নবম-দশম শ্রেনী-২০২৩ বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃপয়লা বৈশাখ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
পয়লা বৈশাখ
লেখক পরিচিতি :
নাম | কবীর চৌধুরী |
জন্ম পরিচয় | জন্ম তারিখ : ১৯২৩ সালের ৯ই ফেব্রম্নয়ারি। জন্মস্থান : ব্রাহ্মণবাড়িয়া। |
শিক্ষা | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। |
পেশা | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। |
সাহিত্য | তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। |
উল্লেখযোগ্য রচনা | ছয় সঙ্গী, প্রাচীন ইংরেজি কাব্য সাহিত্য, আধুনিক মার্কিন সাহিত্য, সাহিত্য কোষ, ¯ত্মঁদাল থেকে প্রস্তু, পুশকিন ও অন্যান্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, ছবি কথা সুর ইত্যাদি। |
পুরস্কার ও সম্মাননা | বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। |
উপাধি | জাতীয় অধ্যাপক। |
মৃত্যু | ২০১১ সালের ১৩ই ডিসেম্বর। |
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১নং. ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে ‘ছায়ানট’ নববর্ষের যে উৎসব শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের বাধাহীন পরিবেশে এখন তা জনগণের বিপুল আগ্রহ-উদ্দীপনাময় অংশগ্রহণে দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় অনুষ্ঠানের পরিণত হয়েছে। রাজধানী ঢাকার নববর্ষ উৎসবের দ্বিতীয় প্রধান আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীদের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় মুখোশ, কার্টুনসহ যে-সব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীকধর্মী চিত্র বহন করা হয় তাতে আবহমান বাঙালিত্বের পরিচয় এবং সমকালীন সমাজ-রাজনীতির সমালোচনাও থাকে।
ক. নববর্ষ এক অ¯িত্মত্বকে বিদায় দিয়ে অন্য জীবনে প্রবেশ করায় কী প্রকাশ করে? ১
খ. ধর্মনিরপে চেতনা বলতে কী বোঝ? ২
গ. ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে প্রকাশিত নববর্ষ উদ্যাপনের কোন দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘সামাজিক প্রকৌশলীদের আজ বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।’ লেখকের এই প্রত্যাশাই যেন উদ্দীপকটি ধারণ করছে’ – মূল্যায়ন করো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
নববর্ষ এক অ¯িত্মত্বকে বিদায় দিয়ে অন্য জীবনে প্রবেশ করার আনন্দানুভূতি প্রকাশ করে।
১ এর খ নং প্র. উ.
ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা হচ্ছে সেই ধর্মচেতনা যেখানে মানুষ ধর্মে ধর্মে পার্থক্য না করে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে।
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সর্বজনীন উৎসব। এই আনন্দ উৎসবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই অংশগ্রহণ করে। বিগত বছরের দুঃখ-জরা, কষ্ট-বেদনা ভুলে গিয়ে নতুন বছরে সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। নববর্ষকে সবাই একসাথে বরণ করে নেয়। ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সকলে একসাথে এই বর্ষবরণের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকার চেতনাই ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা।
১ এর গ নং প্র. উ.
‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে উলিস্নখিত নাগরিক বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশন প্রদর্শন উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক উৎসব ‘পয়লা বৈশাখ’ কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে ফসল কাটার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাচীনকাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এটি বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। পরস্পরের বাড়িতে যাওয়া-আসা, শুভেচ্ছা বিনিময়, খাওয়া-দাওয়া, নানা রকম খেলাধুলা ও আনন্দ উৎসব, মেলা ও প্রদর্শনী ইত্যাদি অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে আসছে পয়লা বৈশাখ। ব্যবসায়ী মহলে পালিত হয় হালখাতা ও মিঠাই বিতরণ। অর্থনৈতিক কারণে বর্তমানে এটি শহরকেন্দ্রিক পালিত হলেও যথেষ্ট প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ করা যায়। তবে নববর্ষ উদ্যাপনের ধরন দেখে লেখক এটিকে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনের সাথে তুলনা করেছেন।
উদ্দীপকে ১৯৬৭ সাল থেকে বাধাহীন পরিবেশে এদেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পালনের কথা বলা হয়েছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারম্নকলা অনুষদের বর্ণাঢ্য আয়োজনের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এসব আয়োজনে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীকধর্মী চিত্র তুলে ধরা হয়। যা আবহমান বাঙালিত্বের পরিচয় ও সমকালীন সমাজ রাজনীতির সমালোচনা বহন করে। নববর্ষ উদ্যাপনের এই দিকটি পয়লা বৈশাখ প্রবন্ধে উলিস্নখিত। কিন্তু আজকাল যে এই উৎসব মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনে রূপ নিচ্ছে তা উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়নি।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে বাঁচিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান যাতে আমাদের বাঙালিত্বের পরিচয়কে ধারণ করতে পারে সে কারণে এতে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।
পয়লা বৈশাখ নিঃসন্দেহে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। এর উদ্যাপন রীতিতে নানা পালাবদল ও বিভিন্ন মাত্রিকতা যুক্ত হচ্ছে। পয়লা বৈশাখ পালনের সাথে কৃষি সমাজের যোগসূত্র ছিল। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পয়লা বৈশাখ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। গ্রামীণ উপকরণ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা। হালখাতা, মিঠাই বিতরণ, নানা রকম খেলাধুলা, সংগীতানুষ্ঠান, আবৃত্তি, আলোচনা সভা ইত্যাদি পয়লা বৈশাখের অন্যতম অনুষঙ্গ। তবে বর্তমান সময়ে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে দেশীয় সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণ করা হচ্ছে। লেখক একে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনের সাথে তুলনা করেছেন। তাগিদ দিয়েছেন বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করার।
উদ্দীপকে নববর্ষ উৎসব আয়োজনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। ছায়ানটের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, ঢাকার নববর্ষ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারম্নকলা অনুষদের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ছায়ানট বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার ড়্গেেত্র দীর্ঘদিন ধরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অবদান রেখে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারম্নকলা অনুষদেরও রয়েছে অসামান্য অবদান।
সামাজিক প্রকৌশলী বা সংস্কৃতি নির্মাণের কারিগরদের প্রতি লেখক আহ্বান জানিয়েছেন বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করার। কারণ পয়লা বৈশাখকে তার নিজস্ব ভাবমূর্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সাথে শ্রমজীবী মানুষের রাখিবন্ধনকে নতুন করে বাঁধতে হবে। পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের ড়্গেেত্র এর ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। আর উদ্দীপকে এই দিকগুলোই লক্ষ করা যায়।
গুরম্নত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
২ নং. চৈত্রের শেষে ব্যবসায়ী আতিক সাহেবের মন আনন্দে শিহরিত হয়ে ওঠে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তিনি উন্মুখ হয়ে থাকেন। যাতে পুরনো হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে নব উদ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে পারেন। তিনি মনে করেন, নববর্ষ বাঙালির ঐতিহ্য, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।
