পঞ্চম শ্রেণী বাংলা দশম অধ্যায় স্মরণীয় যাঁরা চিরদিন
স্মরণীয় যাঁরা চিরদিন
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
য় সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১) বাংলাদেশ কত সালে স্বাধীনতা অর্জন করে?
ক ১৯৪৭ সালে খ ১৯৫২ সালে
গ ১৯৭১ সালে ঘ ১৯৯৯ সালে
২) কীভাবে বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে?
ক ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে
খ গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে
গ ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে
ঘ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে
৩) স্বাধীনতার জন্য আমরা কাদের কাছে কৃতজ্ঞ?
ক শহিদদের কাছে
খ রাজাকারদের কাছে
গ হানাদার বাহিনীর কাছে
ঘ পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে
৪) ১৯৭১ সালের ২৫এ মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এ দেশে কী হয়?
ক ভাষা আন্দোলন খ ছয় দফা আন্দোলন
গ মুক্তিযুদ্ধ ঘ সিপাহি বিদ্রোহ
৫) পাকিস্তানিরা এদেশে দীর্ঘ নয় মাস কী চালিয়েছিল?
ক সুশাসন খ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ
গ সুবিচার ঘ চোরাগোপ্তা হামলা
৬) রাজাকার, আলবদর বাহিনীতে যোগ দেওয়া মানুষগুলো ছিল Ñ
ক আলোকিত খ বরেণ্য
গ হৃদয়হীন ঘ নির্লোভ
৭) অধ্যাপক এম. মুনিরুজ্জামান কী পড়াতেন?
ক বিজ্ঞান খ ইংরেজি
গ বাংলা ঘ গণিত
৮) প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনে অধ্যাপক এম.
মুনিরুজ্জামান কী করলেন?
ক জানালা খুলে বসলেন
খ পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে চাইলেন
গ কোরআন পড়া শুরু করলেন
ঘ বাইরে বেরিয়ে এলেন
৯) অধ্যাপক এম. মুনিরুজ্জামানের বাড়ির নিচতলায় কে থাকতেন?
ক অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব
খ অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
গ সাংবাদিক মেহেরুন্নেসা
ঘ সুরকার আলতাফ মাহমুদ
১০) অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব কোন বিষয়ের নামকরা শিক্ষক ছিলেন?
ক ইংরেজি খ বিজ্ঞান
গ বাংলা ঘ দর্শন
১১) শহিদ সাবের ২৫এ মার্চ রাতে কোন পত্রিকা অফিসে ঘুমিয়ে ছিলেন?
ক দৈনিক বাংলা খ দৈনিক আজাদ
গ দৈনিক সংবাদ ঘ দৈনিক জনকণ্ঠ
১২) কী হিসেবে সাংবাদিক মেহেরুন্নেসার পরিচিতি ছিল?
ক কবি খ সুরকার
গ সংগীতশিল্পী ঘ ছড়াকার
১৩) যোগেশচন্দ্র ঘোষ কত বছর বয়সে প্রাণ হারান?
ক ৮০ বছর খ ৮৪ বছর
গ ৮৫ বছর ঘ ৮৮ বছর
১৪) ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কত সালে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তুলেছিলেন?
ক ১৯৪৭ সালে খ ১৯৪৮ সালে
গ ১৯৫২ সালে ঘ ১৯৫৮ সালে
১৫) সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কে?
ক সাধনচন্দ্র ঘোষ খ যোগেশচন্দ্র ঘোষ
গ নতুনচন্দ্র সিংহ ঘ আর.পি সাহা
১৬) ভাষাশহিদদের স্মরণ করে একুশে ফেব্রুয়ারি কোথায় ফুল দেওয়া হয়?
ক জাতীয় স্মৃতিসৌধে
খ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে
গ শহিদ মিনারে
ঘ রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে
১৭) পাকবাহিনী কখন বুঝতে পারে যে তাদের পরাজয় অবধারিত?
ক মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই
খ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়া মাত্রই
গ মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে
ঘ মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষ দিকে
১৮) অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন?
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
খ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
গ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১৯) অধ্যাপক রাশীদুল হাসান কিসের অধ্যাপক ছিলেন?
ক ইংরেজির খ দর্শনের
গ ইতিহাসের ঘ গণিতের
২০) ফজলে রাব্বী ছিলেন প্রখ্যাতÑ
ক সাংবাদিক খ চিকিৎসক
গ অধ্যাপক ঘ লেখক
২১) ১৪ই ডিসেম্বর আমরা কোন দিবসটি পালন করি?
ক মাতৃভাষা দিবস
খ ভাষাশহিদ দিবস
গ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস
ঘ বিজয় দিবস
২২) শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আমরা ভুলব না কেন?
ক দেশের জন্য জীবন দিয়েছিলেন বলে
খ দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন বলে
গ অনেক জ্ঞানী ছিলেন বলে
ঘ দেশের অপূরণীয় ক্ষতি করেছিলেন বলে
২১) কোন তারিখে পাকিস্তানি সেনারা ঢাকার নিরস্ত্র, ঘুমন্ত মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে?
ক ১৯৭১ সালের সাতাশে মার্চ
খ ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ
গ ১৯৭১ সালের ঊনত্রিশে মার্চ
ঘ ১৯৭১ সালের ছাব্বিশে মার্চ
২২) প্রতি বছর ১৪ই ডিসেম্বর পালন করা হয়Ñ
ক ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে
খ ‘মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে
গ ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে
ঘ ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে
২৩) দেশ স্বাধীন হবার পর বুদ্ধিজীবীদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়Ñ
ক মিরপুর ও রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে
খ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
গ ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে
ঘ সংবাদপত্র অফিসে
২৪) ভাষা দিবসের সাথে জড়িয়ে আছে কোন দুজনের নাম?
(ক) রণদাপ্রসাদ সাহা ও যোগেশচন্দ্র ঘোষ
(খ) ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও রণদাপ্রসাদ সাহা
(গ) যোগেশচন্দ্র ঘোষ ও আলতাফ মাহমুদ
(ঘ) ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও আলতাফ মাহমুদ
২৫) ‘আয়ুর্বেদ’ হলোÑ
(ক) প্রযুক্তি নির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি
(খ) অ্যালোপ্যাথি নির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি
(গ) কবিরাজি নির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি
(ঘ) জাদুবিদ্যা নির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি
২৬) সাধনা ঔষধালয় হলোÑ
(ক) একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
(খ) একটি আয়ুর্বেদীয় প্রতিষ্ঠান
(গ) রণদা প্রসাদ সাহার কীর্তি
(ঘ) নতুনচন্দ্র সিংহের কীর্তি
২৭) ‘প্রখ্যাত’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) প্রমাণিত (খ) প্রচলিত
(গ) প্রয়োজনীয় (ঘ) প্রসিদ্ধ
২৮) অনুচ্ছেদ থেকে বলা যায় পাক হানাদাররা হত্যা করেছিল এ দেশের Ñ
(ক) বরেণ্য মানুষদের (খ) ধনী মানুষদের
(গ) দুর্নীতিবাজ মানুষদের (ঘ) বয়স্ক মানুষদের
২৯) ‘নিরস্ত্র’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) অস্ত্রে ভয় নেই যার
(খ) অস্ত্র চেনে না যে
(গ) অস্ত্রের ব্যবহার জানে না যে
(ঘ) অস্ত্র নেই যার
৩০) অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা যে বাড়িতে থাকতেন সে বাড়িতেই থাকতেনÑ
(ক) অধ্যাপক গোবিন্দবন্দ্র দেব
(খ) অধ্যাপক এম. মুনিরুজ্জামান
(গ) অধ্যাপক রাশীদুল হাসান
(ঘ) অধ্যাপক সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
৩১) গোলাগুলির শব্দ শুনে অধ্যাপক এম. মুনিরুজ্জামান পবিত্র কোরান পড়া শুরু করলেন কেন?
(ক) প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলেন বলে
(খ) আরবি সাহিত্যের শিক্ষক ছিলেন বলে
(গ) ভয় পাননি বলে
(ঘ) হানাদারদের নির্দেশ ছিল বলে
৩২) ‘বরেণ্য’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) ধন্য (খ) অপ্রয়োজনীয়
(গ) মান্য (ঘ) বর্জনীয়
৩৩) অনুচ্ছেদে মূলত বলা হয়েছে-
(ক) বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা
(খ) আলোকিত মানুষ হওয়ার উপায়
(গ) বাংলার মানুষের প্রতিরোধের কথা
(ঘ) হানাদারদের পরাজয়ের কথা
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১) গ ১৯৭১ সালে
২) ঘ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে
৩) ক শহিদদের কাছে
৪) গ মুক্তিযুদ্ধ
৫) খ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ
৬) গ হৃদয়হীন
৭) ক বিজ্ঞান
৮) গ কোরআন পড়া শুরু করলেন
৯) খ অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
১০) ঘ দর্শন
১১) গ দৈনিক সংবাদ
১২) ক কবি
১৩) খ ৮৪ বছর
১৪) খ ১৯৪৮ সালে
১৫) খ যোগেশচন্দ্র ঘোষ
১৬) গ শহিদ মিনারে
১৭) ঘ মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষ দিকে
১৮) ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯) ক ইংরেজির
২০) খ চিকিৎসক
২১) গ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস
২২) ক দেশের জন্য জীবন দিয়েছিলেন বলে
২১) খ ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ
২২) গ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে
২৩) ক মিরপুর ও রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে
২৪) (ঘ) ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও আলতাফ মাহমুদ;
২৫) (গ) কবিরাজি নির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি;
২৬) (খ) একটি আয়ুর্বেদীয় প্রতিষ্ঠান;
২৭) (ঘ) প্রসিদ্ধ;
২৮) (ক) বরেণ্য মানুষদের।
২৯) (ঘ) অস্ত্র নেই যার;
৩০) (খ) অধ্যাপক এম. মুনিরুজ্জামান;
৩১) (ক) প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলেন বলে;
৩২) (গ) মান্য;
৩৩) (ক) বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা।
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১) ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা এদেশে কী করেছিল?
উত্তর : ১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা এদেশে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। গভীর রাতে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিল ঘুমন্ত নিরস্ত্র মানুষের ওপর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে, ব্যারাকে ও নানা আবাসিক এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ খুন করে ছিল হানাদাররা।
২) রাজাকার আলবদর কারা? তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে লিখ।
উত্তর : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে নানা অপকর্মে সহযোগিতা করেছিল তারাই রাজাকার, আলবদর নামে পরিচিত। বাংলাদেশের বরেণ্য ও মেধাবী ব্যক্তিদের হত্যার পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য এই বাহিনীগুলো গড়ে তোলে পাকিস্তানিরা। ঘৃণ্য, অসাধু, লোভী কিছু মানুষ বাহিনীগুলোতে যোগ দিয়ে পাকিস্তানিদের সেই বিশেষ হত্যা পরিকল্পনা সফল করতে সাহায্য করে।
৩) কোন শহিদ বুদ্ধিজীবী প্রথম পাকিস্তানি গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান? তাঁর সম্পর্কে বল।
উত্তর : ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে কুমিল্লার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৮৫ বছর।
৪) শহিদ সাবের কে ছিলেন? তিনি কীভাবে শহিদ হন?
উত্তর : শহিদ সাবের ছিলেন একজন লেখক ও সাংবাদিক। ১৯৭১ সালের ২৫এ মার্চ রাতে তিনি দেশের একটি প্রধান সংবাদপত্র ‘দৈনিক সংবাদ’-এর অফিসে ঘুমিয়ে ছিলেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা ঐ অফিসে আগুন লাগিয়ে দিলে আগুনে দগ্ধ হয়ে শহিদ হন শহিদ সাবের।
৫) রণদাপ্রসাদ সাহাকে কেন দানবীর বলা হয়?
উত্তর : দানশীলতার জন্য রণদাপ্রসাদ সাহাকে ‘দানবীর’ বলা হয়। এ দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণ সাধনের জন্য তিনি নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন।
৬) দুজন শহিদ সাংবাদিকের নাম বলি ও তাঁরা কোথায় কীভাবে শহিদ হন সে সম্পর্কে লিখ।
উত্তর : ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ শহিদ হওয়া দুজন সাংবাদিকদের মাঝে ছিলেন শহিদ সাবের, মেহেরুন্নেসা প্রমুখ।
শহিদ সাবের ছিলেন মেধাবী লেখক ও সাংবাদিক। পঁচিশে মার্চের ভয়াল রাতে পাকিস্তানি সেনারা আগুন দেয় দেশের অন্যতম একটি সংবাদপত্র ‘দৈনিক সংবাদ’-এর অফিসে। সেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন শহিদ সাবের। আগুনে পুড়ে শহিদ হন তিনি। কবি-সাংবাদিক মেহেরুন্নেসাকেও অল্প বয়সেই প্রাণ দিতে হয় হানাদারদের আক্রমণে।
৭) আমরা কীভাবে শহিদদের ঋণ শোধ করতে পারি?
উত্তর : শহিদদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। তাঁরা দেশ ও মাতৃভাষার জন্য ত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। সেই আদর্শ অনুসরণ করে নিজেদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই আমরা শহিদদের ঋণ শোধ করতে পারব।
৮) কোন দিনটিকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়? কেন?
উত্তর : ১৪ই ডিসেম্বরকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পরাজয় অবধারিত বুঝতে পেরে এ দেশকে গভীরভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয় পাকিস্তানিরা। এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে অপূরণীয় ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তারা। ১৪ই ডিসেম্বর রাজাকার, আলবদর, আল-শাম্স্ বাহিনীর সহায়তায় নানা পেশার অনেক যশস্বী ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। সেই শহিদদের স্মরণ করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি আমরা।
৯) আমরা কেন চিরদিন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করব?
উত্তর : শহিদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেশ ও মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন তাঁরা। তাঁদের এ অবদান আমরা কোনো দিন ভুলব না।
১০) ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দিন কেন?
উত্তর : ১৬ই ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্তভাবে শত্রুমুক্ত হয়ে বিজয় অর্জন করি। তাই এ দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১১) মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মানুষ কীভাবে শহিদ হন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের অসংখ্য মানুষ শহিদ হন। শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শহিদ হন মুক্তিযোদ্ধারা। আর সাধারণ মানুষ দেশের ভেতর অবরুদ্ধ থাকতে থাকতে পাকবাহিনীর নির্যাতনে প্রাণ হারান।
১২) ২৫এ মার্চ রাতে পাকবাহিনী কীভাবে তাদের হত্যা পরিকল্পনা কার্যকর করে?
উত্তর : ২৫এ মার্চ রাতে পাকবাহিনী এদেশের মেধাবী, আলোকিত ও বরেণ্য মানুষদের হত্যা করার এক বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য এদেশেরই কিছু বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে গড়ে তোলা হয় রাজাকার, আলবদর ও আল-শামস বাহিনী। তাদের সাহায্য নিয়ে পাকবাহিনী তাদের বিশেষ হত্যা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করে।
১৩) অধ্যাপক এম. মুনিরুজ্জামান ও অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা কীভাবে শহিদ হন?
উত্তর : এম. মুনিরুজ্জামান ও অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ১৯৭১ সালে ২৫এ মার্চ রাতে পাকবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান। এ দুজন শিক্ষক থাকতেন একই বাড়িতে। ২৫এ মার্চ রাতে হানাদার বাহিনী তাঁদের দুজনকে টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে আনে। তারপর গুলি করে হত্যা করে।
১৪) অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব কেমন মানুষ ছিলেন?
উত্তর : দর্শনশাস্ত্রের খ্যাতিমান শিক্ষক অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব ছিলেন অত্যন্ত সহজ-সরল ও নিরহংকারী মানুষ।
১৫) একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে ও মুখে কোন গান বাজে? গানটির সুরকার কে?
উত্তর : একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে আর মুখে বাজে-‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’Ñ এ গানটি। গানটির সুরকার শহিদ আলতাফ মাহমুদ।
১৬) ‘তারা এদেশকে আরও গভীরভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে হানাদার বাহিনী বুঝতে পারে যে তাদের পরাজয় আসন্ন। তাই মেধা ধ্বংসের মাধ্যমে বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এ দেশের মনস্বী, চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও সৃষ্টিশীল সকল মানুষকে হত্যার উদ্যোগ নেয়। দেশদ্রোহী রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের সাহায্য নিয়ে এই দেশকে তারা আরও গভীরভাবে ধ্বংস করতে চায়।
১৭) ১৪ই ডিসেম্বর পাকবাহিনী কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিজীবীদের কী পরিণতি হয়েছিল?
উত্তর : ১৪ই ডিসেম্বর পাকবাহিনী কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিজীবীদের করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল। তাঁরা কেউই আর জীবিত ফিরে আসেননি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাঁদের অনেকের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়ের বাজারে বধ্যভূমিতে। আবার অনেকেরই সন্ধান মেলেনি।
১৮) রণদাপ্রসাদ সাহা কিসের জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন?
উত্তর : রণদা প্রসাদ সাহা এদেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন।
১৯) ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে কারা হত্যা করেছিল? তিনি কেন বিখ্যাত ছিলেন?
উত্তর : ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করেছিল।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। ১৯৪৮ সালে তিনিই প্রথম পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলেন।
২০) যোগেশচন্দ্র ঘোষ কোন উদ্দেশ্যে কী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর : যোগেশচন্দ্র ঘোষ এদেশের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে সাধনা ঔষধালয় নামক একটি আয়ুর্বেদীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন।
২১) অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা কোন বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন?
উত্তর : অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক ছিলেন।
২২) পাকিস্তানিদের বিশেষ পরিকল্পনা কী ছিল?
উত্তর : পাকিস্তানিরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে মেধাশূন্য করতে। তাই তারা এদেশের মেধাবী, আলোকিত ও বরেণ্য মানুষদের হত্যা করার একটি বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
২৩) পাকিস্তানিরা তাদের বিশেষ পরিকল্পনা সফল করার জন্য কী কী করে?
উত্তর : পাকিস্তানিরা তাদের বিশেষ পরিকল্পনা সফল করার জন্য- ১. প্রথমে পুরো দেশের নানা পেশার মেধাবী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে। ২. রাজাকার, আলবদর ও আল-শামস বাহিনীর সহায়তায় সেই পরিকল্পনা কার্যকর করে।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
য় অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫এ মার্চ রাত থেকে পাকিস্তানি বাহিনী এদেশে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। একে একে তারা হত্যা করে এদেশের মেধাবী ও বরেণ্য মানুষদের। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, যোগেশচন্দ্র ঘোষ, রণদাপ্রসাদ সাহা, নতুনচন্দ্র সিংহ, আলতাফ মাহমুদ প্রমুখ ছিলেন তেমনই কিছু মানুষ। এ দেশের মানুষদের কল্যাণের জন্য তাঁরা আজীবন কাজ করে গেছেন।
য় অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : ১৯৭১ সালে পঁচিশে মার্চ রাত থেকে পাকিস্তানি সেনারা নিরীহ বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করতে শুরু করে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেশের বরেণ্য মানুষদের হত্যার বিশেষ উদ্যোগ নেয় তারা। রাজাকার, আলবদর ও আল-শামস বাহিনী তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সহায়তা করে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নামকরা শিক্ষকদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯এ আগস্ট ফেনী জেলার অন্তর্গত মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি পরিবারের সাথে কলকাতা হতে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) স্থানান্তরিত হন। জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন তাঁর ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেওয়া’তে। তিনি ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। কলকাতায় তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেওয়া’র বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়। সে সময়ে তিনি চরম অর্থনৈতিক দৈন্যের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও প্রদর্শনী হতে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে দান করে দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জহির রায়হান তাঁর নিখোঁজ ভাই শহীদুল্লা কায়সারকে খুঁজতে শুরু করেন, যাঁকে স্বাধীনতার ঠিক আগমুহূর্তে পাকিস্তানি বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর বাহিনী অপহরণ করেছিল। জহির রায়হান ভাইয়ের সন্ধানে মিরপুরে যান এবং সেখান থেকে আর ফিরে আসেননি। প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, সেদিন বিহারিরা ও ছদ্মবেশী পাকিস্তানি সৈন্যরা বাংলাদেশিদের ওপর গুলি চালালে এই স্বনামখ্যাত বুদ্ধিজীবী নিহত হন।
য় সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) গণ-অভ্যুত্থান কত সালে হয়েছিল?
(ক) ১৯৫২ সালে (খ) ১৯৫৯ সালে
(গ) ১৯৬৯ সালে (ঘ) ১৯৭২ সালে
২) ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্রে কোনটির প্রভাব লক্ষ করা যায়?
(ক) সিপাহি আন্দোলনের
(খ) ভাষা আন্দোলনের
(গ) গণ-অভ্যুত্থানের
(ঘ) মুক্তিযুদ্ধের
৩) নিচের কাদেরকে বিশ্বাসঘাতক বলা যায়?
(ক) মুক্তিযোদ্ধা (খ) পাকবাহিনী
(গ) আলবদর (ঘ) বিহারি
৪) শহীদুল্লা কায়সারকে অপহরণ করেছিল কারা?
(ক) রাজাকাররা (খ) আলবদর বাহিনী
(গ) পাকিস্তানি বাহিনী (ঘ) বিহারিরা
৫) অনুচ্ছেদে মূলত বলা হয়েছে জহির রায়হানের
(ক) শৈশব সম্পর্কে
(খ) জীবন ও কাজ সম্পর্কে
(গ) দানশীলতা সম্পর্কে
(ঘ) বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কে
উত্তর : ১) (গ) ১৯৬৯ সালে; ২) (খ) ভাষা আন্দোলনের; ৩) (গ) আলবদর; ৪) (খ) আলবদর বাহিনী; ৫) (খ) জীবন ও কাজ সম্পর্কে।
য় নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
দৈন্য দারিদ্র্য, দুরবস্থা।
সমুদয় সমস্ত।
দোসর সঙ্গী, অংশীদার।
অভ্যুত্থান উত্থান, ওঠা।
তহবিল অর্থভাণ্ডার।
স্থানান্তর পরিবর্তন স্থান।
ক) আমরা শীতার্তদের সাহায্যের জন্য গঠন করেছি।
খ) সেলিম বইটি টেবিল থেকে খাটে করল।
গ) বাদল আমার প্রিয় ।
ঘ) চাষিটির বাড়ির দশা দেখে মায়া লাগল।
ঙ) গতকালের খাবার নষ্ট হয়ে গেছে।
উত্তর : ক) তহবিল; খ) স্থানান্তর; গ) দোসর; ঘ) দৈন্য; ঙ) সমুদয়।
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) জহির রায়হান কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? তিনি যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : জহির রায়হান ফেনী জেলার অন্তর্গত মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন।
জহির রায়হান মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় থেকে স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযানে নামেন এবং তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। এ সময় তাঁর ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্রটির বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকলেও প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দান করেন।
খ) জহির রায়হান মিরপুর গিয়েছিলেন কেন? তিনি কীভাবে শহিদ হন?
উত্তর : জহির রায়হানের ভাই শহীদুল্লা কায়সারকে স্বাধীনতার ঠিক আগমুহূর্তে আলবদর বাহিনী অপহরণ করে। দেশ স্বাধীন হবার পর জহির রায়হান ভাইকে খুঁজতে শুরু করেন। সে কারণেই তিনি মিরপুর গিয়েছিলেন।
মিরপুরে যাওয়ার পর ছদ্মবেশী পাকিস্তানি সেনারা ও বিহারিরা জহির রায়হানের ওপর গুলি চালায় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর ফলেই তিনি শহিদ হন।
গ) জহির রায়হানের দেশপ্রেম সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : জহির রায়হান সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য :
১) জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯ এ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।
২) জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
৩) ১৯৬৯ সালে তিনি গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন।
৪) জহির রায়হান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
৫) তিনি ছিলেন একজন স্বনামখ্যাত বুদ্ধিজীবী।
ঘ) জহির রায়হানের দেশপ্রেম সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : জহির রায়হান ছিলেন একজন মহান দেশপ্রেমিক। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানেও তিনি অংশ নেন। ১৯৭১ সালে তিনি কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারাভিযান চালান। আর্থিক দুরবস্থা সত্ত্বেও নিজের নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে দান করে দেন।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
স্ব, কৃ, স্ত্র, জ্ঞ, ষ্ট, ধ্ব।
উত্তর :
স্ব = স + ব-ফলা ( ^ ) স্বপ্ন
– খোকা পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে।
কৃ = ক + ঋ-কার ( ৃ ) কৃপা
– সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় আমরা বেঁচে আছি।
স্ত্র = স + ত + র-ফলা ( ্র ) বস্ত্র
– বস্ত্র মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা।
জ্ঞ = জ + ঞ জ্ঞানী
– সালাম স্যার অনেক জ্ঞানী মানুষ।
ষ্ট = ষ + ট পুষ্টিকর
– শরীর ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন।
ধ্ব = ধ + ব-ফলা ( ^ ) ধ্বনি
– ছুটির ঘণ্টা ধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
ম্ব = ম + ব-ফলা ( ^ ) সম্বল
– এই টাকা কটিই আমার শেষ সম্বল।
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ত্ব, ত্ম, জ্জ, ত্য, ম্ব।
উত্তর :
ত্ব = ত + ব- ফলা ( ¦ ) ত্বরা
– ত্বরা করে বাড়ি চল।
ত্ম = ত + ম- ফলা ( ¥ ) আত্মীয়
– ঈদে আত্মীয়রা বেড়াতে আসেন।
জ্জ = জ + জ সজ্জা
– বাড়িটির সাজসজ্জা বেশ সুন্দর।
ত্য = ত + য-ফলা ( ্য ) সত্য
– সর্বদা সত্য কথা বলব।
ম্ব = ম + ব- ফলা ( ¦ ) কম্বল
– কম্বল গায়ে দিয়েও শীত লাগছে।
বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন
য় বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ শিশুর রক্তে ভেজা আমাদের স্বাধীনতা তাঁদের প্রাণের বিনিময়েই আমরা আজ মুক্ত স্বাধীন দেশে উন্নত শিরে জীবন যাপন করতে পারছি
উত্তর : লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ-শিশুর রক্তে ভেজা আমাদের স্বাধীনতা। তাঁদের প্রাণের বিনিময়েই আমরা আজ মুক্ত স্বাধীন দেশে উন্নত শিরে জীবন-যাপন করতে পারছি।
য় সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানি সেনারা গভীর রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঢাকার নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষের ওপর আক্রমণ চালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ব্যারাকে ব্যারাকে আর নানা আবাসিক এলাকায়
উত্তর : ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানি সেনারা গভীর রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঢাকার নিরস্ত্র, ঘুমন্ত মানুষের ওপর। আক্রমণ চালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে, ব্যারাকে ব্যারাকে, আর নানা আবাসিক এলাকায়।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
য় এককথায় প্রকাশ কর।
ক) অস্ত্রে সজ্জিত; খ) প্রতিভা আছে যার; গ) নিজের জীবন উৎসর্গ; ঘ) সুরের সাধনা করেন যিনি; ঙ) কোনো রকম বিচার-বিবেচনা ছাড়া।
উত্তর : ক) সশস্ত্র; খ) প্রতিভাবান; গ) আত্মদান; ঘ) সুরসাধক; ঙ) নির্বিচার।
য় ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লেখ।
পারিতেছি, জোগাইয়াছেন, লইব, চালাইবার, কাড়িয়া।
উত্তর : ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
পারিতেছি পারছি
জোগাইয়াছেন জুগিয়েছেন
লইব নেব
চালাইবার চালানোর
কাড়িয়া কেড়ে
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
য়নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
বিজয়, উন্নত, আলোকিত, পবিত্র, কার্যকর।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
বিজয় Ñ পরাজয়
উন্নত Ñ অনুন্নত
আলোকিত Ñ অন্ধকারাচ্ছন্ন
পবিত্র Ñ অপবিত্র
কার্যকর Ñ অকার্যকর
য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
মঙ্গল, ফুল, প্রাণ, শির, সূচনা, প্রখ্যাত, অবধারিত।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
মঙ্গল Ñ শুভ, কল্যাণ।
ফুল Ñ পুষ্প, কুসুম।
প্রাণ Ñ জীবন, জান।
শির Ñ মস্তক, মাথা।
সূচনা Ñ শুরু, আরম্ভ।
প্রখ্যাত Ñ নামকরা, বিখ্যাত।
অবধারিত Ñ অনিবার্য, সুনিশ্চিত।