কুজো বুড়ির গল্প আমার বাংলা বই ৩য় শ্রেনী
কুজো বুড়ির গল্প
গল্পটি পড়ে জানতে পারব
আমাদের দেশের প্রচলিত একটি মজার গল্প সম্পর্কে
উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয়
পোষা প্রাণীর উপকারিতা সম্পর্কে
গল্পটির মূলভাব জেনে নিই
আমাদের দেশে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত রয়েছে অনেক গল্প। কুঁজো বুড়ির গল্পটি তেমনই একটি। এ গল্পের কুঁজো বুড়ি নাতনির বাড়ি যাওয়ার সময় বাঘ আর শেয়ালের মুখোমুখি হয়। দুজনই বুড়িকে খেতে চাইলে বুড়ি কৌশলে নিজেকে রড়্গা করে। ফেরার পথে বুড়ির নাতনির বুদ্ধির কাছে হেরে যায় বাঘ। আর শেয়াল কুপোকাৎ হয় বুড়ির উপস্থিত বুদ্ধির জোরে। এভাবে বুদ্ধিমত্তার কারণে বুড়ির জীবন রড়্গা পেল।
বানানগুলো লক্ষ করি
কুঁজো, মহাচিšত্মা, ফাঁকি, চিৎকার, নিমেষে, না¯ত্মানাবুদ, মুশকিল, জোগাড়, দূর, এড়্গুনি, মহানন্দে।
অনুশীলন প্রশ্ন ও উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
কুঁজো খিদে মুশকিল এড়্গুনি তড়্গুনি না¯ত্মানাবুদ
উত্তর :
কুঁজো – যার পিঠ বাঁকা ও ফোলা।
খিদে – ড়্গুধা।
মুশকিল – অসুবিধা।
এড়্গুনি – এখনি। একটুও দেরিতে নয়।
তড়্গুনি – তখনই।
না¯ত্মানাবুদ – নাজেহাল।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
নাত্মানাবুদ এড়্গুনি তড়্গুনি মুশকিল খিদে
উত্তর :
ক) ফুলির খুব খিদে পেয়েছে।
খ) আমাকে এড়্গুনি যেতে হবে।
গ) কাজটা করতে গেলে মুশকিল হবে।
ঘ) তড়্গুনি কাজটা করে ফেললে ভালো হতো।
ঙ) কুকুরগুলো শেয়ালটাকে না¯ত্মানাবুদ করে ছাড়ল।
৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি।
আচ্ছা খাচ্ছে, ইচ্ছা
ধাক্কা ছক্কা, এক্কা
৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক) কুঁজো বুড়ি বাড়ি পাহারা দিতে কাদের বলল?
১. দারোয়ানদের ২. পাহারাদারদের
৩. কুকুর তিনটিকে ৪. নাতনিকে
খ) বিপদ দেখে বুড়ি শেয়ালকে বলেছিলÑ “আগে নাতনির বাড়ি যাই। খেয়ে দেয়ে মোটা তাজা হয়ে আসি।” এ কথায় বুড়ির কিসের পরিচয় পাওয়া যায়?
১. বুদ্ধির ২. বোকামির
৩. রসিকতার ৪. রাগের
গ) নিমেষেই ছুটে এলো বুড়ির কুকুর তিনটা। কেন?
১. শেয়ালের ডাক শুনে
২. গানের সুরে বুড়ির চিৎকার শুনে
৩. শেয়ালের গান শুনে
৪. মুরগির খোঁজ পেয়ে
ঘ) নাতনি বুড়িকে লাউয়ের খোলে ঢুকিয়ে সঙ্গে কী কী খাবার দিল?
১. চিঁড়ে আর দই ২. চিঁড়ে আর গুড়
৩. গুড় আর মুড়ি ৪. গুড় আর খই
উত্তর : ক) ৩. কুকুর তিনটিকে; খ) ১. বুদ্ধির; গ) ২. গানের সুরে বুড়ির চিৎকার শুনে; ঘ) ২. চিঁড়ে আর গুড়।
৫. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক) বুড়ির কয়টি কুকুর ছিল? তাদের নাম কী কী?
উত্তর : বুড়ির তিনটি কুকুর ছিল। তাদের নামÑ রঙ্গা, বঙ্গা ও ভুতো।
খ) বুড়ি কোথায় যাচ্ছিল?
উত্তর : বুড়ি তার নাতনির বাড়ি যাচ্ছিল।
গ) কুকুর তিনটাকে সে কী বলে গেল?
উত্তর : কুকুর তিনটাকে সে বলে গেল, ‘তোরা বাড়ি পাহারা দে। আমি নাতনিকে দেখে আসি।
’
ঘ) বুড়ি শেয়ালকে কী বলল?
উত্তর : বুড়ি শেয়ালকে বলল, ‘আমাকে এখন খেয়ো না। আমার গায়ে কি মাংস আছে? আগে নাতনির বাড়ি যাই, খেয়ে দেয়ে মোটাতাজা হয়ে আসি। তখন বরং খেয়ো।’
ঙ) বুড়ি বাঘকে কী বলল?
উত্তর : বুড়ি শেয়ালকে যে কথা বলেছিল বাঘকেও তা-ই বলল। সে বাঘকে বলল, ‘আমাকে এখন খেয়ো না। আমার গায়ে কি মাংস আছে? আগে নাতনির বাড়ি যাই। খেয়ে দেয়ে মোটাতাজা হয়ে আসি। তখন বরং খেয়ো।’
চ) নাতনির বাড়িতে গিয়ে বুড়ি মোটা হলো কীভাবে?
উত্তর : নাতনির বাড়িতে কদিন মজার মজার খাবার খেয়ে বুড়ি মোটা হয়ে উঠল।
ছ) নাতনি বুড়িকে কী রকম করে পাঠাল?
উত্তর : নাতনি বুদ্ধি করে বুড়ির জন্য ম¯ত্ম এক লাউয়ের খোল জোগাড় করল। চিঁড়ে আর গুড় দিয়ে বুড়িকে তার ভিতরে ঢুকিয়ে দিল। তারপর খোলটিকে দিল জোরে এক ধাক্কা। খোল চলল গড়িয়ে গড়িয়ে। এভাবেই নাতনি বুড়িকে বাড়ি পাঠাল।
জ) বাড়ি ফেরার পথে কার কার সঙ্গে বুড়ির দেখা হলো?
উত্তর : বাড়ি ফেরার পথে বাঘ ও শেয়ালের সাথে বুড়ির দেখা হলো।
ঝ) বুড়ি কীভাবে বাঁচল?
উত্তর : বুড়ি বুদ্ধি করে গানের সুরে সুরে তার কুকুর তিনটাকে ডাকল। নিমেষেই কুকুর তিনটা ছুটে এসে শেয়ালকে ঘিরে ফেলল। কুকুরদের আক্রমণে শেয়াল কুপোকাৎ হলো। এভাবেই নিজের বুদ্ধির জোরে বুড়ি বেঁচে গেল।
৬. বাক্যগুলো পড়ি। বাক্যের শেষে দাড়ি এবং প্রশ্নচিহ্ন বসাই।
উত্তর :
ক) আমার গায়ে কি মাংস আছে
খ) সে আজ বাড়ি যাবে
গ) সে ফিরবে কীভাবে
ঘ) ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী
ঙ) ভেতরে কী আছে
চ) আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি
ছ) এবার যাবে কোথায়
প্রশ্নচিহ্ন বাক্যে কিছু জানার ভাব বা জানার ইচ্ছে বোঝায়। এগুলোকে বলে প্রশ্নবাক্য। এ ধরনের বাক্যের শেষে প্রশ্নচিহ্ন (?) বসে।
৭. কুঁজো বুড়ির গল্পটা মুখে মুখে বলি।
উত্তর : পাঠ্য বই থেকে গল্পটা পড়ে নাও। এবার নিজে নিজে বলার চেষ্টা কর।
৮. গল্পটি দলে অভিনয় করি। [শিড়্গক সহায়তা করবেন]
উত্তর : শিড়্গকের সাহায্য নিয়ে সহপাঠীরা মিলে অভিনয় করে দেখানোর চেষ্টা কর।
৯. পোষা প্রাণী সম্পর্কে তিনটি বাক্য লিখি।
উত্তর : পোষা প্রাণী সম্পর্কে তিনটি বাক্য :
১) আমরা বাড়িতে গরম্ন, ছাগল, কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, কবুতর ইত্যাদি পশুপাখি পুষে থাকি।
২) পোষা প্রাণীদের সাথে মানুষের নিবিড় মমতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
৩) পোষা প্রাণীরা নানাভাবে আমাদের উপকার করে।
১০. ছবি দেখে গল্প বলি ও লিখি।
উত্তর : শুভ জীবজন্তুদের খুব ভালোবাসে। বাড়িতে সে দুটি খরগোশ পোষে। একটির নাম রেখেছে নিতু, আরেকটির মিতু। খরগোশ দুটিকে শুভ খুব আদর করে। ওদের ঘাস, লতাপাতা, শাক-সবজি ইত্যাদি খেতে দেয়। খরগোশগুলোও তাকে খুব পছন্দ করে। নাম ধরে ডাকলেই সাড়া দেয়। ওরা সব সময় শুভর কাছে কাছে থাকে।
অতরিক্তি প্রশ্ন ও উত্তর
সঠিক উত্তরটি লেখ।
১. কুঁজো বুড়ির কয়টি কুকুর ছিল? ছ
ক ২টি খ ৩টি গ ৪টি ঘ ৫টি
২. নাতনির বাড়ি যাওয়ার পথে কার সাথে বুড়ির প্রথম
দেখা হলো? জ
ক বাঘের সাথে খ নাতনির সাথে
গ শেয়ালের সাথে ঘ ভুতোর সাথে
৩. বুড়ি নাতনির বাড়িতে গিয়েছিল কেন? চ
ক নাতনিকে দেখে আসতে খ মজার খাবার খেতে
গ নাতনিকে নিয়ে আসতে ঘ মনের সুখে গান গাইতে
৪. লাউয়ের খোলের ভিতর কে ছিল? চ
ক কুঁজো বুড়ি খ বুড়ির নাতনি
গ বাঘ ঘ শেয়াল
৫. লাউয়ের খোল দেখে বাঘ কী করল? জ
ক গন্ধ শুঁকল খ ভেঙে ফেলল
গ ধাক্কা দিল ঘ ভয়ে পালাল
৬. কোনটির মাধ্যমে বুড়ির বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়? ছ
ক মোটাতাজা হওয়া খ গান করা
গ ছড়া কাটা ঘ চিঁড়ে আর গুড় খাওয়া
নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
খানিক দূরে, ঢিবি, নিমেষে, মরমর, মহানন্দে।
উত্তর : শব্দ অর্থ
খানিক দূরে – সামান্য দূরে।
ঢিবি – মাটির ¯ত্মূপ।
নিমেষে – সাথে সাথে, মুহূর্তের মধ্যে।
মরমর – মরে যাওয়ার মতো অবস্থা।
মহানন্দে – অনেক আনন্দের সাথে।
নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
পাহারা, তাজা, চিšত্মা, আওয়াজ।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
পাহারা – পাহারা দিতে কুকুর খুব দড়্গ।
তাজা – তাজা মাছের স্বাদই আলাদা।
চিšত্মা – চিšত্মা-ভাবনা করে কাজ করা উচিত।
আওয়াজ – শ্রেণিকড়্গে জোরে আওয়াজ করতে নেই।
নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে নতুন শব্দ গঠন কর।
ঙ্গ, ¯ত্ম, ন্দ, ব্য।
উত্তর :
ঙ্গ = ঙ + গ – জঙ্গল
ত্ম = স + ত – সত্মা
ন্দ = ন + দ – ছন্দ
ব্য = ব + য-ফলা ( ্য ) – ব্যবহার
উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর।
খিদে, মহানন্দে, খেয়ে দেয়ে, বাঘ, গর গর, পাহারা, চিঁড়ে, নিমেষেই।
ক) তোরা বাড়ি —- দে।
খ) শেয়াল বলল, আমার খুব —-।
গ) —- মোটাতাজা হয়ে আসি।
ঘ) সাথে দিল —- আর গুড়।
ঙ) বাঘ —- করে খোলে দিল এক ধাক্কা।
চ) —- ছুটে এলো বুড়ির কুকুর তিনটা।
ছ) কুঁজো বুড়ি —- চলল তার বাড়ির দিকে।
উত্তর : ক) পাহারা; খ) খিদে; গ) খেয়ে দেয়ে; ঘ) চিঁড়ে; ঙ) গর গর; চ) নিমেষেই; ছ) মহানন্দে।
ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।
বুড়ি চলল শেয়ালকে যা বলেছিল
গানের সুরে বুড়ি ডাকল মজার মজার খাবার খেয়ে
বুড়ি মোটাতাজা হলো নাতনির বাড়ি
বাঘকে বুড়ি বলল বাঘ
রঙ্গা, বঙ্গা, ভুতোকে
উত্তর :
বুড়ি চলল Ñ নাতনির বাড়ি।
গানের সুরে বুড়ি ডাকল Ñ রঙ্গা, বঙ্গা, ভুতোকে।
বুড়ি মোটাতাজা হলো Ñ মজার মজার খাবার খেয়ে।
বাঘকে বুড়ি বলল Ñ শেয়ালকে যা বলেছিল।
নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
মিছে, মস্ত, এড়্গুনি, মহানন্দে।
উত্তর : শব্দ বিপরীত শব্দ
মিছে – সত্যি
মস্ত, Ñ ছোট্ট
এড়্গুনি Ñ পরে
মহানন্দে Ñ অতিকষ্টে
নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
মুশকিল, মিছে, মস্ত,
উত্তর : শব্দ সমার্থক শব্দ
মুশকিল – সমস্যা, বিপদ।
মিছে – মিথ্যা, অসত্য।
মস্ত, – বিশাল, বিরাট।
নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ।
মুসকিল, কুজো, নিমেশেই, ধাক্বা, বুদ্দি।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
মুসকিল – মুশকিল
কুজো – কুঁজো
নিমেশেই – নিমেষেই
ধাক্বা – ধাক্কা
বুদ্দি – বুদ্ধি
নিচের কোনটি কোন পদ লেখ।
নাস্তানাবুদ শেয়াল, ঢুকিয়ে, কুঁজো, কিন্তু।
উত্তর : শব্দ পদ
নাস্তানাবুদ – বিশেষণ
শেয়াল – বিশেষ্য
ঢুকিয়ে – ক্রিয়া
কুঁজো – বিশেষণ
কিন্তু – অব্যয়
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) বুড়িকে কুঁজো বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : বুড়ির পিঠ ছিল বাঁকা ও ফোলা। তাই বুড়িকে কুঁজো বলা হয়েছে।
খ) নাতনির বাড়ি যাওয়ার সময় বুড়িকে শেয়াল কী বলল?
উত্তর : নাতনির বাড়ি যাওয়ার সময় বুড়িকে শেয়াল বলল, ‘আমার খুব খিদে। বুড়ি, তোমাকে আমি খাব।
’
গ) বাঘ ও শেয়াল বুড়িকে ছেড়ে দিল কেন?
উত্তর : বুড়ি ছিল বেজায় শুকনো। তাই বুড়ি বুদ্ধি করে নাতনির বাড়ি থেকে খেয়ে দেয়ে মোটাতাজা হয়ে আসার কথা বললে লোভে পড়ে রাজি হয়ে যায় বাঘ ও শেয়াল। এ কারণেই তারা বুড়িকে না খেয়ে ছেড়ে দিল।
ঘ) ফেরার সময় বুড়ি মহাচিšত্মায় পড়ল কেন?
উত্তর : নাতনির বাড়িতে খেয়েদেয়ে বুড়ি অনেক মোটা হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে রা¯ত্মায় ছিল শেয়াল ও বাঘের ভয়। তাই ফেরার সময় বুড়ি মহাচিšত্মায় পড়ল।
ঙ) নাতনি বুড়ির জন্য কী জোগাড় করল?
উত্তর : নাতনি বুড়ির জন্য ম¯ত্ম একটা লাউয়ের খোল জোগাড় করল।
চ) লাউয়ের খোল গড়াতে গড়াতে প্রথমে কার কাছে গেল?
উত্তর : লাউয়ের খোল গড়াতে গড়াতে প্রথমে বাঘের কাছে গেল।
ছ) বুড়ি গান গাওয়ার জন্য কোথায় গিয়ে দাঁড়াল?
উত্তর : বুড়ি গান গাওয়ার জন্য উঁচু একটা ঢিবির উপর দাঁড়াল।
জ) বুড়ি গান গাইল কেন?
উত্তর : বুড়ি শেয়ালের হাত থেকে বাঁচতে গানের মাধ্যমে তার কুকুরদের ডেকেছিল। আসলে এটি ছিল শেয়ালকে ধোঁকা দেয়ার জন্য তার একটি ফন্দি।
ঝ) শেয়াল কীভাবে না¯ত্মানাবুদ হলো?
উত্তর : গানের সুরে বুড়ির ডাক শুনে তার পোষা কুকুর রঙ্গা, বঙ্গা আর ভুতো ছুটে এসে শেয়ালকে ঘিরে ধরল। একটা কুকুর কামড় দিল শেয়ালের কানে, একটা পায়ে আরেকটা ঘাড়ে। এভাবে শেয়াল সহজেই না¯ত্মানাবুদ হলো।
প্রাথমকি সমাপনি নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর
পাঠ্য বইভিত্তিক
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
কুঁজো বুড়ির ছিল রঙ্গা, বঙ্গা আর ভুতো নামের তিনটা পোষা কুকুর। ওদেরকে বাড়ি পাহারা দিতে বলে বুড়ি চলল নাতনির বাড়ি। পথে বুড়ির সাথে বাঘ আর শেয়ালের দেখা। ওদের খুব খিদে। বুড়িকে ওরা খেতে চায়। কুঁজো বুড়ি বুদ্ধি দিয়ে ওদের কুপোকাৎ করল। বলল, আগে নাতনির বাড়ি গিয়ে খেয়ে দেয়ে মোটাতাজা হয়ে আসি। তখন বরং খেয়ো। বাঘ আর শেয়াল বলল, আচ্ছা। নাতনির বাড়িতে খেয়ে দেয়ে বুড়ি মোটা হয়ে গেল। এখন সে বাড়ি ফিরবে কীভাবে? এদিকে আবার পথে আছে বাঘ আর শেয়ালের ভয়। তাই বুড়ির নাতনি বড় একটা লাউয়ের খোল জোগাড় করে বুড়িকে খোলের ভেতর ঢুকিয়ে দিল। এরপর খোলটাকে দিল ম¯ত্ম এক ধাক্কা। গড়িয়ে চলল লাউয়ের খোল।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) বুড়ি বাড়িতে কী পুষত?
(ক) শিয়াল (খ) বাঘ (গ) মুরগি (ঘ) কুকুর
২) বাঘ আর শেয়াল বুড়িকে খেল না কেন?
(ক) খিদে ছিল না বলে
(খ) বুড়ির বুদ্ধি বুঝতে পারেনি বলে
(গ) বুড়ি ওদের ভয় দেখিয়েছিল বলে
(ঘ) কুকুরগুলো চলে এসেছিল বলে
৩) লাউয়ের খোলের ব্যবস্থা করার বুদ্ধি কার মাথা থেকে এলো?
(ক) বাঘের (খ) নাতনির
(গ) শেয়ালের (ঘ) বুড়ির
৪) নিচের কোনটি ‘বঙ্গা’ শব্দের যুক্তবর্ণটি দিয়ে গঠিত?
(ক) বাঙালি (খ) আকাক্সড়্গা
(গ) সঙ্গে (ঘ) অঙ্ক
৫) বুড়ি আর বুড়ির নাতনি দুজনই
(ক) অনেক বুদ্ধিমতী (খ) কুকুর পোষে
(গ) খুব বোকা (ঘ) কুঁজো
উত্তর : ১) (ঘ) কুকুর; ২) (খ) বুড়ির বুদ্ধি বুঝতে পারেনি বলে; ৩) (খ) নাতনির; ৪) (গ) সঙ্গে; ৫) (ক) অনেক বুদ্ধিমতী।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
কুঁজো, খিদে, জোগাড় করা, কুপোকাৎ, পাহারা।
উত্তর
: শব্দ অর্থ
কুঁজো – যার পিঠ বাঁকা ও ফোলা।
খিদে – ড়্গুধা।
জোগাড় করা – সংগ্রহ করা।
কুপোকাৎ – পরাজিত।
পাহারা – দেখেশুনে রাখা।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক)বুড়ি কাদেরকে বাড়ি পাহারা দিতে বলে নাতনির বাড়ি গেল?
উত্তর : বুড়ি তার পোষা কুকুর রঙ্গা, বঙ্গা ও ভুতোকে বাড়ি পাহারা দিতে বলে নাতনির বাড়ি গেল।
খ) বুড়ি কীভাবে বুদ্ধি দিয়ে বাঘ আর শেয়ালকে কুপোকাৎ করল?
উত্তর : বাঘ আর শেয়াল বুড়িকে খেতে চাইলে বুড়ি বুদ্ধি করে বলল, আগে নাতনির বাড়ি গিয়ে খেয়ে দেয়ে মোটাতাজা হয়ে আসি তখন বরং খেয়ো। এই কথা শুনে লোভে পড়ে বাঘ আর শেয়াল বুড়িকে ছেড়ে দিল। এভাবেই বুড়ির বুদ্ধির কাছে বাঘ আর শেয়াল কুপোকাৎ হলো।
গ) নাতনির বাড়ি গিয়ে বুড়ি এত মোটা হলো কীভাবে?
উত্তর : নাতনির বাড়িতে কদিন মজার মজার খাবার খেয়ে বুড়ি অনেক মোটা হয়ে উঠল।
৪. অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : পোষা তিনটা কুকুরকে বাড়ি পাহারার দায়িত্বে রেখে কুঁজো বুড়ি চলল তার নাতনির বাড়ি। পথে বাঘ আর শেয়াল তাকে খেতে চাইল। বুড়ি বুদ্ধি করে তাকে পরে খাওয়ার কথা বলে প্রাণে বাঁচল। ফেরার সময় হাঁটার কষ্ট ও বাঘ-শেয়ালের হাত থেকে বুড়িকে রড়্গা করতে নাতনি বুড়িকে একটা লাউয়ের খোলে ঢুকিয়ে দিল। তারপর ধাক্কা দিয়ে খোলটাকে গড়িয়ে দিল।
এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- ৫. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, ৬. শূন্যস্থান পূরণ ও ৭. প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীড়্গায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীড়্গার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ক্ক, স্থ, ড়্গ, šত্ম, দ্ধ।
উত্তর :
ক্ক = ক + ক – ছক্কা
– জামাল ছক্কা মেরে দলকে জেতালো।
স্থ = স + থ – সুস্থ
– দাদু সুস্থ আছেন।
ক্ষ = ক + ষ – শিক্ষক
– জামিল সাহেব বাংলার শিক্ষক
ত্ম = ন + ত – চিন্তা
– চিšত্মা করে কাজ কর।
দ্ধ = দ + ধ – যুদ্ধ
– আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।
৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
হঠাৎ এক বাঘ সামনে এসে বলল হালুম বুড়ি তোমাকে আমি খাব আমার খুব খিদে
উত্তর : হঠাৎ এক বাঘ সামনে এসে বলল, হালুম! বুড়ি, তোমাকে আমি খাব। আমার খুব খিদে।
১০. ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
খাইয়া, আসিয়াছি, চলিল, শুনিতে, ফিরিতেছে।
উত্তর : ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
খাইয়া – খেয়ে
আসিয়াছি – এসেছি
চলিল – চলল
শুনিতে – শুনতে
ফিরিতেছে – ফিরছে
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
মোটা, তাজা, আগে, আস্তে, ভেতরে।
উত্তর : শব্দ বিপরীত শব্দ
মোটা – চিকন
তাজা – বাসি
আগে – পরে
আস্তে – জোরে
ভেতর – বাইরে
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(গদ্যের ড়্গেেত্র প্রযোজ্য নয়)