৯ম-১০ম শ্রেণী বাংলা ১ম পত্র গদ্যঃ সাহিত্যের রূপ ও রীতি

সাহিত্যের রূপ ও রীতি

লেখক পরিচিতি

নাম হায়াৎ মামুদ।

জন্ম পরিচয়     জন্ম তারিখ     :    ১৯৩৯ সালের ২রা জুলাই।

জন্মস্থান   :    পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার মৌড়া গ্রাম। বর্তমানে ঢাকার গেণ্ডারিয়া অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা।

শিক্ষা      ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল, কায়েদে-আজম কলেজ (বর্তমানে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

পেশা কর্মজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শেষে অবসর গ্রহণ করেন।

সাহিত্যসাধনা    কবিতা ও গল্প লেখা দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু। গবেষণা ও প্রবন্ধ সাহিত্যে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি প্রায় অর্ধ-শতাধিক গ্রন্থের রচয়িতা।

উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ স্বগত সংলাপ, প্রেম অপ্রেম নিয়ে বেঁচে আছি, রবীন্দ্রনাথ : কিশোর জীবনী, নজরুল ইসলাম : কিশোর জীবনী, প্রতিভার খেলা-নজরুল, বাঙালি বলিয়া লজ্জা নাই, বাংলা লেখার নিয়মকানুন, কিশোর বাংলা অভিধান।

পুরস্কার ও সম্মাননা    বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

১.      কাহিনির উৎস পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা, আয়তনে বিশাল। কাহিনি বিভিন্ন সর্গে বা পর্বে বিভক্ত থাকে, সাধারণত পদ্যে রচিত হয় তবে গদ্যেও হতে পারে। এর নায়ক হবে বীর, প্রভাবশালী, আপসহীন দৃঢ়চেতা। কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে।

ক.   সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ কোনটি?    ১

খ.   নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কেন ?     ২

গ.   উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যে রূপ ও রীতি’ রচনার সাহিত্যের কোন শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান Ñ ব্যাখ্যা করো।    ৩

ঘ.   ‘উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত।’ মন্তব্যটি বিশে−ষণ করো। ৪

১ নং প্র. উ.

ক.  সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ সৌন্দর্য সৃষ্টির মাধ্যমে আনন্দ দান।

খ.   নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কারণ নাটক একই সাথে দেখা ও শোনা যায়।

      বিশ্বসাহিত্যে নাটকই সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। নাটকের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এর দর্শক সমাজ। নাটক যদি দর্শকের সামনে উপস্থাপিত না হয় তবে এর উদ্দেশ্য সার্থকতা পায় না। সেকালে নাটক পঠিত হতো না, অভিনীত হতো। সংস্কৃত আলঙ্কারিকগণ নাটককে তাই দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলে অভিহিত করেছেন।

গ.   উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় সাহিত্যের মহাকাব্য শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

      লেখক হায়াৎ মামুদ তাঁর ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বলেছেন, কবিতার অন্যতম প্রধান রূপভেদ হচ্ছে মহাকাব্য। মহাকাব্য রচিত হয় যুদ্ধ-বিগ্রহের কোনো কাহিনি অবলম্বন করে। অর্থাৎ মহাকাব্য অতিশয় দীর্ঘ কাহিনি-কবিতা। মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য গল্প বলা, তবে তা গদ্যে না লিখে পদ্যে লিখিত হয়। বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যে।

      আলোচ্য উদ্দীপকে মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, মহাকাব্যের কাহিনির উৎস হবে পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা। এর আয়তন হবে বিশাল। কাহিনি বিভিন্ন সর্গে বা পর্বে বিভক্ত থাকে। এটি সাধারণত পদ্যে রচিত হয় তবে গদ্যেও হতে পারে। আপসহীন, দৃঢ়চেতা, প্রভাবশালী ও বীরচিত হবে নায়ক চরিত্র। এতে কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে। উদ্দীপকে মহাকাব্যের আকার-আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া হয়েছে। তাই উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় উল্লিখিত সাহিত্যের মহাকাব্য শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

ঘ.   ‘উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত’। কারণ উদ্দীপকে সাহিত্যের একটি মাত্র শাখা মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।

      ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক হায়াৎ মামুদ সাহিত্যের রূপ বা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি তাঁর প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমনÑ কবিতা, মহাকাব্য, নাটক, কাব্যনাট্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, প্রবন্ধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পৃথক পৃথক আলোচনা লিপিবদ্ধ করেছেন। সাহিত্যের এই শাখাগুলো কীভাবে গঠিত হয়েছে তার বিশদ পর্যালোচনা করেছেন।

      উদ্দীপকে আলোচনা করা হয়েছে সাহিত্যের একটি বিশেষ দিক নিয়ে। আর সেটি হচ্ছে মহাকাব্য; মহাকাব্যের কাহিনি হবে ঐতিহাসিক বা পৌরাণিক। বিশাল আয়তন, সর্গে বা পর্বে বিভক্ত, পদ্যে রচিত, নায়ক হবে বীর, প্রভাবশালী ও দৃঢ়চেতা, কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে এগুলোই মূলত মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য। উদ্দীপকে সাহিত্যের মাত্র একটি শাখা মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।

      ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক আলোচনা করেছেন সাহিত্যের সকল শাখা যেমনÑ কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু উদ্দীপকে আলোচিত হয়েছে সাহিত্যের একটি শাখা মহাকাব্য (কবিতা) নিয়ে। মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই উদ্দীপকের আলোচনা সীমাবদ্ধ। তাই বলা হয়েছে, উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত।

২.  অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের জিনিসকে ভাষায়, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের ও ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করে তোলাই সাহিত্যের কাজ।

ক.   নাটকে সাধারণত কয়টি অঙ্ক থাকে?     ১

খ.   ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।    ২

গ.   উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।    ৩

ঘ.   উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তুকেই তুলে ধরেছেÑ মূল্যায়ন করো।  ৪

২ নং প্র. উ.

ক.   নাটকে সাধারণত পাঁচটি অঙ্ক থাকে।

খ.   শেষ হয়েও হইল না শেষ’ এই অতৃপ্তির মধ্য দিয়েই ছোটগল্পের সমাপ্তি হয় ।

      ছোটগল্প জীবনের যে অংশ আমাদের দেখায় গল্পে তার আরম্ভ যেমন নেই, তেমনি শেষও হয় না। জীবন-কাহিনির মাঝখান থেকেই ছোটগল্পের সূচনা। ছোটগল্পের সূচনা কোনো জীবনের আরম্ভ নয়। আর মাঝখান থেকে হঠাৎ শেষ হয়ে যায় বলে একটা মধুর অতৃপ্তি মনে থেকে যায়। এ জন্যই বলা হয়, শেষ হয়েও হইল না শেষ।

গ.   ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে প্রকাশিত সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার অনুভূতির সামগ্রিকভাবে ফুটে উঠেছে উদ্দীপকের উক্তিটিতে।

      ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সাহিত্যের রূপ এবং রীতি আসলে কী সে বিষয়টি লেখক বোঝাতে চেয়েছেন। সাহিত্যের রূপ বলতে বোঝায়, সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমন কবিতা, মহাকাব্য, নাটক, কাব্যনাট্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা ইত্যাদি। আর রীতি হলো ওই শাখাগুলো কীভাবে নির্মিত হয়েছে, তারই পর্যবেক্ষণ এবং আলোচনা। এই রূপ ও রীতির পর্যালোচনায় দেখা যায় সাহিত্য মনিবের মনের ভাব প্রকাশক। আর তা রচিত হয় মানুষের জন্যই।

      উদ্দীপকে সাহিত্যের সমগ্র ভাবটি প্রতিফলিত হয়েছে । সাহিত্য জগৎ ও জীবনকে সুন্দর করে এবং কোনো কোনো সময় সত্যকে পাঠকের নিকট প্রত্যক্ষ করে আনন্দ দান করে। অপূর্ব রসমূর্তিতে পাঠকের নিকট অন্তরের জিনিসকে বাইরে প্রকাশ করে এবং ভাবের জিনিসকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভাষায় রূপদান করে। এভাবে লেখকেরা তাঁদের নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের এবং ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করে তোলেন। ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায়ও একই বিষয় ফুটে উঠেছে।

ঘ.   ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের মূল চেতনা উপস্থাপন করা হয়েছে। উদ্দীপকেও আমরা তার উল্লেখ দেখতে পাই।

      ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে হায়াৎ মামুদ সাহিত্যের বিভিন্ন রূপ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন। কবিতা, ছোটগল্প, নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি হলো সাহিত্যের অন্যতম শাখা। ছন্দময় ভাষায় যা লিখতে হয় সেটিই মূলত কবিতা। কবিতার দুটি প্রধান ভাগ : মহাকাব্য ও গীতিকবিতা। মহাকাব্যে অতিশয় দীর্ঘ কাহিনি-কবিতা, যেটি গদ্যে না লিখে পদ্যে লেখা হয় । গীতিকবিতা সংক্ষিপ্ত আকারের কবিতা। এখানে কবির অনুভূতিটাই প্রধান। ছোটগল্পে জীবনের স্বল্প পরিসর বর্ণিত হয় এবং উপন্যাসে জীবনের বৃহত্তর অংশ উঠে আসে। নাটকে জীবনের রূপায়ণ ঘটে এবং তা দৃশ্যরূপে অভিনীত হয় দর্শকের দৃষ্টিগোচর হয়। আর সৃজনীশক্তির পরিস্ফুটনের মাধ্যমে প্রবন্ধ রচিত হয়ে থাকে।

      উদ্দীপকে চিরকালীন সাহিত্যের অনুভূতির আভাস পাওয়া যায়। সাহিত্যের বিভিন্ন রূপের মধ্য দিয়ে সাহিত্যিক তাঁর কর্মকে প্রকাশ করেন। শিল্পীর বুননে রূপের অদল-বদলের মাধ্যমে সাহিত্য হয় সর্বজনীন। উদ্দীপকের এই ভাব রয়েছে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধেও।

      মানুষের জীবনের দুঃখ-বেদনা, হাসি-কান্না ও বিচিত্র সমস্যা যে সাহিত্যের উপকরণ সে সম্বন্ধে সন্দেহ নেই। বিচিত্র রস, আঙ্গিক গঠনের মধ্য দিয়ে সাহিত্য পূর্ণতা লাভ করে এবং বিচিত্র রূপের মধ্য দিয়ে তা উদ্ভাসিত হয় । উদ্দীপকেও এই বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এই বিষয়টি ফুটে উঠেছে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে। উদ্দীপকে বলা হয়েছে একই গভীর অনুভবের কথা। সাহিত্য মানুষের মনকে তুলে ধরে। একের অনুভূতি কালে কালে অনেক মানসিকতা গঠন করে। উদ্দীপক ও প্রবন্ধের এটিই মূলসুর। সুতরাং বলা যায়, ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তু  উদ্দীপকের মূলভাবে প্রত্যক্ষ।

৩.    “বাবুরা, আমাকে একটিবার ছেড়ে দাও আমি রুটিগুলো ঘরে দিয়ে আসি। বাইরে শিয়াল কুকুরে খেয়ে যাবেÑ রোগা মানুষ সমস্ত রাত খেতে পাবে না।”

ক.   হায়াৎ মামুদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ১

খ.   ‘যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে’Ñ কথাটি কেন বলা হয়?   ২

গ.   উদ্দীপক অংশটুকুতে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে উল্লিখিত সাহিত্যের কোন শাখাকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   ‘উদ্দীপকটি গীতিকবিতার অংশ নয়’Ñ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।   ৪

৩ নং প্র. উ.

ক.   হায়াৎ মামুদ ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

খ.   আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে মহাভারত রচনার আকার ও বিষয়গত ব্যাপ্তির দিকনির্দেশ করা হয়েছে।

     ‘মহাভারত’ হলো ভারত উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন দুটি কাহিনির একটি। এর আয়তন বিশাল। কাহিনির ব্যাপ্তিত্ত অনেক বেশি। এ কারণেই বলা হয়ে থাকেÑ ‘যা নেই মহাভারতে, তা নেই ভারতে’। যার অর্থ মহাভারত গ্রন্থে যা নেই, তা ভারতবর্ষেও নেই অর্থাৎ ভারতবর্ষেও ঘটেনি বা ঘটতে পারে না।

গ.   উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে উল্লেখিত সাহিত্যের শাখা ছোটগল্পকে নির্দেশ করে।

      ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গল্প বা ছোটগল্পে জীবনের পূর্ণাঙ্গ রূপের আলোচনা থাকে না। জীবনের খণ্ডাংশকে লেখক রস-নিবিড় করে ফুটিয়ে তোলেন। জীবনের কোনো বিশেষ মুহূর্তকে লেখক কীভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন তারই বর্ণনা। এখানে পত্রপত্রিকার সংখ্যা থাকে স্বল্প। আরম্ভ ও উপসংখ্যা হতে হয় নাটকীয়।

      উদ্দীপক অংশটুকু সাহিত্যের বিশেষ শাখা ছোটগল্পকে নির্দেশ করে। এটি বিলাসী গল্পের অংশবিশেষ। এতে ছোটগল্পের গুণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এটিতে ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে এটিকে ছোটগল্প হিসেবেই নির্দেশ করে।

ঘ.   ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে উল্লিখিত গীতিকবিতার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উদ্দীপকটি গীতিকবিতার অংশ নয়।

      ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় গীতিকবিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ছন্দোবদ্ধ বা পদ্যে যা লিখিত হয় তাই কবিতা আর গীতিকবিতায় কবির অনুভূতি প্রকাশ হওয়ায় তা দীর্ঘকায় হয় না। ক্ষেত্রবিশেষে দীর্ঘকায় হলেও সেখানে কবিমনের পূর্ণ অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়।

      উদ্দীপকে উল্লিখিত অংশটি ছোটগল্পের অংশ। ছোটগল্পের কাহিনির মধ্যে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলে দেয়া হয় না। এতে ছোট পরিসরে জীবনের খণ্ডাংশেকে রসনিবিড় করে ফুটিয়ে তোলা হয়। উদ্দীপকেও এ রকম জীবনের খণ্ডাংশকে রসনিবিড় করে তুলে ধরা হয়েছে।  ফলে এটি ছোটগল্পের অন্তর্ভুক্ত।

      আলোচ্য উদ্দীপকটি ছন্দোবদ্ধ বা পদ্যে লিখিত কোনো রচনা নয়। এটি গদ্যে রচিত এবং গল্পের অংশ। এটিতে গল্পের গুণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। কাজেই উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বর্ণিত গীতিকবিতা ও গল্পের বৈশিষ্ট্য বিবেচনায়  গীতিকবিতা নয় বরং গল্প।  

 ৪.   জ্ঞানের কথা জানা হয়ে গেলে আর জানতে ইচ্ছে করে নাÑতা মেনে মনে আনন্দও জন্মে না। সূর্য পূর্বাকাশে ওঠে- এই তথ্য আমাদের মন জানে না। কিন্তু সূর্যোদয়ের যে সৌন্দর্য ও তা দেখার যে আনন্দ তা সৃষ্টির আদিকাল থেকেই বিদ্যমান। তাই সৌন্দর্য ও আনন্দানুভূতি পাঠক হৃদয়ে জাগিয়ে তোলাই সাহিত্যের কাজ।

ক.   মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য কী?    ১

খ.   কমেডি নাটক কীভাবে আমাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক করে তোলে?  ২

গ.   উদ্দীপকের রচনাটি কোন সাহিত্যের অন্তর্গত? ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   উদ্দীপকের সাহিত্যের রূপটির সাথে উপন্যাসের মিল থাকলেও দুটি ভিন্ন ধারার-বিশ্লেষণ করো।  ৪

৪ নং প্র. উ.

ক.   মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য গল্প বলা, তবে তাকে গদ্যে না লিখে পদ্যে লিখতে হয়।

খ.   কমেডি নাটক মানবসুলভ ত্রুটিবিচ্যুতি ও নির্বুদ্ধিতার পরিণাম প্রদর্শন করে অশোভন দুর্বলতার হাত থেকে মুক্তি দিয়ে আমাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক করে তোলে।

      কমেডি নাটকে মানবচরিত্রের নানা অসংগতিকে হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এই অসংগতি ইচ্ছার সঙ্গে বাস্তব অবস্থার, আকাক্সক্ষার সঙ্গে প্রাপ্তিযোগের, উদ্দেশ্যের সঙ্গে উপায়ের, কথার সঙ্গে কাজের প্রভৃতি। ফলে কমেডি নাটক আমাদের এসব ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে অবগত করে। এসব বিষয়ে আমরা সচেতন হয়ে উঠি। ভুল-ত্রুটি শুধরে সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে উঠি।

গ.   উদ্দীপকের রচনাটি প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্তর্গত।

      ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা তথা নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছোটগল্প প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে প্রবন্ধ হলো গদ্যে লিখিত এবং এর উদ্দেশ্য পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করা। তবে এই রচনায় সৃজনশীলতা বিদ্যমান। সাধারণত কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করে লেখক কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে যেই নাতিদীর্ঘ সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করেন, তা-ই প্রবন্ধ।

      উদ্দীপকে দেখা যায় একটি বিষয়বস্তুকে আশ্রয় করে লেখক তাঁর কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করেছেন। এতে যেমন তথ্য রয়েছে তেমনি সৃজনশীলতাও রয়েছে। ফলে উদ্দীপকটি পাঠের মাধ্যমে পাঠক সহজেই তার জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করতে পারে। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার মধ্যে প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলোই উদ্দীপকের রচনাটি ধারণ করেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি প্রবন্ধ সাহিত্য।

ঘ.   উদ্দীপকের রচনা এবং ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বর্ণিত উপন্যাস উভয়ই গদ্যে লিখিত হলেও উদ্দেশ্য এবং ধরনগত দিক দিয়ে ভিন্ন হওয়ায় এরা সাহিত্যের আলাদা দুটি শাখা।

      ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এসব শাখার মধ্যে উপন্যাস অংশটিই সর্বাধিক পঠিত এবং পাঠক মহলে জনপ্রিয় উপন্যাসে একটি কাহিনি বর্ণিত থাকে এবং তা গদ্যে লিখিত হয়। এই উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য হলো প্লট। এই প্লট বা আখ্যানভাগ তৈরি হয়ে ওঠে গল্প ও তার ভেতরে উপস্থিত বিভিন্ন চরিত্রের সমন্বয়ে।

      উদ্দীপকে সাহিত্যের অন্যতম শাখা প্রবন্ধের উল্লেখ রয়েছে। প্রবন্ধ গদ্যে রচিত হয় এবং এতে তথ্যের প্রাধান্য থাকে, যাতে অজানা তথ্যাদি পাঠক জানতে পারে। তাছাড়া প্রবন্ধে বিষয়বস্তুর প্রাধান্য স্বীকার করে কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে লেখক আত্মসচেতন নাতিদীর্ঘ সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করেন। উদ্দীপকে দেখা যায়, সাহিত্যকে বিষয়বস্তু করে একটি বিষয় রচনা করা হয়েছে। এ ধরনের লেখার উদ্দেশ্য পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করা।

      উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রবন্ধ এবং উপন্যাস উভয়ই গদ্যে লিখিত হলেও এদের বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। উপন্যাসে কাহিনি লিখিত হলেও প্রবন্ধ বিষয়বস্তুর আলোকে লিখিত হয়। তাছাড়া উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য প্লট। অন্যদিকে প্রবন্ধ লেখকের কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করে লেখা কোনো বিষয়বস্তুর আলোকে রচনা। এসব বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় উদ্দীপকের রচনাটি প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্তর্গত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের রচনার সাথে উপন্যাসের মিল থাকলেও দুটি ভিন্ন ধারার রচনা।

 ৫.   তিশা তার বাবার সাথে জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চনাটক দেখতে যায়। সেখানে মুনীর চৌধুরীর রচিত ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকের মঞ্চায়ন হয়। নাটকের শেষ দৃশ্যে নায়কের করুণ পরিণতি দেখে তিশা চোখের পানি ধরে রাখতে পারে না।

ক.   সাহিত্যের কোন শাখা বিশ্বসাহিত্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন? ১

খ.   ছোটগল্পে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ উপস্থাপন সম্ভব নয় কেন?   ২

গ.   কাহিনির বিষয়বস্তু ও পরিণতির বিচারে উদ্দীপকের তিশা কোন ধরনের নাটক দেখেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   “উদ্দীপকের নাটকটি দর্শককে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে” ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪

৫ নং প্র. উ.

ক.   সাহিত্যের অন্যতম শাখা নাটক বিশ্বসাহিত্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন।

খ.   ছোটগল্পের পরিধি অত্যন্ত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে এতে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ উপস্থাপন সম্ভব নয়।

      ছোটগল্পের পরিধি ছোট। এতে কেবল একটি কাহিনির ভেতর থেকে বেছে নেওয়া অংশ থাকে। তাই ছোটগল্পের কাহিনীর ভিতরে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলে দেওয়া হয় না। ছোটগল্পে জীবনের খণ্ডাংশকে রসনিবিড় করে ফুটিয়ে তোলা হয়। আর এই খণ্ডাংশ বর্ণনার কারণে ছোটগল্পের আয়তন থাকে কম। এই কম পরিধিতে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরা সম্ভব হয় না।

গ.   কাহিনির বিষয়বস্তু ও পরিণতির বিচারে উদ্দীপকের তিশা ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্ত নাটক দেখেছে।

      কাহিনির বিষয়বস্তু ও পরিণতির দিক থেকে বিচার করলে নাটক প্রধানত ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্ত, কমেডি বা মিলনান্ত এবং প্রহসন- এ তিন ধরনের হয়। এদের মধ্যে ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্ত নাটকই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। এই নাটকে রঙ্গমঞ্চে নায়ক বা নায়িকার জীবনকাহিনির দৃশ্য পরম্বরা উপস্থাপনের মাধ্যমে দর্শক হৃদয়ে ভয় ও করুণা প্রশমিত করে তার মনে করুণ রসের আনন্দ সৃষ্ট করে।

      উদ্দীপকে তিশা বাবার সাথে ট্র্যাজেডি নাটক দেখেছে। কেননা ট্র্যাজেডি নাটক দর্শক হৃদয়ে করুণ রসের আনন্দ সৃষ্টি করে। আর তিশার দেখা নাটকও তার মনে একই অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। নাটকের নায়কের পরিণতি দেখে তিশা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। তাই বিষয়বস্তু ও পরিণতি বিচারে তিশার দেখা এ ধরনের নাটকই হলো ট্র্যাজেডি নাটক।

ঘ.   নাটক মঞ্চে অভিনীত হয় বলে এটি দর্শক এবং সমাজকে প্রভাবিত করতে চায় এবং প্রভাবিত করে। উদ্দীপকেও এই বিষয়টি স্পষ্ট।

      ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের অন্যান্য শাখার মতো নাটকেরও ধারণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বসাহিত্যে এই নাটকই সবচেয়ে প্রাচীন। আর প্রাচীনকালে ছাপানোর ব্যবস্থা না থাকায় মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমে নাটককে দর্শক মহলে পৌঁছনো হতো। ফলে নাটকের লক্ষ্য সবসময়ই দর্শক সমাজ। নাটক প্রধানত দৃশ্যকাব্য হওয়ায় তা দর্শকদের প্রভাবিত করে।

      উদ্দীপকের নাটক তিশাকে প্রভাবিত করেছে। তিশা ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকটি দেখে নাটকের সাথে গভীরভাবে একাত্ম হয়েছে। ফলে নায়কের পরিণতিতে সে চোখের পানি ধরে রাখতে পারে নি। এক্ষেত্রে নাটকের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় তিশার চোখে পানি এসেছে। ফলে উদ্দীপকের নাটকটি রচয়িতার মূল উদ্দেশ্য পূরণ করতে সমর্থ হয়েছে।

      নাটক হলো মূলত দৃশ্যকাব্য। ফলে দর্শক নাটককে সরাসরি দেখে। অন্যদিকে সাহিত্যের অন্য শাখাগুলো পাঠককে পড়ে জানতে হয়। ফলে সাহিত্যের অন্যান্য শাখার তুলনায় নাটকই দর্শকদের সবচেয়ে দ্রুত ও সফলভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে নাটকের বর্ণিত এসব বক্তব্য যে সঠিক তার প্রমাণ পাওয়া যায় উদ্দীপকে তিশার মধ্যে। বিয়োগান্ত একটি নাটক তার মাঝে করুণ রসের সৃষ্টি করে এবং সেই অনুভূতির প্রকাশও আমরা তার মধ্যে লক্ষ করি। তাই প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি সার্থক।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   কবিতার প্রধান দুটি রূপভেদ কী কী?

      উত্তর : কবিতার প্রধান দুটি রূপভেদ হলো মহাকাব্য ও গীতিকবিতা।

২.   বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ কে প্রকাশ করেছেন?

      উত্তর : বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রকাশ করেছেন।

৩.  বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশিত হয়েছে কোন কাব্যে?

      উত্তর : বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশিত হয়েছে মেঘনাদবধ কাব্যে।

৪.   মহাকাব্য কিসের কাহিনি অবলম্বন করে রচিত হয়?

      উত্তর : মহাকাব্য যুদ্ধবিগ্রহের কাহিনি অবলম্বন করে রচিত হয়।

৫.  রাবণ কাকে হরণ করে লঙ্কায় বাগানবাড়িতে বন্দি করে রাখে?

      উত্তর : রাবণ সীতাকে হরণ করে লঙ্কায় বাগানবাড়িতে বন্দি করে রাখে।

৬.  বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতার আদি নিদর্শন কোনটি?

      উত্তর : বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতার আদি নিদর্শন বৈষ্ণব কবিতাবলি।

৭.   বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কে?

      উত্তর : বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কাজী নজরুল ইসলাম।

৮.  বাংলা সাহিত্যে ‘পল্লিকবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কে?

      উত্তর : বাংলা সহিত্যে ‘পল্লিকবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জসীমউদ্দীন।

৯.  নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই কারা?

      উত্তর : নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই দর্শকসমাজ।

১০.  কারা নাট্যসাহিত্যকে কাব্যসাহিত্যের মধ্যে গণ্য করেছেন?

      উত্তর : সংস্কৃত আলঙ্করিকবৃন্দ নাট্যসাহিত্যকে কাব্য সাহিত্যের মধ্যে গণ্য করেছেন।

১১.  নাটক সচরাচর কয় অঙ্কে বিভক্ত থাকে?

      উত্তর : নাটক সচরাচর পাঁচ অঙ্কে বিভক্ত থাকে।

১২.  নাটকের বিভাগগুলোর মধ্যে কোনটিকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়?

      উত্তর : নাটকের বিভাগগুলোর মধ্যে ট্র্যাজেডিকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১৩. কোন সাহিত্য থেকে ছোটগল্পের অনুপ্রেরণা এসেছে?

      উত্তর : পাশ্চাত্য সাহিত্য থেকে ছোট গল্পের অনুপ্রেরণা এসেছে।

১৪.  এইচ.হি.ওয়েলসের মতে ছোটগল্পের আয়তন কত মিনিটের ভেতরে পড়ে শেষ করার মতো হওয়া উচিত?

      উত্তর : এইচ.হি.ওয়েলসের মতে ছোটগল্পের আয়তন ১০-৫০ মিনিটের ভেতরে পড়ে শেষ করার মতো হওয়া উচিত।

১৫. পাঠকের সমাজে সাহিত্যের কোন শাখাটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে?

      উত্তর : পাঠকের সমাজে সাহিত্যের উপন্যাস শাখাটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

১৬. উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য কী?

      উত্তর : উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য হলো প্লট।

১৭.  বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ও কালজয়ী ঔপন্যাসিক কে?

      উত্তর : বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ও কালজয়ী ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৮. বাঙালি পাঠকদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক কে?

      উত্তর : বাঙালি পাঠকদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৯. তন্ময় প্রবন্ধ কাকে বলে?

      উত্তর : বিষয়বস্তুর প্রাধান্য স্বীকার করে যে সকল বস্তুনিষ্ঠু প্রবন্ধ লিখিত হয় সেগুলোকে তন্ময় প্রবন্ধ বলে।

২০. মেধাশক্তি অপেক্ষা ব্যক্তিহৃদয় প্রাধান্য প্রায় কোন ধরনের প্রবন্ধে?

      উত্তর : মেধাশক্তি অপেক্ষা ব্যক্তিহৃদয় প্রাধান্য প্রায় মন্ময় ধরনের প্রবন্ধে।

২১.  বাংলা ভাষায় রচিত প্রবন্ধ সহিত্যের প্রবহমানতা কবে থেকে শুরু হয়?

      উত্তর : বাংলা ভাষায় রচিত প্রবন্ধ সাহিত্যের প্রবহমানতা রাজা রামমোহন রায় থেকে শুরু হয়।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   রামায়ণকে মহাকাব্য বলা যায় কেন?

      উত্তর : আবার, বিষয়বস্তু ও আঙ্গিক বিবেচনায় রামায়ণকে একটি মহাকাব্য বলা যায়।

     মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য হলো এটি আকারে বিশাল হতে হবে। রচিত হবে পদ্যে। আর এর উপজীব্য হবে যুদ্ধ বিগ্রহের কোনো কাহিনী। ভারত উপমহাদেশের প্রাচীনতম দুটি কাহিনীর একটি হলো রামায়ণ। উপরে উল্লেখিত সবগুলো বৈশিষ্ট্যই এতে বিদ্যমান। এ কারণেই রামায়ণকে মহাকাব্য বলা হয়।

২.   ‘শেষ হয়ে হইল না শেষ’Ñ ছোটগল্পের ক্ষেত্রে এ কথাটি গরুত্বপূর্ণ কেন?

      উত্তর : ছোটগল্প পাঠ শেষে পাঠক হৃদয়ে অতৃপ্তিবোধ জমানোর কারণে প্রশ্নোক্ত কথাটি ছোটগল্প গুরুত্বপূর্ন ছোটগল্পের আঙ্গিক অত্যন্ত ক্ষুদ্র। এটি কখনোই কাহিনীর ভেতর দিয়ে কোনো ঘটনার শুরু বা শেষ বলে দেয় না। এর ভেতরে একটি কহিনীর বর্ণনা থাকে। তবে তা সম্পূর্ণটা নয় বরং কাহিনীর ভিতর থেকেই বেছে নেওয়া একটি ভগ্নাংশ মাত্র। তাই ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য এমন হওয়া উচিত যেন পড়া শেষেও মনে হবে যেন শেষ হলো না। পাঠকের মনে এটি এক ধরনের অতৃপ্তিবোধের জন্ম দেবে।

৩.  সংবাদপত্রের সকল গদ্যকেই প্রবন্ধ বলা যায় না কেন?

      উত্তর : সংবাদপত্রের সকল গদ্যে সৃজনশীলতা থাকে না বলে সবগুলোকেই প্রবন্ধ বলা যায় না।

     প্রবন্ধ বলতে আমরা বুঝি গদ্যে লিখিত এমন রচনা যার উদ্দেশ্য পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করা। এই লেখায় তথ্যের প্রাধ্যান্য থাকে। সে বিবেচনায় সংবাদপত্রের গদ্যে লিখিত যাবতীয় খবরা-খবরকেই প্রবন্ধ বলা উচিত। কিন্তু সেটি  সম্ভব নয়। কেননা প্রবন্ধে সৃজনশীলতার পরিচয় ফুটে ওঠা বাঞ্ছণীয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সকল গদ্যেই তা থাকেনা। তাই সৃজনশীলতাহীন লেখাগুলো নিছক খবর হিসেবেই বিবেচিত হয়।

৪.   ‘এই শিল্পদৃষ্টি যাহার নাই তার পক্ষে ছোটগল্প লেখা লাঞ্ছনা বই কিছুই নহে।’Ñ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।

      উত্তর : ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে লেখককে সূক্ষ্ম পরিমিতিবোধের অধিকারী হতে হয়। এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে উক্তিটির মাধ্যমে।

     বিশিষ্ট সাহিত্য গবেষক শ্রীশচন্দ্র দাশের মতে ছোটগল্পের আকার খুব ছোট বলে এতে জীবনের পূর্ণাবয়ব আলোচনা করা যায় না। জীবনের একটি খণ্ডাংশ ছোটগল্পে রস-নিবিড় করে ফুটিয়ে তুলতে হয়। অত্যন্ত ছোট পরিসরের কাহিনীতে অনেক বেশি নাটকীয়তার সঞ্চার করতে হয়। গল্পের শুরু ও শেষটা হতে হয় খুব চমকপ্রদ। এ কারণেই ছোটগল্পের শুরুটা কোথায় হওয়া উচিত এবং সমাপ্তি কোথায় টানা উচিত সে ব্যাপারে লেখকের তীক্ষ্ম শিল্পবোধ থাকা আবশ্যক। তা না হালে গল্পটি সার্থকতা লাভ করবেনা।

৫.  নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই দর্শক সমাজ কেন?

      উত্তর : সাহিত্যের সব শাখাগুলোর মধ্যে একমাত্র নাটকের মাধ্যমে সরাসরি দর্শকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। তাই নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই দর্শক সমাজ।

     সংস্কৃত আলঙ্করিকদের মতে কাব্য দুই ধরনের দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য। তাঁরা নাট্যসাহিত্যকেও কাব্যসাহিত্যের মধ্যেই গণ্য করেছেন। নাটক প্রধানত দৃশ্যকাব্য। তাই নাটকের অভিনয় লোকজনকে দর্শন করানো না গেলে নাটক রচনার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়। তাছাড়া নাটকই সাহিত্যের একমাত্র শাখা যেটি সমাজ ও পাঠকগোষ্ঠীকে সরাসরি প্রভাবিত করতে চায় ও সক্ষমও হয়। এসব কারণেই নাটকের লক্ষ্য সব সময়ই দর্শক সমাজ।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি

১.   ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের লেখক কে?   ছ

      ক   প্রমথ চৌধুরী    খ    হায়াৎ মামুদ

      গ   শওকত ওসমান  ঘ    হুমায়ুন আজাদ

২.   হায়াৎ মামুদ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?    চ

      ক   ১৯৩৯     খ    ১৯৪৯

      গ   ১৯৩৫     ঘ    ১৯৪০

৩.   হায়াৎ মামুদের জন্ম তারিখ কোনটি?           জ

      ক   ৫ই মে    খ    ২৫ শে মে

      গ   ২রা জুলাই ঘ    ৬ই জুলাই

৪.   পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার মৌড়া গ্রামে কে জন্মগ্রহণ করেন?                     জ

      ক   বনফুল    খ    ফররুখ আহমদ

      গ   হায়াৎ মামুদ     ঘ    কাজী নজরুল ইসলাম

৫.   হায়াৎ মামুদ বর্তমানে কোথাকার বাসিন্দা? ছ

      ক   ঢাকার মিরপুর   খ    ঢাকার গেণ্ডারিয়া

      গ   ঢাকার মালিবাগ  ঘ    ঢাকার আজিমপুর

৬.   হায়াৎ মামুদের পিতার নাম কী?                চ

      ক   মুহম্মদ শমসের আলী  খ    জাফর ইমাম

      গ   আলী আজগর খান    ঘ    বেলায়েত হোসেন

৭.   হায়াৎ মামুদের মায়ের নাম কী?                ছ

      ক   জাকিয়া সুলতানা খ    আমিনা খাতুন

      গ   আফরোজা আক্তার    ঘ    সোনিয়া ইয়াসমিন

৮.   হায়াৎ মামুদ প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন কত সালে?     জ

      ক   ১৯৫০     খ    ১৯৫২

      গ   ১৯৫৬    ঘ    ১৯৬০

৯.   হায়াৎ মামুদ ঢাকার কোন স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন?               চ

      ক   সেন্ট গ্রেগরিজ

      খ    শামসুল হক উচ্চ বিদ্যালয়

      গ   উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ

      ঘ    রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ

১০.  হায়াৎ মামুদ কত সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন?  চ

      ক   ১৯৫৮    খ    ১৯৬০

      গ   ১৯৬২    ঘ    ১৯৬৪

১১.  হায়াৎ মামুদ কোন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন?    জ

      ক   ঢাকা কলেজ    খ    নটরডেম কলেজ

      গ   কায়েদে আজম কলেজ ঘ    কবি নজরুল কলেজ

১২.  হায়াৎ মামুদ কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন?                  ছ

      ক   চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়   খ    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

      গ   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  ঘ    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

১৩.  হায়াৎ মামুদ কোন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন?                জ

      ক   ইংরেজি   খ    ইতিহাস

      গ   বাংলা ঘ    নাট্যতত্ত্ব

১৪.  হায়াৎ মামুদ কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন?             ছ

      ক   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

      গ   চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

      ঘ    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

১৫.  কায়েদে আজম কলেজের বর্তমান নাম কী?    ছ

      ক   ঢাকা কলেজ

      খ    সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ

      গ   জগন্নাথ কলেজ

      ঘ    মিরপুর বাংলা কলেজ

১৬.  হায়াৎ মামুদ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন?   চ

      ক   চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

      খ    ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

      গ   রাজশাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

      ঘ    ঢাকা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

১৭.  হায়াৎ মামুদ কোন বিষয়ে খ্যাতি লাভ করেন?  জ

      ক   কবিতা    খ    উপন্যাস

      গ   গবেষণা ও প্রবন্ধ ঘ    নাটক

১৮.  হায়াৎ মামুদ কত সংখ্যক গ্রন্থের রচয়িতা?      ছ

      ক   দুই শতাধিক     খ    অর্ধশতাধিক

      গ   শতাধিক   ঘ    দেড় শতাধিক

১৯.  ‘স্বগত সংলাপ’ কার লেখা গ্রন্থ?                 জ

      ক   হুমায়ূন আহমেদ খ    শামসুর রাহমান

      গ   হায়াৎ মামুদ     ঘ    আল মাহমুদ

২০.  সাহিত্যে অবদানের জন্য হায়াৎ মামুদ কোন পুরস্কার পান? চ

      ক   বাংলা একাডেমি পুরস্কার    খ    একুশে পদক

      গ   আলাওল সাহিত্য পুরস্কার    ঘ    স্বাধীনতা পদক

২১.  ‘কিশোর বাংলা অভিধান’-এর রচয়িতা কে?      ঝ

      ক   ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ  খ    ড. আনিসুজ্জামান

      গ   নরেন বিশ্বাস    ঘ    হায়াৎ মামুদ

২২.  হায়াৎ মামুদের পেশা কী ছিল?                 চ

      ক   অধ্যাপনা  খ    সাংবাদিকতা

      গ   গবেষণা   ঘ    শিল্পকর্ম

২৩.  রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের কিশোর জীবনী কে লেখেন? জ

      ক   নির্মলেন্দু গুণ    খ    আহমদ শরীফ

      গ   হায়াৎ মামুদ     ঘ    হুমায়ুন আজাদ

২৪.  হায়াৎ মামুদের লেখা গ্রন্থ কোনটি?       ছ

      ক   নিবিড় নীলিমা

      খ    বাংলা লেখার নিয়মকানুন

      গ   শ্যামল ছায়া ঘ    বৃষ্টির ঠিকানা

২৫.  হায়াৎ মামুদ কোনটিকে বিশাল পরিধির বলেছেন?    ঝ

      ক   উপন্যাস   খ    গল্প

      গ   নাটক ঘ    সাহিত্য

২৬. সাহিত্যের রূপ কী?                 চ

      ক   সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা খ    উপমা

      গ   উৎপ্রেক্ষা  ঘ    চিত্রকল্প

২৭.  সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার গঠন নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও আলোচনাকে কী বলে?                 চ

      ক   রীতি খ    সাহিত্য বিচার

      গ   গবেষণা   ঘ    সমালোচনা

২৮.  ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের রচয়িতা কে?        ঝ

      ক   মীর মশাররফ হোসেন খ    সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

      গ   সুকুমার রায়     ঘ    মাইকেল মধুসূদন দত্ত

২৯.  মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ কোন কাব্যে প্রকাশিত? চ

      ক   মেঘনাদবধ কাব্য খ    বীরাঙ্গনা কাব্য

      গ   ব্রজাঙ্গনা কাব্য   ঘ    তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য

৩০.  মহাকাব্য রচিত হয় কোন ধরনের কাহিনী অবলম্বনে? ছ

      ক   রাজাদের কাহিনি খ    যুদ্ধবিগ্রহের কাহিনি

      গ   প্রেমের কাহিনি

      ঘ    অসহায় মানুষের কাহিনি

৩১.  গীতি কবিতার আদি নিদর্শন কোনটি?          চ

      ক   বৈষ্ণব কবিতাবলি খ    ব্রজাঙ্গনা কাব্য

      গ   বীরাঙ্গনা কাব্য   ঘ    রবীন্দ্র রচনাবলি

৩২.  বৈষ্ণব কবিতা বাংলা সাহিত্যের কোন যুগের নিদর্শন? ঝ

      ক   আধুনিক যুগের  খ    অন্ধকার যুগের

      গ   মধ্য যুগের ঘ    প্রাচীন যুগের

৩৩.  কাজী নজরুল ইসলাম কী হিসেবে সাহিত্যে স্থায়ী আসন লাভ করেছেন?                 জ

      ক   প্রেমের কবি     খ    গীতি কবি

      গ   বিদ্রোহী কবি    ঘ    বিশ্বকবি

৩৪.  বাংলা সাহিত্যে পল্লীকবি হিসেবে স্থায়ী আসন পেয়েছেন কে?     চ

      ক   জসীম উদ্দীন    খ    জীবনানন্দ দাশ

      গ   মাইকেল মধুসূদন দত্ত  ঘ    ফররুখ আহমদ

৩৫.  ‘নকশীকাঁথার মাঠ’ এর রচয়িতা কে?            জ

      ক   সুকুমার রায়     খ    জীবনানন্দ দাশ

      গ   জসীম উদ্দীন    ঘ    কাজী নজরুল ইসলাম

৩৬. সাহিত্যের কোন রূপটি সর্বাপেক্ষা প্রাচীন? ঝ

      ক   ছোটগল্প   খ    উপন্যাস

      গ   প্রবন্ধ ঘ    নাটক

৩৭.  পূর্বে নাটক পুস্তিকাকারে মুদ্রিত হতো না কেন? জ

      ক   কালির অভাবে   খ    অর্থের অভাবে

      গ   ছাপাখানা ছিল না বলে

      ঘ    পৃষ্ঠপোষক ছিল না বলে

৩৮. নাটকের লক্ষ্য সবসময়ই কারা?                ছ

      ক   পাঠক সমাজ    খ    দর্শক সমাজ

      গ   লেখক সমাজ   ঘ    বিজ্ঞ সমাজ

৩৯.  নাটক সাধারণত কয় অংশে বিভক্ত?            চ

      ক   ৫   খ    ৬

      গ   ৪    ঘ    ৩

৪০.  নাটককে প্রধানত কোন কাব্যের পর্যায়ভুক্ত করা যায়? ঝ

      ক   মহাকাব্য   খ    গীতিকাব্য

      গ   শ্রব্যকাব্য  ঘ    দৃশ্যকাব্য

৪১.  বিষয়বস্তু ও পরিণতির দিক দিয়ে নাটককে কয় শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?                  চ

      ক   তিন  খ    চার

      গ   দুই   ঘ    এক

৪২.  ‘নীল দর্পণ’ নাটকের রচয়িতা কে?        ছ

      ক   মাইকেল মধুসূদন দত্ত  খ    দীনবন্ধু মিত্র

      গ   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  ঘ    অমৃত লাল বসু

৪৩.  দীনবন্ধু মিত্র কোন ধরনের নাটক নিয়ে আবির্ভূত হন?      চ

      ক   সামাজিক নাটক খ    ঐতিহাসিক নাটক

      গ   পৌরাণিক নাটক ঘ    রাজনৈতিক নাটক

৪৪.  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নাটক কোনটি? জ

      ক   প্রফুল্ল খ    কালাপাহাড়

      গ   রক্তকরবী  ঘ    শাজাহান

৪৫.  ‘ছোট প্রাণ, ছোট ব্যথা’ শিরোনামের কবিতাটি কার লেখা?   চ

      ক   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  খ    প্রেমেন্দ্র মিত্র

      গ   প্রমথ চৌধুরী    ঘ    বিহারীলাল রায়

৪৬.  বাংলা ভাষার সার্থক ছোট গল্পকার কে?   জ

      ক   কাজী নজরুল ইসলাম খ    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

      গ   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  ঘ    হুমায়ূন আহমেদ

৪৭.  ছোটগল্পের আয়তন এমন হওয়া সঙ্গত যেন ১০ থেকে ৫০ মিনিটের ভিতরে শেষ করা যায়Ñ এটি কার উক্তি?   ছ

      ক   এডগার অ্যালান পো   খ    এইচ. ডিজ. ওয়েলস

      গ   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  ঘ    বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

৪৮.  ইংরেজি ভাষায় ছোটগল্পের জনক বিবেচনা করা হয় কাকে? চ

      ক   এডগার অ্যালান পো   খ    এইচ. জি. ওয়েলস

      গ   শেকসপীয়ার    ঘ    টিএসএলিয়ট

৪৯.  ছোটগল্পের ধারণা এসেছে কোথা থেকে?  ঝ

      ক   প্রাচীন সাহিত্য থেকে   খ    সংস্কৃত সাহিত্য থেকে

      গ   প্রাচ্যের সাহিত্য থেকে  ঘ    পাশ্চাত্য সাহিত্য থেকে

৫০.  ছোটগল্পে কোনটি প্রতিফলিত হয়?        চ

      ক   জীবনের খণ্ডাংশ খ    গোটা জীবন

      গ   সমাজের সব ঘটনা    ঘ    পারিবারিক সব ঘটনা

৫১.  বহুল পঠিত ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে কোনটি?     ছ

      ক   কবিতা    খ    উপন্যাস

      গ   গল্প  ঘ    নাটক

৫২.  উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য কী?                চ

      ক   প্লট  খ    কাহিনি

      গ   চরিত্র ঘ    বর্ণনা

৫৩.  বাংলা ভাষায় প্রথম ও সার্থক ঔপন্যাসিক কে?  ছ

      ক   শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

      খ    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

      গ   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

      ঘ    তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

৫৪.  প্রথম সার্থক উপন্যাস কোনটি?                 চ

      ক   কপালকুণ্ডলা    খ    শেষের কবিতা

      গ   শঙ্খনীল কারাগার ঘ    দেবদাস

৫৫.  বঙ্কিম কীভাবে উপন্যাস রচনায় অনুপ্রাণিত হন?      ছ

      ক   রবীন্দ্রনাথের সংস্পর্শে এসে

      খ    বিদেশি উপন্যাস পড়ে

      গ   পরিবারের অনুপ্রেরণায় ঘ    শিক্ষকের অনুপ্রেরণায়

৫৬. বঙ্কিমচন্দ্রের সময়ে কোন উপন্যাস বেশি জনপ্রিয় ছিল?    জ

      ক   সামাজিক উপন্যাস    খ    পৌরাণিক উপন্যাস

      গ   ঐতিহাসিক উপন্যাস   ঘ    ডিটেকটিভ উপন্যাস

৫৭.  বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সমসাময়িক কোন কথাশিল্পী উপন্যাস রচনা করে পাঠক সমাজকে মন্ত্রমুগ্ধ করে তাদের হৃদয় জয় করেন?                ছ

      ক   বনফুল    খ    শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

      গ   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  ঘ    আহসান হাবীব

৫৮. ঔপন্যাসিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কে?     জ

      ক   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  খ    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

      গ   শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়   ঘ    হুমায়ুন আহমেদ

৫৯.  সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ কী?              চ

      ক   সৃজনশীলতা খ    মৌলিকত্ব

      গ   সাবলীল ভাষা    ঘ    পাঠকপ্রিয়তা

৬০.  খবরের কাগজের সমস্ত লেখাই প্রবন্ধ না হওয়ার কারণ কী? ছ

      ক   সাহিত্য মান নেই খ    সৃজনশীলতার অভাব

      গ   জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করে না     ঘ    চলিত ভাষায় রচিত

৬১.  প্রবন্ধের প্রধান শ্রেণিবিভাগ কয়টি?        ছ

      ক   তিনটি     খ    দুটি

      গ   চারটি ঘ    পাঁচটি

৬২. প্রবন্ধের উদ্দেশ্য কী?               ঝ

      ক   রচয়িতার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা

      খ    পাঠকের আকাক্সক্ষা সম্পর্কে ধারণা দান

      গ   পাঠকের বিস্তার পরিশুদ্ধি ঘটানো

      ঘ    পাঠকের জ্ঞান তৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করা

৬৩. রবীন্দ্রনাথের অধিকাংশ প্রবন্ধ কী ধরনের? চ

      ক   মন্ময় খ    তন্ময়

      গ   দীর্ঘ  ঘ    নাতিদীর্ঘ

৬৪.  ‘বিচিত্র প্রবন্ধ’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?       জ

      ক   আহমদ শরীফ   খ    হুমায়ুন আজাদ

      গ   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  ঘ    কাজী নজরুল ইসলাম

৬৫. কোন রচনার বিষয় গুরুগম্ভীর হতে পারে কিন্তু প্রকাশ গুরুগম্ভীর হলে চলে না?                  জ

      ক   প্রবন্ধ খ    গল্প

      গ   রম্য  ঘ    উপন্যাস

৬৬. বাংলা ভাষায় রচিত প্রবন্ধ সাহিত্যের গুণগত মান কেমন?  চ

      ক   অতি উত্তম খ    মোটামুটি

      গ   তেমন ভালো নয় ঘ    সন্তোষজনক নয়

৬৭.  প্রবন্ধ সাহিত্যের প্রবহমানতা কোন সাহিত্যের সময় থেকে শুরু হয়েছে?            ঝ

      ক   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর   খ    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

      গ   কাজী নজরুল ইসলাম ঘ    রাজা রামমোহন রায়

৬৮. হাসান আজিজুল হক কী হিসেবে পরিচিত?     চ

      ক   কথাশিল্পী  খ    নাট্যকার

      গ   কবি ঘ    অভিনেতা

৬৯. কেউ যখন সাহিত্যের কোনো একটি শাখার উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে প্রশ্ন করে তখন সে কোনটি সম্পর্কে জানতে চায়?              ছ

      ক   সাহিত্যের রূপ   খ    সাহিত্যের রীতি

      গ   সাহিত্যের অনুভূতি    ঘ    সাহিত্যের সৌন্দর্য

৭০.  বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশিত হয়েছে কার লেখায়?               জ

      ক   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  খ    কাজী নজরুল ইসলাম

      গ   মাইকেল মধুসূদন দত্ত  ঘ    মীর মশাররফ হোসেন

৭১.  মহাভারত সম্পর্কে কোনটি বলা হয়?           ছ

      ক   যা আছে ভারতে তা নেই ভারতে

      খ    যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে

      গ   যা আছে ভারতে তা নেই মহাভারতে

      ঘ    যা নেই ভারতে তা আছে ভারতে

৭২.  সীতা কার পতœী?                 ছ

      ক   রাবণ খ    রামচন্দ্র

      গ   লক্ষ্মণ     ঘ    কৃষ্ণ

৭৩.  শূর্পনখা কে?                 জ

      ক   রাবণের স্ত্রী খ    রামের স্ত্রী

      গ   রাবনের বোন    ঘ    রামের বোন

৭৪.  রাজা রাবণ কেন সীতাকে অপহরণ করে? জ

      ক   বিয়ে করার জন্য খ    বর পাওয়ার জন্য

      গ   বোনের সম্মান রক্ষার জন্য   ঘ    রাজত্ব বাঁচানোর জন্য

৭৫.  রাবণের রাজত্ব কোথায়?            জ

      ক   কুরুক্ষেত্রে খ    মহাভারতে

      গ   লঙ্কায় ঘ    অরুণাচলে

৭৬.  রামায়ণের মূল কাহিনি কোনটিকে ঘিরে অবর্তিত হয়েছে?   চ

      ক   রাম-রাবণের দ্বন্দ্ব খ    রাম-লক্ষণের দ্বন্দ্ব

      গ   রাম-সীতার দ্বন্দ্ব  ঘ    রাম-শূর্পনখার দ্বন্দ্ব

৭৭.  মহাকাব্যকে এক কথায় কী বলা যায়?    ঝ

      ক   অতিশয় ক্ষুদ্র ভক্তিমূলক কবিতা

      খ    অতিশয় দীর্ঘ ভক্তিমূলক কবিতা

      গ   অতিশয় ক্ষুদ্র কাহিনি-কবিতা

      ঘ    অতিশয় দীর্ঘ কাহিনি-কবিতা

৭৮.  মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য কী?                ঝ

      ক   ছন্দের দোলা দেওয়া   খ    পাঠকমন বিষণœ করা

      গ   গান শোনানো   ঘ    গল্প বলা

৭৯.  ‘বক্তার ভাবোচ্ছ্বাসের পরিস্ফুটন মাত্র যাহার উদ্দেশ্য, সেই কাব্যই গীতিকাব্য।’Ñ কার মন্তব্য?            জ

      ক   মধুসূদনের খ    রবীন্দ্রনাথের

      গ   বঙ্কিমচন্দ্রের ঘ    রজনীকান্তের

৮০.  কবি হিসেবে নজরুলকে ভিন্ন ধারার প্রবর্তক বলা হয় কেন? চ

      ক   কবিতায় বিপ্লবী ভাবের জন্য

      খ    কবিতায় প্রকৃতিকে তুলে ধরার জন্য

      গ   কবিতায় চিত্রকল্প প্রকাশের জন্য

      ঘ    কবিতায় আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহারের জন্য

৮১.  সাহিত্যের কোন রূপটি সরাসরি সমাজ ও পাঠকগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়?              জ

      ক   কবিতা    খ    ছোটগল্প

      গ   নাটক ঘ    মহাকাব্য

৮২.  সংস্কৃত আলঙ্কারিকবৃন্দ নাট্যসাহিত্যকে কিসের মধ্যে গণ্য করেছেন?                ছ

      ক   গদ্য সাহিত্য     খ    পদ্য সাহিত্য

      গ   আধুনিক সাহিত্য ঘ    প্রাচীন সাহিত্য

৮৩. নাটকের কাহিনি পরিণতির দিকে উত্তরণ ঘটে কোন অঙ্কে? ঝ

      ক   প্রবাহ খ    উৎকর্ষ

      গ   উপসংহার ঘ    গ্রন্থিমোচন

৮৪.  মিলনান্ত নাটককে ইংরেজি পরিভাষায় কী বলা হয়?  ছ

      ক   ঞৎধমবফু খ    ঈড়সবফু

      গ   ঋড়ৎপব   ঘ    ঊঢ়রপ

৮৫. ঞৎধবফু -তে চরিত্রসৃষ্টি, সংলাপ, জীবনাদর্শনের পরিস্ফুটন, মঞ্চায়ন ইত্যাদির সমন্বয়ে কী তৈরি হয়?  চ

      ক   প্লট  খ    উৎকর্ষ

      গ   সুরসংগতি ঘ    গ্রন্থিমোচন

৮৬. এরিস্টোটল কে?              ঝ

      ক   রোমান সেনাপতি খ    গ্রিক সম্রাট

      গ   ফরাসি সাহিত্যিক ঘ    গ্রিক দার্শনিক

৮৭.  কোন ধরনের নাটককে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করা হয়? ছ

      ক   কমেডি    খ    ট্র্যাজেডি

      গ   প্রহসন    ঘ    শ্লেষাত্মক

৮৮. মানবচরিত্রের যে কৌতুকপ্রদ দিক কাউকে পীড়ন না করে হাস্যরস সৃষ্টি করে তা কিসের উপজীব্য? চ

      ক   কমেডি    খ    ট্র্যাজেডি

      গ   প্রহসন    ঘ    প্যারোডি

৮৯.  কমেডিতে মূলত কোনটি তুলে ধরা হয়?  ছ

      ক   কুসংস্কার  খ    অসঙ্গতি

      গ   উন্নতি ঘ    অবনতি

৯০.  কার লেখনীতে সর্বপ্রথম ট্র্যাজেডি, কমেডি ও প্রহসন বাংলা ভাষায় সৃষ্টি হয়?              ছ

      ক   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  খ    মাইকেল মধুসূদন দত্ত

      গ   দীনবন্ধু মিত্র    ঘ    দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

৯১.  ‘নীলদর্পণ’ কোন ধরনের নাটক?          ছ

      ক   পৌরাণিক  খ    সামাজিক

      গ   ঐতিহাসিক ঘ    কাব্যধর্মী

৯২.  কে একই সঙ্গে নাট্যকার ও অভিনেতা ছিলেন? ঝ

      ক   মধুসূদন দত্ত     খ    দীনবন্ধু মিত্র

      গ   দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ঘ    গিরিশচন্দ্র ঘোষ

৯৩.  নিচের কোনটি ঐতিহাসিক নাটক?       জ

      ক   বুদ্ধদেব    খ    প্রফুল্ল

      গ   কালাপাহাড় ঘ    নীলদর্পণ

৯৪.  দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত নাটক কোনটি?   চ

      ক   শাজাহান  খ    কালাপাহাড়

      গ   নীলদর্পণ   ঘ    রক্তকরবী

৯৫.  রক্তকরবী, ডাকঘর ইত্যাদি কী ধরনের নাটক?  জ

      ক   পৌরাণিক  খ    কাব্যধর্মী

      গ   প্রতীকধর্মী ঘ    নৃত্যনাট্য

৯৬. চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর পূর্বে ছোটগল্পকে কী বলা হতো?  চ

      ক   গল্প  খ    উপন্যাসিকা

      গ   কাহিনী    ঘ    প্রহসন

৯৭.  চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগে উপন্যাসিকা বলা হতো কোনটিকে?     জ

      ক   ছোটগল্প   খ    মহাকাব্য

      গ   বড়গল্প    ঘ    প্রবন্ধ

৯৮.  বাংলা সাহিত্যে ‘ছোটগল্প’ শব্দটির ব্যবহার কত দিনের পুরোনো?              ছ

      ক   ১০-২০ বছর     খ    ৪০-৫০ বছর

      গ   ৬০-৭০ বছর    ঘ    ৯০-১০০ বছর

৯৯.  বাংলা সাহিত্যের শাখাগুলোর মধ্যে বয়সে সর্বকনিষ্ঠ কোনটি?     ঝ

      ক   নাটক খ    মহাকাব্য

      গ   উপন্যাস   ঘ    ছোটগল্প

১০০. ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’Ñ কথাটি দ্বারা কিসের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ হয়েছে?                 চ

      ক   ছোট গল্পের খ    ছোট কবিতার

      গ   নাটকের   ঘ    উপন্যাসের

১০১. ছোটগল্পের ক্ষেত্রে ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’ কথাটি প্রযোজ্য কেন?  জ

      ক   কাহিনির ভেতর ঘটনা বোঝা যায় না

      খ    কাহিনির ভেতর ঘটনা থাকে না

      গ   কাহিনির ভেতর ঘটনার সম্পূর্ণ অংশ বলা হয় না

      ঘ    কাহিনির ভেতর ঘটনার শুরু বলা হয় না

১০২. বাংলা ভাষায় উপন্যাস নিচের কোনটি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে লেখা হয়েছে?  ঝ

      ক   গ্রীক সাহিত্য    খ    আরব সাহিত্য

      গ   ফরাসি সাহিত্য   ঘ    ইংরেজি সাহিত্য

১০৩. এডগার অ্যালান পো-এর মতো ছোটগল্প কত সময়ের মধ্যে পড়ে শেষ করতে পারা উচিত?      ছ

      ক   ১০-২০ মিনিট   খ    ৩০ মিনিট – ২ ঘণ্টা

      গ   ২-৪ ঘণ্টা  ঘ    ৭ – ৮ ঘণ্টা

১০৪. ছোটগল্পের আরম্ভ ও সমাপ্তি কেমন হওয়া উচিত?    জ

      ক   সাদামাটা  খ    একই রকম

      গ   নাটকীয়   ঘ    অপ্রাসঙ্গিক

১০৫. ‘মঙ্গলকাব্য’ কোন সময়ের উদাহরণ?     ছ

      ক   প্রাচীন যুগ খ    মধ্যযুগ

      গ   রবীন্দ্র-পরবর্তী যুগ ঘ    আধুনিক যুগ

১০৬. বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্প, উপন্যাস ইত্যাদি আধুনিক কালে যুক্ত হওয়ার কারণ কী?      জ

      ক   আগে সব কাব্যের ছন্দে রচিত হতো

      খ    আগে সব গদ্যে লেখা হতো

      গ   গদ্যের আবির্ভাব ঘটেছে অনেক পরে

      ঘ    আগে ছাপাখানা ছিল না

১০৭. কোন সময়ের আগ পর্যন্ত বাংলা ভাষায় উপন্যাস লেখা হয় নি?  জ

      ক   ১৭ শতক  খ    ১৮ শতক

      গ   ১৯ শতক  ঘ    ২০ শতক

১০৮. রাজপুত-জীবনসন্ধ্যা, মহারাষ্ট্র জীবনপ্রভাত ইত্যাদি কার লেখা উপন্যাস? ছ

      ক   বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়  খ    রমেশচন্দ্র দত্ত

      গ   শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

      ঘ    তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

১০৯. বিষয়বস্তুর প্রাধান্য স্বীকার করে লেখা বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধকে কী বলা হয়?    চ

      ক   তন্ময় প্রবন্ধ খ    মন্ময় প্রবন্ধ

      গ   চিন্ময় প্রবন্ধ ঘ    মৃন্ময় প্রবন্ধ

১১০. রবীন্দ্রনাথ লিখিত অধিকাংশ প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য কোনটি? ছ

      ক   নির্দিষ্ট সীমারেখার আবদ্ধ

      খ    ব্যক্তিহৃদয় প্রধান হয়ে উঠেছে

      গ   সম্পূর্ণরূপে যুক্তিনির্ভর

      ঘ    জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যের পরিচয় মুখ্য

১১১. মন্ময় প্রবন্ধ নির্দেশ করার জন্য নিচের কোন শব্দটি প্রযোজ্য?    জ

      ক   বিল্ লের্ৎ  খ    বেল্ লির্ৎ

      গ   বেল লের্ৎ  ঘ    বিল লির্ৎ

১১২. মন্ময় প্রবন্ধকে কোনটি বলা যুক্তিসঙ্গত?  ছ

      ক   বস্তুগত প্রবন্ধ    খ    ব্যক্তিগত প্রবন্ধ

      গ   মৃন্ময় প্রবন্ধ ঘ    রম্য রচনা

১১৩. ভক্তিগীতি ও দেশাত্মবোধক গান রচনার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন কে? চ

      ক   অতুল প্রসাদ সেন     খ    গিরিশচন্দ্র ঘোষ

      গ   জসীম উদ্দীন    ঘ    মীর মশাররফ হোসেন

১১৪. ‘একাঙ্কিকা’ কী?  ছ

      ক   এক ধরনের প্রবন্ধ     খ    এক ধরনের নাটক

      গ   এক ধরনের কবিতা    ঘ    এক ধরনের উপন্যাস

১১৫. এরিস্টোটল কার শিষ্য ছিলেন?     চ

      ক   প্লেটোর    খ    এডগার অ্যালন পো-র

      গ   সক্রেটিসের

      ঘ    এইচ. জি. ওয়েল্স্-এর

১১৬. বাংলা নাটকের যুগন্ধর পুরুষ বলা হয় কাকে?  ছ

      ক   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে    খ    গিরিশচন্দ্র ঘোষকে

      গ   অতুলপ্রসাদ সেনকে   ঘ    দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে

১১৭. ভারতবর্ষের বিখ্যাত একজন নৃপতি কে?  ছ

      ক   গিরিশচন্দ্র  খ    চন্দ্রগুপ্ত

      গ   চন্দ্রশেখর  ঘ    রমেশচন্দ্র

১১৮. ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের নামকরণ কী অনুযায়ী হয়েছে?  ছ

      ক   নায়কের নাম    খ    নায়িকার নাম

      গ   লেখকের নাম   ঘ    গ্রামের নাম

১১৯. ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকটির প্রকাশকাল কোনটি? জ

      ক   ১৯০৯ সাল খ    ১৯১০ সাল

      গ   ১৯১১ সাল ঘ    ১৯১২ সাল

১২০. ‘সধবার একাদশী’ কী ধরনের নাটক?     ছ

      ক   সামাজিক  খ    ঐতিহাসিক

      গ   ট্রাজেডি   ঘ    প্রহসন

১২১. প্রথম বাঙালি কমিশনারের নাম কী?      ছ

      ক   গিরিশচন্দ্র ঘোষ  খ    রমেশচন্দ্র দত্ত

      গ   রজনীকান্ত সেন  ঘ    সমরেশ বসু

১২২. ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’Ñ কার লেখা?     ছ

      ক   রমেশচন্দ্র দত্ত   খ    রাজা রামমোহন রায়

      গ   তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ঘ    গিািরশচন্দ্র ঘোষ

১২৩. ‘বন্দে মাতরম’ অর্থ কী? চ

      ক   মাকে বন্দনা করি খ    নতুনকে গ্রহণ করি

      গ   অন্যায় বন্ধ করি ঘ    মুক্তির শপথ নিই

১২৪. ‘বন্দে মাতরম’ গানটি বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত? জ

      ক   কপালকুণ্ডলা    খ    বিষবৃক্ষ

      গ   আনন্দমঠ  ঘ    চন্দ্রশেখর

১২৫. ‘মহাভারত’-এর মূল রচনা কোন ভাষায় করা হয়?     ঝ

      ক   বাংলা খ    হিন্দি

      গ   পলি ঘ    সংস্কৃত

১২৬. মুক্তিযুদ্ধের সময় শহিদ হন কোন লেখক?      চ

      ক   শহীদুল্লা কায়সার খ    হাসান আজিজুল হক

      গ   রমেশচন্দ্র দত্ত   ঘ    সমরেশ বসু

১২৭. ‘সাহিত্য সন্দর্শন’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?     জ

      ক   রমেশচন্দ্র দত্ত   খ    হাসান আজিজুল হক

      গ   শ্রীশচন্দ্র দাস    ঘ    হুমায়ুন আজাদ

১২৮. প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্য নিয়ে পুরনো আমলে যাঁরা গবেষণা করেছেন তাঁদের কী বলা হয়?   ছ

      ক   সংস্কৃতিকর্মী খ    আলঙ্কারিকবৃন্দ

      গ   সংস্কৃতজন ঘ    অলঙ্কারিক

১২৯. নিচের কোনটি পৌরাণিক চরিত্র?   চ

      ক   জনা খ    কালাপাহাড়

      গ   চন্দ্রশেখর  ঘ    চন্দ্রগুপ্ত

বহুপদী সমাপ্তিসূচক

১৩০. হায়াৎ মামুদ যে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেনÑ

      র.   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রর.  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

      ররর. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র    খ    র ও রর

      গ   র ও ররর  ঘ    রর ও ররর

১৩১. হায়াৎ মামুদের খ্যাতি এনে দিয়েছে তারÑ

      র.   প্রবন্ধ রচনা রর.  গবেষণা

      ররর. নাটক রচনা

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩২. মহাকাব্য হলোÑ

      র.   দীর্ঘ কাহিনি কবিতা

      রর.  আয়তনে বিশাল

      ররর. যুদ্ধ-বিগ্রহের বর্ণনা

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৩. বাংলা কবিতার সম্পূর্ণরূপে আলাদা ধারার জনকÑ

      র.   কাজী নজরুল ইসলাম

      রর.  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

      ররর. জসীমউদ্দীন

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৪. নাটকের জন্য প্রয়োজনÑ

      র.   দর্শক      রর.  রঙ্গমঞ্চ

      ররর. সংলাপ

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৫. কমেডির বৈশিষ্ট্যÑ

      র.   কৌতুকপ্রদ ঘটনা

      রর.  কাউকে পীড়ন করে না ররর. হাস্যরস সৃষ্টি করে

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৬. নাটক রচনায় যুগান্তকারী প্রতিভাÑ

      র.   দীনবন্ধু মিত্র    রর.  মাইকেল মদুসূদন দত্ত

      ররর. কাজী নজরুল ইসলাম

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৭. ছোটগল্পের জন্য সম্পর্কিতÑ

      র.   জীবনের খণ্ডিতাংশের রস-নিবিড় রূপায়ণ

      রর.  জীবনের পূর্ণাবয়ব আলোচনা

      ররর. আরম্ভ ও উপসংহার নাটকীয়

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৮. ট্রাজেডির বৈশিষ্ট্য হলোÑ

      র.   হৃদয়ের ভয় ও করুণা প্রশমিত করে

      রর.  মনে করুণ রসের আনন্দ সৃষ্টি করে

      ররর. হৃদয়ে ভয় ও বিষণœতা সঞ্চারিত করে

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৯. কমেডি আমাদের রক্ষা করেÑ

      র.   স্বভাবসুলভ ত্রুটিবিচ্যুতি থেকে

      রর.  নির্বুদ্ধিতার পরিণাম থেকে

      ররর. অশোভন দুর্বলতা থেকে

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৪০. ছোটগল্পে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা উপস্থাপনÑ

      র.   অপ্রয়োজনীয়    রর.  অসম্ভব

      ররর. শর্তসাপেক্ষ

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৪১. সব মঙ্গলকাব্যই রচিত হতোÑ

      র.   গদ্যে রর.  কাব্যে

      ররর. ছন্দে

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৪২. প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য হলোÑ

      র.   গদ্যে লিখিত হতে হবে

      রর.  আকারে বড় হবে না

      ররর. সৃজনশীলতা থাকতে হবে

      নিচের কোনটি সঠিক?              ঝ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৪৩. ‘তন্ময়’ প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য হলোÑ

      র.   নির্দিষ্ট কোনো সীমারেখা নেই

      রর.  লেখকের পাণ্ডিত্য, জ্ঞান ও বুদ্ধির পরিচয় মুখ্য

      ররর. চিন্তাপ্রধান সাহিত্যকর্ম

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৪৪. সাহিত্যের মূল উদ্দেশ্যÑ

      র.   পাঠককে আনন্দদান

      রর.  সৌন্দর্য সৃষ্টি

      ররর. পাঠকের মনোরঞ্জন

      নিচের কোনটি সঠিক?              চ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৪৫ ও ১৪৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

জাগিয়া উঠিছে প্রাণ

ওরে উথলি উঠেছে বারি,

ওরে প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ

রুধিয়া রাখিতে নারি।

১৪৫. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের আলোকে উল্লিখিত রচনাটিকে কী বলা যায়?             ছ

      ক   ছোটগল্প   খ    গীতিকবিতা

      গ   মহাকাব্য   ঘ    নাটক

১৪৬. যে যুক্তিতে বলা যায়Ñ

      র.   আকারে ছোট

      রর. ছন্দোবন্দ ভাষায় লিখিত

      ররর. বক্তার ভাবোচ্ছ্বাসের পরিস্ফুটন ঘটেছে

      নিচের কোনটি সঠিক?              জ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৪৭ ও ১৪৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

সালমানের বাবা একজন লেখক। সম্প্রতি তিনি একটি রচনা লিখেছেন যা পড়ে শেষ করতে ঘণ্টাখানেক লাগে। রচনায় তিনি উল্লিখিত ঘটনার বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। রচনাটির শুরু এ রকম ‘আমার নাম বাবলু। আমি নবম শ্রেণির একজন ছাত্র……’

১৪৭. বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় সালমানের বাবার রচনাটিকে কী বলা যায়?     ঝ

      ক   উপন্যাস   খ    মহাকাব্য

      গ   প্রবন্ধ ঘ    ছোটগল্প

১৪৮. উক্ত রচনা হিসেবে সালমানের বাবার রচনার সীমাবদ্ধতা হলোÑ

      র.   ঘটনার বিবরণ পুঙ্খানুপুঙ্খ হওয়া অপ্রয়োজনীয়

      রর. আকার প্রয়োজনের চেয়ে দীর্ঘ

      ররর. আরম্ভ নাটকীয় নয়

      নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

      ক   র ও রর   খ    র ও ররর

      গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *