ভাব-সম্প্রসারণঃ বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
মূলভাব : সৃষ্টিকর্তা নারী ও পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে। তাই নারী ও পুরুষ চিরকালের সার্থক সঙ্গী।
সম্প্রসারিত ভাব : জগতে চিরকালই পুরম্নষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা সকল ড়্গেেত্র নারী ছায়ার মতো পাশে থেকেছে। নারী ও পুরম্নষের সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া এই বিশ্বসংসার, সমাজ, সভ্যতা সবকিছুই অন্ধকারেই থেকে যেত। নারী ও পুরম্নষ পাশাপাশি থেকেছে বলেই সভ্যতার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে। তাই নারী ও পুরম্নষ একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। সৃষ্টির আদিমকাল থেকে নারী পুরুষকে জুগিয়েছে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস। আর পুরুষ বীরের মতো সব কাজে অর্জন করেছে সাফল্য। আজ পর্যšত্ম বিশ্বে যত অভিযান সংঘটিত হয়েছে, তার অšত্মরালে নারীর ভূমিকাই মুখ্য। যুদ্ধড়্গেেত্র বীর যেমন জীবন দান করেছে তেমনি নারীও তার সিঁথির সিঁদুর হারিয়েছে। আবার ইতিহাসে পুরম্নষের পাশাপাশি অনেক বীরাঙ্গনাও রয়েছে যারা যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করেছে। সংগত কারণেই নারী ও পুরুষের কার্যড়্গেেত্র ভিন্নতা আছে। তবুও নারী যেমন পুরুষের ওপর নির্ভরশীল, পুরুষও তেমনি নারীর মুখাপেড়্গী। তাই নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের জীবন অসম্পূর্ণ, অর্থহীন। নারী ও পুরুষের মিলনের মধ্যেই রয়েছে জগতের সম¯ত্ম কল্যাণ। উভয়ের দানে পুষ্ট হয়েছে আমাদের পৃথিবী। মানবসভ্যতা বিকাশে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই গড়ে উঠেছে আমাদের সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি।
মন্তব্য : প্রকৃতপক্ষে পুরম্নষের শৌর্য-বীর্য আর নারীহৃদয়ের সৌন্দর্য, প্রেম ও ভালোবাসা এ দুয়ের সমন্বয়েই বিশ্বের সকল উন্নতি সাধিত হয়েছে। তাই নারীর অবদানকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।
5 Comments