পঞ্চম শ্রেণী বাংলা দ্বাদশ অধ্যায় কাঞ্চনমালা ও কাকনমালা

কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

য়    সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।

১)   রাজপুত্রের বন্ধু কী করে?    

      ক   মাঠে গরু চরায়  খ    নদীতে নৌকা বায়    

      গ   খেতে ফসল কাটে     ঘ    হাটে দোকান চালায়

২)   কী করে রাখালবন্ধু খুব সুখ পায়?  

      ক   মাঠে গরু চরিয়ে

      খ    রাজপুত্রকে বাঁশি শুনিয়ে

      গ   একা একা ঘুরে বেড়িয়ে

      ঘ    রাজপুত্রকে গান শুনিয়ে

৩)   রাজপুত্র রাজা হয়ে কিসের কথা ভুলে যায়?   

      ক   বন্ধুকে করা প্রতিজ্ঞার কথা 

      খ    বাঁশি বাজানোর কথা

      গ   রানি কাঞ্চনমালার কথা

      ঘ    রাজ্য শাসনের কথা

৪)   কার কথা রাখালবন্ধুর খুব মনে পড়ে?   

      ক   রাজপুত্রের কথা

      খ    কাঁকনমালার কথা    

      গ   কাঞ্চনমালার কথা

      ঘ    অচেনা মানুষটার কথা

৫)   রাখালবন্ধু নগরের রাজপ্রাসাদে এসেছিল কেন?

      ক   রাজপ্রাসাদ দেখতে    

      খ    বন্ধুর সাথে দেখা করতে

      গ   আসল রানিকে খুঁজতে

      ঘ    বাঁশি বাজাতে

৬)   রাজপ্রাসাদের দরজার রক্ষীরা রাখালবন্ধুকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি কেন?                 

      ক   রাজপুত্র নিষেধ করায়     

      খ    রাখাল গরিব হওয়ায়

      গ   সাথে বাঁশি না থাকায়

      ঘ    নকল রানির শাস্তির ভয়ে

৭)   সুচরাজা অসুস্থ হলে কে রাজ্যসংসার দেখাশোনার ভার নিয়েছিলেন?               

      ক   কাঞ্চনমালা      খ    কাঁকনমালা

      গ   রাখালবন্ধু ঘ    মন্ত্রী

৮)   কাঁকনমালা রানির কী হতে চেয়েছিল?  

      ক   বন্ধু  খ    দাসী

      গ   শত্রু ঘ    সখী

৯)   কাঞ্চনমালা কী দিয়ে দাসী কিনেছিলেন?

      ক   সোনার নূপুর    খ    রুপার নূপুর

      গ   সোনার কাঁকন   ঘ    রুপার কাঁকন

১০)  নকল রানি কাঞ্চনমালাকে নদীর ঘাটে পাঠিয়েছিল কেন? 

      ক   পানি আনতে    খ    গোসল করতে  

      গ   কাপড় ধুতে ঘ    মাছ ধরতে

১১)  রাজপুরীতে গিয়ে অচেনা মানুষ কিসের কথা বলে?  

      ক   সুচ নেওয়ার কথা

      খ    পিটকুড়–লির ব্রতের কথা

      গ   নকল রানির কথা    

      ঘ    রাজার অসুখের কথা

১২)  কাঁকনমালা অচেনা মানুষটার গর্দান নিতে কাকে ডেকেছিল?                 

      ক   সেনাপতিকে     খ    মন্ত্রীকে   

      গ   দ্বাররক্ষীকে ঘ    জল্লাদকে

১৩)  অচেনা মানুষটার মন্ত্রে আদেশ পালন করেছিল কোনটি?  

      ক   বাঁশি খ    সুচ 

      গ   সুতা ঘ    লাঠি

১৪)  নকল রানি কীভাবে মারা গিয়েছিল?      

      ক   গর্দান হারিয়ে    খ    পানিতে ডুবে   

      গ   সুচ বিঁধে   ঘ    আগুনে পুড়ে

১৫)  সুচ রাজা সুচ বেঁধা অবস্থায় ছিলেনÑ     

      ক   অল্প কিছুদিন    খ    কয়েক সপ্তাহ  

      গ   কয়েক মাস ঘ    বহু বছর

১৬)  রাজা তাঁর বন্ধুকে ফিরে পেয়ে তাকে কী বানালেন?  

      ক   ভৃত্য খ    রক্ষী

      গ   সেনাপতি ঘ    মন্ত্রী

১৭)  রাজা তাঁর বন্ধুকে কী গড়িয়ে দিয়েছিলেন?     

      ক   সোনার বাঁশি    খ    লোহার বাঁশি    

      গ   রুপার বাঁশি ঘ    মুক্তার বাঁশি

১৮)  মন্ত্রী হয়ে রাখালবন্ধু সারাদিন কী করত?

