পঞ্চম শ্রেণী বাংলা পঞ্চাদশ অধ্যায় মাটির নিচে যে শহর
মাটির নিচে যে শহর
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
য় সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১) মহাস্থানগড়, ময়নামতি ইত্যাদি হচ্ছে Ñ
ক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিদর্শন
খ প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন
গ আধুনিক নগর
ঘ ইংরেজ আমলের স্থাপত্য
২) লালমাই কোথায় অবস্থিত?
ক কুমিল্লায় খ নরসিংদীতে
গ দিনাজপুওে ঘ টাঙ্গাইলে
৩) খ্রিস্টপূর্ব কত শতকে গঙ্গা নদীর তীরে
সুসভ্য মানুষেরা থাকত?
ক দশ থেকে নয় খ নয় থেকে আট
গ আট থেকে সাত ঘ সাত থেকে ছয়
৪) উয়ারী ও বটেশ্বর প্রকৃতপক্ষে পাশাপাশি অবস্থিত
দুটিÑ
ক নদী খ গ্রাম
গ শহর ঘ পাহাড়
৫) উয়ারী ও বটেশ্বর গ্রামে প্রায়ই কী পাওয়া যেত?
ক প্রাকৃতিক সম্পদ
খ প্রাচীন মানুষের কঙ্কাল
গ প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা
ঘ প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন
৬) ১৯৫৫ সালে শ্রমিকদের ফেলে যাওয়া
লৌহপিণ্ডগুলো কেমন ছিল?
ক ত্রিকোণাকার ও একমুখ চোখা
খ একমুখ চোখা ও হালকা
গ বর্গাকার ও ভারী
ঘ ত্রিকোণাকার ও হালকা
৭) ১৯৫৬ সালে প্রাপ্ত মুদ্রাভাণ্ডারে কতগুলো মুদ্রা ছিল?
ক এক হাজারের মতো
খ দুই হাজারের মতো
গ তিন হাজারের মতো
ঘ চার হাজারের মতো
৮) কখন থেকে হাবিবুল্লাহ পাঠান উয়ারী-বটেশ্বরের
নিদর্শন জাদুঘরে জমা দেন?
ক ১৯৩৩-৩৪ সালের পর থেকে
খ ১৯৫৫-৫৬ সালের পর থেকে
গ ১৯৭৪-৭৫ সালের পর থেকে
ঘ ২০০০-২০০১ সালের পর থেকে
৯) ২০০০ সালে উয়ারী-বটেশ্বরের খননকাজের
নেতৃত্বে কে ছিলেন?
ক হানিফ পাঠান খ হাবিবুল্লাহ পাঠান
গ সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ঘ জাফর ইকবাল
১০) হানিফ পাঠান পেশায় কী ছিলেন?
ক স্কুল শিক্ষক খ কলেজ শিক্ষক
গ মাদ্রাসা শিক্ষক ঘ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক
১১) জনখাঁরটেকে কিসের সন্ধান পাওয়া গেছে?
ক বৌদ্ধ পদ্মমন্দিরের খ দুর্গ-নগরের
গ বৌদ্ধ বিহারের ঘ প্রাচীন জাদুঘরের
১২) উয়ারী-বটেশ্বরের প্রচুর প্রাচীন নিদর্শন সংগ্রহ করে জাদুঘরে কে জমা দেন?
ক হাসিবুল্লাহ পাঠান খ হাফিজুল্লাহ পাঠান
গ হাবিবুল্লাহ পাঠান ঘ শরিফুল্লাহ পাঠান
১৩) একটি বৌদ্ধবিহারের সন্ধান পাওয়া গেছেÑ
ক ভাষানটেকে খ জানখাঁরটেকে
গ টেকেরহাটে ঘ টঙ্গীরটেকে
১৪) কোন নদীপাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছিল সুসভ্য মানুষজনের বসবাস?
ক বুড়িগঙ্গা খ ব্রহ্মপুত্র
গ শীতলক্ষ্যা ঘ মেঘনা
১৫) ব্রহ্মপুত্র নদ বয়ে গিয়েছে কোন অঞ্চলের পাশ দিয়ে?
ক মধুপুর খ ময়নামতি
গ পাহাড়পুর ঘ নরসিংদী
১৬) এই সভ্যতা প্রাচীনকালে কী নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিত ছিল?
ক রূপাগড়া খ মনগড়া
গ সোনাগড়া ঘ সোনাঝুরি
১৭) ‘সভ্য’ শব্দটির অর্থ কী?
(ক) জনপদ (খ) ভদ্র
(গ) অনুন্নত (ঘ) উন্নত
১৮) ঢাকা থেকে উয়ারী-বটেশ্বরের অবস্থান কোন দিকে?
(ক) পূর্ব দিকে (খ) উত্তর দিকে
(গ) উত্তর-পূর্ব দিকে (ঘ) উত্তর-পশ্চিম দিকে
১৯) উয়ারী-বটেশ্বর থেকে পাওয়া নিদর্শন গবেষণা করে কী বোঝা যায়?
(ক) এখানে সভ্য মানুষদের বাস ছিল
(খ) মানুষের জীবনযাত্রা অনুন্নত ছিল
(গ) যুদ্ধ-বিগ্রহ বেশি হতো
(ঘ) স্থানটি বেশি দিনের পুরনো নয়
২০) ‘মূল্যবান’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) দামি (খ) ভদ্র
(গ) রৌপ্য (ঘ) প্রতœসম্পদ
২১) অনুচ্ছেদে মূলত কী প্রকাশিত হয়েছে?
(ক) প্রাচীন মৃৎশিল্পের পরিচিতি
(খ) ঐতিহাসিক স্থাপত্যের পরিচয়
(গ) বিখ্যাত প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনার পরিচয়
(ঘ) আধুনিক জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা
২২) ‘প্রাচীন’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) প্রাকৃতিক
(খ) প্রতœতাত্ত্বিক স্থান
(গ) অনেক পুরাতন
(ঘ) উচ্চ গুণসম্পন্ন
২৩) উয়ারী-বটেশ্বরের প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের প্রথম প্রচেষ্টা নেওয়া হয় কত সালে?
(ক) ১৯৩৩ সালে (খ) ১৯৫৫ সালে
(গ) ১৯৭০ সালে (ঘ) ২০০০ সালে
২৪) ‘খনন’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) উদ্ধার করা (খ) গবেষণা করা
(গ) আবিষ্কার করা (ঘ) গর্ত করা
২৫) হাবিবুল্লাহ পাঠান প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করে কোথায় জমা দেন?
(ক) থানায় (খ) স্কুলে
(গ) জাদুঘরে (ঘ) চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে
২৬) ‘উয়ারী’ হলো একটি-
(ক) জাদুঘরের নাম
(খ) গ্রামের নাম
(গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম
(ঘ) শহরে নাম
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১) খ প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন
২) ক কুমিল্লায়
৩) ঘ সাত থেকে ছয়
৪) খ গ্রাম
৫) ঘ প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন
৬) ক ত্রিকোণাকার ও একমুখ চোখা
৭) ঘ চার হাজারের মতো
৮) গ ১৯৭৪-৭৫ সালের পর থেকে
৯) গ সুফি মোস্তাফিজুর রহমান
১০) ক স্কুল শিক্ষক
১১) গ বৌদ্ধ বিহারের
১২) গহাবিবুল্লাহ পাঠান
১৩) খ জানখাঁরটেকে
১৪) গ শীতলক্ষ্যা
১৫) ঘ নরসিংদী
১৬) গ সোনাগড়া
১৭) (খ) ভদ্র
১৮) (গ) উত্তর-পূর্ব দিকে
১৯) (ক) এখানে সভ্য মানুষদের বাস ছিল
২০) (ক) দামি
২১) (গ) বিখ্যাত প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনার পরিচয়
২২) (গ) অনেক পুরাতন
২৩) (ক) ১৯৩৩ সালে
২৪) (ঘ) গর্ত করা
২৫) (গ) জাদুঘরে
২৬) (খ) গ্রামের নাম
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১) ময়নামতি, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর এগুলো দূর থেকে সহজেই দেখা যায় কেন?
উত্তর : ময়নামতি, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর এগুলো মাটির ওপর ঢিবির আকারে অবস্থিত। তাই এগুলোকে দূর থেকেও সহজে দেখা যায়।
২) মহাস্থানগড় ও মধুপুর গড়ের মাটি দেখে মৃত্তিকা বৈজ্ঞানিকগণ কী বলেন?
উত্তর : মহাস্থানগড় ও মধুপুর গড়ের মাটি দেখে মৃত্তিকা বৈজ্ঞানিকগণ বলেন, এ অঞ্চলের মাটি হাজার হাজার বছরের পুরনো।
৩) উয়ারী-বটেশ্বর স্থানটি নরসিংদীর কোন কোন উপজেলায় অবস্থিত?
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বর স্থানটি নরসিংদীর বেলাব ও শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত।
৪) উয়ারী-বটেশ্বর রাজ্যের সাথে কাদের যোগাযোগ ছিল বলে ধারণা করা হয়?
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বর রাজ্যের সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে রোমান সাম্রাজ্যের যোগাযোগ ছিল বলে ধারণা করা হয়।
৫) উয়ারী-বটেশ্বর সম্পর্কে অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের মতামত কী?
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বর সম্পর্কে অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান মত প্রকাশ করেন, অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী এবং সঠিক পরিকল্পনায় গড়া এই সভ্যতাটি প্রাচীন কালে ‘সোনাগড়া’ নামে পরিচিত ছিল।
৬) উয়ারী-বটেশ্বর থেকে কত দূরে কোথায় বৌদ্ধ পদ্মমন্দির আবিষ্কৃত হয়েছে?
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে শিবপুর উপজেলার মন্দির ভিটায় একটি বৌদ্ধ পদ্মমন্দির আবিষ্কৃত হয়েছে।
৭) উয়ারী-বটেশ্বর বলে যা শোনা যায় তা আসলে কী?
উত্তর : উয়ারী আর বটেশ্বর আসলে পাশাপাশি দুটি গ্রাম। এ স্থানসমূহের মাটি খুঁড়ে সুপ্রাচীন এক নগর-জনপদের সন্ধান পাওয়া গেছে। বর্তমানে উয়ারী-বটেশ্বর বলতে বাংলাদেশের একটি প্রতœতাত্ত্বিক স্থানকে নির্দেশ করা হয়।
৮) উয়ারী-বটেশ্বর ঢাকা থেকে কত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত?
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বর ঢাকা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
৯) উয়ারী-বটেশ্বর কোন জেলায় অবস্থিত? সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচয় লেখ।
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বর নরসিংদী জেলায় অবস্থিত।
সুফি মোস্তাফিজুর রহমান হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর নেতৃত্বে ২০০০ সালে উয়ারী-বটেশ্বরের খনন কাজ শুরু হয়।
১০) উয়ারী-বটেশ্বরের মাটি খনন করে কী কী নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বরের মাটি খনন করে মহামূল্যবান সব প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গ-নগর, ইটের স্থাপত্য, বন্দর, রাস্তা, গলি, পোড়ামাটির ফলক, মূল্যবান পাথর, পাথরের বাটখারা, কাচের পুঁতি, মুদ্রাভাণ্ডার ইত্যাদি।
১১) প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন বলতে কী বোঝ? বাংলাদেশের প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি সম্পর্কে যা জান লেখ।
উত্তর : প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন বলতে আমরা বুঝি এমন একটি ঐতিহাসিক স্থানকে যেখান থেকে অনেক পুরাতন জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ সোনারগাঁ, পাহাড়পুর, মহাস্থানগড়, ময়নামতি ইত্যাদি।
সোনারগাঁ : সোনারগাঁ অবস্থান ঢাকা থেকে সাতাশ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। এটি মুঘল আমলের প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র ছিল। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোর মধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত কেল্লা, মসজিদ, পানাম নগরের ধ্বংসাবশেষ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
পাহাড়পুর : রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত। এখানে পাল বংশের রাজাদের সময়ের প্রতœস্থলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখানকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তিটি সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত।
মহাস্থানগড় : এটি খ্রিষ্টপূর্ব চার শতক থেকে পরবর্তী পনেরো শত বছরের বেশি সময়কালের বাংলার ইতিহাসের চিহ্ন বহন করে। এখানে প্রাচীন ‘পুণ্ড্রনগর’-এর ধ্বংসাবশেষ আছে। এটি বগুড়া শহর থেকে তেরো কি.মি. উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। এখানকার মাটি খুঁড়ে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়নামতি : কুমিল্লা শহর থেকে আট কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এর অবস্থান। এখানে অনেকগুলো প্রতœস্থলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ স্থানগুলোতে মিলেছে বৌদ্ধ সভ্যতার অনেক নিদর্শন। হিন্দু ও জৈন ধর্মের অনেক দেব-দেবীর মূর্তিও পাওয়া গেছে।
১২) উয়ারী-বটেশ্বরের প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন কীভাবে মানুষের নজরে এলো?
উত্তর : ১৯৩৩ সালে উয়ারী গ্রামে শ্রমিকরা মাটি খনন করার সময় কিছু মুদ্রার সন্ধান পায়। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক হানিফ পাঠান সেখান থেকে ২০-৩০টি মুদ্রা সংগ্রহ করেন।
পরবর্তীতে তাঁর ছেলে হাবিবুল্লাহ পাঠান এখান থেকে ত্রিকোণাকার ও একমুখ চোখা দুটি লৌহপিণ্ড, রৌপ্যমুদ্রা ইত্যাদি সংগ্রহ করেন। ১৯৭৪-৭৫ সালের পর থেকে উয়ারী-বটেশ্বরের প্রচুর নিদর্শন সংগ্রহ করে জাদুঘরে জমা দেন।
২০০০ সালে অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ প্রতœতাত্ত্বিক স্থানে খননকাজ শুরু হয়। এ সময় নানা রকম মূল্যবান প্রতœসম্পদের সন্ধান পাওয়া যায় এবং স্থানটি বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করে।
১৩) উয়ারী-বটেশ্বর এলাকটি বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অবস্থিত? এই এলাকাটির প্রতœতাত্ত্বিক অঞ্চলে পরিণত হওয়ার পিছনে কী কারণ তা লেখ।
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বর এলাকাটি নরসিংদী জেলার বেলাব ও শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত। এ এলাকাটি মধুপুর গড় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
ভূমিকম্প, বন্যা-প্লাবন, নদীভাঙন ইত্যাদি নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে একটি অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতিতে সময়ের সাথে সাথে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে। উয়ারী-বটেশ্বর এলাকাটিতেও একইভাবে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ফলে সুসভ্য এই নগর-জনপদটি কালের বিবর্তনে মাটিচাপা পড়ে হারিয়ে যায়। এভাবেই এটি প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনে পরিণত হয়েছে।
১৪) ব্রহ্মপুত্র নদ আগে কোথা দিয়ে প্রবাহিত হতো আর এখন কোথায়?
উত্তর : ব্রহ্মপুত্র নদটি ১৭৭০ সাল পর্যন্ত প্রাচীন সোনারগাঁ নগরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হতো। পরবর্তীতে এর গতিপথ পরিবর্তিত হয়। বর্তমানে এটি নরসিংদী দিয়ে বয়ে চলেছে।
১৫) কোন কোন নিদর্শন থেকে উয়ারী-বটেশ্বরের সময়কাল জানা যায়?
উত্তর : ১৯৩৩ সালে উয়ারী গ্রামে শ্রমিকরা মাটি খননের সময় কিছু মুদ্রার সন্ধান পান। এ মুদ্রাগুলো ছিল বঙ্গদেশের ও ভারতের প্রাচীনতম রৌপ্যমুদ্রা।
পরবর্তী সময়ে ২০০০ সালে উয়ারী-বটেশ্বরে খননকাজ শুরু হয়। এ সময় এখান থেকে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোকে গবেষণা করে বিশেষজ্ঞদের ধারণা হয় যে মাটির নিচে থাকা এ স্থানটি প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো।
১৬) উয়ারী-বটেশ্বর এলাকাটি সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণ যা ধারণা করেছেন তা বর্ণনা কর।
উত্তর : ঐতিহাসিকগণের ধারণা, উয়ারী-বটেশ্বরের মাটির নিচে থাকা স্থানটি প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো। ব্রহ্মপুত্র নদ হয়ে বঙ্গোপসাগরের মধ্য দিয়ে এই জনপদের ব্যবসায় বাণিজ্য চলত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে সুদূর রোমান সাম্রাজ্য পর্যন্ত ‘উয়ারী-বটেশ্বর’ রাজ্যের যোগাযোগ ছিল।
১৭) ১৯৩৩ সালে উয়ারী গ্রামে শ্রমিকরা মাটি খননকালে কী পায়?
উত্তর : ১৯৩৩ সালে উয়ারী গ্রামে শ্রমিকরা মাটি খননকালে একটি পাত্রে জমানো কিছু রৌপ্যমুদ্রা পায়।
১৮) উয়ারী-বটেশ্বরের নিদর্শন সংগ্রহে মোহাম্মদ হানিফ পাঠানের ভূমিকা সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ
উত্তর : ১। মোহাম্মদ হানিফ পাঠান ১৯৩৩ সালে উয়ারী-বটেশ্বর থেকে প্রাপ্ত রৌপ্যমুদ্রা সংরক্ষণ করেন।
২। এখানকার নির্দশন সংগ্রহের ব্যাপারে তাঁর ছেলে হাবিবুল্লাহ পাঠানকে সচেতন করে তোলেন।
১৯) হাবিবুল্লাহ পাঠান তাঁর সংগ্রহ করা প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন জাদুঘরে জমা দেন কেন?
উত্তর : হাবিবুল্লাহ পাঠানের সংগ্রহ করা প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো বাংলার প্রাচীন সভ্যতার পরিচয় বহন করে। জাদুঘরে সেগুলো রাখা হলে তা থেকে মানুষ অনেক কিছু জানতে পারবে। এই বিষয়টি বুঝেছিলেন হাবিবুল্লাহ পাঠান। তাই তিনি নিদর্শনগুলো জাদুঘরে জমা দেন।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
য় অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : নরসিংদী জেলায় অবস্থিত উয়ারী-বটেশ্বর বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রতœতাত্ত্বিক স্থান। ২০০০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্বের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমানে নেতৃত্বে এখানে খনন কাজ শুরু হয়। এখান থেকে পাওয়া যায় অনেক মূল্যবান প্রতœসম্পদ। এগুলো বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, এখানে অনেক আগে উন্নত মানুষদের বসবাস ছিল।
য় অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বর হলো পাশপাশি দুটি গ্রাম। এই দুই গ্রামে মাটি খননকালে নানা ধরনের প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যেত। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ পাঠান ও তাঁর ছেলে এ নিদর্শনগুলো সংগ্রহ করেন। প্রাপ্ত নির্দশনগুলো এ অঞ্চলে প্রাচীন জনপদের অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
পাহাড়পুর বিহারের আরেক নাম ‘সোমপুর বিহার’। এটি রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার ‘পাহাড়পুর’ গ্রামে অবস্থিত। প্রায় ১৪শ বছর আগে বৌদ্ধধর্মের ভিক্ষুগণ এখানে থেকে ধর্মচর্চা করতেন আর শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন। প্রকাণ্ড এই কীর্তি একসময় খালি পড়ে থাকে। ধারণা করা হয়, যুগ যুগ ধরে ধুলাবালি ও মাটি উড়ে এসে এর চারদিকে জমে। একসময় এটি মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে পাহাড়ের মতো হয়ে যায় বলে এর নাম পাহাড়পুর। মহাস্থানগড় বগুড়া জেলা থেকে ৮ কি.মি. উত্তরে অবস্থিত। ধর্মীয় দিক থেকে মহাস্থানগড় হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলমানদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। এখানে টিলার মতো উঁচু দেখতে গোবিন্দভিটা নামের একটি প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই প্রতœস্থলের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদী। এ নগরের প্রাচীন নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন, যাকে এখন পুণ্ড্রনগরও বলা হয়। ধ্বংসাবশেষ খনন করে এখানে জৈন, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মের নিদর্শনও পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের এ ধরনের পুরাকীর্তিগুলো সংরক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতœতাত্ত্বিক জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাহাড়পুর, ময়নামতি ও মহাস্থানগড়ে এ ধরনের জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতœতত্ত্ব নিদর্শন থেকে নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে এই জাদুঘর। আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা এই ইতিহাসখ্যাত স্থানসমূহ পরিদর্শন করার মাধ্যমে তাদের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
য় সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) সোমপুর বিহার দেখতে হলে তোমাকে বাংলাদেশের কোন বিভাগে যেতে হবে?
(ক) ঢাকা (খ) রাজশাহী
(গ) সিলেট (ঘ) খুলনা
২) মহাস্থানগড়ের আদি নাম কী?
(ক) সোমপুর বিহার (খ) পুণ্ড্রবর্ধন
(গ) রাজবন বিহার (ঘ) গোবিন্দভিটা
৩) শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবেÑ
(ক) প্রতœস্থলগুলো সংরক্ষণ করলে
(খ) প্রতœস্থলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভ্রমণ করালে
(গ) প্রতœস্থলে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করলে
(ঘ) প্রতœস্থলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখলে
৪) গোবিন্দভিটার পাশ দিয়ে কোন নদীটি বয়ে গেছে?
(ক) যমুনা (খ) মেঘনা
(গ) সুরমা (ঘ) করতোয়া
৫) জাদুঘর প্রতœনিদর্শন কাদের জ্ঞানার্জনে সহায়তা করে?
(ক) মুক্তিযোদ্ধা (খ) নতুন প্রজন্ম
(গ) শিক্ষক (ঘ) পর্যটক
উত্তর : ১) (খ) রাজশাহী; ২) (খ) পুণ্ড্রবর্ধন; ৩) (খ) প্রতœস্থলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভ্রমণ করালে; ৪) (ঘ) করতোয়া; ৫) (খ) নতুন প্রজন্ম।
য় নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
শিষ্য ছাত্র।
সমৃদ্ধ উন্নত।
পুরাকীর্তি কৃতিত্বের পরিচায়ক অতি পুরাতন প্রতিষ্ঠান।
সংরক্ষণ বিশেষ উদ্দেশ্যে রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান।
প্রকাণ্ড অতি বিশাল।
পরিদর্শন মনোযোগ দিয়ে দেখা, পর্যবেক্ষণ।
ক) নীল তিমি এক প্রাণী।
খ) সালাম স্যারের তাঁকে সালাম দিল।
গ) পরিবেশ রক্ষার জন্য বন্যপ্রাণী খুব জরুরি।
ঘ) আমরা গতকাল জাদুঘরটি করেছি।
ঙ) সোনারগাঁ একসময় কাপড়ের ব্যবসার কারণে হয়েছিল।
উত্তর : ক) প্রকাণ্ড; খ) শিষ্য; গ) সংরক্ষণ; ঘ) পরিদর্শন; ঙ) সমৃদ্ধ।
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) সোমপুর বিহার কোন গ্রামে অবস্থিত? সোমপুর বিহারকে ‘পাহাড়পুর’ বলা হয় কেন তা চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : সোমপুর বিহার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত।
সোমপুর বিহারে একসময় বৌদ্ধ ধর্মের চর্চা হলেও একসময় এটি খালি পড়ে থাকে। সম্ভবত যুগ যুগ ধরে ধুলাবালি উড়ে আসায় এটি একসময় সম্পূর্ণরূপে মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে যায়। তখন এর আকৃতি হয়ে যায় পাহাড়ের মতো। এ কারণেই এই পুরাকীর্তির নাম পাহাড়পুর।
খ) মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য :
১) মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতœতাত্ত্বিক স্থান।
২) মহাস্থানগড় রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত।
৩) মহাস্থানগড়ের পাশে রয়েছে করতোয়া নদী।
৪) মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষ খনন করে জৈন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইসলাম ধর্মের নানা নিদর্শন পাওয়া গেছে।
৫) মহাস্থানগড়ের প্রাচীন নাম পুণ্ড্রবর্ধন।
গ) ইতিহাস বিখ্যাত স্থান পরিদর্শনের গুরুত্ব পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ইতিহাস বিখ্যাত স্থান পরিদর্শনের গুরুত্ব নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলোÑ
১) ঐতিহাসিক স্থানটির অতীত সম্পর্কে জানা যায়।
২) অতীত ও বর্তমানের মধ্যে তুলনা করা যায়।
৩) ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করা যায়।
৪) অতীতের ভুল পর্যালোচনা করে শিক্ষা নেওয়া যায়।
৫) ঐতিহাসিক অনেক কিছু সরাসরি দেখা যায়।
ঘ) বাংলাদেশের পুরাকীর্তিগুলোর উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশের পুরাকীর্তিগুলোর উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেমনÑ
১) বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে প্রতœতাত্ত্বিক জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।
২)পুরাকীর্তিগুলো সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে এসব বিখ্যাত স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
য় নিচের যুক্ত বর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
হ্ম, শ্ব, ষ্ক, দ্ম।
উত্তর :
হ্ম = হ + ম ব্রাহ্মণ
– ব্রাহ্মণরা নিজেদের উঁচু শ্রেণির মানুষ বলে ভাবে।
শ্ব = শ + ব-ফলা ( ¦ ) বিশ্ব
– বিশ্বে সাতশ কোটির বেশি মানুষের বাস।
ষ্ক = ষ + ক দুষ্কর
– কাজটি খুব দুষ্কর।
দ্ম = দ + ম ছদ্মবেশ
– ছদ্মবেশের কারণে তাকে চিনতে পারিনি।
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
তœ, ত্ত্ব, ষ্ঠ, স্থ, শ্চ।
উত্তর :
তœ = ত + ন যতœ
– মা আমাকে অনেক যতœ করেন।
ত্ত্ব = ত + ত + ব তত্ত্বাবধান
– সেলিম স্যার বনভোজনের তত্ত্বাবধান করছেন।
ষ্ঠ = ষ + ঠ গোষ্ঠী
– বাংলাদেশে আছে নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ।
স্থ = স + থ অস্থির
– চড়–ই অস্থির স্বভাবের পাখি।
শ্চ = শ + চ পশ্চিম
বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন
য় বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
সে সময় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছিল সুসভ্য মানুষজনের বসবাস ছিল নগর সভ্যতা পূর্ব দক্ষিণ দিক দিয়ে ভৈরবের মেঘনা হয়ে এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য সুদূর জনপদ পর্যন্ত প্রসারিত ছিল
উত্তর : সে সময় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছিল সুসভ্য মানুষজনের বসবাস। ছিল নগর সভ্যতা। পূর্ব-দক্ষিণ দিক দিয়ে ভৈরবের মেঘনা হয়ে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য সুদূর জনপদ পর্যন্ত প্রসারিত ছিল।
য় সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
সেগুলো সবই মাটির ওপরে ঢিবির আকারে তাই সহজে দূর থেকেই দেখা যায় কিন্তু এ দেশে মাটির নিচে রয়ে গিয়েছিল এক প্রাচীন নগর সভ্যতা।
উত্তর : সেগুলো সবই মাটির ওপরে, ঢিবির আকারে, তাই সহজে দূর থেকেই দেখা যায়। কিন্তু এদেশে মাটির নিচে রয়ে গিয়েছিল এক প্রাচীন নগর-সভ্যতা।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
য় এককথায় প্রকাশ কর।
ক) বহুকাল পূর্বের এমন; খ) যাঁরা ইতিহাস ভালো জানেন; গ) যা পাওয়া গেছে; ঘ) ছাপ দ্বারা অঙ্কিত; ঙ) যেখানে অনেক জন-মানুষ একত্রে বাস করে।
উত্তর : ক) প্রাচীন; খ) ঐতিহাসিক; গ) প্রাপ্ত;
ঘ) ছাপাঙ্কিত; ঙ) জনপদ।
য় ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
থাকিবে, পড়িতেছে, খুঁড়িয়া, বদলাইয়া, চলিত, হইয়াছে
উত্তর : সাধু রূপ চলিত রূপ
থাকিবে থাকবে
পড়িতেছে পড়ছে
খুঁড়িয়া খুঁড়ে
বদলাইয়া বদলে
চলিত চলত
হইয়াছে হয়েছে
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
য় নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
চোখা, প্রাচীন, পুরনো, মূল্যবান, সভ্য।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
চোখা Ñ ভোঁতা
প্রাচীন আধুনিক
পুরনো Ñ নতুন
মূল্যবান Ñ মূল্যহীন
সভ্য Ñ অসভ্য
য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
নদী, নিদর্শন, মৃত্তিকা, প্রাচীর।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
নদী Ñ তটিনী, স্রোতস্বিনী।
নিদর্শন Ñ প্রমাণ, চিহ্ন।
মৃত্তিকা Ñ মাটি, ভূ-ত্বক।
প্রাচীর Ñ পাঁচিল, দেয়াল।