ক. বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব কোনটি? ১
খ. হালখাতা অনুষ্ঠানটি পালন করা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনার যে দিকের আভাস দেওয়া হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘পয়লা বৈশাখ’ অবলম্বনে উদ্দীপকের সর্বশেষ লাইনটির সপড়্গে তোমার নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব হলো পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন।
খ. ব্যবসায়ীরা তাদের পাওনা আদায় এবং নতুন বছরের খাতা খোলার ঐতিহ্য রক্ষায় হালখাতা অনুষ্ঠানটি পালন করে।
হালখাতা অনুষ্ঠান পয়লা বৈশাখে ব্যবসায়ীদের কাছে একটি অন্যতম প্রধান উৎসব। তারা এদিন তাদের পাওনা আদায় করে নতুন বছরের নতুন খাতা খোলেন। এদিন ব্যবসায়ীরা বকেয়া পরিশোধকারীদের মিষ্টিমুখ করান। এজন্য নানা রকম মিঠাই বিতরণ করেন। এই হালখাতা অনুষ্ঠান ব্যবসায়ী মহলে প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। ফলে এটি একটি ঐতিহ্যও বটে। আর এই ঐতিহ্য রক্ষা এবং পাওনা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীরা হালখাতা অনুষ্ঠান পালন করেন।
গ. উদ্দীপকে ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনার ঐতিহ্যের দিকটি বোঝাতে হালখাতা অনুষ্ঠানের আভাস দেওয়া হয়েছে।
‘পয়লা বৈশাখ’ রচনায় লেখক কবীর চৌধুরী বাংলা নববর্ষ তথা পয়লা বৈশাখের জয়গান গেয়েছেন। এই পয়লা বৈশাখে বাঙালিরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উৎসব অনুষ্ঠান করে থাকে। অতি প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালিরা গ্রাম-নগর নির্বিশেষে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকলেই সোৎসাহে নববর্ষের উৎসবে যোগদান করত। এদিন ব্যবসায়ীরা বছরের নতুন খাতা খোলার জন্য হালখাতা ও মিঠাই বিতরণের অনুষ্ঠান করেন। এই ধারাবাহিকতা আজও বিদ্যমান।
উদ্দীপকে হালখাতা অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত করা হয়েছে। এই হালখাতা বাংলা নববর্ষ উৎসবে ব্যবসায়ী মহলে নতুন মাত্রা যোগ করে। তারা পয়লা বৈশাখে বছরের নতুন খাতা চালু করে। ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনাতে লেখক এই হালখাতা অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন, যা পয়লা বৈশাখের একটি অন্যতম অংশ। বাঙালিরা এই পয়লা বৈশাখের ঐতিহ্য আজও ধারণ করে আছে। উদ্দীপকের আতিক সাহেব তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনায় বর্ণিত বাঙালির ঐতিহ্যের দিকটির আভাস দেওয়া হয়েছে।
. প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালিরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নববর্ষ উৎসব পালন করে আসছে, যা বাঙালির ঐতিহ্য, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে আমি মনে করি।
‘পয়লা বৈশাখ’ রচনায় লেখক কবীর চৌধুরী বাঙালির নববর্ষ উৎসবের ঐতিহ্যের দিকটি তুলে ধরেছেন। নববর্ষ উৎসব সমগ্র বাঙালির জীবনে বয়ে আনে উৎসবের আমেজ। এদিন ধর্মীয় সংকীর্ণতা অতিক্রম করে সমগ্র বাঙালি উৎসবে যোগদান করে। কৃষিনির্ভর এই দেশে প্রাচীনকাল থেকে ফসল উৎপাদনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নববর্ষ উৎসব পালন করা হয়। ফলে এদিন বাঙালির ঘরে ঘরে থাকে শান্তি ও সমৃদ্ধি।
উদ্দীপকে ব্যবসায়ী আতিক সাহেব নববর্ষ উৎসবে সোৎসাহে অংশগ্রহণ করেন। তিনি হালখাতা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বছরের নতুন খাতা খোলার আনন্দে শিহরিত হন। পয়লা বৈশাখে সকল মানুষের হাতেই টাকা-পয়সা থাকে। ফলে সকলে বাকি পরিশোধ করে নতুন খাতা খোলে। এতে সর্বত্র সুখ শান্তি বিরাজ করে। তাছাড়া এদিন সকলেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পরস্পরের বাড়িতে যাওয়া-আসা, শুভেচ্ছা বিনিময় করে। ফলে সর্বত্র একটি উৎসবমুখর আমেজ বিরাজ করে। এতে পয়লা বৈশাখ অন্য দিনগুলো থেকে স্বতন্ত্র হয়ে গৌরবমণ্ডিত হয়ে ওঠে।
‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে লেখক পয়লা বৈশাখের গৌরবমণ্ডিত ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন। নববর্ষ হলো বাঙালির জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। এ দিকটি বোঝানোর প্রয়াসে লেখক পয়লা বৈশাখের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন। পয়লা বৈশাখ সকলের কাছেই উৎসবের বার্তা নিয়ে আসে। সকলে পাওনা পরিশোধ করে একে অন্যের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। তাই উদ্দীপকের সর্বশেষ লাইনটির সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
৩ নং. শিশু ফাইয়াজ বাবার সাথে রমনা পার্কে বেড়াতে যায়। সেখানে নানা বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ রং-বেরঙের পোশাক পরে ঘুরে বেড়ায়। সবার হাতে বেলুন, বাঁশি, মাথায় ফেস্টুন। এসব দেখে ফাইয়াজ আনন্দে অভিভূত হয়। সে অনেকগুলো খেলনা ও মজার মজার খাবার ক্রয় করে বাড়ি ফিরে আসে।
ক. “আইন-ই-আকবরী” গ্রন্থ কার লেখা? ১
খ. বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন ও গৌরবমণ্ডিত কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি নির্দেশ করা হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়ে আলোকপাত করাই লেখকের মূল উদ্দেশ্য নয়”Ñ ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. “আইন-ই-আকবরী” গ্রন্থটি ঐতিহাসিক আবুল ফজলের লেখা।
খ. প্রাচীনকাল থেকেই নববর্ষে দিনে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলে আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান করত বলে দিনটি অন্য দিনগুলো থেকে স্বতন্ত্র ও গৌরবমণ্ডিত।
সুদূর অতীতে কৃষিসমাজের সাথে বাংলা নববর্ষের যোগসূত্র ছিল অবিচ্ছেদ্য। এদিন সকল ধর্মের লোকই একে অন্যের বাড়িতে যেত। তাদের এই যাওয়া-আসা, খাওয়া-দাওয়া, শুভেচ্ছা বিনিময় নানা রকম খেলাধুলা ও আনন্দ উৎসবে দিনটি মুখর হয়ে উঠত। তাছাড়া মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হতো এই দিনে। ফলে নববর্ষের দিনটি অন্যান্য দিন থেকে স্বতন্ত্র হয়ে গৌরবমণ্ডিত হয়ে উঠত।
গ. ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করা নিয়ে যে উৎসাহ-উদ্দীপনার কথা বলা হয়েছে তারই চিত্র আমরা উদ্দীপকে দেখতে পাই।
কবীর চৌধুরী রচিত ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে বাংলা নববর্ষকে ঘিরে বাঙালির আবেগ উচ্ছ্বাসের স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে। পয়লা বৈশাখ উপলড়্গে শহরে ও গ্রামে নানা রকমের আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সব শ্রেণির মানুষ প্রাণভরে সেগুলো উপভোগ করে। পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে বাঙালির গভীর আবেগের বর্ণনাও রয়েছে আলোচ্য রচনায়।
উদ্দীপকের বর্ণনা থেকে দেখা যায়, ছোট্ট ফাইয়াজ বাংলা নববর্ষের উৎসবে অংশ নিতে বাবার সাথে রমনা পার্কে যায়। সেখানে সে নানা বয়সী নারী-পুরম্নষ, শিশুদের আনন্দ করতে দেখে। সবার গায়ে ছিল রঙিন পোশাক। ফাইয়াজের মনও সব কিছু দেখে খুশিতে ভরে ওঠে। বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের যে স্বরূপ উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে তার বর্ণনা ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনায়ও রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে বাঙালির পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের উচ্ছ্বাসের কথা। কিন্তু ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের রচয়িতার মূল উদ্দেশ্য বাঙালির জাতীয় চেতনায় পয়লা বৈশাখের প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরা।
‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে কবীর চৌধুরী পয়লা বৈশাখের নানা দিক তুলে ধরেছেন। তার বর্ণনায় যেমন ঠাঁই পেয়েছে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের ইতিহাস-ঐতিহ্য, তেমনিভাবে এসেছে পয়লা বৈশাখের মূল চেতনার কথাও। পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান যে আমাদের জাতীয় চেতনার ধারক ও বাহক সে কথাও আলোচ্য প্রবন্ধে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে পয়লা বৈশাখের আনন্দ আয়োজনের স্বরূপ। বাংলা নববর্ষে খুশিতে উদ্বেল হয়ে পড়ে বাঙালির মন। রঙিন পোশাক পরে নানা আনন্দ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা দিনটিকে রাঙিয়ে তোলে। তেমনই একটি আনন্দঘন চিত্র প্রকাশিত হয়েছে উদ্দীপকে। কিন্তু ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনার লেখকের রচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু এটি নয়।
পয়লা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। সর্ব¯ত্মরের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এদিনটিকে প্রাণের উচ্ছ্বাসে বরণ করে নেয়। এই উদ্যাপনে হিন্দু-মুসলিম, ধনী-গরিব, শিশু-বৃদ্ধ কোনো ভেদাভেদ থাকে না। ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের রচয়িতা কবীর চৌধুরীর প্রত্যাশা পয়লা বৈশাখের এই সর্বজনীনতার দিকটি আমাদের জাতীয় চেতনাকে আরও সমুন্নত করবে। পয়লা বৈশাখের উদ্যাপন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরম্নদ্ধে বাঙালির প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ। তাই আমাদের জাতীয় চেতনার সাথে এর সম্পর্ক সুদৃঢ়। ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনায় এ বিষয়গুলোর কথা এলেও উদ্দীপকে রয়েছে কেবলই পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের আনন্দ-উৎসবের চিত্র, যা ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনার খণ্ডিত একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করে মাত্র। উদ্দীপকের বিষয়বস্তু তাই ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনার লেখকের মূল আলোচ্য নয়।
৪ নং. শিক্ষক ইকবাল ইউসুফ শ্রেণিকড়্গে নববর্ষ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বললেন, ‘তোমরা দেখে থাকবে পহেলা বৈশাখে আমাদের গ্রামগুলোতে মেলা বসে গ্রামীণ ও লোকজ সব উপাদান নিয়ে। সেসব আয়োজনে থাকে প্রাণের ছোঁয়া। কিন্তু ওই দিন ঘটা করে মাটির পাত্রে পান্তা খাওয়ার ঘটনাকে মেকি ও কৃত্রিমতাপূর্ণ বলেই মনে হয়। তাছাড়া ব্য¯ত্ম সংগীতের সাথে উদ্দাম নৃত্যও আমাদের ঐতিহ্যের সাথে খাপ খায় না।
ক. কবীর চৌধুরী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. গ্রাম-নগর, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষই নববর্ষ উৎসবে যোগ দেয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত গ্রামীণ মেলা ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের গৌরবমণ্ডিত দিনের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘শহরে বৈশাখী উৎসব মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশন’ উদ্দীপক ও ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশেস্নষণ করো। ৪
৪ নং প্র. উ.
ক. কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
খ. নববর্ষ বাঙালির জাতীয় উৎসব হওয়ার কারণে গ্রাম-নগর, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষই এতে যোগ দেয়।
বাংলা নববর্ষ বাঙালির জাতীয় জীবনে এক আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। এদিন হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকলেই পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে গ্রহণের আনন্দে মত্ত থাকে। সকলের কাছে দিবসটি সমান গুরম্নত্ব বহন করে। তাই সবাই নববর্ষ উৎসবে যোগদান করে।
গ. গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধারণ করার দিক থেকে উদ্দীপকের গ্রামীণ মেলা ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
বাঙালি খুবই উৎসবপ্রিয় জাতি। সুদূর অতীতে কৃষিসমাজের সাথে অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্র ছিল নববর্ষ উৎসবের। এই দিনে বাঙালিরা একে অপরের বাড়িতে যাওয়া-আসা, শুভেচ্ছা বিনিময়, নানা রকম খেলাধুলা ও আনন্দ উৎসব, মেলা ও প্রদর্শনী ইত্যাদি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে মানুষ পুরোনো ও বিগত দিনের জরাজীর্ণতাকে মানুষ ভুলে থাকতে চায়। পয়লা বৈশাখের এই দিনটিকে তাই স্বতন্ত্র, বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ও গৌরবমণ্ডিত দিন বলা হয়েছে।
আলোচ্য উদ্দীপকে গ্রামীণ ও লোকজ উপাদান নিয়ে আয়োজিত গ্রামের মেলার কথা বলা হয়েছে। এসব আয়োজন নতুন বছরে নতুন প্রেরণা এনে দেয়। গ্রামের মানুষের মাঝে আনন্দের আবহ বয়ে যায়। তারা বিভিন্ন লোকজ পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করে এই মেলায়। প্রাচীনকালে এই লোকজ বৈচিত্র্যকে ধারণ করাতেই পয়লা বৈশাখ গৌরবমণ্ডিত হয়ে উঠত। তাই উদ্দীপকের গ্রামীণ মেলা এদিক থেকেই প্রবন্ধের গৌরবমণ্ডিত দিনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
পয়লা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা ও দিনটির গুরম্নত্ব বিবেচনায় উদ্দীপকের গ্রামীণ মেলা ও প্রবন্ধের গৌরবমণ্ডিত দিন যথেষ্ট সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. পয়লা বৈশাখ তার চিরাচরিত রূপ হারিয়ে তা এখন বিলাসিতা ও ফ্যাশনে রূপ নিয়েছে, যার উল্লেখ উদ্দীপক ও পয়লা বৈশাখ প্রবন্ধে রয়েছে।
আমাদের দেশে পয়লা বৈশাখকে ঘিরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাঙালিয়ানা পোশাক পরে বিভিন্ন বয়সের মানুষ বৈশাখী মেলা, সংগীতানুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে। বর্তমানে এই আয়োজন শহরকেন্দ্রিক ও কৃত্রিমতাপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় তা মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে বলে ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের লেখক মনে করেন।
উদ্দীপক অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারি পয়লা বৈশাখে গ্রামের মেলাগুলোতে যে প্রাণচাঞ্চল্য ঘটে, তা অকৃত্রিম। মেলাগুলো হয়ে ওঠে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক। নববর্ষের এই আনন্দ আয়োজন মানুষের জীবনে এনে দেয় নতুন আমেজ, নতুন প্রেরণা। কিন্তু ঢাকাকেন্দ্রিক বা নগরকেন্দ্রিক আয়োজনে সে মেজাজ রক্ষতি হয় না। নববর্ষের সকালে মাটির পাত্রে পান্তা খাওয়া আবার ব্যান্ডের উদ্দাম নৃত্যে গা ভাসিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করা সম্ভব নয়। এটিই শুধুই লৌকিকতা, যার সাথে প্রাণের কোনো সংযোগ নেই।
মূলত পয়লা বৈশাখের আনন্দানুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র ছিল গ্রাম। অর্থনৈতিক কারণে এই আয়োজন এখন শহরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। ফলে পয়লা বৈশাখ তার নিজস্ব রূপ হারিয়ে অনুকরণপ্রিয়তার দিকে পা বাড়িয়েছে। শহরের ছেলেমেয়েরা এদিন ফ্যাশন আর বিলাসিতা দেখানোর জন্যই যে উৎসব করে তা উদ্দীপকের শিক্ষক এবং প্রবন্ধের লেখক উভয়েই বলেছেন। তাই এটিকে এখন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশন ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।
৫ নং. পয়লা বৈশাখের সকালে প্রভা সেজেগুজে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল। এ সময় তাকে বাধা দিল তার মামা। তাঁর মতে, এগুলো বিধর্মীদের সংস্কৃতি। কিন্তু প্রভার বাবা বললেন, “পয়লা বৈশাখ নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের মানুষের উৎসব নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এটি বাঙালির প্রাণের উৎসব। তিনি নিজেই প্রভাকে নিয়ে পয়লা বৈশাখের উৎসব যোগ দিলেন।
ক. নওরোজ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. বাংলা নববর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে ধারণ করে কীভাবে? ২
গ. উদ্দীপকের প্রভার মামার আচরণ ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে উলিস্নখিত কোন দিকটিকে মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘পয়লা বৈশাখ’ আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার ধারক’Ñ উদ্দীপক ও ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন করো। ৪
৫ নং প্র. উ.
ক. ‘নওরোজ’ শব্দের অর্থ নতুন দিন।
খ. সকল ধর্মের মানুষের কাছেই বাংলা নববর্ষ সমান গুরম্নত্বের হওয়ায় এই উৎসব ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে ধারণ করে।
বাংলা নববর্ষ বাঙালির একটি জাতীয় উৎসব। এই উৎসবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই যোগদান করে। এদিন মুসলমান হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কোনো ভেদাভেদ থাকে না। সকলের কাছেই আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে এই নববর্ষ। সকলেই মহা আনন্দে এই উৎসবে যোগদান করে। এভাবে বাংলা নববর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে ধারণ করে।
গ. উদ্দীপকের প্রভার মামার আচরণ ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে উলিস্নখিত পাকিস্তানি শাসকবর্গের বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন নিয়ে ড়্গীণদৃষ্টি, ধর্মান্ধ ও বৈরী মনোভাবকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে কবীর চৌধুরী বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে পাকিস্তানিদের বিতর্কিত ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন। ১৯৪৭-এ পাকিস্তান সৃষ্টির পর সেদিনের পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন নিয়ে তৎকালীন নয়া উপনিবেশবাদী, ড়্গীণদৃষ্টি, ধর্মান্ধ, পাকিস্তানি শাসকবর্গ যে মনোভাব প্রদর্শন করে, তা খুবই ন্যক্কারজনক। একই সঙ্গে তা কৌতূহলোদ্দীপকও বটে। তারা প্রচার করার চেষ্ট করে ‘পয়লা বৈশাখ’ উদ্যাপন বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রকাশ এবং ইসলাম ধর্মবিরোধী।
উদ্দীপকের প্রভা পয়লা বৈশাখে অন্য দশটি মেয়ের মতো সেজেগুজে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল। কিন্তু তার মামা তাকে বাধা দেন এবং বলেন এগুলো বিধর্মীদের সংস্কৃতি। প্রভার বাবা এতে বিরোধিতা করে নিজেই প্রভাকে নিয়ে উৎসবে যোগ দেন। ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে আমরা লক্ষ করি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনে বাধা দিয়েছিল এবং উদ্দীপকের মতোই বৈরী মনোভাব পোষণ ও অপপ্রচার চালিয়েছিল। এখানে প্রভার মামার মানসিকতা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অনুরূপ।
ঘ. পয়লা বৈশাখ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি সর্বজনীন উৎসব হওয়ায় ঐতিহ্যগতভাবেই এটি আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার ধারক।
‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, একসময় গ্রাম-নগর নির্বিশেষে বাংলার সব মানুষ বাংলা নববর্ষের উৎসবে যোগ দিত। পরস্পরের বাড়িতে বাড়িতে যাওয়া-আসা, শুভেচ্ছা বিনিময়, খাওয়া-দাওয়া, নানা রকম খেলাধুলা ও আনন্দ উৎসব, মেলা ও প্রদর্শনীতে সারাবছরের অন্য দিনগুলো থেকে এই দিনটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও সর্বজনীন হয়ে উঠত। বাংলা মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কোনো ভেদাভেদ থাকত না বলে এদিনে সকলের মাঝে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা প্রকাশ পেত।
উদ্দীপকে প্রভার বাবার কথায় ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার কথা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেছেন, পয়লা বৈশাখ নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের মানুষের উৎসব নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এটি বাঙালির প্রাণের উৎসব। তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পয়লা বৈশাখের সর্বজনীনতা প্রকাশ পেয়েছে।
‘পয়লা বৈশাখ’ বাঙালির একমাত্র উৎসব যেখানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে যোগদান করে থাকে। প্রবন্ধে লেখক সর্বজনীন উৎসব হিসেবে পয়লা বৈশাখের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ চেতানাকে অপরাজেয় শক্তি ও মহিমায় পূর্ণ করম্নক লেখক এ কামনাও করেছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকে প্রভার বাবা বৈশাখ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা পয়লা বৈশাখের সর্বজনীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকেই তুলে ধরে। তাই বলা যায়, পয়লা বৈশাখ আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার ধারক।
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. প্রায় সব দেশে কী উদ্যাপনের প্রথা প্রচলিত আছে?
উত্তর : প্রায় সব দেশে নববর্ষ উদ্যাপনের প্রথা প্রচলিত আছে।
২. পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ কী?
উত্তর : পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাঙালির একটি জাতীয় উৎসব।
৩. সুদূর অতীতে পয়লা বৈশাখের সঙ্গে কোন সমাজের যোগসূত্র ছিল?
উত্তর : সুদূর অতীতে পয়লা বৈশাখের সঙ্গে কৃষিসামজের যোগসূত্র ছিল।
৪. ‘আইন-ই-আকবরী’ কার রচিত গ্রন্থ?
উত্তর : ‘আইন-ই-আকবরী’ আবুল ফজলের রচিত গ্রন্থ।
৫. আবুল ফজল তার গ্রন্থে বাংলা নববর্ষকে কী বলে উল্লেখ করেছেন?
উত্তর : আবুল ফজল তার গ্রন্থে বাংলা নববর্ষকে এ দেশের জনগণের নওরোজ বলে উল্লেখ
রেছেন।
৬. কত সলে উপমহাদেশের বিভক্তি হয়?
উত্তর : ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের বিভক্তি হয়।
৭. কাদের মধ্যে হালখাতা ও মিঠাই বিতরণের অনুষ্ঠান হয়?
উত্তর : ব্যবসায়ী মহলে হালখাতা ও মিঠাই বিতরণের অনুষ্ঠান হয়।
৮. আগে পয়লা বৈশাখের আনন্দানুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র ছিল কী?
উত্তর : আগে পয়লা বৈশাখের আনন্দানুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র ছিল গ্রামবাংলা।
৯. আবুল ফজল নওরোজকে নববর্ষ বলে উল্লেখ করেছেন কত বছর আগে?
উত্তর : আবুল ফজল নওরোজকে নববর্ষ বলে উল্লেখ করেছেন সাড়ে তিনশ বছর আগে
১০. বাংলা নববর্ষের সাথে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনা যুক্ত হয় কবে?
উত্তর : বাংলা নববর্ষের সাথে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনা যুক্ত হয় বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে।
১১. সিরাজউদ্দৌলা শেষবারের মতো লড়াই করার জন্য কাদের ডাক দিয়েছিলেন?
উত্তর : সিরাজউদ্দৌলা শেষবারের মতো লড়াই করার জন্য হিন্দু-মুসলমান উভয়কেই ডাক
য়েছিলেন।
১২. পাকিস্তানি আমলে ধর্মের নামে কী হতো?
উত্তর : পাকিস্তানি আমলে ধর্মের নামে নৃশংসতা হতো।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. নববর্ষের মাধ্যমে বাঙালিরা তাদের জাতীয়তাবাদী চেতনাকে তুলে ধরেছে কীভাবে?
উত্তর : ধর্ম ও সম্প্রদায়-নিরপেক্ষভাবে নববর্ষ উদ্যাপনের মাধ্যমে বাঙালিরা তাদের জাতীয়তাবাদী
তনাকে তুলে ধরেছে।
নববর্ষের বাঙালিরা তাদের ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে উৎসব অনুষ্ঠানে যোগদান করে থাকে। এদিন বাঙালি হিসেবে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকলে একে অন্যের বাড়িতে যায়, শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এতে সকলের মাঝে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত হয়।
২. নববর্ষের উদ্যাপন রীতিতে নানা পালাবদল ঘটেছে কীভাবে?
উত্তর : কালের যাত্রাপণে সমাজ সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসায় নববর্ষ উদযাপন রীতিতেও নানা
লাবদল ঘটেছে।
বাংলা নববর্ষ বাঙালির একটি অন্যতম জাতীয় উৎসব। এই উৎসব বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাত্রিকতা অর্জন করেছে। সুদূর অতীতে কৃষিসমাজের সাথে এর যোগসূত্র ছিল অবিচ্ছেদ্য। ফলে গ্রাম বাংলা ছিল এই উৎসবের প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু কাল পরম্পরায় এই উৎসবের বিবর্তন ঘটে এখন শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাসে পরিগ্রহ লাভ করেছে। এভাবে নববর্ষের উদযাপন রীতিতে পালাবদল ঘটেছে।
৩. পয়লা বৈশাখকে বর্তমান অবস্থা থেকে উদ্ধার করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : পয়লা বৈশাখ বর্তমানে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের ফ্যাশন ও বুর্জোয়া বিলাসের অংশ হয়ে যাওয়া তাকে বর্তমান অবস্থা থেকে উদ্ধার করা প্রয়োজন।
পয়লা বৈশাখ একসময় কৃষি সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। তখন এই উৎসবের প্রাণকেন্দ্র ছিল গ্রামবাংলা। গ্রামের মানুষের মাঝে আনন্দের বার্তা বয়ে আনত এই উৎসব। কিন্তু কাল পরিক্রমায় এই উৎসব শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষের বুর্জোয়া ও বিলাসে পরিণত হয়েছে। তাই এই উৎসবকে আবার বৃহত্তর জনজীবনের সঙ্গে সংযোগ করা প্রয়োজন।
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনাটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত? ক
ক. বাংলাদেশের উৎসব : নববর্ষ
খ. আমাদের সংস্কৃতি
গ. নববর্ষ কী ও কেন
ঘ. বাঙালির প্রাণের উৎসব
২. ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনাটি কার লেখা? ঘ
ক. হুমায়ুন আজাদ খ. আনিসুজ্জামান
গ. আহমদ ছফা ঘ. কবীর চৌধুরী
৩. কবীর চৌধুরী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? খ
ক. ১৯১৩ খ. ১৯২৩
গ. ১৯৩৩ ঘ. ১৯২০
৪. কবীর চৌধুরী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? গ
ক. কুমিলস্না খ. ময়মনসিংহ
গ. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘ. রাজবাড়ী
৫. কবীর চৌধুরীর পিতার নাম কী? ক
ক. আবদুল হালিম চৌধুরী খ. আফজাল বারী
গ. গ গলুল পাশা ঘ. গ হিরম্নদ্দীন চৌধুরী
৬. কবীর চৌধুরীর মায়ের নাম কী? খ
ক. শরীফা বেগম খ. আফিয়া বেগম
গ. নাসরীন বেগম ঘ. সুরাইয়া বেগম
৭. কবীর চৌধুরী কত সালে প্রবেশিকা পাস করেন? ক
ক. ১৯৩৮ খ. ১৯৪২
গ. ১৯৪০ ঘ. ১৯৪৫
৮. কবীর চৌধুরী কোন স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করেন? গ
ক. রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল
খ. শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়
গ. ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল
ঘ. ঢাকা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়
৯. কবীর চৌধুরী কত সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন? ক
ক. ১৯৪৩ খ. ১৯৪৫
গ. ১৯৪৬ ঘ. ১৯৪৮
১০. কবীর চৌধুরী কত সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন? খ
ক. ১৯৪৫ খ. ১৯৪৪
গ. ১৯৪০ ঘ. ১৯৪৬
১১. কবীর চৌধুরী কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন? খ
ক. ক ট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
গ. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঘ. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
১২. কবীর চৌধুরী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন? ক
ক. ক্যালিফোর্নিয়া ও মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়
খ. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
গ. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ঘ. আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়
১৩. কবীর চৌধুরীর কর্মজীবন শেষ হয় কীভাবে? খ
ক. সাহিত্যচর্চা করে
খ. চাকরি ও অধ্যাপনা করে
গ. গবেষণা করে ঘ. সামাজিক কাজ করে
১৪. কবির চৌধুরী কী হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন? ঘ
ক. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে
খ. ক ট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে
গ. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে
ঘ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে
১৫. কবীর চৌধুরী কী উপাধিতে ভূষিত হন? ক
ক. জাতীয় অধ্যাপক খ. শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ
গ. সমাজ চিন্তাবিদ ঘ. মহান দার্শনিক
১৬. কবীর চৌধুরী কী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন? গ
ক. নাগরিক প্রতিনিধি খ. পেশাজীবী প্রতিনিধি
গ. শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক
ঘ. অধ্যাপক ও সুবক্তা
১৭. ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ কার লেখা গ্রন্থ? গ
ক. সৈয়দ শামসুল হক খ. হুমায়ুন আজাদ
গ. কবীর চৌধুরী ঘ. জাহানারা ইমাম
১৮. কবীর চৌধুরী কত সালে মৃত্যুবরণ? খ
ক. ২০০৮ খ. ২০১১
গ. ২০১৩ ঘ. ২০১৫
১৯. ‘রিং আউট দি ওল্ড রিং ইন দি নিউ,’ কবিতাটি কোন কবির লেখা? খ
ক. কীটস খ. টেনিসন
গ. বায়রন ঘ. মিল্টন
২০. টেনিসনের সাথে রবীন্দ্রনাথের কোন রচনার মিল লক্ষ করা যায়? গ
ক. বরিষ ধরা মাঝে শান্তির কবি
খ. মরিতে চাইনা আমি সুন্দর ভুবনে
গ. এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ
ঘ. তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা
২১. বাঙালির অন্যতম জাতীয় উৎস কোনটি? খ
ক. ঈদ খ. পয়লা বৈশাখ
গ. দুর্গাপূজা ঘ. শবেবরাত
২২. বাঙালির জীবনে অন্যান্য দিনের তুলনায় গৌরবমণ্ডিত হয়ে ওঠে কোন দিন? ঘ
ক. গ ন্মাষ্টমী খ. ভাষা দিবস
গ. বিজয় দিবস ঘ. পয়লা বৈশাখ
২৩. ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থের রচয়িতা কে? ক
ক. আবুল ফজল খ. তানসেন
গ. বীরবল ঘ. ফেরদৌসি
২৪. ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থটি কখন রচিত হয়? ক
ক. সাড়ে তিনশত বছর আগে
খ. চারশত বছর আগে
গ. সাড়ে চার শত বছর আগে
ঘ. পাঁচশত বছর আগে
২৫. ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থে নবববর্ষকে কী বলা হয়েছে? খ
ক. পয়লা বৈশাখ খ. নওরোজ
গ. নিউ ইয়ার ঘ. হালখাতা
২৬. প্রাচীন সমাজে নববর্ষের উৎসবে মানুষ কীভাবে যোগ দিত? ক
ক. উৎসাহের সাথে খ. বাধ্য হয়ে
গ. পারিবারিকভাবে ঘ. বিষণ্ণ মনে
২৭. এদেশের মানুষের মনে জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটে কখন? ক
ক. ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে
খ. উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি
গ. বিংশ শতাব্দীর শুরম্নতে
ঘ. বিংশ শতাব্দীর শেষে
২৮. বাঙালির সাথে জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটে কীভাবে? ক
ক. নববর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে
খ. হালখাতা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে
গ. নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে
ঘ. মেলায় যাওয়ার মধ্য দিয়ে
২৯. ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হয় কত সালে? খ
ক. ১৯৫২ খ. ১৯৪৭
গ. ১৯৪৮ ঘ. ১৯৫০
৩০. পূর্ব পাকিস্তানে নববর্ষ উদ্যাপনকে পাকিস্তানি শাসকবর্গ কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছে? গ
ক. ইতিবাচক খ. উৎসাহব্যঞ্জক
গ. ন্যক্কারজনক ঘ. নির্লিপ্ত
৩১. দেশ বিভাগের পর এ অঞ্চলের মানুষ কেমন মনোভাব নিয়ে নববর্ষ উদ্যাপন করেছে? খ
ক. ঘৃণার মনোভাব খ. প্রতিবাদী মনোভাব
গ. ইতিবাচক মনোভাব ঘ. নির্লিপ্ত মনোভাব
৩২. পাকিস্তান আমলে নববর্ষ উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালির কোন চেতনা ফুটে ওঠে? ক
ক. জাতীয়তাবাদী খ. গণতান্ত্রিক
গ. সাম্যবাদী ঘ. স্বৈরতান্ত্রিক
৩৩. নববর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে বাঙালির কোন আদর্শের প্রতিফলন ঘটে? ক
ক. ধর্মনিরপেক্ষ খ. অগণতান্ত্রিক
গ. গণতান্ত্রিক ঘ. সামন্তবাদী
৩৪. নববর্ষে হালখাতা ও মিঠাই বিতরণের অনুষ্ঠান হয় কোন মহলে? খ
ক. কৃষক মহলে খ. ব্যবসায়ী মহলে
গ. চাকরিজীবী মহলে ঘ. পেশাজীবী মহলে
৩৫. পয়লা বৈশাখের আনন্দানুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র ছিল কোনটি? ক
ক. গ্রামবাংলা খ. শহর
গ. মফস্বল ঘ. নগর
৩৬. পয়লা বৈশাখ বর্তমানে কোন কারণে শহরকেন্দ্রিক উদ্যাপিত হচ্ছে? গ
ক. সামাজিক কারণে খ. ধর্মীয় কারণে
গ. অর্থনৈতিক কারণে ঘ. রাজনৈতিক কারণে
৩৭. কবীর চৌধুরীর মতে রাজধানী ঢাকায় পয়লা বৈশাখের চাঞ্চল্যকে কী বলা যাবে না? ঘ
ক. খাঁটি খ. অনুকরণ
গ. যথার্থ ঘ. মেকি
৩৮. পয়লা বৈশাখ প্রবন্ধে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশন বলা হয়েছে কোনটিকে? ক
ক. ঢাকায় পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনকে
খ. গ্রাম পর্যায়ে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনকে
গ. পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে
ঘ. পয়লা বৈশাখে হালখাতার আয়োজনকে
৩৯. কবীর চৌধুরীর মতে পয়লা বৈশাখের আয়োজনে বৃহত্তর জনজীবনের সাথে কার রাখি বন্ধনকে নতুন করে বাঁধতে হবে? ঘ
ক. মধ্যবিত্তের খ. উচ্চবিত্তের
গ. উচ্চ-মধ্যবিত্তের ঘ. শ্রমজীবী মানুষের
৪০. বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে কী যোগ করতে হবে? ক
ক. নতুন মাত্রিকতা খ. মূল্যবোধ
গ. শৃঙ্খলাবোধ ঘ. হৃদয়াবেগ
৪১. কবীর চৌধুরীর মতে কোন কথাটি জোরের সঙ্গে বলা চাই? ক
ক. নববর্ষ উৎসবের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের কথা
খ. শ্রেণিগত উৎসবের কথা
গ. উৎসবের সর্বজনীন বৈশিষ্ট্যের কথা
ঘ. পয়লা বৈশাখের নতুন মাত্রিকতার কথা
৪২. ‘শভিনিস্টিক’ শব্দটির অর্থ কী? খ
ক. আত¥ অহংকার খ. আত¥গৌরব মতবাদী
গ. পরশ্রীকাতরতা ঘ. আতে¥াপলব্ধি
৪৩. ধর্মের নামে নৃশংসতার ইতিহাস কোন আমলের? খ
ক. ব্রিটিশ আমলের খ. পাকিস্তান আমলের
গ. মুঘল আমলের ঘ. পাঠান আমলের
৪৪. বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব কোনটি? ঘ
ক. দুর্গাপূজা খ. হোলি উৎসব
গ. ঈদ ঘ. বাংলা নববর্ষ
৪৫. আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা অপরাজেয় শক্তি ও মহিমায় পূর্ণ হবে কিসের মধ্য দিয়ে? ক
ক. বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে
খ. আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে
গ. ক্রীড়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে
ঘ. মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে
৪৬. জাতীয় চৈতন্যের ধারক বলা হয়েছে কোন উৎসবকে? গ
ক. বাসšত্মী উৎসবকে খ. দুর্গোৎসবকে
গ. বাংলা নববর্ষকে ঘ. বৈসাবি উৎসবকে
৪৭. ‘নওরোজ’ শব্দের অর্থ কী? খ
ক. হারানো দিন খ. নতুন দিন
গ. আগামী দিন ঘ. উজ্জ্বল দিন
৪৮. বুর্জোয়া বিলাস কী? খ
ক. মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের অলস চিন্তা
খ. মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের শখ
গ. স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়া
ঘ. অতিরিক্ত উৎসবপ্রিয়তা
৪৯. স্বাদেশিকতা বলতে কী বোঝায়? ক
ক. দেশপ্রেমিকতা খ. দেশের জন্য স্বার্থত্যাগ
গ. স্বদেশি আন্দোলন ঘ. নিজের দেশ
৫০. নববর্ষের কোন ধারণাটি সব সংস্কৃতিতে একই রকমের? গ
ক. উৎসবের ধারণা খ. ব্যাপ্তির ধারণা
গ. পুনরম্নজ্জীবনের ধারণা ঘ. ঐতিহ্যের ধারণা
৫১. ‘রিং আউট দি ওল্ড, রিং ইন দি নিউ’- টেনিসনের এই গানটি কোনটিকে উদ্দেশ্য করে লেখা? খ
ক. বড়দিন খ. নববর্ষ
গ. ইস্টার সানডে ঘ. থ্যাঙ্কস গিডিং ডে
৫২. ‘রিং আউট দি ওল্ড, রিং ইন দি নিউ’ গানটি কোন তারিখটিকে উদ্দেশ্য করে লেখা? খ
ক. ২৫শে ডিসেম্বর খ. ১লা জানুয়ারি
গ. ২৫শে জুলাই ঘ. ১লা এপ্রিল
৫৩. ‘রিং আউট দি ওল্ড’ এবং ‘এসো হে বৈশাখ’- গান দুটির মধ্যে কোন বিষয়টি চোখে পড়ে? ঘ
ক. স্পর্শকাতরতা খ. বুর্জোয়া বিলাস
গ. নিসর্গপ্রীতি ঘ. ভাবের ঐক্য
৫৪. সুদূর অতীতে কোনটির সাথে পয়লা বৈশাখের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক ছিল? ক
ক. কৃষিসমাজ খ. শিল্পনির্ভর সমাজ
গ. লেখক সমাজ ঘ. ছাত্রসমাজ
৫৫. ‘আমাদের ঐতিহ্য তো মীর মদন ও মোহন লালের, তিতুমীর ও মঙ্গল পাণ্ডের।’-পয়লা বৈশাখ প্রবন্ধে লেখক উক্তিটি দ্বারা কী নির্দেশ করেছেন? ক
ক. ধর্মনিরপেক্ষতা খ. জাতীয়তাবাদ
গ. উপনিবেশবাদ ঘ. প্রতিবাদমুখরতা
৫৬. পয়লা বৈশাখকে ঘিরে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নেতিবাচক মনোভাবের প্রতিবাদে বাঙালি কী করে? ক
ক. হরতালের ডাক দেয় খ. রাস্তা অবরোধ করে
গ. সোৎসাহে নববর্ষ পালন করে ঘ. যুদ্ধ ঘোষণা করে
৫৭. পয়লা বৈশাখের প্রাণকেন্দ্র এখন কোথায়? খ
ক. ক ট্টগ্রামে খ. ঢাকায়
গ. রাজশাহীতে ঘ. সিলেটে
৫৮. পয়লা বৈশাখে নতুন মাত্রিকতা যোগ করার ড়্গেেত্র কবীর চৌধুরী কোনটি অবলম্বন করতে বলেছেন? গ
ক. অভিজ্ঞতা খ. ভাবপ্রবণতা
গ. সচেতনতা ঘ. আনন্দানুভূতি
৫৯. ‘এ অঞ্চলের ঐতিহ্য তো তা নয়’ কোন বিষয়ে বলা হয়েছে? ক
ক. ধর্মান্ধতা খ. অশিক্ষা
গ. বুর্জোয়া বিলাস ঘ. আত¥গৌরব
৬০. ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী বেনিয়া শক্তির কাছে বাংলার স্বাধীনতা হারানোর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত লড়েছেন কে? ঘ
ক. তিতুমীর খ. মঙ্গল পাণ্ডে
গ. মোহন লাল ঘ. সিরাজদ্দৌলা
৬১. পারস্য দেশের নিয়ম অনুযায়ী নতুন বছরের প্রথম দিনকে কী বলা হয়? গ
ক. নয়াদিন খ. নবরত্ন
গ. নওরোজ ঘ. নওশাদ
৬২. ‘প্রত্যক্ষ অভিঘাত’ অর্থ কী? গ
ক. অদৃশ্য আঘাত খ. সামান্য আঘাত
গ. সরাসরি আঘাত ঘ. পুরোনো আঘাত
৬৩. ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে ‘প্রত্যক্ষ অভিঘাত’ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? খ
ক. দূরবর্তী পরিবর্তন খ. তাৎক্ষণিক পরিবর্তন
গ. অদৃশ্য আঘাত ঘ. পুরোনো আঘাত
৬৪. ব্রিটিশরা বিভিন্ন দেশের ওপর কর্তৃত্ব বিস্তারের জন্য নানা রকম রাজনৈতিক কূটকৌশল অবলম্বন করত। এ থেকে তাদের কোন চরিত্রটি স্পষ্ট হয়? গ
ক. সাম্রাজ্যবাদবিরোধী খ. জাতীয়তাবাদী
গ. সাম্রাজ্যবাদী ঘ. শভিনিস্টিক
৬৫. ‘ন্যক্কারজনক’ শব্দটির অর্থ কী? খ
ক. অত্যন্ত পছন্দনীয় খ. অত্যন্ত নিন্দনীয়
গ. অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ঘ. অত্যন্ত অপরিকল্পিত
৬৬. নতুন বছরের হিসাব-নিকাশের জন্য নতুন খাতা আরম্ভের উৎসবের নাম কী? খ
ক. পুণ্যাহ খ. হালখাতা
গ. নবান্ন ঘ. নওরোজ
৬৭. রাখি বন্ধন উৎসব কখন হয়? গ
ক. বৈশাখী পূর্ণিমায় খ. আষাঢ়ী পূর্ণিমায়
গ. শ্রাবণী পূর্ণিমায় ঘ. মাঘী পূর্ণিমায়
৬৮. সামাজিক প্রকৌশলীরা কী করে? গ
ক. ঘরবাড়ির নকশা করে
খ. উৎসবের আয়োজন করে
গ. সমাজ বিনির্মাণ করে
ঘ. সমাজকে ধ্বংস করে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৬৯. নববর্ষের মূল লড়্গ্য হচ্ছে-
র. পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুনের আস্বাদ গ্রহণ
রর. গ রাজীর্ণতা পরিহার করা
ররর. জাতীয়তাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭০. ঐতিহাসিক আবুল ফজল বাংলা নববর্ষকে এদেশের জনগণের নওরোজ বলার কারণ হলো-
র. দিনটি সারা বছরের অন্যান্য দিন থেকে স্বতন্ত্র
রর. এটি গৌরবমণ্ডিত একটি নতুন দিন
ররর. এই দিনটি রোজকার দিনের মতোই
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭১. উপমহাদেশ বিভক্তির পর এ অঞ্চলের মানুষ প্রতিবাদী মনোভাব নিয়ে নববর্ষ উদ্যাপন করার যুক্তি হচ্ছে-
র. বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন নিয়ে পাকিস্তানি শাসকবর্গের
মনোভাব ছিল ন্যক্কারজনক
রর. পাকিস্তানি শাসকবর্গ ছিল ধর্মান্ধ ও ড়্গীণদৃষ্টিসম্পন্ন
ররর. পাকিস্তানি শাসকবর্গের বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার
প্রতি সম্মান ছিল না
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭২. সকল জাতির মধ্যেই নববর্ষ উদ্যাপনে লক্ষ করা যায়-
র. পুরোনোকে ভুলে যাওয়ার অনুভূতি
রর. নতুনকে বরণ করে নেওয়ার উচ্ছ্বাস
ররর. নতুন জীবনে প্রবেশের আনন্দানুভূতি
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৩. পয়লা বৈশাখকে উদ্ধার করতে হবে-
র. মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস থেকে
রর. নববর্ষ পালনের কৃত্রিম ফ্যাশন থেকে
ররর. হালখাতা ও মিঠাই বিতরণের আড়ম্বর থেকে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৪. নববর্ষ উদ্যাপনকে তাৎপর্যপূর্ণ করতে হলে-
র. বৃহত্তর জনজীবনের সাথে শ্রমজীবী মানুষের রাখি
বন্ধনকে নতুন করে বাঁধতে হবে
রর. নববর্ষ উৎসবে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ
করতে হবে
ররর. শহরকেন্দ্রিক উৎসব আয়োজন করতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৫. পাকিস্তান সৃষ্টির পর এ অঞ্চলের শিক্ষতি মানুষ নববর্ষ উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে-
র. ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের প্রতিফলন ঘটিয়েছে
রর. জাতীয়তাবাদী চেতনাকে তুলে ধরেছে
ররর. স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় ঘোষণা করেছে
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৬. পয়লা বৈশাখ হলো বাঙালি জাতির-
র. ধর্মীয় উৎসব
রর. সর্বজনীন উৎসব
ররর. গৌরবমণ্ডিত উৎসব
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৭. বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্য-
র. গৌরবে জড়ানো
রর. অত্যন্ত প্রাচীন
ররর. বেশি দিনের নয়
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৮. বাংলা নববর্ষের চরিত্র-
র. অসাম্প্রদায়িক চেতনাসমৃদ্ধ
রর. জাতীয় ঐতিহ্যে উদ্বুদ্ধ
ররর. শহরভিত্তিক সংস্কৃতি সমৃদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৯. নববর্ষ উদ্যাপনকে ঘিরে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব প্রদর্শন করলে বাঙালি-
র. প্রতিবাদ জানায়
রর. সোৎসাহে দিনটি উদ্যাপন করে
ররর. হতাশায় ভেঙে পড়ে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮০. বিংশশতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালির নববর্ষ উদ্যাপনের সাথে জড়িত ছিল-
র. পুনরম্নজ্জীবনের ধারণা
রর. সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনা
ররর. জাতীয়তাবাদী চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮১. পয়লা বৈশাখ-
র. বাঙালির প্রাণের উৎসব
রর. সব ধর্মের মানুষের উৎসব
ররর. আমাদের প্রধানতম জাতীয় উৎসব
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৮২. পয়লা বৈশাখ-
র. একটি সাংস্কৃতিক উৎসব
রর. একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব
ররর. শুধু বাংলাদেশের বাঙালিরা উদ্যাপন করে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
২০০১ সালে রমনার বটমূলে আয়োজন করা হয় বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। ছায়ানটের পরিবেশনায় একের পর এক চলছিল সমবেত সংগীতানুষ্ঠান। হঠাৎ অনুষ্ঠানস্থলে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় কয়েকটি শক্তিশালী বোমা। এতে ঘটনাস্থলে ৮ ব্যক্তি প্রাণ হারায়। পঙ্গুত্ববরণ করে অনেকেই।
৮৩. উদ্দীপকে ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের কোন মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে? গ
ক. পাকিস্তানিদের উপনিবেশবাদী মনোভাব
খ. বাঙালি জাতীয়তাবাদী মনোভাব
গ. ধর্মের নামে নৃশংসতার মনোভাব
ঘ. সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব
৮৪. পয়লা বৈশাখের নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যে উদ্দীপকের কোন বিষয়ের সাদৃশ্য রয়েছে?
র. বর্ষবরণ রর. সংগীতানুষ্ঠান
ররর. হালখাতা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
‘পয়লা বৈশাখ ও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ শীর্ষক আলোচনা চলছিল জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে। কবি আল মাহমুদ তার আলোচনায় বললেন, পয়লা বৈশাখের সাথে আমাদের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ কৃষকের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। সকল আনন্দ আয়োজনে তাদের অংশগ্রহণ যেন নিশ্চিত করা হয়।
৮৫. আলোচ্য উদ্দীপক ও ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের কোন সত্যটি তুলে ধরা হয়েছে? ক
ক. বর্ষবরণের প্রাণকেন্দ্র ছিল গ্রামবাংলা
খ. শহরকেন্দ্রিক বর্ষবরণ আবহমানকালের
গ. বর্ষবরণের সূতিকাগার হচ্ছে রমনার বটমূল
ঘ. বর্ষবরণ আজকাল ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৬ ও ৮৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রম্নয়ারি আন্দোলনের নামে ছাত্র-জনতা। পুলিশের গুলিতে শহিদ হন অনেকে। তাঁদেরকে স্মরণ করে প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয় শহিদ দিবস হিসেবে। সর্ব¯ত্মরের মানুষ শহিদ মিনারে জড়ো হয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
৮৬. উদ্দীপকে উলিস্নখিত দিবসটির সাথে সম্পর্কিত কোন দিকটি পয়লা বৈশাখের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়? গ
ক. উপনিবেশবাদ খ. সংস্কৃতি
গ. শোকবহতা ঘ. শোক সমাগম
৮৭. উদ্দীপকের উলিস্নখিত দিনটির সাথে পয়লা বৈশাখের মিল-
র. জাতীয়ভাবে পালন করায়
রর. জাতীয়তাবোধের পরিচয় ও বিকাশে
ররর. সর্বজনীনতায়
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৮ ও ৮৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
প্রতিবছরই এ-উৎসব বিপুল মানুষের অংশগ্রহণে বিশাল থেকে বিশালতর হয়ে উঠছে। বাংলাদেশে যে এতটা প্রাণের আবেগে এবং গভীর ভালোবাসায় এ উৎসব উদ্যাপিত হয় তার কারণ পাকিস্তান আমলে পূর্ব-বাংলার বাঙালিকে এ-উৎসব পালন করতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, এটা পাকিস্তানি আদর্শের পরিপন্থী। সে-বক্তব্য ছিল বাঙালির সংস্কৃতির ওপর এক চরম আঘাত।
৮৮. উদ্দীপকের বক্তব্য নিচের কোন রচনাকে সমর্থন করে? গ
ক. নিরীহ বাঙালি খ. একাত্তরের দিনগুলি
গ. পয়লা বৈশাখ ঘ. বাঙলা শব্দ
৮৯. উক্ত রচনার আলোকে বলা যায় উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে-
র. জাতীয়তাবাদের চেতনা
রর. সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনা
ররর. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর