পঞ্চম শ্রেণী বাংলা উনিশ অধ্যায় দেখে এলাম নয়াগ্রা
দেখে এলাম নায়াগ্রা
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
য় সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১) কোথায় থাকতে লেখকের জলপ্রপাত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল?
ক বাংলাদেশে খ কানাডায়
গ আমেরিকায় ঘ ইংল্যান্ডে
২) লেখক কানাডার যে শহরে থাকতেন তার নাম কী?
ক নায়াগ্রা খ অটোয়া
গ মন্ট্রিল ঘ টরন্টো
৩) কীভাবে নায়াগ্রা দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো?
ক গাড়িতে চড়ে খ বাসে চড়ে
গ জাহাজে চড়ে ঘ বিমানে চড়ে
৪) উন্নত দেশের রাস্তা কেমন?
ক খানাখন্দে ভরা খ গর্তে ভরা
গ আঁকাবাঁকা ঘ রেললাইনের মতো সোজা
৫) লেখক যে গাড়িতে চড়ে নায়াগ্রা গেলেন সেটি ছিলÑ
ক নিজের গাড়ি খ ভাড়া করা গাড়ি
গ এক বন্ধুর গাড়ি ঘ সরকারি গাড়ি
৬) ‘দেশে ফিরে কী গল্পটাই না করা যাবে!’Ñ কিসের গল্প?
ক বিশাল গাড়ির গল্প
খ বিদেশের রাস্তার গল্প
গ কানাডায় জীবনযাপনের গল্প
ঘ নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার গল্প
৭) জলপ্রপাতের সাথে কোনটির মিল আছে?
ক ঝর্ণার পতনের খ সাগরের ঢেউয়ের
গ পুকুরের আকারের ঘ পাহাড়ের চূড়ার
৮) ওপর থেকে জলের পতন ছাড়া কোনটি হওয়া সম্ভব নয়?
ক জলপ্রপাত খ সমুদ্র
গ নদী ঘ পুকুর
৯) নায়াগ্রা জলপ্রপাত সৃষ্টির ঘটনাটি বিশ্ব-ভূমণ্ডলে
একটিÑ
ক স্বাভাবিক ঘটনা খ সাধারণ বিষয়
গ অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘ অপ্রয়োজনীয় ঘটনা
১০) খরস্রোতা নদীর মাঝখানে কতখানি চওড়া ফাটল?
ক নদীর সমান খ পুকুরের সমান
গ সাগরের সমান ঘ খালের সমান
১১) নায়াগ্রা পাহাড় থেকে না নামলেও একে প্রপাত বলা যায় কেন?
ক খরস্রোতা নদী থেকে উৎপত্তি বলে
খ পানির ওপর থেকে নিচে পতন হচ্ছে বলে
গ নায়াগ্রার আকার অনেক বড় বলে
ঘ নায়াগ্রায় জলের পরিমাণ অনেক বেশি বলে
১২) যে ভূমি উঁচুনিচু নয় বা পাহাড়ি নয় তাকে কেমন ভূমি বলা হয়?
ক খরস্রোতা খ বৃক্ষ
গ সমতল ঘ অসমতল
১৩) নায়াগ্রা কিসের নাম?
ক মহাদেশের খ মহাসাগরের
গ জলপ্রপাতের ঘ ঝর্ণার
১৪) নায়াগ্রা কোথায় অবস্থিত?
ক জাপান খ ভারত
গ কানাডা ঘ রাশিয়া
১৫) নায়াগ্রা জলপ্রপাত পড়ছেÑ
ক পাহাড় থেকে খ সমতল ভূমি থেকে
গ কোন উঁচু স্থান থেকে ঘ পাহাড়ি ঢল থেকে
১৬) জলপ্রপাত দেখতে বাসে না যাবার কারণ কী?
ক বাসের ভাড়া বেশি
খ সেখান বাস যায় না
গ বাসে ইচ্ছেমতো থামা যায় না
ঘ বাসে সময় বেশি লাগে
১৭) পৃথিবীতে নায়াগ্রার তুলনায়Ñ
(ক) বড় আরও কয়েকটি জলপ্রপাত আছে
(খ) ছোট কোনো জলপ্রপাত নেই
(গ) বড় কোনো জলপ্রপাত নেই
(ঘ) বড় কোনো ঝর্ণা নেই
১৮) ‘প্রবল স্রোতবিশিষ্ট’ বোঝাতে কোন শব্দটি ব্যবহার করা যায়?
(ক) স্রোতহীন (খ) ঝর্ণার
(গ) খরস্রোতা (ঘ) পাহাড়ি
১৯) ‘ফাটল’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) বিচিত্র (খ) ছিদ্র
(গ) প্রশস্ত (ঘ) চওড়া
২০) নায়াগ্রা একেবারেই আলাদা রকমের জলপ্রপাত কেন?
(ক) বড় জলপ্রপাত বলে
(খ) পাহাড় থেকে নেমে এসেছে বলে
(গ) ঝর্ণার চেয়েও ছোট বলে
(ঘ) সমতল থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে
২১) অনুচ্ছেদে মূলত বলা হয়েছেÑ
(ক) নায়াগ্রার বিশেষত্ব সম্পর্কে
(খ) নায়াগ্রার অবস্থান সম্পর্কে
(গ) জলপ্রপাতের সৌন্দর্য সম্পর্কে
(ঘ) ভ্রমণের আনন্দ সম্পর্কে
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১) খ কানাডায়
২) ঘ টরন্টো
৩) ক গাড়িতে চড়ে
৪) ঘ রেললাইনের মতো সোজা
৫) গ এক বন্ধুর গাড়ি
৬) ঘ নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার গল্প
৭) ক ঝর্ণার পতনের
৮) ক জলপ্রপাত
৯) গ অবিশ্বাস্য ঘটনা
১০) ক নদীর সমান
১১) গ নায়াগ্রার আকার অনেক বড় বলে
১২) গ সমতল
১৩) গ জলপ্রপাতের
১৪) গ কানাডা
১৫) খ সমতল ভূমি থেকে
১৬) গ বাসে ইচ্ছেমতো থামা যায় না
১৭) (গ) বড় কোনো জলপ্রপাত নেই
১৮) (গ) খরস্রোতা
১৯) (খ) ছিদ্র
২০) (ঘ) সমতল থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে
২১) (ক) নায়াগ্রার বিশেষত্ব সম্পর্কে
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১) নায়াগ্রা যাওয়ার কথা কীভাবে উঠল?
উত্তর : লেখক কানাডা থাকাকালীন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে সবাই মিলে নায়াগ্রা যাওয়ার কথা উঠল।
২) কানাডায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো সম্ভব হয় কেন?
উত্তর : কানাডার রাস্তা মোটেই আঁকাবাঁকা নয়। বরং রেললাইনের মতো সোজা। তাই সে দেশে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো সম্ভব হয়।
৩) পাহাড়ের সাথে জলপ্রপাতের সম্পর্ক কী?
উত্তর : পাহাড় থেকে সমতল ভূমিতে পানির পতনের মাধ্যমে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়। তাই পাহাড় ছাড়া জলপ্রপাত হওয়া সম্ভব নয়।
৪) জলের ধর্ম কী?
উত্তর : জলের ধর্ম হচ্ছে গড়িয়ে যাওয়া।
৫) জলপ্রপাতের কথা কোথায় পড়েছ? জলপ্রপাত কী?
উত্তর : জলপ্রপাতের কথা আমি আমার বাংলা পাঠ্য বইয়ের ‘দেখে এলাম নায়াগ্রা’ নামক একটি ভ্রমণকাহিনিতে পড়েছি।
জলপ্রপাত বলতে বোঝায় এমন জলধারাকে যেখানে পাহাড় বা উঁচু কোনো স্থান থেকে সমতল ভূমিতে জলের পতন ঘটে। জলপ্রপাতের এই বৈশিষ্ট্যটি ঝর্ণার অনুরূপ হলেও এর আকার ঝর্ণার চেয়ে অনেক বড় হয়।
৬) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলপ্রপাতের নাম কী?
উত্তর : পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলপ্রপাতের নাম নায়াগ্রা।
৭) ঝর্ণা ও জলপ্রপাতের মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়?
উত্তর : ঝর্ণা ও জলপ্রপাত উভয়েরই সৃষ্টি পাহাড় থেকে সমতল ভূমিতে পানির পতনের মাধ্যমে। দুইয়ের মধ্যে তফাৎ হলো জলপ্রপাতের আকার ঝর্ণার তুলনায় অনেক বড়।
৮) জলপ্রপাত সাধারণত কী থেকে নেমে আসে? নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিস্ময়কর বিষয়টি কী?
উত্তর : জলপ্রপাত সাধারণত পাহাড় থেকে নেমে আসে। নায়াগ্রার ক্ষেত্রে এই বিষয়ের ব্যতিক্রম দেখা যায়। সমতলের একটি খরস্রোতা নদীর পানি বিশাল ফাটলের গহ্বরে প্রবেশের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে এই বিশাল প্রপাত। নায়াগ্রার এ বিষয়টিই অত্যন্ত বিস্ময়কর।
৯) নায়াগ্রা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : নায়াগ্রা কানাডায় অবস্থিত।
১০) নায়াগ্রা জলপ্রপাত এবং ঝর্ণার মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে লেখ?
উত্তর : নায়াগ্রা জলপ্রপাত আর ঝর্ণার মধ্যে পার্থক্য হলোÑ
১. নায়াগ্রা আকারে ঝর্ণার চেয়ে অনেক বড়।
২. ঝর্ণার উৎপত্তি হয় পাহাড় থেকে কিন্তু নায়গ্রার উৎপত্তি সমতল ভূমি থেকেই।
১১) নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিশেষত্ব কী?
উত্তর : নায়াগ্রা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত। সাধারণত জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে নায়াগ্রা জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। সমতলের ওপর দিয়ে বয়ে চলা খরস্রোতা একটি নদীর মাঝখানে হঠাৎ ফাটল। সেই ফাটলে পানি পতিত হয়েই জলপ্রপাতটি সৃষ্টি হয়েছে। আবার ঐ ফাটলের ভেতর পানি পড়ে কোথায় যাচ্ছে তাও কেউ জানে না। এখানেই নায়াগ্রার বিশেষত্ব।
১২) নায়াগ্রার জল কোথায় যায়?
উত্তর : নায়াগ্রার জলধারা সৃষ্টি হয়েছে খরস্রোতা এক নদী থেকে। নদীটি যে মাটির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তার দুই দিকের মাটির মাঝে রয়েছে নদীর সমান চওড়া বিশাল এক ফাটল। নায়াগ্রার জল ঐ ফাটলের ভেতর চলে যায়।
১৩) ‘বিশ্ব-ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র’Ñ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে এখানে।
সাধারণত পাহাড় থেকে জলের পতনেই সৃষ্টি হয় জলপ্রপাতের। অথচ অবিশ্বাস্যভাবে নায়াগ্রা জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। খরস্রোতা একটি নদীর জল নদীর সমান চওড়া একটি ফাটলের গহ্বরে পতিত হয়ে নায়াগ্রার উৎপত্তি। এটি পৃথিবীর একটি অন্যতম বিস্ময়।
১৪) পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় কোনটিকে?
উত্তর : পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রা জলপ্রপাতকে।
১৫) নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য হলো এটি কোনো পাহাড় থেকে নামেনি।
১৬) নায়াগ্রা জলপ্রপাত কোথা থেকে প্রবাহিত হয়?
উত্তর : নায়াগ্রা জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে সমতলের ওপর বয়ে চলা খরস্রোতা একটি নদীর পানির পতনের ফলে। নদীটি যেখানে প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে একটি বিশাল ফাটল। পানি ঐ ফাটলের ভেতরে চলে যায়।
১৭) নায়াগ্রাকে ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : নায়াগ্রাকে ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত বলা হয়েছে দুটি কারণেÑ
১. এটি পাহাড় থেকে পানির পতনের ফলে সৃষ্টি হয়নি। সৃষ্টি হয়েছে সমতলের ওপর প্রবাহিত একটি নদীর পানির পতনের মাধ্যমে।
২. নায়াগ্রার পানি বিশাল ফাটলের গহ্বরে প্রবেশ করে কোথায় যায় তা কেউ জানে না।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
য় অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : ঝর্ণা ও জলপ্রপাতের আকারে অনেক তফাৎ থাকলেও উভয়ের সৃষ্টিই পাহাড়ের ওপর থেকে পানির পতনে। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত নায়াগ্রা সেদিক থেকে একেবারেই আলাদা। সমতল দিয়ে বয়ে চলা একটি খরস্রোতা নদীর পানি বিশাল ফাটলের গহ্বরে পড়ার মাধ্যমে এর সৃষ্টি। সেই পানি গহ্বরে প্রবেশের পর কোথায় যায় সেটিও আরেক রহস্য।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
আয়নার মতো স্বচ্ছ পানি ১৫০ ফুট ওপর থেকে পাহাড়ের শরীর বেয়ে আছড়ে পড়ছে বড় বড় পাথরের গায়ে। গুঁড়ি গুঁড়ি জলকণা আকাশের দিকে উড়ে গিয়ে তৈরি করছে কুয়াশার আভা। দৃশ্যটি মৌলভীবাজারের নয়নাভিরাম হামহাম জলপ্রপাতের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে একে হাম্মাম বলে ডাকে। পাহাড়ি ত্রিপুরা আদিবাসীরা বলেন, এখানে পানি পতনের স্থানে একসময় পরিরা গোসল করত। গোসলখানার আরবি নাম হাম্মাম। আবার জলের স্রোতধ্বনিকে ত্রিপুরাদের টিপরা ভাষায় হাম্মাম বলে। তাই এ জলপ্রপাতটি হাম্মাম নামে পরিচিত। জলপ্রপাতের চারদিকের শীতল প্রাকৃতিক পরিবেশ সবাইকে মুগ্ধ করে। সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানোর উপায়ই থাকে না। জঙ্গলে উল্লুক, বানর, আর হাজার রকমের প্রজাতির পাখির ডাকাডাকি জলপ্রপাতের শব্দের সাথে মিলে তৈরি হয়েছে অদ্ভুত এক রোমাঞ্চকর পরিবেশ। অসাধারণ সৌন্দর্যমণ্ডিত দুর্গম এ জলপ্রপাতটি বহুদিন লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিল। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও উদ্যোগের অভাবে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। প্রচার-প্রচারণার অভাবও এর অন্যতম কারণ। এখনও খুব বেশি মানুষ এ জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি।
য় সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) ‘টিপরা’ কী?
(ক) বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা
(খ) ত্রিপুরাদের নিজস্ব ভাষা
(গ) ত্রিপুরাদের ভাষায় জলপ্রপাতের নাম
(ঘ) গোসলখানার অন্য নাম
২) ‘রোমাঞ্চকর’ শব্দটির যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত?
(ক) ন+চ (খ) ঞ+চ
(গ) ন+ঞ+চ (ঘ) ঞ+জ
৩) কোনটি করলে হামহাম জলপ্রপাত দেখতে আরও বেশি মানুষ আসবে?
(ক) খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করলে
(খ) ছবি তোলার অনুমতি দিলে
(গ) রাস্তাঘাট উন্নত করলে
(ঘ) সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করলে
৪) এক সময় হামহাম জলপ্রপাতে কারা গোসল করত বলে জনশ্রুতি রয়েছে?
(ক) পরিরা (খ) রাজা-বাদশাহগণ
(গ) শ্রমিকেরা (ঘ) পর্যটকেরা
৫) মৌলভীবাজার দেশের কোন বিভাগে অবস্থিত?
(ক) ঢাকা (খ) চট্টগ্রাম
(গ) খুলনা (ঘ) সিলেট
উত্তর : ১) (খ) ত্রিপুরাদের নিজস্ব ভাষা; ২) (খ) ঞ + চ; ৩) (গ) রাস্তাঘাট উন্নত করলে; ৪) (ক) পরিরা; ৫) (ঘ) সিলেট।
য় নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
পৃষ্ঠপোষকতা সহায়তা করা।
রোমাঞ্চকর শিহরণ জাগায় এমন।
নয়নাভিরাম সুন্দর, দেখতে ভালো লাগে এমন।
আভা সৌন্দর্য, শোভা।
নাজুক আঘাত সহ্য করতে পারে না এমন, সঙ্গীন।
উদ্যোগ আয়োজন।
ক) সকালের আকাশে সূর্যের সোনালি দেখে মন ভরে গেল।
খ) ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতার কথা ভোলার নয়।
গ) স্যারের ছাড়া অনুষ্ঠানটি করা যেত না।
ঘ) বাড়িটির আশপাশের সবুজ প্রকৃতি খুবই ।
ঙ) গ্রামের সেতুটি অবস্থায় আছে।
উত্তর : ক) আভা; খ) রোমাঞ্চকর; গ) পৃষ্ঠপোষকতা; ঘ) নয়নাভিরাম; ঙ) নাজুক।
য় নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) হামহাম জলপ্রপাতের আশপাশের পরিবেশ কেমন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: হামহাম জলপ্রপাতের পরিবেশ খুবই মনোমুগ্ধকর। আয়নার মতো স্বচ্ছ পানি অনেক উঁচু থেকে আছড়ে পড়ছে পাথরের গায়ে। পাহাড় আর পানির ঘর্ষণে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়ে তৈরি হয়েছে কুয়াশার আভা। নিকটবর্তী বনে রয়েছে বানর, উল্লুকসহ হাজার ধরনের পাখপাখালি। জলপ্রপাতের শব্দের সাথে জঙ্গলের নানা প্রাণীর ডাক মিশে গোটা পরিবেশটা হয়েছে রোমাঞ্চকর।
খ) হামহাম জলপ্রপাতকে অনেকে ‘হাম্মাম’ জলপ্রপাত বলে কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ‘হামহাম’ জলপ্রপাতকে ঘিরে স্থানীয় ত্রিপুরা আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত একটি কাহিনি আছে। তা হলো, ‘হামহাম’ জলপ্রপাতের পানি পতনের স্থানে একসময় পরিরা গোসল করত। গোসলখানাকে আরবিতে বলে ‘হাম্মাম’। আবার ত্রিপুরাদের টিপরা ভাষায় জলের স্রোতধ্বনিকেও হাম্মাম বলা হয়। তাই স্থানীয়দের অনেকে এ জলপ্রপাতটিকে ‘হাম্মাম’ নামেও অভিহিত করেন।
গ) এখনও খুব বেশি মানুষের হামহাম জলপ্রপাত দেখার সৌভাগ্য হয়নি কেন তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : এখনও অনেক মানুষ হামহাম জলপ্রপাত দেখার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত। কারণ
১) খুব কম মানুষই এটি সম্পর্কে জানে।
২) এটি অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় অবস্থিত।
৩) যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
৪) সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে।
৫) প্রয়োজনীয় প্রচার-প্রচারণার অভাব রয়েছে।
ঘ) জলপ্রপাতটির উন্নয়নে কী করা উচিত বলে তুমি মনে কর? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : জলপ্রপাতটির উন্নয়নে যা করা উচিতÑ
১) সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাভের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
২) চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৩) পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
৪) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
৫) স্থানীয় জনগণের কাছে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
প্র, ক্র, স্ম, ণ্ড, ন্ধ, চ্ছ।
উত্তর :
প্র = প + র-ফলা ( ্র ) প্রচুর
– সুন্দরবনে প্রচুর হরিণ আছে।
ক্র = ক + র-ফলা ( ্র ) শুক্রবার
– শুক্রবারে বিদ্যালয় ছুটি থাকে।
স্ম = স + ম-ফলা (§) স্মৃতি
– গত বনভোজনের স্মৃতি এখনও মনে পড়ে।
ণ্ড = ণ + ড Ñ দণ্ড
– অপরাধীকে দণ্ড দেওয়া হয়।
ন্ধ = ন + ধ Ñ সুগন্ধ
– বেলী ফুলের সুগন্ধে মন মাতে।
চ্ছ = চ + ছ Ñ পুচ্ছ
– পাখিটি পুচ্ছ তুলে নাচছে।
য় নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
গ্র, ম্ভ, শ্ব, স্র, হ্ব।
উত্তর :
গ্র = গ + র-ফলা ( ্র ) আগ্রহ
– খেলাধুলায় খুকীর বেশ আগ্রহ।
ম্ভ = ম + ভ দম্ভ
– দম্ভ দেখানো ভালো নয়।
শ্ব = শ + ব-ফলা (ব) আশ্বিন
– ভাদ্র ও আশ্বিন মাস মিলে শরৎকাল।
স্র = স + র-ফলা ( ্র ) স্রষ্টা
– আমরা স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি।
হ্ব = হ + ব আহ্বান
– শিক্ষকের আহ্বানে আমরা মাঠে গেলাম।
বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন
য় বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
বন্ধুরই এক বিশাল গাড়িতে একদিন চড়ে বসলাম চলো নায়াগ্রা চলো নায়াগ্রা আহ্ দেশে ফিরে গিয়ে কী গল্পটাই না করা যাবে
উত্তর : বন্ধুরই এক বিশাল গাড়িতে একদিন চড়ে বসলাম। চলো নায়াগ্রা, চলো নায়াগ্রা। আহ্, দেশে ফিরে গিয়ে কী গল্পটাই না করা যাবে!
য় সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
কিন্তু বিশ্ব ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি
উত্তর : কিন্তু বিশ্বÑভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র। কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে! পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে। এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
য় এককথায় প্রকাশ কর।
ক) উঁচুনিচু বা পাহাড়ি নয় এমন।
খ) ভালো ভাগ্য।
গ) সম্ভব নয় এমন।
ঘ) প্রবল স্রোতবিশিষ্ট।
ঙ) সবচেয়ে বৃহৎ।
উত্তর : ক) সমতল; খ) সৌভাগ্য; গ) অসম্ভব; ঘ) খরস্রোতা; ঙ) সর্ববৃহৎ।
য় ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
হইয়াছিল, উঠিল, যাইব, চড়িয়া, ঘটিতেছে, বহিতেছে।
উত্তর : ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
হইয়াছিল হয়েছিল
উঠিল উঠল
যাইব যাব
চড়িয়া চড়ে
ঘটিতেছে ঘটছে
বহিতেছে বইছে
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
য় নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
ধীরে, পতন, সম্ভব, বৃহৎ, ভিন্ন।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
সম্ভব Ñ অসম্ভব
ধীরে Ñ দ্রুত
বৃহৎ Ñ ক্ষুদ্র
পতন Ñ উত্থান
ভিন্ন Ñ অভিন্ন
য় নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
ইচ্ছা, বন্ধু, বিশ্ব, চোখ, জল।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
ইচ্ছা Ñ আকাক্সক্ষা, বাসনা।
বন্ধু Ñ মিত্র, মিতা।
বিশ্ব Ñ পৃথিবী, ধরণী।
চোখ Ñ নয়ন, আঁখি।
জল পানি, নীর।
য় নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
সৌভাগ্য, আঁকাবাঁকা, বন্ধু, ইচ্ছা, চওড়া, সমতল।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
সৌভাগ্য Ñ দুর্ভাগ্য ইচ্ছা Ñ অনিচ্ছা
আঁকাবাঁকা Ñ সোজা চওড়া Ñ সরু
বন্ধু Ñ শত্রু সমতল Ñ বন্ধুর