      ক   বাঁশি বাজাত     খ    কাজ করত    

      গ   রাজার সেবা করত    ঘ    গরু চরাত

১৯)  মনে কষ্ট নিয়ে দুঃখী রাখাল কখন চলে গিয়েছিল?   

      ক   সন্ধ্যাবেলায়      খ    গভীর রাতে

      গ    ভোরবেলায়      ঘ    দুপুর বেলায়

২০)  কাঞ্চনমালার একজন দাসী প্রয়োজন ছিল কেন?   

      ক   কাপড়চোপড় ধোয়ার জন্য  

      খ    রান্না-বান্না করার জন্য

      গ   রাজার শরীর থেকে সুচ খোলার জন্য

      ঘ    রাজ্যপাট চালানোর জন্য

২১)  রানি কাঁকনমালার কাছে কী রেখে নদীতে ডুব দিতে গিয়েছিলেন?                   

      ক   সিন্দুকের চাবি   খ    গায়ের গয়না   

      গ   রাজার মুকুট    ঘ    সোনার বাঁশি

২২)  রানি ডুব দিয়ে উঠে কী দেখেন?   

      ক   কাঁকনমালা চলে গেছে     

      খ    কাঁকনমালা মারা গেছে

      গ   কাঁকনমালা রানি সেজেছে

      ঘ    কাঁকনমালা দাসী হয়ে গেছে

২৩)  কাঞ্চনমালা কী পিঠা বানিয়েছিলেন?

      ক   পাটিসাপটা পিঠা খ    আস্কে পিঠা

      গ   চন্দ্রপুলী পিঠা    ঘ    ভাপা পিঠা

২৪)  অনুচ্ছেদে মূলত প্রকাশিত হয়েছেÑ

      (ক)  রাজাদের বিলাসী জীবন যাপনের কথা

      (খ)  রাজার কষ্টের জীবনের কথা

      (গ)  প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কুফলের কথা

      (ঘ)  বন্ধুত্বের ভালোবাসার কথা

২৫) ‘নিঝুম’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক)  গভীর রাত (খ)  সম্পূর্ণ নীরব

      (গ)  মধ্য দুপুর       (ঘ)  জনমানবহীন

২৬) ‘অগুনতি’ শব্দের অর্থ হলোÑ

      (ক)  অসংখ্য    (খ)  নতুন

      (গ)  অল্প      (ঘ)  পুরাতন

২৭)  রাজার জীবনে কষ্ট নেমে এলো কেন?

      (ক)  রাজা হওয়ার কারণে

      (খ)  প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেননি তাই

      (গ)  সুখী হতে চেয়েছিলেন বলে

      (ঘ)  অঙ্গীকার পূরণ করার কারণে

২৮) কোনটি রাজার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের ফল?

      (ক)  রাখালের বন্ধুত্ব লাভ

      (খ)  রাজার সারা শরীর সুচবিদ্ধ হওয়া

      (গ)  রাজার চারদিকে সুখ আর সুখ

      (ঘ)  কাঞ্চনমালার পরিণতি

২৯)  ‘অচিন মানুষ’ বলতে বোঝানো হয়েছে লোকটিকেÑ

      (ক)  কেউ চেনে না  

      (খ)  সকলেই চেনে

      (গ)  কেউ ভালোবাসে না  

      (ঘ)  সকলেই ভালোবাসে

৩০) ‘ব্রত’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক)  অপরাধ   (খ)  সম্মান

      (গ)  হিংসা (ঘ)  প্রতিজ্ঞা

৩১)  লোকে কী বুঝতে পারল?

      (ক)  কাঁকনমালা আসল রানি

      (খ)  কাঞ্চনমালা আসল রানি

      (গ)  কাঁকনমালা অনেক গুণবতী

      (ঘ)  কাঞ্চনমালা নকল রানি

৩২) অচিন মানুষটার কিসের কারণে সবাই নকল রানিকে চিনতে পারে?

      (ক)  শক্তির কারণে    (খ)  মন্ত্রের কারণে

      (গ)  বুদ্ধির কারণে    (ঘ)  দয়ার কারণে

৩৩) অচিন মানুষটার হুকুমে এক গোছা সুতা কাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে?

