নবম-দশম শ্রেনী-২০২৩ বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃ শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
লেখক পরিচিতি :
নাম | মোতাহের হোসেন চৌধুরী। |
জন্ম পরিচয় | জন্ম তারিখ : ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রাম। |
শিক্ষা | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ পাস করেন। |
পেশা | বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। |
সাহিত্যিক পরিচয় | ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘শিখা’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর লেখায় মননশীলতা ও চিন্তার স্বচ্ছন্দ প্রকাশ ঘটেছে। গদ্যে প্রমথ চৌধুরীর প্রভাব লক্ষণীয়। মূলত গদ্যকার হলেও বেশ কিছু কবিতাও রচনা করেন। |
উল্লেখযোগ্য রচনা | প্রবন্ধগ্রন্থ : সংস্কৃতি কথা (লেখকের মৃত্যুর পর প্রকাশিত এ গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের মননশীল প্রবন্ধ ধারায় একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন)। অনুবাদগ্রন্থ : সভ্যতা (ক্লাইভ বেল-এর সিভিলাইজেশন-এর অনুবাদ), সুখ (বার্ট্রান্ড রাসেল-এর কংকোয়েস্ট অব হ্যাপিনেস-এর অনুবাদ)। |
মৃত্যু | ১৯৫৬ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর। |
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১ নং. সুমন ও শ্যামল বাল্যবন্ধু। দুজনই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। পেশাগত জীবনে সুমন বড় ব্যবসায়ী। গাড়ি, বাড়ি, টাকা-কড়ি কোনো কিছুরই অভাব নেই তার। সবাই তাকে এক নামে চেনে। আর শ্যামল শিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। গত সিডরে তাদের গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। অথচ সুমন ছুটে এসে সাহায্যের বদলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনে নেয়।
ক. মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী কয়টি উপায়ের কথা বলেছেন?
খ. আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন?
গ. উদ্দীপকের সুমনের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত’ ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশেণ্ঢষণ করো।
১ এর ক নং প্র. উ.
মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে দুইটি উপায়ের কথা বলেছেন।
১ এর খ নং প্র. উ.
প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ জীবসত্তা থেকে মুক্তি পায় না বলে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।
লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী তাঁর ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত’্ব প্রবন্ধে মানুষের মাঝে দুটি সত্তার কথা বলেছেন। একটি জীবসত্তা আরেকটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই জীবসত্তা থেকে একজন মানুষ মানবসত্তায় উপনীত হয়। মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি প্রয়োজন। তাই জীবসত্তা থেকে মুক্তি ছাড়া আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।
১ এর গ নং প্র. উ.
উদ্দীপকের সুমনের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের জীবসত্তা অর্জনের দিকটি প্রতিফলিত।
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধ অনুযায়ী জীবসত্তা থেকে মানবসত্তায় উত্তরণের মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষাই মানুষকে শেখায় কী করে জীবনকে উপভোগ করতে হয়। জীবনে অন্নচিন্তা বা অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি পেতে হবে এ কথা সত্য। কিন্তু অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়। জীবনের প্রকৃত মর্মার্থ বুঝতে না পারলে মানবজীবনে শিক্ষা কোনো বৃহত্তর কল্যাণ সাধন করতে পারে না। জীবনের প্রকৃত সাধনা হচ্ছে মনুষ্যত্ব অর্জন। জীবনে মুক্তি অর্জনের জন্য দুটি উপায় অবলম্বন করতে হয়। একটি অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি আরেকটি হচ্ছে শিক্ষাদীক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়ার সাধনা।
উদ্দীপকের সুমন উচ্চ শিক্ষতি। সে পেশায় ব্যবসায়ী ও প্রচুর বিত্ত-বৈভবের মালিক। কিন্তু সিডরে ক্ষতিগ্র¯ত্ম নিজ এলাকার মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সুমন তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি ক্রয় করে। এখানে সুমনের চরিত্র বিশেস্নষণ করলে আমরা পাই শিক্ষা তার মাঝে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে পারেনি। সে তার অর্থ সাধনাকেই জীবন সাধনা জ্ঞান করেছে। সে লোভী অর্থের মোহে অন্ধ। লোভের ফলে তার আতি¥ক মৃত্যু ঘটেছে। তার দ্বারা কোনো মানবিক কাজ করা সম্ভব নয়। মানুষের দুঃখ কষ্ট আর আহাজারিতেও তার হৃদয় বিগলিত হয়নি। তাই আমরা লক্ষ করি সুমন শিক্ষতি হলেও তার মাঝে শুধু জীবসত্তার বিকাশ ঘটেছে। মনুষ্যত্ব সে অর্জন করতে পারেনি।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত। আর এই অপ্রয়োজনের দিকই তার শ্রেষ্ঠ দিক।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, অর্থচিন্তার নিগড়ে মানুষ বন্দি। ধনী-দরিদ্র সকলের মাঝে কাজ করে তার অর্থলিপ্সা। শুধু চাই, আর চাই। মানুষের মধ্যে বিদ্যমান জীবসত্তা মানুষকে অন্নচিন্তা ও অর্থচিন্তার মধ্যেই ব্যাপৃত রাখে। যাকে লেখক শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিক বলে উল্লেখ করেছেন। আর শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে মনুষ্যত্ব অর্জনের দিকটিকে বলা হয়েছে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিক। যাকে লেখক জীবনের শ্রেষ্ঠ দিক বিবেচনা করেছেন। শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি অর্জনই শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য। কারণ অন্ন-বস্ত্রের সমস্যাকে বড় করে দেখলে সুফল পাওয়া যাবে না।
উদ্দীপকের শ্যামল উচ্চশিক্ষতি। শিক্ষাজীবন শেষে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে শিক্ষকতাকে। সিডরে তার গ্রামটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলে শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে দুর্গত ও অসহায় মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। শ্যামলের শিক্ষা-দীক্ষা তার মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করেছিল। ফলে শ্যামল এই মানবিক উদ্যোগটি গ্রহণ করে। কিন্তু একই গ্রামের শিক্ষতি ও বাল্যবন্ধু সুমন সহায়তার হাত না বাড়িয়ে তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নেয়।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে শিক্ষার প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি হচ্ছে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করা। সত্যিকার মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। আলোচ্য উদ্দীপকের শিক্ষক শ্যামল নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলেছে। সে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি গুরুত্বসহকারে নিজের মধ্যে চর্চা করেছে। তাই তার দ্বারা মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে। পরের জন্য সে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মনোভাব পোষণ করে। তাই বলা হয়েছে, ‘শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত’।
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
২ নং. মৃতপ্রায় দশ বছরের ফেলানীকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে ফেলানীর কাছ থেকে জানা যায় সে গুলশানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আমিনা বেগমের বাসায় কাজ করত। পান থেকে চুন খসলে তার উপর অত্যাচার চলত। সেদিন ইস্ত্রি করতে গিয়ে কাপড় পুড়িয়ে ফেলায় তাকে গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাকা দেওয়া হয়। ঘটনার সত্যতা জেনে পুলিশ আমিনা বেগমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
ক. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত? ১
খ. ‘অর্থচিন্তার নিগড়ে সকলে বন্দি’ বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন দিকটি উপস্থিত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “আমিনা বেগমের ক্ষেত্রে শিক্ষা তার বাইরের ব্যাপার, অন্তরের ব্যাপার হয়ে ওঠেনি”- ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশেস্নষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘সংস্কৃতি কথা’ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
খ. আমাদের জগৎ সংসারে সকলেই জীবনটাকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পার করার চিন্তায় ব্য¯ত্ম, এটি বোঝাতেই লেখক প্রশ্নোক্ত মšত্ম্যবটি করেছেন।
পৃথিবীতে সকলেরই চাহিদা অসীম। তাই সহজেই কেউ তৃপ্ত হতে পারে না। এজন্য সকলেই অর্থের পেছনে ছোটে। জীবসত্তার প্রয়োজন মেটাতে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু শুধু অর্থের পেছনে না ছুটে আমাদের মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য মানবসত্তার চর্চাও করা প্রয়োজন। এজন্য শিক্ষা অর্জনে আগ্রহী হতে হবে। কিন্তু জীবসত্তার প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে মানুষ অর্থচিন্তার শিকল থেকে মুক্ত হতে পারে না। এটি বোঝানোর জন্যই লেখক প্রশ্নোক্ত মন্তব্যের অবতারণা করেছেন।
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের মানবসত্তা বা মনুষ্যত্বের দিকটি উপস্থিত।
শিক্ষালাভের মাধ্যমে মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। এর মাধ্যমে ব্যক্তির মাঝে মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের ফলে মানুষের মাঝে মানবতাবোধ জাগ্রত হয়। এতে ঐ ব্যক্তি ভালো-মন্দের সঠিক বিচার-বিশেস্নষণ করতে পারে। মনুষ্যত্ববোধ থাকলে ব্যক্তি ভালোকে ভালো এবং মন্দকে মন্দ বলার যোগ্যতা অর্জন করে।
উদ্দীপকের শিক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ডে মনুষ্যত্ববোধের পরিচয় ফুটে উঠেছে। তারা হাসপাতালে ফেলানীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে শিক্ষালাভের প্রকৃত উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে মানুষের মাঝে মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে যে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম তা তুলে ধরা হয়েছে। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষতি হতে পারলে মনুষ্যত্ববোধ সৃষ্টি হয়।
ঘ. ছোট জিনিসের মোহে বড় জিনিস হারাতে দুঃখবোধ না করায় উদ্দীপকের আমেনা বেগমের ক্ষেত্রে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ।
শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো মূল্যবোধ সৃষ্টি। তাই যেখানে মূল্যবোধের মূল্য পাওয়া হয় না সেখানে শিক্ষা নেই। একজন প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষতি ব্যক্তি কখনো মনুষ্যত্ববোধ বিসর্জন দিতে পারে না। কেননা শিক্ষার আসল কাজই হলো মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করা। তার পরও যদি নামসর্বস্ব শিক্ষায় শিক্ষতি কোনো ব্যক্তি মনুষ্যত্ব-বিবর্জিত কোনো কাজ করে তাহলে বোঝা উচিত সে শিক্ষার প্রকৃত মর্মার্থ অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছে।
উদ্দীপকে আমেনা বেগম বিবেকবোধহীন কাজ করেছে। সে সামান্য একটি কাপড়ের জন্য ফেলানীকে ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিয়ে মনুষ্যত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। শিক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের আহ্বান মানুষের মর্মে গিয়ে পৌঁছলে সে কখনোই এমন বিবেকহীন কাজ করতে পারে না। শিক্ষা যদি শুধুই বাইরের ব্যাপার হয় তাহলে তা বাইরের দিক থেকে ত্রম্নটিহীন মনে হলেও ভেতরে কেবল প্রতারণাই লুক্কায়িত থাকে। উদ্দীপকের আমেনা বেগমের শিক্ষাও তাই এই লেফাফাদুরস্তিই বটে।
শিক্ষা যদি মানুষের অন্তরের ব্যাপার হয়ে ওঠে তাহলে মানুষ সেই শিক্ষা থেকে মূল্যবোধ অর্জন করে। আর মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের আতি¥ক উন্নতি ঘটলে মানুষ বুঝতে পারে লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। ছোট জিনিসের মোহে পড়ে যে বড় জিনিস হারাতে দুঃখবোধ করে না, সে আর যাই হোক শিক্ষতি নয়। উদ্দীপকের আমেনা বেগমের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি ঘটেছে। তাই আমিনা বেগমের ক্ষেত্রে শিক্ষা তার বাইরের ব্যাপার, অন্তরের ব্যাপার হয়ে ওঠেনি।
৩ নং. শেফালী ও মারুফা দুজনেই হাসপাতালের সেবিকা। শেফালী ছোটবেলার স্বপ্নকে বা¯ত্মবায়ন করার জন্য তার অর্জিত বেতনের টাকা দিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র স্থাপন করেন। আর মারুফা অনেক বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখে এবং হাসপাতালের রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত চিকিৎসার ওষুধ বাইরে বিক্রি করে অর্থ আয় করে।
ক. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত? ১
খ. “কারারুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষের মূল্য কতটুকু?” এখানে “কারারুদ্ধ” বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের শেফালী চরিত্রে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে মারুফার মানসিক পরিবর্তনে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক কী পরামর্শ দিয়েছেন? আলোচনা করো। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘সংস্কৃতি কথা’ গ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত।
খ. প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিতে কারারুদ্ধ বলতে চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত থাকাকে বোঝানো হয়েছে।
শিক্ষা মানুষকে মুক্তি দেয়। কারাগারে বসে প্রচুর অন্নবস্ত্র পেলেও মানুষ মুক্তির স্বাদ পেতে চায়। শিক্ষা তেমনি অন্নচিন্তার মধ্যে থেকেও মনের মুক্তি দেয়। শিক্ষার মাধ্যমে চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা ও আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা পাওয়া যায়। কিন্তু যারা ধন-সম্পদের মাঝে থেকেও এই শিক্ষা থেকে দূরে থাকে তাদের অবস্থা কারারুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষের মতোই। প্রশ্নে কারারুদ্ধ বলতে এ দিকটিই বোঝানো হয়েছে।
গ. উদ্দীপকের শেফালীর চরিত্রে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের বর্ণিত মনুষ্যত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে মোতাহের হোসেন চৌধুরী মানুষের মাঝে মানবিকতাবোধের উন্মেষের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ মনুষ্যত্বলোকের সন্ধান পায়। তখন সে ভালো-মন্দের মাঝে তফাৎ করতে শেখে। মনুষ্যত্ববোধসম্পন্ন মানুষ তার কাজের মাধ্যমে নিজের আতি¥ক উন্নয়ন ঘটায়।
উদ্দীপকের শেফালী একজন হাসপাতালের সেবিকা। প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য মহৎ কিছু করার ইচ্ছা তার ছোটবেলা থেকেই ছিল। নিজের বেতনের টাকা থেকে সে প্রতিবন্ধী শিশুদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র চালু করে। এর মাধ্যমে আমরা শেফালীর মানবিকবোধসম্পন্ন উদার মনের পরিচয় পাই। ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত শিক্ষার দ্বারা মনুষ্যত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হওয়ার কারণেই শেফালী এমন মহৎ একটি উদ্যোগ নিতে অনুপ্রাণিত হয়েছে।
ঘ. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে প্রকাশিত লেখকের মতামত অনুসারে বলা যায়, উদ্দীপকের মারুফার মানসিকতা পরিবর্তনে প্রকৃত শিক্ষার প্রয়োগে মনুষ্যত্ববোধের জাগরণ প্রয়োজন ।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে মোতাহের হোসেন চৌধুরী জীবন গঠনে শিক্ষার ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। শিক্ষা লাভের মাধ্যমে মানুষ মনুষ্যত্ব অর্জন করে। বিভিন্ন অন্যায়ের পথ এড়িয়ে চলার মানসিক শক্তি অর্জন করে। কিন্তু শিক্ষা গ্রহণের পরও কেউ যদি অন্যায়ের পথে নিজের স্বার্থসিদ্ধিতে তৎপর থাকে তবে বুঝতে হবে যে তার মাঝে প্রকৃত শিক্ষার উপস্থিতি নেই।
উদ্দীপকের মারুফা অসৎ উপায়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্য¯ত্ম। রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ গোপনে বিক্রি করে নিজে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তার এ কাজটি ঘোরতর অন্যায়। মনুষ্যত্ববোধের ঘাটতি থাকায় সে এমন গর্হিত কাজে জড়াতে দ্বিধা করে না।
শিক্ষার আসল কাজ জ্ঞান পরিবেশন নয়, মূল্যবোধ সৃষ্টি। শিক্ষার মাধ্যমেই আমরা বুঝতে পারি ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।’ কিন্তু স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে নিজের আত¥মর্যাদা বিসর্জন দেয় তাকে কোনোভাবেই শিক্ষতি বলা যায় না। উদ্দীপকের মারুফার ক্ষেত্রেও এই কথাটি সত্য। তার মাঝে মূল্যবোধের অভাব রয়েছে। প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে তার মাঝে বিবেকবোধ ও মানবিক চেতনার স্ফুরণ ঘটানো সম্ভব। তাহলেই সে উদ্দীপকে উলিস্নখিত অন্যায়মূলক কাজের সাথে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকবে।
৪ নং. শিহাব সাহেব সুরমা সিমেন্ট কোম্পানির হিসাবরক্ষণ অফিসার। ভালো বেতন পান বলে সংসারে অভাব নেই। কোম্পানির প্রয়োজনে মালিক প্রায়ই বিদেশে থাকেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিহাবের স্ত্রী রেবা একটু এদিক-ওদিক করে রাতারাতি গাড়ি-বাড়ির মালিক হওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু শিহাব তার স্ত্রীর প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বলেÑ ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’।
ক. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি কোন প্রবন্ধের অংশবিশেষ? ১
খ. মানবজীবনে শিক্ষা সোনা ফলাতে পারে না কেন? ২
গ. উদ্দীপকের শিহাব কেন স্ত্রীর প্রস্তাবে রাজি হননি?- ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন দিক রেবার মানসিকতা পরিবর্তনে সহায়ক?- বিশেস্নষণ করো। ৪
৪ নং প্র. উ.
ক. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব, প্রবন্ধটি মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘সংস্কৃতি কথা’ গ্রন্থের ‘মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের অংশবিশেষ।
খ. অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি না পেলে শিক্ষা মানবজীবনে সোনা ফলাতে পারে না।
শিক্ষা মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধের জাগরণ ঘটায়। কিন্তু জীবনসত্তার প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে মানুষ শিক্ষার প্রকৃত মর্মার্থ অনুধাবনে ব্যর্থ হয়। জীবসত্তার প্রয়োজনে মানুষ সবসময় অর্থচিন্তার নিগড়ে বন্দি থাকে। এই অর্থ সাধনাই যে জীবন সাধনা নয়, এ কথাটি অনুধাবনে ব্যর্থ হলে শিক্ষা মানবজীবনে সোনা ফলাতে পারে না।
গ. উদ্দীপকের শিহাবের মাঝে মনুষ্যত্ববোধ ছিল বলেই তিনি তার স্ত্রীর অন্যায় প্রস্তাবে রাজি হননি।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের রচয়িতা মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মতে, শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ মনুষ্যত্ববোধ লাভ করে। তখন অন্যায় কাজ করতে তার বিবেক তাকে বাধা দেয়। লোভের কুফল সে বুঝতে পারে। তাই সে লোভের ফাঁদে ধরা দেয় না।
উদ্দীপকের শিহাব সাহেব একজন সৎ মানুষ। কোম্পানির মালিক বিদেশে অবস্থান করলেও তিনি মালিকের বিশ্বাস ভঙ্গ করেননি। স্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী অসৎ উপায়ে অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা নেননি। কেননা তিনি জানেন লোভের ফলে তাঁর আত্মার মৃত্যু ঘটবে। ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে বলা যায়, শিক্ষার আলোয় শিহাব সাহেবের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত ছিল বলেই তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রস্তাবে রাজি হননি।
ঘ. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধ অনুসারে বলা যায়, প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে রেবার মাঝে মনুষ্যত্ববোধের জাগরণ ঘটাতে পারলে রেবার মানসিকতা পরিবর্তন করা সম্ভব।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে মোতাহের হোসেন চৌধুরী মানবজীবনের উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। তাঁর মতে, মানবজীবনের উন্নতির জন্য জীবসত্তা থেকে মানবসত্তার ঘরে পৌঁছবার মই হলো শিক্ষা। প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষ সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
উদ্দীপকের শিহাব সাহেব একটি সিমেন্ট কোম্পানির হিসাবরক্ষণ অফিসার হিসেবে কর্মরত। ভালো বেতনের বদৌলতে তাঁর সংসারে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিরাজমান। কিন্তু তাঁর স্ত্রী রেবার চাহিদা এতে পূরণ হয় না। তাই মালিক বিদেশে থাকাকালীন তিনি শিহাবকে পরামর্শ দেন অসৎ উপায়ে উপার্জন করে রাতারাতি বাড়ি গাড়ির মালিক বনে যাওয়ার জন্য। ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে বলা যায়, রেবার মাঝে প্রকৃত শিক্ষার ছোঁয়া নেই বলেই তিনি তাঁর স্বামীকে অন্যায়ের পথে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’-এ কথাটি মানুষ ভুলে যায় যখন তার মাঝে প্রকৃত শিক্ষার প্রভাব থাকে না। তখন সে অন্যায়ের পথে পা বাড়াতে দ্বিধা করে না। আলোচ্য প্রবন্ধের রচয়িতার মতে, শিক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্বলোকের সাথে পরিচয় ঘটিয়ে দেয়। কিন্তু জীবসত্তার ঘর বিশৃঙ্খল থাকলে মনুষ্যত্বের সাধনা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। উদ্দীপকের রেবার জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়ার ব্যাপারে সমস্যা নেই। তবুও তিনি লোভী মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন প্রকৃত শিক্ষার অভাবে। তিনি হয়তো বা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। অথবা শিক্ষতি হলেও শিক্ষা তার অন্তরের ব্যাপার হয়ে ওঠে নি। তাই লোভের বৃত্ত থেকে তাকে বের করে আনতে হলে তাকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষতি হতে হবে। তাহলে তার মাঝে মনুষ্যত্ববোধের জাগরণ ঘটবে। ফলে স্বামীর মতো তিনিও অন্যায় কাজ করা থেকে দূরে থাকবেন।
৫ নং. বাদশাহ আলমগীরের ছেলেকে দিলিস্নর এক মৌলভী পড়াতেন। বাদশাহ একদিন দেখলেন তার ছেলে ওস্তাদের পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছে আর ওস্তাদ নিজ হাতে পা পরিষ্কার করছেন। বাদশাহ মৌলভীকে তার দরবারে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন তার ছেলে কেন নিজ হাতে ওস্তাদের পা ধুইয়ে দিল না।
ক. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কোন পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন? ১
খ. শিক্ষার আসল কাজ কী? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন দিকটির মিল রয়েছে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বাদশাহ আলমগীরের ছেলের মাঝে মানবসত্তার বিকাশে কোন জিনিসটি ভূমিকা রাখতে পারে? ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে তোমার মতামত দাও। ৪
৫ নং প্র. উ.
ক. মোতাহের হোসেন চৌধুরী ‘শিখা’ পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন।
খ. শিক্ষার আসল কাজ হলো মূল্যবোধ সৃষ্টি।
জ্ঞান পরিবেশন করা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য নয়। শিক্ষার মূল কাজ হলো মানুষকে মনুষ্যত্বলোকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। অন্নবস্ত্রের সমস্যা সমাধান হলেই মানবজীবনের প্রকৃত উন্নয়ন হয় না। এ জন্য প্রয়োজন চিন্তা, বুদ্ধি ও আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা। শিক্ষার মাধ্যমেই আমরা এ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি। মূল্যবোধের জাগরণ ঘটিয়ে শিক্ষা আমাদের সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। আর এটিই শিক্ষার আসল কাজ।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ববোধের মিল রয়েছে।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক বলতে চেয়েছেন, মানুষের মাঝে দুটি সত্তা বিরাজমান থাকে। একটি জীবসত্তা, অপরটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। জীবসত্তার প্রয়োজনেই মানুষ অন্ন-বস্ত্র লাভের জন্য প্রচেষ্টা চালায়। আর যদি মানুষ শুধু অন্নচিন্তা ও অর্থচিন্তার মধ্যে নিজেকে ব্য¯ত্ম রাখে তাহলে মানবজীবনের মূল যে লড়্গ্য মনুষ্যত্ব অর্জন, তা থেকে সে বঞ্চিত হয়। তাই শুধু অর্থ উপার্জন নয় জীবনের প্রকৃত সাধনা হচ্ছে নিজের মধ্যে মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘটানো।
আলোচ্য উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি, ছাত্র তার শিক্ষকের পায়ে বিনয়ের সাথে পানি ঢেলে দিচ্ছে আর শিক্ষক নিজ হাতে পা ধুয়ে নিচ্ছেন। বাদশাহ তা দেখে ওই শিক্ষককে ডেকে পাঠান এবং তার ছেলে কেন নিজ হাতে শিক্ষকের পা ধুইয়ে দিল না তার কারণ জানতে চান। বাদশাহ শিক্ষকের সম্মানকে ক্ষুণ্ণ না করে তার মর্যাদাকে আরো উচ্চে তুলে ধরেছেন। উদ্দীপকে জীবসত্তার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি, কিন্তু মনুষ্যত্ববোধটি যথার্থভাবে ফুটে উঠেছে।
ঘ. শিক্ষা বা জ্ঞানার্জনই বাদশাহ আলমগীরের ছেলের মাঝে মানবসত্তার বিকাশ ঘটাতে পারে।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মানবজীবন হচ্ছে একটি দোতলা ঘরের মতো। জীবসত্তা হচ্ছে নিচের তলা আর মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব হচ্ছে ওপরের তলা। শিক্ষাই কেবল মই হিসেবে জীবসত্তা থেকে মানবসত্তার ঘরে মানুষকে নিয়ে যেতে পারে। জীবসত্তার প্রয়োজনে মানুষকে অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি লাভ করতে হয়। আবার শিক্ষালাভের মধ্য দিয়ে মানবসত্তার উন্নয়ন বা মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি, ছাত্র শ্রদ্ধাবশত শিক্ষকের পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছে। আর শিক্ষক নিজ হাতে পা পরিষ্কার করছেন। কিন্তু বাদশাহ শিক্ষকের প্রতি এইটুকু সম্মান প্রদর্শনে খুশি হতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন তার ছেলে শিক্ষকের পদযুগল নিজ হাতে ধুয়ে দিক। বাদশাহ তাঁর দরবারে মৌলভীকে ডেকে নেওয়ার মূল কারণ ছিল তাঁর ছেলে যেন যথার্থ শিক্ষা লাভ করে। যাতে শিক্ষককে উপযুক্ত সম্মান করতে পারে। বাদশাহ তাঁর আচরণের মধ্য দিয়ে আভিজাত্যের অহংকার নয় বরং তাঁর ভেতরের মানবসত্তার উৎকর্ষই তুলে ধরেছেন।
শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল সার্টিফিকেট কিংবা ডিগ্রি অর্জন নয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষের ভেতরের মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলা। তার মূল্যবোধকে ধারণ করা। প্রকৃত শিক্ষা মানুষের মাঝে ভদ্রতা, নম্রতা ও বিনয়ের মতো গুণাবলি সৃষ্টি করে। বাদশাহ তার প্রিয়তম সন্তানের মাঝে সেই মহৎ গুণাবলির সমাবেশ দেখতে চেয়েছেন। তাই বাদশাহ আলমগীরের ছেলের মাঝে মানবসত্তা বা মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে হলে তাকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষতি করে গড়ে তুলতে হবে। এই শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়েই তার জীবনে মনুষ্যত্বের সোনা ফলবে। তার জীবন মহিমান্বিত হবে।
৬ নং. শহীদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর চলে গেলেন নিজ গ্রামে। সেখানে তিনি একটি হাই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তার অদম্য ইচ্ছা গ্রামটিকে তিনি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করবেন। সকল শিশুর জন্য শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করবেন। তার প্রভাবে দরিদ্র পরিবারের সন্তানরাও স্কুলে যেতে শুরু করল। শিক্ষার ব্যাপারে মানুষের মনে একটা আগ্রহ তৈরি হলো।
ক. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কোন পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন? ১
খ. ‘অপ্রয়োজনের দিকই তার শ্রেষ্ঠ দিক’- কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শহীদুল্লাহর মধ্যে কিসের জাগরণ ঘটিয়েছে? ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকটি ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আংশিক প্রতিফলন মাত্র’Ñ মূল্যায়ন করো। ৪
৬ নং প্র. উ.
ক. মোতাহের হোসেন চৌধুরী ‘শিখা’ পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন।
খ. শিক্ষার মাহাতে¥্যর কথা বোঝানো হয়েছে উক্তিটির মাধ্যমে।
মোতাহের হোসেন চৌধুরী ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে মানবজীবনের উন্নয়নে শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। অন্নবস্ত্রের সমস্যা সমাধানে শিক্ষার যেমন ভূমিকা আছে, তেমনি মানবিক মূল্যবোধ গঠনেও শিক্ষার ভূমিকা আবশ্যকীয়। প্রাবন্ধিক শিক্ষার প্রথম ভূমিকাটিকে বলেছেন প্রয়োজনের আর দ্বিতীয়টিকে অপ্রয়োজনের। শিক্ষার অপ্রয়োজনের এই দিকটি মানুষকে জীবন উপভোগ করতে শেখায়, মনুষ্যত্বলোকের সাথে মানুষের মিলন ঘটিয়ে দেয়। এটি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়ার কোনো উপায় নেই। লেখক তাই শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিকটিকেই শ্রেষ্ঠ দিক বলেছেন।
গ. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শহীদুল্লাহর মধ্যে মনুষ্যত্ববোধের জাগরণ ঘটিয়েছে।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী বলতে চেয়েছেন শিক্ষার আসল কাজ মূল্যবোধ সৃষ্টি, জ্ঞান দান নয়। জ্ঞান অর্জন মূল্যবোধ সৃষ্টির উপায় মাত্র। অর্থচিন্তায় ব্য¯ত্ম মানুষ ব¯ত্মুবাদী চিন্তার মধ্যেই নিজেকে নিয়োজিত রাখে। এই অর্থচিন্তা মানুষকে লোভী করে তোলে। আর লোভের ফলে মানুষের আতি¥ক মৃত্যু ঘটে। পক্ষান্তরে শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে সাহায্য করে। শিক্ষা লাভের মধ্য দিয়েই প্রকৃত মূল্যবোধ বা মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘটে।
শিক্ষা অর্জনের ফলে উদ্দীপকে শহীদুল্লাহর মাঝে সৃষ্টি হয়েছে চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা ও আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা। তাই সে গতানুগতিক চিন্তার বাইরে গিয়ে নিজের অনগ্রসর গ্রামের কথা ভেবেছে। গ্রামের শিশু-কিশোরদের শিক্ষার কথা ভেবেছে। তারা যেন প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে সে চেষ্টায় আত¥নিয়োগ করেছে। তার লেখাপড়া তাকে স্বার্থপরের মতো জীবন-যাপন করতে শেখায়নি। বরং পরার্থে জীবন উৎসর্গ করার শিক্ষা দিয়েছে। তাই উদ্দীপক ও ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধ বিচার করলে দেখা যায়, শহীদুল্লাহর
মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘটেছে ।
ঘ. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে জীবসত্তা ও মানবসত্তার বিষয় আলোচিত হলেও উদ্দীপকে কেবল মানবসত্তার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। সেদিক থেকে উদ্দীপকটি ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আংশিক প্রতিফলন মাত্র।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধ অনুযায়ী মানুষের মাঝে দুটি সত্তা কাজ করে। একটি জীবসত্তা অন্যটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্ব অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে শিক্ষা। আবার শিক্ষার মাধ্যমে জীবসত্তার প্রয়োজন পূরণ বা খাদ্যবস্ত্রের চাহিদা মেটানো সহজ হয়। মনুষ্যত্বের স্বাদ পেতে হলে অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মানুষকে মুক্তি পেতে হবে। কারারুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষের কোনো মূল্য নেই। কারণ সেখানে চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা বা আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। মানবজীবনের জন্য অন্নবস্ত্রের সুব্যবস্থা ও শিক্ষা দুটোই প্রয়োজন।
উদ্দীপকে শিক্ষতি ও প্রাণবন্ত যুবক শহীদুল্লাহ নিজের গ্রামকে আলোকিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে গ্রামে ফিরে যান। অভিভাবকদের সংগঠিত করে শিশুদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলেন। উদ্দীপকে শহীদুল্লাহর এই কর্মকাণ্ড মানবসত্তার দিকটি তুলে ধরে। জীবসত্তার বিষয়টি এখানে অনুপস্থিত।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে জীবসত্তা ও মানবসত্তা উভয় বিষয় বিস্তারিত ও উপমাসহকারে আলোচিত হয়েছে। এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনা। মানবসত্তার বিষয় মানবজীবনে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলেও জীবসত্তার বিষয়টি উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। তাই উদ্দীপক এবং ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধ বিচার করলে আমরা পাই, উদ্দীপকে শুধু মানবসত্তার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। তাই এটি শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের আংশিক প্রতিফলন মাত্র।
৭ নং. হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সুমন। অনেক ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া করে বড় মানুষ হবে। কিন্তু প্রতিদিন দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করাই যেখানে কষ্টসাধ্য সেখানে পড়াশোনা আর কী করে করবে সে। বাধ্য হয়ে একটা দোকানে কাজ নেয় সে। তাতেও মেটে না পরিবারের চাহিদা। একসময় স্থানীয় ছিনতাইকারী চক্রের সাথে যুক্ত হয়ে অন্ধকার জীবনে পা বাড়ায় সুমন।
ক. জীবসত্তার ঘর হতে মানবসত্তার ঘরে উঠবার মই কী? ১
খ. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধের রচয়িতার মতে অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সুমনের অন্ধকার জীবনে পা বাড়ানোর কারণটি ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “সুমনের মতো মানুষদের প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা ও অন্ন-বস্ত্র উভয় বিষয়ের সুব্যবস্থা প্রয়োজন”Ñ উক্তিটির যথার্থতা বিশেস্নষণ করো। ৪
৭ নং প্র. উ.
ক. জীবসত্তার ঘর হতে মানবসত্তার ঘরে উঠবার মই হলো শিক্ষা।
খ. মানবজীবনে শিক্ষার সুফল লাভের জন্য অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি লাভ করা জরুরি।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে মোতাহের হোসেন চৌধুরী মানবজীবনের উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁর মতে, অধিকাংশ মানুষই অর্থচিন্তা অর্থাৎ অন্নচিন্তায় নিমগ্ন। এর ফলে তাদের জীবনের ওপরের তলা অর্থাৎ মনুষ্যত্বের ঘরটির দশা নিতান্তই শোচনীয়। কিন্তু অর্থ সাধনা জীবন সাধনা নয়, এটি মানুষকে বুঝতে হবে। তা না হলে শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান কোনো কাজেই আসবে না। মানুষের মাঝে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর জন্য অর্থচিন্তা থেকে মানুষের মুক্তি অত্যন্ত জরুরি।
গ. উদ্দীপকের সুমনের অন্ধকার জীবনে পা বাড়ানোর কারণ হলো অন্ন-বস্ত্রের সুব্যবস্থা না হওয়া।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মতে, মানুষ অর্থচিন্তার নিগড়ে বন্দি। অর্থচিন্তা মানুষকে সারাক্ষণ ব্য¯ত্ম রাখে। এ কারণে প্রকৃত মনুষ্যত্ব অর্জনে তারা বাধাগ্র¯ত্ম হয়। অর্থচিন্তার নিগড় থেকে বের হতে না পারলে মানুষের জীবনের উন্নয়নে অনেক বিলম্ব ঘটবে। জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে অনেকেই সারাক্ষণ ব্য¯ত্ম থাকে। ফলে প্রকৃত মনুষ্যত্ব অর্জনে সে ব্যর্থ হয়।
উদ্দীপকে সুমন অর্থচিন্তার নিগড়ে বন্দি। সে অন্ন-বস্ত্রের ব্যবস্থা করতেই সদা ব্যাকুল। ফলে শিক্ষা তার কাছে পৌঁছতে পারে না। এজন্য সে যেকোনো উপায়ে নিজের অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থা করতে চায়। কিন্তু জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে উপায় না পেয়ে অন্ধকার জগতে পা বাড়ায়। তার অন্ন-বস্ত্রের সুব্যবস্থা হলে সে শিক্ষা অর্জন করতে পারত। এতে তার মনুষ্যত্ব অর্জন হতো। ফলে অন্ধকার জগতে পা বাড়াত না। তাই বলা যায়, অন্ন-বস্ত্রের সুব্যবস্থা না হওয়ায় সুমন অন্ধকার জীবনে পা বাড়ায়।
ঘ. শিক্ষা ও অন্নবস্ত্র উভয়ের সুব্যবস্থাই পারে উদ্দীপকের সুমনের মতো মানুষগুলোর জীবসত্তা ও মানবসত্তার উন্নয়ন ঘটাতে।
মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে তাকে জীবসত্তার পাশাপাশি মানবসত্তারও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে এই জীবসত্তা ও মানবসত্তার উন্নযনের কথা বলা হয়েছে। মানুষের জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে অর্থাৎ মনুষ্যত্বের ঘরে যেতে প্রয়োজন শিক্ষা। এই শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মানবসত্তা জাগ্রত হয়। ফলে ব্যক্তি মূল্যবোধের অধিকারী হয়। তাই প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে জীবসত্তা ও মানবসত্তা দুটোই প্রয়োজন।
উদ্দীপকের সুমনের মাঝে জীবসত্তা থাকলেও মানবসত্তা নেই। কেননা মানবসত্তার ঘরের যাওয়ার মই অর্থাৎ শিক্ষা তার মাঝে নেই। ফলে জীবসত্তার প্রয়োজন মেটাতেই সে ব্য¯ত্ম হয়ে পড়েছে। অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান এগুলো জীবসত্তার প্রয়োজন মেটায়। কিন্তু মানবসত্তার প্রয়োজন মেটাতে প্রয়োজন শিক্ষা। আর এ কারণে সুমনের মাঝে শুধু জীবসত্তার দিকটিই ফুটে উঠেছে।
অন্নচিন্তার নিগড় থেকে মুক্তি পেলে মানুষ চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা অর্জন করে। এতে তারা প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে। কিন্তু উদ্দীপকের সুমন অন্নচিন্তার নিগড় থেকে মুক্ত হতে পারেনি। এ কারণে সে অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের সুমনের মতো মানুষেরা প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা ও অন্ন-বস্ত্র উভয় বিষয়েরই সুব্যবস্থা প্রয়োজন।
অনুশীলনীর দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক মানবজীবনকে কয়তলা বাড়ির সাথে তুলনা করেছেন?
উত্তর : ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক মানবজীবনকে দোতলা বড়ির সাথে তুলনা করেছেন।
২. মানবজীবনকে দোতলা বাড়ির সাথে তুলনা করা হলে নিচের তলার নাম কী?
উত্তর : মানবজীবনকে দোতলা বাড়ির সাথে তুলনা করা হলে নিচের তলার নাম জীবসত্তা।
৩. মানবজীবনকে দোতলা বাড়ির সাথে তুলনা করা হলে ওপরের তলার নাম কী?
উত্তর : মানবজীবনকে দোতলা বাড়ির সাথে তুলনা করা হলে ওপরের তলার নাম মানবসত্তা।
৪. জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে পৌঁছানোর মই কী?
উত্তর : জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে পৌঁছানোর মই হলো শিক্ষা।
৫. শিক্ষার কোন দিকটি এর শ্রেষ্ঠ দিক?
উত্তর : শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিকটি এর শ্রেষ্ঠ দিক।
৬. সকলে কিসের নিগড়ে বন্দি?
উত্তর : সকলে অর্থচিন্তার নিগড়ে বন্দি।
৭. কী পেলে আলো-হাওয়ার স্বাদবঞ্চিত মানুষ কারাগারকেই স্বর্গতুল্য মনে করে?
উত্তর : প্রচুর অন্নবস্ত্র পেলে আলো-হাওয়ার স্বাদবঞ্চিত মানুষ কারাগারকেই স্বর্গতুল্য মনে করে।
৮. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও মুক্তি বড়-এই বোধটি মানুষের কিসের পরিচায়ক?
উত্তর : অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও মুক্তি বড়-এই বোধটি মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।
৯. চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই সেখানে কী নেই?
উত্তর : চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই সেখানে মুক্তি নেই।
১০. ক্ষুৎপিপাসায় কাতর মানুষটিকে তৃপ্ত রাখতে না পারলে কী উপলব্ধি করা যায় না?
উত্তর : ক্ষুৎপিপাসায় কাতর মানুষটিকে তৃপ্ত রাখতে না পারলে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।
১১. শিক্ষাদীক্ষার দ্বারা কিসের স্বাদ পাওয়া যায় না?
উত্তর : শিক্ষাদীক্ষার দ্বারা মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়া যায় না।
১২. শিক্ষাদীক্ষার মারফতে মনুষ্যত্বের স্বাদ পেলেও কিসের দুশ্চিন্তায় মনুষ্যত্বের সাধনা ব্যর্থ হতে পারে?
উত্তর : শিক্ষাদীক্ষার দ্বারা মনুষ্যত্বের স্বাদ পেলেও অন্নবস্ত্রের দুশ্চিন্তায় মনুষ্যত্বের সাধনা ব্যর্থ হতে
রে।
১৩. মানব উন্নয়নের ব্যাপারে ওপর থেকে টানার কাজটি করে কে?
উত্তর : মানব উন্নয়নের ব্যাপারে ওপর থেকে টানার কাজটি করে শিক্ষা।
১৪. মানব উন্নয়নের ব্যাপারে নিচ থেকে ঠেলার কাজটি করে কে?
উত্তর : মানব উন্নয়নের ব্যাপারে নিচ থেকে ঠেলার কাজটি করে সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা।
১৫. লোভের কারণে যার আতি¥ক মৃত্যু হয় কিসের জগতে সে ফতুর হয়ে পড়ে?
উত্তর : লোভের কারণে যার আতি¥ক মৃত্যু হয় অনুভূতির জগতে সে ফতুর হয়ে পড়ে।
১৬. কী সৃষ্টি করা শিক্ষার আসল কাজ?
উত্তর : মূল্যবোধ সৃষ্টি করা শিক্ষার আসল কাজ।
১৭. কিসের বাঁধন থেকে মুক্তি না পেলে মনুষ্যত্বের আহ্বান মানুষের মর্মে গিয়ে পৌঁছাতে দেরি হয়?
উত্তর : প্রাণিত্বের বাঁধন থেকে মুক্তি না পেলে মনুষ্যত্বের আহ্বান মানুষের মর্মে গিয়ে পৌঁছাতে দেরি হয়।
১৮. ‘নিগড়’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘নিগড়’ শব্দের অর্থ বেড়ি।
১৯. ‘ক্ষুৎপিপাসা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ক্ষুৎপিপাসা শব্দের অর্থ ক্ষুধা ও তৃষ্ণা।
২০. ‘লেফাফাদুরস্তি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘লেফাফাদুরস্তি’ শব্দের অর্থ বাইরের দিক থেকে ত্রম্নটিহীনতা কিন্তু ভেতরে প্রতারণা।
২১. জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে হলে কী চাই?
উত্তর : জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে হলে অন্নবস্ত্র চাই।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তি বড়।- কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্য মানুষকে সাময়িক আনন্দ দিলেও মানুষের মনকে মুক্তি দেয় নাÑ এ
ষয়টিই বোঝানো হয়েছে কথাটি দ্বারা।
মানুষের রয়েছে দুটি সত্তা। একটি হলো তার জীবসত্তা আর অপরটি মানবসত্তা। অন্নবস্ত্রের সহায়তায় মানুষ তার জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখে। কিন্তু অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্য মানুষের মনকে পূর্ণাঙ্গভাবে সন্তুষ্ট করতে পারে না। মানবসত্তা অর্থাৎ মনুষ্যত্বলোকের মুক্তির মাধ্যমেই মানুষ আত্মার অমৃতকে উপলব্ধি করতে পারে। যাঁদের মাঝে মনুষ্যত্ববোধ রয়েছে তাঁরা অন্নবস্ত্রের সহজলভ্যতার চেয়ে মানসিক মুক্তিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
২. শুধু শিক্ষার ওপর নির্ভর করে মানবজীবনে উন্নতি করার ভাবনা অযৌক্তিক কেন?
উত্তর : শুধু শিক্ষার ওপর নির্ভর করলে জীবনে উন্নতি করতে অনেক বেশি সময় প্রয়োজন বলে এ
বনা ভাবা অযৌক্তিক।
মানবজীবনে উন্নতির জন্য একই সাথে দুটি উপায় অবলম্বন করতে হবে। অন্নবস্ত্রের সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি শিক্ষাদীক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়ার সাধনা করতে হবে। কেবল শিক্ষাকে অবলম্বন করে প্রাণপণে চেষ্টা করলেও জীবনে সফল হওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে অনেক সময়ের প্রয়োজন। কেননা অন্নবস্ত্রের দুশ্চিন্তায় মনুষ্যত্বের সাধনা পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ কারণেই শুধু শিক্ষার ওপর নির্ভর করে মানবজীবনে উন্নতি করার ভাবনাটি খুব বেশি ফলপ্রসূ হয় না।
৩. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে শিক্ষাকে মইয়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে কেন?
উত্তর : শিক্ষা জীবসত্তা ও মানবসত্তার মাঝে সেতুবন্ধ রচনা করে বলে শিক্ষাকে মইয়ের সাথে তুলনা
রা হয়েছে।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে মোতাহের হোসেন চৌধুরী মানবজীবনকে একটি দোতলা বাড়ির সাথে তুলনা করেছেন। সেই বাড়ির নিচতলা হলো জীবসত্তা আর ওপরের তলা হলো মানবসত্তা। মানবসত্তার ঘরে উঠে মানুষ সত্যিকার অর্থে উন্নত মানুষে পরিণত হয়। আর মানবসত্তা তথা মনুষ্যত্বলোকের সাথে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেয় শিক্ষা। শিক্ষার সিঁড়ি বেয়েই মানুষের মনুষ্যত্বের সাধনা চলমান থাকে। শিক্ষার এই সহায়ক ভূমিকার কারণেই প্রাবন্ধিক শিক্ষাকে মইয়ের সাথে তুলনা করেছেন।
৪. লেফাফাদুরস্তি আর শিক্ষা এক কথা নয়-কেন?
উত্তর : লেফাফাদুরস্তি মানুষের বাইরের দিক হলেও শিক্ষা মানুষের ভেতরের দিক। অর্থাৎ উভয়ের
বস্থান পরস্পরের বিপরীতে।
লেফাফাদুরস্তি বলতে বাইরের দিক থেকে ত্রম্নটিহীনতা কিন্তু ভেতরে প্রতারণা বোঝায়। লেফাফাদুর¯ত্ম ব্যক্তিরা বাইরে থেকে আকর্ষণীয় হলেও তাদের ভেতরটা শূন্য। অন্যদিকে যথার্থ শিক্ষতি ব্যক্তি বাইরে থেকে দেখতে যেমনই হন না কেন, অন্তরের শক্তিতে তিনি বলীয়ান। শিক্ষার প্রকৃত লড়্গ্য মানুষের আতি¥ক উন্নয়ন। এ কারণেই ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক লেফাফাদুরস্তি ও শিক্ষাকে ভিন্ন বলে উল্লেখ করেছেন।
৫. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক মানবজীবনকে দোতলা ঘরের সাথে তুলনা করেছেন কেন?
উত্তর : মানবজীবনের দুটি সত্তা সম্পর্কে সহজ ধারণা দেওয়ার লড়্গ্েয ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে
খক মোতাহের হোসেন চৌধুরী মানবজীবনকে একটি দোতলা ঘরের সাথে তুলনা করেছেন।
মানুষের দুটি সত্তা রয়েছে। একটি তার জীবসত্তা আর অন্যটি মানবসত্তা। জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে হয় জীবনধারণের জন্য। অন্যদিকে মানবসত্তার পরিচর্যা করা প্রয়োজন জীবনকে উন্নত করার জন্য। জীবসত্তার তুলনায় লেখকের বিবেচনায় তার মানবসত্তা তথা মনুষ্যত্ববোধের তাৎপর্য অনেক বেশি। জীবসত্তার চাহিদাকে তিনি মানবজীবনে প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর এই অবস্থা থেকে ওপরে ওঠার প্রচেষ্টা হিসেবে বলেছেন মনুষ্যত্বের সাধনাকে। মানবজীবনকে তাই তিনি দোতলা একটি ঘরের সাথে তুলনা করে জীবসত্তা ও মানবসত্তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তাঁর বিবেচনায় দোতলা ঘরের নিচতলা হলো জীবসত্তা এবং ওপরের তলা হলো মানবসত্তা।
৬. প্রাণিত্বের বাঁধন থেকে মুক্তি পাওয়া অত্যন্ত জরুরি কেন?
উত্তর : মনুষ্যত্বের আহ্বান মানুষের মর্মে পৌঁছানোর জন্য প্রাণিত্বের বাঁধন থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি।
শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ মনুষ্যত্বের অধিকারী হয়। কিন্তু অন্নবস্ত্রের সুব্যবস্থা না থাকলে জীবনের উন্নয়ন বাধাগ্র
ত্ম হয়। পায়ের কাঁটার দিকে বারবার নজর দিতে গেলে হাঁটার আনন্দ উপভোগ করা যায় না। তেমনি অন্নবস্ত্রের সমস্যায় সর্বদা জর্জরিত থাকতে হলে মুক্তির আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব হয় না। তাই মনুষ্যত্বের আহ্বানে দ্বিধাহীনভাবে সাড়া দিতে প্রাণিত্বের বাঁধন থেকে মুক্তি অর্থাৎ অন্নবস্ত্রের সমস্যার সমাধান অত্যন্ত জরুরি।
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. ‘মোতাহের হোসেন চৌধুরী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? গ
ক. ১৯০১ সালে খ. ১৯০২ সালে
গ. ১৯০৩ সালে ঘ. ১৯০৪ সালে
২. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর জন্মস্থান কোথায়? ক
ক. কুমিল্লা খ. ঢাকা
গ. কলকাতা ঘ. হুগলি
৩. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস কোন জেলায়? ঘ
ক. কুমিল্লা খ. চাঁদপুর
গ. ফেনী ঘ. নোয়াখালী
৪. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কত সালে এম.এ. পাস করেন? খ.
ক. ১৯৪০ সালে খ. ১৯৪৩ সালে
গ. ১৯৪৫ সালে ঘ. ১৯৪৮ সালে
৫. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাস করেন? গ
ক. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খ. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
গ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৬. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কোন বিষয়ে এম.এ পাস করেন? ক
ক. বাংলা খ. ইংরেজি
গ. দর্শন ঘ. ভাষাতত্ত্ব
৭. কর্মজীবনে মোতাহের হোসেন চৌধুরী কিসের অধ্যাপক ছিলেন? ঘ
ক. দর্শনের
খ. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের
গ. ভাষাতত্ত্বের
ঘ. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের
৮. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কোন পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন? ঘ
ক. নবযুগ খ. সবুজপত্র
গ. লাঙল ঘ. শিখা
৯. ‘শিখা’ পত্রিকাটি কোথা থেকে প্রকাশিত হতো? গ
ক. কুমিল্লা থেকে খ. কলকাতা থেকে
গ. ঢাকা থেকে ঘ. চট্টগ্রাম থেকে
১০. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর লেখায় কিসের স্বচ্ছন্দ প্রকাশ ঘটেছে? গ
ক. ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজনীতির
খ. রাজনীতি ও অর্থনীতির
গ. মননশীলতা ও চিন্তার
ঘ. সাম্প্রদায়িকতা ও শ্রেণিভাবনার
১১. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর গদ্যে কোন লেখকের প্রভাব লক্ষণীয়? গ
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ. হুমায়ুন আজাদ
গ. প্রমথ চৌধুরী ঘ. কাজী নজরুল ইসলাম
১২. মোতাহের হোসেন চৌধুরী মূলত কোনটি ছিলেন? ক
ক. গদ্যকার খ. ছড়াকার
গ. নাট্যকার ঘ. সুরকার
১৩. কোনটি মোতাহের হোসেন চৌধুরী রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ? গ
ক. রায়তের কথা খ. প্রবন্ধ সংগ্রহ
গ. সংস্কৃতি কথা ঘ. স্বগত সংলাপ
১৪. কোনটি মোতাহের হোসেন চৌধুরী রচিত অনুবাদগ্রন্থ? ক
ক. সভ্যতা খ. বাক্যতত্ত্ব
গ. নীললোহিত ঘ. যাত্রাবদল
১৫. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? গ
ক. ১৯৫১ সালে খ. ১৯৫৩ সালে
গ. ১৯৫৬ সালে ঘ. ১৯৫৯ সালে
১৬. শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধে মানবজীবনকে কয়তলাবিশিষ্ট ঘরের সাথে তুলনা করা হয়েছে? ক
ক. দোতলা খ. তিনতলা
গ. চারতলা ঘ. পাঁচতলা
১৭. মানবজীবনকে দোতলা ঘর হিসেবে তুলনা করলে এর নিচতলার নাম কী হবে? গ
ক. মানবসত্তা খ. মূল্যবোধ
গ. জীবসত্তা ঘ. স্বাধীনতা
১৮. মানবজীবনকে দোতলা ঘরের সাথে তুলনা করা হলে এর ওপরের তলা কোনটি? গ
ক. জীবসত্তা খ. ক্ষুৎপিপাসা
গ. মানবসত্তা ঘ. মৌলিক অধিকার
১৯. জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে ওঠার মই কী? গ
ক. অর্থ খ. খাদ্য
গ. শিক্ষা ঘ. চিকিৎসা
২০. ক্ষুৎপিপাসার বিষয়টিকে কেমন করে তোলা শিক্ষার অন্যতম কাজ? গ
ক. অমানবিক খ. অপ্রয়োজনীয়
গ. মানবিক ঘ. সহজলভ্য
২১. শিক্ষার আসল কাজ কী? ঘ
ক. জীবসত্তার পরিচয় চেনানো খ. ক্ষুৎপিপাসা নিবারণ করা
গ. মানবসত্তার ঘর বন্ধ রাখা
ঘ. মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো
২২. মানুষকে কিসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য? খ.
ক. ক্ষুৎপিপাসার সাথে খ. মনুষ্যত্বের সাথে
গ. স্বর্গলোকের সাথে ঘ. অর্থ-বিত্তের সাথে
২৩. শিক্ষার শ্রেষ্ঠ দিক কোনটি? খ.
ক. প্রয়োজনের দিক খ. অপ্রয়োজনের দিক
গ. অর্থ উপার্জনের দিক ঘ. ব্যবহারিক দিক
২৪. মানবজীবনের নিচের তলায় বিশৃঙ্খল অবস্থার কারণে কী ঘটে? খ.
ক. শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিকটি মুখ্য হয়ে ওঠে
খ. শিক্ষার প্রয়োজনের দিকটি মুখ্য হয়ে ওঠে
গ. শিক্ষার আসল কাজটি সুসম্পন্ন হয়
ঘ. শিক্ষা মানবজীবনে সোনা ফলায়
২৫. সকলে কিসের নিগড়ে বন্দি? গ
ক. ধর্মচিন্তার নিগেেড় খ. সমাজচিন্তার নিগড়ে
গ. অর্থচিন্তার নিগড়ে ঘ. রাষ্ট্রচিন্তার নিগড়ে
২৬. চাই, চাই, আরও চাইÑ সকলের এ চাহিদা কিসের? ক
ক. অর্থের খ. শিক্ষার
গ. চিকিৎসার ঘ. নিরাপত্তায়
২৭. কোনটি ভালোভাবে বুঝতে না পারলে শিক্ষা আমাদের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না? গ
ক. মনুষত্ব্যের সাধনাই জীবনসাধনা নয়
খ. শিক্ষা ছাড়াও জীবন গড়া যায়
গ. অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়
ঘ. অন্নচিন্তা জীবনের শ্রেষ্ঠ চিন্তা
২৮. অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়- এটি মানুষকে বোঝাতে না পারলে শিক্ষার সুফল কী হবে? গ
ক. সামগ্রিক খ. সহজলভ্য
গ. ব্যক্তিগত ঘ. বস্তুগত
২৯. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখক অন্নচিন্তার নিগড় থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টাকে কী বলেছেন? গ
ক. নিন্দনীয় খ. অপ্রয়োজনীয়
গ. প্রশংসনীয় ঘ. শোচনীয়
৩০. কোনটি পেলে আলো-হাওয়ার স্বাদবঞ্চিত মানুষ কারাগারকেই স্বর্গতুল্য মনে করে? খ.
ক. প্রচুর শিক্ষা উপকরণ খ. অঢেল অন্ন-বস্ত্র
গ. উন্নত বিনোদন ব্যবস্থা ঘ. পর্যাপ্ত টাকা পয়সা
৩১. প্রচুর অন্নবস্ত্রের জোগান থাকলেও কাদের কাছে কারাগার কখনো স্বর্গতুল্য হয় না? গ
ক. আলো-হাওয়ার স্বাদবঞ্চিত মানুষের কাছে
খ. অন্নচিন্তার নিগড়ে বন্দি মানুষের কাছে
গ. বাইরের আলো-হাওয়ার স্বাদ পাওয়া মানুষের কাছে
ঘ. শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত মানুষের কাছে
৩২. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও মুক্তি বড় -এই বোধটি মানুষের কিসের পরিচায়ক? খ.
ক. লোভের খ. মনুষ্যত্বের
গ. অশিক্ষার ঘ. জীবসত্তার
৩৩. চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই সেখানে কী নেই? গ
ক. অর্থ খ. অন্ন
গ. মুক্তি ঘ. স্বপ্ন
৩৪. অন্নবস্ত্রের সমাধান করার ক্ষেত্রে কোনটির প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে? খ.
ক. অর্থচিন্তার সমাধানের দিকে
খ. বড় একটি লড়্গ্য পূরণের দিকে
গ. বাইরের আলো-হাওয়া আটকানোর দিকে
ঘ. ক্ষুৎপিপাসার তৃপ্তির দিকে
৩৫. আত্মার অমৃত উপলব্ধির জন্য সর্বপ্রথম কোনটি প্রয়োজন? ক
ক. ক্ষুৎপিপাসার তৃপ্তি খ. প্রচুর অর্থবিত্ত
গ. পরিকল্পিত শিক্ষা ঘ. বাইরের আলো-হাওয়া
৩৬. শিক্ষাদীক্ষার মাধ্যমে কিসের স্বাদ পাওয়া যায়? গ
ক. অন্নবস্ত্রের খ. স্বর্গের
গ. মনুষ্যত্বের ঘ. দারিদ্র্যের
৩৭. শুধুই শিক্ষার ওপর নির্ভর করলে মানবজীবনে উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনটি ঘটবে? খ.
ক. খুব দ্রম্নত উন্নয়ন ঘটবে
খ. উন্নয়নের গতি অত্যন্ত ধীর হবে
গ. কখনোই উন্নয়ন ঘটবে না
ঘ. বৈপস্নবিক উন্নয়ন সাধিত হবে
৩৮. কিসের কারণে মনুষ্যত্বের সাধনা ব্যর্থ হতে পারে? খ.
ক. শিক্ষাদীক্ষা গ্রহণে খ. অন্নবস্ত্রের দুশ্চিন্তায়
গ. শিক্ষাগ্রহণের দুশ্চিন্তায় ঘ. অন্নবস্ত্র গ্রহণে
৩৯. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে মানব উন্নয়নের ব্যাপারে শিক্ষা গ্রহণকে কোন কাজের সাথে তুলনা করা হয়েছে? গ
ক. নিচ থেকে টানা খ. ওপর থেকে ঠেলা
গ. ওপর থেকে টানা ঘ. নিচ থেকে ঠেলা
৪০. ভারী জিনিস ওপরে তুলতে নিচ থেকে ঠেলা লাগে। একইভাবে মানবজীবনের উন্নতির জন্য নিচ থেকে তা করে কোনটি? গ
ক. সুশৃঙ্খল শিক্ষাব্যবস্থা খ. শৃঙ্খলিত সমাজব্যবস্থা
গ. সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা ঘ. শৃঙ্খলিত শিক্ষাব্যবস্থা
৪১. আপ্রাণ প্রচেষ্টা করলে কোনটি দ্বারা জীবনের উন্নয়ন সম্ভব? গ
ক. সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা খ. প্রচুর অর্থবিত্ত
গ. যথাযথ শিক্ষা ঘ. পর্যাপ্ত অন্নবস্ত্র
৪২. কোনটির কারণে মানুষের আতি¥ক মৃত্যু ঘটে? গ
ক. শিক্ষার কারণে খ. ক্ষুৎপিপাসার কারণে
গ. লোভের কারণে ঘ. মনুষ্যত্বের কারণে
৪৩. কোনটি থাকলে মানুষ লোভের ফাঁদে ধরা দিতে ভয় পায়? খ.
ক. অন্নবস্ত্রের সুব্যবস্থা খ. সঠিক শিক্ষা
গ. প্রচুর অর্থ ঘ. বিশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা
৪৪. ছোট জিনিসের মোহে বড় জিনিস হারাতে যে দুঃখবোধ করে না তাকে কোনটি বলা যায় না? ঘ
ক. অশিক্ষতি খ. কুশিক্ষতি
গ. অর্ধশিক্ষতি ঘ. সুশিক্ষতি
৪৫. কে যথার্থ শিক্ষতি নয়? খ.
ক. শিক্ষা যার অন্তরে ঠাঁই পেয়েছে
খ. শিক্ষা যার বাইরের ব্যাপার
গ. লোভের ফাঁদে যে পা দেয়নি
ঘ. যার মাঝে মূল্যবোধ আছে
৪৬. শিক্ষার আসল কাজ কী? গ
ক. জ্ঞান পরিবেশন খ. লেফাফাদুরস্তি
গ. মূল্যবোধসৃষ্টি
ঘ. অন্নবস্ত্রের সমাধান দেওয়া
৪৭. শিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞান পরিবেশন কী সৃষ্টির উপায় হিসেবে আসে? গ
ক. অর্থবিত্ত খ. ক্ষুৎপিপাসা
গ. মূল্যবোধ ঘ. অহংকার
৪৮. মনুষ্যত্বের আহ্বান মর্মে পৌঁছানোর জন্য প্রথমেই কোনটি প্রয়োজন? ক
ক. প্রাণিত্বের বাঁধন থেকে মুক্তি
খ. উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা
গ. শিক্ষার সুব্যবস্থা
ঘ. অর্থসাধনা থেকে মুক্তি
৪৯. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে কোনটিকে পায়ের কাঁটার সাথে তুলনা করা হয়েছে? খ.
ক. শিক্ষাদীক্ষার সমস্যা খ. অন্নবস্ত্রের সমস্যা
গ. লেফাফাদুরস্তি ঘ. সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা
৫০. ‘নিগড়’ শব্দের অর্থ কী? ক
ক. শিকল খ. অন্ধকার
গ. হতাশা ঘ. লোভ
৫১. বাইরের দিক থেকে ত্রম্নটিহীনতা কিন্তু ভেতরে প্রতারণা-বিষয়টিকে এককথায় কী বলা যায়? গ
ক. জীবসত্তা খ. নিগড়
গ. লেফাফাদুরস্তি ঘ. মানবসত্তা
৫২. জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে কোনটি প্রয়োজন? খ.
ক. শিক্ষা খ. অন্নবস্ত্র
গ. চিকিৎসা ঘ. বিনোদন
৫৩. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে লেখক মানবসত্তা বলতে কোনটিকে বুঝিয়েছেন? গ
ক. জীবের অস্তিত্বকে খ. শিক্ষাদীক্ষাকে
গ. মনুষ্যত্বকে ঘ. প্রাণিত্বের বাঁধনকে
৫৪. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর মতে আমরা কোনটিকে টিকিয়ে রাখতে বেশি মনোযোগী? খ.
ক. মনুষ্যত্ব খ. জীবসত্তা
গ. সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা ঘ. প্রাণিত্বের বাঁধন
৫৫. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত? ক
ক. সংস্কৃতি কথা খ. সভ্যতা
গ. প্রবন্ধ সংগ্রহ ঘ. ছবি কথা সুর
৫৬. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ রচনার মূল প্রবন্ধটির নাম কী? গ
ক. লেফাফাদুরস্তি খ. শিক্ষা
গ. মনুষ্যত্ব ঘ. মানবসত্তা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৫৭. শিক্ষার মাধ্যমে-
র. মানবসত্তার ঘরে পৌঁছানো যায়
রর. জীবনকে উপভোগ করা যায়
ররর. জীবসত্তার মানবিক দিক বোঝা যায়
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৫৮. শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিক হলো-
র. অনুভূতি ও কল্পনার রস আস্বাদনে সক্ষম করায়
রর. ক্ষুৎপিপাসার ব্যাপারটিকে মানবিক করে তোলায়
ররর. এর শ্রেষ্ঠ দিক
নিচের কোনটি সঠিক? খ.
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৫৯. শিক্ষার শ্রেষ্ঠ দিকটিকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য দায়ী-
র. জীবসত্তার ঘরে বিশৃঙ্খলা
রর. ভুল শিক্ষা ররর. প্রকৃত শিক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬০. ধনী-দরিদ্র সকলেই বন্দি-
র. অর্থচিন্তার নিগড়ে
রর. রাষ্ট্রচিন্তার নিগড়ে
ররর. অন্নচিন্তার নিগড়ে
নিচের কোনটি সঠিক? খ.
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬১. জীবনে শিক্ষার সুফল লাভের জন্য আমাদের বোঝা উচিত-
র. শিক্ষার অপ্রযোজনের দিকটিই এর শ্রেষ্ঠ দিক
রর. অর্থসাধনাই জীবনসাধনা
ররর. শিক্ষার আসল কাজ হলো মনুষ্যত্ববোধের বিকাশ
ঘটানো
নিচের কোনটি সঠিক? খ.
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬২. যে বোধটি মানুষের মনুষ্যত্ববোধের পরিচয় দেয়-
র. লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু
রর. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও মুক্তি বড়
ররর. অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৩. সেখানে মুক্তি নেই যেখানে নেই-
র. আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা
রর. চিন্তার স্বাধীনতা ররর. বুদ্ধির স্বেচ্ছাচারিতা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৪. মুক্তির স্বাদ পেতে হলে-
র. অর্থসাধনাকে জীবনসাধনা করতে হবে
রর. মনুষ্যত্ব অর্জনের সাধনা করতে হবে
ররর. অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৫. প্রকৃত শিক্ষার দ্বারা মানুষ লাভ করে-
র. লেফাফাদুরস্তি
রর. মূল্যবোধ
ররর. আত¥প্রকাশের স্বাধীনতা
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৬. শিক্ষার আসল কাজ-
র. মূল্যবোধ সৃষ্টি রর. জ্ঞান পরিবেশন
ররর. মনুষ্যত্বের পরিচয় প্রদান
নিচের কোনটি সঠিক? খ.
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৭. ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’Ñ কথাটি যে বুলিমাত্র নয়, তা বুঝবে-
র. প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষতি মানুষ
রর. মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ
ররর. অর্থসাধনায় নিমগ্ন মানুষ
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৮. অন্নবস্ত্রের সুব্যবস্থা প্রয়োজন-
র. জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে
রর. শিক্ষাদীক্ষার সুফল লাভের জন্য
ররর. মনুষ্যত্বের আহ্বানে স্বাধীনভাবে সাড়া দিতে
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৬৯. আমরা অর্থচিন্তার নিগড়ে বন্দি থাকি-
র. জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে অধিক মনোযোগী বলে
রর. মনুষ্যত্ববোধের অভাব রয়েছে বলে
ররর. প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষতি নই বলে
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭০. মানব উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন-
র. যথার্থ শিক্ষা
রর. সুশৃঙ্খল সমাজকাঠামো
ররর. কেবল অন্নবস্ত্রের সুব্যবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭১ ও ৭২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
বাদল সাহেব কেবলই তাঁর অর্থ-বিত্তের পরিমাণ বাড়াতে চান। অথচ তাঁর কোনো কিছুরই অভাব নেই্ শিক্ষতি লোক হলেও তিনি ঘুষ নিতে দ্বিধা করেন না।
৭১. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে বাদল সাহেব আক্রান্ত-
র. অর্থচিন্তায় রর. লোভে
ররর. মনুষ্যত্বহীনতায়
নিচের কোনটি সঠিক? ঘ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭২. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধ অনুসারে বাদল সাহেব সম্পর্কে বলা যায়-
র. শিক্ষা তাঁর ভেতরের ব্যাপার হয়ে ওঠেনি
রর. অর্থসাধনাই তাঁর জীবনসাধনা
ররর. তিনি শিক্ষার সুফল ভোগ করছেন
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৩ ও ৭৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
জাহানারা বেগমের ছেলেটি পড়াশোনায় বরাবরই ভালো। তাঁর ধারণা, সবসময় মন দিয়ে পড়লেই ছেলের জীবনে উন্নতি হবে। তিনি ছেলের খাওয়া-পরার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেন না।
৭৩. জাহানারা বেগেেমর গৃহীত ব্যবস্থায় তাঁর ছেলেটি পূর্ণাঙ্গভাবে উপভোগ করতে পারবে না-
র. আত্মার অমৃত রর. শিক্ষার সুফল
ররর. ক্ষুৎপিপাসা
নিচের কোনটি সঠিক? খ.
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৪. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে বলা যায় জাহানারা বেগমের ছেলের-
র. জীবসত্তার ঘরটি বিশৃঙ্খল হয়ে আছে
রর. প্রাণিত্বের বাঁধন থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি হয়নি
ররর. কারাগারকেই স্বর্গতুল্য মনে হচ্ছে
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৫ ও ৭৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
গরিব হলেও কল্যাণকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছেন তাঁর বাবা। কল্যাণ এখন ডাক্তার হয়েছে। সপ্তাহে একদিন সে বিনা পয়সায় রোগীদের সেবা দেয়।
৭৫. বিনা পয়সায় মানবসেবা দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার কোন দিকটিকে কল্যাণ আপন করে নিয়েছে? খ.
ক. প্রয়োজনের দিকটিকে খ. অপ্রয়োজনের দিকটিকে
গ. ভুল দিকটিকে ঘ. আত¥ঘাতী দিকটিকে
৭৬. শিক্ষা কল্যাণের মাঝে সৃষ্টি করেছে-
র. মনুষ্যত্ববোধ রর. অর্থচিন্তা
ররর. মূল্যবোধ
নিচের কোনটি সঠিক? খ.
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৭, ৭৮ ও ৭৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
হাসানের পরিবারটি একসময় খুব দরিদ্র ছিল। তাদের পরিবারের কেউই খুব একটা পড়াশোনা করেনি। লটারিতে প্রথম পুরস্কার পেয়ে একসময় ভাগ্যের পরিবর্তন হয় তাদের। অভাব দূর হয়ে যাওয়ার পর হাসানের মনে হয় লেখাপড়া করা আসলে অর্থহীন। টাকা-পয়সা থাকলে সব কিছুই সম্ভব।
৭৭. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের লেখকের সাথে হাসানের মানসিকতা-
র. সমধর্মী রর. সম্পূর্ণ বিপরীত
ররর. সাংঘর্ষিক
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৮. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধ অনুসারে হাসান বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে-
র. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তি বড়
রর. অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়
ররর. লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু
নিচের কোনটি সঠিক? ক
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৭৯. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধ অনুসারে হাসান জানে না কোনটি? খ
ক. মনুষ্যত্বের পরিচয় খ. শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য
গ. জীবসত্তার সাধনা
ঘ. আত্মার অমৃত উপভোগের চেষ্টা
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮০ ও ৮১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
কাকলীর খুব শখ ছিল পড়াশোনা করার। দরিদ্র রিকশাচালক পিতা তার স্বপ্নপূরণে যথাসাধ্য চেষ্টাও করছিলেন। কিন্তু এক সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে তাঁর পিতার আশ্রয় হয়েছে বিছানায়। বাধ্য হয়ে কাকলী পড়াশোনা ছেড়ে গার্মেন্টের কাজে যোগ দেয়।
৮০. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধ অনুসারে কাকলীর স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার কারণ কী? গ
ক. মনুষ্যত্ববোধহীনতা খ. মূল্যবোধের অভাব
গ. প্রাণিত্বের শেকল ঘ. আতি¥ক মৃত্যু
৮১. ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে বলা যায়, এভাবে চলতে থাকলে কাকলীর জন্য কঠিন হবে-
র. উন্নত জীবনের অধিকারী হওয়া
রর. মানবসত্তার ঘরে পৌঁছানো
ররর. অন্নবস্ত্র সমস্যার সমাধান করা
নিচের কোনটি সঠিক? গ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর