পঞ্চম শ্রেণী বাংলা বিশ অধ্যায় রৌদ্র লেখে জয়
রৌদ্র লেখে জয়
শামসুর রাহমান
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
য় সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১) খাজনা নিতে কারা আসত?
ক বর্গিরা খ মুক্তিসেনারা
গ পাক হানাদাররা ঘ রাজাকাররা
২) হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়েছিল কারা?
ক বর্গিরা খ ইংরেজরা
গ মুক্তিসেনারা ঘ আলবদররা
৩) কাল যেখানে আঁধার ছিল আজ সেখানে কী?
ক তমসা খ আলো
গ গভীর অন্ধকার ঘ কষ্ট
৪) কত সালে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে?
ক ১৯৪৭ সালে খ ১৯৫২ সালে
গ ১৯৬৬ সালে ঘ ১৯৭১ সালে
৫) বাংলাদেশের আগের নাম কী ছিল?
ক পূর্ব পাকিস্তান খ পশ্চিম পাকিস্তান
গ উত্তর পাকিস্তান ঘ দক্ষিণ পাকিস্তান
৬) ‘রৌদ্র লেখে জয়’ কবিতায় দেশের মাটিকে কার
সাথে তুলনা করা হয়েছে?
ক মাতৃভাষার সাথে খ মায়ের সাথে
গ মুক্তিসেনার সাথে ঘ মুক্তিযুদ্ধের সাথে
৭) রৌদ্র কিসের কথা লেখে?
ক পরাজয়ের খ অন্ধকারের
গ জয়ের ঘ সন্ধ্যার
৮) ‘বর্গি’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) পাক হানাদার (খ) মুক্তিযোদ্ধা
(গ) মারাঠা দস্যু (ঘ) ইংরেজ
৯) মুক্তিসেনা কারা?
(ক) যারা মানুষের অর্থ লুট করেছেন
(খ) যারা হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন
(গ) যারা হানাদারদের সাহায্য করেছেন
(ঘ) যারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন
১০) ‘সন্ধ্যা’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
(ক) সকাল (খ) দুপুর
(গ) বিকেল (ঘ) সাঁঝ
১১) পরাজয়ের কালো সন্ধ্যা দূর হয়ে কী এসেছে?
(ক) জ্যোৎস্না রাত (খ) আলোকিত দিন
(গ) অন্ধকার ভোর (ঘ) জয়ের কালো সন্ধ্যা
১২) কবিতাংশে মূলত কী প্রকাশিত হয়েছে?
(ক) বাংলাদেশের জাতিগত বৈচিত্র্যের কথা
(খ) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা
(গ) হানাদারদের বীরত্বের কথা
(ঘ) স্বাধীনতার জন্য দেশের মানুষের সংগ্রামের কথা
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১) ক বর্গিরা
২) গ মুক্তিসেনারা
৩) খ আলো
৪) ঘ ১৯৭১ সালে
৫) ক পূর্ব পাকিস্তান
৬) খ মায়ের সাথে
৭) গ জয়ের
৮) (গ) মারাঠা দস্যু
৯) (খ) যারা হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন;
১০) (ঘ) সাঁঝ
১১) (খ) আলোকিত দিন
১২) (ঘ) স্বাধীনতার জন্য দেশের মানুষের সংগ্রামের কথা
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১) পায়রা কোথায় পাখা মেলে?
উত্তর : পায়রা নীল আকাশে পাখা মেলে।
২) কাল যেখানে মন্দ ছিল আজ সেখানে কী?
উত্তর : কাল যেখানে মন্দ ছিল আজ সেখানে ভালো।
৩) ‘কাল যেখানে পরাজয়ের
কালো সন্ধ্যা হয়,
আজ সেখানে নতুন করে
রৌদ্র লেখে জয়।’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : একসময় বাংলাদেশ ছিল পরাধীনতার শেকলে বন্দি। বিদেশি শত্রুরা নানাভাবে আমাদের ওপর শোষণ, নির্যাতন চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
৪) স্বাধীনতা লাভের পর এ দেশের নাম কী হয়?
উত্তর : স্বাধীনতা লাভের পর এ দেশের নাম হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
৫) ‘বর্গি এল খাজনা নিতে’Ñ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘বর্গি এল খাজনা নিতে’ কথাটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, বর্গি অর্থাৎ মারাঠা দস্যুরা লুটতরাজ করে মানুষের ধনসম্পদ কেড়ে নিতে আসত।
৬) বর্গি কারা? তারা কী করেছিল?
উত্তর : মারাঠা দস্যুরা ‘বর্গি’ হিসেবে পরিচিত।
বহু পূর্বে বর্গিরা বাংলার মানুষদের নানাভাবে অত্যাচার করত। তারা অন্যায়ভাবে খাজনা আদায় করত। কখনো বা হানা দিয়ে মানুষ হত্যা করত ও ধনসম্পদ লুট করত।
৭) হানাদারদের কথা মানুষ কেন ভুলবে না?
উত্তর : হানাদাররা এদেশের মানুষের ওপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছিল। তারা আমাদের অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। এদেশের অসংখ্য নারী-পুরুষ হানাদারদের অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছিল। তাই হানাদারদের কথা এদেশের মানুষ ভুলবে না।
৮) মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মানুষ কখনো ভুলবে না কেন?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়েছিলেন। তাই তাঁদের কথা এ দেশের মানুষ কখনো ভুলবে না।
৯) মুক্তিসেনারা কাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল এবং কেন?
উত্তর : মুক্তিসেনারা পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল।
পাকিস্তানি সেনারা এদেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। মানুষের ওপর তারা অনেক অত্যাচার চালিয়েছিল। দেশ থেকে তাদের তাড়াতেই মুক্তিসেনারা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল।
১০) ‘কাল যেখানে আঁধার ছিল আজ সেখানে আলো।’- কথাটি ব্যাখ্যা করি।
উত্তর : পাকিস্তানিদের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভ করে একসময় এ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়- এ বিষয়টিই বলা হয়েছে কথাটির মাধ্যমে।বর্গিরা এদেশের মানুষের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালায়। তারা যাওয়ার পর পাকিস্তানি হানাদারদের অত্যাচার শুরু হয়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে দেশকে শত্রুমুক্ত করে। ফলে এদেশের বুক থেকে কালো ছায়া সরে গিয়ে আলোকিত দিনের সূচনা ঘটে।
১১) বর্গিরা কী নিতে এলো?
উত্তর : বর্গিরা খাজনা নিতে এলো।
১২) বর্গিরা কীভাবে এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করত?
উত্তর : বর্গিরা নানাভাবে এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার চালাত। তারা এদেশের মানুষদের মেরে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে, তাদের ধনসম্পদ লুট করে পালিয়ে যেত।
১৩) মুক্তিসেনাদের কথা দেশের মানুষ ভুলবে না কেন?
উত্তর : মুক্তিসেনারা হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এদেশকে শত্রুমুক্ত করেছেন। তাই তাঁদের কথা দেশের মানুষ কখনও ভুলবে না।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
য় কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : বিভিন্ন সময়ে বাইরে থেকে শত্রুরা এসে এদেশের মানুষের ওপর নানাভাবে অত্যাচার করেছে। একসময় এদেশবাসী তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণপণে লড়াই করেছেন। অবশেষে এদেশ থেকে পরাধীনতার অন্ধকার দূর হয়ে মুক্তির আলোকিত দিন এসেছে।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
বিজয় দিবস বাঙালি জাতির জীবনে এক গৌরবময় দিন। দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে এই দিনে আমরা শত্রুমুক্ত স্বদেশ লাভ করি। প্রায় দুইশ বছরের ব্রিটিশ শাসন-শোষণের অবসান হয় ১৯৪৭ সালে। জন্ম হয় পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের। আজকের বাংলাদেশের নাম তখন ছিল পূর্ব পাকিস্তান। ব্রিটিশদের পর আমরা আবার পশ্চিম পাকিস্তানি স্বৈরাচারীদের হাতে নতুন করে পরাধীন হলাম। একই দেশের নাগরিক হয়েও সম-অধিকার পাওয়া তো দূরের কথা বরং আমরা শিকার হই নির্যাতন, নিষ্পেষণের। এমনকি আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলার ওপরও আঘাত আসে। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৫২ সালে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার লাভ করি। এরপর অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এসে পৌঁছাই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ক্ষণে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করার মরণপণ সংগ্রামে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে হানাদার বাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।
য় সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) ব্রিটিশদের পর আমরা কাদের অত্যাচারের শিকার হয়েছি?
(ক) বাঙালি শাসকদের
(খ) পাকিস্তানি শাসকদের
(গ) ইংরেজ শাসকদের
(ঘ) ভারতীয় শাসকদের
২) বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষার স্বীকৃতি লাভ করে কত সালে?
(ক) ১৯৪৭ সালে (খ) ১৯৫২ সালে
(গ) ১৯৫৭ সালে (ঘ) ১৯৭১ সালে
৩) বাংলাদেশের পূর্ব নাম কী?
(ক) পাকিস্তান (খ) পূর্ব পাকিস্তান
(গ) পশ্চিম পাকিস্তান (ঘ) পূর্ববাংলা
৪) অনুচ্ছেদে মূলত প্রকাশিত হয়েছেÑ
(ক) ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
(খ) মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
(গ) পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথা
(ঘ) মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের কথা
৫) ‘বঙ্গবন্ধু’ কার উপাধি?
(ক) এ কে ফজলুল হকের
(খ) শেখ মুজিবুর রহমানের
(গ) মওলানা ভাসানীর
(ঘ) তাজউদ্দীন আহমদের
উত্তর : ১) (খ) পাকিস্তানি শাসকদের; ২) (খ) ১৯৫২ সালে; ৩) (খ) পূর্ব পাকিস্তান; ৪) (খ) মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস; ৫) (খ) শেখ মুজিবুর রহমানের।
য় নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
অবসান সমাপ্তি।
আহ্বান ডাক।
আত্মসমর্পণ অন্যের বশ্যতা স্বীকার করে নেওয়া।
নিঃশর্ত কোনো রকম শর্ত ছাড়াই।
পরাধীন অপরের অধীন।
স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারী, উচ্ছৃঙ্খল।
ক) হানাদাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে করল।
খ) শাসকদের কারণে বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
গ) সূর্য অস্ত গেলে দিনের ঘটে।
ঘ) বাদল স্যার ছাত্রদের ক্ষমা করে দিলেন।
ঙ) করিম মিয়ার শুনে সবাই নৌকায় উঠল।
উত্তর : ক) আত্মসমর্পণ; খ) স্বৈরাচারী; গ) অবসান; ঘ) নিঃশর্ত; ঙ) আহ্বান।
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) ১৯৪৭ সালে কী কী ঘটেছিল? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ১৯৪৭ সালে যা যা ঘটেছিল
১) প্রায় দুইশ বছরব্যাপী চলা ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে।
২) পাকিস্তান নামক নতুন একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়।
৩) সে রাষ্ট্রের একটি অংশ করা হয় আমাদের এই ভূখণ্ডটিকে।
৪) এই ভূখণ্ডের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান।
খ) মুক্তিযুদ্ধের আগে আমরা কীভাবে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের নির্যাতনের শিকার হই? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের আগে আমরা পাকিস্তানিদের বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার হই।
১) পাকিস্তান নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের অংশ হলেও পশ্চিম পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের হাতে পরাধীন অবস্থাতেই থেকে যায় পূর্ব পাকিস্তানের মানুষেরা।
২) তাদেরকে সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।
৩) নানাভাবে নিষ্পেষণের শিকার হয় তারা।
৪) এমনকি মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকারও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
গ) মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যা জান পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যা জানি তা নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলোÑ
১) পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ-নির্যাতনের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
২) বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদেশবাসী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
৩) দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে শত্রুমুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।
৪) মুক্তিযুদ্ধ চলেছে নয় মাস ধরে।
৫) ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় লাভ করি।
ঘ) ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ একটি দিন। কেননা এ দিনেই পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে এ দেশ শত্রুমুক্ত হয়। অর্থাৎ এ দিনেই আমরা চূড়ান্ত বিজয় ও স্বাধীনতা লাভ করি।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
য় নিচের শব্দগুলো থেকে যুক্তবর্ণ আলাদা করে ভেঙে দেখাও এবং তা দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ঙ্গ, ন্দ, দ্র, ষ্ঠ, স্ত।
উত্তর :
ঙ্গ = ঙ + গ হাঙ্গামা
– হাঙ্গামা দেখে স্যার ক্লাসে ঢুকলেন।
ন্দ = ন + দ ছন্দ
– ছড়াটির ছন্দ খুব মজার।
দ্র = দ + র-ফলা ( ্র ) দ্রব্য
– দিন দিন পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে।
ষ্ঠ = ষ + ঠ ষষ্ঠ
– সেলিম ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
স্ত = স + ত ব্যস্ত
– বাবা আজ সারা দিন ব্যস্ত থাকবেন।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
য় এককথায় প্রকাশ কর।
ক) মুক্তির জন্য যে সেনা লড়াই করে;
খ) শ্যামবর্ণ বিশিষ্ট;
গ) মুক্তির জন্য যে যুদ্ধ;
ঘ) হানা দিয়ে আক্রমণ করে যারা;
ঙ) ভাগ্য খারাপ যার।
উত্তর : ক) মুক্তিসেনা; খ) শ্যামল; গ) মুক্তিযুদ্ধ; ঘ) হানাদার; ঙ) দুর্ভাগা।
য় ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
করিয়াছিল, ভুলিবে, লইতে, হইয়াছে, মারিল।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ চলিতরূপ
করিয়াছিল করেছিল
ভুলিবে ভুলবে
লইতে নিতে
হইয়াছে হয়েছে
মারিল মারল
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
য় নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
যুদ্ধ, বীর, ভাগ্যহীন, শহর, আজ।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
যুদ্ধ Ñ শান্ত
বীর Ñ ভীতু
ভাগ্যহীন Ñ ভাগ্যবান
শহর Ñ গ্রাম
আজ Ñ কাল
য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
যুদ্ধ, খাজনা, জয়, আঁধার, আলো, মা।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
যুদ্ধ Ñ সংগ্রাম, লড়াই।
খাজনা Ñ ট্যাক্স, কর।
জয় Ñ বিজয়, জিত।
আঁধার Ñ অন্ধকার, তমসা।
আলো Ñ জ্যোতি, কিরণ।
মা Ñ মাতা, জননী।
কবিতার চরণ সাজিয়ে লিখন এবং কবিতা, কবির নাম ও প্রশ্নোত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তাদের কথা দেশের মানুষ
লড়ে মুক্তি-সেনা,
পায়রা মেলে পাখা,
হানাদারের সঙ্গে জোরে
আবার দেখি নীল আকাশে
কখনো ভুলবে না।
ক) কবিতার লাইনগুলো পর পর সাজিয়ে লেখ।
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) এদেশে কারা খাজনা নিতে আসত?
উত্তর :
ক) কবিতার লাইনগুলো নিচে পর পর সাজিয়ে লেখা হলো-
হানাদারের সঙ্গে জোরে
লড়ে মুক্তি-সেনা,
তাদের কথা দেশের মানুষ
কখনো ভুলবে না।
আবার দেখি নীল আকাশে
পায়রা মেলে পাখা,
খ) কবিতাংশটি ‘রৌদ্র লেখে জয়’ কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম শামসুর রাহমান।
ঘ) বর্গি তথা মারাঠা দস্যুরা এদেশে খাজনা নিতে আসত।