      (ক)  কাঞ্চনমালাকে   (খ)  কাঁকনমালাকে

      (গ)  রাজাকে   (ঘ)  জল্লাদকে

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর

১)   ক   মাঠে গরু চরায় 

২)   খ    রাজপুত্রকে বাঁশি শুনিয়ে

৩)   ক   বন্ধুকে করা প্রতিজ্ঞার কথা 

৪)   ক   রাজপুত্রের কথা

৫)   খ    বন্ধুর সাথে দেখা করতে

৬)   খ    রাখাল গরিব হওয়ায়

৭)   ক   কাঞ্চনমালা          

৮)   খ    দাসী

৯)   গ   সোনার কাঁকন  

১০)  গ   কাপড় ধুতে

১১)  খ    পিটকুড়–লির ব্রতের কথা 

১২)  ঘ    জল্লাদকে

১৩)  গ   সুতা

১৪)  গ   সুচ বিঁধে  

১৫)  ঘ    বহু বছর

১৬)  ঘ    মন্ত্রী

১৭)  ক   সোনার বাঁশি   

১৮)  খ    কাজ করত    

১৯)  ক   সন্ধ্যাবেলায়     

২০)  গ   রাজার শরীর থেকে সুচ খোলার জন্য 

২১)  খ    গায়ের গয়না        

২২)  গ   কাঁকনমালা রানি সেজেছে

২৩)  গ   চন্দ্রপুলী পিঠা   

      ২৪) (গ) প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কুফলের কথা;

      ২৫) (খ) সম্পূর্ণ নীরব; 

      ২৬) (ক) অসংখ্য;

      ২৭) (খ) প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেননি তাই; 

      ২৮) (খ) রাজার সারা শরীর সুচবিদ্ধ হওয়া।

      ২৯) (ক) কেউ চেনে না;

      ৩০) (ঘ) প্রতিজ্ঞা;

      ৩১) (খ) কাঞ্চনমালা আসল রানি;

      ৩২) (গ) বুদ্ধির কারণে;

      ৩৩) (ঘ) জল্লাদকে।

পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

১)   রাজপুত্র কোথায় বসে রাখালবন্ধুর বাঁশি শুনত?

      উত্তর : রাজপুত্র গাছতলায় বসে রাখালবন্ধুর বাঁশি শুনত।

২)   রাজপুত্র রাখালবন্ধুর কথা ভুলে যায় কেন?

      উত্তর : রাজপুত্র একসময় রাজা হয়। লোকলস্কর আর সৈন্য সামন্তে তার রাজপুরী গমগম করে। রাজপুরী আলো করে থাকে রানি কাঞ্চনমালা। চারদিকে সুখ আর সুখ। এমন সুখের মাঝে, রাখালবন্ধুর কথা আর মনে থাকে না রাজার।

৩)   রাজা কেন মনে করলেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তাঁর এই দশা?

      উত্তর : ছোটবেলায় রাখালবন্ধুর কাছে রাজা একটি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। তা হলো, রাজা হলে তিনি রাখালবন্ধুকে তাঁর মন্ত্রী বানাবেন। কিন্তু রাজা হওয়ার পর তিনি বন্ধুকে ভুলে যান। হঠাৎ একদিন রাজা ঘুম ভেঙে দেখেন তাঁর সারা শরীরে সুচ বেঁধা। রাজা বোঝেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছেন বলেই তাঁর এই দশা। কথা দিয়ে কথা না রাখলে এভাবেই কষ্ট পেতে হয়।

৪)   তোমার মা বাড়িতে কী ধরনের পিঠা বানায় লেখ।

      উত্তর : আমার মা বাড়িতে নানা রকম মজার পিঠা বানায়। যেমনÑ পুলি পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, চিতই পিঠা, সেমাই পিঠা ইত্যাদি।

৫)   অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে কী হতো?

      উত্তর : অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে রাজার মহাবিপদ হতো। রাজাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হতো। যন্ত্রণায় ছটফটিয়ে একসময় মারা যেতেন। নকল রানি কাঁকনমালার অত্যাচার আরও বাড়ত। কাঞ্চনমালার দুঃখের সীমা থাকত না।

৬)   তুমি কি মনে কর অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেল?

      উত্তর : অচেনা লোকটিই মন্ত্র বলে রাজার শরীর থেকে সব সুচ খুলে নেয়। শুধু তাই নয়, নকল রানিকেও মন্ত্রের মাধ্যমে কঠিন সাজা দেয়। সে সাহায্য না করলে রাজা যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে প্রাণ হারাত। তাই আমি মনে করি, অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।

৭)   গল্পটা তোমার কেমন লেগেছে? কেন এমন লেগেছে?

      উত্তর : গল্পটা আমার খুব ভালো লেগেছে। রূপকথার গল্প পড়তে বা শুনতে আমার সবসময়ই ভালো লাগে। পাশাপাশি গল্পটি থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা, কথা দিয়ে কথা না রাখার পরিণাম, প্রতারণা ও অহংকার করার পরিণাম ইত্যাদি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছি। তাই সব মিলিয়ে গল্পটি আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।

৮)   কীভাবে লোকেরা নকল রানিকে বুঝে ফেলল?

      উত্তর : নকল রানি আর আসল রানির গুণের পার্থক্য দেখেই লোকেরা নকল রানিকে চিনে ফেলল।

      নকল রানি যে পিঠা বানিয়েছিল তা মুখেই দেওয়া যায় না। আসল রানির পিঠা মুখে দেওয়ামাত্রই সবার মন ভরে যায়। নকল রানির আঁকা আল্পনা দেখতে হয় খুবই অসুন্দর। অন্যদিকে আসল রানি আল্পনায় আঁকেন সুন্দর সুন্দর নকশা। এসব দেখেই সবাই বুঝে গেল কে আসল রানি, আর কে দাসী।

৯)   রাজা কীভাবে তাঁর প্রতিজ্ঞা পালন করলেন?

উত্তর : রাজা রাখালবন্ধুকে মন্ত্রী বানিয়ে তাঁর প্রতিজ্ঞা পালন করলেন।

১০)  কী শুনে রাজপুত্রের মন খুশিতে ঝলমলিয়ে ওঠে?

উত্তর : রাখালবন্ধুর বাঁশি শুনে রাজপুত্রের মন খুশিতে ঝলমলিয়ে ওঠে।

১১)  ‘চারদিকে তার সুখ’Ñ কথাটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : রাজপুত্র একসময় রাজা হয়। লোকলস্কর আর সৈন্যসামন্তে রাজপুরী গমগম করে। রাজপুরী আলো করে থাকেন রানি কাঞ্চনমালা। রাজার সুখের শেষ থাকে না।

১২)  রানি নদীতে ডুব দিতে গেলে চোখের পলকে কী হয়ে গেল?

উত্তর : রানি নদীতে ডুব দিতে গেলে চোখের পলকে কাঁকনমালা রানির সব গয়না আর শাড়ি পরে নিজেই রানি সেজে যায়।

১৩)  আসল রানি ও নকল রানির আচরণে কী তফাৎ ছিল?

উত্তর : আসল রানি কাঞ্চনমালা ছিলেন দয়ালু, মায়াবতী। অন্যদিকে নকল রানি কাঁকনমালা ছিল দাম্ভিক ও নির্দয়। তার অত্যাচারে রাজপুরীর সবাই অতিষ্ঠ হয়ে যায়।

১৪)  সুচরাজার কষ্টের সীমা থাকে না কেন?

উত্তর : সুচরাজার সারা শরীরে সুচ বিঁধে যাওয়ায় তাঁর খুব কষ্ট। তাঁর সারা শরীর ব্যথায় টনটন করে, চিনচিন করে জ্বলে, গায়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি এসে বসে। তাঁর সেবা করার জন্য কেউ থাকে না। তাই রাজার কষ্টের সীমা থাকে না।

১৫)  কাঁকনমালার বানানো পিঠা কেমন ছিল?

উত্তর : কাঁকনমালার বানানো পিঠা ছিল খুবই বিস্বাদ। সে পিঠা কেউ মুখেই তুলতে পারেনি।

১৬)  নকল রানি কীভাবে মারা যায়?

উত্তর : অচেনা লোকটা মন্ত্রবলে নকল রানিকে উচিত শিক্ষা দেয়। তার মন্ত্রের জোরে রাজার শরীর থেকে সব সুচ বেরিয়ে নকল রানির চোখে মুখে গিয়ে বিঁধে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে নকল রানির মৃত্যু হয়।

১৭)  রাজা তাঁর বন্ধুর কাছে ক্ষমা চান কেন?

উত্তর : রাজা তাঁর বন্ধুকে কথা দিয়ে কথা রাখেননি। প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের অপরাধের জন্য রাজা বন্ধুর কাছে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চান।

১৮)  রাজপুত্র তার বন্ধুর কাছে কী প্রতিজ্ঞা করেছিল?

      উত্তর : রাজপুত্র তার বন্ধুর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে, সে বড় হয়ে যখন রাজা হবে তখন রাখালবন্ধুকে তার মন্ত্রী বানাবে।

১৯)  রক্ষীরা রাখালকে প্রাসাদে ঢুকতে দিল না কেন?

      উত্তর : রাখাল ছিল অনেক গরিব। এ কারণে রক্ষীরা তাকে প্রাসাদে ঢুকতে দিল না।

২০)  রাজার শরীর কখন সুচবেঁধা হয়ে যায়?

      উত্তর : রাখালবন্ধুর সাথে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের পর এক রাতে রাজা ঘুমাতে যান। আর ঘুমের ভেতরেই তাঁর সমস্ত শরীর সুচবেঁধা হয়ে যায়।

২১)  কাঁকনমালা কে? কেন তার এমন নাম?

      উত্তর : কাঁকনমালা হলো কাঞ্চনমালার কেনা দাসী। কাঞ্চনমালা তাকে কাঁকনের বিনিময়ে কিনেছিলেন বলেই তার নাম কাঁকনমালা।

২২)  কাঁকনমালা কাঞ্চনমালার সাথে কেমন আচরণ করে? কেন করে?

      উত্তর : কাঁকনমালা কাঞ্চনমালার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। রানি কাঞ্চনমালা নিজের গায়ের গয়নাগুলো তার কাছে রেখে নদীতে ডুব দিতে যান। এই ফাঁকে কাঁকনমালা রানির গয়না নিজের শরীরে পরে রানি হয়ে যায়, আর কাঞ্চনমালা হন দাসী। তারপর সে কাঞ্চনমালাকে দিয়ে রাজবাড়ির সব কাজকর্ম করিয়ে তাঁকে অনেক কষ্ট দেয়। কাঁকনমালা লোভী ও অহংকারী হওয়ার কারণেই কাঞ্চনমালার সাথে এ ধরনের আচরণ করে।

২৩)  কাঞ্চনমালা কোথায় অচেনা মানুষের দেখা পায়?

      উত্তর : একদিন কাঞ্চনমালা কাপড় ধুতে নদীর ঘাটে যাচ্ছিলেন। তখন বনের পাশে এক গাছের তলায় তিনি অচেনা মানুষের দেখা পান।

২৪)  অচেনা মানুষ কীভাবে সুচরাজা ও কাঞ্চনমালাকে উদ্ধার করে?

      উত্তর : অচেনা মানুষটি তার বুদ্ধি ও মন্ত্রের জোরে সুচরাজা ও কাঞ্চনমালাকে উদ্ধার করে। সে পিটকুড়লির ব্রতের কথা বলে কাঁকনমালা ও কাঞ্চনমালাকে দিয়ে পিঠা বানানো, আল্পনা দেওয়া ইত্যাদি কাজ করায়। দুজনের কাজের পার্থক্য থেকে সবাই বুঝে যায় কে আসল রানি আর কে নকল রানি। এরপর অচেনা মানুষটার মন্ত্রবলে রাজার শরীরের সব সুচ নকল রানির চোখে মুখে গিয়ে বিঁধে এবং তার মৃত্যু হয়। এভাবেই অচেনা মানুষটা নানা কৌশলে কাঞ্চনমালা আর সুচরাজার কষ্ট দূর করে।

২৫) কাঞ্চনমালা কী কী পিঠা বানায়?

      উত্তর : কাঞ্চনমালা চন্দ্রপুরী, মোহনবাঁশি, ক্ষীরমুরলী ইত্যাদি পিঠা বানায়।

২৬) কার আল্পনা দেওয়া ভালো হয়েছিল? কেন?

      উত্তর : কাঞ্চনমালার আল্পনা দেওয়া ভালো হয়েছিল।

      কাঞ্চনমালা ও কাঁকনমালা দুজনেই উঠানে আল্পনা দিয়েছিল। নকল রানি কাঁকনমালা কেবল এখানে ওখানে খাবলা খাবলা রং দিয়ে আল্পনা করে। তাতে ছিল না কোনো সৌন্দর্য। অন্যদিকে কাঞ্চনমালা পদ্মলতা, সোনার সাত কলস, ধানের ছড়া, ময়ূর-পুতুল ইত্যাদি নানা রকম চোখ জুড়ানো নকশা আঁকেন।

২৭)  অচেনা মানুষ যে ব্রতটার কথা বলে তার নাম কী? এই ব্রতের দিন রানিদের কী করতে হয়?

উত্তর : অচেনা মানুষ যে ব্রতটার কথা বলে তার নাম হলো পিটকুড়–লির ব্রত। এই ব্রতের দিন রানিদের পিঠা বিলাতে হয়।

২৮) রাজপুত্র তার বন্ধুর কাছে কী প্রতিজ্ঞা করেছিল?

            উত্তর : রাজপুত্র তার বন্ধুর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে, সে বড় হয়ে যখন রাজা হবে তখন রাখালবন্ধুকে তার মন্ত্রী বানাবে।

২৯)  রাজা কীভাবে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেন?

            উত্তর : রাজা হলে রাখালবন্ধুকে তাঁর মন্ত্রী বানাবেন-এই ছিল রাজার প্রতিজ্ঞা। কিন্তু রাজা হওয়ার পর অনেক সুখের মাঝে তিনি বন্ধুর কথা ভুলে যান। এভাবেই তিনি বন্ধুকে দেওয়া প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেন।

৩০)  কী কারণে রাজা দুর্দশায় পড়েন? শরীরে সুচ গেঁথে যাওয়ায় রাজার কী অবস্থা হলো?

            উত্তর : প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণে রাজা দুর্দশায় পড়েন। শরীরে সুচ গেঁথে যাওয়ায় রাজা চোখ মেলতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না, শুতে পারেন না, খেতেও পারেন না। এককথায় রাজার কষ্টের সীমা থাকে না।

৩১)  পিটকুড়–লির ব্রতের দিন রানিদের কী বিলানোর নিয়ম?

            উত্তর : পিটকুড়–লির ব্রতের দিন রানিদের পিঠা বিলানোর নিয়ম।

৩২) কাঞ্চনমালা আল্পনায় কী আঁকেন?

            উত্তর : কাঞ্চনমালা আল্পনায় আঁকেন পদ্মলতা। আর তার পাশে আঁকেন সোনার সাত কলস, ধানের ছড়া, ময়ূর পুতুল।

৩৩) কাঁকনমালা অচেনা মানুষ আর কাঞ্চনমালার গর্দান নেওয়ার হুকুম দেয় কেন?

            উত্তর : অচেনা লোকটির বুদ্ধিতে নকল রানি কাঁকনমালার কুকীর্তি সবার কাছে প্রকাশ হয়ে যায়। সবাই বুঝতে পারে কে আসল রানি, আর কে দাসী। কাঁকনমালা তাই রেগে গিয়ে অচেনা মানুষ আর কাঞ্চনলামার গর্দান নেওয়ার হুকুম দেয়।

পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন

য়    অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।

      উত্তর : রাজপুত্র আর রাখাল ছেলের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব। রাজপুত্র বন্ধুকে কথা দেয় যে, সে রাজা হলে বন্ধুকে তার মন্ত্রী বানাবে। কিন্তু রাজা হওয়ার পর সে তার প্রতিজ্ঞার কথা ভুলে যায়। একদিন ঘুমের ভেতর রাজার সারা শরীর সুচবেঁধা হয়ে যায়। তাঁর কষ্টের সীমা থাকে না। রাজা বুঝতে পারেন যে বন্ধুকে দেওয়া কথা না রাখার কারণেই আজ তাঁর এ দুর্দশা।

য়    অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।

      উত্তর : অচেনা মানুষের কথায় কাঁকনমালা ও কাঞ্চনমালা পিটকুড়–লির ব্রত পালন করে। বোঝে কে আসল রানি, আর কে দাসী। নিজের পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় কাঁকনমালা ভীষণ রেগে যায়। জল্লাদকে হুকুম দেয় অচেনা মানুষ আর কাঞ্চনমালার গর্দান নিতে। কিন্তু অচেনা মানুষটা মন্ত্রের মাধ্যমে জল্লাদকে বেঁধে ফেলে।

পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

এক দেশে এক রাজা ছিলেন। তাঁর ছিল এক রানি ও তিন কন্যা। রাজ্যে সুখ ও শান্তি বিরাজ করছিল। রাজা একদিন তিন কন্যাকে জিজ্ঞেস করলেন, কে তাঁকে কী রকম ভালোবাসে? প্রথম দুই কন্যা যথাক্রমে চিনি ও মিষ্টির সঙ্গে তুলনা করে নিজেদের ভালোবাসার কথা বলল। রাজা তাদের ওপর সন্তুষ্ট হলেন। কিন্তু ছোট কন্যা পারুল রাজার প্রতি তার ভালোবাসাকে নুনের সঙ্গে তুলনা করলে রাজা ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে বনবাসে পাঠালেন। গহিন অরণ্যে পরিরা ও বনের জীবজন্তু তার সঙ্গী হলো। একদিন রাজা শিকারে এলেন। ক্ষুধার্ত অবস্থায় তিনি ছোট কন্যার কুটিরে খেতে বসলেন। পরিদের সাহায্য নিয়ে পারুল পোলাও, কোরমা, রেজালাসহ অনেক ধরনের খাবার রান্না করেছিল। কিন্তু সব খাবারই ছিল নুন ছাড়া। ফলে খাবার হলো বেজায় বিস্বাদ। রাজা কোনো খাবার মুখেই তুলতে পারলেন না। বিস্বাদ খাবারের জন্য রাজা খুব বিরক্ত হলেন। তখন পারুল নিজের পরিচয় দিয়ে বলল, ‘বাবা, আমাকে চিনতে পারছেন? মনে আছে, আমি বলেছিলামÑ আপনাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি।’ এ কথায় রাজার ভুল ভাঙল। তিনি ছোট কন্যাকে রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে এলেন। সবাই খুশি হলো। রাজার পরিবারে ও রাজ্যে সুখ-শান্তি ফিরে এলো।

য়    সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।

১)   রাজা কোনো খাবার খেতে পারলেন না কেন?

      (ক)  ক্ষিধে ছিল না বলে

      (খ)  চিনির অভাব ছিল বলে

      (গ)  নুন বেশি হয়েছিল বলে

      (ঘ)  নুনের অভাব ছিল বলে

২)   অনুচ্ছেদটি পড়ে বলা যায়Ñ

      (ক)  রাজারা সবসময় সুখে থাকেন

      (খ)  নুনের সাথে কাউকে তুলনা করা উচিত নয়

      (গ)  নুন খাবারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান

      (ঘ)  রাজারা কখনো ভুল করেন না

৩)   ‘খাওয়ার ইচ্ছা’- এককথায় প্রকাশ কোনটি?

      (ক)  ক্ষুধা (খ)  ক্ষুধার্ত

      (গ)  খাদক (ঘ)  খাতক

৪)   অনুচ্ছেদটি পড়ে আমরা কী সম্পর্কে ধারণা পাই?

      (ক)  কবিতা লেখার নিয়ম   (খ)  রূপকথার গল্প

      (গ)  প্রবন্ধ রচনার নিয়ম    (ঘ)  হাস্যরসাত্মক নাটিকা

৫)   পারুল রান্নায় নুন ব্যবহার করেনি কেন?

      (ক)  প্রয়োজন ছিল না বলে

      (খ)  ক্ষতিকর বলে

      (গ)  রাজাকে নুনের গুরুত্ব বোঝাতে

      (ঘ)  রাজার ওপর রাগ করে

      উত্তর : ১) (ঘ) নুনের অভাব ছিল বলে; ২) (গ) নুন খাবারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান; ৩) (ক) ক্ষুধা; ৪) (খ) রূপকথার গল্প; ৫) (গ) রাজাকে নুনের গুরুত্ব বোঝাতে।

য়    নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।

মূল শব্দ   অর্থ

যথাক্রমে   ক্রম অনুসারে।

বিস্বাদ কোনো স্বাদ নেই এমন।

বনবাস    বনে বাস করতে পাঠানোর শাস্তি।

ক্রুদ্ধ রাগান্বিত।

গহিন গভীর।

বেজায়    ভীষণ।

ক)  লোকটির স্পর্ধা দেখে দাদু  হলেন।

খ)    জঙ্গলে বাঘের বাস।

গ)   চিনির অভাবে পায়েস খেতে  লাগছে।

ঘ)   ছেলেটি  দুষ্ট।

ঙ)   টুনি গণিত ও বাংলা পরীক্ষায়  ৮৮ ও ৯০ পেয়েছে।

      উত্তর : ক) ক্রুদ্ধ; খ) গহিন; গ) বিস্বাদ; ঘ) বেজায়; ঙ) যথাক্রমে।

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

ক)  পারুল সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

            উত্তর : পারুল সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য :

      ১)   পারুল ছিল রাজার ছোট কন্যা।

      ২)   পারুল রাজাকে নুনের মতো ভালোবাসে।

      ৩)   পারুলকে বনবাসে পাঠানো হয়েছিল।

      ৪)   পারুল নুন ছাড়াই রাজার জন্য খাবার রান্না করেছিল।

      ৫)   রাজার প্রতি পারুলের ভালোবাসা সত্যি ছিল।

খ)   কীভাবে রাজার পরিবারে ও রাজ্যে সুখ শান্তি ফিরে এলো? পাঁচটি বাক্যে লেখ।

            উত্তর : ছোট কন্যা পারুলকে বনবাসে পাঠানোয় পরিবার ও রাজ্যে দুঃখের ছায়া নেমে এসেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনাচক্রে রাজা বুঝতে পারলেন যে তাঁর প্রতি পারুলের ভালোবাসা খাঁটি ছিল। পারুলকে বনবাসে পাঠিয়ে তিনি ভুল করেছিলেন। নিজের ভুল বুঝতে পেরে রাজা ছোট কন্যাকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনলেন। এতে তাঁর পরিবার ও রাজ্যের সবার মুখে হাসি ফুটল।

গ)   রান্নায় পারুলকে কারা সহায়তা করেছিল? রাজা সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।

            উত্তর : রান্নায় পারুলকে সহায়তা করেছিল পরিরা। রাজা সম্পর্কে চারটি বাক্য :

      ১)   রাজার ছিল তিন কন্যা।

      ২)   ছোট কন্যা পারুলের ওপর রাজা অসন্তুষ্ট হন।

      ৩)   ছোট কন্যাকে রাজা বনবাসে পাঠান।

      ৪)   নিজের ভুল বুঝতে পেরে রাজা পারুলকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনেন।

ঘ)   ছোট কন্যাকে রাজা বনবাসে পাঠালেন কেন? চারটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : কন্যাদের কাছে রাজার প্রশ্ন ছিল কে তাঁকে কেমন ভালোবাসে। ছোট কন্যা পারুল তার ভালোবাসাকে নুনের সাথে তুলনা করল। এ কথা শুনে রাজা ছোট কন্যার ওপর ক্ষিপ্ত হলেন। শাস্তি হিসেবে তাকে পাঠানো হলো বনবাসে।

যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ

য়    নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।

      ম্ভ, ষ্ঠ, ষ্ট, ক্ষ, ত্য।

      উত্তর :

ম্ভ   =    ম + ভ                 গম্ভীর

      –     বাবা গম্ভীর মুখে বসে আছেন।

ষ্ঠ    =    ষ + ঠ                  অনুষ্ঠান   

      –     স্কুলে আজ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান।

ষ্ট    =    ষ + ট                  নষ্ট

           ঘড়িটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

ক্ষ   =    ক + ষ                 লক্ষ

           মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহিদ হন।

ত্য   =    ত + য-ফলা ( ্য )            মৃত্যু

           কীর্তিমানের মৃত্যু নেই।

য়    নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।

      জ্ঞ, ন্ত্র, দ্ব, ল্ল, পৃ।

      উত্তর :

      জ্ঞ   =    জ + ঞ                জ্ঞান

      –     বই পড়ে অনেক জ্ঞান অর্জন করা যায়।

ন্ত্র    =    ন + ত + র-ফলা (  ্র )       যন্ত্র

      –     যন্ত্রটি ঠিকমতো কাজ করছে না।

দ্ব    =    দ + ব                  উদ্বেল    

      –     নতুন জামা পেয়ে বাবু আনন্দে উদ্বেল হলো।

ল্ল   =    ল + ল                  হল্লা 

      –     ছেলেরা মাঠে হল্লা করছে।

পৃ   =    প + ঋ-কার ( ৃ )             পৃষ্ঠা 

      –     আমার একটি সাদা পৃষ্ঠা প্রয়োজন।

বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন

য়    সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।

      সুচবেঁধা শরীর ব্যথায় টনটন করে চিনচিন করে জ্বলতে থাকে গায়ে মাছি এসে বসে ঝাঁকে ঝাঁকে কে তাকে বাতাস করে কে তাকে দেখে

উত্তর : সুচবেঁধা শরীর ব্যথায় টনটন করে, চিনচিন করে জ্বলতে থাকে। গায়ে মাছি এসে বসে ঝাঁকে ঝাঁকে। কে তাকে বাতাস করে, কে তাকে দেখে!

য়    সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।

      নকল রানি উঠানে আল্পনা দিতে যায় কোথায় নকশা কোথায় কী এখানে এক খাবলা রং লেপে দেওয়া ওখানে এক খাবলা লেপা দেখতে সে কী অসুন্দর যে দেখায়

উত্তর : নকল রানি উঠানে আল্পনা দিতে যায়। কোথায় নকশা কোথায় কীÑ এখানে এক খাবলা রং লেপে দেওয়া, ওখানে এক খাবলা লেপা। দেখতে সে কী অসুন্দর যে দেখায়!

এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন

য়    এককথায় প্রকাশ কর।

      ক)  চেনা নয় এমন

      খ)   রক্ষা করে যে

      গ)   গোনা যায় না এমন

      ঘ)   স্বাদ নেই যাতে

      উত্তর : ক) অচেনা; খ) রক্ষী; গ) অগুনতি; ঘ) বিস্বাদ।

য়    ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।

      ফেলিতে, ভাসিয়া, লইবার, বানাইবে, উঠিয়া

      উত্তর :

      ক্রিয়াপদ   চলিত রূপ

ফেলিতে       ফেলতে

ভাসিয়া        ভেসে

লইবার        নেবার

বানাইবে       বানাবে

উঠিয়া     উঠে

বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন

য়    নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।

      বন্ধু, গরিব, শেষ, দুঃখী, পুরনো।

      উত্তর :

      মূল শব্দ   বিপরীত শব্দ

বন্ধু  Ñ     শত্রু

গরিব Ñ     ধনী

শেষ     শুরু

দুঃখী     সুখী

      পুরনো    Ñ      নতুন

য়    নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।

      পুত্র, শরীর, ফুরসত, প্রতিজ্ঞা, অপরাধ।

      উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ

পুত্র  Ñ     তনয়, ছেলে।

শরীর Ñ     অঙ্গ, তনু।

ফুরসত    Ñ     অবকাশ, অবসর।

প্রতিজ্ঞা   Ñ     পণ, অঙ্গীকার।

অপরাধ   Ñ     ত্রুটি, ভ্রান্তি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *