পঞ্চম শ্রেণী বাংলা ত্রেয়দশ অধ্যায় অবাক জলপান

অবাক জলপান
সুকুমার রায়

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

য়    সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।

১)   পথিক কখন থেকে হাঁটছিলেন?    

      ক   ভোর থেকে     খ    সকাল থেকে   

      গ   দুপুর থেকে ঘ    রাত থেকে

২)   গন্তব্যে পৌঁছতে পথিককে আরও কতক্ষণ হাঁটতে হবে?

      ক   প্রায় এক ঘণ্টা   খ    প্রায় দুই ঘণ্টা  

      গ   প্রায় তিন ঘণ্টা   ঘ    প্রায় চার ঘণ্টা

৩)   ঝুড়িওয়ালা পথিকের কথা শুনে কী ভেবেছিল?

      ক   পথিক জল চায় খ    পথিক জলপাই চায়

      গ   পথিক কাঁচা আম চায়  ঘ    পথিক আলুবোখরা চায়

৪)   ঝুড়িওয়ালার কাছে কী ছিল?       

      ক   জলপাই   খ    জল

      গ   কাঁচা আম ঘ    চালতা

৫)   পথিক ঝুড়িওয়ালার কাছে কিসের খোঁজ জানতে

      চেয়েছিলেন?                 

      ক   জলপাইয়ের খ    জলের    

      গ   চালতার    ঘ    কাঁচা আমের

৬)   পথিক কোথাকার লোক?                 

      ক   পুবগাঁয়ের খ    পুবপাড়ার 

      গ   পশ্চিমগাঁয়ের   

      ঘ    পশ্চিমপাড়ার

৭)   খালিসপুরে কে চাকরি করে?       

      ক   ঝুড়িওয়ালার দাদা খ    পথিক    

      গ   বৃদ্ধ  ঘ    মামা

৮)   বৃদ্ধ পথিককে কী বলল?     

      ক   জোচ্চোর  খ    হতভাগা  

      গ   পাগল     ঘ    অপদার্থ

৯)   পৃথিবীর কত ভাগ স্থল?                  

      ক   এক ভাগ খ    দুই ভাগ  

      গ   তিন ভাগ ঘ    চার ভাগ

১০)  হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের রাসায়নিক সংযোগ

      হলে কী হবে?               

      ক   এক্সপেরিমেন্ট   খ    জল 

      গ   হাইড্রোফোবিয়া  ঘ    মুশকিল

১১)  ‘হাইড্রোফোবিয়া’ অর্থ কী?    

      ক   জলযোগ   খ    জলাধার  

      গ   জলযান   ঘ    জলাতঙ্ক

১২)  মামা পথিককে বোতল ভরা কী দেখালেন?   

      ক   খাওয়ার জল    খ    পরিশ্রুত জল   

      গ   পুকুরের জল    ঘ    ঘুমড়ির জল

১৩)  গন্ধওয়ালা নোংরা জলে গোলাপি জল ঢালতেই তা

      কী হয়ে গেল?               

      ক   কালো     খ    বেগুনি   

      গ   সাদা ঘ    লাল

১৪)  ‘কিচ্ছু মানি না ও কিচ্ছু বিশ্বাস করি না’Ñ কথাটি ছিলÑ    

      ক   কৌশল    খ    মনের কথা

      গ   রাগের অনুভূতি ঘ    বিরক্তির অনুভূতি

১৫)  পথিক কীভাবে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাওয়ার

      জল আদায় করলেন?              

      ক   জোর করে খ    চুরি করে  

      গ   সুন্দর ব্যবহার দেখিয়ে  ঘ    বুদ্ধি করে

১৬)  ‘অবাক জলপান’ নাটিকায় কয়টি চরিত্রের

      কথোপকথন আছে?               

      ক   দুইটি খ    তিনটি    

      গ   চারটি ঘ    পাঁচটি

১৭)  পথিকের কথা শুনে সবাই কী করছিল? 

      ক   জল খেতে দিচ্ছিল

      খ    তাড়িয়ে দিচ্ছিল

      গ   কথার খুঁত ধরছিল

      ঘ    কৌশলে বোকা বানাচ্ছিল

১৮)  ‘অবাক জলপান’ নাটিকা কে রচনা করেছেন?

      ক   সত্যজিৎ রায়   

      খ    উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী   

      গ   সুকুমার রায়    

      ঘ    সুকুমার বড়ুয়া

১৯)  অবাক জলপান কোন ধরনের রচনা?

      ক   নাটিকা    খ    ছোটগল্প

      গ   প্রবন্ধ ঘ    উপন্যাস

২০)  পথিক ঝুড়িওয়ালার কাছে কী চেয়েছিল?

      ক   কাঁচা আম      খ    জল

      গ   জলপাই   ঘ    পাঁকা আম

২১)  কুকুরে কামড়ালে মামা কোন রোগের কথা বলেছিল?

      ক   ডিপথেরিয়া খ    আমাশয়

      গ   জলাতঙ্ক   ঘ    টাইফয়েড

২২)  পথিক কয়জনের কাছে খাবার জল চেয়েছিল?

      ক   ৪ জন         খ    ৩ জন

      গ   ২ জন    ঘ    ৫ জন

২৩)  বৃদ্ধ পথিককে কয় ধরনের জলের কথা বলতে চেয়েছিল?

      ক   পঁচিশ খ    ত্রিশ

      গ   দশ  ৪.   সাতাশ

২৪)  পথিক শেষ পর্যন্ত কার কাছ থেকে খাবার জল পেয়েছিল?

      ক   বালক     খ    মামা

      গ   ঝুড়িওয়ালা ঘ    বৃদ্ধ

২৫) নাটিকাটিতে বিজ্ঞানীর চরিত্রে কাকে দেখানো হয়েছে?

      ক   ঝুড়িওয়ালা খ    বৃদ্ধ

         গ   বালক                ঘ   মামা

২৬) পথিকের  তেষ্টা পেয়েছিল। অর্থাৎ পথিক ছিলÑ

      (ক)  ক্ষুধার্ত     (খ)  পিপাসার্ত

      (গ)  শীতার্ত     (ঘ)  ভয়ার্ত

২৭)  মামার কাছে পথিকের প্রত্যাশা কী ছিল?

      (ক)  জলের ব্যাপারে আলোচনা

      (খ)  খাবার জল

      (গ)  জলাতঙ্কের বিবরণ

      (ঘ)  নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত জল

২৮) কুকুরের কামড়ে নিচের কোনটি হতে পারে?

      (ক)  জলাতঙ্ক   (খ)  জলতেষ্টা

      (গ)  জলাকাক্সক্ষা    (ঘ) জলপান

২৯)  ‘টাটকা’ শব্দের অর্থ কী?

      (ক)  পরিষ্কার    (খ)  ফুটফুটে

      (গ)  নোংরা     (ঘ)  তাজা

৩০)  মামার কর্মকাণ্ডে পথিকের মনেÑ

      (ক) আগ্রহ সৃষ্টি করে

      (খ)  কৌতূহল সৃষ্টি করে

      (গ)  বিরক্তি সৃষ্টি করে

      (ঘ)  ঘৃণা সৃষ্টি করে

পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর

১)   খ   সকাল থেকে      

২)   ক   প্রায় এক ঘণ্টা  

৩)   খ    পথিক জলপাই চায়

৪)   গ   কাঁচা আম

৫)   খ    জলের      

৬)   ক   পুবগাঁয়ের

৭)   ক   ঝুড়িওয়ালার দাদা

৮)   ঘ    অপদার্থ

৯)   ক   এক ভাগ

১০)  খ    জল 

১১)  ঘ    জলাতঙ্ক

১২)  খ    পরিশ্রুত জল   

১৩)  গ   সাদা  

১৪)  ক   কৌশল   

১৫)  ঘ    বুদ্ধি করে

১৬)  গ   চারটি

১৭)  গ   কথার খুঁত ধরছিল

১৮)  গ   সুকুমার রায়    

১৯)  ক নাটিকা

২০)  খ জল

২১)  গ জলাতঙ্ক

২২)  খ ৩ জন

২৩)  ক পঁচিশ  

২৪)  খ মামা

২৫) ঘ মামা

২৬) (খ) পিপাসার্ত

২৭) (খ) খাবার জল

     ২৮) (ক) জলাতঙ্ক; 

     ২৯) (ঘ) তাজা;  

     ৩০) (গ) বিরক্তি সৃষ্টি করে

পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

১)   পথিকের ঘিলু শুকিয়ে উঠেছিল কেন?

উত্তর : জলের তৃষ্ণায় পথিকের ঘিলু শুকিয়ে উঠেছিল।

২)   নেপথ্যের বালক কী পাঠ করছিল?

উত্তর : নেপথ্যের বালক পাঠ করছিল- ‘পৃথিবীর তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল। সমুদ্রের জল লবণাক্ত, অতি বিস্বাদ’।

৩)   রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বিশ্লেষণ করলে কী পাওয়া যায়?

উত্তর : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বিশ্লেষণ করলে দুই ভাগ হাইড্রোজেন ও এক ভাগ অক্সিজেন পাওয়া যায়।

৪)   ‘ডিস্টিল ওয়াটার’ কী?

উত্তর : ডিস্টিল ওয়াটারকে বাংলায় বলে পরিশ্রুত জল। এ জল পরিষ্কার হলেও খাওয়া যায় না। কেননা এতে কোনো স্বাদ নেই।

৫)   পথিক কীভাবে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাবার জল আদায় করলেন?

উত্তর : পথিক বিজ্ঞানীর নানা রকম জ্ঞানের কথা অবিশ্বাস করার ভান করলেন। বিজ্ঞানীকে দিয়ে তিনি কৌশলে এক গ্লাস খাবার জল আনালেন। জল নিয়ে আসামাত্র বিজ্ঞানীকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পথিক পুরো গ্লাস সাবাড় করে দিলেন। এভাবেই পথিক কৌশলে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাবার জল আদায় করলেন।

৬)   ‘বোবা জল’ বলতে কী বোঝায়?

      উত্তর : বোবা জল বলতে ‘ডিস্টিল ওয়াটার’ বা ‘পরিশ্রুত জল’কে বোঝায়। এ জলে কোনো রকম স্বাদ থাকে না বলে এর নাম ‘বোবা জল’।

৭)   ‘জলাতঙ্ক’ কাকে বলে? এই রোগ কেমন করে হয়?

      উত্তর : ‘জলাতঙ্ক’ হলো এক ধরনের রোগ, যাতে আক্রান্ত হলে মানুষ জলের তৃষ্ণা পেলেও জল খেতে পারে না, বরং তা দেখলেই আতঙ্কিত হয়। ইংরেজিতে একে ‘হাইড্রোফোবিয়া’ বলে।

      জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু  বহনকারী কোনো পশু মানুষকে কামড়ালে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।

৮)   জলের তেষ্টায় পথিকের মনের ও শরীরের অবস্থা কী হয়েছিল? ব্যাখ্যা কর।

      উত্তর : জলের তেষ্টায় পথিকের মন খুবই অস্থির হয়ে পড়ে। একটুখানি পানি পাওয়ার জন্য সে চঞ্চল হয়ে ওঠে।

      পথিকের শরীর পানির অভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। চুল হয়ে গিয়েছিল উসকো খুসকো। চেহারায় ছিল উ™£ান্ত ভাব।

৯.   পথিককে ঝুড়িওয়ালা কত রকম জলের কথা শুনিয়েছিল? নামগুলো লেখ।

      উত্তর : পথিককে ঝুড়িওয়ালা পাঁচ রকম জলের কথা শুনিয়েছিল। নামগুলো হলোÑ ১. কুয়োর জল, ২. নদীর জল, ৩. পুকুরের জল, ৪. কলের জল এবং ৫. মামাবাড়ির জল।

১০)  পানিতে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের পরিমাণ কত?

            উত্তর : পানিতে এক ভাগ অক্সিজেন আর দুই ভাগ হাইড্রোজেন।

১১)  জলাতঙ্ক কী? এটি হলে কী সমস্যা হয়?

            উত্তর : জলাতঙ্ক এক ধরনের রোগ। জলাতঙ্ক হলে পানি খাওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। পানি খেতে গেলেই গলায় খিচ ধরে যায়।

১২)  কার হাইড্রোফোবিয়া হয়েছিল? কীভাবে?

      উত্তর : বদ্যিনাথের হাইড্রোফোবিয়া হয়েছিল। কুকুরের কামড়ে তার এই রোগ হয়েছিল।

পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন

য়    অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।

উত্তর : ভীষণ তৃষ্ণার্ত একজন লোক জলের তেষ্টায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু আরেকজন লোক তাকে পানি পান করতে দেওয়ার বদলে পানির গুণাগুণ সম্পর্কে বিভিন্ন জ্ঞানের কথা বলে চলেছে। তৃষ্ণার্ত লোকটি নানাভাবে তাকে বোঝাতে চায় কিন্তু তার কথার খুঁত ধরে অন্য লোকটি নতুন বিষয় সম্পর্কে কথা বলছে।

পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

পানিতে ক্ষতিকর কোনো কিছু মিশে থাকলে সে পানিকে দূষিত পানি বলা হয়। পানি পরিষ্কার দেখা গেলেও সব সময় তা নিরাপদ নাও হতে পারে। টলটলে পুকুরের পানিও দূষিত হতে পারে। খালি চোখে দেখা যায় না এমন জীবাণু বা ক্ষতিকর পদার্থ এতে মিশে থাকতে পারে। নলকূপের পানি সাধারণত নিরাপদ। তবে আমাদের দেশে কিছু কিছু নলকূপের পানিতে আর্সেনিক নামক বিষাক্ত পদার্থ মিশে আছে। পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না। তবে নলকূপের পানি পরীক্ষা করে বোঝা যায় তাতে আর্সেনিক আছে কি না। যেসব নলকূপের পানিতে আর্সেনিক আছে, সেই নলকূপগুলোকে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব নলকূপের পানি পান করা যাবে না। আর সবুজ দাগ থাকার অর্থ-এর পানি নিরাপদ। দূষিত পানি জীবনের জন্য খুব ক্ষতিকর। দূষিত পানি পান করলে আমরা কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, ডায়রিয়া Ñ এসব পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারি। পেটের পীড়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন পান করলে হাত-পায়ে এক ধরনের ক্ষত বা ঘা তৈরি হয়, যা আর্সেনিকোসিস রোগ নামে পরিচিত। এ রোগের সহজ কোনো চিকিৎসা নেই। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ ধরা পড়লে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করা বন্ধ করলেই সুস্থ হওয়া যেতে পারে। এ রোগ সংক্রামক নয়, অর্থাৎ আর্সেনিকোসিস রোগীদের কাছে গেলে অন্যদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা নেই।

য়    সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।

১)   কোনো নলকূপের গায়ে লাল রং করা দেখলে কী বুঝবে?

      (ক)  পানি নিরাপদ   

      (খ)  পানি আর্সেনিকমুক্ত

      (গ)  পানি খাওয়া যাবে    

      (ঘ)  পানি আর্সেনিকযুক্ত

২)   আর্সেনিকযুক্ত পানি পানের কারণে কোন রোগ হয়?

      (ক)  আর্সেনিকস

      (খ)  আর্সেনসিস

      (গ)  আর্সেনিকোসিস

      (ঘ)  আর্সিনেকোসিস

৩)   আমরা আর্সেনিকোসিসে আক্রান্তদের সাথে কেমন আচরণ করব?

      (ক)  তাদের থেকে দূরে থাকব

      (খ)  তাদের সেবা করব

      (গ)  তাদের আর্সেনিকযুক্ত পানি খাওয়াব

      (ঘ)  তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করব

৪)   আর্সেনিক কী?

      (ক)  এক ধরনের রোগ

      (খ)  এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ

      (গ)  এক ধরনের জীবাণু

      (ঘ)  এক ধরনের ওষুধ

৫)   নিচের কোনটি পানিবাহিত রোগ নয়?

      (ক)  আমাশয়   (খ)  কলেরা

      (গ)  ক্যান্সার   (ঘ)  ডায়রিয়া

      উত্তর : ১) (ঘ) পানি আর্সেনিকযুক্ত; ২) (গ) আর্সেনিকোসিস; ৩) (খ) তাদের সেবা করব;  ৪) (খ) এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ;  ৫) (গ) ক্যান্সার  

য়    নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দ দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।

শব্দ  অর্থ

নিরাপদ   বিপদমুক্ত।

আশঙ্কা    সংশয়, সন্দেহ।

পীড়া বেদনা, ব্যথা।

সংক্রামক  ছোঁয়াচে, সঞ্চারিত হয় এমন।

টলটলে    স্বচ্ছ।

বিষাক্ত    বিষযুক্ত।

ক)  কাল থেকে হালিমার পেটের_____ বেড়েছে।

খ)   দিঘির _____ জল দেখে মন ভালো হয়ে গেল।

গ)   পোলিও _____ ব্যাধি নয

ঘ)   বৃষ্টি হওয়ার ______ থাকায় আমরা ছাতা নিয়ে বের হলাম।

ঙ)   _____ সাপের ছোবলে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

      উত্তর : ক) পীড়া; খ) টলটলে; গ) সংক্রামক; ঘ) আশঙ্কা;   ঙ) বিষাক্ত।

য়    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

ক)  ‘আর্সেনিকোসিস’ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

উত্তর : আর্সেনিকোসিস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য-

১)   দীর্ঘদিন আর্সেনিকযুক্ত পানি পানের ফলে যে রোগের সৃষ্টি হয় তা ‘আর্সেনিকোসিস’ নামে পরিচিত।

২)   এ রোগ হলে হাতে-পায়ে এক ধরনের ক্ষত বা ঘা সৃষ্টি হয়।

৩)   আর্সেনিকোসিস সংক্রামক রোগ নয়।

৪)   এ রোগের সহজ কোনো চিকিৎসা নেই।

৫)   প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগটি ধরা পড়লে আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করতে থাকলেই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

খ)   দূষিত পানি পান করলে কী কী ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে?

উত্তর : দূষিত পানি আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ ধরনের পানি পান করার ফলে আমরা কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, আর্সেনিকোসিস ইত্যাদি পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারি। এছাড়াও পেটের পীড়া, চর্মরোগ ইত্যাদিও দেখা দিতে পারে।

গ)   দূষিত পানি কাকে বলে? নলকূপের পানি আর্সেনিকমুক্ত কি না বোঝার উপায় তিনটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : পানিতে ক্ষতিকর কোনো কিছু মিশে থাকলে সে পানিকে দূষিত পানি বলে।

নলকূপের পানি আর্সেনিকমুক্ত কি না বোঝার উপায়-

১)   পানি দেখে বোঝার উপায় না থাকায় অবশ্যই তা পরীক্ষা করতে হবে।

২)   কোনো নলকূপের গায়ে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা থাকলে বুঝতে হবে তাতে আর্সেনিক আছে।

৩)   সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করা নলকূপের পানি অবশ্যই আর্সেনিকমুক্ত।

ঘ)   টলটলে পুকুরের পানিও পান করা যায় না কেন? চারটি বাক্যে লেখ। 

উত্তর : টলটলে পুকুরের পানি দেখতে পরিষ্কার হলেও এতে অনেক রকম রোগের জীবাণু থাকতে পারে। এগুলোকে খালি চোখে দেখা যায় না। অর্থাৎ দেখতে পরিষ্কার হলেও পুকুরের পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ পানি নিরাপদ নয় বলে পান করা যায় না।

যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ

য়    নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে, বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।

      দ্ধ, ষ্ট, চ্ছ, ন্দ, ঙ্ক।

      উত্তর :

দ্ধ   =    দ + ধ                  শুদ্ধ

           বানানটি শুদ্ধ করে লেখ।   

ষ্ট    =    ষ + ট                  অষ্টম

           ভাইয়া অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।  

চ্ছ   =    চ + ছ                  গুচ্ছ

           এক গুচ্ছ রজনীগন্ধা দিন।

ন্দ   =    ন + দ                  মন্দ 

           আমরা মন্দ পথে চলব না।

ঙ্ক   =    ঙ + ক                 আশঙ্কা

           লোকটি অজানা আশঙ্কায় কাঁপছে।

য়    নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।

      ক্ল, স্ত, চ্চ, স্থ, ক্ষ।

      উত্তর :

      ক্ল   =    ক + ল                 ক্লাস

      –     সকাল আটটা থেকে ক্লাস শুরু হয়।

স্ত   =    স + ত                  মস্ত 

           বাড়িটি মস্ত বড়।

চ্চ   =    চ + চ                  বাচ্চা

           বাচ্চাটি মাঠে খেলছে।

স্থ   =    স + থ                  দুস্থ

           দুস্থ লোকটি কাঁদছে।

ক্ষ   =    ক + ষ                 দক্ষ 

                                               কাকা সাঁতারে বেশ দক্ষ।

বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন

য়    সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।

      দেখুন মশাই কী করে যে কথাটা আপনাদের মাথায় ঢোকাব তা ভেবে পাইনে বলি বারবার করে যে বলছি তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল সেটা তো কেউ কানে নিচ্ছেন না দেখি একটা লোক তেষ্টায় জল জল করছে তবু জল খেতে পায় না এরকম কোথাও শুনেছেন শুনেছি বইকি চোখে দেখেছি

উত্তর : দেখুন মশাই! কী করে যে কথাটা আপনাদের মাথায় ঢোকাব তা ভেবে পাই নে। বলি, বারবার করে যে বলছি তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল, সেটা তো কেউ কানে নিচ্ছেন না দেখি। একটা লোক তেষ্টায় জল জল করছে, তবু জল খেতে পায় না, এরকম কোথাও শুনেছেন? শুনেছি বইকি, চোখে দেখেছি।

য়    সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।

      কী উৎসাহ কী আগ্রহ শুনেও সুখ হয় এরকম জানবার আকাক্সক্ষা আর কজনের আছে বলুন তো

উত্তর : কী উৎসাহ, কী আগ্রহ! শুনেও সুখ হয়। এরকম জানবার আকাক্সক্ষা আর কজনের আছে, বলুন তো?

এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন

য়    এককথায় প্রকাশ কর।

      ক) বিজ্ঞান চর্চা করেন যিনি; খ) তৃষ্ণায় কাতর যিনি;

গ) কাজের আগ্রহ; ঘ) সম্পূর্ণ নতুন এমন; ঙ) ছোট্ট নাটক।

      উত্তর : ক) বিজ্ঞানী; খ) তৃষ্ণার্ত; গ) উৎসাহ; ঘ)  আনকোরা; ঙ) নাটিকা।

য়    ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।

      চলিতেছে, আসিতেছি, পাইবেন, চাহিতেছেন, বকাইয়ো, দেখিয়াছি, খাওয়াইয়া।

      উত্তর : সাধু রূপ চলিত রূপ

চলিতেছে      চলছে

আসিতেছি     আসছি

পাইবেন       পাবেন

চাহিতেছেন     চাচ্ছেন

বকাইয়ো       বকিয়ো

দেখিয়াছি      দেখেছি

   খাওয়াইয়া          খাইয়ে

বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন

য়    নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।

      জল, তৃষ্ণা, খাঁটি, গাঁ, তফাৎ।

      উত্তর :

      মূল শব্দ   সমার্থক শব্দ

      জল  Ñ     পানি, নীর।

      তৃষ্ণা Ñ     তিয়াস, পিপাসা।

      খাঁটি Ñ     বিশুদ্ধ, নির্ভেজাল।

      গাঁও  Ñ     গ্রাম, পল্লি।

      তফাৎ Ñ     পার্থক্য, অমিল।

য়    নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।

      প্রবেশ, সকাল, কাঁচা, রোদ, অন্যায়, সশব্দে, মুখ্যু, আগ্রহ, গুণ, দুর্গন্ধ, পরিষ্কার, বিশ্বাস, টাটকা, খাঁটি।

      উত্তর :

মূল শব্দ        বিপরীত শব্দ    মূল শব্দ        বিপরীত শব্দ

প্রবেশ Ñ     প্রস্থান আগ্রহ     Ñ     অনাগ্রহ

সকাল     Ñ     সন্ধ্যা গুণ  Ñ     দোষ

কাঁচা Ñ     পাকা দুর্গন্ধ Ñ     সুগন্ধ

রোদ Ñ     বৃষ্টি  পরিষ্কার   Ñ     অপরিষ্কার

অন্যায়    Ñ     ন্যায় বিশ্বাস     Ñ     অবিশ্বাস

সশব্দে    Ñ     নিঃশব্দে   টাটকা     Ñ     বাসি

মুখ্যু  Ñ     জ্ঞানী খাঁটি Ñ     ভেজাল

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *