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে বহিপীরের মাঝেও মানবতাবোধ জন্মে। তিনি বুঝতে পারেন তাহেরার মতো বালিকাকে তার বিয়ে করা উচিত হয়নি। তাই তিনি শেষে কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই হাতেম আলিকে সাহায্য করতে চান।
১৬. হাতেম আলি পীরসাহেবকে সাবধানী লোক বলেছে কেন?
উত্তর : কঠিন পরিস্থিতিতেও পীরসাহেবের স্থিরতা দেখে হাশেম আলি তাকে সাবধানী লোক বলেছে।
বহিপীর কৌশলে তাহেরাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। এজন্য তিনি নানা রকম ফন্দি আঁটেন। কিন্তু কোনো ফন্দি-ফিকিরেই যখন কাজ হচ্ছিল না তখন তিনি উত্তেজিত না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি বুঝে কাজ করছিলেন। হাশেম আলি পীরসাহেবের এই কর্মকাণ্ড দেখে তাকে সাবধানী লোক বলেছে।
১৭. “ঝোঁক কেটে গেলে আপনার ছেলের মনে হতে পারে তিনি ভুল করেছেন” তাহেরা এ উক্তি করেছে কেন?
উত্তর : তাহেরাকে হাশেম বিয়ে করতে চাইলে হাশেমকে যাচাই করার উদ্দেশ্যে তাহেরা প্রশ্নোক্ত উক্তি করেছে।
হাশেম দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা থেকে তাহেরাকে বহিপীরের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিয়ে করতে চায়। হাশেম এ কথা তার মায়ের সামনে তাহেরাকে জানায়। কিন্তু তাহেরা যথেষ্ট বুদ্ধিমতি নারী। তাই সে হাশেমকে যাচাই করে নিতে চায় সে কেন বিয়ে করতে চাচ্ছে। আর এ জন্যই তাহেরা প্রশ্নোক্ত উক্তি করে।
১৮. তাহেরা নিজেকে কোরবানির বকরি বলে ক্ষােভ প্রকাশ করে কেন?
উত্তর : মা-বাবা তাহেরার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বুড়ো পীরের সাথে বিয়ে দেওয়ায় সে নিজেকে কোরবানির বকরি বলে ক্ষােভ প্রকাশ করেছে।
বহিপীরের সাথে বিয়েতে তাহেরার কোনো মত ছিল না। তার বাবা-মা বহিপীরের ভক্ত হওয়ায় তারা বুড়ো বয়সী পীরের সাথে বিয়ে ঠিক করে। এ ক্ষেেত্র তারা তাহেরার মতামতের কোনো তোয়াক্কা করে না। তাই তাহেরা মনে করে কোরবানির বকরিকে যেমন ক্রেতা-বিক্রেতার ইচ্ছায় কেনাবেচা হয় তার সাথেও তেমন করা হচ্ছে। এজন্য সে নিজেকে কোরবানির বকরি ভেবে ক্ষােভ প্রকাশ করে।
১৯. বহিপীর ও তার সঙ্গী পানিতে নাকানি চুবানি খেয়েছে কেন?
উত্তর : নৌকা ডুবে যাওয়ায় বহিপীর ও তার সঙ্গী পানিতে নাকানি চুবানি খেয়েছে।
বহিপীর তার সঙ্গীকে নিয়ে তাহেরাকে খুঁজতে বেরিয়েছিল। পথিমধ্যে ঝড় শুরু হলে তারা দ্রম্নত খালের মধ্যে ঢুকতে যায়। সে সময় হাতেম আলির বজরার সাথে ধাক্কা লেগে তাদের নৌকা ডুবে যায়। আর এসময়ই বহিপীর ও তার সঙ্গী পানিতে নাকনি চুবানি খেয়েছে।
২০. হাতেম আলি সারা বিকেল বাল্যবন্ধু আনোয়ারের আশায় কাটায় কেন?
উত্তর : হাতেম আলি জমিদারি রক্ষায় বাল্যবন্ধু আনোয়ারের কাছ থেকে টাকা ধার নেবে বলে তার আশায় সারা বিকেল কাটায়।
হাতেম আলির জমিদারি সূর্যাস্ত আইনে নিলামে উঠতে চলেছে। এজন্য শেষ মুহূর্তে সাহায্যের আশায় হাতেম আলি শহরে বন্ধুর কাছে আসে। কিন্তু সেখানেও নিরাশ হয়। তবুও হাতেম আলি মনে করে তার বন্ধু টাকা নিয়ে তার কাছে আসবে তার জমিদারি রক্ষা পাবে। তাই সে সারা বিকেল বন্ধু আনোয়ারের আশায় কাটায়।
২১. বহিপীর পুলিশে খবর দিতে চান কেন?
উত্তর : তাহেরা বহিপীরের সাথে যেতে অস্বীকৃতি জানালে বহিপীর পুলিশে খবর দিতে চান।
বহিপীরের সাথে বয়সের ব্যবধান বেশি হওয়ায় তাহেরা বিয়ের দিনই পালিয়ে আসে। তাহেরা বিয়েতে বহিপীরকে পছন্দ করে না। কিন্তু বহিপীর তাহেরাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেন। সব কৌশলে ব্যর্থ হলে তিনি আইনের মাধ্যমে তাহেরাকে নিয়ে যেতে পুলিশে খবর দিতে চান।
১. এমন ঝড় কখনো দেখিনি- উক্তিটি কার? ক
ক. হাশেমের খ. তাহেরার
গ. খোদেজার ঘ. বহিপীরের
২. ‘এক আধটু ঠাট্টা-মস্করা করতেও শুরু করেছে’- কারা এ কাজটি করতে শুরু করেছে? গ
ক. মাঝিরা খ. সহপাঠীরা
গ. গ্রামের লোকেরা ঘ. যাত্রীরা
৩. নদীতে খালি কী দেখতে পায় তাহেরা? ঘ
ক. নৌকা খ. বজরা
গ. পদ্ম পলাশ ঘ. কচুরিপানা
৪. কথ্যভাষা সম্পর্কে বহিপীরের মত হলো,- এটি
র. মাঠ ঘাটের ভাষা
রর. স্রষ্টার বাণী বহন করার উপযুক্ত
ররর. খোদার বাণী বহন করার অনুপযুক্ত
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র খ. রর
গ. র ও রর ঘ. র ও ররর
উদ্দীপকটি পড়ে ৫ ও ৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
তামশু মহাজনের জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে তাঁর মনে শান্তি নেই। বাড়িতে না জানিয়ে তিনি জমি রক্ষার জন্য কোর্টে যান। এসব খরচ যোগানোর অর্থ যোগাড়ের জন্য তিনি বিপথ অবলম্বন করতে গিয়ে বোধোদয় হয়।
৫. উদ্দীপকের তামশু মহাজনের সাথে বহিপীর নাটকের যে চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ- গ
ক. হকিকুলস্নাহ খ. হাশেম আলি
গ. হাতেম আলি ঘ. জমিদার গিন্নি
৬. কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে উভয় চরিত্র সাদৃশ্যপূর্ণ? ক
ক. গ মিদারিত্ব রক্ষার জন্য কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন
খ. পীর সাহেবের প্রতারণার শিকার
গ. সন্তান হারানোর জন্য কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন
ঘ. বজরায় দুর্ঘটনার শিকার
উদ্দীপকটি পড়ে ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মাতবর ধূর্ত প্রকৃতির লোক। বয়স হয়েছে অথচ স্বভাব বদলায় নি। বুড়ো বয়সে কলিমুদ্দির মেয়েকে বিয়ে করার ব্যবস্থা করে। কিন্তু মেয়েটি বিয়ের রাতেই রাজেনের সাথে পালালে মাতবর তা মেনে নেয়।
৭. উদ্দীপকের শেষ অবস্থা মোকাবেলার মাধ্যমে বহিপীর নাটকের কোন চরিত্রের মিল আছে? ক
ক. বহিপীর খ. হাশেম আলি
গ. হাতেম আলি ঘ. হকিকুলস্নাহ
৮. শেষ অবস্থার মোকাবেলায় উভয় চরিত্রে যে বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে তা হলো-
র. বুদ্ধিমত্তা
রর. বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন
ররর. মানবিক চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র খ. রর
গ. র ও রর ঘ. র ও ররর
উদ্দীপকটি পড়ে ৯ ও ১০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আব্দুলস্নাহ গ্রামের স্কুলে মাস্টারি করেন। গ্রামের মানুষ তাকেও পীর মনে করেন। কারণ তাঁর বাবাও পীর ছিলেন। সে কারণে গ্রামের একজন বয়স্ক লোক তাঁর পায়ে সালাম করতে যান। কিন্তু আব্দুলস্নাহ এসবে বিশ্বাস করেন না। সেজন্য তিনি সালাম করতে না দিলে বয়স্ক লোক মনে করেন বেহে¯েত্মর চাবিটা একটুর জন্য ফসকে গেল।
৯. উদ্দীপকের আব্দুলস্নাহর কার্যক্রমে ‘বহিপীর’ নাটকের বিপরীত বৈশিষ্ট্যের চরিত্রটি হলো- ক
ক. হাশেম আলি খ. হাতেম আলি
গ. হকিকুলস্নাহ ঘ. বহিপীর
১০. বহিপীর নাটকের বিপরীতে কার্যক্রমে আব্দুলস্নাহ চরিত্রে প্রকাশিত দিকটি হলো- গ
ক. ধূর্ততা খ. ধৈর্যশীলতা
গ. কুসংস্কারমুক্ত ঘ. ভণ্ডামি
১. ‘বহিপীর’ নাটকের রচয়িতার নাম কী? খ
ক. গ হির রায়হান খ. সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ
গ. সেলিনা হোসেন ঘ. সুফিয়া কামাল
২. সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ কোন পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে পেশাজীবন শুরু করেন? ঘ
ক. দৈনিক আজাদ খ. দৈনিক বাংলা
গ. দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ঘ. স্টেটসম্যান
৩. সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ কোন দেশের দূতাবাসে কাজ করেন? ক
ক. পাকিস্তান খ. আফগানিস্তান
গ. নেপাল ঘ. ভুটান
৪. সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ প্যারিসে কোন সংস্থার সদর দপ্তরে কাজ করেন? খ
ক. ইউনিসেফ খ. ইউনেস্কো
গ. হু ঘ. বিশ্বব্যাংক
৫. সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহর প্রথম গল্পগ্রন্থ কোনটি? খ
ক. লালসালু খ. নয়নচারা
গ. বহিপীর ঘ. দুই তীর ও অন্যান্য গল্প
৬. ‘লালসালু’ উপন্যাসের প্রকাশকাল কোনটি? গ
ক. ১৯৪৪ খ. ১৯৪৭
গ. ১৯৪৯ ঘ. ১৯৫০
৭. সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? খ
ক. ১৯৬৯ সালে খ. ১৯৭১ সালে
গ. ১৯৮১ সালে ঘ. ১৯৫০ সালে
৮. নাটকের ইংরেজি প্রতিশব্দ কী? ঘ
ক. ঘড়াবষ খ. ক ৎড়ংব
গ. ঘ ড়হহবঃ ঘ. উৎধসধ
৯. ‘উৎধসধ’ শব্দটি কোন গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে? খ
ক. উধৎসধ খ. উৎধপরহ
গ. উৎরসড়হ ঘ. উৎধপড়
১০. সংস্কৃতে নাটককে কী বলা হয়েছে? ঘ
ক. শ্রব্যকাব্য খ. অশ্রব্যকাব্য
গ. অদৃশ্যকাব্য ঘ. দৃশ্যকাব্য
১১. ‘কাব্যেষু নাটকং রম্যম্’- কথাটির মর্মার্থ কী? খ
ক. রম্য কবিতাই নাটক
খ. নাটক হলো কাব্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ
গ. রম্য নাটকই কাব্য
ঘ. নাটক হলো কাব্যের মধ্যে নিকৃষ্ট
১২. নাটকে সাধারণত কয়টি উপাদান থাকে? গ
ক. দুইটি খ. আটটি
গ. চারটি ঘ. পাঁচটি
১৩. নাটকের প্রাণ কোনটি? গ
ক. ক রিত্র খ. পস্নট
গ. সংলাপ ঘ. কাব্যধর্মিতা
১৪. নাটকে নাট্যকারের প্রধান অবলম্বন কী? ক
ক. সংলাপ খ. ক রিত্র
গ. কবিতা ঘ. পস্নট
১৫. গ্রিক মনীষী অ্যারিস্টটল নাটকে কয় প্রকার ঐক্যের কথা বলেছিলেন? খ
ক. দুই প্রকার খ. তিন প্রকার
গ. চার প্রকার ঘ. পাঁচ প্রকার
১৬. আধুনিক মঞ্চ নাটকের ঐতিহ্য মূলত কোথাকার? ক
ক. ইউরোপের খ. প্রাচ্যের
গ. আফ্রিকার ঘ. আমেরিকার
১৭. ‘ওয়েটিং ফর গডো’- কার রচিত নাটক? খ
ক. অ্যারিস্টটল খ. সাম্যুয়ের বেকেট
গ. আলবেয়ার ক্যামু ঘ. সেকসপিয়ার
১৮. কলকাতার মঞ্চনাটকের প্রচলন ঘটান কে? ক
ক. হেরাসিম লেবেদেফ খ. সাম্যুয়ের বেকেট
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
১৯. ইংরেজি নাটক ‘দ্য ডিসগাইজ’ এর বাংলায় রূপান্তরিত মঞ্চনাটক কোনটি? খ
ক. খ দ্মবেশ খ. কাল্পনিক সংবদল
গ. পর্দার আড়ালে ঘ. চেতনার ছদ্মবেশে
২০. প্রথম বাংলা আধুনিক নাটক রচনার কৃতিত্ব কার? খ
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খ. মাইকেল মধুসূদন দত্তের
গ. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ঘ. দীনবন্ধু মিত্রের
২১. ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকটি কত সালে রচিত হয়? গ
ক. ১৮৫৩ খ. ১৮৫৫
গ. ১৮৫৯ ঘ. ১৮৬০
২২. ‘নীল দর্পণ’ কার রচিত নাটক? ক
ক. দীনবন্ধু মিত্র খ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
গ. দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ঘ. অমৃতলাল বসু
২৩. ১৯০৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত বাংলা নাটকের প্রাণকেন্দ্র কোনটি ছিল? গ
ক. ঢাকা খ. ক ট্টগ্রাম
গ. কলকাতা ঘ. মালদহ
২৪. ‘বহিপীর’ নাটকটি কত সালে প্রথম প্রকাশিত হয়? গ
ক. ১৯৫০ সালে খ. ১৯৫৫ সালে
গ. ১৯৬০ সালে ঘ. ১৯৬৫ সালে
২৫. ‘বহিপীর’ নাটকের কাহিনী কাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে? ক
ক. এক পীরকে কেন্দ্র করে
খ. এক জমিদারকে কেন্দ্র করে
গ. এক অসহায় নারীকে কেন্দ্র করে
ঘ. এক স্বাবলম্বী পুরুষকে কেন্দ্র করে
২৬. বহিপীর কোন ভাষায় কথা বলেন? খ
ক. কথ্য ভাষায় খ. বইয়ের ভাষায়
গ. বৈজ্ঞানিক ভাষায় ঘ. বিদেশি ভাষায়
২৭. ‘লালসালু’ উপন্যাস ও ‘বহিপীর’ নাটকের সাথে মিল কিসে? ক
ক. পীর প্রথার সমালোচনায়
খ. শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরায়
গ. রাজনৈতিক বিচার বিশেস্নষণে
ঘ. সামাজিক প্রথাবিরোধিতায়
২৮. ‘বহিপীর’ নাটকের ঘটনাপ্রবাহ আবর্তিত হয়েছে কাকে কেন্দ্র করে? ক
ক. খোদেজা খ. হাতেম আলি
গ. তাহেরা ঘ. বহিপীর
২৯. ‘বহিপীর’ নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রের বিপরীত চরিত্র কে? খ
ক. হাতেম আলি খ. হাশেম আলি
গ. খোদেজা ঘ. তাহেরা
৩০. নিচের কোনটি ‘বহিপীর’ নাটকের অপ্রধান চরিত্র? গ
ক. হাতেম আলি খ. হাশেম আলি
গ. খোদেজা ঘ. তাহেরা
৩১. ‘বহিপীর’ নাটকে কার মাঝে বাঙালি চিরায়ত মায়ের প্রতিমূর্তি ফুটে উঠেছে? ক
ক. খোদেজার মাঝে খ. তাহেরার মাঝে
গ. তাহেরার সৎ-মায়ের মাঝে
ঘ. বহিপীরের প্রথম স্ত্রীর মাঝে
৩২. ‘বহিপীর’ নাটকে বহিপীরের সহকারী কে? খ
ক. হবিবুলস্নাহ খ. হকিকুলস্নাহ
গ. গরিবুলস্নাহ ঘ. শফিউলস্নাহ
৩৩. ‘বহিপীর’ নাটকে প্রতিফলিত সমাজচিত্রটি কোন সময়ের? ঘ
ক. ষোলো ও সতেরো শতকের মধ্যবর্তী
খ. সতেরো ও আঠারো শতকের মধ্যবর্তী
গ. আঠারো ও উনিশ শতকের মধ্যবর্তী
ঘ. উনিশ ও বিশ শতকের শধ্যবর্তী
৩৪. সূর্যাস্ত আইন কত সালে প্রণীত হয়? খ
ক. ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে খ. ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে
গ. ১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দে ঘ. ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে
৩৫. ‘বহিপীর’ নাটকের দৃশ্যপটটি কোন বছরের কোন সময়ের? গ
ক. গ্রীষ্ম খ. বর্ষা
গ. হেমন্ত ঘ. বসন্ত
৩৬. ‘বহিপীর’ নাটকে কোন গানের ড়্গীণ রেশ শোনা যাওয়ার কথা উলেস্নখ করা হয়েছে? খ
ক. মারুতি গান খ. ভাটিয়ালি গান
গ. জারি গান ঘ. সারি গান
৩৭. হাতেম আলির বয়স কেমন? খ
ক. ক লিস্নশের মতো খ. পঞ্চাশের মতো
গ. ষাটের মতো ঘ. সত্তরের মতো
৩৮. ‘বহিপীর’ নাটকে সামান্যতে রেগে ওঠা কার অভ্যাস? গ
ক. খোদেজার খ. হাতেম আলির
গ. হাশেম আলির ঘ. বহিপীরের
৩৯. ‘বহিপীর’ নাটকের প্রথম সংলাপটি কার? ক
ক. হাশেম আলির খ. বহিপীরের
গ. তাহেরার ঘ. হাতেম আলির
৪০. ‘বহিপীর’ নাটকের দৃশ্যে কয় কামরাবিশিষ্ট বজরার উলেস্নখ রয়েছে? ক
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
৪১. ‘বহিপীর’ নাটকে কখন ঝড় হওয়ার কথা উলেস্নখ রয়েছে? ঘ
ক. ভোরবেলায় খ. সন্ধ্যাবেলায়
গ. মধ্য রাতে ঘ. শেষ রাতে
৪২. কার বয়স বেশি হলেও শরীর মজবুত? ঘ
ক. তাহেরা খ. খোদেজা
গ. হাশেম ঘ. বহিপীর
৪৩. কোথা থেকে তাহেরাকে বজরায় তুলে নেন জমিদার গিন্নি? খ
ক. সদরঘাট থেকে খ. ডেমরা ঘাট থেকে
গ. কদমতলা ঘাট থেকে ঘ. সোয়ারি ঘাট থেকে
৪৪. একটি মুসলমান মেয়ে বিপদে পড়েছে- খোদেজা এ খবর পেয়েছিলেন কার কাছ থেকে? ঘ
ক. হাশেম আলির কাছ থেকে খ. পুলিশের কাছ থেকে
গ. হকিকুলস্নাহর কাছ থেকে ঘ. চাকরের কাছ থেকে
৪৫. রাস্তাঘাটে চলাচল করার সময় প্রায়ই নারীরা পুরুষদের লাঞ্ছনার শিকার হয়। ‘বহিপীর’ নাটকের কোন উক্তিতে এই বাস্তবতার ইঙ্গিত আছে? খ
ক. এমন মেয়ে কারও পেটে জন্মায়, জানতাম না
খ. বদলোকেরা তোমাকে গিলে খাচ্ছে
গ. না মেয়েটির চিন্তাভাবনা নাই
ঘ. সাবাস মেয়ে তুমি
৪৬. তাহেরা পালানোর সময় তার সাথে কে ছিল? খ
ক. ফুপাতো ভাই খ. চাচাতো ভাই
গ. মামাতো ভাই ঘ. খালাতো ভাই
৪৭. ‘সাবাস মেয়ে তুমি। এমন মেয়েও কারও পেটে জন্মায়, জানতাম না”- উক্তিটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে? ঘ
ক. বিস্ময় খ. ভর্ৎসনা
গ. প্রশংসা ঘ. কটাক্ষ
৪৮. খোদেজার কাছে বিয়ে হলো কিসের কথা? খ
ক. গুনাহের খ. তকদিরের
গ. রহমতের ঘ. ইমানের
৪৯. “খালি কচুরিপানা, কেবল কচুরিপানা ভেসে যায়”- উক্তিটিতে তাহেরার কেমন মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে? ক
ক. হতাশা খ. উচ্ছ্বাস
গ. বিরক্তি ঘ. অস্থিরতা
৫০. ‘বহিপীর’ নাটকে বহিপীরের মুরিদ কে? গ
ক. তাহেরা ও তার সৎমা খ. তাহেরা ও তার বাবা
গ. তাহেরার বাবা ও সৎমা ঘ. তাহেরা, তার বাবা ও সৎমা
৫১. ‘বহিপীর’ নাটকে ‘বকরি-ঈদ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? খ
ক. রোজার ঈদ খ. কুরবানির ঈদ
গ. অত্যন্ত আনন্দের দিন ঘ. অত্যন্ত দুঃখের দিন
৫২. গ মিদারের বজরায় আশ্রয় নেওয়া পীর কখন চালে যাবেন? খ
ক. সকালের নাশতার পর খ. দুপুরের খাওয়ার পর
গ. সন্ধ্যায় নাশতার পর ঘ. রাতের খাওয়ার পর
৫৩. পীরসাহেব আর তার বিবির মিলন ঘটলে খোদেজা কী পাবে বলে মনে করে? গ
ক. অর্থ খ. সম্পত্তি
গ. সওয়াব ঘ. অলৌকিক ক্ষমতা
৫৪. “না না, অমন কথা বলবেন না”- কেমন কথা? ক
ক. বহিপীরের সাথে যাওয়ার কথা খ. আত¥হত্যা করার কথা
গ. গ মিদারি হারানোর কথা ঘ. অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা
৫৫. তাহেরা কাকে দেখে হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যায়? ঘ
ক. হকিকুলস্নাহকে খ. হাশেম আলিকে
গ. সৎমাকে ঘ. বহিপীরকে
৫৬. হাশেম পড়াশোনা শেষ করে কী দিতে চায়? খ
ক. রাইস মিল খ. ছাপাখানা
গ. বইয়ের দোকান ঘ. পোশাক কারখানা
৫৭. “শরীরটা আমার ভালো নাই”- কার? খ
ক. বহিপীরের খ. হাতেম আলির
গ. খোদেজার ঘ. হকিকুলস্নাহর
৫৮. “খোদার কাছে হাজার শোকর”- জমিদারের এমন উক্তির কারণ কী? ঘ
ক. ছেলের বিয়ে স্থির হওয়া
খ. তাহেরার ফিরে যেতে রাজি হওয়া
গ. গ মিদার হতে পেরে
ঘ. বহিপীরকে আশ্রয় দিতে পেরে
৫৯. হাতেম আলি নিজেকে বড় ধন্য মনে করেছেন কেন? খ
ক. গ মিদার হতে পেরে
খ. বহিপীরকে আশ্রয় দিতে পেরে
গ. ছেলেকে শিক্ষিত করতে পেরে
ঘ. তাহেরার মন পরিবর্তন করতে পেরে
৬০. হাতেম আলির জমিদারি কোথায়? খ
ক. কেশবপুরে খ. রেশমপুরে
গ. পাতালপুরে ঘ. সুবিদপুরে
৬১. হাতেম আলির একমাত্র ছেলের নাম কী? খ
ক. হাশেম আলি খ. হবিব আলি
গ. হিরণ আলি ঘ. হানিফ আলি
৬২. “খোদা চাহে-তো মতিগতি ভালোই”- কার? গ
ক. খোদেজার খ. তাহেরার
গ. হাশেমের ঘ. হকিকুলস্নাহর
৬৩. গ মিদার হাতেম আলির বলা কোন কথাটি মিথ্যা? গ
ক. রেশমপুর আমার যৎকিঞ্চিৎ জমিদারি আছে
খ. খোদা চাহে-তো মতিগতি ভালোই
গ. ভাবলাম, শহরে এসে দাওয়াই করাই
ঘ. কালই নিলামে উঠবে
৬৪. “আপনার নাম বহিপীর কী করে হলো?”- প্রশ্নটি কার? গ
ক. হাশেম আলির খ. তাহেরার
গ. হাতেম আলির ঘ. খোদেজার
৬৫. বিভিন্ন অঞ্চলের মুরিদদের সাথে সহজে কথাবার্তা বলার জন্য বহিপীর কী করেছে? গ
ক. দোভাষী রেখেছে খ. নানা রকম ভাষা শিখেছে
গ. বইয়ের ভাষা আয়ত্ত করেছে
ঘ. প্রয়োজনীয় কথা লিখে রেখেছে
৬৬. বহিপীরের কানে কটু ঠেকে কোনটি? গ
ক. বইয়ের ভাষা খ. লেখ্য-ভাষা
গ. আঞ্চলিক ভাষা ঘ. বিদেশি ভাষা
৬৭. খোদার বাণী বহন করার উপযুক্ততা নেই কিসের? খ
ক. বইয়ের ভাষার খ. কথ্য ভাষার
গ. বাংলা ভাষার ঘ. বিদেশি ভাষার
৬৮. বহিপীরের মতে কী বোঝা সত্যিই মুশকিল? গ
ক. নারীর মন খ. বইয়ের ভাষা
গ. সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা ঘ. আবহাওয়ার মতিগতি
৬৯. কেবল কী করেই বহিপীরের জীবন কেটেছে? খ
ক. অর্থ উপার্জন করে খ. মুরিদান করে
গ. ভ্রমণ করে ঘ. বই অধ্যয়ন করে
৭০. কারা বহিপীরকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে? খ
ক. জিনেরা খ. মুরিদরা
গ. অন্য পীরেরা ঘ. পীর প্রথার বিরোধীরা
৭১. বহিপীরের বাড়ি কোথায়? খ
ক. রেশমপুর খ. সুনামগঞ্জ
গ. রাজশাহী ঘ. হবিগঞ্জ
৭২. বহিপীরের সর্বদা কী করার অভ্যাস? খ
ক. ইবাদত খ. ওয়াজ-নছিহত
গ. পরোপকার ঘ. খাওয়া-দাওয়া
৭৩. হাতেম আলির মামার ওপর আকাশ ভেঙে পড়েছে কেন? ক
ক. গ মিদারি হারাতে পারেন বলে
খ. হাশেম তাহেরাকে নিয়ে পালিয়েছে বলে
গ. বহিপীর পুলিশ ডাকবেন বলে
ঘ. তাহেরা বহিপীরের সাথে যাবে না বলে
৭৪. ‘একবার শুরু হলে তার শেষ নাই’- হাতেম আলি কী সম্পর্কে বলেছেন? গ
ক. অন্যায় খ. ক রিত্রহীনতা
গ. মিথ্যাবাদিতা ঘ. দুঃসময়
৭৫. হাতেম আলি যখন রেশমপুরের জমিদারি হাতে পান তখন তার অবস্থা কেমন ছিল? গ
ক. অত্যন্ত ভালো খ. মোটামুটি ভালো
গ. বেশ খারাপ ঘ. সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসপ্রাপ্ত
৭৬. গ মিদারির আয়ের বর্তমান অবস্থা বোঝাতে হাতিম আলি কোন বিশেষণটি ব্যবহার করেছে? গ
ক. সমৃদ্ধ খ. উড়ণচণ্ডী
গ. অšত্মঃসারশূন্য ঘ. অদৃশ্য
৭৭. হাতেম আলির জামিদারি কোন আইনের কারণে নিলামে উঠবে? খ
ক. প্রজাপালন আইন খ. সান্ধ্য আইন
গ. সামরিক আইন ঘ. শ্রম আইন
৭৮. হাতেম আলি কার কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পাওয়ার আশা করেছিলেন? ঘ
ক. পুত্রের কাছ থেকে খ. বহিপীরের কাছ থেকে
গ. স্ত্রীর কাছ থেকে ঘ. বন্ধুর কাছ থেকে
৭৯. হাতেম আলির বাল্যবন্ধুর নাম কী? খ
ক. হকিকুলস্নাহ খ. আনোয়ার উদ্দিন
গ. হাবিবুলস্নাহ ঘ. ইয়ার উদ্দিন
৮০. হাতেম আলির শহরে আসার উদ্দেশে কী? খ
ক. চিকিৎসা করানো খ. গ মিদারি রক্ষা করা
গ. ছেলের বিয়ে দেওয়া ঘ. বহিপীরের সেবা করা
৮১. হাতেম আলি কখন নিশ্চিত হলেন যে জমিদারি বাঁচানো যাবে না? গ
ক. সূর্যাস্ত আইনের প্রয়োগ ঘটলে
খ. প্রজারা খাজনা দেওয়া বন্ধ করলে
গ. বন্ধু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে
ঘ. শত্রম্নরা তার পেছনে লাগলে
৮২. “আমার পরিবার দেউলে হবে, সবকিছু উচ্ছন্নে যাবে-” কী ঘটলে? ক
ক. গ মিদারি নিলামে উঠলে
খ. বহিপীর বদদোয়া দিলে
গ. হাশেম তাহেরাকে বিয়ে করলে
ঘ. ছাপাখানা বন্ধ হলে
৮৩. গ মিদার হতাশ হয়ে পড়লে বহিপীর কার ওপর ভরসা রাখতে পরামর্শ দেন? গ
ক. নিজের ওপর খ. স্ত্রীর ওপর
গ. খোদার ওপর ঘ. পুত্রের ওপর
৮৪. বহিপীর জমিদারের কাছে কোন বিষয়টি লুকিয়েছেন? খ
ক. তাঁর নামের মর্মার্থ খ. তাঁর নৌযাত্রার উদ্দেশে
গ. তাঁর বাড়ির ঠিকানা ঘ. তাঁর দুর্ঘটনার বিবরণ
৮৫. বহিপীর ও তাহেরার মধ্যকার সম্পর্ক কী? ঘ
ক. পীর-মুরিদ খ. পিতা-কন্যা
গ. ভাই-বোন ঘ. স্বামী-স্ত্রী
৮৬. তাহেরার সাথে বহিপীরের বিয়ে হয় কোন দিনে? ঘ
ক. শনিবার খ. সোমবার
গ. বুধবার ঘ. শুক্রবার
৮৭. কত বছর আগে বহিপীরের প্রথম স্ত্রী মারা যায়? খ
ক. দশ বছর আগে খ. চৌদ্দ বছর আগে
গ. আঠারো বছর আগে ঘ. বিশ বছর আগে
৮৮. তাহেরাকে বিয়ে করার ব্যাপারে বহিপীরের মনোভাব কেমন ছিল? খ
ক. সম্পূর্ণরূপে সম্মত খ. মোটামুটি সম্মত
গ. সম্পূর্ণরূপে অসম্মত ঘ. দ্বন্দ্বমুখর
৮৯. বহিপীর কোন ঘটনাটিকে ‘ইমানে গায়ের-মামুলি কাণ্ড’ বললেন? গ
ক. হাতেম আলির জমিদারি হারানো
খ. তাহেরার সাথে তাঁর বিয়ে হওয়া
গ. তাহেরার পালিয়ে যাওয়া
ঘ. গ মিদারের বজরায় আশ্রয় পাওয়া
৯০. ‘যাহাকে তখনো আমি দেখি নাই’- বহিপীর কার কথা বলেছেন? ঘ
ক. তাহেরার সৎমায়ের কথা
খ. তাহেরার চাচাতো ভাইয়ের কথা
গ. তাহেরার চাচার কথা
ঘ. তাহেরার কথা
৯১. “আমার মুরিদের মুখ ভয়ে শুকাইয়া গেল”- কিসের ভয়? ক
ক. পীরের বদদোয়ার ভয় খ. কন্যাকে হারানোর ভয়
গ. গ মিদারি খোয়ানোর ভয় ঘ. জীবন হারানোর ভয়
৯২. তাহেরার শিক্ষাদীক্ষার ত্রম্নটির জন্য বহিপীর কাকে দায়ী করেন? গ
ক. নিজেকে খ. তাহেরাকে
গ. তাহেরার বাবা-মাকে ঘ. তাহেরার শিক্ষককে
৯৩. তাহেরা ঘর ছেড়ে পালালেও বহিপীর পুলিশে খবর দিতে দিলেন না কেন? খ
ক. তাহেরাকে মুক্তি দেবেন বলে
খ. জানাজানি হওয়ার ভয়ে
গ. পুলিশের দায়িত্বশীলতা নিয়ে সন্দেহ থাকায়
ঘ. হকিকুলস্নাহ নিষেধ করেছিল বলে
৯৪. তাহেরা পালিয়ে যাওয়ার পর কে অধীর হয়ে পুলিশে খবর দিতে চেয়েছিল? ঘ
ক. তাহেরার বাবা খ. বহিপীর
গ. হকিকুলস্নাহ ঘ. তাহেরার সৎমা
৯৫. তাহেরাকে খুঁজতে বহিপীর কোথায় গিয়েছিলেন? ঘ
ক. সদরঘাট খ. ডেমরা
গ. সোয়ারি ঘাট ঘ. কদমতলা
৯৬. ‘সেই নিশানটি হারাইয়াই তো মুশকিল হয়েছে’- নিশান বলতে কোনটিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে? ঘ
ক. বিয়ের কাবিননামা খ. তাহেরার ছবি
গ. বিয়ের আংটি ঘ. তাহেরার চাচাতো ভাই
৯৭. বহিপীরের মতে কারা কখনোই কথা গোপন রাখতে পারে না? গ
ক. যুবকেরা খ. নাবালকেরা
গ. নারীরা ঘ. ধর্মভীরুরা
৯৮. তাহেরা তার পরিচয় কার কাছে প্রকাশ করেছে বলে বহিপীরের সন্দেহ? ঘ
ক. পুলিশের কাছে খ. হাতেম আলির কাছে
গ. হকিকুলস্নাহর কাছে ঘ. খোদেজার কাছে
৯৯. তাহেরার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বহিপীর প্রথম কার কাছে তথ্য চাইলেন? ক
ক. হাতেম আলির কাছে খ. খোদেজার কাছে
গ. হাশেম আলির কাছে ঘ. হকিকুলস্নাহর কাছে
১০০. ‘বহিপীর’ নাটকে খোদেজা ও হাশেমের দ্বন্দ্ব কোনটিকে ঘিরে? খ
ক. সম্পত্তি ভাগাভাগি
খ. তাহেরাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে
গ. পীরের সেবা করা নিয়ে ঘ. ছাপাখানা খোলা নিয়ে
১০১. ‘পীরসাহেব, আপনার বিবি আমার সঙ্গেই আছেন’- ‘বহিপীর’ নাটকে উক্তিটি কার? গ
ক. হাশেমের খ. হাতেম আলির
গ. খোদেজার ঘ. হকিকুলস্নাহর
১০২. তাহেরাকে ঘিরে নাটকীয়তার বিষয়টি কাকে স্পর্শ করে না? ঘ
ক. তাহেরাকে খ. হাশেমকে
গ. খোদেজাকে ঘ. হাতেম আলিকে
১০৩. ‘বহিপীর’ নাটকের প্রথম দৃশ্যটির সময়কাল কোনটি? ক
ক. সকাল নয়টা খ. দুপুর একটা
গ. বিকেল পাঁচটা ঘ. রাত বারোটা
১০৪. ‘বহিপীর’ নাটকটি কত অঙ্কবিশিষ্ট? খ
ক. এক খ. দুই
গ. তিন ঘ. চার
১০৫. ‘বহিপীর’ নাটকে বাইরের ঘরের মোড়ার ওপর সমাবিষ্টের মতো কাকে বসে থাকতে দেখা যায়? ঘ
ক. হাশেম আলিকে খ. বহিপীরকে
গ. খোদেজাকে ঘ. হাতেম আলিকে
১০৬. হাতেম আলি সারা বিকাল, সারা সন্ধ্যা কিসের আশায় কাটাল? ক
ক. বাল্যবন্ধুর আগমনের খ. বহিপীরের অর্থসাহায্যের
গ. তাহেরার সম্মতি প্রদানের ঘ. ঘ ড় থেমে যাওয়ার
১০৭. আর একটা রাত- এরপর কী হবে? গ
ক. বিদায় নেবেন খ. তাহেরা ফিরে যাবে
গ. গ মিদারি বেহাত হবে ঘ. বাল্যবন্ধু আনোয়ার আসবে
১০৮. বহিপীরের মতে কী করলে রিজিক ভোগের সময় দীর্ঘ হবে? খ
ক. রিজিক দ্রম্নত ভোগ করলে
খ. রিজিক ধীরে ধীরে ভোগ করলে
গ. রিজিকের ভাগ অন্যকে দিলে
ঘ. অন্যের রিজিক ছিনিয়ে নিলে
১০৯. ‘আমি যেন বার্তাবাহক’- বহিপীর নাটকে কে বলেছে? খ
ক. হাতেম আলি খ. হাশেম আলি
গ. খোদেজা ঘ. হকিকুলস্নাহ
১১০. ‘আমি যেন বার্তাবাহক’- উক্তিটিতে হাশেমের কোন অনুভূতির প্রকাশ ঘটে? ক
ক. বিরক্তি খ. বিস্ময়
গ. উচ্ছ্বাস ঘ. ভাবালুতা
১১১. হাশেমের মতে বার্তাবাহককে কী হতে হয়? গ
ক. দয়াশীল খ. ক্ষমাশীল
গ. দলহীন ঘ. নীতিহীন
১১২. ‘আসলে বেড়ালের ভাব’- হাশেম কার সম্পর্কে কথাটি বলেছে? ঘ
ক. খোদেজা খ. তাহেরা
গ. হকিকুলস্নাহ ঘ. বহিপীর
১১৩. কোনো কিছুতেই তাহেরা ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় বহিপীর কাকে খবর দেওয়ার ভয় দেখান? গ
ক. তাহেরার বাবাকে খ. তাহেরার সৎমাকে
গ. পুলিশকে ঘ. হকিকুলস্নাহকে
১১৪. তাহেরা বিয়ের সময় হ্যাঁ বলেনি কেন? খ
ক. লজ্জায় খ. মত ছিল না বলে
গ. বাবা নিষেধ করে ছিলেন বলে ঘ. প্রয়োজন ছিল না বলে
১১৫. হাশেমের মতে তাহেরা ও বহিপীরের মধ্যকার বিয়ে জায়েজ হয়নি কেন? খ
ক. বহিপীর তাহেরাকে দেখেন নি বলে
খ. তাহেরার বিয়েতে মত ছিল না বলে
গ. বহিপীর বিয়ের ব্যাপারে নিমরাজি ছিলেন বলে
ঘ. তাহেরা পালিয়ে এসেছে বলে
১১৬. তাহেরাকে স্নেহ করলেও খোদেজা বহিপীরের পক্ষ নেন কেন? খ
ক. তার মুরিদ বলে খ. পীরের বদদোয়ার ভয়ে
গ. পীর অর্থ দেবেন বলে ঘ. হাশেমের মতিগতি দেখে
১১৭. ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রে কুসংস্কারাচ্ছন্নতা ও ধর্মান্ধতার বিষয়টি স্পষ্ট? ঘ
ক. তাহেরা খ. হাতেম আলি
গ. হাশেম আলি ঘ. খোদেজা
১১৮. পীরকে খুশি করার আশায় জোর করে বিয়ে দেওয়ায় তাহেরা নিজেকে কী ভেবেছে? খ
ক. নিতান্তই ফেলনা খ. কোরবানির পশু
গ. অত্যন্ত অসহায় ঘ. নর্দমার কীট
১১৯. ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবে খোদেজার তীব্র অস্বীকৃতির কারণে বহিপীরের পুলিশ আনার হুকুম দেওয়ায় কী প্রমাণিত হয়? ক
ক. নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন
খ. তাঁর বাস্তব জ্ঞান টনটনে
গ. তাঁর মুরিদদের মধ্যে পুলিশও আছে
ঘ. তিনি তাহেরার কথা মেনে নিয়েছেন
১২০. বহিপীর পুলিশ আনার নির্দেশ দিলে খোদেজা কী করার চেষ্টা করে? খ
ক. পালানোর চেষ্টা খ. আত¥হত্যার চেষ্টা
গ. প্রাণপণে কাঁদার চেষ্টা
ঘ. বহিপীরকে বোঝানোর চেষ্টা
১২১. ও কে আবার উঁকি মারছে।- খোদেজা কার কথা বলছে? খ
ক. বহিপীর খ. হকিকুলস্নাহ
গ. পুলিশ ঘ. মামি
১২২. জিব্রাইলের মতো বহিপীরের কাঁধের ওপর দাঁড়িয়ে আছে কে? গ
ক. হাশেম খ. হাতেম আলি
গ. হকিকুলস্নাহ ঘ. পুলিশ
১২৩. ‘আমি খাল কেটে ঘরে যেন কুমির এনেছি’- খোদেজা কোন কাজটির প্রতি ইঙ্গিত করেছে? গ
ক. বহিপীরকে বজরার আশ্রয়ে দেওয়া
খ. হকিকুলস্নাহকে বজরায় থাকতে দেওয়া
গ. তাহেরাকে বজরায় আশ্রয় দেওয়া
ঘ. হাশেমকে বজরায় থাকতে দেওয়া
১২৪. ‘আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না’- খোদেজা কী ভাবতে পারেন না? খ
ক. গ মিদারি হারানোর বিষয়টি
খ. তাহেরা-হাশেমের বিয়ের বিষয়টি
গ. পীরের স্ত্রী হওয়ার বিষয়টি
ঘ. আনোয়ার উদ্দিনের না আসার বিষয়টি
১২৫. বজরায় তাহেরার পক্ষে কে সবসময়ই থেকেছে? খ
ক. হাতেম আলি খ. হাশেম আলি
গ. খোদেজা ঘ. হকিকুলস্নাহ
১২৬. হাশেম আলি হঠাৎ দুহাতে মুখ ঢেকে কাঁদতে শুরু করে কেন? খ
ক. গ মিদারি চলে যাবে ভেবে
খ. বাবার কষ্টের কথা ভেবে
গ. ছাপাখানা দিতে না পারার কারণে
ঘ. তাহেরাকে হারানোর ভয়ে
১২৭. হাতেম আলির কাছে কোন ডাকটা ঠাট্টার মতো মনে হয়? খ
ক. মিয়াভাই খ. গ মিদার সাহেব
গ. হাশেমের বাপ ঘ. হাতেম তাই
১২৮. বহিপীরের মতে কোনটি না ঘটলে গভীর দুঃখগ্রস্ত দুটি লোক পরস্পরের কাছে নিতান্তই অপরিচিত থেকে যায়? খ
ক. দুঃখের কারণ এক হলে
খ. দুঃখের কারণ এক না হলে
গ. দুঃখ তখনো শেষ না হলে
ঘ. দুঃখকে অভিশাপ মনে করলে
১২৯. লোকেরা বহিপীর সম্বন্ধে কী বলে? ক
ক. তাঁর মাঝে রুহানি শক্তি আছে
খ. তাঁর টাকা-পয়সার অভাব নেই
গ. তাঁর সুখের কথা বোঝা শক্ত
ঘ. তাঁর কাছে জান্নাতের চাবি আছে
১৩০. কে মানুষের মনের কথা বুঝতে পারে? ক
ক. বহিপীর খ. তাহেরা
গ. খোদেজা ঘ. হাতেম আলি
১৩১. বহিপীরের মতে, তাহেরা কোথাও কিসের আভাস পেলে তার মনটা কৃতজ্ঞতায় ভরে যাবে? খ
ক. অর্থ-সম্পদের খ. স্নেহ-মমতার
গ. নতুন আত¥ীয়তার ঘ. শিক্ষা-দীক্ষার
১৩২. বহিপীরের মতে, সমস্ত ত্যাগ করলে মানুষ কিসে পরিণত হয়? গ
ক. প্রকৃত মানুষে খ. যন্ত্রে
গ. অমানুষে ঘ. পীর-দরবেশে
১৩৩. শহরে তাঁর কয়জন ধনী মুরিদ আছেন বলে বহিপীর উলেস্নখ করেছেন? খ
ক. দুইজন খ. তিনজন
গ. চারজন ঘ. পাঁচজন
১৩৪. বহিপীর কোন শর্তে হাতেম আলিকে টাকা কর্জ দেবেন? গ
ক. পরিশোধ না করার শর্তে
খ. সুদসহ ফেরত দেওয়ার শর্তে
গ. তাহেরাকে ফিরে পাওয়ার শর্তে
ঘ. তাঁর মুরিদ হওয়ার শর্তে
১৩৫. পিঠ টিপে দেওয়ার জন্য বহিপীর কাকে হুকুম দেয়? ক
ক. হকিকুলস্নাহকে খ. তাহরোকে
গ. হাশেমকে ঘ. হাতেম আলিকে
১৩৬. হাশেমের মতে, পীরের কি¯িত্মমাৎ করা চাল কোনটি? ক
ক. গ মিদারকে কর্জ দেওয়ার সিদ্ধান্ত
খ. পুলিশ ডাকার হুমকি
গ. গ মিদারের বজরায় আশ্রয় নেওয়া
ঘ. বিনাশর্তে কর্জ দেওয়ার সিদ্ধান্ত
১৩৭. বহিপীরের কর্জ দেওয়ার শর্তের কথা শুনে তাহেরা কী সিদ্ধান্ত নেয়? খ
ক. পালিয়ে যাবে খ. ফিরে যাবে
গ. আত¥হত্যা করবে ঘ. বহিপীরকে খুন করবে
১৩৮. বহিপীরের শর্ত মানতে গিয়ে হাতেম আলির নিজেকে কিসের মতো লাগে? গ
ক. চোরের মতো খ. ডাকাতের মতো
গ. কসাইয়ের মতো ঘ. পুলিশের মতো
১৩৯. টাকার বিনিময়ে তাহেরাকে বহিপীরের হাতে তুলে দিতে হাতেম আলি রাজি হন না কেন? গ
ক. টাকার প্রয়োজন ফুরিয়েছে বলে
খ. অন্যত্র টাকার ব্যবস্থা হয়েছে বলে
গ. মানবিকতাবোধ জেগেছে বলে
ঘ. বহিপীর মন্দলোক বলে
১৪০. ‘নিজেকে যেন কসাইর মতো মনে হচ্ছে’- হাতেম আলির উক্তিটিতে কোন ভাব প্রকাশিত হয়েছে? খ
ক. বিরক্তি খ. মানবিকতাবোধ
গ. বিস্ময় ঘ. ভাবালুতা
১৪১. তাহেরার জন্য কিছু করতে না পারার জন্য হাতেম কোনটিকে অর্থহীন বলেছে? খ
ক. গ মিদারি টিকিয়ে রাখাকে খ. ক ক্ষুলজ্জার অনুভবকে
গ. বেঁচে থাকাকে ঘ. শারীরিক সুস্থতাকে
১৪২. গ মিদারকে বিনা শর্তে টাকা কর্জ দেওয়ার বিষয়টিকে বহিপীর কী বলেছেন? গ
ক. পীরি বদান্যতা খ. দয়াহীন দান
গ. বিশেষ অনুরোধ ঘ. অনিচ্ছাকৃত ভুল
১৪৩. কার সম্পর্কে বহিপীর নেহাতেই ভুল ভেবেছেন? গ
ক. খোদেজা খ. তাহেরা
গ. হাতেম আলি ঘ. হাশেম আলি
১৪৪. হাতেম আলি সম্পর্কে বহিপীর কী ভেবেছিলেন? ক
ক. টাকার লোভে তাঁর কথা শুনবে
খ. টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানাবে
গ. গ মিদারি বাঁচাতে লড়াই করবে
ঘ. টাকা ছাড়াই তাহেরাকে ফিরিয়ে দেবে
১৪৫. বিনা শর্তে টাকা গ্রহণের অনুরোধে সাড়া দিয়ে বহিপীর তাঁর কিসের সম্মান দিতে বলেছেন? খ
ক. টাকার খ. জোব্বার
গ. ক্ষমতার ঘ. লাঠির
১৪৬. ইহা পরাজিত শত্রম্নর শেষ দাবি- ‘বহিপীর’ নাটকে কিসের কথা বলা হয়েছে? গ
ক. তাহেরাকে ফিরে পাওয়ার কথা
খ. গ মিদারি ফিরে পাওয়ার কথা
গ. বিনা শর্তে কর্জ নেওয়ার কথা
ঘ. পুলিশে খবর না দেওয়ার কথা
১৪৭. বহিপীরের মতে সকলে মিলে তাঁকে কিসে পরিণত করেছে? খ
ক. মানুষে খ. অমানুষে
গ. দেবতায় ঘ. কাপুরুষে
১৪৮. বহিপীরের মতে কোন দাবি কবুল করতেই হয়? গ
ক. শত্রম্নর প্রথম দাবি খ. স্বামীর কাছে স্ত্রীর দাবি
গ. পরাজিত শত্রম্নর শেষ দাবি ঘ. বন্ধুর কাছে বন্ধুর দাবি
১৪৯. “পীরের ঐ এক সুবিধা”- বহিপীর কিসের কথা বলেছেন? খ
ক. টাকার অভাব হয় না খ. বদদোয়া গায়ে লাগে না
গ. বৃদ্ধ বয়সেও বিয়ে করা যায় ঘ. বইয়ের ভাষায় কথা বলা যায়
১৫০. তাহেরাকে ফিরে পাওয়ার জন্য বহিপীরর সর্বপ্রথম কোন কৌশল গ্রহণ করেন? গ
ক. পুলিশে খবর দেন
খ. তাহেরার চাচাতো ভাইকে আনান
গ. ধর্মীয় বিয়ের দোহাই দেন
ঘ. গ মিদারের অসহায়ত্বের সুযোগ নেন
১৫১. তাহেরা বহিপীরের সাথে ফিরে যেতে রাজি হলো কেন? খ
ক. পীরের বদদোয়ার ভয়ে
খ. গ মিদারের অসহায়ত্বের কথা ভেবে
গ. পীরের স্ত্রী হওয়ায় ঘ. পুলিশের ভয়ে
১৫২. ‘বহিপীর’ নাটকে বিশ শতকের নারী জাগরণের প্রতীক কে? খ
ক. খোদেজা খ. তাহেরা
গ. তাহেরার সৎমা ঘ. বহিপীরের প্রথম স্ত্রী
১৫৩. ‘বহিপীর’ নাটকে নেতিবাচক চরিত্র কোনটি? খ
ক. খোদেজা খ. বহিপীর
গ. হাশেম আলি ঘ. হাতেম আলি
১৫৪. ‘বহিপীর’ নাটকে বর্ণিত হাশেম আলি কতদূর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে? গ
ক. এসএসসি খ. এইচএসসি
গ. বিএ ঘ. এমএ
১৫৫. ‘বহিপীর’ নাটকে যুক্তিবাদী ও আধুনিক ধ্যান-ধারণাসম্পন্ন চরিত্র কোনটি? ক
ক. হাশেম আলি খ. হাতেম আলি
গ. বহিপীর ঘ. খোদেজা
১৫৬. ‘বহিপীর’ নাটকে ধর্মীয় কুসংস্কার ও সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে লড়েছে কে? ঘ
ক. বহিপীর খ. হাতেম আলি
গ. খোদেজা ঘ. হাশেম আলি
১৫৭. হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠেছে কেন? খ
ক. বহিপীরের কূটচালের কারণে
খ. খাজনা বাকি পড়ায়
গ. গ মিদারির সময়সীমা পার হওয়ায়
ঘ. প্রজাদের অত্যাচার করায়
১৫৮. ‘বহিপীর’ নাটকে ব্যক্তিত্বহীন চরিত্র হিসেবে কাকে মনে করা যায়? খ
ক. বহিপীর খ. হকিকুলস্নাহ
গ. খোদেজা ঘ. হাশেম আলি
১৫৯. বাদলের মা খুবই ধর্মপ্রাণ নারী। বাড়ির কারও অসুখ-বিসুখ হলে পীর-ফকিরের দ্বারস্থ হয়। বাদলের মায়ের সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ? গ
ক. হাশেম খ. তাহেরা
গ. খোদেজা ঘ. বহিপীর
১৬০. খোদেজা ডেমরা ঘাট থেকে তাহেরাকে তুলে নেয় কেন? গ
ক. বহিপীরের কাছে ফেরত দিতে
খ. ছেলের বউ বানাতে
গ. মাতৃসুলভ মমতা অনুভব করায়
ঘ. কাজের লোক প্রয়োজন ছিল বলে
১৬১. কী ঘটলে সওয়াব পাবেন বলে মনে করেছেন খোদেজা? গ
ক. হাশেম-তাহেরার বিয়ে হলে
খ. ভণ্ডপীরকে তাড়াতে পারলে
গ. বহিপীর ও তাহেরার মিলন হলে
ঘ. তাহেরাকে লুকিয়ে রাখলে
১৬২. মালেকের বাবা নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এক মাজারে নিয়মিত টাকা দেন। ‘বহিপীর’ নাটকে উলিস্নখিত কোন বিষয়টি তাঁর মাঝে প্রতিফলিত? খ
ক. পীরভক্তি খ. অন্ধবিশ্বাস
গ. অমানবিকতা ঘ. ধর্মভীরুতা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
১৬৩. ‘এমন মেয়েও কারো পেটে জন্মায় জানতাম না’ খোদেজার এমন মন্তব্যের কারণ-
র. বাড়ি থেকে পলায়ন
রর. বৃদ্ধকে বিয়ে করতে রাজি হওয়া
ররর. ভয়-ডর না থাকা
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৪. খোদেজার মতে, তাহেরার বিয়ে অস্বীকার করার বিষয়টি-
র. যৌক্তিক রর. অযৌক্তিক
ররর. পাপের শামিল
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৫. তাহেরার চাচাতো ভাইটি কাঁদছিল-
র. ক্ষুধার তাড়নায় রর. অনিশ্চয়তার ভয়ে
ররর. বহিপীরের ভয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৬. বাবা ও সৎ মা বহিপীরের সাথে তাহেরাকে বিয়ে দেয়-
র. পীরকে খুশি করতে
রর. কন্যাদায়গ্রস্ততা থেকে মুক্তি পেতে
ররর. সওয়াব লাভের আশায়
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৭. বহিপীরের নৌকার মাঝিরা ঝড়ের সময় নৌকা সামাল দিতে পারেনি-
র. অন্ধকার থাকায় রর. বাতাসের তোড়ের কারণে
ররর. নৌকা ফুটো হয়ে যাওয়ার
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৮. হাশেম সম্পর্কে তার বাবার মতামত হলো-
র. একটু অসহিষ্ণু রর. স্বভাব-চরিত্র ভালো
ররর. পড়াশোনায় অমনোযোগী
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৬৯. ‘বহিপীর’ বইয়ের ভাষায় কথা বলেন-
র. কথ্য ভাষার প্রতি বিদ্বেষ থাকায়
রর. মুরিদদের সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে
ররর. বইয়ের ভাষাকে পবিত্র মনে করায়
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭০. বহিপীরের কানে কথ্য ভাষা কটু ঠেকে-
র. অপবিত্র বলে রর. গাম্ভীর্য নেই বলে
ররর. ধনীদের ভাষা বলে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭১. বহিপীরের মতে কথ্য ভাষা-
র. মাঠ-ঘাটের ভাষা
রর. খোদার বাণী বহনের উপযুক্ত নয়
ররর. অপবিত্র ও গাম্ভীর্যহীন
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭২. বহিপীরের পরিচয় হলো-
র. বাড়ি সুনামগঞ্জে
রর. আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন
ররর. একজন ধর্মব্যবসায়ী
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৩. হাতেম আলি ঝুট কথা বলেছিলেন-
র. পরিবারের কাছে
রর. বন্ধু আনোয়ার উদ্দিনের কাছে
ররর. বহিপীরের কাছে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৪. হাতেম আলির হাতে যখন জমিদারি তখন আসে তার অবস্থা ছিল-
র. শ্রীহীন রর. শোচনীয়
ররর. অšত্মঃসারশূন্য
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৫. গ মিদারি নিলামে উঠলে-
র. হাতেম আলির পরিবার পথে বসবে
রর. হাশেম আলির ছাপাখানা বন্ধ হয়ে যাবে
ররর. হাতেম আলি দেউলে হবে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৬. ‘বহিপীর’ নাটকে তাহেরা হলো-
র. বহিপীরের স্ত্রী
রর. বহিপীরের এক মুরিদের কন্যা
ররর. হাশেম আলির স্ত্রী
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৭. তাহেরা পালিয়ে গেলেও পুলিশে খবর না দিয়ে বহিপীর-
র. বাস্তবজ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন
রর. মানবতা দেখিয়েছেন
ররর. ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৮. খোদেজা তাহেরাকে বহিপীরের কাছে ফিরিয়ে দিতে চায়-
র. ধর্মীয় কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হওয়ায়
রর. নারীর অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায়
ররর. সংসারে বোঝা বাড়ার আশঙ্কায়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৭৯. হাশেমের মতে বার্তাবাহক নির্বিকার থাকতে পারে না-
র. কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব থাকলে
রর. কোনো দলের প্রতি সহানুভূতি না জাগলে
ররর. ঘটনাপ্রবাহ অনুকূলে না থাকলে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮০. হাশেমের মতে পীরসাহেব-
র. বেখেয়ালী লোক রর. সাবধানী লোক
ররর. কুটিল মানসিকতার লোক
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮১. তাহেরা নিজেকে বহিপীরের বউ বলে মেনে নিতে রাজি নয়-
র. জোর করে বিয়ে দেওয়ায়
রর. বহিপীরের সাথে কখনো দেখা যায়নি বলে
ররর. যৌতুক দিতে হয়েছে বলে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮২. তাহেরার মাঝে লক্ষ করা যায়-
র. ব্যক্তিস্বাধীনতা রর. প্রতিবাদমুখরতা
ররর. ঈর্ষাকাতরতা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮৩. ‘বহিপীর’ নাটকে বর্ণিত খোদেজা চরিত্রে লক্ষ করা যায়-
র. ধর্মান্ধতা রর. কুটিলতা
ররর. কুসংস্কারাচ্ছন্নতা
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮৪. ‘বহিপীর’ নাটকে বর্ণিত হাশেম আলি বেশি চিন্তিত-
র. তাহেরার সুরক্ষার বিষয়ে
রর. গ মিদারি হারানো নিয়ে
ররর. বাবার মানসিক যন্ত্রণাভোগ সম্পর্কে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮৫. গ মিদারি নিলামে উঠলে জমিদার সাহেব-
র. তাহেরাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হবেন
রর. ছেলেকে ছাপাখানা বসানোর টাকা দিতে পারবেন না
ররর. মানসম্মান নিয়ে জীবনধারণ করতে পারবেন না
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮৬. বহিপীরের বিচক্ষণতার পরিচয় পাওয়া যায়-
র. তাহেরার উপস্থিতির কথা জেনেও ধৈর্য ধারণে
রর. পুলিশ ডেকে আনার হুকুম প্রদানে
ররর. গ মিদারকে শর্তসাপেক্ষে কর্জ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে
নিচের কোনটি সঠিক? খ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮৭. বহিপীরের কাছে তাহেরা ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ-
র. মানবতাবোধ রর. কৃতজ্ঞতাবোধ
ররর. অনুতাপবোধ
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮৮. ‘বহিপীর’ নাটকের মূলত কাহিনী গড়ে উঠেছে-
র. ধর্মব্যবসায়ী পীরের স্বার্থপরতা নিয়ে
রর. প্রতিবাদী নারীর অধিকার সচেতনতা নিয়ে
ররর. গ মিদারি প্রথার অন্তিম দশা নিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৮৯. বহিপীরের কূটকৌশল হলো-
র. তাহেরাকে পুলিশের ভয় দেখানো
রর. গ মিদারের অসহায়ত্বের সুযোগ নেওয়া
ররর. গ মিদারকে বিনা শর্তে টাকা ধার দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৯০. ‘বহিপীর’ নাটকে মানসিক দ্বন্দ্ব লক্ষ করা যায়-
র. খোদেজা ও হাশেমের মাঝে
রর. বহিপীর ও তাহেরার মাঝে
ররর. গ মিদার ও বহিপীরের মাঝে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৯১. বহিপীরের ধর্মব্যবসায়ের মূলধন হলো-
র. কুসংস্কার রর. ধর্মবিশ্বাস
ররর. সরলতা
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৯২. ‘বহিপীর’ নাটকে বর্ণিত হাশেমের মাঝে লক্ষ করা যায়-
র. মানবীয় মূল্যবোধ রর. যুক্তিবাদিতা
ররর. কঠোর সত্যবাদিতা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৯৩. ‘বহিপীর’ নাটকে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী অবস্থান গ্রহণ করেছে-
র. হাতেম আলি রর. হাশেম আলি
ররর. তাহেরা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
১৯৪. ‘বহিপীর’ নাটকে জয় হয়েছে-
র. মানবিকতার রর. যুক্তিগ্রাহ্যতার
ররর. অন্ধবিশ্বাসের
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৯৫ ও ১৯৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জালাল উদ্দিন একজন কৃষক। সে একমাত্র চাষের জমি বন্ধক দিয়ে ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু ঋণ শোধ করতে না পারায় এখন তার জমি নিলামে উঠেছে। এলাকার বৃদ্ধ মেম্বার জালাল উদ্দিনের বৃদ্ধ মেয়েকে বিয়ে করার শর্তে ঋণ শোধ করার টাকা দিতে চায়। কৃষক জালাল উদ্দিন মেম্বারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।
১৯৫. উদ্দীপকের মেম্বারের আচরণে ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে? গ
ক. তাহেরা খ. হাতেম আলি
গ. বহিপীর ঘ. হাশেম আলি
১৯৬. উদ্দীপকের জালাল উদ্দিন ‘বহিপীর’ নাটকের হাতেম আলির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। কেননা- ক
র. তার মাঝে নৈতিকতাবোধ ফুটে উঠেছে
রর. সে উচ্চ মানবিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ
ররর. সে অসহায় একটি চরিত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৯৭ ও ১৯৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সালমা বয়সে কিশোরী হলেও তার বাবা-মা এক বৃদ্ধের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে। কিন্তু সালমা এই বিয়েতে রাজি হয় না। বাবা-মা জোর করে বিয়ের আয়োজন করলে সালমা বিয়ের রাতে বাড়ি ছেড়ে পালায়।
১৯৭. উদ্দীপকের সালমা ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? ক
ক. তাহেরা খ. খোদেজা
গ. বহিপীর ঘ. হাশেম আলি
১৯৮. উক্ত চরিত্রের সাথে সাদৃশ্য রেখে সালমাকে বলা যায়- ক
র. দুঃসাহসী রর. অধিকার সচেতন
ররর. পিতামাতার অবাধ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৯৯ ও ২০০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
কামাল একজন শিক্ষিত যুবক। তাদের গ্রামে জুলমত মিয়া তার কিশোরী মেয়েকে টাকার লোভে এক বুড়োর সাথে বিয়ে দিতে যায়। কামাল এর প্রতিবাদ করে এবং পুলিশে খবর দেয়।
১৯৯. উদ্দীপকের কামালের সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ? গ
ক. বহিপীর খ. হাতেম আলি
গ. হাশেম আলি ঘ. হকিকুলস্নাহ
২০০. উক্ত সাদৃশ্যের কারণ- খ
র. ন্যায়বোধ রর. সমপরিণতি
ররর. মানবিকতাবোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২০১ ও ২০২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
হারেজ আলি গ্রামের মাতবর। গ্রামের কৃষক হাসমতের ছোট মেয়ে সাহেদার ওপর তার নজর পড়ে। হাসমতও বুড়ো হারেজ আলির সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে চায়। সাহেদা প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে ভাবে ওখানে বিয়ে করলে অনেক টাকা-পয়সা হবে। আবার তার বাবার ঋণের টাকাও মওকুফ হবে। তাই পরবর্তীতে সাহেদা বিয়েতে রাজি হয়।
২০১. উদ্দীপকের হারেজ আলি ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? ক
ক. বহিপীর খ. হাতেম আলি
গ. হাশেম আলি ঘ. হকিকুলস্নাহ
২০২. উদ্দীপকের সাহেদার সথে ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার বৈসাদৃশ্য হলো- ক
র. মনোভাবে রর. স্বার্থচিন্তায়
ররর. ধর্মবিশ্বাসে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২০৩ ও ২০৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রইছউদ্দিন হাজি একজন কামেল পীর। রুস্তম ব্যাপারী এ বছর সপরিবারে তার মুরিদ হয়। পীরসাহেব অবিবাহিত হওয়ায় রুস্তম তার মেয়েকে পীরের খেদমতে বিয়ে দিতে চায়। পীরসাহেবও অমত করেন না। ফলে মহাধুমধামে বিয়ে হয়ে যায়।
২০৩. উদ্দীপকের রুস্তম ব্যাপারীর সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের কার মিল রয়েছে? গ
ক. বহিপীরের খ. হাতেম আলির
গ. তাহেরার বাবার ঘ. হাশেম আলির
২০৪. ‘বহিপীর’ নাটকে বর্ণিত যে দিকটি উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে তা হলো- ক
র. ধর্মান্ধতা
রর. প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেঁকে বসা পীরপ্রথা
ররর. মানবিকবোধের জাগরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২০৫ ও ২০৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সিরাজ মাতবরের ঘরে দুই বউ থাকা সত্ত্বেও সে বালিকা সাহানার দিকে নজর দেয়। এজন্য সাহানার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সাহানার বাবা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে সিরাজ কৌশলে চড়া সুদে সাহানার বাবাকে ঋণ দেয়। পরবর্তীতে ঋণ মওকুফের বিনিময়ে সাহানাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু সাহানা এর প্রতিবাদ করে এবং বাল্যবিবাহ আইনে মামলা করতে চায়। পরিস্থিতি বুঝে সিরাজ মাতবর তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায়।
২০৫. উদ্দীপকের সাহানার সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের কার মিল বিদ্যমান? খ
ক. খোদেজার খ. তাহেরার
গ. হকিকুলস্নাহর ঘ. হাতেম আলির
২০৬. বহিপীরের সাথে সাদৃশ্য বিচারে উদ্দীপকের সিরাজ মাতবরকে বলা যায়-
র. ধূর্ত রর. বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন
ররর. আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
্য নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২০৭ ও ২০৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সুরাইয়া বেগম একজন সরকারি চাকরিজীবী। তিনি অফিস যাওয়ার সময় দেখেন জটলার মাঝখানে একটি পাঁচ-ছয় বছরের মেয়ে বসে আছে। মেয়েটি বাবা-মায়ের নাম বলতে পারলেও ঠিকানা বলতে পারছে না। লোকজনের জটলা দেখে মেয়েটি ভয়ে আতঙ্কে কাঁদছে। সুরাইয়া বেগম সব দেখে মেয়েটিকে নিজের জিম্মায় নিয়ে আসেন।
২০৭. উদ্দীপকের সুরাইয়া বেগমের সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে? খ
ক. তাহেরা খ. খোদেজা
গ. হকিকুলস্নাহ ঘ. হাতেম আলি
২০৮. নাটকের সাথে সাদৃশ্য বিচারে উদ্দীপকের সুরাইয়া বেগমকে বলা যায়-
র. মমতাময়ী চরিত্র রর. মানবতাবোধ জাগ্রত নারী
ররর. ধর্মবিশ্বাসী চরিত্র
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
WordsMeaningsSynonyms antonymsouterবাইরেরoutmostinnerproletarianদরিদ্র/সর্বহারাWorking-classmorallaunchশুরু করাIntroductionwithdrawpreparingপ্রস্তুতিGet-readydoubtfaultlesslyনির্দোষভাবেabsolutelyfaultynauseaবমিবমিভাবvomitingheadachediscomfortঅসস্তিupsetcomfortmaintainedবজায় করাsustainuselessLaterকরেnextearlierdynamicগতিশীলAggressivestaticplanপরিকল্পনাproposaldisorderaimলক্ষGoalaimlessdirectionনিদ্ধেশনাInstructionnoticeprofessionপেশাJobjoblesssuitsআকারFormnothingaptitudeযোগ্যতাAttitudedislikevaryপরিবর্তীতVariousfixeducatedশিক্ষিতLearneduneducatedcitizenনাগরিকnativeforeignervirtueপূর্ণgoodnessevilA lotঅনেকhugelittlecourteousবিনয়ীpoliterudediscourtesyঅবিনয়ীrudenesscourteouswinজয় করাgainloseenemyশত্রুfoefriendensureনিশ্চিত করাconfirmcancelangerরাগtempercalmnessremoveঅপসারণcancelputcordialityসোহার্দrudenessdiscordialitydifferentভিন্নDissimilarsameseeksঅনুসন্ধানPursuefindeagerআগ্রহীinterestdisinterestedobservationপর্যবেক্ষণExaminationneglectmereএকমাত্রImmenseabnormalalertসতর্কWatchfulunawarelatentসুপ্তOpenrealizedinstructorsপ্রশিকক্ষকteacherstudentguideগাইডmentormisguidewayপথ/উপায়Pathpartfascinatingচমৎকারexcellentunattractiveinterestআগ্রহীeagerdisregardimpatientঅধৈয্যIntolerancepatientillogicalঅযোক্তিকunethicalLogicalindifferentউদাসীনUninteresteddifferentethicallyনৈথিকভাবেlawfullyUnethicalGood-lookingচমৎকারAttractiveUnattractiveDarkঅন্ধকারBlackbrightFlawlessস্থিরperfectflawedShinyউজ্জল্যbrightdarkSlenderসরুthinfatGracefulকরুনাময়elegantungracefulStylishlyআড়ম্বরপূর্ণভাবেattractivesimplyAppreciatesপ্রশংসা করেpriesCriticizeNoticeলক্ষ করেadvertisementoverlookAmbitionউচ্ছাকাঙকাAim/desirelazinessRequireপ্রয়োজনneedanswerProficiencyদক্ষতাskilledincompetenceWonderআশ্চয্যSurprisedisinterestTestedপরীক্ষীতverifiednewEquallyসমানভাবেsimilarlyUnequallyDisappointingহতাশাজনকInceptingappointingPresumablyসম্ভবতdoubtlesslyimprobableQualifyযোগ্যতাcertifyDisqualifywrongভুলmistakewriteIdealআদর্শModelbadMasterদক্ষTeacherStudentMakesতৈরীcreateBreak/destroyMethodপদ্ধতিSystemdifferenceConvincingবিশ্বাসীsatisfactoryUnconvincingPraisesপ্রশাংসা করেhurrahCriticizeMistakeভুলErrorsagacityAngryরাগevilcalmSimpleসাধারণgeneralComplexmoralনৈতিকethicalamoralAcceptedগৃহিতreceivedrejectedSincerityআন্তরিকতাGood-willinsincerityResponsibilityদায়িত্বdutiesdepartureComplexityজটিলতাcomplicationSimplicityEnvyহিংসাlastedpraiseVicesমন্দevilVirtueImpactsপ্রভাবeffectfailsAwarenessসতর্কতাalertnessunawarenessOut-comeবাহিরের দিকresultcauseimportanceগুর্ত্বপূর্ণsignificanceinsignificanceFriendবন্দুenemyfoeNeedপ্রয়োজনcommitment/necessaryavoidSympathyসহানুভুতিkindnessrudenessProveপ্রমানconfirmdisproveFalseমিথ্যাwrongtrueHarmক্ষতিকরlosshelpLaughহাসাburstcryPleasureআনন্দhappinesssadnessBringআনাcarryleaveideaধারণাconceptnothingAllowঅনুমতিpermitdenyFreedomস্বাধীনতাindependencebondageOpinionমতামতviewawarenessFairমেলাcleanunfairEqualসমানbalancedunequalDivisionবিভাগdistributionunionElectনির্বাচন করাvoterefuseSystemনিয়ম-নীতিprocesspartTreatmentচিকিৎশা করাcuringhurtFacilityসুবিধাadvantagepainNeverকখন নয়NotingAlwaysWeakerদুর্বলrottenstrongerDiscourageনিরুৎসাহিতdroopEncourageFrustratingহতাশাজনকBuffaloingsatisfyingInterestআগ্রহীeagernessdiscourageAbilityসক্ষমতাCapabilityinabilityDreamস্বপ্নfancyfactBestসবচেয়ে ভালfinestworstSuccessসফলতাachievementfailureachieveঅর্জন…
আপনি যদি ইন্টারনেটে চাকরির সন্ধান করছেন এবং আপনি এটি সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক…
Model Question 1 Part-I : Marks 60 1. Read the passage and answer the questions…
পঞ্চম অধ্যায় দেবদেবী ও পূজা এ অধ্যায়ে আমরা পূজা, পুরোহিতের ধারণা ও যোগ্যতা, দেবী দুর্গা,…
চতুর্থ অধ্যার হিন্দুধর্মে সংস্কার আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লড়্গ্েয…
তৃতীয় অধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আমাদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য যেসব আচার-আচরণ চর্চিত হয়…
This website uses cookies.