SSC-২০২৩ হিন্দু ধর্ম-প্রথম অধ্যায় স্রষ্টা ও সৃষ্টি-প্রথম পরিচ্ছেদ- স্রষ্টার স্বরূপ ও উপাসনা সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

প্রথম অধ্যায়

স্রষ্টা ও সৃষ্টি

প্রথম পরিচ্ছেদ

স্রষ্টার স্বরূপ ও উপাসনা

যিনি পরমপিতা, নিজেই নিজের স্রষ্টা, সর্বশক্তির উৎস যিনি, যাঁর উপরে কেউ নেই, তিনি পরম স্রষ্টা-বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা, বিশ্বনিয়ন্তা। সনাতন ধর্ম তথা হিন্দুধর্মের চেতনায় তাঁকে নানাভাবে বিশেস্নষণ করা হয়েছে। তাঁকে নানা নামে অভিহিত করা হয়েছে। তিনি ব্র‏হ্ম, পরমাত্মা, আত্মা, ঈশ্বর, ভগবান।

স্রষ্টাকে উপাসনার মাধ্যমে আমরা তাঁর সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য লাভ করতে পারি। আমাদের সকল কাজে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্রষ্টাকে স্মরণ এবং তাঁর উপাসনা করা উচিত। আমরা স্রষ্টার স্বরূপ, সৃষ্টির মধ্যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় স্রষ্টার ভূমিকা, ঈশ্বরের গুণ ও শক্তিরূপে দেবদেবীর পরিচয়, ঈশ্বর উপাসনার ধারণা ও প্রয়োজনীয়তা এবং ঈশ্বর উপাসনার একটি মন্ত্র বা শেস্নাক সম্পর্কে বলা হয়েছে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

অনুশীলনীর   বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১.         কলিযুগের অস্তে অবতার হিসেবে কার আবির্ভাব ঘটবে?

            ক কূর্ম খ বরাহ            গ বামন           >কল্কি

২.        ঈশ্বরের সাকার রূপ কারা?

            ক মুনিঋষি      > দেবদেবী

            গ  যোগী-সন্ন্যাসী         ঘ সাধক-সাধিকা

৩.        রোগ প্রতিরোধকারী দেবী কে?

            ক লক্ষ্মী          খ দুর্গা  গ কালী            >শীতলা

৪.         পরমাত্মার মৃত্যু নেই, কারণ পরমাত্মা-

            র. শাশ্বত

            রর. অজ, নিত্য

            ররর. কোনো কারণ থেকে উৎপত্তি হয়নি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫ ও ৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

সুমিতা দেবী ফলাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় গভীর ধ্যানে মগ্ন থেকে ঈশ্বরের উপাসনা করেন। তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য মোক্ষলাভ।

৫.                    সুমিতা দেবী কোন ধরনের উপাসনা করেন?

            ক সাকার         >নিরাকার

            গ সকাম          ঘ সমবেত

৬.        নিয়মিত উপাসনার ফলে সুমিতা দেবীর-

            র. হৃদয় পরিশুদ্ধ ও পবিত্র হবে

            রর. মনের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পাবে

            ররর. ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের প্রত্যাশা পূরণ হবে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র     খ র ও রর

            গ রর ও ররর   > র, রর ও ররর

 পাঠ-২ : স্রষ্টার স্বরূপ : ব্র‏হ্ম, ঈশ্বর, ভগবান অবতার      [পৃষ্ঠা : ২]

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৭.         যোগীর কাছে ঈশ্বর কেমন?   (অনুধাবন)

            [আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]

            ক আত্মা          খ  জীবাত্মা

            গ দেহাত্মা        >পরমাত্মা

৮.        ঈশ্বর পরম পুরুষ, তার সহস্র ম¯ত্মক, সহস্র চড়্গু, সহস্র চরণ- কথাটির মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের কী বোঝানো হয়েছে?           (উচ্চতর দক্ষতা)

            >সর্বব্যাপিতা   খ  স্বয়ম্ভূতা       গ জোতির্ময়তা ঘ মহিমাময়

৯.        ব্রহ্ম শব্দের অর্থ কী?   (জ্ঞান) [এসএসসি স. বো. ‘১৫; সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর;

            বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ; পাবনা জেলা স্কুল]

            ক ছোট                        খ সবচেয়ে সুন্দর

            গ সর্বজ্ঞ                      >সর্ববৃহৎ

১০.       পরমাত্মা বলা হয় কাকে?        (জ্ঞান)

            ক মনুষ্য আত্মাকে      খ  দেবাত্মাকে

            >ব্রহ্মকে          ঘ জীবাত্মাকে

১১.       ‘স্বয়ম্ভূ’ শব্দের অর্থ কোনটি?    (জ্ঞান)

            [গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা; ফেনী সরকারি পাইলট হাই স্কুল]

            ক অনন্তরূপ   খ  মহিমা

            >নিজে নিজে সৃষ্টি হওয়া                                 ঘ নিজে নিজে বিনাশ হওয়া

১২.      ব্রহ্মকে জীবাত্মা হিসেবে চিহ্নিত করা যায় কখন?       (অনুধাবন)

            ক যখন তিনি নিজের অবস্থানে থাকেন

            খ যখন তিনি জীব সৃষ্টি করেন

            গ যখন তিনি জীব বিনাশ করেন       

            >যখন তিনি জীবের মাঝে থাকেন

১৩.      ঈশ্বর প্রয়োজনে সাকার হতে পারেন। তার কারণ কী?          (উচ্চতর দক্ষতা)         [চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল]

            >তার শক্তি অনন্ত       খ তিনি বহুরূপী

            গ তিনি জ্যোতির্ময়      ঘ তিনি মহিমাময়       

১৪.       ‘ওঙ্কার’ বলা হয়-কাকে?          (জ্ঞান)

            ক শ্রীকৃষ্ণকে  খ সরস্বতীকে   >ব্রহ্মকে          ঘ লক্ষ্মীকে

১৫.      ভক্তের কাছে ঈশ্বর পূজিত হন কিরূপে? (অনুধাবন) [জিলা স্কুল, খুলনা]

            ক মহাত্মা        খ জীবাত্মা       গ পরমাত্মা      >ভগবান

১৬.      অবতার শব্দটি কী শব্দ?          (অনুধাবন)

            [মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]

            >তৎসম বা সংস্কৃত      খ অর্ধ তৎসম

            গ দেশি            ঘ বিদেশি

১৭.       কোনটি ওঙ্কার শব্দের সংক্ষপ্তি রূপ?  (জ্ঞান)

            [ডা. খা¯ত্মগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]

            ক ক্তঁ    > ওঁ      গ এঁ     ঘ ঐ

১৮.      মানুষ স্রষ্টার কাছে তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী। এর কারণ কী?

            (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক মানুষ সর্বদা পাপকাজ করে বলে   >তিনি কর্মফল দান করেন বলে

গ মানুষ অজ্ঞ বলে                                 ঘ জাতের সবকিছু ধ্বংসশীল বলে

১৯.      রমা প্রতিদিন সকালে সেই শক্তিমানের কাছে প্রণাম জানায়, যে এই জগতের আদি কারণ। রমা কার কাছে প্রতিদিন প্রণাম জানান?            (প্রয়োগ)

            ক দেবতার      খ  প্রকৃতির

            >ঈশ্বরের         ঘ পূর্বপুরুষের

২০.      ‘ত্বমাদিদেবঃ পুরুষঃ পুরাণ’- শেস্নাকাংশটি কোথা থেকে সংকলিত হয়েছে?  (জ্ঞান) [পাবনা জিলা স্কুল]

            ক উপনিষদ    খ  রামায়ণ

            গ ঋগ্বেদ          >শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা

২১.      ঈশ্বর যখন জীবের দয়া করেন, তখন তাকে কী বলে?           (অনুধাবন)

            [এসএসসি স.বো. ’১৫]

            ক মূর্তি খ দেবতা          >ভগবান          ঘ অবতার

২২.      শ্রীমদ্ভগবত পুরাণ অনুসারে কে অনেকবার অবতার হিসেবে এ পৃথিবীতে এসেছেন?         (জ্ঞান)

            ক শিব >বিষ্ণু  গ সরস্বতী        ঘ ব্রহ্মা

২৩.      ঈশ্বরকে কয়টি গুণের অধীশ্বর বলা হয়?       (জ্ঞান)

                        ক তিন খ চার  গ পাঁচ  >ছয়

২৪.      ভগবান বিষ্ণু কতবার অবতার হিসেবে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন?        (জ্ঞান)

            ক আট বার     >নয় বার

            গ দশ বার        ঘ এগার বার

২৫.     নিতাই বাবু যোগসাধনা করে যোগী হয়েছেন। তিনি ঈশ্বরকে কিরূপে ডাকেন?                                   (প্রয়োগ)          [চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল]

            ক ভগবান       খ  অবতার

            গ পরমেশ্বর    >পরমাত্মা

২৬.     ব্র‏হ্ম, ঈশ্বর, ভগবান ও অবতার হচ্ছে একই সর্বশক্তিমান স্রষ্টা যা ব্রক্ষ্মের-                            (জ্ঞান)             [মাইলস্টোন কলেজ ঢাকা]

            ক অভিন্ন প্রকাশ                                             > ভিন্ন ভিন্ন প্রকার

            গ বহুরূপে আংশিক প্রকাশ                            ঘ সর্বভূতে প্রকাশ

২৭.      ব্র‏হ্মকে দেখা যায় না কেন?     (অনুধাবন)

[মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]

            ক তিনি পৃথিবীতে থাকেন না বলে

            >তিনি সর্বব্যাপী বলে

            গ মহাবিশ্বকে রক্ষা করেন বলে

            ঘ তিনি প্রকৃতিকে সৃষ্টি করেছেন বলে

২৮.     প্রয়োজনে কে ভক্তের বোঝা বহন করেন?     (জ্ঞান)

            ক বলরাম        খ রাম  গ শ্রীহরি          >ভগবান

২৯.      বিষ্ণু বাবু একজন জ্ঞানী ব্যক্তি? তাঁর কাছে ঈশ্বরের পরিচয় কী?       (প্রয়োগ)

            [চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল]

            ক পরমাত্মা     খ পরমেশ্বর             >ব্র‏হ্ম      ঘ অবতার

৩০.      বিঞ্চুর তৃতীয় অবতার কোনটি? (জ্ঞান)           [মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]

            ক কূম >বরাহ গ বামন           ঘ রাম

৩১.      ব্র‏হ্মাকে কখন পরমাত্মা বলা হয়?       (অনুধাবন)

>আত্মা যখন নিজের মধ্যে অবস্থান করে

খ  আত্মারূপে যখন জীবের মধ্যে অবস্থান করে

            গ যখন আত্মার বিনাশ ঘটে

            ঘ দেহ যখন ক্ষয়প্রাপ্ত হয়

৩২.     কলিযুগের শেষের দিকে কোন অবতারের আবির্ভাব ঘটবে? (জ্ঞান)

[সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর; গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা]

            ক বাম > কল্কি গ বাসন                                   ঘ নরসিংহ

৩৩.     ঈশ্বর দুষ্টদের দমন করতে পৃথিবীতে বিভিন্ন রূপে আবির্ভূত হন। এড়্গেেত্র ঈশ্বরের স্বরূপ কোনটি?             (প্রয়োগ)

            >অবতার         খ ব্র‏হ্ম  গ ভগবান        ঘ পরমেশ্বর

৩৪.      বিষ্ণুর অবতার নয় কোনটি?   (জ্ঞান)

            [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]

            ক বামন          খ বলরাম        >শ্রীরামকৃষ্ণ   ঘ বরাহ

৩৫.     কে সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় করেন? (জ্ঞান)

            [পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

            >ঈশ্বর খ দুর্গা  গ মহাদেব       ঘ শিব

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর    //

৩৬.     স্রষ্টাকে ব্রহ্ম হিসেবে অভিহিত করা হয়-         (অনুধাবন)

            র. হিন্দু ধর্মে

            রর. সনাতন ধর্মে

            ররর. জৈন ধর্মে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৩৭.      সবিতা ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে পাঠ করলেন ‘ত্বমাদিদেবঃ পুরুষঃ পুরাণ’- এ শেস্নাকটি দ্বারা সবিতা প্রকাশ করলেন-          (প্রয়োগ)

            র.  ঈশ্বরের শক্তি

            রর. ঈশ্বরের শ্রদ্ধাভক্তি

            ররর. ঈশ্বরের মহিমা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৩৮.     পরমাত্মার মৃত্যু নেই, কারণ পরমাত্মা-           (উচ্চতর দক্ষতা)

[সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা]

            র.  শাশ্বত

            রর. অজ নিত্য

            ররর. কোনো কারণ হতে উৎপত্তি হয়নি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৩৯.     অ-উ-ম এ তিনটি অক্ষর দ্বারা বোঝায়-          (অনুধাবন)

            র.  বিষ্ণু

            রর. মহেশ্বর

            ররর. ব্র‏হ্ম       

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র     খ র ও রর

            গ র ও ররর      >র, রর ও ররর

৪০.      বৈশিষ্ট্যগত দিক দিয়ে ঈশ্বর-   (অনুধাবন)

[গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা; পাবনা জিলা স্কুল; সীতাকুন্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]

            র.  অনন্ত ও অসীম

            রর. অসীম সাহসী

            ররর. শাশ্বত ও পবিত্র

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৪১.       ঈশ্বর এ মহাবিশ্বের-    (অনুধাবন)  [কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]

            র.  ধ্বংসকর্তা

            রর. সৃষ্টিকর্তা  

            ররর. রক্ষাকর্তা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৪২.      ‘ওঙ্কার’ বলতে বোঝানো হয়েছে-        (অনুধাবন)

            র.  সৃষ্টিকর্তা ব্র‏হ্ম

            রর. লয়কারী ব্র‏হ্ম

            ররর. নিরাকার ব্র‏হ্ম

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৪৩.      ঈশ্বর তিনিই, যিনি-      (উচ্চতর দক্ষতা)  [গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা]

র.  প্রকৃতি ও পরিবেশের মধ্যে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করেছেন

            রর. জীবদেহ নিয়ন্ত্রণ করেছেন

            ররর. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছেন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর                              গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৪৪.      হিন্দুধর্ম অনুসারে স্রষ্টার স্বরূপ বিশেস্নষণ করতে গিয়ে তাঁকে অভিহিত করা হয়েছে-                                           (অনুধাবন)  [পাবনা জিলা স্কুল]

            র.  ব্র‏হ্ম ও ঈশ্বর নামে

            রর. ভগবান ও অবতার নামে

            ররর. শিব ও দুর্গা নামে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর                              গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৪৫.      রাহুল চৌধুরী উপনিষদের একটি অংশ পাঠ করার সময় ‘একোহহম্’ শব্দটি উচ্চারণ করল। এটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে-        (প্রয়োগ)

            র.  ঈশ্বর এক

            রর. ঈশ্বর আদি কারণ

            ররর. ঈশ্বর অদ্বিতীয়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর                               গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৪৬.     রুপা স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাঁর কাছে নিজেকে নিবেদন করেছে। সে নিজেকে নিবেদন করেছে-            (প্রয়োগ)

            র. ব্রহ্মর কাছে

            রর. ঈশ্বরের কাছে

            ররর. ভগবানের কাছে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৪৭.      স্রষ্টাকে ব্রহ্ম হিসেবে পরিচিতি দানের কারণ হলো –   (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. তিনি সবকিছু জুড়ে আছেন

            রর. তিনি সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত

            ররর. তিনি সকল কিছুর স্রষ্টা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৪৮.      মিথিলা ‘ওঁ’-এর পূর্ণরূপ লিখেছে। তার লেখার মাঝে রয়েছে – (প্রয়োগ)

            র. ‘অ’ বর্ণটি

            রর. ‘ও’ বর্ণটি

            ররর. ‘ম’ বর্ণটি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর                               গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৪৯.      হিন্দুধর্ম দর্শন অনুসারে ‘ভগ’ বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)

[এসএসসি স. বো. ’১৫]

                        র. ঐশ্বর্য ও বীর্যকে

            রর. শ্রী ও বৈরাগ্যকে

            ররর. জ্ঞান ও যশকে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর                              গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর      //

নিচের অনুচ্ছেদটি দেখে ৫০ ও ৫১ নম্বর প্রশ্নের        উত্তর দাও :

            [বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]

৫০.      অনুচ্ছেদে কোন মহান সত্তার কথা আলোচিত হয়েছে?         (প্রয়োগ)

            ক সৃষ্টিকর্তা      খ বৈষ্ণবী শক্তি

            >অ-উ-ম         ঘ সমানবস্তু

৫১.      উক্ত অক্ষর দ্বারা বোঝায়      (উচ্চতর দক্ষতা)

            র.  বিষ্ণু

            রর. মহেশ্বর

            ররর. ব্র‏হ্ম

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র     খ র ও রর        গ র ও ররর      >র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫২ ও ৫৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

বিমল শান্ত একটি ছেলে। আশপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে তার মন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। সে মনে করে পৃথিবী দিন দিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। ঈশ্বরই পারেন আমাদের রক্ষা করতে।

৫২.     অনুচ্ছেদে উলিস্নখিত পরিস্থিতি থেকে ঈশ্বর কীভাবে আমাদের রক্ষা করতে পারেন?         (প্রয়োগ)

            ক পৃথিবী ধ্বংস করে   খ রাষ্ট্রীয় সীমানা ধ্বংস করে

            > অবতাররূপে অবতরণ করে            ঘ ধর্মগ্রন্থ দান করে

৫৩.     এই পৃথিবী রক্ষায় বিমল ঈশ্বরের সহায়তা চায়, কারণ-           (উচ্চতর দক্ষতা)

র. পৃথিবীতে দুষ্ট লোকের প্রভাব বেড়ে গেছে

রর. পৃথিবীতে ভালো লোকেরা লাঞ্ছিত হচ্ছে

            ররর. সকলেই ঈশ্বরকে ভুলে গেছে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            > র ও রর         খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

পাঠ-৩: স্রষ্টা ও সৃষ্টির সম্পর্ক এবং সৃষ্টির মধ্যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় স্রষ্টার ভূমিকা           [পৃষ্ঠা : ৪]

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৫৪.      সকল কর্মের ফলদান করেন কে?      (জ্ঞান)

[সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; বরিশাল জিলা স্কুল]

            >ঈশ্বর খ মহাদেব

            গ ব্র‏হ্মা ঘ বিষ্ণু

৫৫.     এ বিশ্বজগতে স্রষ্টা কখন অবতার রূপে আবির্ভূত হন?          (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক বিশ্বে যখন শান্তি বিরাজ করে

            খ মানুষ যখন স্রষ্টার আরাধনা করে

            >বিশ্বে যখন অধর্ম বেড়ে যায়

            ঘ যখন মানুষ স্রষ্টাকে আহ্বান করে

৫৬.     সাধন বাবু তার পরিবারের সকলের দেখাশোনার ভার গ্রহণ করেছেন। তার চরিত্রে কোন দেবতার সাদৃশ্য রয়েছে-            (প্রয়োগ)

            ক শিব খ ব্র‏হ্মা >বিষ্ণু  ঘ রাম

৫৭.      ঈশ্বর বিশ্বব্র‏হ্মাণ্ডকে পরিচালিত করছেন কীভাবে?    (অনুধাবন)

            [বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ]

            >শৃঙ্খলার সাথে           খ দৃঢ়তার সাথে

            গ সততার সাথে           ঘ সাহসের সাথে

৫৮.     দেহ ও আত্মার মধ্যে কিরূপ সম্বন্ধ আছে?     (জ্ঞান)

[লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর;   সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]

            ক ঘনিষ্ঠ          >নিবিড়                                   গ সুদৃঢ় ঘ আন্তরিক

৫৯.     ঈশ্বর জš§ ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন কেন?         (অনুধাবন)

            >জগতের ভারসাম্য রক্ষার জন্য                     খ প্রাণিজগৎকে ধ্বংস করার জন্য

            গ গ্রহ-নক্ষত্র ধ্বংস করার জন্য                      ঘ নতুন নতুন জগৎ সৃষ্টির জন্য

৬০.     মহাকাশে নক্ষত্রমালা কক্ষচ্যুত না হওয়ার কারণ কী?            (উচ্চতর দক্ষতা)

            >ঈশ্বরের শৃঙ্খলা বিধানে আবদ্ধের ফলে

            খ দেবদেবীর আরাধনার ফলে

            গ ইন্দ্রশক্তির ফলে                                          ঘ ঈশ্বরের আরাধনার ফলে

৬১.      সৃষ্টিকে সৎ পথে চলতে সহায়তা করেন কে? (জ্ঞান)

            ক দেবদেবী     খ যোগীগণ

            >স্রষ্টা   ঘ সাধকগণ

৬২.     সৃষ্টি ও স্রষ্টার মধ্যে গভীর সম্পর্কের কারণ কী?          (উচ্চতর দক্ষতা)

            >ঈশ্বরের অসীম ক্ষমতা বলে

            খ ঈশ্বর জীবের ওপর প্রভুত্ব করেন বলে

            গ ঈশ্বর জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন বলে

            ঘ ঈশ্বর জীবকে সৃষ্টি করেছেন বলে

৬৩.     ঈশ্বর কয়টি শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছেন?    (জ্ঞান)

            ক দুইটি           >তিনটি            গ চারটি           ঘ পাঁচটি         

৬৪.     ‘ঈশ্বর সকলের প্রভু, সর্বজ্ঞ, নিয়ন্ত্রক, বিশ্বের কারণ, স্রষ্টা ও ধ্বংসকারী’- কোন শাস্ত্রে বলা হয়েছে?            (জ্ঞান)

            ক রামায়ণ       খ মহাভারত

            >ন্যায়শাস্ত্র       ঘ গীতা

৬৫.     প্রাণী  ও অপ্রাণী সকলে কার কাছে ফিরে যাবে?         (জ্ঞান)

            >ব্র‏হ্মর কাছে   খ কৃষ্ণের কাছে

            গ লক্ষ্মীর কাছে           ঘ সরস্বতীর কাছে

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬৬.     ঈশ্বর জীবকুলের যে বিষয়টির সাথে সম্পৃক্ত- (উচ্চতর দক্ষতা)

[মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]

            র.  জš§

            রর. মৃত্যু

            ররর. ধ্বংস

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৬৭.     ঈশ্বরের কর্মের অন্তর্ভুক্ত –      (অনুধাবন)

                        র. সৎ লোককে সাহায্য করা

            রর. মন্দ লোককে শান্তি দেওয়া

            ররর. জগতের কল্যাণ সাধন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৬৮.     স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকে –       (অনুধাবন)

                        র.  ভালোবাসেন

            রর. সৎপথে পরিচালিত করেন

            ররর. প্রয়োজনে ধ্বংস করেন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৬৯.     ঈশ্বর নিয়ন্ত্রণ করছেন-           (প্রয়োগ)

[সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট]

                        র.  মানুষের চিন্তাচেতনা

            রর. সকল কর্মপ্রচেষ্টা

            ররর. মানুষের জš§-মৃত্যু

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৭০.      ঈশ্বর নানারূপে এ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হওয়ার কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)

            [গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা]

                        র.  পৃথিবীর সৌন্দর্য অবলোকন

            রর. ধর্মরক্ষা করা

            ররর. দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর                  >রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

৭১.       সনাতন ধর্ম বা হিন্দুধর্ম অনুসারে স্রষ্টাকে যে নামে অভিহিত করা হয়েছে-   (অনুধাবন) [পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়]

                        র.  ব্র‏হ্ম

            রর. ঈশ্বর

            ররর. ভগবান

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর                  গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৭২.      পৃথিবী যার দ্বারা গঠিত-           (অনুধাবন)

            [সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ; মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]

                        র.  মাটি

            রর. জল

            ররর. আলো-বাতাস

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৭৩.      বিপুল সর্বদা ভালো কাজ করে, সৎপথে চলে। তার এ চেতনাকে ঈশ্বর পরিচালনা করেছেন-            (প্রয়োগ)

                        র.  অভিভাবক হিসেবে

            রর. সর্বশক্তিমান হিসেবে

            ররর. শাসক হিসেবে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৭৪.      যারা সৎপথে চলেন ঈশ্বর-      (অনুধাবন)

                        র.  তাদের মধ্যে বিরাজ করেন

            রর. তাদেরকে ধনসম্পদ দান করেন

            ররর. তাদেরকে উন্নতির পথ দেখান

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর                               গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

৭৫.      যেখানে জীব সেখানেই-          (অনুধাবন)

                        র.  ঈশ্বর

            রর. আত্মা

            ররর. চেতনা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর                  গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৭৬.     ঈশ্বর হলেন জগতের প্রভু। কারণ-     (উচ্চতর দক্ষতা)

                        র.  তিনি সকলের হৃদয়ে অবস্থান করেন

            রর. তিনি অপরাধীকে শান্তি দেন

            ররর. তিনি পৃথিবীর শৃঙ্খলা বিধান করেন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৭৭.      দেহহীন আত্মা ও আত্মাহীন দেহ হচ্ছে-         (অনুধাবন)

                        র.  নিষ্ক্রিয়

            রর. জড়

            ররর. জীবাত্মা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর          খ র ও ররর      গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর      //

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৮ ও ৭৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নিশিরের মনে নানা প্রশ্ন জাগে। সে মাকে প্রশ্ন করে এই পৃথিবী কে বানিয়েছে? মা বলেন, ঈশ্বর। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। মা আরও বলেন, তুমি যদি চিন্তা কর তাহলে তাকে নানারূপে দেখতে পাবে।

৭৮.      নিশিরের মা স্রষ্টাকে অনুভব করেন- (প্রয়োগ)

                        র.  সৃষ্টিকর্তারূপে

            রর. পালনকর্তারূপে

            ররর. সর্বশক্তিমানরূপে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

৭৯.      নিশিরের মায়ের বক্তব্যের ব্যতিক্রম হলে কী  হতো?  (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক পৃথিবীতে অন্ধকার নেমে আসত

            >পৃথিবীতে শুধু বিশৃঙ্খলা বিরাজ করত

            গ পৃথিবী আরও সুন্দর হতো

            ঘ পৃথিবী থেকে যুদ্ধ চলে যেত

 পাঠ-৪ : ঈশ্বরের গুণ ও শক্তি : দেবদেবী        [পৃষ্ঠা : ৬]

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর //

৮০.      ঈশ্বর কয়টি প্রধান ক্রিয়া সাধন করেন?         (জ্ঞান)

            >তিনটি            খ চারটি           গ পাঁচটি          ঘ ছয়টি

৮১.      বিষ্ণু কিসের দেবতা?   (জ্ঞান)

            ক সৃষ্টির           খ বিনাশের                  >প্রতি পালনের           ঘ বিদ্যার

৮২.     সরস্বতী কিসের দেবী? (জ্ঞান)

            >বিদ্যার           খ সম্পদের

            গ সৌন্দর্যের    ঘ প্রলয়ের

৮৩.     দেবদেবীদের পূজা করা হয় কেন?     (অনুধাবন)

            ক আত্মমর্যাদা বৃদ্ধির জন্য      >ঈশ্বরের কৃপা লাভের জন্য

            গ সমাজে ভালো থাকার জন্য ঘ সুনাম বৃদ্ধির জন্য

৮৪.      দেবতারা বিপদে পড়লে কে উদ্ধার করেন?    (জ্ঞান)

            ক ব্রহ্মা            খ শিব

            >বিষ্ণু  ঘ কার্ত্তিক

৮৫.     দেবতা শিব ধ্বংসের দেবতা। এই ধ্বংসের মূল কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক সভ্যতা ধ্বংস করা  খ মানব জাতির বিনাশ সাধন

            গ জগতের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি     >জগতে সমতা আনয়ন

৮৬.     নটরাজ বলা হয় কোন দেবতাকে?      (জ্ঞান)

            > শিব  খ বিষ্ণু গ ব্রহ্মা ঘ গণেশ

৮৭.      মিতু তার বাবা মায়ের সাথে দুর্গা পূজায় গিয়ে দেবী দুর্গাকে প্রণাম করে এসেছে। সে দুর্গাদেবীকে কী হিসেবে বিশ্বাস করেছে?          (প্রয়োগ)

            ক বিদ্যার দেবী হিসেবে                                   খ সম্পদের দেবী হিসেবে

            >মহাশক্তি হিসেবে                                          ঘ ধ্বংসের দেবী হিসেবে

৮৮.     পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য কোন দেবীর আরাধনা করবে?       (অনুধাবন)

            ক দুর্গা                         খ লক্ষ্মী           >সরস্বতী                      ঘ কালী

৮৯.     দেবতা শিবকে নটরাজ বলা হয় কেন?          (অনুধাবন)

            ক নাট্যশাস্ত্রের উদ্ভাবক বলে                          খ নাট্যতত্ত্ব জানেন বলে

            গ মঞ্চ নাটকের প্রবর্তক বলে >নাট্যে পারদর্শী বলে

৯০.      সফলতার দেবতা কে?           (জ্ঞান)

            >গণেশ            খ শিব

            গ ব্রহ্মা ঘ কার্ত্তিক

৯১.      বিষ্ণুকে স্মরণ করলে কী হয়?  (জ্ঞান)

            [বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ; সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]

            ক ধনসম্পদ বেড়ে যায়           খ জ্ঞান বৃদ্ধি পায়

            গ সাহস বাড়ে >হৃদয় পবিত্র হয়

৯২.      সৃষ্টির দেবতা কে?        (অনুধাবন)

            [আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা; হলিক্রস গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]

            >ব্র‏হ্মা  খ দুর্গা

            গ শিব  ঘ কালী

৯৩.     ঈশ্বরের শক্তিরূপ কে?            (জ্ঞান)

            [হলিক্রস গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]

            ক সরস্বতী       খ শিব

            গ বিষ্ণু >দুর্গা

৯৪.      ধ্বংসের দেবতা কে?   (জ্ঞান)

[কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়; ডা. খা¯ত্মগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

            >শিব   খ ইন্দ্র

            গ ব্র‏হ্মা ঘ বিষ্ণু

৯৫.     রোগ প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার দেবী কে?    (জ্ঞান)

            [পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়]

            ক সরস্বতী       খ লক্ষ্মী

            গ কালী            >শীতলা

৯৬.     জয়šত্মী প্রতিদিন সরস্বতী দেবীর কাছে প্রার্থনা করে স্কুলে যায়। এর ফলে সে কী লাভ করবে?             (প্রয়োগ) [বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ]

            >বিদ্যাবুদ্ধি       খ ধনসম্পদ

            গ সুসন্তান       ঘ জীবনে সফলতা

৯৭.      পাপ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য আমরা কার কাছে প্রার্থনা জানাই?   (জ্ঞান)

            [পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

            >বিষ্ণু  খ কার্ত্তিক

            গ দুর্গা  ঘ শিব

৯৮.     গণেশের পূজা করা হয় কেন? (জ্ঞান) [চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল]

            ক জ্ঞান লাভের জন্য  খ সম্পদ লাভের জন্য

            গ সৌন্দর্য লাভের জন্য           >সফলতা লাভের জন্য

৯৯.      বিকাশ বড় ব্যবসা শুরু করেছেন। তার ব্যবসায় সফলতা লাভের জন্য কোন দেবতার পূজা করবে?             (প্রয়োগ)

            ক শিব >গণেশ

            গ বিষ্ণু ঘ ব্র‏হ্মা

১০০.    প্রমিলা এ মহাবিশ্বের মহাশক্তি হিসেবে বিশ্বাস করে এক দেবীকে পূজা করে। এখানে কোন দেবীকে নির্দেশ করা হয়েছে?   (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক কালী           খ শীতলা

            >দুর্গা    ঘ লক্ষ্মী

১০১.     শরুশুনা গ্রামে ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে কোন দেবীর পূজা করতে হবে?       (প্রয়োগ)

            >শীতলা           খ কালী

            গ দুর্গা  ঘ সরস্বতী

১০২.    আদর্শ ও সুন্দর সন্তান লাভের জন্য কোন দেবতার পূজা করা হয়?   (জ্ঞান)

            ক গণেশ          খ বিষ্ণু

            >কার্ত্তিক          ঘ শিব

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১০৩.    পূজার ফলাফল-         (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. দেবতারা সস্তুষ্ট হন

            রর.পূজারির অভীষ্ট পূরণ হয়

            ররর. ঈশ্বর সস্তুষ্ট হন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১০৪.    ব্্রহ্মা হলো (অনুধাবন)

                        র. সৃষ্টিকর্তা

            রর. ধ্বংসকর্তা

            ররর. নাট্যশাস্ত্রের উদ্ভাবক

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর       গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১০৫.   দেবতা শিব পারদর্শী-   (অনুধাবন)

                        র. নাট্য শাস্ত্রে

            রর. নৃত্যশাস্ত্রে

            ররর. চিকিৎসাশাস্ত্রে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ  রর ও ররর  >র, রর ও ররর

১০৬.   দেবী কালীর মাঝে নানাগুণের সমন্বয় ঘটেছে। এর অন্তর্ভুক্ত হলো-  (প্রয়োগ)

                        র. ক্ষমতাময়ী মায়ের রূপ

            রর. বিদ্যা দানের অসীম শক্তি

            ররর. পরিবর্তনের দেবী

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর       গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১০৭.    আদ্যাশক্তি মহামায়াই বিভিন্ন দেবীরূপে প্রকাশিত হয়েছেন। এদের মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলেন-            (অনুধাবন)  [বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ]

                        র.  কালী

            রর. দুর্গা

            ররর. জগদ্ধাত্রী

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১০৮.    ব্যবসায় সফলতা ও সংসারের সমৃদ্ধির জন্য যেসব দেবদেবীর আরাধনা করবেন-   (অনুধাবন)

                        র.  গণেশ

            রর. দুর্গা

            ররর. লক্ষ্মী

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১০৯.    বাঁধন প্রতিদিন বিষ্ণুদেবতাকে প্রণাম করে বাইরে বের হয়। এ দেবতার স্মরণ করার ফলে তার-             (উচ্চতর দক্ষতা)

                        র.  হৃদয় পবিত্র হয়

            রর. মনে শান্তি আসে

            ররর. পাপ দূরীভূত হয়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১১০.     সাধনা লক্ষ্মীদেবীর পূজা করে। এর ফলে তার –         (উচ্চতর দক্ষতা)

                        র.  বিদ্যাবুদ্ধি বৃদ্ধি পায়

            রর. সৌভাগ্য লাভ হয়

            ররর. ধনসম্পদ বৃদ্ধি পায়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      >রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১১ ও ১১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

সুবলের বাবা একজন ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসায়ী হিসেবে সফলতা লাভের জন্য তার দোকানে একজন দেবতার প্রতিমা রেখেছেন। তিনি নিয়মিত তাঁর পূজা করেন।

১১১.     সুবলের বাবা দোকানে কোন দেবতার প্রতিমা রেখেছেন?      (প্রয়োগ)

            >গণেশের        খ কার্ত্তিকের

            গ শিবের          ঘ বিষ্ণুর

১১২.    উক্ত দেবতার পূজার ফলাফল-           (উচ্চতর দক্ষতা)

            র. শুভ কাজে সিদ্ধি লাভ

            রর. রোগ থেকে আরোগ্য লাভ

            ররর. ব্যবসায় সিদ্ধি লাভ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর

            গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৩ ও ১১৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

মাধবী ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে এক দেবতার পূজা করে। সেই দেবতা দুষ্টকে দমন ও শিষ্টকে পালন করার জন্য বহুরূপে এ পৃথিবীতে অবতাররূপে আবির্ভূত হয়েছেন।

১১৩.    অনুচ্ছেদে কোন দেবতার কথা উলেস্নখ করা হয়েছে?           (প্রয়োগ)

            >বিষ্ণু  খ শিব

            গ ব্র‏হ্মা ঘ নারায়ণ

১১৪.     উক্ত দেবতার পূজার ফলে-     (উচ্চতর দক্ষতা)

            র.  হৃদয় পবিত্র হয়

            রর.  মনে শান্তি আসে

            ররর. পাপ দূরীভূত হয়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৫ ও ১১৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নিপা নিজেকে সুন্দরী ও লাবণ্যময়ী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এক বিশেষ দেবীর আরাধনা করে।             [সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল, ঢাকা]

১১৫.    নিপা কোন দেবীর আরাধনা করে?     (প্রয়োগ)

            ক দেবী দুর্গা                 খ দেবী কালী

            >লক্ষ্মী দেবী                ঘ সরস্বতী দেবী

১১৬.    উক্ত দেবীর আরাধনার মাধ্যমে সম্ভব- (উচ্চতর দক্ষতা)

            র.   অশুভকে ধ্বংস করা

            রর.  সৌভাগ্যবতী হওয়া

            ররর. সম্পদশালী হওয়া

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      >রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

 পাঠ-৫ : উপাসনা       [পৃষ্ঠা : ৭]

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর //

১১৭.     হিন্দুধর্মের  মূলে কে রয়েছেন?           (জ্ঞান)

            ক রাবণ           খ কংস

            গ বাল্মীকি        >ঈশ্বর

১১৮.    ঈশ্বরের পাশে অবস্থান করার আক্ষরিক প্রতিশব্দ কোনটি?  (অনুধাবন)

            ক সাধনা          খ ধ্যান

            >উপাসনা        ঘ বৈরাগ্য

১১৯.    উপাসনা সাধারণত কয় ধরনের?        (জ্ঞান)

            >দুই     খ  তিন

            গ চার  ঘ পাঁচ

১২০.    দেবদেবী সম্পর্কে নিচের কোন ধারণাটি সঠিক?        (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক তাঁরা একই ঈশ্বরের এক রূপ

            >তাঁরা একই ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন রূপ

            গ তাঁরা বহু ঈশ্বরের এক রূপ

            ঘ তাঁরা বহু ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন রূপ

১২১.    জীবাত্মার কখন পুনর্জš§ হয় না?        (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করলে

                        >জীবাত্মা পরমাত্মায় লীন হয়ে গেলে

            গ মানুষের তরে জীবন উৎসর্গ করলে

                        ঘ ঈশ্বরকে ভালোবেসে মৃত্যুবরণ করলে

১২২.    তৃপ্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ কোনটি? (প্রয়োগ)

            [পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

            >ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করা     খ জ্ঞানার্জন করা

            গ ধন সম্পত্তি লাভ করা          ঘ মানুষের উপকার করা

১২৩.    ‘প্রতীক’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)         [মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর;    পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

            ক সাকার         খ নিরাকার      গ অন্তিত্ব                     >আকার

১২৪.    উপাসনার প্রধান উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)

            [সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]

            ক পুনর্জš§ লাভ করা  >মোক্ষলাভ করা

            গ ঈশ্বরকে দেখা         ঘ মানসিক অবস্থার উন্নতি করা

১২৫.   মোক্ষ দ্বারা কী বোঝায়? (অনুধাবন) [পাবনা জিলা স্কুল; পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; ফেনী সরকারি পাইলট হাই স্কুল]

            ক পুনর্জš§                   >চিরমুক্তি

            গ সান্নিধ্য                     ঘ আরাধনা

১২৬.   ঈশ্বরের সাকার রূপ কারা?     (জ্ঞান) [সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা]

            ক মুনিঋষি                  >দেবদেবী

            গ যোগী-সন্ন্যাসী          ঘ সাধক-সাধিকা

১২৭.    ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের উপায় বর্ণনা করা হয়েছে কোন গ্রন্থে?         (জ্ঞান)

            [বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ]

            >বেদে খ উপনিষদে   গ পুরাণে                     ঘ মহাভারতে

১২৮.   অলোক চৌধুরী এক মনে মন্ত্র পাঠ করে তন্ত্রসাধনা করেন। তাঁর এ কাজটিকে কী বলা হয়?            (প্রয়োগ)

            >যোগসাধনা                খ আরাধনা

            গ নিরাকার উপাসনা   ঘ সাকার সাধনা

১২৯.    ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয় উš§ুখ থাকে কেন?   (অনুধাবন)

            >জ্ঞানলাভের জন্য      খ ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য

            গ ঐশ্বর্য লাভের জন্য  ঘ ধন-সম্পত্তি লাভের জন্য

১৩০.    মাধবী রানী মন্দিরে দেবীর সামনে বসে মন্ত্রপাঠ করে অনেকক্ষণ ধ্যান করল। তার এ কাজটিকে কী বলা হয়?          (প্রয়োগ)

            >সাকার উপাসনা        খ নিরাকার উপাসনা

            গ যোগসাধনা              ঘ ধ্যান সাধনা

১৩১.    ‘যে যথা মাং প্রপদ্যস্তে তাং¯ত্মথৈব ভজাম্যহম্-এ শেস্নাকটি কোথা থেকে সংকলিত হয়েছে?            (জ্ঞান)

            >শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা        খ মহাভারত

            গ বেদ              ঘ উপনিষদ

১৩২.   গভীর ভালোবাসার মাধ্যমে ভক্ত নিজ চোখে অবলোকন করতে পারেন কাকে?      (জ্ঞান)

            ক গুরুকে                   >ইষ্টদেবতাকে

            গ স্বর্গলোককে            ঘ প্রিয়জনকে

১৩৩.   দেবদেবীর উদ্দেশ্যে মন্ত্র পাঠ, পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, আরতি করাকে কী বলা হয়?         (জ্ঞান)

            ক সাধনা                      খ ধ্যান

            >উপাসনা                    ঘ যজ্ঞ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৩৪.    হিন্দুধর্মের উপাসনা করার পদ্ধতি হলো      (অনুধাবন)

                        র. সাকার

            রর. নিরাকার

            ররর. নির্গুণ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১৩৫.   নির্মল বাবু বিভিন্ন পদ্ধতিতে উপাসনা করেন। তার উপাসনা করার পদ্ধতিগুলোর মাঝে অন্যতম হলো         (প্রয়োগ)

                        র.  যোগ সাধনা

            রর. উপনয়ন

            ররর. তন্ত্র সাধনা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর       গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১৩৬.   পূজার মাধ্যমে নিবেদন করা হয় –      (অনুধাবন)

                        র. ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা

            রর. ইষ্ট দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা

            ররর. ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১৩৭.    অনিক ভক্তিযোগে শিব দেবতার আরাধনা করে। তার এ ধরনের কাজে প্রকাশ পায়-           (প্রয়োগ)

                        র.  সাকার উপাসনা

            রর.  যোগসাধনা

            ররর. প্রতীক উপাসনা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর       গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১৩৮.   বাহ্য আচরণের মাধ্যমে দেবতার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়-  (অনুধাবন)

                        র.  অন্তরের ভক্তি

            রর. আরতি গান

            ররর. ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর                   >র ও ররর

            গ রর ও ররর               ঘ র, রর ও ররর

১৩৯.   উপাসনা       (অনুধাবন)

                        র.  পরিশুদ্ধ করে

            রর. ঈশ্বরের মুখোমুখি করে

            ররর. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দান করে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            >র ও রর                      খ র ও ররর     

            গ রর ও ররর               ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর      //

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪০ ও ১৪১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

সৌম্য ধর্মগ্রন্থ থেকে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের উপায় জেনেছে। সে নির্জনে এসে একাগ্র মনে ঈশ্বরের উপাসনা করে।               [বরিশাল জিলা স্কুল]

১৪০.    সৌম্য কোন ধর্মগ্রন্থ থেকে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের উপায় সম্পর্কে জেনেছিল?      (প্রয়োগ)

            >বেদ   খ গীতা

            গ মহাভারত    ঘ পুরাণ

১৪১.     সৌম্যের মতো নিয়মিত উপাসনার মাধ্যমে হতে পারে-         (উচ্চতর দক্ষতা)

                        র.  মানসিক অবস্থার উন্নতি

            রর. মোক্ষলাভ

            ররর. মনের দৃঢ়তা বৃদ্ধি

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর

            গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

 পাঠ-৬ : ঈশ্বর উপাসনার একটি মন্ত্র বা শেণ্ঢাকের অর্থ ও শিক্ষা     [পৃষ্ঠা : ৯]

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর //

১৪২.    কাকে দিয়ে সম¯ত্ম জগৎ পরিব্যাপ্ত? (জ্ঞান)

            ক প্রতিমাকে দিয়ে       খ প্রকৃতি দিয়ে

            >পরমাত্মা দ্বারা           ঘ দেবতাকে দিয়ে

১৪৩.    ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টির মাঝে কীভাবে বিরাজ করেন?          (অনুধাবন)

            >নিজ গুণে     খ দেবতাদের দ্বারা

            গ মনুষ্য দ্বারা  ঘ প্রলয় হয়ে

১৪৪.    প্রতিদিন অন্তত একবার ঈশ্বরের মন্ত্র জপ করলে তার ফলাফল কী হবে?    (উচ্চতর দক্ষতা)

            ক দৈহিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে  খ অর্থসম্পদ বৃদ্ধি পাবে

            গ সামাজিক অবস্থান উন্নত হবে        >অন্তরে ঈশ্বরের মহত্ত্ব লাভ করবে

১৪৫.    নারায়ণ কে?    (জ্ঞান)

            ক শিব >বিষ্ণু

            গ গণেশ          ঘ কার্তিক

১৪৬.   “যস্মাৎ পরং নাপরমন্তি কিষ্ণিদ যস্মান্নাণীয়ো ন জ্যায়োহন্তি কিষ্ণিৎ।” এ শেস্নাকটি কোথা থেকে সংকলিত হয়েছে?       (অনুধাবন)

            >শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ্ খ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা

            গ নারায়ণ        ঘ মহাভারত

১৪৭.    জীব ও জগতের দুঃখ দূর করেন কে?             (জ্ঞান)

            [বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ]

            ক দেবী দুর্গা     খ মা কালী

            গ দেবতা শিব  >ভগবান বিষ্ণু

১৪৮.    কেশব ক্লেশহরণ নারায়ণ জনার্দন- প্রার্থনা মন্ত্রটির শিক্ষা কী?           (উচ্চতর দক্ষতা)

            >দুঃকে জয় করা         খ অনাহারীকে অন্নদান

            গ ঈশ্বরকে ভালোবাসা ঘ মানুষের কল্যাণ করা

১৪৯.    ভগবান বিষ্ণুকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)

            ক শ্রীহরি         খ শ্রীরামকৃষ্ণ  >শ্রীকৃষ্ণ          ঘ শ্রীরামচন্দ্র

১৫০.    চৈতন্য বাবুর সংসারে দুঃখকষ্ট লেগেই থাকে? তার দুঃখকষ্ট পরিত্রাণের জন্য কোন দেবতার প্রার্থনা করবেন?         (প্রয়োগ)

            ক শিব খ ব্র‏হ্মা >ভগবান বিষ্ণু ঘ গণেশ

১৫১.    ভগবান বিষ্ণুকে পরমানন্দ বলা হয় কেন?     (অনুধাবন)

            ক তিনি দুঃখ জয় করেন

            খ তিনি মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করেন

            গ তিনি সবসময় আনন্দে থাকেন

            ঘ তিনি জগতের মঙ্গল করেন

১৫২.   জোহরলাল জীবনে অনেক পাপ কাজ করেছে। তার এই পাপকর্ম হতে পরিত্রাণের জন্য কোন দেবতার কাছে প্রার্থনা করবেন?            (প্রয়োগ)

            ক নারায়ণ       খ শিব

            >বিষ্ণু  ঘ ব্র‏হ্মা

১৫৩.   কার চেয়ে উৎকৃষ্ট আর কিছুই নেই?   (অনুধাবন)

            >ঈশ্বর খ শিব

            গ গণেশ          ঘ শ্রীহরি

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর    //

১৫৪.    ভগবান বিষ্ণু প্রতিষ্ঠা করেছেন-          (অনুধাবন)

                        র. শান্তি

            রর. সমতা

            ররর. ন্যায়

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       >র ও ররর       গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

১৫৫.   ঈশ্বর নানারূপে এ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হওয়ার কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)         [গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল]

                        র.  পৃথিবীর সৌন্দর্য অবলোকন

            রর. ধর্মরক্ষা করা

            ররর. দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      >রর ও ররর     ঘ র, রর ও ররর

১৫৬.   ভগবান বিষ্ণুর শিক্ষার আলোকে আমরা জগতে –     (উচ্চতর দক্ষতা)

                        র. ন্যায় প্রতিষ্ঠা করব

            রর. দুঃখকে জয় করব

            ররর. পাপমুক্তির প্রার্থনা করব

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১৫৭.    ঈশ্বর হলেন-   (অনুধাবন)

                        র.  এক

            রর. অদ্বিতীয়

            ররর. অবিনশ্বর

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ র ও ররর      গ রর ও ররর   >র, রর ও ররর

১৫৮.   ভগবান বিষ্ণুই হলেন- (অনুধাবন)

                        র. শ্রীকৃষ্ণ

            রর. ধর্মরক্ষক

            ররর. প্রলয়ঙ্করী

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ˜ র      খ রর   গ রর ও ররর   ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫৯ ও ১৬০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

যিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, তিনি নিজ গুণে তাঁর সৃষ্টির মধ্যে বিরাজ করেন। আমাদের প্রতিদিন একবার তাঁর মন্ত্র বা শেস্নাক পাঠ করা উচিত।

১৫৯.   অনুচ্ছেদে কার কথা উলেস্নখ করা হয়েছে?   (প্রয়োগ)

            >ঈশ্বর খ ব্র‏হ্মা

            গ শিব  ঘ নারায়ণ

১৬০.   অনুচ্ছেদের উক্ত শেস্নাক পাঠ করার ফলে-   (উচ্চতর দক্ষতা)

                        র.  দৈহিক সৌন্দর্য-বৃদ্ধি পাবে

            রর. অর্থ সম্পদ বৃদ্ধি পাবে

            ররর. অন্তরে ঈশ্বরের মহত্ত্ব লাভ হবে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক র ও রর       খ রর   >ররর  ঘ রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্নোউত্তর

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নোউত্তর

প্রশ্ন-১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

শুভ্র ও তার মায়ের কথোপকথন-

শুভ্র – মা, দিনের পর রাত, রাতের পর দিন হয় কেন? দাদু মারা গেলেন কেন?

মা –      এটি মহাবিশ্বের একটি নিয়ম। এর মূলে রয়েছেন স্রষ্টা। তাঁকে আমরা ঈশ্বর বলি।

শুভ্র –   মা, ঈশ্বর কে? ব্রহ্মা, শিব না বিষ্ণু?

মা –      এঁরা সকলেই এক ঈশ্বরের বিভিন্ন গুণ ও শক্তি এবং ঈশ্বরের সাকাররূপের প্রতিফলন। তাই আমরা বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করি।

ক.        বিষ্ণুর সর্বশেষ অবতার কোনটি?                   

খ.        উপাসনা বলতে কী বোঝায়?              

গ.        অনুচ্ছেদে শুভ্রের প্রশ্নের জবাবে তার মা স্রষ্টার কোন ভূমিকার কথা ব্যক্ত করেন তা তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।                  

ঘ.        শুভ্রের মায়ের শেষোক্ত কথাটি- ‘ঈশ্বরের সাকার রূপের প্রতিফলন’- বিশেস্নষণ কর।                     

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক.        বিষ্ণুর সর্বশেষ অবতার হলেন কল্কি।

খ.        বিশেষ পদ্ধতিতে ঈশ্বরের গুণগান করার রীতিকে বলা হয় উপাসনা।

            আক্ষরিকভাবে উপাসনা বলতে ঈশ্বরের পাশে অবস্থান করাকে বোঝানো হয়। প্রকৃত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির হৃদয় ঈশ্বরের অনুকম্পা লাভের জন্য উš§ুখ থাকে হিন্দুধর্ম অনুসারে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করাই হলো পরম তৃপ্তি ও মুক্তির পথ। আর উপাসনা হলো ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের একটি মাধ্যম বা পথ।

গ.        অনুচ্ছেদে শুভ্রের প্রশ্নের জবাবে তার মা অভিভাবক হিসেবে স্রষ্টার ভূমিকার কথা ব্যক্ত করেছেন।

            স্রষ্টা ছাড়া কোনো কিছুর সৃষ্টি হয় না। এ মহাবিশ্বের চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা, জীবজন্তু সবকিছুর একজন স্রষ্টা আছেন। তিনি ঈশ্বর। রাত-দিনের আবর্তন ও নিয়ন্ত্রণও তাঁরই শক্তির প্রকাশ। তিনিই তাঁর সৃষ্টিকে পরিচালনা ও রক্ষা করছেন। তিনি তাঁর সৃষ্টির জন্য জন্ম ও মৃত্যু নির্ধারণ করেছেন। আবার মহাকাশের নক্ষত্ররাজি যে কক্ষচ্যুত হচ্ছে না তার মূলেও রয়েছে ঈশ্বরের শৃঙ্খলা বিধানের শক্তি। তিনি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক, অপরিসীম ক্ষমতাধর পরম পুরুষ।

            অনুচ্ছেদে শুভ্র তার মাকে দিন-রাতের নিয়ম, জন্ম-মৃত্যু ও ঈশ্বর সম্পর্কে প্রশ্ন করেছে। শুভ্রের মা সেগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে  বলেছেন, দিনের পর রাত রাতের পর দিন এটি মহাবিশ্বের একটি নিয়ম। এই নিয়মের পরিচালক মহান ঈশ্বর।

            উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানা যায়, অনুচ্ছেদে শুভ্রের প্রশ্নের জবাবে তার মা সর্বশক্তিমান অভিভাবক হিসেবে স্রষ্টার ভূমিকার কথা ব্যক্ত করেছেন।

ঘ.        শুভ্রের মায়ের শেষোক্ত কথাটির মাধ্যমে ঈশ্বরের সাকার রূপের কথাই প্রকাশিত হয়েছে।

            ঈশ্বর এ মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং ধ্বংসকর্তা। অর্থাৎ ঈশ্বর তিনটি প্রধান ক্রিয়া সাধন করে থাকেন – সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়। তিনি নিরাকার, আবার প্রয়োজনে সাকার রূপ ধারণ করেন। দেবদেবীগণ ঈশ্বরের সাকার রূপ। ঈশ্বর যখন নিজের  কোনো গুণ বা ক্ষমতাকে কোনো বিশেষ আকার বা রূপে প্রকাশ করেন তখন তাদেরকে দেবদেবী বলা হয়। যেমন- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা, সরস্বতী ইত্যাদি।

            অনুচ্ছেদের শেষে শুভ্রের মা তার প্রশ্নের জবাবে ঈশ্বরের সাকার রূপের কথা বলেছেন। তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবকে ঈশ্বরের শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ঈশ্বর যে রূপে সৃষ্টি করেন তাঁর নাম ব্রহ্মা। তিনি বিশ্ব ও বিশ্বের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। বিষ্ণু ঈশ্বরের স্থিতি ও প্রতিপালন শক্তি। শিব ধ্বংস বা প্রলয়ের শক্তি। ব্রহ্মা বিষ্ণু ও শিব এক ঈশ্বরেরই বিভিন্ন সাকার রূপ।

            উপরিউক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায়, শুভ্রের মায়ের শেষোক্ত কথাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ‘ঈশ্বরের সাকার রূপেরই প্রতিফলন ঘটেছে।

প্রশ্ন-২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

পলস্নব একটি ধর্মীয় বই পড়ে এমন একজন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছেন যিনি ভূতগণের উৎপত্তি, বিনাশ ও বিদ্যা-অবিদ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে সব কিছুই জানে। বইটি পড়ে তিনি আরও জানতে পারে কার মধ্যে সে তার অভিষ্ট প্রত্যক্ষ করতে পারবে। মা-বাবা ছেলের ধর্মীয় বই পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে পুলকিত হয়।    [পাঠ : ১ ও ২]

                        [বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালী]

ক.        ব্র‏হ্ম জীবদেহে কীরূপে বিরাজ করেন?                     

খ.        “ঈশ্বরকে পরমেশ্বর নামেও ডাকা হয়”- ব্যাখ্যা কর।             

গ.        পলস্নবের পঠিত বইটিতে যে উপায়ে ভগবানরূপে স্রষ্টার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে তার ব্যাখ্যা কর।             

ঘ.        তুমি কি মনে কর পলস্নবের পঠিত বইয়ে যার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে তিনি জীবের মতো দেহধারী হয়ে তপস্যা, ধ্যান, প্রার্থনা ও সকল সুখ-দুঃখ ভোগ করেন? পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে মতামতের সপড়্গে যুক্তি দাও।               

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক.        ব্র‏হ্ম জীবদেহে আত্মারূপে বিরাজ করেন।

খ.        ব্র‏হ্ম যখন জীব ও জগতের ওপর প্রভুত্ব করেন, তখন তাঁকে ঈশ্বর বলা হয়। ঈশ্বরকে পরমেশ্বর নামেও ডাকা হয়। তিনি জগতের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং ধ্বংসকর্তা। ঈশ্বরের রূপের কোনো শেষ নেই। তিনি অনন্তরূপী। জ্ঞানীর কাছে তিনি ব্র‏‏হ্ম, যোগীর কাছে তিনি পরমাত্মা এবং ভক্তের কাছে ভগবান।

গ.        পলস্নবের পঠিত বইটিতে সামগ্রিক উপায়ে ভগবানরূপে স্রষ্টার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে।

            ঈশ্বরের রূপের শেষ নেই। তিনি অনন্তরূপী। জ্ঞানীর কাছে তিনি ব্র‏হ্ম, যোগীর কাছে তিনি পরমাত্মা এবং ভক্তের কাছে ভগবান। হিন্দুধর্ম দর্শন অনুসারে ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রীজ্ঞান ও বৈরাগ্যকে ভগ বলে। ভগ যাঁর মধ্যে পূর্ণরূপে আছে তিনিই ভগবান। বিষ্ণুপুরাণে বলা হয়েছে যিনি ভূতগণের উৎপত্তি, বিনাশ, পরলোকে গতি ইহলোকে আগমন এবং বিদ্যা-অবিদ্যা জানেন তিনিই ভগবান। ঈশ্বরকে যখন ছয়টি গুণের অধীশ্বররূপে কল্পনা ও আরাধনা করা হয় তখন ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয়। বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ভগবান গুণময় এবং অশেষরূপের আধার। তিনি রসময়, আনন্দময় ও দয়াময়। তিনি তাঁর ভক্তদের বিভিন্নভাবে কৃপা করে থাকেন। ভগবানের মধ্যে ভক্ত তাঁর অভীষ্ট প্রত্যক্ষ করতে পারেন। ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে ভগবান দেহধারী হয়ে ভক্তের কাছে আসেন। প্রয়োজনে ভক্তের বোঝা তিনি বহন করেন। ভগবান আমাদের সৃষ্টি করেছেন, সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন। মহাবিশ্বের সকল জ্ঞান তাঁর কাছে বয়েছে।

            উদ্দীপকে পলস্নবের পঠিত বইটিতে স্রষ্টার এ সকল গুণের কথা এবং ভগবান রূপে স্রষ্টার স্বরূপ ব্যক্ত করা হয়েছে।

ঘ.        পলস্নবে পঠিত বইয়ে যার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে তিনি হলেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বা ভগবান। তাই, আমি মনে করি তিনি জীবের ন্যায় দেহধারী হয়ে তপস্যা, ধ্যান, প্রার্থনা ও সকল সুখ-দুঃখ ভোগ করেন।

            হিন্দুধর্ম দর্শন অনুসারে ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্যকে ‘ভগ’ বলে। যিনি ‘ভগ’ গুণসম্পন্ন তিনিই ভগবান। ঈশ্বরকে যখন এই ছয়টি গুণের অধীশ্বররূপে কল্পনা ও আরাধনা করা হয় তখন ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয় (শ্রীমদভগবত পুরাণ, ৬।৫।৭৯)। বিষ্ণু পুরাণে বলা হয়েছে, যিনি ভূতগণের উৎপত্তি, বিনাশ, পরলোকে গতি, ইহলোকে আগমন এবং বিদ্যা-অবিদ্যা জানেন, তিনিই ভগবান।

            ভগবান বিভিন্ন রূপধারণ করে ভক্তকে দেখা দেন, লীলা করেন। তিনি প্রয়োজনে জীবের ন্যায় দেহধারী হয়ে তপস্যা, ধ্যান, প্রার্থনা ও সকল সুখ-দুঃখ ভোগ করেন। সামান্য দেহধারী হয়ে ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে ভগবানই তাঁর কাছে আসেন। প্রয়োজনে ভক্তের বোঝাও তিনি বহন করেন।

প্রশ্ন-৩  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

রাজিব প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখে তার বাবা গীতা পাঠ করছেন। রাজিব কখনো তার বাবাকে মিথ্যা বলতে শোনেনি, অন্যায় করতে দেখেনি। তিনি সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করেন। সে তার বাবাকে প্রশ্ন করে তুমি প্রতিদিন কার কাছে প্রার্থনা কর? বাবা বলেন, যিনি এই সৃষ্টি জগতের আদি কারণ, যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছুতে আছেন তাঁর কাছে প্রার্থনা করি। তিনি রাজিবকে অন্যায় কাজ করতে নিষেধ করেন। তিনি আরও বলেন, সবসময় সতর্ক থাকবে, তোমার কর্মকে পাপমুক্ত রাখবে, তাহলে কর্মফল ভালো হবে।                            [পাঠ : ১-৩]

ক.        কে বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন? ১                     

খ.        কখন ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয়?        ২                    

গ.        রাজিবের বাবা প্রতিদিন কার কাছে, কেন প্রার্থনা করেন? তাঁর স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।     ৩                    

ঘ.        রাজিবের বাবার শেষ উক্তিটি মূল্যায়ন কর।   ৪                     

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক.        ঈশ্বর বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন।

খ.        ঈশ্বরকে যখন ছয়টি গুণের অধীশ্বররূপে কল্পনা ও আরাধনা করা হয় তখন ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয়।

            বিষ্ণুপুরাণে বলা হয়েছে, যিনি ভূতগণের উৎপত্তি, বিনাশ, পরলোকে গতি, ইহলোকে আগমন এবং বিদ্যা অবিদ্যা জানেন তিনিই ভগবান। হিন্দু দর্শন অনুসারে ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী জ্ঞান ও বৈরাগ্যকে ভগ বলে। ‘ভগ’ যাঁর মধ্যে পূর্ণরূপে আছে তিনিই ভগবান।

গ.        রাজিবের বাবা প্রতিদিন সকলের স্রষ্টা এবং বিশ্বজগতের আদি কারণ ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করেন।

            ঈশ্বর আমাদের সকলকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার আপন মহিমা ও মহত্ত্ব দিয়ে এই বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন। ব্র‏‏হ্ম যখন জীব ও জগতের ওপর প্রভুত্ব করেন, তখন তাঁকে ঈশ্বর বলা হয়। ঈশ্বরকে পরমেশ্বর নামেও ডাকা হয়। তিনি জগতের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং ধ্বংসকর্তা। ঈশ্বরের রূপের শেষ নেই। তিনি অনন্তরূপী। জ্ঞানীর কাছে তিনি ব্র‏‏হ্ম, যোগীর কাছে তিনি পরমাত্মা এবং ভক্তের কাছে ভগবান।

            ঈশ্বর সকল কর্মের কর্মফল দাতা। তিনি যে আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার জন্য আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাব। তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোর উপায় হলো উপাসনা ও আরাধনা। রাজীবের বাবা ঈশ্বরের পথে চলার জন্য এবং ঈশ্বরকে সস্তুষ্ট করার জন্য তাই প্রতিদিন তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন।

ঘ.        রাজিবের বাবার শেষ উক্তিটি হলো ‘তোমার কর্মকে পাপমুক্ত রাখবে, তাহলে কর্মফল ভালো হবে।’ তিনি রাজিবকে কর্মশুদ্ধ ও পাপমুক্ত রাখার জন্য আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

            মানুষ যা করে তাই কর্ম। এর মাঝে পাপ কাজ দ্বারা কর্ম কলুষিত হয় আর ভালো কাজ দ্বারা কর্ম পাপ-ক্লেশমুক্ত হয়। ভালো কর্মের জন্য ঈশ্বর ভালো ফলাফল নির্ধারণ করেছেন আর পাপকর্মের জন্য তিনি শান্তি নির্ধারণ করেছেন। পাপকর্মের কর্মফল থেকে মানুষ কখনো মুক্ত হতে পারে না। মানুষ ঈশ্বরের সৃষ্টি। ঈশ্বর মানুষকে তাঁর আপন মহিমা ও মহত্ত্ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ যে জন্ম লাভ করেছে, বেঁচে আছে তাও ঈশ্বরের লীলায়। একসময় মানুষের মৃত্যু হবে তখন সে তার কর্মফল ভোগ করবে। ঈশ্বর মানুষের জন্য কর্মফল নির্ধারণ করে রেখেছেন।

            ঈশ্বর আমাদের কর্মফল দাতা। এর অর্থ এই নয় যে তিনি তাঁর মর্জিমত কর্মফল দিবেন। তিনি মানুষকে কর্মের স্বাধীনতা দিয়েছেন। উভয় কর্মের ফলাফলও তিনি নির্ধারণ করে জানিয়ে দিয়েছেন। মানুষ যেমন কর্ম করবে তার ফলাফলও সেরকম পাবে। ঈশ্বর মানুষকে অন্যায়, পাপাচার করতে নিষেধ করেছেন। সবসময় শুভ কর্ম করতে বলেছেন।

            তাই বলা যায়, রাজিবকে ভালো ও শুভ কর্মফলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেই রাজিবের বাবা আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

প্রশ্ন-৪  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

অখিল বণিক দেশের ব্য¯ত্মতম শহরে বসবাস করেন। এখানকার মানুষ অনিয়মের বেড়াজালে নিমজ্জিত। সামাজিক অশস্নীলতা ও পাপ কাজে মানুষের মানবতাবোধ হারিয়ে ফেলেছে। অখিল বণিক প্রার্থনা করে বলেন, আপনি এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং এই অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা থেকে আমাদের পরিত্রাণ করুন।   [পাঠ : ৩]

ক.        ঈশ্বর বিশ্ব ব্র‏হ্মাণ্ডকে পরিচালিত করেছেন কীভাবে? ১                     

খ.        স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে গভীর সম্পর্ক- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।         ২                    

গ.        অখিল বণিক পৃথিবীতে আসার জন্য ঈশ্বরের কোন রূপের প্রকাশ চান পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।      ৩                    

ঘ.        উদ্দীপকের অনুরূপ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ভগবান বিষ্ণু অসংখ্যবার পৃথিবীতে এসেছিলেন, পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে বিশেস্নষণ কর।      ৪                     

৪নং প্রশ্নের উত্তর

ক.        ঈশ্বর বিশ্ব ব্র‏হ্মাণ্ডকে পরিচালনা করেন শৃঙ্খলার সাথে।

খ.        স্রষ্টাকে আমরা ব্র‏হ্ম, ঈশ্বর, পরমেশ্বর, আত্মা, পরমাত্মা, ভগবান, প্রভৃতি নামে ডাকি। তিনি মহাবিশ্বের প্রাণী ও অপ্রাণী সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা। মহাবিশ্বে যা কিছু আছে সবকিছুই তাঁর সৃষ্টি। তিনি তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসেন, প্রতিপালন করেন, বিপদে আপদে রক্ষা করেন, প্রয়োজনে সৃষ্টি ও ধ্বংস করেন, দুষ্টের হাত থেকে সৃষ্টিকে রক্ষা করেন। অতএব, স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে গভীর সম্পর্ক।

গ.        অখিল বণিক পৃথিবীতে আসার জন্য ঈশ্বরের অবতাররূপের প্রকাশ চান।

            হিন্দুধর্মে অবতার বলতে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে স্বেচ্ছায় নিরাকার ঈশ্বরের সাকাররূপে পৃথিবীতে আবির্ভূত হওয়াকে  বোঝায়। অবতার শব্দটি অর্থ হচ্ছে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জীবরূপে ঈশ্বরের অবতরণ। যখন পৃথিবী পাপ পঙ্কিলতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়, যখন ঈশ্বরভক্ত ও জীবজগৎ, অত্যাচার অনাচারে নিমজ্জিত হয়, যখন মানুষ অত্যাচারী হয়ে দুর্বলের ওপর নির্যাতন চালায় তখন তিনি পৃথিবীতে আগমন করেন। তিনি দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করেন।

            উদ্দীপকে যে সামাজিক অশস্নীলতা, অনিয়ম ও পাপ পঙ্কিলতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা থেকে সমাজকে মুক্ত করার জন্যই অখিল বণিক ঈশ্বরকে অবতাররূপ ধারণ করে আগমনের প্রার্থনা করেন।

ঘ.        উদ্দীপকে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা থেকে পৃথিবীকে উদ্ধারের উদ্দেশ্যে পুনরায় ঈশ্বরের অবতাররূপের আগমনের প্রার্থনা করা হয়েছে। অনুরূপ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ভগবান বিষ্ণু অসংখ্যবার অবতাররূপে পৃথিবীতে আগমন করেছেন।

            অবতার শব্দটি সংস্কৃত শব্দ যার অর্থ হচ্ছে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ঈশ্বরের জীবরূপে পৃথিবীতে অবতরণ।

            শ্রীমদভগবত পুরাণে বলা হয়েছে, ভগবান বিষ্ণু অনেকবার অবতার হিসেবে বিশেষ বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এ পৃথিবীতে এসেছেন। বিভিন্ন যুগে ভগবান বিষ্ণু দশবার অবতার হিসেবে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন এবং ধর্ম রক্ষার জন্য নানারূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বিষ্ণুর দশ অবতার হচ্ছে-

            ১. মৎস্য, ২. কূর্ম, ৩. বরাহ; ৪. নরসিংহ; ৫. বামন, ৬. পরশুরাম, ৭. রাম, ৮. বলরাম, ৯. বুদ্ধ ও ১০. কল্কি। ভগবান বিষ্ণুর সর্বশেষ অবতার কল্কি।

            অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, উদ্দীপকের অনুরূপ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ভগবান বিষ্ণু অসংখ্যবার পৃথিবিীতে এসেছেন।

প্রশ্ন-৫  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সমীর চৌধুরী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে নিজের জমির উপর একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও তিনি এলাকার মন্দির ও রাস্তাঘাট মেরামত করার জন্য অর্থ প্রদান করে থাকেন। তিনি মনে করেন এমন একজন সর্বত্র বিরাজ করছে যিনি নিত্য, শুদ্ধ ও পরম পবিত্র এবং সকল কর্মের ফলপ্রদানকারী যার অনন্ত মহিমা বোঝার সাধ্য কারো নেই।’ ।     [পাঠ : ১-৩]

ক.        পরমাত্মার সকল গুণ কার মধ্যে বিদ্যমান থাকে?      ১                     

খ.        স্রষ্টার স্বরূপ বলতে কী বোঝায়?          ২                    

গ.        সমীর চৌধুরীর কর্মের ফল প্রদানের সাথে ঈশ্বরের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।        ৩                    

ঘ.        সমীর চৌধুরীর উপলব্ধি পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে বিশেস্নষণ কর। ৪                     

৫নং প্রশ্নের উত্তর

ক.        পরমাত্মার সকল গুণ জীবাত্মার মধ্যে বিদ্যমান থাকে।

খ.        স্রষ্টার বিভিন্ন রূপ আছে। ব্রহ্মরূপে তিনি সকল কিছুর স্রষ্টা এবং তাঁর মাঝে সকল কিছুর অবস্থান ও লয়। স্রষ্টা ঈশ্বররূপে জীব ও জগতের ওপর প্রভুত্ব করেন। ঐশ্বর্য, বীর্ষ, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য এই ছয়টি গুণে তিনি ভগবান। স্রষ্টার একেক রূপকেই আমরা ব্রহ্ম, ঈশ্বর, ভগবান ও অবতার নামে জানি। এটাই ঈশ্বরের স্বরূপ।

গ.        সমীর চৌধুরীর কর্মের ফল প্রদানের সাথে ঈশ্বরের সম্পর্ক বিদ্যমান।

            ঈশ্বর হলেন অক্ষয় শক্তি। তাঁর বিনাশ নেই। তিনি সকল কিছুর ফলদাতা। হিন্দু ধর্মতত্ত্ব এবং বেদান্ত অনুসারে প্রাণী ও অপ্রাণী যেকোনো বিষয় বা পদার্থ যে স্থান থেকে জন্মলাভ করে, মৃত্যু বা ধ্বংসের মাধ্যমে যাঁর কাছে ফিরে যায়, তিনি ব্র‏হ্ম বা অক্ষয় শক্তি বা ঈশ্বর। বেদাস্তের এই উক্তি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ঈশ্বর জীবকুলের সৃষ্টি ও মৃত্যু উভয়ের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি সকল কিছুর মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করেন। তিনি সৃষ্টি করেছেন স্বর্গ ও নরক। এগুলো মানবকুলের কর্মফল প্রদানের ব্যবস্থা।

            উদ্দীপকে দেখা যায় যে, সমীর চৌধুরী ছাত্রছাত্রীর সুবিধার জন্য একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও তিনি মন্দির ও রাস্তাঘাট মেরামত করার জন্য অর্থ প্রদান করেন। অর্থাৎ সমীর চৌধুরীর ভালো কর্মের ফল একমাত্র ঈশ্বরই প্রদান করবেন।

ঘ.        সমীর চৌধুরীর উপলব্ধি হলো সর্বত্র বিরাজমান স্রষ্টা সকল কর্মের ফল প্রধানকারী। যার অনন্ত মহিমা বোঝার সাধ্য কারো নেই। উদ্দীপকের সমীর চৌধুরীর কর্মের ফল প্রদানকারী ঈশ্বর। তাই তার উপলব্ধি হয় যে, ঈশ্বরের মহিমা অনন্ত। তাঁর মহিমা বোঝার সাধ্য কারও নেই।

            ব্র‏হ্ম যখন জীবন ও জগতের উপর প্রভুত্ব করেন, তখন তাঁকে ঈশ্বর বলা হয়। ঈশ্বরকে পরমেশ্বর নামেও  ডাকা হয়। তিনি জগতের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং ধ্বংস কর্তা । তিনি অনন্তরূপী। জ্ঞানীর কাছে তিনি ব্রহ্ম, যোগীর কাছে তিনি পরমাত্মা এবং ভক্তের কাছে ভগবান। শ্রীমদভগবদ্গীতার একটি শেস্নাকে ঈশ্বর সম্পর্কে বলা হয়েছে-

ত্বমাদিদেবঃ পুরুষঃ পুরাণ-

¯ত্ম্বমস্য বিশ্বস্য পরং নিধানম।

বেত্তাসি বেদ্যঞ্চ পরঞ্চ ধাম।

ত্বয়া ততং বিশ্বমনন্তরূপ (১১/৩৮)

            অর্থাৎ ‘তুমি আদিদেব, তুমি অনাদি পুরুষ, তুমি বিশ্বের পরম আশ্রয় স্বরূপ, তুমি একমাত্র জ্ঞাতব্য এবং জ্ঞাতা। তুমি একমাত্র পরম স্থান। হে অনন্তরূপ, তুমি বিশ্বব্র‏হ্মাণ্ডে প্রসারিত।

            বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ঈশ্বর অনন্ত, অসীম, তিনি জগতের আদি কারণ, তিনি সকল কর্মের ফলদাতা। যার মহিমা বোঝা খুব কঠিন। উদ্দীপকের সমীর চৌধুরীর কর্মের ফল প্রদানকারী ঈশ্বর। তাই তার উপলব্ধি হয় যে, ঈশ্বরের মহিমা অনন্ত। তাঁর মহিমা বোঝার সাধ্য কারও নেই।

প্রশ্ন-৬  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সজীব পত্রিকায় প্রতিদিন শুধু যুদ্ধ, হানাহানি, হত্যা, খুন ইত্যাদির রিপোর্ট দেখতে দেখতে পত্রিকা পড়া ছেড়ে দিয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষ আসলে সভ্য হয়নি। দিন দিন আরও বেশি হিংস্র হয়ে উঠছে। তবুও সজীব বিশ্বাস হারায় না। সে বিশ্বাস করে ঈশ্বর আছেন। তিনি অবশ্যই আমাদের রক্ষা করবেন। সে তার পাঠ্যবইয়ে পড়েছে মানুষ যখন এমন পরিস্থিতিতে কোনো মুক্তির পথ বের করতে পারে না তখন ঈশ্বর তাদের সহায়তা করেন।            [পাঠ : ৩]

ক.        ভক্তের কাছে ঈশ্বর কী?          ১                     

খ.        ব্র‏হ্মরূপে স্রষ্টার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।      ২                    

গ.        সজীব ঈশ্বরের কোন রূপের প্রকাশ চায়? পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে লেখ।  ৩                    

ঘ.        ঈশ্বরের উক্ত রূপের প্রকাশের ফলাফল পর্যালোচনা কর।    ৪                     

৬নং প্রশ্নের উত্তর

ক.        ভক্তের কাছে ঈশ্বর ভগবান।

খ.        ‘ব্র‏হ্ম’ শব্দের অর্থ সর্ববৃহৎ, যাঁর থেকে বড় কেউ নেই, যিনি সকল কিছুর স্রষ্টা এবং যাঁর মধ্যে সকল কিছুর অবস্থান তিনিই ব্র‏‏হ্ম। ব্র‏‏হ্ম প্রকৃতি ও মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন এবং রক্ষা করছেন। বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ব্র‏‏হ্ম নিত্য, শুদ্ধ, মুক্ত, সর্বজ্ঞ, জ্যোতির্ময়, নিরাকার, সর্বব্যাপী ও সর্বশক্তিমান। ব্র‏‏হ্ম অজ, অনাদি, অনন্ত এবং শাশ্বত। ব্র‏‏হ্মকে পরমাত্মাও বলা হয়। এটাই ব্র‏হ্মরূপে স্রষ্টার স্বরূপ।

গ.        সজীব ঈশ্বরের অবতার রূপের প্রকাশ চায়। ঈশ্বর যখন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মর্ত্যে অবতরণ করেন তখন তাকে অবতার বলা হয়। তিনি বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই তখন জীব বা সাকার রূপ ধারণ করেন। তাঁর এই অবতার রূপ ধারণের মূল কারণ হলো পৃথিবী থেকে পাপাচার দূর করা। দুষ্ট লোকদের দমন করা, যারা শিষ্ট বা ভালো লোক তারা দুষ্ট লোকদের হাতে যখন নির্যাতিত হন তাদের রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে ঈশ্বর অবতার রূপ ধারণ করেন। পৃথিবীতে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্যই তার এই অবতরণ।

            উদ্দীপকে আমরা দেখি সজীব তার চারপাশে অন্যায়-পাপাচার দেখে খুব শঙ্কিত। খারাপ লোকদের ঔদ্ধত্য দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ভালো লোকেরা নির্যাতিত হয়। এই অবস্থার উন্নতির কোনো পথ সে খুঁজে পাচ্ছে না। তাই সে ঈশ্বরের অবতার রূপের প্রকাশ চাচ্ছে। কারণ ঈশ্বরই পারেন কেবল এই পৃথিবীটাকে শান্ত করতে।

ঘ.        ঈশ্বরের উক্ত রূপের প্রকাশ হলো অবতার রূপ যার ফলাফল এই বিশ্বজগতে সুদূরপ্রসারী।

            ঈশ্বর নিরাকার। প্রয়োজনে তিনি সাকার রূপও ধারণ করেন। তিনি যখন প্রয়োজনে অবতার রূপে পৃথিবীতে আসেন তখন তিনি সাকার রূপ ধারণ করেই আসেন। শ্রীমদভগবত পুরাণে বলা হয়েছে, ভগবান বিষ্ণু অনেকবার অবতার হিসেবে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এ পৃথিবীতে এসেছিলেন। তিনি বিভিন্ন যুগে দশবার অবতার হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ঈশ্বরের অবতার রূপ ধারণ করার কারণ হলো দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। যারা দুষ্ট তারা পাপাচারে লিপ্ত থাকে, নানা রকম অন্যায় করে বেড়ায়। তাদের দমন করার জন্য তিনি পৃথিবীতে আসেন। তখন তাদের তিনি ধ্বংস করেন। যারা শিষ্ট তারা দুষ্ট লোকদের হাত থেকে রক্ষা পায়। ধর্ম রক্ষা পায়। আবার পৃথিবীর ধর্মের মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

            পৃথিবী যখন পাপাচারে লিপ্ত থাকে বা পাপাচার যখন পৃথিবীতে বেড়ে যায় তখন ঈশ্বর অবতার রূপ ধারণ করে পৃথিবীর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে। পৃথিবীতে আবার শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসে। ধর্মের অবহেলায় ধর্মের নিষ্ক্রিয়তায় আর অধর্মের প্রাদুর্ভাবে পৃথিবীর নিয়ম-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। অন্যায় বেড়ে যায়। পাপাচারে চারপাশ সয়লাব হয়ে যায়। ঈশ্বর অবতার রূপ ধারণ করে সম¯ত্ম বিশৃঙ্খলা দূর করেন।

            ঈশ্বরের অবতাররূপে পৃথিবীতে অবতরণের ফলে সম¯ত্ম পাপ দূর হয়- শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসে। উদ্দীপকের সজীবও ঈশ্বরের এই রূপেরই প্রকাশ চায়।

প্রশ্ন-৭  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

অসীম আজ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। ডাক্তার কবিরাজ কত কী দেখানো হয়েছে। অনেক ওষুধ-পথ্য সেবন করেছে। কিন্তু অসীমের কোনো উন্নতি নেই। বাবা-মা দুজনেই খুব চিন্তিত। অসীমের মা অসীমের আরোগ্য লাভের জন্য বিশেষভাবে একজন দেবীর পূজা করছেন কয়েকদিন। তার বিশ্বাস, দেবীই পারবেন তার ছেলেকে পুরোপুরি সুস্থ করে দিতে। অসীমের বোন পড়াশোনায় খুব ভালো। সেও একজন দেবীর নিত্যপূজা করে। [পাঠ : ৪]

ক.        ভগবান শ্রীবিষ্ণু কে?   ১                     

খ.        বিভিন্ন নামে বা রূপে ব্যক্ত হলেও দেবতারা এক ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশ- ব্যাখ্যা কর।       ২                    

গ.        অসীমের মা কোন দেবীর পূজা করেছেন?     ৩                    

ঘ.        অসীমের মা ও বোনের অভীষ্ট দেবীদ্বয়ের শক্তির পার্থক্য আলোচনা কর।    ৪                     

৭নং প্রশ্নের উত্তর

ক.        ভগবান শ্রীবিষ্ণুই শ্রীকৃষ্ণ।

খ.        দেবদেবীগণ ঈশ্বরের সাকার রূপ। ঈশ্বর যখন নিজের কোনো গুণ বা ক্ষমতাকে কোনো বিশেষ আকার বা রূপে প্রকাশ করেন তখন তাঁকে দেবতা বলে। যেমন- ব্র‏হ্মা, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা, সরস্বতী ইত্যাদি। এঁরা সকলেই ঈশ্বরের বিশেষ গুণ বা ক্ষমতা ধারণ করে রয়েছেন। অর্থাৎ বিভিন্ন নামে বা রূপে ব্যক্ত হলেও দেবতারা এক ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশ।

গ.        অসীমের মা দেবী শীতলার পূজা করেছেন। দেবী শীতলা রোগ প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার দেবী। দেবী শীতলাকে স্বাস্থ্যবিধি পালন বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দেবীও বলা হয়। শীতলা পূজার মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন থাকি। তিনি মহামারী প্রতিরোধ ও প্রাণিকুলকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে থাকেন।

            উদ্দীপকে আমরা দেখি অসীম এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। পরিবার থেকে ডাক্তার কবিরাজ দেখানো হয়েছে কিন্তু কোনো কাজই হচ্ছে না। অসীমের মা ভাবলেন তার  ছেলের আরোগ্যের জন্য ঐশ্বরিক শক্তির প্রয়োজন। দেবী শীতলা যেহেতু রোগ প্রতিরোধ করেন তাই যত কঠিন রোগই হোক না কেন তিনি অসীমকে সুস্থ করতে পারবেন। তাই তিনি তাঁর কাছেই প্রার্থনা জানালেন। তাঁরই পূজা করলেন। তিনি পূজার মাধ্যমে সন্তানের প্রতি দেবী শীতলার কৃপা দৃষ্টি কামনা করলেন। তিনি জানেন দেবী শীতলা ছাড়া আর কেউ অসীমকে রক্ষা করতে পারবে না।

ঘ.        অসীমের মা দেবী শীতলার পূজা করেছেন আর বোন দেবী সরস্বরতীর পূজা করেছেন। নিচে এ দু’দেবীর শক্তির পার্থক্য আলোচনা করা হলো :

            আমরা  জানি দেবদেবীগণ ঈশ্বরের বিভিন্ন শক্তির রূপ। একেকজন দেবদেবী একেকটি শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন। দেবী শীতলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অধিকারী। তিনি ঈশ্বরের প্রতিনিধি হয়ে এই বিশ্বের রোগ প্রতিরোধ করেন। তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দেবীও বলা হয়। তিনি বিশ্বকে মহামারী থেকে রক্ষা করেন। শুধু মানুষ নয় সারা বিশ্বের সম¯ত্ম প্রাণিকুলকে তার শক্তি দ্বারা বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করেন। শীতলা পূজার মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠি।

            অসীমের বোন  পড়াশোনায় ভালো তাই সে দেবী সরস্বতীর পূজা করে। দেবী সরস্বতী বিদ্যার দেবী। তিনি প্রজ্ঞা, জ্ঞান, বিদ্যা দান করেন। বিদ্যার বিভিন্ন শাখায় তাঁর শক্তি বিস্তারিত। তিনি বিদ্যা, শিল্পকলা ও সংস্কৃতির দেবী। তাঁর পূজা করলে বিদ্যা লাভ করা সহজ হয়। আমাদের দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজা পালন করে। তাঁরা দেবীর কাছে তাদের ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করে যাতে করে দেবী বিদ্যা দানের ব্যাপারে সদয় হন।

            অতএব উপরের আলোচনা থেকে জানা যায়, অসীমের মা ও বোনের অভীষ্ট দেবীদ্বয়ের শক্তির পার্থক্য হলো- দেবী শীতলার রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আর দেবী সরস্বতীর রয়েছে বিদ্যা দানের অশেষ শক্তি।

প্রশ্ন-৮  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

অপু ও শিমুল বন্ধু। তারা একসাথে বসে গল্প করার সময় ঈশ্বরের নানা গুণের কথা আলোচনা করে। তাদের বাড়িতে বিভিন্ন দেবতার দেবমূর্তি আছে। অপু প্রতিদিন তাদের প্রণাম করে। তার মা যখন দেবতাদের পূজা করেন তখন অপুও তার সাথে সাথে করে। শিমুলের ভক্তির প্রকাশ অন্যরকম। দেবমূর্তির কাছে সে যায় না। তার ভক্তি অন্তরে। ঈশ্বরের প্রতি তার যে ভালোবাসা তা সে অন্তরের গভীর থেকেই তাঁকে সবসময় নিবেদন করে।   [পাঠ : ৫]

ক.        পরম তৃপ্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ কী?           ১                     

খ.        উপাসনা বলতে কী বোঝ?      ২                    

গ.        অপু কীরূপ উপাসনা করে? ব্যাখ্যা কর।        ৩                    

ঘ.        অপু ও শিমুলের পূজা পদ্ধতির পার্থক্য পর্যালোচনা কর।      ৪                     

৮নং প্রশ্নের উত্তর

ক.        ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করাই হলো পরম তৃপ্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ।

খ.        বিশেষ পদ্ধতিতে ঈশ্বরের গুণগান করার রীতিকেই উপাসনা বলে। আক্ষরিকভাবে উপাসনা অর্থ- ঈশ্বরের পাশে অবস্থান করাকে বোঝায়। উপাসনা ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের উপায়। আমাদের মঙ্গল-অমঙ্গলের সবকিছু ঈশ্বরের হাতে। তাই আমরা আমাদের মঙ্গলের জন্য তাঁর কাছে প্রার্থনা জানাই। তাঁর গুণগান করি।

গ.        অপু ঈশ্বরের সাকার উপাসনা করে। উপাসনা পদ্ধতি দু প্রকার- সাকার ও নিরাকার উপাসনা। সাকার উপাসনাকে আবার প্রতীক উপাসনাও বলে। প্রতীক শব্দের অর্থ চিহ্ন বা আকার। মূলত এ ধরনের উপাসনা বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমাকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, সরস্বতী, লক্ষ্মী, মনসা প্রভৃতিকে উদ্দেশ্য করে করা হয়। প্রতীক উপাসনা সগুণ উপাসনা বা ভক্তিযোগ নামে পরিচিত, সগুণরূপে ঈশ্বর সাকাররূপে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি প্রকৃতিতে প্রকাশিত।

            অপু প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, ভক্তি নিবেদন করে পূজা করে। সে তার মায়ের সাথে পূজা সম্পন্ন করে। তার মা যখন বাড়িতে প্রতিমায় পূজা নিবেদন করে তখন সেও মায়ের সাথে পূজা দেয়। ঈশ্বরের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে অপু উপাসনা সম্পন্ন করে। তাই তার উপাসনা পদ্ধতি ঈশ্বরের সাকার উপাসনা।

ঘ.        অপু ও শিমুলের উপাসনা পদ্ধতি দু’রকম। অপু সাকার উপাসনা সম্পন্ন করে। অপরদিকে শিমুল ঈশ্বরের নিরাকার উপাসনা করে। নিচে উভয় উপাসনার পার্থক্য তুলে ধরা হলো :

            অপু দেবদেবীর প্রতিমায় পূজা নিবেদনের মাধ্যমে তার উপাসনা বিভিন্ন দেব দেবীর প্রতিমাকে (ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, সরস্বতী, লক্ষ্মী, মনসা প্রভৃতি) উদ্দেশ্য করে করা হয়। প্রতীক বা সাকার উপাসনা সগুণ উপাসনা বা ভক্তিযোগ নামে পরিচিত। সগুণরূপে ঈশ্বর সাকাররূপে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি প্রকৃতিতে প্রকাশিত। পূজা করাকে সগুণ উপাসনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

            শিমুল অপুর ব্যতিক্রম। সে দেবমূর্তির কাছে যায় না। অন্তরে ঈশ্বরকে উপলব্ধি করে এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি, ভালোবাসা নিবেদন করে। একে বলা হয় নিরাকার উপাসনা। নিরাকার শব্দের অর্থ- যার কোনো আকার নেই। মূলত এ ধরনের উপাসনা ধ্যান-সাধনার মাধ্যমে করা হয়। জ্ঞানযোগ নিরাকার উপাসনার একটি অংশ। এ উপাসনায় ঈশ্বরের কোনো প্রতিকৃতিকে উদ্দেশ্য করে করা হয় না। নিরাকাররূপে ঈশ্বর অদৃশ্য অবস্থায় অবস্থান করেন। তাঁকে উপলব্ধি করে তাঁর উপাসনা করা হয়।

            অপু ও শিমুলের উপাসনা পদ্ধতির মাঝে পার্থক্য থাকলেও উভয়েই ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করবে। কারণ যে উপায়েই উপাসনা করা হোক, ঈশ্বর ভক্তের ডাকে সাড়া দেন।

প্রশ্ন-৯  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

খাট, পালঙ্ক, টাকা পয়সা, ধন-দৌলত ইচ্ছা করলে সবই পাওয়া যায়। এসব বস্তুগত পাওয়ার মধ্যে আনন্দ আছে সত্যি কিন্তু স্থায়ী সুখ দান করে না। তুমি যদি স্থায়ী সুখ পেতে চাও তবে সেই পরম পুরুষের ধ্যান করতে হবে। ব্যক্তিসত্তাকে পরম পুরুষের সাথে বিলীন করার জন্য সাধনা করতে হবে। আর তা দুটি উপায়ে করা যায়।  [পাঠ : ৫]

                        [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]

ক.        কার চেয়ে উৎকৃষ্ট কিছুই নেই?           ১                     

খ.        এ মহাবিশ্ব যিনি নিজেই সৃষ্টি করেছেন, তিনি সকল দুঃখ থেকে মুক্ত- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।  ২                    

গ.        উদ্দীপককে পাঠ্যপু¯ত্মকের যে ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করে দেখাও। ৩                    

ঘ.        উদ্দীপকে যার সান্নিধ্যের কথা বলা হয়েছে তা দু’ধরনের বলতে কী বোঝানো হয়েছে? মূল্যায়ন কর।            ৪                     

৯নং প্রশ্নের উত্তর

ক.        ব্র‏হ্ম বা ঈশ্বরের চেয়ে উৎকৃষ্ট আর কিছুই নেই।

খ.        ঈশ্বরকে বলা হয় সয়ম্ভু। কারণ তিনি নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর শক্তি অসীম। সবকিছু তাঁর অধীন। তাঁর অসাধ্য কিছু নেই। তিনি মানুষের সৃষ্টিকর্তা। মানুষের হাজার দুঃখ কষ্ট থাকলেও তিনি সকল দুঃখ থেকে মুক্ত। 

গ.        উদ্দীপকে পাঠ্যপু¯ত্মকের উপাসনার ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে।

            আমরা ঈশ্বরের কাছে নানা বিষয়ে প্রার্থনা করি। বিশেষ পদ্ধতিতে ঈশ্বরের প্রার্থনা করার রীতিকে বলা হয় উপাসনা। আক্ষরিকভাবে উপাসনা বলতে ঈশ্বরের পাশে অবস্থান করাকে বোঝায়। প্রকৃত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির হৃদয় ঈশ্বরের অনুকম্পা লাভের জন্য উন্মুখ থাকে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করাই হলো পরম তৃপ্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বেদে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের বিভিন্ন পথের কথা উলেস্নখ রয়েছে। উপাসনা ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের একটি মাধ্যম বা পথ।

            উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, এই পৃথিবীকে যিনি সৃষ্টি করেছেন, পরিচালনা করছেন তাঁর সান্নিধ্য পেতে হলে মনের ঐকান্তিক আকাঙ্ক্ষা, ব্যক্তিসত্তাকে পরম পুরুষের সাথে বিলীন করে আরাধনা করা। উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, উদ্দীপকের পাঠ্যপু¯ত্মকে উপাসনার ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে।

ঘ.        উদ্দীপকে ঈশ্বরের যে সান্নিধ্যের কথা বলা হয়েছে তা দু’ধরনের উপাসনা। পাঠ্য পু¯ত্মকের আলোকে

            ১. সাকার উপাসনা বা প্রতীক উপাসনা

            ২. নিরাকার উপাসনা বা নিগুণ উপাসনা।

            সাকার উপাসনা বা প্রতীক উপাসনা : ‘প্রতীক শব্দের অর্থ চিহ্ন‎ বা আকার। মূলত এ ধরনের  উপাসনা বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমাকে (ব্র‏হ্মা, বিষ্ণু, শিব, সরস্বতী, লক্ষ্মী, মনসা প্রভৃতি) উদ্দেশ্য করে করা হয়। প্রতীক উপাসনা সগুণ উপাসনা বা ভক্তিযোগ নামে পরিচিত। সগুণরূপে ঈশ্বর সাকাররূপে অবস্থান করেন।

            নিরাকার উপাসনা : নিরাকার শব্দের অর্থ যার কোনো আকার নেই। এ উপাসনা ঈশ্বরের কোনো প্রতিকৃতিকে উদ্দেশ্য করে করা হয় না। মূলত এ ধরনের উপাসনা ধ্যান সাধনার মাধ্যমে করা হয়।

            হিন্দুধর্মাবলম্বীরা কেউ নিরাকার, কেউবা সাকার উপাসনার মাধ্যমে ঈশ্বরকে পূজা বা আরাধনা করেন। এ সম্পর্কে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদভগবধগীতায় উলেস্নখ করেছেন :

            যে যথা মাং. প্রপদ্যস্তে তাং ¯ত্মথৈব ভজাম্যহম ।

            মম বতর্¥ানুবত্মস্তে মনুষ্যা : পার্থ সর্বশ : । (৪/১১)

            অর্থাৎ যারা যেভাবে আমাকে ভজনা করে তাদের সেভাবেই আমি কৃপা করে থাকি। মনুষ্যগণ সর্বপ্রকারে আমার পথ অনুসরণ করে। দেবদেবীগণ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন রূপ। সাকার ও নিরাকার উপাসনা দ্বারা এক ঈশ্বরেরই উপাসনা করা হয়।

অনুশীলনীর অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন-১০  বিশিষ্ট ধর্ম গবেষক অরুণ দাস মনে করেন ঈশ্বর তিনি যার উৎপত্তি, বিনাশ, গতি, আগমন এবং বিদ্যা-অবিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে। তার এ গবেষণার বিষয়টি প্রকাশিত হলে ব্রা‏হ্মণ যতীন রায় এর সমালোচনা করে বলেন যে, ঈশ্বরের স্বরূপ প্রকাশে অরুণ দাসের গবেষণার বিষয়টি যথেষ্ট নয়।

ক.        এ মহাবিশ্বের সর্বশক্তির উৎস কে?     ১

খ.        আমরা স্রষ্টার উপাসনা করব কেন?    ২

গ.        অরুণ দাসের গবেষণার বিষয়টি ঈশ্বরের স্বরূপের কোন দিকটির ইঙ্গিত দেয়? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.        ব্রা‏হ্মণ যতীন রায়ের সমালোচনাপূর্ণ মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশেস্নষণ কর।       ৪

প্রশ্ন-১১  রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছিলেন জ্ঞানেন্দ্র বাবু। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলো। সবকিছু কেমন ওলটপালট হয়ে গেল। বাতাসের তীব্রতায় নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেন। মুহূর্তেই সবকিছু আবার আগের মতো হয়ে গেল, এ ঘটনাটি নাান্তিক জ্ঞানেন্দ্র বাবুকে একটি সত্যে উপনীত হতে সাহায্য করল যে এ বিশ্বের একজন কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক রয়েছেন। তাঁর এ ঘটনাটি শুনে পুরোহিত অচিšত্ম্য রায় বললেন, শুধু কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক হিসেবেই তিনি ভূমিকা পালন করেন না। তিনি আরও অনেক কিছু করতে সক্ষম।

ক.        সর্বশেষ অবতারের নাম কী?   ১

খ.        ‘স্রষ্টার বিভিন্ন স্বরূপ রয়েছে’- ব্যাখ্যা কর।       ২

গ.        জ্ঞানেন্দ্র বাবুর উপলব্ধিতে স্রষ্টার কোন ভূমিকাটি প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।     ৩

ঘ.        পুরোহিত অচিšত্ম্য রায়ের মন্তব্যটির যৌক্তিকতা নিরূপণ কর।         ৪

প্রশ্ন-১২  সুব্রত দুরন্ত প্রকৃতির। এই ছেলে কারও সামনে মাথা নত করে না। কিন্তু সেদিন মন্দিরে দেখা গেলা ভিন্ন চিত্র। সুব্রত মহাবিশ্বকে সৃষ্টি ও ধ্বংসের হাত থেকে যে রক্ষা করেন সেই দেবীর সামনে মাথা নত করে আছে। পাশেই তার বড় দাদা বিশ্বের নানা দেশে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি আনয়নের জন্য আরেক দেবীর সামনে প্রার্থনা করেন।

ক.        ব্র‏হ্মা কিসের দেবতা?   ১

খ.        সরস্বতী দেবীর পরিচয় দাও।   ২

গ.        সুব্রত যে দেবীর সামনে মাথা নত করে আছে পাঠ্যপু¯ত্মকের আলোকে তার বিবরণ দাও।  ৩

ঘ.        সুব্রতের বড় দাদার মনের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারে দেবী কালী পাঠ্য পু¯ত্মকের আলোকে বিশেস্নষণ কর।           ৪

প্রশ্ন-১৩  কবরী রানি প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পবিত্র গীতা পাঠ করেন। গতকাল সকালে, তিনি সুর করে গীতার শেস্নাক পাঠ করছিলেন এবং এর অর্থ বলছিলেন। যদা যদা হি ধর্মস্য গস্নানির্ভবতি ভারত। অভ্যুত্থানম ধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম।’    [বগুড়া জিলা স্কুল]

ক.        শেস্নাকটি গীতার কত অধ্যায়ের অন্তর্গত?      ১

খ.        শেস্নাকটির অর্থ লিখ। ২

গ.        শেস্নাকটির মাধ্যমে কীভাবে দুষ্টের দমনের কথা তুলে ধরা হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।    ৩

ঘ.        তুমি কি মনে কর স্রষ্টা ও সৃষ্টির সম্পর্ক ও সৃষ্টির মধ্যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় স্রষ্টা শেস্নাকের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন।       ৪

প্রশ্ন-১৪  প্রদীপ ছোটবেলা থেকেই ভীষণ ধর্মানুরাগী। বাবার কথা অনুযায়ী প্রতিদিনই সে একটু একটু করে গীতা পাঠ অভ্যাস করছে। একদিন সে তার পাঠের মাধ্যমে ঈশ্বরের স্বরূপ জানতে পারে। এছাড়া আরও বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের অধ্যয়নের মাধ্যমে জানতে পারে, ব্র‏হ্ম, ঈশ্বর, ভগবান ও অবতার- এগুলো সৃষ্টির এক কর্তারই বিভিন্ন রূপ।

ক.        দুষ্টকে দমন ও শিষ্টকে পালন করেন কে?      ১

খ.        ব্র‏‏‏‏হ্মরূপে স্রষ্টার স্বরূপ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।           ২

গ.        প্রদীপ স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিরাজমান যে গভীর সম্পর্ক জানতে পেরেছে তা ব্যাখ্যা কর।     ৩

ঘ.        উদ্দীপকের শেষ উক্তিটি বিশেস্নষণ কর।       ৪

অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ পরমাত্মা বলা হয় কাকে?
উত্তর : পরমাত্মা বলা হয় ব্রহ্মকে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ‘ওঙ্কার’ কার নাম?
উত্তর : ‘ওঙ্কার’ ব্রহ্মর নাম।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ‘ওঁ’-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : ‘ওঁ’ – এর পূর্ণরূপ অ-উ-ম।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ব্রক্ষকে আমরা কখন ঈশ্বর বলি?
উত্তর : ব্রহ্ম যখন জীব ও জগতের ওপর প্রভুত্ব করেন, তখন তাঁকে আমরা ঈশ্বর বলি।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ঈশ্বরকে কী নামে ডাকা হয়?
উত্তর : ঈশ্বরকে পরমেশ্বর নামে ডাকা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ ঈশ্বর জ্ঞানীর কাছে কী?
উত্তর : ঈশ্বর জ্ঞানীর কাছে ব্রহ্ম।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ ঈশ্বর যোগীর কী?
উত্তর : ঈশ্বর যোগীর কাছে পরমাত্মা।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ঈশ্বর ভক্তের কাছে কী?
উত্তর : ঈশ্বর ভক্তের কাছে ভগবান।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ জগতের আদি কারণ কে?
উত্তর : জগতের আদি কারণ ঈশ্বর।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ সকল কর্মের ফলদাতা কে?
উত্তর : সকল কর্মের ফলদাতা ঈশ্বর।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ ভগ যার পূর্ণরূপ তিনি কে?
উত্তর : ভগ যার পূর্ণরূপ তিনি ভগবান।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ ঈশ্বর প্রয়োজনে কার বোঝা বহন করেন?
উত্তর : ঈশ্বর প্রয়োজনে ভক্তের বোঝা বহন করেন।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ অবতার শব্দটি  কী শব্দ?
উত্তর : অবতার শব্দটি তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ ভগবান বিষ্ণুর অবতার রূপের কথা কোন ধর্মগ্রন্থে বলা আছে?
উত্তর : ভগবান বিষ্ণুর অবতার রূপের কথা শ্রীমদ্ভগবত পুরাণে বলা আছে।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ আত্মা যখন নিজের মধ্যে অবস্থান করে তখন তাকে কী বলে?
উত্তর : আত্মা যখন নিজের মধ্যে অবস্থান করে তখন তাকে পরমাত্মা বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ অবতার কল্কির আবির্ভাব ঘটবে কখন?
উত্তর : অবতার কল্কির আবির্ভাব ঘটবে কলিযুগের শেষের দিকে।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ ঈশ্বর প্রয়োজনে কিরূপ ধারণ করেন?
উত্তর : ঈশ্বর প্রয়োজনে সাকার রূপ ধারণ করেন।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ ঈশ্বর কাদের রক্ষা করেন?
উত্তর : ঈশ্বর সৎ লোকদের রক্ষা করেন।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ ঈশ্বর কয়টি শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছেন?
উত্তর : ঈশ্বর তিনটি শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছেন।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ জগতে কী বেড়ে গেলে ঈশ্বর অবতার রূপে অবতীর্ণ হন?
উত্তর : জগতে অধর্ম বেড়ে গেলে ঈশ্বর অবতার রূপে অবতীর্ণ হন।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ ঈশ্বরের প্রধান তিনটি কর্ম কী?
উত্তর : ঈশ্বরের প্রধান তিনটি কর্ম হলো সৃষ্টি, পালন ও ধ্বংস।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ ঈশ্বরের সাকার রূপ কী?
উত্তর : ঈশ্বরের সাকার রূপ হলো দেবদেবী
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ ব্রহ্মা কিসের দেবতা?
উত্তর : ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ পালনকর্তা কে?
উত্তর : বিষ্ণু পালনকর্তা।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ শিব কিসের দেবতা?
উত্তর : শিব প্রলয়ের দেবতা।
প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ বিদ্যার দেবী কে?
উত্তর : বিদ্যার দেবী সরস্বতী।
প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ আমরা কিরূপে দেবদেবীকে পূজা করি?
উত্তর : আমরা ঈশ্বররূপে দেবদবীকে পূজা করি।
প্রশ্ন ॥ ২৮ ॥ পূজায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবতারা কী করেন?
উত্তর : পূজায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবতারা পূজারির অভীষ্ট পূরণ করেন।
প্রশ্ন ॥ ২৯ ॥  দেবতারা বিপদে পড়লে কে তাদের উদ্ধার করেন?
উত্তর : দেবতারা বিপদে পড়লে ভগবান বিষ্ণু তাদের উদ্ধার করেন।
প্রশ্ন ॥ ৩০ ॥ নটরাজ বলা হয় কাকে?
উত্তর : নটরাজ বলা হয় শিবকে।
প্রশ্ন ॥ ৩১ ॥ ঈশ্বরের শক্তিরূপ কে?
উত্তর : দেবী দুর্গা ঈশ্বরের শক্তিরূপ।
প্রশ্ন ॥ ৩২ ॥ কাত্যায়নী কার নাম?
উত্তর : কাত্যায়নী দেবী দুর্গার নাম।
প্রশ্ন ॥ ৩৩ ॥ পরিবর্তনের দেবী বলা হয় কাকে?
উত্তর :  দেবী কালীকে পরিবর্তনের দেবী বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩৪ ॥ ধন-সম্পদের দেবী কে?
উত্তর : ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী।
প্রশ্ন ॥ ৩৫ ॥ নম্র ও বিনয়ী দেবতা কে?
উত্তর : নম্র ও বিনয়ী দেবতা কার্তিক।
প্রশ্ন ॥ ৩৬ ॥ সুন্দর সন্তান লাভের জন্য কার পূজা করা হয়?
উত্তর : সুন্দর সন্তান লাভের জন্য কার্তিকের পূজা করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩৭ ॥ প্রাণিকুলকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করেন কে?
উত্তর : প্রাণিকুলকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করেন দেবী শীতলা।
প্রশ্ন ॥ ৩৮ ॥ আক্ষরিক অর্থে ঈশ্বরের পাশে অবস্থান করাকে কী বলে?
উত্তর : আক্ষরিক অর্থে ঈশ্বরের পাশে অবস্থান করাকে বলে উপাসনা।
প্রশ্ন ॥ ৩৯ ॥ প্রতীক উপাসনা কী নামে পরিচিত?
উত্তর : প্রতীক উপাসনা ভক্তিযোগ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ॥ ৪০ ॥ পূজা করাকে কী উপাসনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
উত্তর : পূজা করাকে সগুণ উপাসনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৪১ ॥ জ্ঞানযোগ কোন উপাসনার অংশ?
উত্তর : জ্ঞানযোগ নিরাকার উপাসনার অংশ।
প্রশ্ন ॥ ৪২ ॥ হৃদয় পরিশুদ্ধ হয় কিসের মাধ্যমে?
উত্তর : হৃদয় পরিশুদ্ধ হয় উপাসনার মাধ্যমে।
প্রশ্ন ॥ ৪৩ ॥  মোক্ষ মানে কী?
উত্তর :  মোক্ষ মানে চিরমুক্তি।
প্রশ্ন ॥ ৪৪ ॥  উপাসনার প্রধান উদ্দেশ্য কী?
উত্তর :  উপাসনার প্রধান উদ্দেশ্য মোক্ষলাভ।
প্রশ্ন ॥ ৪৫ ॥ পরমাত্মা কিসের ন্যায় নিশ্চলভাবে স্বমহিমায় বিরাজিত?
উত্তর : পরমাত্মা বৃক্ষরে ন্যায় নিশ্চলভাবে স্বমহিমায় বিরাজিত।

অনুধাবনমূলক 

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ স্রষ্টার স্বরূপ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর :  স্রষ্টার বিভিন্ন রূপ আছে। ব্র‏হ্ম রূপে তিনি সকল কিছুর স্রষ্টা এবং তাঁর মাঝে সকল কিছুর অবস্থান ও লয়। স্রষ্টা ঈশ্বররূপে জীব ও জগতের ওপর প্রভুত্ব করেন। ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য এই ছয়টি গুণে তিনি ভগবান। দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন এবং ধর্ম রক্ষার জন্য স্রষ্টাই নানারূপে অবতার হিসেবে পৃথিবীতে আসেন। স্রষ্টার একেক রূপকেই আমরা ব্র‏হ্ম, ঈশ্বর, ভগবান ও অবতার নামে জানি।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ‘স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে গভীর সম্পর্ক’-কথাটি বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : স্রষ্টাকে আমরা ব্র‏হ্ম, ঈশ্বর, পরমেশ্বর, আত্মা, পরমাত্মা, ভগবান প্রভৃতি নামে ডাকি। তিনি মহাবিশ্বের প্রাণী ও অপ্রাণী সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা। মহাবিশ্বে যা কিছু আছে সব কিছুই তাঁর সৃষ্টি। তিনি তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসেন, প্রতিপালন করেন, বিপদে-আপদে রক্ষা করেন, প্রয়োজন সৃষ্টি ও ধ্বংস করেন, দুষ্টের হাত থেকে সৃষ্টিকে রক্ষা করেন।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ‘বিষ্ণুর দশ অবতারই মানব সমাজে সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য হন ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন এবং ধর্ম রক্ষার জন্য ঈশ্বর নানারূপে অবতার নামে অবতীর্ণ হন। যেমন : নৃসিংহ, রাম, শ্রীকৃষ্ণ প্রভৃতি ঈশ্বরের অবতার। শ্রীমদভগবত পুরাণে বলা হয়েছে ভগবান বিষ্ণু দশবার অবতার হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতার হচ্ছেন ১. মৎস্য, ২. কূর্ম, ৩. বরাহ, ৪. নরসিংহ, ৫. বামন, ৬. পরশুরাম, ৭. রাম, ৮. বলরাম, ৯. বুদ্ধ, ১০. কল্কি।

কল্কি সর্বশেষ অবতার। হিন্দুধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, কলিযুগের শেষের দিকে তাঁর আবির্ভাব ঘটবে।

অবতারগণের মাঝে বিষ্ণুর দশ অবতারই মানব সমাজে সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের মাধ্যম হিসেবে উপাসনার তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

উত্তর :  বিশেষ পদ্ধতিতে ঈশ্বরের গুণগান করার রীতিকে বলা হয় উপাসনা। উপাসনা ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের মাধ্যম।

হিন্দুধর্মের মূলে রয়েছেন ভগবান স্বয়ং। ‘ধর্মমূলো হি ভগবান, সর্ববেদময়ো হরিঃ। ঈশ্বর আছেন। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনি সকল জীবের অন্তরাত্মা। সবকিছুই তাঁর থেকে সৃষ্ট।

প্রকৃত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির হৃদয় ঈশ্বরের অনুকম্পা লাভের জন্য উন্মুখ থাকে। সে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে। হিন্দুধর্ম অনুসারে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করাই হলো পরম তৃপ্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ। সুতরাং ঈশ্বরই ধর্মের মূল উৎস।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ব্র্হ্মার পরিচয় দাও।

উত্তর : ব্রহ্মা হলেন ঈশ্বরের সেই রূপ যে রূপে তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি বিশ্ব ও বিশ্বের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি ছাড়াও ব্র‏হ্মা নাট্যশাস্ত্র, বাস্তুশাস্ত্র প্রভৃতি শাস্ত্রের উদ্ভাবক।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ ‘ওঙ্কার’ বলতে কী বোঝ?

উত্তর : ‘ওঙ্কার’ একটি বিশেষ নাম। এর সাথে ব্রহ্মর পরিচয় জড়িয়ে আছে। ব্রহ্মকে ওঙ্কার বলা হয়। ‘ওঙ্কার’ সংড়্গেেপ ওঁ। -এর পূর্ণরূপ অ-উ-ম। এর অর্থ হচ্ছে সৃষ্টি স্থিতি ও লয়কারী ব্রহ্ম।

ব্রহ্মর শক্তি বোঝাতে তাকে ওঙ্কার বলা হয়।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ ঈশ্বরকে স্বয়ম্ভূ বলা হয় কেন?

উত্তর : বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ঈশ্বর অনন্ত ও অসীম। তিনি এই বিশ্বজগতের আদি কারণ সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা তিনি। তাঁকে কেউ সৃষ্টি করেনি। তিনি বিধাতা। তাঁর কোনো স্রষ্টা নেই। স্বয়ম্ভূ শব্দের অর্থ যিনি নিজ থেকে সৃষ্ট হয়েছেন। ঈশ্বর নিজ থেকে সৃষ্ট হয়েছেন। তাই তাঁকে স্বয়ম্ভূ বলা হয়।

ঈশ্বর সকল কর্মের ফলদাতা।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ভগবানরূপে স্রষ্টার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : হিন্দুধর্ম দর্শন অনুসারে  ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্যকে ভগ বলা হয়। ভগ যার পূর্ণরূপ আছে তিনিই ভগবান। ভগবান গুণময় ও অশেষ রূপের আধার। বিষ্ণু পুরাণে বলা হয়েছে যিনি ভূতগণের উৎপত্তি, বিনাশ, পরলোকে গতি, ইহলোকে আগমন এবং বিদ্যা-অবিদ্যা জানেন, তিনিই ভগবান। ঈশ্বরকে যখন ছয়টি গুণের অধীশ্বররূপে কল্পনা ও আরাধনা করা হয় তখন ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয়।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ কখন ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয়?

উত্তর : হিন্দুধর্ম দর্শন অনুসারে ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্যকে ‘ভগ’ বলে। ভগ যার মধ্যে পূর্ণরূপে আছে তিনিই ভগবান। বিষ্ণু পুরাণে বলা হয়েছে যিনি ভূতগণের উৎপত্তি, বিনাশ, পরলোকে গতি, ইহলোকে আগমন এবং বিদ্যা-অবিদ্যা জানেন তিনিই ভগবান।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ অবতার বলতে কী বোঝ?

উত্তর : হিন্দুধর্মে অবতার বলতে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে স্বেচ্ছায় ঈশ্বরের জীব বা সাকাররূপে পৃথিবীতে আবির্ভূত হওয়াকে বোঝায়। অবতার শব্দটি তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জীবরূপে মর্ত্যে ঈশ্বরের অবতরণ। দুষ্টেয় দমন, শিষ্টের পালন এবং ধর্ম রক্ষার জন্য ঈশ্বর নানারূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন।

শ্রীবিষ্ণু অনেকবার পৃথিবীতে অবতার হিসেবে এসেছেন।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ স্রষ্টা অবতার রূপ ধারণ করেন কেন?

উত্তর : বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পৃথিবীতে জীবরূপে স্রষ্টার অবতরণকে অবতার বলা হয়। এই বিশ্বজগৎ যখন অন্যায় আর পাপাচারে ভরে যায়, যখন সৎ লোকেরা নির্যাতিত হয়, দুষ্ট লোক যখন বেড়ে যায় তখন স্রষ্টা অবতার রূপে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্যই স্রষ্টা অবতার রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে আসেন।

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥   মহেশ্বর বা শিবের পরিচয় দাও।

উত্তর :  শিব ধ্বংস বা প্রলয়ের দেবতা। তিনি ধ্বংস করে ক্ষমতা রক্ষা করেন এবং দেনতাদের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষার জন্য অসুরদের বিনাশ করেন। তিনি চিকিৎসাশাস্ত্র ও নৃত্যশাস্ত্রসহ বহুবিদ্যায় পারদর্শী। নাট্য ও নৃত্যে পারদর্শিতার কারণে তাঁকে নটরাজ বলা হয়।

জগতের কল্যাণ সাধনে ঈশ্বর অবতার রূপ ধারণ করেন।

প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥   কার্ত্তিক দেবের পরিচয় দাও।

উত্তর :  কার্ত্তিক দেব নম্র ও বিনয়ী দেবতা। তিনি অন্যায়-অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আদর্শ ও সুন্দর সন্তান লাভের জন্য দেবতা কার্ত্তিকের পূজা করা হয়।

প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥  দেবদেবীদের পরিচয় দাও।

উত্তর :  দেবদেবী ঈশ্বরের সাকার রূপ। ঈশ্বর যখন নিজের কোনো গুণ বা ক্ষমতাকে কোনো বিশেষ আকার বা রূপে প্রকাশ করেন, তখনই তা দেবদেবীর মাধ্যমে প্রকাশ করেন। দেবদেবীগণ ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন শক্তির প্রকাশ। তাঁরা ঈশ্বর না হলেও ঈশ্বরের বিভিন্ন গুণের প্রকাশ। ঈশ্বররূপে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করা হয়। তাঁরা ঈশ্বরের একেক গুণের প্রতিনিধিত্ব করেন।

প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥   দেবী দুর্গার পরিচয় দাও।

উত্তর : দেবী দুর্গা ঈশ্বরের শক্তিরূপ। আদ্যাশক্তি মহামায়াই বিভিন্ন দেবীরূপে প্রকাশিত হয়েছেন। যেমন- দুর্গা, কালী, জগদ্বাত্রী, কাত্যায়নী প্রভৃতি। দেবী দুর্গা অসীম শক্তির দেবী যিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টি ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার সাথে সম্পৃক্ত। স্মরণাতীতকাল থেকেই দেবী দুর্গাকে এ মহাবিশ্বের মহাশক্তি হিসেবে বিশ্ব¯ত্ম ও পূজা করা হয়। দেবী দুর্গা জ্ঞান ও কৌশলী যোদ্ধা।

প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥   উপাসনা কী? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর :  ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের পালন করেন। তিনি সর্বশক্তিমান। আমাদের মঙ্গল অমঙ্গল সব তাঁর হাতে। তাই আমাদের মঙ্গলের জন্য আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাই। তাঁর গুণগান করি। বিশেষ পদ্ধতিতে ঈশ্বরের গুণগান করার রীতিকে বলা হয় উপাসনা। আক্ষরিকভাবে উপাসনা বলতে ঈশ্বরের পাশে অবস্থান করাকে বোঝানো হয়।

প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ নিরাকার উপাসনা বলতে কী বোঝ?

উত্তর : ‘নিরাকার’ শব্দের অর্থ যার কোনো আকার নেই। মূলত এ ধরনের উপাসনা ধ্যান সাধনার মাধ্যমে করা হয়। জ্ঞানযোগ নিরাকার উপাসনার একটি অংশ। এ উপাসনায় ঈশ্বরের কোনো প্রতিকৃতিকে উদ্দেশ্য করে করা হয় না। নিরাকাররূপে ঈশ্বর অদৃশ্য অবস্থায় অবস্থান করেন। তাঁকে উপলব্ধি করে তাঁর উপাসনা করা হয়।

প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥  সর্বশক্তিমান হিসেবে স্রষ্টার ভূমিকা লেখ।

উত্তর : মহান ঈশ্বর একজন কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক, একজন অপরিসীম ক্ষমতাধর পরম পুরুষ যিনি সবকিছু একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ রেখে প্রধান ভূমিকা পালন করছেন। যেমন- এই পৃথিবী, মাটি, জল, আলো, বাতাস দ্বারা গঠিত, যা একক শক্তি দ্বারা সৃষ্ট।

প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥  উপাসনার উপায় সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উপাসনা করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এ উপায়গুলোর মধ্যে পূজা করা, জপ করা, ধ্যান বা যোগ সাধনা, তন্ত্র সাধনা প্রভৃতি। এছাড়াও আছে দেবদেবীর উদ্দেশ্যে মন্ত্র পাঠ, প্রার্থনা মন্ত্র, পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রণাম মন্ত্র পাঠ, আরতী গান, কীর্তন প্রভৃতি। এ বাহ্য আচরণের মাধ্যমে মূলত অন্তরের ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ইষ্ট দেবতা বা দেবীর উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *