পাখিদের কথা বাংলা বই ৩য় শ্রেনী
পাখিদের কথা
রচনাটি পড়ে জানতে পারব
বিভিন্ন ধরনের পাখির নাম
বিভিন্ন ধরনের পাখির দৈহিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে
পাখিদের নানা রকম স্বভাব ও গুণের কথা
আমাদের জাতীয় পাখির পরিচয়
পাখিদের উপকারী ভূমিকা সম্পর্কে
রচনাটির মূলভাব জেনে নিই
আমাদের চারপাশে আমরা নানা ধরনের পাখি দেখতে পাই। এসব পাখির শরীরজুড়ে থাকে বিচিত্র রঙের সমাহার। স্বভাবের দিক থেকে একেক পাখি একেক রকম। কোনো পাখি অস্থির প্রকৃতির, কেউ বা আবার লড়াকু স্বভাবের। এসব পাখির কেউ কেউ সুরেলা কণ্ঠে গান করে। কোনো কোনোটি মানুষের কথা বা অন্যান্য প্রাণীর ডাক নকল করতে পারে। কোনো কোনো পাখি খুব সুন্দর করে বাসা বানাতে পারদর্শী। এ পাখিগুলো আমাদের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। পাখিরা আমাদের বন্ধু।
বানানগুলো লক্ষ করি
প্রতিবেশী, উঁচু, স্বর, বোকামি, মুগ্ধ, উজ্জ্বল, চমৎকার, পরিচিত, ঝাঁক, ঝুঁটি, জাতীয়, তাঁতি, খঞ্জনা, শঙ্খচিল, শ্যামা।
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
প্রতিবেশী পালক পোঁচ ছোপ ঝুঁটি শখ ঝাঁক তাঁতি
উত্তর :
প্রতিবেশী – পড়শি। কাছাকাছি বসবাস করে যারা।
পালক – পাখির শরীর বা পাখার আবরণ।
পোঁচ – মাখানো, লেপা।
ছোপ – দাগ। রং।
ঝুঁটি – খোঁপা। মাথার ওপরে গোছা করে বাঁধা চুল।
শখ – পছন্দ। আগ্রহ।
ঝাঁক – দল। পাল।
তাঁতি – (কাপড়) বোনে যে।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
প্রতিবেশী শখ তাঁতিরা ঝাঁক ঝুঁটি পালক পোঁচ
উত্তর :
ক) বকের পালক সাদা।
খ) শীলা চাচি আমাদের প্রতিবেশী ।
গ) গরমে মেয়েরা ঝুঁটি করে চুল বাঁধে।
ঘ) সাঁঝের আকাশে অনেক রঙের পোঁচ ।
ঙ) তাঁতিরা খুব সুন্দর শাড়ি বোনে।
চ) বন্ধুদের ছবি জমানো রবির শখ ।
ছ) এক ঝাঁক পাখি উড়ছে।
৩. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক) কোন কোন পাখি গান গাইতে পারে?
উত্তর : কোকিল, বুলবুলি, ময়না ও দোয়েল পাখি গান গাইতে পারে।
খ) মানুষের কথা নকল করতে পারে কোন কোন পাখি?
উত্তর : মানুষের কথা নকল করতে পারে ময়না ও টিয়া পাখি।
গ) কোন কোন পাখিকে ছোট পাখি বলা হয়?
উত্তর : বুলবুলি, দোয়েল, টুনটুনি ও বাবুই পাখি আকারে ছোট বলে এদেরকে ছোট পাখি বলা হয়।
ঘ) তাঁতি পাখি কোনটি? এদের তাঁতি পাখি বলা হয় কেন?
উত্তর : বাবুইকে তাঁতি পাখি বলা হয়। বাবুই পাখি সরু সরু আঁশ দিয়ে খুব সুন্দর করে বাসা বানাতে পারে। এই গুণের জন্য বাবুইকে তাঁতি পাখি বলা হয়।
ঙ) আমাদের জাতীয় পাখির নাম কী?
উত্তর : আমাদের জাতীয় পাখির নাম দোয়েল।
চ) কোকিল কোন সময় ডাকে?
উত্তর : কোকিল বসন্তকালে ডাকে।
ছ) টুনটুনিকে চঞ্চল পাখি বলা হয় কেন?
উত্তর : টুনটুনি কোথাও স্থির হয়ে বসে না। এরা ছোট ছোট গাছে সারাক্ষণ নেচে বেড়ায়। তাই টুনটুনিকে চঞ্চল পাখি বলা হয়।
৪. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি।
কণ্ঠ গুণ্ঠন, কুণ্ঠা
উজ্জ্বল প্রোজ্জ্বল
লম্বা খাম্বা, কম্বল
ছোট্ট ভুট্টা, খোট্টা
চঞ্চল অঞ্চল, কাঞ্চন
খঞ্জনা অঞ্জন, গঞ্জ
শঙ্খচিল শৃঙ্খলা, ময়ূরপঙ্খী
৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক) গান গাইতে পারে কোন পাখি?
১. বাবুই ২. ময়না
৩. শালিক ৪. টিয়া
খ) ঝাঁক বেঁধে চলে কোন সারির পাখিরা?
১. কোকিল, বাবুই, ময়না
২. শালিক, বাবুই, বুলবুলি
৩. কাক, টিয়া, শালিক
৪. মাছরাঙা, টুনটুনি, দোয়েল
গ) কোন সারির সব শব্দের অর্থ এক?
১. ঝলক, ঝলমল, উজ্জ্বল
২. ঝাঁক, পাল, দল
৩. পালক, ঝলক, নকল
৪. আগ্রহ, দক্ষ, চালাক
ঘ) পাখিদের আমরা রক্ষা করব। কারণÑ
১. পাখিরা আমাদের পরিচিত
২. পাখিরা আমাদের পড়শি
৩. পাখিরা দল বেঁধে চলে
৪. পাখিরা আমাদের উপকার করে
উত্তর : ক) ২. ময়না; খ) ৩. কাক, টিয়া, শালিক; গ) ২. ঝাঁক, পাল, দল; ঘ) ৪. পাখিরা আমাদের উপকার করে।
৬. বাক্যগুলো পড়ি। ঠিক জায়গায় কমা, দাড়ি ও প্রশ্নচিহ্ন বসিয়ে খাতায় লিখি।
ক) আমাদের দেশে আছে কত রকমের পাখি
খ) আর কত যে তাদের নাম
গ) মিষ্টি সুরে গান করে কোকিল ময়না ও দোয়েল
ঘ) রবি আমি অনেক পাখি দেখেছি
ঙ) তুমি কি পাখি দেখেছ
চ) তুমি কী কী পাখি দেখেছ
উত্তর :
ক) আমাদের দেশে আছে কত রকমের পাখি।
খ) আর কত যে তাদের নাম।
গ) মিষ্টি সুরে গান করে কোকিল, ময়না ও দোয়েল।
ঘ) রবি, আমি অনেক পাখি দেখেছি।
ঙ) তুমি কি পাখি দেখেছ?
চ) তুমি কী কী পাখি দেখেছ?
৭. শব্দ আছে পাতায় পাতায়। ঠিক শব্দ খুঁজে বের করি। নিচের খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
উত্তর :
ক) টিয়া সবুজ রঙের পাখি।
খ) নরম সুরে শিস বাজাতে পারে দোয়েল।
গ) মিষ্টি সুরে গান গায় কোকিল, ময়না ও দোয়েল ।
ঘ) মাথার সামনে ঝুঁটি আছে বুলবুলি পাখির।
ঙ) সবচেয়ে ছোট পাখি টুনটুনি ।
চ) বাবুই হচ্ছে শিল্পী পাখি।
৮. শব্দগুলো ভালোভাবে দেখি। এগুলো পাখিদের রং ও গুণের কথা বোঝাচ্ছে। শব্দগুলো দিয়ে বাক্য লিখি।
সবুজ তাঁতি ছোট্ট নরম সুন্দর
উত্তর :
সবুজ আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠটি সবুজ ঘাসে ভরা।
তাঁতি বাবুইকে তাঁতি পাখি বলা হয়।
ছোট্ট ছোট্ট পাখি দোয়েল।
নরম বিড়াল নরম বিছানা পছন্দ করে।
সুন্দর টিয়া একটি সুন্দর পাখি।
৯. ছবি দেখি। পাখি সম্পর্কে দুটি করে বাক্য লিখি।
উত্তর :
১) মাছরাঙা একটি সুন্দর পাখি।
২) মাছরাঙার ডানার পালক উজ্জ্বল নীল।
১) দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি।
২) দোয়েল নরম সুরে শিস দেয়।
১) ময়নার গান খুব মিষ্টি।
২) ময়নার দেহের রং কালো।
অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
সঠিক উত্তরটি লেখ।
১. কোকিলের ডিমে না বুঝেই তা দেয় কোন পাখি?
ক ময়না খ কাক
গ টিয়া ঘ বুলবুলি
২. কোনটির জন্য কাকের নাম আছে?
ক গানের জন্য খ বোকামির জন্য
গ বাসা তৈরি জন্য ঘ চালাকির জন্য
৩. কোকিলের ঠোঁট দেখতে কেমন? চ
ক সবুজ ও বাঁকানো খ হলুদ ও বাঁকানো
গ সবুজ ও সোজা ঘ হলুদ ও সোজা
৪. কোকিলের চোখের রং কী?
ক গাঢ় সবুজ খ টকটকে লাল
গ উজ্জ্বল বাদামি ঘ হালকা নীল
৫. উঁচু ও সুরেলা কণ্ঠে ডাকে কোন পাখি?
ক কাক খ মাছরাঙা
গ কোকিল ঘ বাবুই
৬. বুলবুলির কোনটি আছে?
ক কণ্ঠস্বর নকল করার ক্ষমতা
খ মিষ্টি গানের কণ্ঠ
গ মাছ ধরার শক্ত ঠোঁট
ঘ বাসা বানানোর দক্ষতা
৭. মাথার উপর সামনে ঝুলে পড়া ঝুঁটি কোন পাখির বৈশিষ্ট্য?
ক কাক খ টিয়া
গ বুলবুলি ঘ টুনটুনি
৮. কাকের মতো গায়ের রং কোন পাখিটির?
ক টিয়া খ বুলবুলি
গ ময়না ঘ মাছরাঙা
৯. ময়নার চোখ ও মাথার পেছনে কোন রংটি দেখা যায়?
ক লাল খ কমলা
গ সাদা ঘ হলুদ
১০. কমলা আর লাল রঙে মেশানো ঠোঁট কার?
ক ময়নার খ কোকিলের
গ টিয়ার ঘ দোয়েলের
১১. কোন পাখিটির গলায় লাল ও কালো রঙের দাগ থাকে?
ক ময়না খ টিয়া
গ মাছরাঙা ঘ বুলবুলি
১২. দোয়েলের পালকের পোশাক কোন কোন রঙে সাজানো? চ
ক সাদা আর কালো খ কালো আর ধূসর
গ সাদা আর হলুদ ঘ বাদামি আর কালো
১৩. দোয়েল পাখির ডানার উপরে কোন রঙের চওড়া দাগ টানা থাকে?
ক কালো খ সাদা
গ হলুদ ঘ সবুজ
১৪. লম্বা লেজ আছে কোন সারির পাখিদের?
ক শালিক, টিয়া, বুলবুলি, মাছরাঙা, ময়না
খ মাছরাঙা, কাক, দোয়েল, টিয়া, শালিক
গ টুনটুনি, দোয়েল, টিয়া, কোকিল, বুলবুলি
ঘ ময়না, টিয়া, মাছরাঙা, দোয়েল, কোকিল
১৫. শালিকের শরীর কোন রঙের পালকে ঢাকা?
ক চকচকে বাদামি খ হালকা বাদামি
গ চকচকে হলুদ ঘ হালকা হলুদ
১৬. শালিকের ঠোঁট ও চোখের পাশটা কোন রঙের? ঝ
ক লাল খ সাদা
গ বাদামি ঘ হলুদ
নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
অবিকল, চঞ্চল, শিল্পী।
উত্তর :
শব্দ অর্থ
অবিকল – অবিকৃত, কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই।
চঞ্চল – অস্থির।
শিল্পী – শিল্পের চর্চা করেন যিনি।
নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
পরিচিত, বোকামি, বসন্ত, নকল, শিল্পী।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
পরিচিত – একজন লেখকের সাথে পরিচিত হলাম।
বোকামি – না বুঝে আমরা নানা রকম বোকামি করি।
বসন্ত – বসন্ত আমার প্রিয় ঋতু।
নকল – ময়না পাখি মানুষের কথা নকল করতে পারে।
শিল্পী – বাবুই শিল্পী পাখি।
নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ক্ত, ষ্ট, ন্দ, ব্দ।
উত্তর :
ক্ত = ক + ত – বক্তা – সেলিম স্যার ভালো বক্তা।
ষ্ট = ষ + ট – সৃষ্টি – আল্লাহ এ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
ন্দ = ন + দ – মন্দ – মিথ্যা বলা মন্দ কাজ।
ব্দ = ব + দ – জব্দ – বুড়ির বুদ্ধিতে শেয়াল জব্দ হলো।
উপযুক্ত শব্দ নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর।
মুগ্ধ, চালাক, লড়াকু, পরিচিত, শিল্পী, দুই ঠোঁটে।
ক) আমাদের খুব—পাখি কাক।
খ) কোকিলের গানে মানুষ—হয়।
গ) মাছরাঙা পানিতে ঝাঁপ দিয়ে—মাছ তুলে আনে।
ঘ) খুব —বলে নাম আছে কাকের।
উত্তর : ক) পরিচিত; খ) মুগ্ধ; গ) দুই ঠোঁটে; ঘ) চালাক।
ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।
দালানের ফাঁকফোকরে থাকে মাছরাঙা পাখি।
শিল্পী পাখি বলা হয় বুলবুলি পাখিকে।
মাছ ধরায় দক্ষ বাবুইকে।
কুউ-উ-উ, কুউ-উ-উ ডাকে দোয়েল পাখি।
কোকিল পাখি।
উত্তর :
দালানের ফাঁকফোকরে থাকে – দোয়েল পাখি।
শিল্পী পাখি বলা হয় – বাবুইকে।
মাছ ধরায় দক্ষ – মাছরাঙা পাখি।
কুউ-উ-উ, কুউ-উ-উ ডাকে – কোকিল পাখি।
নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
পরিচিত, উপকার, রক্ষা, চালাক, উজ্জ্বল, লম্বা, সুরেলা।
উত্তর : শব্দ বিপরীত শব্দ
পরিচিত – অপরিচিত
উপকার – অপকার
রক্ষা – ধ্বংস
চালাক – বোকা
উজ্জ্বল – অনুজ্জ্বল
লম্বা – খাটো
সুরেলা – কর্কশ
নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
ঘুম, পাখি, শরীর, সুন্দর, শক্ত, ঠোঁট।
উত্তর :শব্দ সমার্থক শব্দ
ঘুম – নিদ্রা
পাখি – পক্ষী
শরীর – দেহ
সুন্দর – সুশ্রী
শক্ত – কঠিন
ঠোঁট – ওষ্ঠ
নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ।
প্রতিবেশি, পোচ, পোসা, বাদামী, যাতীয়, শিল্পি।
উত্তর :ভুল বানান শুদ্ধ বানান
প্রতিবেশি – প্রতিবেশী
পোচ – পোঁচ
পোসা – পোষা
বাদামী – বাদামি
যাতীয় – জাতীয়
শিল্পি – শিল্পী
নিচের কোনটি কোন পদ লেখ।
পাখি, শক্ত, ডাকে, সুরেলা, টুনটুনি।
উত্তর : শব্দ পদ
পাখি – বিশেষ্য
শক্ত – বিশেষণ
ডাকে – ক্রিয়া
সুরেলা – বিশেষণ
টুনটুনি – বিশেষ্য
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) পাখিদেরকে কেন আমাদের বন্ধু বলা হয়েছে?
উত্তর : পাখিরা নানাভাবে আমাদের উপকার করে। পরিবেশ রক্ষায় তাদের ভূমিকা রয়েছে। আমাদের চারপাশে তারা প্রতিবেশীর মতোই বসবাস করে। তাই পাখিদেরকে আমাদের বন্ধু বলা হয়েছে।
খ) কোকিলের গায়ের রং কেমন?
উত্তর : কোকিলের গায়ের রং মূলত কালো। তবে কালোর উপর উজ্জ্বল নীল রঙের পোঁচ দেওয়া থাকে।
গ) কোকিল কখন সুরেলা কণ্ঠে গান করে?
উত্তর : কোকিল বসন্তকালে সুরেলা কণ্ঠে গান করে।
ঘ) বুলবুলি পাখির শরীরে কোন কোন রং দেখা যায়?
উত্তর : বুলবুলি হালকা বাদামি ও কালো রঙের হয়। আর লেজের গোড়ায় লাল টুকটুকে ছোপ থাকে।
ঙ) মানুষ ময়না পাখিকে শখ করে পোষে কেন?
উত্তর : ময়না অন্য পাখির ডাক, মানুষের কথা ইত্যাদি অবিকল নকল করতে পারে। এজন্য মানুষ ময়নাকে শখ করে পোষে।
চ) টিয়া পাখির ডানা ও লেজের রং কেমন?
উত্তর : টিয়া পাখির ডানা ও লেজ সবুজ রঙের।
ছ) টিয়া পাখির ঠোঁটটি কেমন?
উত্তর : টিয়া পাখির ঠোঁটটি টুকটুকে লাল এবং খুব শক্ত।
জ) কোন কোন পাখিকে সহজে পোষ মানানো যায়?
উত্তর : বুলবুলি, ময়না ও টিয়া পাখিকে সহজে পোষ মানানো যায়।
ঝ) দোয়েল পাখিকে কোথায় দেখা যায়?
উত্তর : দোয়েল পাখি দেশের সব জায়গাতেই দেখা যায়। এরা ঝোপঝাড়ে, গাছের কোটরে, দালানের ফাঁকফোকরে থাকে।
ঞ) বাবুই পাখি কী দিয়ে বাসা বোনে?
উত্তর : বাবুই পাখি সরু সরু আঁশ দিয়ে বাসা বোনে।
ট) মাছরাঙা পাখির শরীরে কী কী রং দেখা যায়?
উত্তর : মাছরাঙার মাথা, ঘাড়, পেট ও পিঠে গাঢ় বাদামি বা খয়েরি রং দেখা যায়। ডানার পালক হয় উজ্জ্বল নীল রঙের। এছাড়া চিবুক, গলা ও বুকে নানা রং থাকে।
প্রাথমিক সমাপনী নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর
পাঠ্য বইভিত্তিক
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
রোজ সকালে নানা রকম পাখির ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙে। ওরা নানা সুরে ডাকাডাকি করে। তাতে মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। পাখি আমাদের অনেক উপকার করে। পরিবেশ রক্ষা করে। তারা ঠিক আমাদের প্রতিবেশীর মতো। আমাদের পরিচিত পাখি কাকের শরীর কালো পালকে ঢাকা। এরা ঝাঁক বেঁধে ওড়ে। কাক মাঝে মাঝে বোকামির কাণ্ড করে। কোকিলের ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়ে দেয়। কোকিলের কালো পালকের উপর উজ্জ্বল নীল রঙের পোঁচ দেওয়া। চোখের রং টকটকে লাল। এরা উঁচু ও সুরেলা কণ্ঠে ডাকে। টুনটুনি খুব চঞ্চল। কোথাও স্থির হয়ে বসে না। ছোট ছোট গাছে নেচে নেচে বেড়ায়। সুন্দর বাসা বুনতে পারে বলে বাবুইয়ের নাম তাঁতি পাখি।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) কোকিলের কণ্ঠস্বর –
(ক) কর্কশ (খ) বিরক্তিকর
(গ) মিষ্টি (ঘ) কাকের মতো
২) কাকের সঙ্গে কোকিলের মিল কোথায়?
(ক) দুজনেরই কণ্ঠ খুব মধুর
(খ) দুজনই অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে
(গ) দুজনই ঝাঁক বেঁধে থাকে
(ঘ) দুজনের গায়েই কালো রং আছে
৩) ‘শিল্পী পাখি’ বলা যায় কাকে?
(ক) বাবুইকে (খ) টুনটুনিকে
(গ) কাককে (ঘ) কোকিলকে
৪) কোন পাখিটি দলবদ্ধভাবে থাকতে ভালোবাসে?
(ক) কোকিল (খ) কাক
(গ) টুনটুনি (ঘ) বাবুই
৫) উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে –
(ক) পাখিদের উপকারী ভূমিকার কথা
(খ) নানা ধরনের পাখির স্বভাবের কথা
(গ) পাখিদের রক্ষার গুরুত্বের কথা
(ঘ) পাখি পোষার আনন্দের কথা
উত্তর : ১) (গ) মিষ্টি; ২) (ঘ) দুজনের গায়েই কালো রং আছে; ৩) (ক) বাবুইকে; ৪) (খ) কাক; ৫) (খ) নানা ধরনের পাখির স্বভাবের কথা।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
বুনতে, রোজ, পালক, পোঁচ, তাঁতি।
উত্তর :
শব্দ অর্থ
বুনতে – বানাতে, তৈরি করতে।
পালক – পাখির শরীর বা পাখার আবরণ।
রোজ – প্রতিদিন।
পোঁচ – মাখানো, লেপা।
তাঁতি – যে কাপড় বোনে।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) টুনটুনিকে চঞ্চল পাখি বলা হয় কেন?
উত্তর : টুনটুনি কোথাও স্থির হয়ে বসে না। এরা ছোট ছোট গাছে সারাক্ষণ নেচে বেড়ায়। তাই টুনটুনিকে চঞ্চল পাখি বলা হয়।
খ) কাক কীভাবে বোকামির কাণ্ড করে?
উত্তর : কাক খুব চালাক পাখি হলেও মজার বোকামির কাণ্ডও করে থাকে। এরা না চিনেই কোকিলের ডিমে তা দেয় এবং বাচ্চা ফোটায়।
গ) কোকিল পাখি সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ।
উত্তর : কোকিল সম্পর্কে দুটি বাক্য :
১) কোকিলের কণ্ঠ খুব উঁচু ও সুরেলা।
২) কোকিলের কালো পালকের উপর উজ্জ্বল নীল রঙের পোঁচ থাকে।
৪. অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : আমাদের আশপাশে প্রতিবেশীর মতো বাস করে ছোট বড় নানা ধরনের পাখি। এসব পাখির একেকটির স্বভাব একেক রকম। এদের আছে নানা রকমের গুণ। এরা নানা ভাবে আমাদের উপকার করে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত- যোগ্যতাভিত্তিক
এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- ৫. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, ৬. শূন্যস্থান পূরণ ও ৭. প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ণ্ড, চ্চ, ট্ট, ঞ্চ, ঙ্খ।
উত্তর :
ণ্ড = ণ + ড – ভণ্ডামী
– লোকটি ভণ্ডামী করছে।
চ্চ = চ + চ – উচ্চতা
– ছেলেটির উচ্চতা পাঁচ ফুট।
ট্ট = ট + ট – চট্টগ্রাম
– কাল চট্টগ্রাম যাব।
ঞ্চ = ঞ + চ – অঞ্চল
– নিচু অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়।
ঙ্খ = ঙ + খ – শৃঙ্খলা
– শৃঙ্খলা ভঙ্গ করব না।
৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
মাছরাঙা এ দেশের একটি সুন্দর পাখি এই পাখির মাথা ঘাড় পেট ও পিঠের রং গাঢ় বাদামি আবার খয়েরি রঙেরও হয়
উত্তর : মাছরাঙা এ দেশের একটি সুন্দর পাখি। এই পাখির মাথা, ঘাড়, পেট ও পিঠের রং গাঢ় বাদামি। আবার খয়েরি রঙেরও হয়।
১০. এককথায় প্রকাশ কর।
ক) কাছাকাছি বসবাস করে যারা; খ) কাপড় বোনে যে; গ) শিল্প চর্চা করেন যিনি; ঘ) পাখির শরীর বা পাখার আবরণ; ঙ) মাথার ওপরে গোছা করে বাঁধা চুল।
উত্তর : ক) প্রতিবেশী; খ) তাঁতি; গ) শিল্পী; ঘ) পালক; ঙ) ঝুঁটি।
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
গোড়া, নকল, চওড়া, চঞ্চল, ছোট।
উত্তর :শব্দ বিপরীত শব্দ
গোড়া – আগা
নকল – আসল
চওড়া – সরু
চঞ্চল – স্থির
ছোট – বড়
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(গদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)